ভালোবাসার অধিকার পর্ব-১০

0
595

#ভালোবাসার_অধিকার❤❤
লেখা- পূজা
পর্ব- ১০


সকালে,,
দ্বীপ ৯টায় ঘুম থেকে উঠলো। ফ্রেস হয়ে একেবারে শাওয়ার নিয়ে বেরলো। দ্বীপ রেডি হচ্ছে। তখনি ঈশান ঘুম থেকে উঠলো।
ঈশান: কোথায় যাবি।
দ্বীপ: কিছু কাজ আছে। সেগুলো কমপ্লিট করতে।
ঈশান: আমি ও যাবো।
দ্বীপ: কোথায়?
ঈশান: হসপিটাল। আমাকে সেখানে ড্রপ করে দিস।
দ্বীপ: তাহলে জলদি রেডি হয়ে আয়। আমি নিচে যাচ্ছি।
ঈশান: ওকে।

দ্বীপ নিচে আসলো। দিয়া আর নেহা নিচেই ছিলো। দ্বীপকে দেখে নেহা বললো,
নেহা: গুড মর্নিং দ্বীপ।
দিয়া: গুড মর্নিং ভাইয়া।
দ্বীপ: মর্নিং।
দিয়া: কোথায় যাবি।
দ্বীপ: একটু কাজ আছে।
দিয়া: ওহ। আমাদের ভার্সিটিতে ড্রপ করে দিবি।
দ্বীপ: লেইট হয়ে যাবে। তরা অন্য গাড়িতে করে চলে যা।
দিয়া: ওকে।
নেহা: আমাকে নিয়ে যাবে তোমার সাথে। বাসায় একা থাকলে বোর হবো।
দ্বীপ: সরি নেহা। আমার কাজটা খুব ইমপর্টেন্ট। আর ফিরতে রাত হবে। ততক্ষণ তোমাকে সাথে রাখতে পারবো না। অন্যদিন নিয়ে যাবো
নেহা: ওকে😞

দিয়া উপরে চলে গেলো অনুকে ডাকতে। গিয়ে দেখে অনু উঠে গেছে। ওয়াশরুমে ফ্রেস হচ্ছে। দিয়া ব্যাগ গুছিয়ে নিলো। অনু ফ্রেস হয়ে বেরিয়ে দিয়াকে বললো,
অনু: আজ মা বাবা চলে আসবে। আমি আজই চলে যাবো।
দিয়া: কিইইই?
অনু: হুম। ভার্সিটি থেকে আর বাসায় আসবো না। ড্রাইবার আংকেলকে বলে দিয়েছি উনি ভার্সিটিতে ওয়েট করবেন। আমি গিয়ে আমার ব্যাগ উনাকে দিয়ে দেবো। আর ক্লাস শেষে আমাকে এসে নিয়ে যাবেন।
দিয়া: ইটস নট ফেয়ার। আরো কিছুদিন থাকবি।
অনু: পসিবল না। রেগুলার দেখা তো হচ্ছেই। আবার আগের মতো হয়ে যাবে। প্রতি ফ্রাইডে আমরা ঘুরতে যাবো।
দিয়া: হুম😞
অনু: মন খারাপ করছিস কেনো।মাঝে মাঝে আসবো তো দেখা করতে।
দিয়া: তকে ছাড়া ভালো লাগবে না। আমায় আগে বললি না কেনো আজ চলে যাবি।
অনু: এমনি বলিনি। বাদ দে এসব।
অনু ব্যাগ ঘুছিয়ে নিলো। দিয়া চুপচাপ মন খারাপ করে বসে আছে।
অনু: আংকেল চলে গেছেন।
দিয়া: না। রেডি হচ্ছেন।
অনু: ওকে চল নিচে।
দিয়া: হুম।
অনু ব্যাগ ঘুছানো শেষ করে ব্যাগ নিয়েই নিচে গেলো। দ্বীপ এই মাত্র বেরিয়ে গেছে ঈশান ও চলে গেছে। দিয়ার বাবা ব্রেকফাস্ট করছেন। অনু আর দিয়া গিয়ে ডাইনিং টেবিলে বসলো।
অনু: আংকেল আজ আমি চলে যাবো।
দিয়ার বাবা: মানে।
অনু: মা বাবা চলে আসবেন আজ। তাই ভাবছি আজই চলে যাবো।
