ভালোবাসার রঙিন প্রজাপতি পর্ব-০৬

0
981

#ভালোবাসার_রঙিন_প্রজাপতি
#লেখনীতে:সারা মেহেক

ওষুধ খাওয়ার ফলে রাতের দিকে আমার জ্বর ছুটতে আরম্ভ করে।গায়ে কাঁথা থাকায় স্বাভাবিক এর চেয়ে একটু বেশিই গরম লাগছে।ফলে শান্তির ঘুমটা ভেঙে যায়।তাই কাঁথা পাশে রেখে আবারো ঘুমানোর চেষ্টা করি।আমি প্রায় গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। তখনই হঠাৎ কপালে কারোর শক্ত ঠান্ডা হাতের স্পর্শে ঘুম হালকা হয়ে যায়।বলা যায় ঘুম ভেঙে যায়।কিন্তু চোখজোড়া বন্ধ করে রাখি।শরীর দূর্বল থাকায় চোখজোড়া একটুও খুলতে মন চাইলো না।কিন্তু মন বলছে খোলা উচিত।এই শক্ত ঠান্ডা হাতের মালিককে দেখা উচিত।বেশ কিছুক্ষণ ধরে শরীরের আলসেমির সাথে মনের ইচ্ছা যুদ্ধ করে।অবশেষে যুদ্ধের ময়দানে পরাজিত হয় মনের ইচ্ছা। বরাবরের মতই জয়ীর তালিকায় নাম লেখায় আমার অলস শরীর।আমি এখন নিজের এ অলস শরীরের উপর মুচকি হাসছি।মন বলছে এত অলসতার জন্য একে একটা নোবেল ছুঁড়ে মারি।

সকাল হতে না হতেই ফোনের রিংটোনের তীক্ষ্ম আওয়াজে আমার শান্তির ঘুমটা ভেঙে গেল।বিরক্তি নিয়ে পাশে থাকা মোবাইলটা হাতে নিতেই আম্মুর নাম ভেসে উঠে।আম্মুর ফোন রিসিভ করে কানের কাছে নিয়ে আবারো চোখ বুজি।ওপাশ থেকে উদ্বিগ্ন কণ্ঠে আম্মু জিজ্ঞাস করল,
“এখন কেমন আছিস?জ্বর কেমন?”

আমি ঘুরের ঘোরেই কপালে হাত দিয়ে দেখলাম জ্বর আপাতত নেই এখন।শুধু কপাল ঘেমে আছে।আম্মুকে আশ্বস্ত করে বললাম,
“এখন জ্বর নেই আম্মু।সকালের খাবার খাওয়ার পর আরেকবার ওষুধ খেলে ইনশাআল্লাহ আর জ্বর আসবে না।”

ওপাশে আম্মুর দুশ্চিন্তার এক গম্ভীর দীর্ঘশ্বাস ছাড়ার শব্দ কানে এলো আমার।কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললাম,
“আম্মু,আমার না এখানে থাকতে আর ভালো লাগছে না।আমি বাসায় যাব।আব্বু অথবা তুমি এসে নিয়ে যাও আমাকে।”

আম্মু কয়েক সেকেন্ড পর বলল,
“এখন তোকে ওখান থেকে নিয়ে আসা ভালো দেখায় না।তুই বুঝছিস না?তোর শরীর অসুস্থ হওয়ার পর পরই তোকে ওখান থেকে আনতে যাওয়া মানে হলো ভাবীর উপর ভরসা না করা, অপমান করা।এমনিতেই গতকাল রাতে ভাবী আমাকে ফোন দিয়ে কান্নাকাটি করেছে। বারবার সে বলছে, উনার একদম উচিত হয়নি তোকে বৃষ্টিতে ভেজবার কথা বলার।উনার গাফিলতির জন্য এমন হলো।
এখন তুইই বল,এ অবস্থায় তোকে ওখান থেকে আনা মানে ভাবীকে কষ্ট দেওয়া।বুঝছিস ব্যাপারটা?”

