প্রেমপ্রদীপ পর্ব-০৮

0
3639

#প্রেমপ্রদীপ
Part–8
Arishan_Nur (ছদ্মনাম)

সমুদ্রের কন্ঠস্বর শুনে রোদেলা চমকে গেল। কি সুন্দর কন্ঠস্বরটা! একবার শুনলে বারবার শুনতে মন চায়৷

রোদেলা সালামের জবাব দেওয়ার কথা ভুলেই গেল। তা দেখে স্মিত হাসল সমুদ্র । এই হাসিটা কটাক্ষের হাসি।

সে মনে মনে বলে, আমেরিকা থেকে নিশ্চয়ই সালামের জবাব ভুলে গেছেন! কিন্তু মুখে কিছু না বলে দাঁড়িয়ে রইল।

ফাতেমা বেগম সমুদ্রের কাছে গিয়ে বলে, নানাভাই বস। তোমার পছন্দের রান্না করেছি।

সমুদ্র কিছু না বলে সোজা চেয়ার টান মেরে রোদেলার বিপরীত বরাবর বসল।

রোদেলা ভেবেই পাচ্ছে না এটা তার ছেলে! রোদেলা ভেবেছিল সমুদ্র এসেই তার সাথে চিল্লা-চিল্লি করবে। সিন ক্রিকেট করবে। সব কিছু মোকাবিলা করার জন্য সে মনে মনে প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু সমুদ্র তো শান্ত আছে। চিল্লানো তো দূর উচ্চ আওয়াজে কথাও বলে নি। কি আশ্চর্য! তার বাবু এতো বড় হয়ে গেছে! বিশ্বাস ই হচ্ছে না তার। বড় তো হবেই
তার বাংলাদেশ ছাড়ারই তো তেইশটা বছর অতিবাহিত হলো। ছেলে তার এখন ডাক্তার। রোদেলার খুব ইচ্ছা ছিল তার ছেলে ডাক্তার হবে। এপ্রোন পড়ে হাসপাতাল যাবে। কিন্তু অভাগা হলে যা হয়, ছেলেকে এপ্রোন পড়ে কোন দিন দেখার সৌভাগ্যইই পেল না। না দেখেছে কিন্তু মোবাইলের স্ক্রিনে। সেই স্ক্রিনের ভেতর দিয়ে দেখে তার শান্তি মেলেনি।

সমুদ্র বসতেই ফাতেমা বেগম তার প্লেটে খাবার তুলে দিতে লাগলো। গরম গরম লুচি, আলুর দম। যেই না পাতে গরুর কালা ভুনা তুলে দিবে সমুদ্র বাধা দিয়ে বলে, আমি সকালবেলা রেডমিট খাই না। প্লিজ গরুর মাংস দিবেন না।

একথা শুনে সবাই সমুদ্রের দিকে তাকালো। সবাই বলতে মামা-মামী আর নানা।

নিজেকে ভীন দেশের প্রানী লাগছে। সমুদ্র মামার দিকে তাকালো। মামা তাকে খুব আদর করত। মামা আগের মতোই আছেন। চোখে চশমা লাগিয়েছে। মামীর চেহারায় বয়সের ছাপ এসে গেছে। কিন্তু আজব ব্যাপার হলো মায়ের চেহারা দেখে বোঝার উপায় নেই তার এতো বয়স হয়েছে৷ এখন অনেক কম বয়সী লাগে।

হয়তোবা বিদেশের হাওয়া লাগায় বয়স কমে গেছে। নাকি Olay লাগায় যে বয়স দশ বছর কমে গেছে — কে জানে?

সমুদ্র খাওয়া শুরু করল। সে সকালে এতো হেবি ফুড খায় না। লাইট খাবার খায়।

ফাতেমা বেগম পুনরায় জিজ্ঞেস করে, তোমার ভাই কোথায়?

— ঘুম থেকে উঠে নি।

রোদেলা সবটা চেয়ে চেয়ে দেখছে। কি সুন্দর করে তার ছেলে খাচ্ছে। প্রথমে লুচি ছিঁড়ে তা তরকারির সাথে মাখিয়ে মুখে পুড়ে নিল। চাবানোর ভঙ্গিটা আগের মতোই আছে। আগে রোদেলা যখন খাইয়ে দিত ঠিক এভাবেই চাবিয়ে চাবিয়ে খেত সমুদ্র। রোদেলা মন ভরে সমুদ্র কে দেখছে কিন্তু মুখ দিয়ে একটা কথাও বের হচ্ছে না তার।

সমুদ্র খাওয়া শেষ করে বলে, এক চা কাপ দিতে পারবেন? লিকার ঘন করে। দুই চামচ চিনি। দুধ ছাড়া।

রোদেলা অবাক হয়ে যায়। তার বাবু চা খায়? বড় মানুষের মতোন করে? আগে তো রোদেলা যেই কাপে চা খেত সেখান থেকে সমুদ্র এক দুই চুমুক খেত!

