বিষাদের শহরে তুমি এলে পর্ব-০৫

0
179

#বিষাদের_শহরে_তুমি_এলে
#পর্ব_০৫
#লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu

“তুই আমার কাঁধে হাত দিয়েছিস কেনো? দেখ আমি তোর কোনো কাজ করতে পারবো না। আমার ক্লাস আছে। আমি এখন ক্লাসে যাব। তানহার কথায় তানহার ভাই ফাইয়াজ দমে গেল না। বোনকে লোক চক্ষুর আড়ালে নিয়ে আসলো। কাতর স্বরে বলল। ”

–তুই প্লিজ আব্বুকে বুঝিয়ে বল। আব্বু যেনো আমাকে বাইক কিনে দেয়।

–ভাইয়া তুই আব্বুর অবস্থা জানিস না। এভাবে সংসারে অশান্তি করিস না। আব্বু যখন বলছে, তখন ঠিক তোকে বাইক কিনে দিবে। তুই আর ক’টাদিন অপেক্ষা কর।

–তুই আমার কথা শুনলি না তো। ওকে দেখ আজকে বাসায় গিয়ে, আমি কি করি? তুই শুধু বসে বসে দেখিস। কথা গুলো বলেই চলে গেল ফাইয়াজ। তানহা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভাইয়ের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। মনমরা হয়ে ক্লাসের দিকে যাচ্ছিলো। এমন সময় কারো সাথে ধাক্কা লেগে, তানহা পড়ে যেতে নিলে, মানুষটা তানহাকে দু’হাতে আবদ্ধ করে ফেলে। সামনের মানুষটাকে দেখে, ক্রোধে তানহার কর্ন গরম হয়ে আসলো। তানহা কিছু বলতে যাবে। তার আগেই মানুষটা তানহাকে ছেড়ে দিল। তানহা মাটিতে পড়ে গেল। তানহাকে পড়ে যেতে দেখে, মানুষটার মুখে হাসির রেখা ফুটে উঠলো। তানহা নিজের দৃষ্টি অন্য দিকে ঘুরিয়ে দিল। এমন সময় অভ্র এসে তানহার দিকে হাত এগিয়ে দিল। অভ্রকে দেখে তানহা বলল।

–অন্য মেয়ের জামাইয়ের হাত আমি ধরি না। তানহার কথা শুনে, হতভম্ব হয়ে গেল অভ্র। ইফাদ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছে। তানহা উঠে অভ্রের সাথে কথা বলতে বলতে চলে গেল। তানহা রীতিমতো ইফাদকে ইগনোর করল। ইফাদের কাছে, বিষয়টা একদম ভালো ঠেকলো না। সে সাত-পাঁচ না ভেবে কলেজের ভেতরে চলে চলে।

ড্রয়িং রুমে চিন্তিত হয়ে বসে আছে ইফাদের বাবা-মা। ইফাদের মা রাহেলা বেগম গম্ভীর মুখ করে, স্বামীর দিকে দৃষ্টিপাত করে রেখেছেন। স্বামীর নিরবতা তাকে ধৈর্যের শেষ প্রান্তে নিয়ে গিয়েছে। রাগান্বিত কণ্ঠে বলে উঠলো।

–তুমি সারাদিন বসে থাকবে? একটা উপায় বলবে না? ছেলেটা চোখের সামনে শেষ হয়ে যাচ্ছে। নিজেকে সবকিছুর থেকে গুটিয়ে নিচ্ছে, আর তুমি বাবা হয়ে বসে বসে সবকিছু দেখছো? কোনো বাবা নিজের ছেলের কষ্ট চুপচাপ বসে বসে দেখে! তোমার ব্যবহার আমার একদম ভালো ঠেকছে না। তুমি যদি কিছু করতে না পারো। তাহলে আমাকে বলো। আমি নিজেই আমার ইফাদের জন্য কিছু করবো।

–তুমি আমার আমার ওপরে রেগে যাচ্ছো কেনো? আমি একটা উপায় ভেবেছি। আমি জানিনা আমার উপায়টা তোমার পছন্দ হবে কি না। তবে আমার কাছে এটাই সব থেকে ভালো উপায় বলে, মনে হচ্ছে। ইফাদের বাবা আদনানকে আহিরের কথা শুনে, তার অর্ধাঙ্গিনী আড়চোখে স্বামীর দিকে তাকালো। গম্ভীর কণ্ঠে বলল।

–কি উপায়?

–একটা মেয়ে।

–কি একটা মেয়ে?