দিয়ার বাবা: এটা কি বলছো। এখনি চলে যাবে। আরো কিছুদিন পর যাও।
অনু: না আংকেল। আমি তো মাঝে মাঝে এসে তোমাদের দেখে যাবো। বাট আজ যেথে হবে। অনেকদিন ধরে মা বাবাকে দেখি না।
দিয়ার বাবা: তোমায় খুব মিস করবো।
অনু: আমি ও তোমাদের খুব মিস করবো।
অনু দিয়ার মায়ের দিকে তাকিয়ে দেখে উনার চোখে জল। অনু চেয়ার থেকে উঠে দিয়ার মাকে গিয়ে জরিয়ে ধরলো।
অনু: আরে আন্টি কাদছো কেনো? আমি কি একেবারে চলে যাচ্ছি।
দিয়ার মা: তকে তো আমি আমার দিয়ার মতই ভাবতাম। হঠাৎ এলি আবার হঠাৎ চলে ও যাবি।
অনু: আজ না হয় কাল তো আমায় যেথেই হবে। বেশি মায়া বারিয়ে কি হবে বলো।
দিয়ার মা: হুম। আচ্ছা মাঝে মাঝে আসবি কিন্তু আর প্রতিদিন ফোন দিবি। যদি ফোন দেওয়া মিস করিস তাহলে তর সাথে আর কখনো কথা বলবো না।
অনু: একদম মিস হবে না। আমি ও তো তোমাদের সাথে কথা না বলে থাকতে পারবো না।
দিয়ার মা: আচ্ছা যা ব্রেকফাস্ট করে নে।
দিয়া: হুম। জলদি কর। যাওয়ার টাইম হয়ে গেছে।
দিয়ার বাবা: আমাকে আবার ভুলে যেও না।
অনু: কি যে বলো না। তোমাকে কি ভুলা যায়।
নেহা উপর থেকে দারিয়ে সব শুনছে। অনুর প্রতি ওদের এই ভালোবাসাটা ওর সহ্য হচ্ছে না বাট অনু চলে যাবে এটা মনে করেই অনেক ভালো লাগছে।
অনু: ওকে। আংকেল আন্টি বাই। নিজেদের খেয়াল রেখো।
দিয়ার মা: তুই ও নিজের খেয়াল রাখিস।
দিয়ার বাবা: সাবধানে থেকো। বাই।
দিয়া আর অনু চলে গেলো। ভার্সিটিতে। গিয়ে দেখে অনুর গাড়ি চলে এসেছে। অনু ওর ব্যাগটা গাড়িতে রেখে ওর ক্লাস রুমে গেলো। তিথি সিমি মায়রা আরো আগেই এসেছে। প্রহর বলেছিলো ওদের জন্য ওয়েট করলে আর ক্লাসে ডুকতে দেবে না তাই ভয়ে আজ আর গেইটে দারায় নি ওরা। অনু দিয়া রুমে ডুকে দেখে প্রহর এখনো আসে নি। আরো ২মি আছে।
দিয়া: ওই বিটকেলের বউ আজ আমাদের জন্য ওয়েট করলি না কেনো।
তিথি: স্যার কি বলেছিলো মনে নেই।
অনু: ধুর। উনি তো কতো কিছুই বলেন। তাই বলে সব করতে হবে নাকি।
মায়রা: আমি ওয়েট করতে চেয়েছিলাম সিমি আমায় টেনে নিয়ে এসেছে।
দিয়া: যেমন ভাই তার তেমন বোন। তর কাছ থেকে আমি এর থেকে ভালো কিছুই আশা করি না।
প্রহর: তাই।
দিয়া: কে রে।
সবাই: 😲😲
দিয়া পিছনে প্রহরকে দেখে হা হয়ে দারিয়ে আছে।
দিয়া: আআমি অঅঅনুকে বলেছি। কি–রে।
প্রহর: বাট আমি তো শুনেছি তুমি বলেছো। কে রে।
