ভালোবাসার অধিকার পর্ব-০৭

0
612

#ভালোবাসার_অধিকার❤❤
লেখা- পূজা
পর্ব- ৭


শুভর বাসায়,,
শান্ত: ভাইয়া তুই কি বলতো বিয়ে করার কোনো ইচ্ছে নাই নাকি। তর জন্য আমাকে আমার বউটাকে ওয়েট করিয়ে রাখতে হবে।
শুভ: তো যা না। বিয়ে করে নে। এতো কথা বলছিস কেনো। আর একটা কথা বললে আমি মেয়ে দেখতেই যাবো না। আর বিয়ে করা তো দুরের কথা।
শান্ত: তা করবি কেনো ছোট ভাই এর খুশি ত তর সহ্য হবে না।
শুভ: এসব কি বলছিস। তর কথায় মনে হচ্ছে। আমার বিয়ে হওয়ার পরের দিনই তর বিয়ে দিয়ে দেবে।
শান্ত: দেবেই তো। না দিলে আমার জানুকে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করে নেবো। তারপর তো মেনে নেবেই।
শুভ: 😳জানু কে?
শান্ত: আমার গার্লফ্রেন্ড সায়নি।
শুভ: হায়রে,, এই বয়সে আমি গার্লফ্রেন্ড ওয়ার্ডটাই হয়তো শুনি নি।
শান্ত: 😐তর মতো আমি এতো ক্ষ্যাত না।
শুভ: হইছে ভাই চুপ কর। আমার তর মতো স্মার্ট হওয়ার প্রয়োজন নেই। আর একটা কথা বললে আমি বিয়ে করতে মানা করে দেবো কিন্তু। আমার মাথা খাওয়া বন্ধ কর।
শান্ত: তো বাবাকে বল না তর বদলে আমাকে বর বানিয়ে দিতে। আমি তর মতো এতো ভাব ধরবো না। বিয়ে করতে রাজি হয়ে যাবো।
শুভ: চুপ। আমি ভাব কখন ধরলাম।
শান্ত: এখনই তো ধরছিস। ডং করে রেডি হচ্ছিস না। যাতে সবাই তকে জোর করে। আর তুই ও বুঝাতে পারিস। “আমার মেয়েদের প্রতি কোনো ইন্টারেস্ট নেই” হুহ ডং। বুঝি বুঝি মনে মনে তো ঠিকই লাড্ডু ফুটছে। আর আমাদের সামনে বলছিস বিয়ে করতে মানা করে দিবি।
ওদের কথা বলার মধ্যেই আবির আর ঈশান চলে আসে। আর শান্তর কথা শুনের নেয়। শুভ কিছু বলতে যাবে তার আগেই আবির বলে,,
আবির: ঠিক বলেছিস। তর ভাইটা পুরো ড্রামাবাজ।
শুভ: 😐তরা একদম এর কথায় কান দিবি না। সারাদিন পাগল করে তুলে বকবক করতে করতে।
শান্ত: বুঝলে আবির ভাইয়া। এই যুগে সত্য কথার দাম কেউ দিতে পারে না।
শুভ: এই তুই যা তো। আমি রেডি হয়ে আসছি।
শান্ত: হুহ জলদি আসো। নয়তো তোমার জায়গায় আমি চলে যাবো।
শুভ: তো যা। কেউ তকে আটকিয়েছে।
ঈশান: শান্ত তুই যা আমরা ওকে নিয়ে আসছি।
শান্ত: ওক্কে ভাইয়া।
ঈশান: তুই রেডি হচ্ছিস না কেনো।
শুভ: তকে এমন লাগছে কেনো।
ঈশান: ওই একটু জ্বর আসছিলো। দ্বীপের ও আসছে। কাল বৃষ্টিতে বিজেছিলাম।
শুভ: ওয়াটট? কেনো?