ফাতেমা বেগম দ্রুত চা বানাতে গেল। সমুদ্রের খাওয়া শেষ। সে বসে আছে। মনের ভেতর টা খচখচ করছে। মস্তিস্কে রাগ বইছে কিন্তু সেটা কিছু তেই প্রকাশ করছেনা সমুদ্র।

দশ মিনিটের মধ্যে নানী চা বানিয়ে আনলেন। এই দশ মিনিট খুব কষ্টে পার করেছে সমুদ্র। সবার দৃষ্টি তার দিকেই ছিল। বিশেষ করে মায়ের। এভাবে তাকিয়ে থেকে সে কি বোঝাতে চাচ্ছেন? খুব মায়াময়ী তিনি? হুহ!

নানী চা আনলেন কিন্তু দুধ চা। সে দুধ চা আনতে বলেনি। তবুও সমুদ্র কিছু বললোনা। ভুল হতেই পারে। এই নিয়ে ঝামেলা না করাই উত্তম।

সমুদ্র চা খেয়ে উঠে যেতে গেল, রোদেলা তড়িঘড়ি করে বলে, আরেকটু বস বাবু৷

মায়ের মুখে বাবু শব্দটা শুনে চমকে উঠে সমুদ্র কিন্তু চমকের অনুভূতি মনের ভেতরেই রাখল, বাইরে জানতে দিলনা। সমুদ্রের বুকে মনে হচ্ছে কেউ পাথর চাপা দিচ্ছে। এতোক্ষণ ধৈর্য ধরে থাকলেও এখন আর পারছে না৷ চিৎকার-চেচা-মেচি করে বাসা একাকার করতে মন চাচ্ছে৷

সমুদ্র এক মূহুর্ত দেরি না করে রুমে গিয়ে গেট খট করে লাগিয়ে দিল। সমুদ্রের এমন রুঢ় আচরণে রোদেলা কষ্ট পেল৷

প্রায় দুপুরের দিকে শ্রাবণ আর সমুদ্র দুজন একসাথে বের হলো রুম থেকে। সমুদ্র বারবার চাচ্ছে যেন সে রোদেলার সম্মুখীন না হয়।

আল্লাহ দোয়া শুনেছে। নানী বললেন রোদেলা নাকি বাইরে গেছে প্রয়োজনীয় কাজে। এই কথা শুনে সমুদ্র মনে মনে, আমি বাদে সবকিছুই আপনার জন্য প্রয়োজনীয়।

ফাতেমা বেগম ডাইনিং টেবিলে বসে মটরশুটি ছিড়ছেন। সমুদ্র গিয়ে তার পাশের চেয়ারে বসল। ফাতেমা বেগম অবাক হলেন। সত্যি বলতে সমুদ্র সকালে যখন তার স্নেহ উপেক্ষা করেছিল সে খুব কষ্ট পেয়েছিল৷ এখন এভাবে সমুদ্রের পাশে বসাটা সে হজম করতে পারেনি৷

সমুদ্র নিজেও একটা মটরশুটি হাতে নিয়ে সেই মটরশুটির ছাল ছড়িয়ে বলে, মায়েরা হলো এই মটরশুঁটির ছালের মতোন। ঠিক এইভাবেই চারিদিক দিয়ে তার সন্তানকে সযত্নে আবৃত করে রাখে। যখন এই ছাল ছড়িয়ে ফেলি,,,,,

এইটুকু বলেই মটরশুঁটি টা ছিড়ে দিল৷ এবং সঙ্গে সঙ্গে বিচি গুলো বের হয়ে আসল। এবং নিচে পড়ে গেল বিচি গুলো।

তারপর সমুদ্র মুচকি হেসে বলে, ঠিক এই ভাবে ভেতরে সযত্নে থাকা সন্তান দিশেহারা হয়ে পড়ে৷

ফাতেমা বেগম বুঝলেন সমুদ্র আকারে-ইঙ্গিতে কি বোঝাতে চাচ্ছে। সে মাথা নিচু করে ফেলল।

সমুদ্র নানীর হাত ধরে বলে, সকালে আপনি সম্ভবত আমাকে ছুতে চেয়েছিলেন। আমি সরে গিয়েছিলাম। সেজন্য সর‍্যি।

ফাতেমা বেগম ছলছল চোখে নাতীর দিকে তাকালো। সমুদ্র বললো, করোনা চলছে। এভাবে এতোটা পথ জার্নি করে এসেছিলাম তাই সিক্স ফিট ডিস্টেন্স মেইনটেইন করছিলাম।

