ভালোবাসার অধিকার পর্ব-০৮

0
633

#ভালোবাসার_অধিকার❤❤
লেখা- পূজা
পর্ব- ৮


নিচে সবাই গল্প করছে হঠাৎ শুভ পাশে তাকিয়ে দেখে শান্ত নেই।
শুভ: এই শান্ত কোথায়।
প্রহর: আমি উপরে যেথে দেখেছিলাম।
শুভ: কিই? আবার কার মাথা খাচ্ছে।
ঈশান উপরে তাকিয়ে দেখে অনু দিয়া তিথি মায়রা সিমিকে নিয়ে আসছে। আর শান্ত ও ওদের সাথে আসছে।
ঈশান: উপরে তাকিয়ে দেখ।
আবির ঈশানের কথায় উপরে তাকিয়ে একটা ছোট খাটো শক খায় তিথিকে দেখে। আবির ব্লাক জিন্স পিংক শার্ট আর ব্লাক কোর্ট পরেছে। তিথিও পিংক আর ব্লাক এর মাঝে ড্রেস পরেছে। আবির হা হয়ে গেছে তিথিকে দেখে অনেক কিউট লাগছে।
শুভ উপরে সিমির দিকে না তাকিয়ে শান্তর দিকে তাকালো।
প্রহর: এইতো সিমু এসে গেছে।
ঈশান: প্রহর তো দেখছি শুভর শালা হয়ে গেলো।
শুভ: এখনো বিয়ে করিনি😐
প্রহর: তর কি আমার বোনকে পছন্দ হয়নি।
শুভ: আমি এটা কখন বললাম। বলেছি বিয়ে হয়নি। হবে।
প্রহর: তারমানে তুই রাজি।
শুভ: ওহ। আগে তর বোনের সাথে কথা বলে নেই। দুজন দুজনকে ভালো করে চিনে নেই তারপর।
প্রহর: হুম। তদের দুজন দুজনকে পছন্দ করলেই বিয়েটা হবে। নয়তো বাদ।
ঈশান: আবির এইভাবে হা হয়ে কি দেখছে।
প্রহর: তাই তো। আবির। মুখটা বন্ধ কর।
আবির: কি?
শুভ: তুই হা হয়ে এভাবে কি দেখছিলি।
আবির: ওহ। না কিছু না।
ঈশান: আই থিংক তিথিকে।
প্রহর: তুই কি করে বুঝলি।
ঈশান: তিথি আর আবির এর ড্রেস এর কালার সেইম।
আবির: আমি একদমই তিথিকে দেখি নি।
শুভ: তা বুঝতেই পারছি।
ঈশান: ভালো লাগলে বলতে পারিস। আমরা সেটিং করে দিবো।
আবির: সেটিং কিরে। একদম আজে বাজে কথা বলবি না। আর আমি ওকে ভালোবাসি না।
শুভ: আমরা কখন বললাম তুই ভালোবাসিস।
ওদের আর কিছু বলতে না দিয়ে শুভর বাবা শুভকে ডাকলেন।
শুভর বাবা: শুভ এদিকে আয়।
শুভ গিয়ে ওর বাবার পাশে বসে।
শুভর মা: তুমি এখানে দারিয়ে আছো কেনো এখানে এসে বসো। দিয়া সিমিকে এখানে নিয়ে আসো।
দিয়া সিমিকে শুভর মার পাশে বসায় দিয়া ও বসে। হঠাৎ দিয়া বলে উঠে।
দিয়া: দেখেছিস শুভ আমার কথার কি পাওয়ার কাল আমার কথায় সিমিকে প্রপোস করলি আর আজ দেখতে চলে এলি।
সবাই অবাক হয়ে দিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। অনু দিয়ার কাছে গিয়ে কানে কানে বলে,
অনু: এটা কি বলছিস তুই। কালকের টা তো গেইম ছিলো।
দিয়া জোরে জোরেই বললো,
দিয়া: গেইম হোক আর যাই হোক। এটা দেখ আমি যা বললাম তাই হয়ে গেলো।
