ভালোবাসার অধিকার পর্ব-১১

0
576

#ভালোবাসার_অধিকার❤❤
লেখা- পূজা
পর্ব- ১১


দ্বীপ ডিনার করে বেলকনিতে এসে বসেছিলো এখনো বসেই আছে। রাত ১২টা বাজে চোখে ঘুম নেই। অনুর সাথে কথা বলতে অনুকে দেখতে ইচ্ছে করতেছে। কিন্তু কিভাবে দেখা করবে বুঝতে পারছে না। কাল রাতের পর অনুর সাথে একবারো দেখা হয়নি কথাও হয়নি। দ্বীপের অনুর উপর অনেক রাগ ও উঠতেছে। যাওয়ার আগে একবারো বলে গেলো না কেনো দেখা ও করে যায়নি। ঈশান রুমে ঘুমাচ্ছে। দ্বীপ আর সহ্য করতে না পেরে চলে গেলো দিয়ার রুমে। দিয়ার রুম নক করলো। দিয়া ঘুম ঘুম চোখে এসে দরজা খুলে বললো,
দিয়া: এতো রাতে কি হয়েছে তর।
দ্বীপ: অনুর বাসার এড্রেসটা দে।
দ্বীপের কথা শুনে দিয়ার ঘুম হাওয়া হয়ে গেলো। চোখ বড় বড় করে দ্বীপের দিকে তাকিয়ে বললো,
দিয়া: কি বললি?
দ্বীপ: যা বলেছি তাই। এতো কথা না বলে এড্রেসটা দে।
দিয়া এড্রেসটা বললো দ্বীপ আর এক মি. ও দেরি না করে বেরিয়ে পরলো। দিয়া দ্বীপের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। পরে মুচকি হেসে রুমে চলে গেলো।

অনু ও ওর রুমের বেলকনিতে বসে হুমায়ূন স্যার এর ভুতুরে গল্পটা পরছে। ওর ও কেনো জানি ঘুম আসছিলো না। তাই স্টাডি রুম থেকে বইটা নিয়ে এলো। রুমে পরতে ভালো লাগছিলো না তাই বেলকনিতে আসলো মৃদু বাতাস হুমায়ূন স্যার এর বই আর কফি। খুব ভালো লাগছে পরিবেশটা।
দ্বীপ গাড়িটা অনুর বাসার গেইট এর সামনে এনে দার করালো। দ্বীপ গাড়ি থেকে নেমে গাড়িতে হেলান দিয়ে দারালো। দ্বীপ অনুকে দেখতে পারছে। এতো রাতে ডাকাটা ঠিক হবে না। আর অনু নাম্বার ও আনে নি। তাই দ্বীপ দিয়াকে কল দিলো। দিয়া কল কেটে নাম্বারটা সেন্ড করে দিলো। ও ওর ভাইয়ে খুব ভালো করেই চিনে। দ্বীপ হাসলো। তারপর অনুকে কল দিলো। অনু আননোন নাম্বার দেখে প্রথমে রিসিভ করে নি। দ্বীপ আবার কল দিলো। এবার অনু কলটা রিসিভ করলো। করেই বললো,
অনু: ওই তুই কোন উজবুক রে চাল ছাড়া মোড়গ ইদুরের নানা এতো রাতে কেউ ফোন দেয়। কমনসেন্স ও নেই। তর মাথায় কি গুবরে ভরা।
দ্বীপ: এসব তুমি কি বলছো😡
অনু: কে? কন্ঠটা চেনা চেনা লাগতেছে।
দ্বীপ: বাইরের দিকে তাকাও চিনতে পারবে।
অনু দ্বীপের কথায় বাইরে তাকালো কিছুর দেখতে পেলো না।
দ্বীপ: আরে রাইটে তাকাও।