–আমি বলতে চাইছি। একটা মেয়ের চাইলেই, একটা ছেলেকে এলোমেলো করে দিতে পারে। আবার একটা মেয়ে চাইলেই একটা এলোমেলো ছেলেকে, গুছিয়ে দিতে পারে। আমার ছেলেকে একটা মেয়ে, এলোমেলো করে দিয়ে গিয়েছে। এখন আরেকটা মেয়ে এসে, আমার ছেলেকে গুছিয়ে দিয়ে যাবে। আদনান আহিরের কথা শুনে ফুঁসে উঠলো রাহেলা বেগম।

–এক কালনাগিনী আমার ছেলের জীবনটা অর্ধেক শেষ করে দিয়েছে। আবার আরেক কালনাগিনীকে নিয়ে এসে, বাকি জীবনটা শেষ করতে চাইছো।

–তুমি রাগ করছো কেনো? আগে আমার কথা শুনো। ইফাদ এখন মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছে। এই সময়ে মানসিক সাপোর্ট দিবে কাউকে ইফাদের ভিষণ দরকার। যে-সব কথা ইফাদ আমাদের বলতে পারবে না। সে-সব কথা তার বেস্ট ফ্রেন্ড মানে, মেয়ে বান্ধবীকে বলতে পারবে।

–কেনো ইফাদের ছেলে ফ্রেন্ড নেই। তুমি তাদের কাউকে বলো। যেনো তারা সব সময় ইফাদের পাশে থাকে।

–তুমি আমার কথাটা বুঝতে পারোনি। ইফাদ সবার কথা শোনার মতো ছেলে, একটা মেয়ে যেটা করতে পারবে। একটা ছেলে সেটা করতে পারবে না। আমি কারো কথা শুনতাম না। আমি বাবা-মায়ের অবাধ্য ছেলে ছিলাম। দিন শেষে একজনের কাছে এসে বাধ্য হয়ে গিয়েছি। তুমি বলতে পারবে। কে সে? আমি সবার কথা ফেলতে পরালেও, একটা মানুষের কথা ফেলতে পারি না। মানুষটা আমার ভিষণ প্রিয়। আদনান আহিরের কথার মানে কিছুটা বুঝতে পারলেন রাহেলা বেগম। তার সাথে বেশ কিছুটা লজ্জাও পেয়েছেন। নিজেকে স্বাভাবিক করে নিয়ে, নরম কণ্ঠে বলল।

–তুমি কি ইফাদকে বিয়ে দিতে চাইছো?

–না একটা মেয়েকে ইফাদের সাথে রাখতে চাইছি। যে ইফাদের মনটা ভালো রাখবে। ইফাদকে মানসিক ভাবে সাপোর্ট দিবে। আস্তে আস্তে ইফাদের বেস্ট ফ্রেন্ড হয়ে উঠবে। ইফাদ আগের মতো হয়ে গেলে, মেয়েটাকে আমরা সরে যেতে বলবো।

–কেউ মেয়ে দিতে রাজি হবে?

–কেনো হবে না। আমরা তো মেয়েকে চব্বিশ ঘণ্টা আঁটকে রাখবো না। সারাদিন ইফাদের সাথে থাকবে। সন্ধ্যায় বাসায় চলে যাবে। সকাল হলেই আবার চলে আসবে। আমার ইফাদ যেনো একাকিত্বে না ভোগে। এর জন্য আমি মোটা অংকের টাকা উপহার দিব। তাহলে আজ থেকে মেয়ে খোঁজার মিশনে লেগে পড়ি। কথাটা বলেই বাসা থেকে বেড়িয়ে গেল।

তানহা আজকে আগে বাসায় চলে এসেছে। দরজার কাছে আসতেই কারো রাগান্বিত কণ্ঠ স্বর ভেসে এলো। কেউ চিৎকার করে বলছে।

–ছেলে-মেয়ের চাহিদা যখন পূর্ণ করতে পারবে না। তাহলে জন্ম দিয়েছিলে কেনো? তোমাকে বাবা হতে কে বলেছিল? বাবা-মা হবার যোগ্যতা তোমাদের নেই। আমাকে যদি বাইক কিনে না দাও। তাহলে আমি আজকেই বাড়ি ছেড়ে চলে যাব। কথা গুলো বলছে আর বাসার দুই একটা আসবাবপত্র ভাংচুর করছে। তানহা ভেতরে এসে দেখলো। তার ভাই বাবার সাথে, চিৎকার করছে। মুহূর্তের মধ্যে তানহার মাথা গরম হয়ে গেল। বাসার মধ্যে প্রবেশ করতে করতে বলল।

–তোমাকে ছেলে হতে কে বলেছিল ভাইয়া? তোমার তো ছেলে হবার কোনো যোগ্যতা নেই। বাবা-মা নিঃসন্তান হোক, তবুও তোমার মতো ছেলে কারো ঘরে না হোক। তুমি বাবার অবস্থা জানো না। বাবার আটাশ লক্ষ টাকা ঋণ পরিশোধ করতে হচ্ছে, সবকিছু জানার পরে-ও কিভাবে আব্বুকে এতটা চাপ দিতে পারো। ফাইয়াজ রেগে তানহার গালে ক’ষে থা’প্প’ড় বসিয়ে দিল। তানহা তাল সামলাতে না পেরে ফ্লোরে পড়ে গেল। ক্রোধে গর্জন দিয়ে উঠলো ফাইয়াজ।