শুভর মা: প্রপোস মানে। শুভ কি সিমিকে আগে থেকে চিনে।
ঈশান: আরে না আন্টি এই ডায়নির কথা একদম ধরো না। কাল ওদের বাসায় সিমির সাথে দেখা হয়েছিলো। কাল থেকেই চিনে। এর আগে থেকে সিমিকে ও চিনতো না।
দিয়া: তুমি আমায় ডায়নি বললে কেনো😡
ঈশান: যা বলেছি ঠিক বলেছি এইভাবে কেউ এসব বলে। তা ও সবার সামনে।
প্রহরের বাবা: তোমরা ঝগড়া করো না। দিয়ার কথায় আমরা কেউ কিছু মনে করি নি। আর ওরা একে অপরকে চিনলে তো ভালোই।
প্রহরের মা: ঠিক বলেছো। আর দিয়া তো এই বাড়ির মেয়েই ও যা ইচ্ছা তাই বলতে পারবে।
দিয়া: দেখছো সবাই আমায় কতো ভালোবাসে। তোমার মতো না😏
ঈশান: 😕
শান্ত: ভাইয়া বউমনিকে প্রপোস করেছে। আর আমাদের সামনে নেকা সাজছিলো।
অনু: মানে?
শান্ত: ও তো আমায় সকালে বলেছিলো মেয়ে দেখতে যাবে না বিয়ে করবে না। আরো কতো কিছু। আমি তো আগে থেকেই জানতাম ও ভাব ধরছে।
শুভ: (বাসায় যাই একবার তর মজা বুঝাবো😡)
দিয়া: 😂ছেলেরা এমনই। ভাব ধরতে এক্সপার্ট।
ঈশান: একদম সব ছেলে নিয়ে কথা বলবা না।
দিয়া: চিন্তা করো না আমি তোমায় বলছি অন্যদের না।
ঈশান: কিইইই?
প্রহর: দিয়া একটু চুপ থাকবে।
দিয়া: আপনার কথায় আমি চুপ থাকতে যাবো কেনো?
শুভর বাবা: এসব কথা বাদ দাও। শুভ আর সিমিকে আলাদা কথা বলতে দাও। ওরা নিজেদের মধ্যে কথা বলে দেখোক।
দিয়া: একদম ঠিক বলেছো আংকেল।
প্রহর: তাহলে ওদের উপরে পাটিয়ে দাও।
প্রহরের মা: প্রিয়া শুভকে তুই উপরে নিয়ে যা।
দিয়া: আমি ওদের উপরে দিয়ে আসছি।
দিয়া শুভ আর সিমিকে নিয়ে উপরে ছাদে গেলো।
দিয়া: এবার তোমরা প্রেম করো। আমি যাই😜
শুভ: হুহ যা।
দিয়া: বাব্বা প্রেম করার জন্য তর সইছে না দেখছি।
শুভ: যা তো বেশি কথা বলিস না।
দিয়া: যাচ্ছি যাচ্ছি😏।
দিয়া চলে গেলো নিচে। সিমি নিচে তাকিয়ে আছে লজ্জায়। শুভর সিমির মুখ দেখে অনেক হাসি পাচ্ছে। হাসিটা চাপিয়ে রেখে বললো,,
শুভ: তুমি কি এই বিয়েতে রাজি।
সিমি: হুম।
শুভ: আমাকে পছন্দ হয়েছে।
সিমি কি বলবে বুঝতেছে না ওর অনেক লজ্জা করছে বলতে। এই ভাবে সরাসরি এসব কথা কেউ বলে। শুভ বুঝতে পেরেছে সিমি লজ্জা পাচ্ছে।
শুভ: মেয়েদের এই একটা প্রবলেম। সব কিছুতে লজ্জা পায়।
সিমি: লজ্জা মেয়েদের অলংকার।
শুভ: আই নো। তাই বলে হবু বর এর সামনে ও লজ্জা পেতে হবে।
হবু বর এই কথাটা শুনে সিমির আরো বেশি লজ্জা করছে। লজ্জায় লাল হয়ে গেছে।
শুভ: তবে তোমাকে লজ্জা পেলে অনেক কিউট লাগে।