এবার অনু রাইটে তাকিয়ে বড় ধরনের একটা শক খেলো হাত থেকে ফোনটাই পরে গেলো। দ্বীপ হাসছে। অনু নিজের হাতে নিজে একটা চিমটি দিলো।
অনু: অউচ!! আমি স্বপ্ন দেখছি না😳
অনু নিচ থেকে ফোন টা তুললো। কানে ধরতেই দ্বীপ বললো,
দ্বীপ: ম্যাম আপনি স্বপ্ন দেখছেন না। নিজের হাতে নিজে কেউ চিমটি দেয়।
অনু: তুমি এখানে কি করছো। তা ও এতো রাতে।
দ্বীপ: সব বলবো। আগে নিচে এসো।
অনু: না। মা বাবা কেউ দেখলে ওরা কি ভাববে তুমি চলে যাও।
দ্বীপ: এতো রাতে এতো কষ্ট করে এলাম। চলে যাওয়ার জন্য তো নয়। তুমি আসবে নাকি আমি আসবো।
অনু: আরে তুমি কি পাগল হয়ে গেছো। কেউ দেখলে কি ভাববে। তুমি চলে যাও। আর আকাশ ও মেঘনা। বৃষ্টি আসবে। প্লিজ যাও।
দ্বীপ: তোমার সাথে একবার দেখা করেই চলে যাবো। নয়তো যাবো না। যাই আসুক।
অনু: তুমি কি পাগল হয়ে গেলো।
দ্বীপ: হুম। এখন তুমি আসবে কিনা বলো। আমি চলে আসবো।
অনু: উপপ। আমি আসছি। ৫মি দারাও।
দ্বীপ: ওকে আসো।
অনু ফোন কেটে দিলো। পা টিপে টিপে রুম থেকে বের হলো। আস্তে আস্তে নিচে গেলো কোনো শব্দ হলেই কেউ জেগে যাবে আর জাগলে যে সবাই কতো প্রশ্ন করবে। মেইন দরজা খুলল। চুপচাপ বেরলো বাসা থেকে আবার দরজা আট করে লাগিয়ে দিলো। বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তায় গেলো। গেইট এর দারোয়ান ঘুমিয়ে আছে গেইট তালা দিয়ে। অনু লুকিয়ে চাবি এনে তালা খুললো। তারপর দ্বীপের কাছে গেলো।
অনু: এখানে কেনো এসেছো।
দ্বীপ: আমাকে না বলে চলে আসলে কেনো।
অনু: তুমি কে যে তোমাকে বলে আসতে হবে।
দ্বীপ অনুর কথা শুনে রেগে গেলো আর অনু হাত ধরে গাড়ির সাথেই চেপে ধরলো।
দ্বীপ: কি বললে তুমি? আমি কে?
অনু দ্বীপের এমন বিহেভ এ ভয় পেয়ে গেলো। হাতে খুব ব্যাথা ও পাচ্ছে। অনেক শক্ত করে ধরেছে।
অনু: কি করছো এসব। ছাড়ো আমায়।
দ্বীপ অনুর হাত ছেড়ে দিলো আর একটু দুরে গিয়ে দারালো।
দ্বীপ: ঘুম আসছিলো না তোমায় দেখতে খুব ইচ্ছে করছিলো তাই চলে এলাম।
তুমি আমায় মিস করো নি।
অনু: আমি কেনো তোমায় মিস করতে যাবো।
দ্বীপ: তাই। তাহলে এতো রাত পর্যন্ত জেগে আছো কেনো। আমাদের বাসায় তো আরো আগেই ঘুমিয়ে পরতে।
অনু: আমি গল্পের বই পরছিলাম।
দ্বীপ: এতো রাতে ঘুম না আসলেই মানুষ গল্পের বই পরে।
অনু: ঘুম আসছিলো না মানে এই না তোমায় মিস করছিলাম।