–তোর থেকে জ্ঞান শুনতে চেয়েছি। বড় ভাইয়ের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয়। এটা তোর বাবা তোকে শেখাতে ভুলে গিয়েছিল। আমার সাথে উচ্চ স্বরে কথা বলতে আসলে, তোর অবস্থা আমি কি করে ফেলবো। তুই কল্পনাও করতে পারবি না। তানহার বাবা রহিম আহমেদ। এতক্ষণ চুপ থাকতে পারলেও, আদরের মেয়ের শরীরে প্রহার পড়ায় স্থীর হয়ে বসে থাকতে পারলো না। উঠে এসে ছেলের গালে, পরপর দু’টো থা’প্প’ড় বসিয়ে দিল। রাগান্বিত কণ্ঠে বলল।

–আমি তোমাকে বাইক কিনে দিতে চেয়ে ছিলাম। তোমাকে কথা দিয়ে ছিলাম। আমাকে ক’টাদিন সময় দাও। তুমি আজকে যা করলে, আজকের পরে বাইক কেনো? আমার বাসায় তোমার কোনো জায়গা হবে না। এখনই আমার বাসা থেকে বের হয়ে যাও। বেয়াদব ছেলে কোথাকার। তোমাকে ঠিকমতো মানুষ করতে পারি নাই। যার জন্য আমাকে এসব দিন দেখতে হলো।

–তোমার এই বাসায় কে থাকতে চায়। তোমার বাসায় থাকতে না দিলে, আমার কি থাকার জায়গার অভাব হবে। দু-দিন পরে ঠিক নিয়ে আসতে যাবে। কথা গুলো বলে সোফায় জোরে লাথি মেরে বাসা থেকে বেড়িয়ে গেল। রহিম আহমেদ মেয়েকে তুলে নিজের পাশে বসিয়ে, বুকে আগলে নিলেন। আদুরে কণ্ঠে বলল।

–আম্মু বেশি ব্যথা পেয়েছিস? তোকে এই সময়ে বাসায় আসতে কে বলেছে? নিশ্চয়ই ঐ বেয়াদবটা কলেজে গিয়ে, তোকে কিছু বলে এসেছে। যার জন্য তুই এত তাড়াতাড়ি বাসায় আসলি। বাবার কথায় নিরুত্তর রইলো তানহা। রহিম আহমেদের বুঝতে বাকি রইলো না। তানহাকে শান্ত করে, তার স্ত্রীকে নিয়ে নিজেদের রুমে চলে গেল। তানহা আগ্রহ নিয়ে বাবা-মায়ের রুমের দিকে গেল। তার বাবাকে প্রচন্ড চিন্তিত দেখাচ্ছে। মলিন কণ্ঠে বলে উঠলো।

–শুনো তানহার আম্মু আমি না হয়, আরেকটা ব্যাংক থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা ঋণ নেই। ছেলেটা আমার অনেক কষ্ট পাচ্ছে।

–তোমাকে এতগুলো কথা শোনালো! তোমার লজ্জা বলতে কিছু নেই। তুমি আবার সেই ছেলের কথা ভাবছো। আমিও দেখবো। ও ছেলে কতদিন বন্ধুর বাসায় থাকতে পারে। ওর দুনিয়ায়টা দেখার দরকার আছে। ও বুঝুক দুনিয়ায়টা কতটা কঠিন। এবার আর ওকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে যাবে না।

–বাবাদের লজ্জা থাকতে নেই তানহার আম্মু। ছেলে-মেয়েদের খুশি বাবাকে কি পরিমাণ আনন্দ দেয়। সেটা তোমার থেকে ভালো কে জানে? একটা বছর ধরে ছেলে, আমার বাইকে আবদার করেছে। আমি তাকে তার ইচ্ছেটা পূর্ণ করে দিতে পারছি না। এটা আমার ব্যর্থতা। আজকে বিকেল ব্যাংকে যাব। দেখি কোনোভাবে লোন নেওয়া যায় নাকি। পর্দার আড়াল থেকে, তানহা আগ্রহী কণ্ঠে বলে উঠলো।

–আব্বু আমিও যাব তোমার সাথে। তানহাকে দেখে তানহার বাবা মা দু’জনে চমকে উঠলো। মেয়েটা তাদের বড় হয়ে গিয়েছে। চাইলেও আর কোনোকিছু লুকাতে পারবে না। তাই মেয়ে সাথে নিয়ে যেতে রাজি হলেন, রহিম আহমেদ।