সিমি: (উপপ উনার এসব কথায় তো আমার আরো বেশি লজ্জা করছে।)
সিমি লজ্জায় মাথা নিচু করে আছে। শুভ ওর হাত দিয়ে সিমির থুতনি ধরে মুখটা তুলে। সিমি সাথে সাথে চোখ বন্ধ করে নেয়।
শুভ: কালকে হয়তো ডেয়ার এর জন্য প্রপোস করেছি। এখন বলছি কালকের প্রপোসটাকেই সত্যি মনে করে নাও। আর প্রপোস করতে পারবো না। এখন শুধু প্রেম করবো। ওকে।
সিমি কিছু না বলেই শুভর দিক থেকে ঘুরে যায়। শুভর দিকে তাকিয়ে থাকতে পারছে না।
শুভ: কি হলো। আমার আন্স দাও।
সিমি চোখ বন্ধ করে বলে,
সিমি: আপনি বুঝতে পারছেন না আন্স কি হতে পারে।
শুভ: বুঝতে পারছি। তারপরো তোমার মুখ থেকে শুনতে ইচ্ছে করছে।
সিমি: আমি এখন পারবো না বলতে একটু টাইম লাখবে।
শুভ: ওকে। নো প্রবলেম। ফোনে তো কথা হবেই তখন না হয় বলে দিও।
সিমি: ওকে।
শুভ: আর আপনি বলা বন্ধ করো। তুমি করে বলবে।
সিমি: চেষ্টা করবো।

দিয়া সিমি আর শুভকে উপরে দিয়ে নিচে নামতেই প্রহর দিয়ার সামনে গিয়ে দারায়।
দিয়া: কি?
প্রহর: কিছু না। এতো কথা বলো কেনো। একটু চুপ থাকতে পারো না।
দিয়া: আমার মুখ আমি কথা বলবো তাতে আপনার কি। সরেন তো।
প্রহর: আমার সাথে এমন করো কেনো। আমি কি করছি।
দিয়া: কিছু করেন নি। এখন সামনে থেকে সরেন।
প্রহর: তুমি কি অন্য কাউকে পছন্দ করো।
দিয়া: হুম করি।
প্রহর: কিইই? কাকে।
দিয়া: সময় হলেই বলবো।
দিয়া প্রহরকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে চলে যায়। ঈশানের সামনের সোফায় গিয়ে বসে।
তিথি: ওরা উপরে?
দিয়া: হুম।
আবির বার বার তিথির দিকে তাকাচ্ছে না চাইতে ও আবিরের চোখ তিথির দিকে চলে যাচ্ছে। সবাই কথা বলছে আর ও দেখছে।
মায়রা: আমি একটু বাইরে থেকে আসছি। তোমরা কথা বলো।
অনু: কেনো?
মায়রা: মা ফোন দিয়েছে।
অনু: ওকে।
ঈশান: আবির তুই কি এখানে আছিস? না ভাবনার জগতে চলে গেছিস।
দিয়া: কেনো ওর আবার কি হলো।
ঈশান: দেখছো না কি চুপচাপ বসে আছে। আর কি একটা ভাবছে।
দিয়া আবিরের পাশে গেলো গিয়ে আবিরের হাতে জোরে একটা চিমটি দিলো।
আবির: আউউউচচ। কি হয়েছে। চিমটি দিলি কেনো😬।
দিয়া: কার মাঝে হারিয়ে যাচ্ছিস।
অনু: আবির মনে হয় কারো কথা ভাবছে।
ঈশান: তুই কি তিথির কথা ভাবছিস।
তিথি: কিইই?
আবির: তুই একটু চুপ থাক। আমি এই মেয়েটার কথা ভাবতে যাবো কেনো।
তিথি: 😕
অনু: তাহলে কি ভাবছো বলে ফেলো।
আবির: আরে কিছু ভাবছি না।
দিয়া: তাহলে এতো চুপচাপ কেনো তুই।
আবির: এমনি।
ওদের মাঝে প্রহর এসে বসলো।
প্রহর: কি হয়েছে?