— ও।

কথার এরই মাঝে একটা পুতুলের মতো মেয়ে বের হয়ে এলো রুম থেকে। সমুদ্র মুগ্ধ দৃষ্টিতে সেই পুতুলটাকে দেখতে লাগলো। এবং মনে মনে বলে উঠে, এই যে পুতুল! তুমি হাটাহাটি করছো কেন? তোমার হাটাহাটি করা বরং। তুমি বিছানায় সুন্দর করে বসে থাকতে এইটাই তোমার প্রধান কাজ।

পুতুলটা চুলগুলো ছেড়ে রেখেছে। পাজ্জো আর ফতুয়া পড়া। মুখটা গোলগাল জন্যই পুতুল পুতুল লাগছে। মজার বিষয় হলো, মেয়েটার চেহারা হুবহু তার বাবার মতো। মানে হলো বাবার ফিমেল ভার্সন! দাদীর সাথেও চেহারায় বেশ মিল খুজে পাচ্ছে সমুদ্র। তাই তো এই পুতুল মেয়েটাকে চিনতে এক দন্ড সময় লাগে নি সমুদ্রের।

মেয়েটাও অবাক হয়ে সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে আছে। তারপর ছুটে এসে বলে, ভাইয়া!

সমুদ্রের কেমন যেন লেগে উঠে। এই পুতুলটা তার ছোট্ট বোন!

সমুদ্র পরম আবেশে বোনের মাথায় হাত রাখলো। পিউ ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরে একদম স্পষ্ট বাংলায় বলে, কেমন আছো ভাইয়া? আই মিস ইউ সো মাচ!

বিদেশে যারা থাকে তারা কথায় কথায় লাভ ইউ, মিস ইউ, সো সুইট বলে অভ্যস্ত।

পিউ কোনদিন সমুদ্র কে সরাসরি দেখেই নি তাও কি সুন্দর নির্দ্বিধায় বললো তাকে মিস করে!

পিউ মুচকি হেসে বলে, কখন পৌছেছো তুমি?

সমুদ্র আরেকদফা অবাক হলো। কি অবলীলায় তার সাথে কথা বলছে যেন সে তার কতো পরিচিত।

সমুদ্র জবাবে বলে, সকালে।

— আমাকে ডাকো নি কেন?

ফাতেমা বেগম বলে উঠে, তুই ঘুমাচ্ছিলি। ক্লান্ত ছিলি জন্য ডাকি নি।

পিউ মুচকি হেসে দিল। পিউয়ের সাথে আর কোন কথা বললো না সে।

সমুদ্র বারান্দায় গেল। শ্রাবণ ও দাঁড়িয়ে আছে সেখানে।

বারান্দা থেকে সমুদ্র দেখতে পেল, রোদেলা আসছে। হাতে বেশ কিছু ব্যাগ।

সমুদ্র দ্রুত রুমে ঢুকে গেল।

দুপুরের পর আর বের হয় নি রুম থেকে সমুদ্র। রাতের খাবার তাকে রুমেই দেওয়া হয়েছে। শ্রাবণ কে অন্য রুমে থাকতে দেওয়া হয়েছে জন্য রুমে সমুদ্র একা। বাবার সাথে কিছুক্ষন কথা বলে সমুদ্র শুতে গেল। কিন্তু ঘুম আসছেনা। অন্য জায়গায় গেলে সমুদ্রের ঘুম হয় না। তবুই সে চেষ্টা করছে ঘুমানোর। রাত বারোটা থেকে বিছানায় ছটফট করতে করতে একটা সময় হাপিয়ে গিয়ে সে উঠে বসল। তারপর বাথরুমে গিয়ে চোখে-মুখে পানি দিল। রাত আড়াইটা বাজে। সবাই নিশ্চয়ই ঘুমাচ্ছে। বারান্দায় গিয়ে সিগারেট খাওয়া যেতে পারে।

সে এক মূহুর্ত দেরি না করে রুম ছেড়ে বের হলো। তারপর বারান্দায় গিয়ে দাড়ালো। বারান্দার শীতল হাওয়া মনে শান্তির অনুভূতি জোগান দিচ্ছে।

সে চোখ বুজে সিগারেট টানছে আর প্রকৃতি উপভোগ করছে এবং গুনগুন করে মৃদ্যু আওয়াজে গান গাচ্ছে। এভাবে কতোক্ষন ছিল সমুদ্র– তা সে জানে না। তার চোখ আপনা-আপনি খুলে গেল যখন তার কানে চামচের টুংটাং আওয়াজ ভেসে আসল।

সে ভড়কে গেল। এই মধ্যরাতে কে হতে পারে? এই বেলায় কে চামচ নাড়ছে? ভূত-প্রেত না তো আবার?