ঈশান: দিয়া অনু ওরা জুর করে বিজাইছে। এটা বাদ দে আর তুই রেডি হো। ১১:৩০বাজে। ১২টায় বেরবো।

তিথি অনু মায়রা দিয়া সিমির বাসার সামনে গিয়ে কলিংবেল বেজায়। প্রহর এসে দরজা খুলে দেয়।
প্রহর: আরে তোমরা আসো ভেতরে।
প্রহরের চোখ দিয়ার দিকেই আটকে যায়। অনেক কিউট লাগছে।
অনু: স্যার সিমি কোথায়।
প্রহর: উপরে। আর তোমরা আমায় বাসায় ভাইয়া ডাকবে। স্যার ভার্সিটিতে। ওকে।
অনু: ওকে। চল।
অনু দিয়ার হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলো। গিয়ে দেখে সিমি বসে বসে ফোন টিপছে।
তিথি: হ্যালো ম্যাম। ফোনের ভেতর থেকে মাথাটা তুলেন।
সিমি: ওয়াও তরা এসে গেছিস। আমি তদের জন্যই ওয়েট করছিলাম।
মায়রা: কেনো?
সিমি: অনেক ভয় করছে। ফাস্ট তো।
দিয়া: এতো ভয় পাস না। এগুলো কোনো বিষয় না। চুপচাপ বসে তাকবি গুমটা দিয়ে চোখ তুলে তাকাবি না। আর যা বলবে শুধু তার ঠিক ঠিক আন্স দিবি।
তিথি: বাব্বা। তুই এতো কিছু জানলি কি করে। তকে কতোবার দেখতে এসেছিলো।
দিয়া: 😕আমি কারো সামনে এভাবে সং সেজে বসে থাকবো না।
সিমি: তারমানে আমি এখন সং সাজবো। নাআআআআআ।
সিমির চিৎকার শুনে প্রহর চুটে আসে।
প্রহর: কি হয়েছে তুই এভাবে চিৎকার করলি কেনো।
সিমি: 😭ভাইয়া আমি সং সাজতে পারবো না।
প্রহর: মানে এসব কি বলছিস। সং সাজবি কেনো।
সিমি: ছেলেপক্ষর সামনে সং সেজে যেথে হয়। আমি যাবো না।
প্রহর: 🤬 এসব তকে কে বলেছে।
দিয়া: (হায় হায়, আমার নাম বললে তো এই খবিসটায় আমায় কতো কথা শুনাবে। বইন তর পায়ে ধরি আমারে ফাসাইস না।)
সিমি: 😭দিয়া।
প্রহর: আমি জানতাম এই স্টুপিড কথা ওর মুখ ছাড়া আর কারো মুখ থেকে বেরবে না। তুই জলদি রেডি হো😡
দিয়া: কি আমি স্টুপিড কথা বলি। আপনি ইডিয়েট।
অনু: (এটা তুই কি বললি। এবার স্যার রেগে কি করবেন কে জানে)
প্রহর: কি বললে তুমি😠
দিয়া: (ইশশশ মুখ ফসকে বেরিয়ে গেছে) সরি(মাথা নিচু করে।)
প্রহর: তোমার সাহস অনেক বেশি বেরেছে তাই না। তোমাকে একটা শাস্ত্রি না দিলে হবে না। এক্ষণি আমার পিছন পিছন আমার রুমে আসো।
দিয়া: নাআআ। আপনি আমায় মেরে ফেলবেন।
প্রহর: জাস্ট সাট আপ। চুপচাপ আসো নয়তো…
দিয়া: কি?
প্রহর: জোর করে নিয়ে যাবো।
দিয়া: শাচছন্নি। এই কারনে তর বাসায় আসতে চাই নি। তর জন্য আমাকে….