দিয়া: আপনি ভুল শুনেছেন। কানের ডাক্তার দেখান।
প্রহর: কি? তুমি বুঝাতে চাইছো আমি বয়রা।
দিয়া: এগজাক্টলি।
ও না না আমি বুঝাতে চাইছি আমি বয়রা।
প্রহর দিয়ার কথা শুনে হেসে দিলো। বাকিরা ও মুখ ঘো
ঘুরে হাসছে। প্রহর দেখলে খবর আছে।
প্রহর: ওকে। বসো। আর বেশি কথা বলবে না। ভালো ভাবে ক্লাস করো।
দিয়া: ওকে।
সবাই নিজেদের ব্রেঞ্চ এর ঠিকভাবে বসলো। অনু দিয়ার কানের কাছে মুখ নিয়ে বললো,
অনু: তুই কি পাগল হয়ে গেছিলি। আজ স্যার এর মাথা হয়তো ঠান্ডা তাই কিছু বলে নি।
দিয়া: ধুর উনাকে দেখলে আমার সব কিছু ঘুলিয়ে যায়।
প্রহর: ফিসফিস করে কি বলছো।
দিয়া অনু তাকিয়ে দেখে প্রহর ওদের সামনে।
দিয়া: বলছিলাম স্যার কি ভালো করে চাপ্টারটা বুঝাচ্ছেস। আপনি কতো ভালো। তাই না অনু।
অনু: হুহ হ্যা হ্যা।
প্রহর: তোমাকে আমি খুব ভালো করে চিনি। তুমি যে আমায় ভালো বলবে না। তা ও জানি।
দিয়া: 😒😒
অনু: স্যার আর ফিসফিস করে কথা বলবো না। সরি।
প্রহর: মনে থাকে যেনো। নয়তো কান ধরে দার করিয়ে রাখবো।
দিয়া: (নিজের কানটা ধর না ব্যাটা)
প্রহর: কিছু বলেছো।
দিয়া: না না।
প্রহর: চুপচাপ বসে ক্লাস করো।
অনু+দিয়া: হুম।
ক্লাস টা ওরা ভালোভাবেই করলো আর কোনো কথা বলে নি ক্লাসে।
ক্লাস শেষে,,
দুপুর ১টা বাজে। তিথি সিমি অনু দিয়া মায়রা বাইরে এলো।
দিয়া: আজ একটু ঘুরি চল।
সিমি: টাইম মতো বাসায় না ফিরলে তো ভাইয়া বকবে।
দিয়া: এই খবিসটার ও আর কোনো কাজ নেই। শুধু মানুষকে শাস্ত্রি দিতে পারে আর বকতে পারে। আর কিছু পারে না।
অনু: ঠিক বলেছিস।
সিমি: তুই আমার সামনে আমার ভাইকে এতো কিছু বলছিস😐।
দিয়া: যা বলেছি ঠিকই বলেছি।
মায়রা: ফুচকাআআ😋
অনু: কোথায়?
মায়রা: গেইটের বাইরে দেখ।
তিথি: তোমরা ঝগড়া বন্ধ করে চল ফুচকা খাই।
সিমি: চল চল।
সবাই দিলো এক দৌড়। প্রহর ওদের দৌড় দেখছে আর হাসছে।
প্রহর: এখনো ওরা বাচ্চাই রয়ে গেলো।

অনু: আংকেল ফুচকা দিন😋 ১০প্লেট।
তিথি: আমার তো ২প্লেট এ হবে না😍।
দিয়া: আগে ২প্লেট খেয়ে নে। তারপর আবার নিতে পারবি।
অনু: আংকেল মরিচ বেশি দিয়েন।
সবাই ফুচকা খাচ্ছে। ঝালে সবার মুখ টমেটোর মতো লাল হয়ে গেছে। পানি ও নেই। তারপরে ও ফুচকা গুলো খাচ্ছে। প্রহর ভার্সিটি থেকে বেরিয়ে ওদেরকে এই অবস্থায় দেখে।
ও হাসবে না রাগ করবে বুঝতে পারছে না। শেষে হেসেই দিলো।