ঈশান: কি আর হবে। আমাদের আবির আই থিংক প্রেমে পরছে।
আবির: ঈশান তুই চুপ থাকবি। প্রেমে কেনো পরবো। ওর থেকে তুলিই অনেক ভালো।
তিথি: ওহ হ্যালো। আমি ভালো হই আর খারাপ হই। তা আপনার কাছ থেকে জানতে চাই না। আর আমাকে কারো সাথে একদম তুলনা করবে না।
আবির: হুহ করছি ও না। কোথায় তুমি আর কোথায় ও। ওর ধারে কাছে ও তুমি নও।
তিথি: আর থাকতে ও চাই না। আর ওই মেয়েটার কথা এখানেই বা বলছেন কেনো। আপনি আপনার জিএফ নিয়ে থাকেন।কেউ কিছু বলছে?
আবির: হুম। থাকবো। তোমার বলতে হবে না।
তিথি: আমি বলতেছি ও না।
ঈশান: ওহো। ঝগড়া করছিস কেনো। আর আবির তুই নিজেই বলেছিলি ওই মেয়েটাকে তর পছন্দ না। তো ওর কথা এখানে তুলছিস কেনো।
অনু: আবির কি সত্যি তিথিকে লাইক করো। করলে বলে ফেলো।
তিথি: এই তুই এসব কি আজে বাজে কথা বলছিস।
প্রহর: আবির ভালোবাসলে বলে ফেল। লুকিয়ে রাখিস না। কখন মানুষটা দুরে সরে যাবে বুঝতে ও পারবি না। অনেক সময় তো বললে ও মানুষটা দুরে সরে যায়। কাছের মানুষ দুরে গেলে যে কতো কষ্ট হয় তা শুধু সে দুরে গেলেই বুঝা যায়।
এই কথাটা প্রহর দিয়ার দিকে তাকিয়ে বলে। দিয়া প্রহরের কথা কানে ও তুলে নি। ও চায় না প্রহরের মায়ায় জরাতে।
আবির: তুই তো দিয়াকে ভালোবাসিস তাই না।
অনু আর তিথি চোখ বড় বড় করে দিয়ার দিকে তাকায়। এটা ওরা জানতো না।
অনু: সত্যি।
আবির: হুম। তোমরা জানো না। ওদের তো বিয়ে ও ঠিক।
দিয়া: প্লিজ এই টপিক নিয়ে কেউ একদম কথা বলবে না।
ঈশান: কেনো কথা বলবো না হুহ।
দিয়া: ঈশান তুমি যদি আর একবার এসব নিয়ে কথা বলো তো আমি এখান থেকে চলে যাবো।
প্রহর: এসব বাদ দাও। কথা তো হচ্ছিলো আবিরকে নিয়ে।
তিথি: আমি আসছি। তোমরা কথা বলো।
অনু: কেনো? কথা তো হবে আবিরকে নিয়ে তুই কেনো চলে যাবি।
দিয়া: বুঝেছি আমি😜।
তিথি: তর মাথা বুঝেছিস।
আবির উপরে তাকিয়ে দেখে শুভ আর সিমি আসছে।
আবির: শুভ আসছে।
ঈশান: বাহ! দুজনকে তো খুব হাসি খুশি লাগের। তার মানে আন্স পজেটিভ।
অনু: তাই তো মনে হচ্ছে।
শুভ আর সিমি আসতেই শুভর মা বললেন,
শুভর মা: ওরা এসে গেছে। এবার ওদের কথা শুনো।
শুভর বাবা: শুভ তা কি ডিসাইড করলে।
শুভ: আমরা রাজি বাট আমাদের ভালো করে জানার জন্য কিছু টাইম দিতে হবে।
শুভর বাবা: তা তো অবশ্যই দেবো।
প্রহর: আর সিমুর তো সামনে ফাইনার এক্সাম ও। যা হওয়ার এক্সাম এর পরে হবে।