দ্বীপ: তার মানে সত্যি ঘুম আসছিলো না।
অনু: আমি বলতে চাইছি তোমায় মিস করছিলাম না।
দ্বীপ: বুঝতে পেরেছি। ওকে আমার সাথে চলো।
অনু: তোমার সাথে যাবো মানে। তুমি বাসায় যাও। আমি আমার বাসায় ডুকবো।
দ্বীপ: জি না। এখন আমরা একটু ঘুরবো।
অনু: তুমি কি পাগল হয়ে গেছো। এতো রাতে ঘুরবো মানে। দেখো বৃষ্টি আসতে পারে। কাল তোমার সাথে দেখা করবো এখন বাসায় যাও।
দ্বীপ: আমার সাথে দেখা করার এতো ইচ্ছা😜। ওকে কাল তো দেখা করবোই এখন ও চলো। আমি কিছুক্ষণ পর তোমায় বাসায় পৌছে দেবো।
অনু: দ্বীপ বুঝার চেষ্টা করো এখন রাত। দিন হলে চলে যেথাম। প্লিজ তুমি যাও এখন।
দ্বীপ: যাবো না। তুমি চলো।
অনু: মা বাবা কেউ জেগে গেলে প্রবলেম হবে।
দ্বীপ: হবে না। আমি টাইম মতো পৌছে দেবো।
অনু: তুমি যাবে না?
দ্বীপ: না।
অনু বাধ্য হয়ে গাড়িতে উঠে বসলো। দ্বীপ মুচকি হেসে দ্বীপ ও গিয়ে গাড়িতে উঠলো আর গাড়ি স্টার্ট দিলো।
অনু: তুমি যে একরুখা এটা আমি আগে জানতাম।
দ্বীপ: এইটা কি?
অনু: 😐আমার মাথা।
দ্বীপ: ওহ। আমি তোমার মাথা। তাহলে তো আমি তোমার মাথাকে যা ইচ্ছা তাই করতে পারি😜। তাইনা।
অনু: 😮 মানে?
দ্বীপ: মানেটা কি বলবো না করে দেখাবো😉
অনু: অসভ্য। তোমার মাথায় ভালো কিছু আসে না।
দ্বীপ: এটা খারাপ কি। তুমি তো বললে তোমার মাথা আমি। তাই….
অনু: হয়েছে। এখন কোথায় যাবে সেটা বলো। আমার এমনিতেই অনেক ভয় করছে।
দ্বীপ: আমি আছি না। ভয় কিসের।
অনু: তুমি আসো বলেই তো ভয় পাচ্ছি।
দ্বীপ: কি বললে?
অনু: বলেছি গাড়িটা সামনে দার করাও।
দ্বীপ: কেনো?
অনু: এই জায়গাটা আমার খুব ভালো লাগে। প্রায়ই আসি।
দ্বীপ সাইডে গাড়ি দার করালো। সামনে একটা নদী। জায়গা খুব সুন্দর। রাতে চাদের আলোয় আরো সুন্দর লাগে। বাট আজ চাদ নেই। মেঘলা আকাশ। অনু গিয়ে নদীর কিনারে বসলো।দ্বীপ ও অনুর পাশে গিয়ে বসলো। আশে পাশে কেউ নেই শুধু ওরা দুজন। কিছুক্ষণ দুজনই চুপচাপ থাকলো। তারপর অনু বললো,
অনু: এতো রাতে আসা তোমার ঠিক হয় নি।
দ্বীপ: কেনো?
অনু: কেউ জানলে কি ভাববে। তোমার হবু বউ তো খারাপ কিছু ভাবতে পারে।
দ্বীপ অবাক হয়ে অনুর দিকে তাকালো আর বললো,
দ্বীপ: মানে?
অনু: মানেটা তো ক্লিয়ারই। নেহা জানতে পারতে কষ্ট পাবে।
দ্বীপ: ও কষ্ট পেতে যাবে কেনো?