কারো হাসির শব্দ পেয়ে ওরা ওদিকে তাকায় প্রহরকে দেখে সিমি ভয়ে শেষ। বাকিরা ও খাওয়া বন্ধ করে দিছে। প্রহর পানির বোতল নিয়ে এগিয়ে গেলো।
প্রহর: লাগবে।
দিয়া প্রহরের হাত থেকে টাস করে বোতলটা নিয়ে নেয়। আর পুরো পানি খেয়ে নেয়।
তিথি: ওই ওই আমাদের জন্য রাখ। ঝালে মুখ পুড়ে যাচ্ছে।
প্রহর: সহ্য করতে পারো না যখন তো এতো ঝাল খাও কেনো।
দিয়া: ওহো। এখন এতো কথা না বলে আরো পানি নিয়ে আসুন। দেখেন আপনার বোনের কি অবস্থা।
সিমি দিয়ার কথায় আরো বেশি ভয় পাচ্ছে। সবার সামনে যদি থাপ্পড় দেয়। প্রহর একবার সিমির দিকে তাকালো তারপর চলে গেলো।
অনু: এটা কি হলো। উনি তো চলে গেলেন।
মায়রা: ভালো হয়েছে। নয়তো বকা দিতেন।
সিমি: আমি তো বাসায় গিয়ে খাবো😭
দিয়া: এতো ভয় পাস না।
মায়রা: অনেক ঝাল লাগছে। চল পানি খেয়ে আসি। মুখ শেষ।
প্রহর: এই নাও।
প্রহর ৪বোতল পানি এগিয়ে দিলো। অনু তিথি মায়রা সিমি তারাতারি বোতল নিয়ে পুরো পানি শেষ করে দিলো।
অনু: থ্যাংক ইউ স্যার।
প্রহর: আর এতো ঝাল খাবে না। বুঝেছো। বেশি ঝাল শরিরের জন্য ভালো না।
এটা বলেই প্রহর চলে গেলো বাকিরা হা হয়ে প্রহরের যাওয়া দেখছে।
তিথি: আমি স্বপ্ন দেখছি না তো।
মায়রা: আজ স্যার এতো ভালো বিহেভ করলেন। কোনো বকা দিলেন না।
দিয়া: উনি মনে হয় ভালো হয়ে যাচ্ছেন।
সিমি: আমার ভাই খারাপ ছিলো কবে😒
অনু: আগে ছিলেন। কথায় কথায় শাস্ত্রি নয়তো বকা দিতেন।
সিমি: এটা আমাদের ভালোর জন্যই দিতো।
দিয়া: তা ঠিক। বাট বেশি করে ফেলতেন।
অনু: ওকে। এসব বাদ দে। চল বাসায়।
এর মধ্যে অনুর ফোন বেজে উঠে অনু তাকিয়ে দেখে ওর বাবা ফোন দিছে।
অনু: ওয়েট বাবা কল দিছে।
হ্যা বাবা বলো।
অনুর বাবা: তুই কোথায় এখন। আমরা বাসায় এসে গেছি।
অনু: সত্যি। আমি এখনি আসছি। আমি ভার্সিটিতে। আংকেলকে পাটিয়ে দাও তুমি।
অনুর বাবা: পাটিয়ে দিয়েছি। দেখ হয়তো পৌছে ও গেছে।
অনু: ওকে। আমি আসছি। বাই।
অনুর বাবা: ওকে।
অনু ফোন কেটে সবাইকে বললো,
অনু: বাবা চলে এসেছেন বাসায় আমাকে এক্ষনি যেথে হবে।
দিয়া: ওকে। যা গিয়ে ফোন দিস।
অনু: হুম।
তিথি: তর গাড়ি এসে গেছে।
অনু: ওকে। বাই গাইজ।
অনু চলে গেলো। বাকিরা ও বাসায় চলে গেলো।
অনুর বাসায়,
অনু গিয়েই ওর মাকে জরিয়ে ধরলো।
অনু: কেমন আছো?
অনুর মা: তকে এতো দিন দেখি নি কিভাবে ভালো থাকবো।
অনুর বাবা: আমাকে তো কেউ চিনেই না।
অনু: হু আর ইউ?