প্রহর: চুপপপ। তুমি আসবে কিনা বলো।
দিয়া: আসছি😭।
প্রহর চলে গেলো দিয়া সবার দিকে করুনভাবে তাকালো।
মায়রা: এভাবে তাকাচ্ছিস কেনো। আমরা তো কিছু করতে পারবো না। স্যার যা রাগি পরে দেখা যাবে আমাদের শাস্ত্রি দিছে।
দিয়া: সিমি ও তর ভাই না। আমার সাথে চল না।
সিমি: দেখ কিছুক্ষণ পর আমায় ছেলেপক্ষ দেখতে আসবে। এসবের মাঝে যদি চরটর খাই মন খারাপ হয়ে যাবে না। সরি দোস্ত অন্য দিন হলে তর সাথে চলে যেতাম।
দিয়া: 😠😠 তাহলে আমার নাম বলে আমায় ফাসালি কেনো।

প্রহর রুমে গিয়ে সোফায় পায়ের উপর পা তুলে বসে আছে। দিয়া পা টিপে টিপে রুমে ডুকে।
প্রহর: ওখানে দারিয়ে আছো কেনো। এখানে আসো।
দিয়া: আমি আর কখনো এসব বলবো না। প্লিজ যেথে দিন।
প্রহর: এতো ভয় পাচ্ছ কেনো। আমি বাঘ না ভাল্লুক।
দিয়া: এর থেকে ও ভয়ংকর(বিরবির করে)
প্রহর: কি?
দিয়া: কিছু না।
প্রহর: ওকে এখানে আসো। বসো।
দিয়া: না আমি ঠিক আছি এখানে। কেনো ডেকেছেন তা বলেন।
প্রহর বসা থেকে উঠলো। দিয়ার হাত ধরে টেনে বিছানায় বসালো।
দিয়া: কি করছেন?
প্রহর: হুশশ। এখানে বসে থাকো।
প্রহর ওর আলমারি থেকে একটা প্যাকেট বের করলো। আর দিয়ার হাতে দিলো।
প্রহর: যাও এটা পরে এসো।
দিয়া: কি আছে এতে।
প্রহর: খুললেই দেখতে পাবে। যাও।
দিয়া: আমি কেনো পরবো। দেখতে তো আসবে সিমিকে।
প্রহর: এতো কথা বলো কেনো। যা বলছি তাই করো। আমি নিচে আছি। এটা চুপচাপ পরে নিচে আসো।
দিয়া: সরি স্যার আমি এটা পরতে পারবো না।
প্রহর: তুমি আমার মুখের উপর কথা বলো।
দিয়া: হুহ। বলছি আর এটা আপনার কাছেই রাখেন এটা আমি নিতে পারবো না।
দিয়া প্যাকেট টা প্রহরের হাতে দিয়ে যেই বেরতে যাবে। প্রহর দিয়ার হাত ধরে টেনে দেয়ালের সাথে মিশিয়ে নেয়।
প্রহর: তুমি জানো না আমি তোমায় ভালোবাসি।
দিয়া: জানি।
প্রহর: জেনে ও এরকম করছো কেনো?
দিয়া: বাট আমি আপনাকে ভালোবাসি না।
প্রহর: কেনো? তুমি জানো না তোমার সাথে আমার বিয়ে ঠিক। সিমুর বিয়ের পরেই….
দিয়া: আমি জানি না আর জানতে ও চাই না। কারন এই বিয়ে আমি করবো না।
প্রহর: আংকেল আন্টি দ্বীপ সবাই রাজি। আর এই বিয়েটা ও হবে। এতে তোমার মত থাক বা না থাক।
দিয়া: আপনি আমায় জোর করতে পারেন না।
প্রহর: আমি কি পারি আর না পারি তা তোমার ধারনা ও নেই।
দিয়া: মরে গেলে ও আপনাকে বিয়ে করবো না হুহ।
বলেই দিয়া প্রহরকে ধাক্কা দিয়ে এখান থেকে চলে আসে।
প্রহর: বিয়ে তো তোমায় আমাকেই করতে হবে। সেই কবে থেকে ভালোবাসি। এতো সহজে তো তোমায় ছারবো না।

অনু তিথি মায়রা সিমিকে শাড়ি পরাচ্ছে।
শাড়ি পরাচ্ছে না লুঙ্গি সিমি বুঝতে পারছে না।
সিমি: জামাইর জন্মে কোনোদিন শাড়ি পরেছিলি। আসছিস আমাকে শাড়ি পরাতে। এটা কি।😡
অনু: চুপ থাক তো। আমাদের ব্যাপারটা দেখতে দে। সব তো ঠিকই আছে প্রবলেমটা কোথায় বুঝতে পারছি না।
মায়রা: আমার মনে হয় সিমি উল্টো পাল্টা কিছু করেছে তাই শাড়ি ঠিকভাবে পরাতে পারছি না।
সিমি: আমি কি করেছি। আমি তো শাড়িতে টাচ্ ও করি নি।
তিথি: আমি ইউটুব দেখে একটু শিখেছি। দারা আমি পরাচ্ছি।অনু এই আচলটা ধর আর পিন দিয়ে আটকা।
সিমি: প্লিজ দোস্ত আর না। আমায় ছাড় আর মাকে ডেকে দে। তরা আমায় গুত দিতে দিতে মেরে ফেলবি। পিটে ব্যাথা করছে। পিন কতোবার গেতেছে হিসাব নেই।😭
তিথি: তুই যে এতো সেলফিস তা আমি আগে জানতাম না।😒
সিমি: আমি কি করছি😯?