অনু: ওর সাথে না তোমার বিয়ে হওয়ার কথা।
দ্বীপ: এসব কি আজে বাজে কথা বলছো। এসব তোমায় কে বললো।
অনু: নেহা বলেছে।
দ্বীপ: whatt! আমার বিয়ে ঠিক আর আমি জানি না। হয়তো মজা করেছে।
অনু: ও মজা করেনি। সিরিয়াস ছিলো।
দ্বীপ: ওহ। বাট আমি তো নেহাকে দিয়ার মতোই দেখি।
অনু: তাহলে তুমি ওকে তুই করে বলো না কেনো।
দ্বীপ: তুই ডাকটা ওর পছন্দ না। তাই আমি বলি না। তুমি যা ভাবছো তা না। সত্যি আমি ওকে বোনের নজরে দেখি।
অনু: হুম। এখন চল। যাওয়া যাক।
দ্বীপ: পরশুদিন থেকে অফিসে জয়েন করবো। কাল একটু ফ্রি আছি। ভার্সিটি শেষে আমি তোমায় পিক করবো।
অনু: কেনো?
দ্বীপ: কাল বলবো। এখন চলো।
অনু উঠে দারালো। তারপর তারা গাড়ির কাছে গেলো। অনু গাড়িতে উঠতে যাবে দ্বীপ অনুর হাত ধরে বললো,
দ্বীপ: থ্যাংকস আসার জন্য।
অনু শুধু মুচকি হাসলো ওর ও ভালো লেগেছে এখানে এসে দ্বীপ এর সাথে টাইম স্পেন্ড করতে। বাট যখনি নেহার কথা মনে হলো মন খারাপ হয়ে গেলো তাই দ্বীপকে বলেছে চলে আসার জন্য। দুর্বল হতে চায় না দ্বীপের প্রতি।
অনু: চলো।
অনু গাড়িতে উঠলো। দ্বীপ উঠে গাড়ি স্টার্ট দিলো। অনুর বাসার সামনে এসে দারালো। অনু চুপচাপ গাড়ি থেকে নেমে চলে গেলো পিছনে ও থাকালো না। অনু গেইট এর ভেতরে ডুকতেই দ্বীপ গাড়ি নিয়ে চলে গেলো। অনু পা টিপে টিপে বাসায় ডুকলো। বাসায় ডুকতেই দেখে ওর মা সামনে। অনু তো ভয়ে শেষ। যে ভয়টা পাচ্ছিলো তাই হলো। অনুর মা রাগি গলায় বললেন,
অনুর মা: ছেলেটা কে?
অনু: মা তুমি যা ভাবছো তা না। সত্যি বিশ্বাস করো।
অনুর মা: আমি যা বলছি তার উওর দাও।
অনু: দ্বীপ। দিয়ার ভাই।
অনুর মা: কতো দিনের রিলেশন।
অনু: এসব কি বলছো তুমি। কিসের রিলেশন। কিছুদিন আগে ও ইউএস থেকে পড়াশুনা শেষ করে বাসায় ফিরেছে। কয়েকদিনের পরিচয়।
অনুর মা: তাহলে ও এতো রাতে এখানে এলো কেনো?
অনু: আমি ও বুঝতে পারছি না। ওকে না বলে চলে এসেছিলাম বাসায়। আমায় বলেছে আমাকে মিস করছিলো তাই দেখতে এসেছে। তুমি যা ভাবছো তা একদমই না।
অনুর মা: ওকে। আমি দিয়ার ফ্যামিলিকে চিনি। সবাই খুব ভালো তাই তকে ওদের বাসায় রেখে নিশ্চিন্তে গিয়েছিলাম। দ্বীপ যে খারাপ হবে তা আমি ভাবতেই পারি না। তোমাদের মাঝে কিছু থাকলে আমাদের ডিরেক্ট বলবে। আমরা বাধা হয়ে দারাবো না। বাট এমন কিছু করো না যার জন্য দু ফ্যামিলির মানুষের সম্মান নষ্ট হয়।
অনু: তুমি আমাকে বিশ্বাস করো না। আমি এমন কিছু করতে পারি?