অনুর বাবা: চিনবেন না আমাকে। আমি অনন্যা চৌধুরির বাবা।
অনু: ওহ তাই। আমি তো অনন্যা চৌধুরিকে চিনি। বাট উনার বাবাকে চিনতাম না। এখন চিনে নিলাম।
অনুর বাবা: আর চিনতে হবে না।
অনু গিয়ে ওর বাবাকে জরিয়ে ধরলো।
অনু: জানো তোমাদের কতো মিস করেছি। আর তুমি তো অনেক শুকিয়ে গেছো।
অনুর মা: তর চিন্তায়ই শুকিয়ে গেছে। আমাদের তো আরো দুদিন পর ফিরার কথা। বাট তর জন্য কাজটা জলদি শেষ করেছে।
অনু: থ্যাংক ইউ।
অনুর বাবা: পাগলি মেয়ে বাবাকে কেউ থ্যাংক ইউ বলে। আমার একটাই মেয়ে তার জন্য ভাববো না তো কার জন্য ভাববো।
অনু: তোমরা কখন এসেছো।
অনুর মা: বাসায় ডুকেই তকে ফোন দিছে।
অনু: তার মানে শুধু ফ্রেস হয়েছো। খাওয়া হয় নি।
অনুর মা: হুম।
অনু: চলো মা। আজ আমি তোমায় হেল্প করবো।
অনুর মা+বাবা: 😳😳
অনুর মা: দিয়ার বাসায় গিয়ে দেখছি কাজ শিখে এসেছিস। শুনো আমরা প্রায়ই চলে যাবো দেশের বাইরে আর ওকে দিয়ার বাসায় রেখে যাবো। আমাদের এবসেন্স এ যদি একটু কাজ শিখে।
অনু: বাবাআআ😭
অনুর বাবা: এটা কি বলছো। আমার একমাত্র মেয়ে কেনো কাজ করতে যাবে।
অনুর মা: বিয়ের পর কি করবে কাজ না শিখলে।
অনুর বাবা: আমি আমার প্রিন্সেসকে একটা প্রিন্স দেখে বিয়ে দেবো। যে আমার মেয়েকে অনেক ভালোবাসবে কোনো কাজ করতে দেবে না।
অনু: 😏মা আমায় একটু ও ভালোবাসে না। শুধু তুমিই ভালোবাসো😭
অনুর মা: 😐শুরু হয়ে গেছে নেকা কান্না। কাদলে হবে খেতে হবে না।
অনু: দেখেছো, মা কি বলেছে। আমি কি নেকা কান্না কাদছি?
অনুর বাবা: একদম না।
অনুর মা: তোমরা থাকো আমি গেলাম কিচেনে। আর ফুলিকে ফোন দিয়ে আসতে বলো। এতো দিন বাসায় ছিলাম না। বাসাটা নোংরা হয়ে আছে। ক্লিন করতে হবে।
অনুর বাবা: ওকে।
অনু: আচ্ছা বাবা তুমি এখানে থাকো। আমি ফ্রেস হয়ে আসছি।
অনুর বাবা: ওকে।
অনু ওর রুমে চলে গেলো ফ্রেস হতে। ফ্রেস হয়ে এসে দিয়াকে ফোন দিয়ে জানিয়ে দিলো। তারপর নিচে গেলো। ওর বাবা ওর জন্য যা যা এনেছেন সব দিলেন আর তারা গল্প করছেন।

দ্বীপ ঈশান প্রহর শুভ আবির অভি আর মৃনাল বসে আছে একটা রেষ্টুরেন্ট এ। দ্বীপ প্রহরকে ফোন করে বলেছে আসতে। ঈশান শুভ আবির ওরা তো প্রহরের সাথে দেখা করেছে ওর বাসায়। বাট দ্বীপ আর অভি দেখা করেনি। আর ওরা সবাই এক সাথেই এখন। তাই রেষ্টুরেন্ট এ দেখা করার প্লেন করে।
প্রহর: তরা আসলি কবে। আর আমি জানলাম কাল। একটা ফোন দিয়ে তো বলতে পারতিস।