তিথি: আমরা তর জন্য এতো কষ্ট করছি এটা দেখছিস না। গুতো যে দিছি শুধু এটাই দেখলি।
সিমি: 😕তরা মাকে ডাকবি কিনা বল।
দিয়া: কি হয়েছে। তুই এখনো রেডি হস নি। আন্টি বলেছে ওরা রওয়ানা দিয়ে দিছে।
সিমি: দোস্ত প্লিজ মাকে ডেকে নিয়ে আয় ওরা আমায় শাড়ি এই জন্মে ও পরাতে পারবে না।
অনু: 😒আমি ডেকে আনছি।

শুভ ঈশান আবির শান্ত এক গাড়িতে আর শুভর মা বাবা অন্য গাড়িতে করে আসছেন।
আবির ড্রাইভ করছে।
শান্ত: ভাইয়া বউমনির কোনো ছোট বোন নেই।
শুভ: বউমনি কে🤨
শান্ত: তর বউকে আমি বউমনি বলে ডাকবো।
শুভ: আমি কি বিয়ে করে ফেলেছি?
শান্ত: করিস নি করবি তো।
ঈশান: ছোট বোন দিয়ে তুই কি করবি?
শান্ত: প্রেম। ভাইয়ের শালির সাথে প্রেম করার মজাই আলাদা।
শুভ: 😳তর না সায়নি আছে।
শান্ত: তো কি হয়েছে। আমার তো তমা ও আছে। আখি ও আছে। আর….
আবির: ওরা কারা।
শান্ত: আমার গার্লফ্রেন্ড।
আবির+ঈশান: 😲কিই? এতোটা।
শান্ত: হুহ তো কি হয়েছে। এখন এসব নরমাল।
আবির: ভাই আমি প্রেম করবো। এখনো একটা ও করি নি।
শুভ: তুলি না তকে ভালোবাসে। ওর সাথে প্রেম কর।
আবির: 😒আমার ওকে দেখলে কিছু হয় না।
ঈশান: কি হয় না।
আবির: মানে কোনো কিছু ফিল করতে পারি না। ওর সাথে কথা বলতে ও বেশি ভালো লাগে না।
শান্ত: ভাইয়া প্রেম করতে ফিলিংস এর প্রয়োজন হয় না। একটু দুষ্টু মিষ্টি কথা বললেই হয়।
ঈশান: তর বয়স কতো।
শান্ত: কেনো?
ঈশান: বল।
শান্ত: ১৪।
আবির: এই বয়সে আমরা কি করেছি জানিস।
শান্ত: কি?