অনুর মা: বিশ্বাস করি বলেই এখনো ভালো ভাবে কথা বলছি। আর আমি কিন্তু শুধু তর মা না ফ্রেন্ড ও। তো আমার সাথে সব শেয়ার করবি।
অনু: ওকে মা। লাভ ইউ।
অনুর মা: লাভ ইউ টু। এখন যা ঘুমা।
অনু: ওকে। গুড নাইট।
অনু চলে গেলো রুমে। ঘুম তো অনেক আগেই চলে গেছে। দ্বীপ বাসায় পৌছলো কিনা ওর জানতে ইচ্ছে করছে। নাম্বার তো আছে। বারবার ডায়েল করে ও ফোন কেটে দিচ্ছে।
কিছুক্ষণ পর দ্বীপ ফোন দিলো। অনু সাথে সাথে রিসিভ করলো।
দ্বীপ: পৌছে গেছি। ঘুমিয়ে পরো।
অনু: ওকে।
অনু ফোন কাটতেই বৃষ্টি শুরু হলো।
অনু: আর একটু লেইট হলে তো দ্বীপ বৃষ্টিতে বিজে যেতো। ভালো হয়েছে চলে এসেছি। এবার ঘুমাই। নয়তো কাল সকাল উঠতে পারবো না।
অনু বেলকনির দরজা লাগিয়ে এসে শুয়ে পরলো।
দ্বীপ বাসায় ডুকতেই দেখে দিয়া দারিয়ে আছে।
দিয়া: ভালোই প্রেম করছিস।
দ্বীপ: কিসের প্রেম।
দিয়া: আমি বুঝি না ভেবেছিস। তা কবে থেকে ভালোবাসিস। বললি না তো।
দ্বীপ: কিসের ভালোবাসা। আমি কি তকে এটা বলেছি। এসব কিছু না। জানি না কেনো ওকে দেখতে ইচ্ছে করলো তাই চলে গেলাম।
দিয়া: আরে গাধা ভালো না বাসলে কি এরকম ইচ্ছে করতো।
দ্বীপ: 😐তকে এতো কিছু শিখাতে হবে না। এখনো সজাগ কেনো তুই। যা ঘুমা।
দিয়া: 😏তর জন্যই ওয়েট করছিলাম। আমি যাচ্ছি। তুই ও গিয়ে ঘুমা।
দ্বীপ: হুম। গুভ নাইট।
দিয়া: গুড নাইট।
দিয়া চলে যায় ওর রুমে। দ্বীপ ও যায়। গিয়ে বিছানায় শুবে তখনি ঈশান বলে,
ঈশান: কোথায় ছিলি।
দ্বীপ: তুই ঘুমাস নি।
ঈশান: ঘুমিয়েই ছিলাম। একটু আগে ঘুম ভেঙ্গে যায় উঠে দেখি তুই নেই।
দ্বীপ: ওহ। একটু বাইরে গিয়েছিলাম। ঘুমা গুড নাইট।
ঈশান: হুম। গুড নাইট।
ওরা ও ঘুমিয়ে পরলো।

সকালে,
দিয়া অনেকক্ষণ ধরে অনুকে ফোন দিচ্ছে কিন্তু ওর কান পর্যন্ত রিংটন যাচ্ছে না। দিয়া ফোন দিতে দিতে হাফিয়ে গেছে। তারপর ফোন দিলো অনুর মার কাছে। অনুর মা প্রথম কলেই ফোন রিসিভ করলেন।
দিয়া: হ্যালো আন্টি।
অনুর মা: হ্যা দিয়া বলো। কেমন আছো?
দিয়া: ভালো আন্টি। তুমি?