দ্বীপ: আরে বাবা এতো কিছু কি মাথায় থাকে। অফিসের বিষয়ে অনেক কাজ ছিলো। ইউএস থাকতেই মৃনাল এর সাথে কন্টাক্ট করে সব ঠিক করে রাখি বাট কিছু বাকি রয়ে গেছিলো। সেগুলো এই কিছুদিনে কমপ্লিট করি।
প্রহর: হুম বুঝেছি।
অভি: তর খবর বল। আগে থাকি তো আরো হ্যান্ডসাম হয়ে গেছিস।
প্রহর: কি যে বলিস না। কাজের অনেক চাপ। সবাই বলছে শুকিয়ে যাচ্ছি।
আবির: শুধু কি কাজের চাপে শুকিয়ে যাচ্ছিস। না অন্য কোনো কারন আছে।
প্রহর: আর কি থাকবে।
শুভ: কারো চিন্তায় ও শুকিয়ে যেথে পারিস।
মৃনাল: তরা কথাকে এতো ঘুরাচ্ছিস কেনো। ডাইরেক্ট বলে দে কোন মেয়ের চিন্তায় এমন হয়েছে।
অভি: দিয়া ছাড়া অন্য কেউ আছে নাকি।
শুভ: একদমই থাকতে পারে না।
দ্বীপ: দিয়াকে নিয়ে আবার কিসের টেনশন।
প্রহর: আমি কি এটা একবারো বলেছি। তরা এতো বেশি বুঝিস কেনো।
ঈশান: কেউ বেশি বুঝতেছে না। এটা হতে ও তো পারে।
প্রহর: তরা কি এখানে এসব কথা বলার জন্য এসেছিস।
অভি: আমরা তো তর সাথে মিট করার জন্য এসেছি।
প্রহর: তাহলে এসব কথা তুলছিস কেনো।
দ্বীপ: কিছু অর্ডার কর। খুব খিদে পেয়েছে।
ঈশান: রাইট।
মৃনাল: আমি অর্ডার করে আসছি।
আবির: শুভ প্রহরকে ভাইয়া বলে ডাকবি সম্পর্কে ও তর বড়।
শুভ: ইমপসিবল।
প্রহর: 😁ভাইয়া না ডাকলে আমার বোনকে তর কাছে বিয়ে দেবো না।
দ্বীপ: শুভ চিন্তা করিস না। তুলে নিয়ে আসবো।
প্রহর: 😕জেলে ডুকিয়ে দেবো।
দ্বীপ: আমাদের জন্য এখনো কোনো জেল তৈরি হয় নি।
আবির: 😂রাইট।
ঈশান: তুই যদি শুভর কাছে সিমির বিয়ে না দিস। দ্বীপ ও তর কাছে দিয়ার বিয়ে দেবে না।
অভি: এবার তুই দ্বীপকে ভাইয়া ডাক।
প্রহর: 😐নো।
শুভ: এখন নো কেনো😕?
মৃনাল খাবার নিয়ে এলো। ওরা এভাবে আরো অনেকক্ষণ আড্ডা দিলো। তারপর সবাই মিলে অনেকক্ষণ ঘুরলো। অনেকদিন পর সবাই এক সাথে। সময়টা খুব ভালোভাবে ইনজয় করেছে।
রাত ১০টা দ্বীপ আর ঈশান বাসায় ফিরে।
ওরা রুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে নেয়। নেহা রুমে ডুকে দেখে ঈশান বসে আছে আর দ্বীপ ওয়াশরুমে।
নেহা: হ্যালো ঈশান।
ঈশান: (হ্যাডেক) হাই।
নেহা: এতো লেইট হলো কেনো আসতে।
ঈশান: কাজ ছিলো।
নেহা: ওহ।
দ্বীপ বাইরে বেরতেই।
নেহা: হাই দ্বীপ।
দ্বীপ: হাই।
ঈশান: তোমরা কথা বলো। আমি আসছি।
দ্বীপ: কোথায় যাবি।
ঈশান: আমি অনুর সাথে গল্প করে আসি। আজ ওর সাথে একবারো কথা হয় নি।
নেহা: অনু তো চলে গেছে ওর বাসায়।
দ্বীপ: মানে?
নেহা: মানে অনু এই বাড়ি ছেড়ে নিজের বাসায় চলে গেছে সকালেই।
ঈশান: কখন?
নেহা: তোমরা যাওয়ার পর।
দ্বীপ: একবারো বলে গেলো না যাওয়ার আগে😡।


চলবে?🙄🙄