ঈশান: সব সময় বই নিয়ে বসে ছিলাম। আর তুই কিনা এতো গার্লফ্রেন্ড নিয়ে বসে থাকিস। আর এতো কিছু কোথা থেকে শিখলি।
শান্ত: ওহ ভাইয়ারা তোমরা এসব ফালতু কাজ করেছো বলে কি আমি ও করবো। আমি তো লাইফ ইনজয় করবো। এতো পড়াশুনা করে কি হবে। সেই তো তোমাদের মতো বিয়েই করতে হবে। বাচ্ছা কাচ্ছা সামলাতে হবে।
আবির: বউ বাচ্ছাদের খাওয়াবি কি পড়াশুনা না করলে।
শান্ত: বাবার এতো টাকা থাকতে আমি এসব নিয়ে চিন্তা করবো কেনো।
শুভ: তদের মাথায় কি প্রবলেম আসছে। এই মেন্টাল এর সাথে কথা বলে পারবি? চুপ থাক।
শান্ত: 😡😡
ঈশান: ভাই তুই পুরো পেকেগেছিস। তর সাথে কথা বলায় পেরে উঠবো।
শান্ত: আমি কি ফল যে পাকবো।
শুভ: চুপ। আর একটা ও কথা বলবি না। আর সেখানে গিয়ে মুখে আঙ্গুল দিয়ে বসে থাকবি। আমাদের মান-সম্মান নষ্ট করবি না।
শান্ত: 😒😒

অনু সিমির মাকে ডেকে এনেছে। উনি সিমিকে খুব সুন্দর করে শাড়ি পরিয়ে দিয়েছেন।
অনু: ওয়াও আন্টি। সো নাইস। আমাকে শাড়ি পরানো শিখাবে।
মায়রা: আমাকেও।
সিমির মা: সবাইকে শিখাবো। এখন আমি নিচে যাচ্ছি ওরা হয়তো চলে আসছে। আমি বললে প্রিয়াকে নিচে নিয়ে এসো।
দিয়া: ওকে আন্টি।

আবির: এটাইতো বাসা তাইনা।
শুভ: হুম। এইতো সামনের গাড়িটা ড্যাড এর।
ঈশান: ভেতরে ডুকা।
আবির: ওকে।
আবির গাড়ি নিয়ে গেইট এর ভেতরে ডুকে গেলো। তারপর তারা গাড়ি থেকে নামলো।
শুভর বাবা: আমার সাথে আসো।
সবাই শুভর বাবার পিছন পিছন গেলো শুভর বাবা গিয়ে কলিংবেল বাজালেন। প্রহরের বাবা এসে দরজা খুলে দিলেন।
প্রহরের বাবা: তুই এসে গেছিস। তর জন্যই ওয়েট করছিলাম।
প্রহরের বাবা এসে শুভর বাবাকে জরিয়ে ধরেন।
প্রহরের বাবা: আয় ভেতরে। আসেন ভাবি।
এখানের মাঝে শুভ কে?
শুভর বাবা:(শুভকে দেখিয়ে) ও। শুভ যাও। সালাম করো।
শুভ গিয়ে সালাম করলো।
প্রহরের: তোমাকে ৫বছর আগে দেখেছিলাম।তাই ভুলে গেছি। ওরা কারা।
শুভ: ও আমার ফ্রেন্ড ঈশান আর ও আবির।
প্রহর উপর থেকে ঈশানকে দেখতে পায় ঈশানকে দেখেই নিচে নেমে আয়। নেমে শুভ আর আবিরকে দেখে তো ফুল শকড।
প্রহর: তরা😮?
আবির: তুই? এখানে?
প্রহর: এটা তো আমারই বাসা।
শুভ: তারমানে?