সমুদ্র সাহস নিয়ে এগিয়ে গেল। কে টুংটাং আওয়াজ করছে তা দেখার জন্য। সে ড্রয়িং রুমের বারান্দায় ছিল। বারান্দা থেকে বের হয়ে ড্রয়িংরুম পার হয়ে দেখল রান্নাঘরের লাইট জ্বালানো।

যাক রক্ষা পেল সে। প্রেতাত্মা না। প্রেতাত্মা হলে আর লাইট অন করে রান্না-বান্না করত না। সমুদ্রের কিউরিসিটি বাড়লো। কে হতে পারে রান্নাঘরে? এই সময় কেন রান্নাঘরে? সে কি সমুদ্রের মতো ঘুমুতে পারছে না?

সে সিগারেট হাত থেকে ফেলে দিয়ে রান্নাঘরে গেল। রান্নাঘরে যেতেই নাকে একটা সুমিস্টি ঘ্রান এসে লাগলো।

সমুদ্রের চোখ রান্নাঘর বরাবর। সেখানে কোন রূপবতী ঝুকে রান্না করছে। চেহারা না দেখেই তাকে রূপবতীর কাতারে ফেলে দিল সমুদ্র।

কারন সাধারণত রূপবতী যুবতীরাই বিভিন্ন উদ্ভট কাজ-কর্ম করে থাকে।

সমুদ্র হুট করে একটা ঘোরের মধ্যে চলে গেল। এক পা দুই পা করে এগিয়ে যেতে লাগলো।

মেয়েটার কাছে যেতেই সে উপলব্ধি করল, মেয়েটার চুল ভেজা। টপটপ করে পানি ঝরছে চুল থেকে। সমুদ্রের বুক ছ্যাত করে উঠে। এতো রাতে গোসল কেন করেছে সে? ভেজা চুলের পানি কামিজের পেছনের অংশকে সম্পূর্ণ ভাবে ভিজিয়ে দিয়েছে। মেয়েটার পরনে সাদা বল প্রিন্টের কামিজ। বল গুলো গোলাপি রঙের। গায়ে কোন ওড়না জড়ানো নেই। সম্ভবত রূপবতী জানত না ঘরে কোন পুরুষ আছে। কিংবা এতো রাতে বাসার কেউ জেগে আছে।

সমুদ্র মেয়েটার আরো কাছে গেল। তার কেন যেন ভেজা চুলগুলো হাত দিয়ে নেড়েচেড়ে দেখতে মন চাচ্ছে।

হুট করে মেয়েটা তার দিকে ঘুরে তাকালো এবং দুজনের চোখাচোখি হয়ে গেল।সমুদ্রের নেশা ধরে যায়। মেয়েটার চোখের মায়ায় আটকে যাচ্ছে সে।

পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর মায়ার নাম হলো চোখের মায়া! এই মায়ায় আক্রান্ত হলে আপনার দুচোখ শুধু তাকেই খুজবে৷ তাই এই মায়া কাটানো দুষ্কর!

সেই সাথে মেয়েটা ঘাবড়ে গিয়ে সমুদ্রের হাতে চুলা গরম চা ফেলে দিল।

মেয়েটার চোখেমুখে ভয়ের ছাপ। হাতে যে জ্বলন ধরেছে সেইদিকে খেয়াল নেই সমুদ্রের। বুকের মধ্যে কি যেন হচ্ছে তার। জল্লোচ্ছ্বাস বইছে মনের অন্তরালে! মনের মধ্যে আগুন জ্বলছে। সেই জ্বলনের সামনে হাতে পড়া চায়ের জ্বলন কিছুই না।

সমুদ্র এক দৃষ্টিতে মেয়েটাকে দেখেই চলেছে৷ মেয়েটা যে ভয় পেয়েছে তা দিব্যি টের পাচ্ছে সমুদ্র।

সমুদ্র একটু ঝুকে আসল মেয়েটার দিকে। মেয়েটা সঙ্গে সঙ্গে পেছাতে চাইলে সমুদ্র তার কোমড় জড়িয়ে ধরে। মেয়েটা কেপে উঠে। কান্না করে দিল। সমুদ্রের সেদিকে খেয়াল নেই৷

সে মেয়েটাকে গ্যাসের চুলার পার থেকে সরিয়ে আনে এবং তার চোখের দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করে বলে,

প্রহরশেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্র মাস
তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ।

মেয়েটা সমুদ্রের বলা কথাগুলো শুনতে পায় নি কারন সে ব্যস্ত ছিল সমুদ্রের থেকে নিজেকে মুক্ত করায়। যখন সে তার কাজে সক্ষম হলো দ্রুত চোখ মুছতে মুছতে রান্নাঘর ছেড়ে বেরিয়ে যায়৷

এদিকে সমুদ্রের হতবিহ্বল হয়ে পড়ল, পরক্ষনেই কিছুটা জোড়ে বলে উঠে, আয়ু!!

চলবে।