অনুর মা: আমি ও ভালো আছি।
দিয়া: আন্টি অনুকে একটু ডেকে দাও না। কখন থেকে ফোন দিচ্ছি উঠছেই না। ভার্সিটি যেথে হবে।
অনুর মা: কাল অনেক দেরিতে ঘুমিয়েছে তো তাই আমি আর ডাকি নি। দারাও এখন ডেকে দিচ্ছি।
দিয়া: ওকে আন্টি থ্যাংক ইউ। বাই।
অনুর মা ফোন কেটে অনুর রুমে গেলেন। অনু কানে বালিশ গুজে ঘুমিয়ে আছে। উনি অনুর কান থেকে বালিশ সরালেন। তারপর পানি ডেলে দিলেন মুখে।
অনু: আআআআআ
অনুর মা: চুপ। কখন থেকে দিয়া ফোন দিচ্ছে উঠছিলি না কেনো।
অনু: 😭তাই বলে তুমি এতো ঠান্ডার মাঝে পানি ডেলে দিবে।
অনুর মা: চুপচাপ রেডি হয়ে নিচে আয়। আমি ব্রেকফাস্ট রেডি করছি। আর দিয়ার কল বেক কর।
অনু: 😏হুহ।
অনুর মা চলে গেলেন। অনু দিয়াকে ফোন দিয়ে জানিয়ে দিলো ও আধ ঘন্টার মধ্যে আসছে। তারপর ফ্রেস হয়ে রেডি হয়ে নিচে গেলো।

দ্বীপ আর ঈশান ও উঠে ফ্রেস হয়ে রেডি হয়ে একেবারে নিচে গেলো। আজ দ্বীপ ঈশানের সাথেই উঠেছে। কাল রাতে দেরিতে ঘুমিনোর জন্য জলদি উঠতে পারে নি।
নিচে গিয়ে ব্রেকফাস্ট করে নিলো আর নেহার সেই বকবক। ঈশান তো এসব সহ্যই করতে পারে না। দ্বীপের প্রতি এই ডংটা। হঠাৎ দ্বীপ বলে উঠে।
দ্বীপ: নেহা তোমার সাথে নাকি আমার বিয়ে ঠিক?
হঠাৎ দ্বীপের এমন কথায় নেহা চমকে উঠে। আমতা আমতা করে বলে,,
নেহা: তোমাকে এসব কে বললো।
দ্বীপ: আমাকে কে বললো এটা বিষয় না। এটা সত্যি কিনা এটা বলো।
দ্বীপের মা: বিয়ে ঠিক মানে সব কিছু ফাইনাল করা না। তর আন্টি এ চান এই বিয়েটা হোক। বাট তুই না চাইলে হবে না।
দ্বীপ: নেহা একটা কথা ক্লিয়ার করে নেই। তোমাকে আমি দিয়ার মতোই দেখি। সো বিয়ের করার প্রশ্নই উঠে না।
নেহা: দ্বীপ আমি তোমায় কখনো ওইরকম দেখি নি।
দ্বীপ: তুমি দেখনি ওটা তোমার প্রবলেম আমার না। এই বিয়ে আমি কখনোই করবো না। তাই এসব চিন্তা মাথা থেকে বাদ দাও।
ঈশান দ্বীপের কানের কাছে মুখ নিয়ে বললো,
ঈশান: তুই যদি ওকে বিয়ে করিস ২দিনেই তর জীবন তেজপাতা বানিয়ে দেবে।
দ্বীপের মা: ওকে। এসব কথা বাদ দে। খাওয়ার সময় এত কথা বলবে না।
দ্বীপ আর ঈশান ব্রেকফাস্ট করে বাইরে চলে গেলো। আর নেহা রাগে গজগজ করতে করতে রুমে ডুকলো।
নেহা: নো দ্বীপ। তোমায় আমাকেই বিয়ে করতে হবে। আমি তোমায় কিছুতেই হারাবো না।


চলবে?🙄🙄