প্রহরের বাবা: ও তো আমার ছেলে। আর আমার মেয়েকেই দেখতে এসেছো।
আবির: সিমিকে😵
শুভর বাবা: তোমরা সিমিকে চিনো।
আবির: কালই তো দ্বীপের বাসায় দেখা হলো। কাল থেকেই চিনি।
ঈশান: আমি অনেক আগে থেকেই চিনি।
প্রহর: শুভ তাহলে ছেলে।
প্রহরের বাবা: হুম। তুই চিনিস শুভকে।
প্রহর: ও তো আমার ফ্রেন্ড। ইউএস এক সাথেই পড়াশুনা করেছি। আমি একবছর আগেই দেশে ফিরে এলাম।
তরা কবে এলি। জানালি না তো।
ঈশান: দুদিন আগে এসেছি।
একদিকে আবির ঈশান শুভ প্রহর গল্প করছে অন্যদিকে শুভর মা বাবা আর প্রহরের বাবা। প্রহরের মা সবার জন্য নাস্তা নিয়ে এলেন। নাস্তা দিয়ে উপরে গেলেন সিমিকে আনতে।
সিমির মা: তোমাদের হলো সবাই তো এসে গেছে।
বাহ! আমার প্রিয়াকে তো খুব সুন্দর লাগছে। কেউ যেনো নজর না দেয়।
উনার চোখ থেকে একটু কাজল এনে সিমির কানের পিছে লাগিয়ে দিলেন।
শান্ত হাটতে হাটতে সিমির রুমের সামনে এসে দারায়। সবাই গল্প করছে ওর গল্প করার কেউ নাই তাই একটু বাড়িটা ঘুরে দেখছিলো।
দিয়া দরজার পাশে কারো ছায়া দেখে দরজার কাছে এগিয়ে যায়। গিয়ে দেখে শান্ত দারিয়ে আছে।
দিয়া: তুই এখানে😲
শান্ত: আরে আপু তুমি?
দিয়া: তুই এখানে কি করছিস।
শান্ত: আমি তো ভাইয়ার জন্য মেয়ে দেখতে এলাম।
দিয়া: মানে🤨
সিমির মা: ও তো শুভর ভাই।
দিয়া: জানি। ও এখানে কেনো।
সিমির মা: ওরা এখানে থাকবে না তো কোথায় থাকবে। শুভর সাথেই তো প্রিয়ার বিয়ে ঠিক করেছি।
সিমি: কিইইইই?
সিমির মা: তর কি হয়েছে। তোমরা কি শুভকে ছিনো।
দিয়া: চিনি মানে খুব ভালো করে চিনি। ভাইয়া শুভ ওরা তো এক সাথেই পড়াশুনা করেছে।
সিমির মা: ওহ। তাহলে তো ভালোই।
আচ্ছা তরা ওকে নিচে নিয়ে আয়। আমি যাচ্ছি। ওরা ওয়েট করছে।
শান্ত: আমার বউমনিটা তো খুব কিউট।
অনু: তাই তুমি ও খুব কিউট।
শান্ত: তোমাদের কাউকে তো চিনি না। দিয়া আপু ওদের পরিচয়টা দাও।
দিয়া সবার নাম বলে দিলো সবার নাম জেনে সবার সাথেই কথা বলা শুরু করে দিছে।
শান্ত: বউমনি তোমার কোনো ছোট বোন নেই।
সিমি: না কেনো?
শান্ত: জানো আমার খুব ইচ্ছে ছিলো ভাইয়ের শালির সাথে প্রেম করবো।
শান্তর কথা শুনে সবাই হাসি শরু করে দিলো।
অনু: তাই। এখনি প্রেম।
শান্ত: এখনি মানে আমি তো আরো আগে থেকেই প্রেম করি।
তিথি: কিই?
শান্ত: হুম।
সিমি: তাহলে আমার ছোট বোন দিয়ে কি করবে। তোমার জিএফ তো আছেই।
শান্ত: ত কি হয়েছে। মাত্র ৭টা জিএফ আছে। তোমার বোন থাকলে ৮টা হতো আরকি।
সিমি+তিথি+মায়রা: 😱😱😲😲
দিয়া: তোমরা ওর সাথে কথা বললে পাগল হয়ে যাবে। যা পাকনা না। ননস্টপ কথা বলতেই থাকে। আর ওর সাথে কথায় কেউ পেরে উঠবে না।
মায়রা: তাই তো দেখছি।
দিয়া: এখন সিমিকে নিয়ে নিচে চল। সবাই ওয়েট করছে।
অনু: ঠিক বলেছিস। চল।
সবাই মিলে দিয়াকে নিচে নিয়ে গেলো শান্ত ও ওদের সাথে সাথে আসলো।

চলবে??🙄🙄