প্রহরের বাবা: তা হলে তো হলোই। ছেলে মেয়ে যখন রাজি তো আর আমাদের কি বলার।
শুভর বাবা: ঠিক বলেছিস।
শান্ত: এখন তো এক কথায়ই রাজি হয়ে গেলি। বাসায় ভাব ধরে বলেছিলি কেনো। মেয়ে দেখতে যাবো না বিয়ে করবো না।
শান্তর কথা শুনে সবাই 😂😂 শুভ রাগি লুকে শান্তর দিকে তাকালো। শান্ত ওদিকে না তাকিয়ে আবার বললো,
শান্ত: আমার মতো স্মার্ট ছেলে রেখে তুমি ওই ক্ষ্যাতকে কিভাবে পছন্দ করলে বলো তো।
সিমি: আমার তো তোমাকেই বেশি পছন্দ হয়েছে।
শান্ত: ইয়েএএএ ভাইয়া এখন বউমনিকে আমায় দিয়ে দে।
অনু: কেনো। আমরা আছি না তোমার জন্য। ও যখন বুকড হয়ে গেছে তো ওকে বাদ দাও। আমরা এখনো সিংগেল।
শান্ত: আমি সবাইকেই হ্যান্ডেল করতে পারবো।
শান্তর কথা শুনে সবাই হাসছে।
এই ভাবে তারা সবাই আরো কিছুক্ষণ মজা গল্প করলো। বিকেল ৪:৩০। শুভর বাবা বললেন,,
শুভর বাবা: এবার আমাদের যাওয়া উচিৎ।
প্রহরের বাবা: আর একটু থেকে যা।
শুভর বাবা: না। অন্যদিন আসবো। আর এখন তো প্রায়ই আসা যাওয়া হয়ে থাকবে।
প্রহরের বাবা: হুম। ওকে।
শুভর বাবা: আসি। বাই।
চলো তোমরা।
ঈশান: শুনো, দ্বীপকে বলো আমার আসতে সন্ধ্যা হবে।
দিয়া: ওকে।
শুভ ঈশান আবির শান্ত আর শুভর মা বাবা চলে গেলেন।
সিমি উপরে যাবে তখন অনু বললো,
অনু: আমরা ও চলে যাই।
সিমি: না আর একটু থাক।
তিথি: অনু ঠিক বলেছে। অন্য দিন আমার আসবো। মা ফোন করেছিলো। বাসায় একা আমায় যেথে বলেছে।
সিমি: আচ্ছা তাহলে যা।
মায়রা: বাই। আন্টি আসি।
সিমির মা: আবার এসো।
দিয়া: ওকে আন্টি।
প্রহর বসে বসে দিয়াকে দেখছে। দিয়া প্রহরের দিকে না তাকিয়েই চলে আসলো।

অনু দিয়া বাসায় এসে ওরা রুমে চলে গেলো। দিয়া ওয়াশরুমে ডুকলো। অনু বসবে তখনই ওর কানে হাসির শব্দ আসে। শব্দটা দ্বীপের রুম থেকে আসছে।
দিয়া ফ্রেস হয়ে দেখে অনু দেয়ালে কান পেতে কিছু একটা শুনছে।
দিয়া: কি করছিস।
অনু: তুই কি দ্বীপের রুম থেকে হাসির শব্দ পাচ্ছিস।
দিয়া: হুম। বাট ভাইয়ার সাথে কে। ঈশান তো বললো সন্ধ্যার পর আসবে।
অনু: চল গিয়ে দেখি।
অনু আর দিয়া ওদের রুম থেকে বেরিয়ে দ্বীপের রুমে গেলো। গিয়ে দেখে দরজা বন্ধ। অনু জোরে ধাক্কা দিতেই দরজা খুলে যায়। ভেতরে তাকিয়ে অনু দিয়া ২জনই অবাক😱😱 একটা মেয়ে দ্বীপের সাথে বসে আছে আর কতো সুন্দর করে দ্বীপ ওই মেয়েটার সাথে গল্প করছে। অনুর ইচ্ছে করছে দুজনকেই কাচা চিবিয়ে খেতে😡
দিয়া: তুইইইই?

চলবে?