বিশাল একটা ব্যাংকের সামনে দাঁড়িয়ে আছে তানহা ও রহিম আহমেদ। ধীর পায়ে অফিসের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বাবা মেয়ে। অফিসের বসের সামনে বসে আছে রহিম আহমেদ। তানহা চুপচাপ বাবার পাশে বসে আছে। রহিম আহমেদ বসকে উদ্দেশ্য করে বলল।

–ঋণ প্রস্তাব করতে চাই স্যার।

–ঋণ প্রস্তাবের কিছু শর্ত থাকে, সেটা আপনার জানা আছে নিশ্চয়ই।

–হ্যাঁ জানা আছে। আমি সমস্ত শর্ত রাজি। আপনি আমাদের সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতে শুরু করুন।

–আপনার সাথে এটা কে?

–আমার মেয়ে স্যার।

–মাশাল্লাহ আপনার মেয়ে দেখতে অনেক সুন্দর। আপনি আমাকে ভালোভাবেই চিনেন। আমিও আপনাকে চিনি। ভনিতা না করে, আমি আপনার কাছে একটা প্রস্তাব রাখতে চাই। আমার ছেলেটা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছে। তাকে মানসিক ভাবে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য একটা বেস্ট ফ্রেন্ডের প্রয়োজন। আপনার মেয়েকে যদি কিছু দিনের জন্য, আমাদের বাসায় যাওয়া আসা করতে দিতেন। আপনার সকল সমস্যা আমি দূর করে দিতাম।

–স্যরি স্যার আপনার কথার মানে, বুঝতে পারলাম না।

–আমার ছেলের কাজের লোক হিসেবে, আপনার মেয়েকে চাই। এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন।

–আমি চাইলেই আমার মেয়ের জন্য দু’টো কাজের লোক রাখতে পারি। ঋণের প্রস্তাবের সাথে মেয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। আমার এখনো এত খারাপ দিন আসে নাই। যে আমি আমার মেয়েকে অন্যের বাসায় কাজ করাতে পাঠাবো।

–রহিম একটু বোঝার চেষ্টা করো। তুমি আমাকে অনেক দিন ধরে চিনো। আমাকে কখনো এতটা করুন হতে দেখেছো। নিজের ছেলের জন্য তোমার কাছে এতটা ছোট হচ্ছি। আমি তোমার মেয়েকে মেরে ফেলবো না। ভয় পেও না।

–স্যরি স্যার আমার মেয়েকে নিয়ে, আমি কোনো কথা বলতে চাই না। আপনি কি আমাকে ঋণ দিতে পারবেন।

–ঋণ মুখের কথা না। তুমি আজকে আসো। আমি পরে ভেবে দেখছি। রহিম আহমেদ বুঝতে পারলো। এই অফিসে ঋণের আশা ছেড়ে দিতে হবে। মেয়েকে নিয়ে নিঃশব্দে অফিস থেকে বেরিয়ে আসলো। বাহিরে আসতেই তানহা বাবাকে উদ্দেশ্য করে বলল৷

–আব্বু আমি আমার ব্যাগটা অফিসের মধ্যে ফেলে এসেছি। তুমি একটু অপেক্ষা করো। আমি এখনই গিয়ে ব্যাগটা দিয়ে আসি। তানহা বাবাকে কোনো কথা বলতে না দিয়ে, অফিসের মধ্যে প্রবেশ করল। বসে রুমে এসে কাতর স্বরে আদনান আহিরকে উদ্দেশ্য করে বলল।

–আমি যদি আপনার ছেলের বেস্ট ফ্রেন্ড হই। আপনার ছেলেকে মানসিক ভাবে দিতে পারি। তাহলে আপনি আমার সমস্যা দূর করে দিতে পারবেন।

–তুমি আমার সাথে আমাদের বাসায় যাবে?

–হ্যাঁ যাব।

–তুমি আমার ছেলেকে মানসিক ভাবে সাপোর্ট দিতে পারলে, আমি তোমার সব সমস্যা দূর করে দিব কথা দিলাম। আমি বেঁচে থাকা অবস্থায় তোমার কোনো ক্ষতি হতে দিব না। তবে তুমি আমার বিশ্বাসের মূল্য দিও। এমন কিছু করো না। যাতে করে আমি তোমাকে প্রহার করতে বাধ্য হই। তোমার বাবা অনেক ভালো মানুষ। আশা করছি সেই বাবার সন্তান হয়ে,কখনো বেইমান হবে না। এই নাও এটা আমার কার্ড ফোন দিলে, চলে আসবে।

–আমার ফোন নেই।

–কাল সকাল আটটায় আমার অফিসে চলে আসবে। বাকিটা কালকে বুঝিয়ে দিব। তানহা আর কথা বাড়ালো না। দ্রুত পায়ে রুম ত্যাগ করল।

চলবে…..