আম্মুর কথাবার্তা শুনে হতাশার নিঃশ্বাস ফেলা ছাড়া আর উপায় রইল না আমি।কষ্ট ভিতরে চেপে রেখেই বললাম,
“হুম বুঝেছি।আচ্ছা আম্মু এখন রাখি।ঘুম পাচ্ছে খুব।”

“আচ্ছা।নিজের যত্ন নিস একটু।”

আমি আর প্রতিউত্তর না দিয়ে ঘুমিয়ে পরলাম।

.

খাওয়াদাওয়া শেষে নদীর রুমে এসে বিছানায় হেলান দিয়ে বসে আছি।আমার সাথে আছে আমার প্রিয় ফোন।নদী আর রাইসা ভাবীর সাথে এতক্ষণ গল্প করছিলাম।দুজনেই আপাতত শাওয়ার নিতে গিয়েছে। এ দুজনের অনুপস্থিতিতে আমার সঙ্গ দিচ্ছে আমার ফোন।

আমি ফোন চালানোয় মগ্ন ওদিকে এতক্ষণ যে জানালার কাছে দাঁড়ীয়ে থেকে অর্ণব ভাইয়া ডেকে যাচ্ছেন তা খেয়াল করিনি।প্রথমে চোর চোর কণ্ঠে ডাক দিলেও পরে যখন আমি উত্তর দেয়নি তখন তিনি জোরে ডাক দেন।
অর্ণব ভাইয়ার ডাকে উনার দিকে তাকাতেই নজরে এল উনার সেই শিশুসুলভ হাসি।যা বরাবরের মতই ঘন দাড়ির আড়ালে লুকিয়ে যেতে চায়।তবে কিছুক্ষণ উনার দিকে তাকিয়ে থাকতেই খেয়াল করলাম আগের তুলনায় দাড়ি একটু কম।হয়ত ছেঁটে এসেছেন।
আমাকে চুপ থাকতে দেখে অর্ণব ভাইয়া হাসিমুখে জিজ্ঞাস করলেন,
“কেমন আছো মিম?”

আমি স্বাভাবিকভাবে জবাব দিলাম,
“জ্বি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আপনি?”

“আমিও ভালো আছি।”
এই বলে তিনি মাথা নিচু করে কয়েক সেকেন্ড চুপ করে রইলেন।হয়ত কিছু ভাবছেন।কিন্তু কি?আবারো কি কোনো ফন্দি আঁটছেন নাকি!আঁটতেও পারেন।বলা যায় না।

অর্ণব ভাইয়ার ভাবাভাবির কাজ শেষ হতেই উনি মাথা তুলে আমার দিকে চেয়ে বললেন,
“একটা প্রশ্ন করব।ঠিকঠিক জবাব দিবে তো?”

উনার এ প্রশ্ন শুনেই আমার গলা প্রায় শুকিয়ে এলো।বারবার মাথার মধ্যে প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে লাগল,’কি প্রশ্ন করবেন উনি?উল্টাপাল্টা কিছু নয়ত?যদি এমন কিছু করে তবে আমি কি জবাব দিব?’
নিজেকে কিছুক্ষণের মধ্যেই সামলে নিয়ে বললাম,
“দেওয়ার মত হলে দিব।”

অর্ণব ভাইয়া এবার বেশ দ্বিধাদ্বন্দ্ব নিয়ে প্রশ্ন করলেন,
“তুমি কি চকলেট পছন্দ করো?”

অর্ণব ভাইয়ার প্রশ্ন শুনে আমি রীতিমত থ বনে গেলাম।এই প্রশ্ন করলেন উনি!বিশ্বাসই হতে চাইছে না আমার।উনার প্রশ্ন শুনে আমার রীতিমত হাসি পাচ্ছে। পেটের ভিতরে হাসিরা কাতুকুতু দিয়ে বেড়িয়ে আসতে চাইছে।কিন্তু উনার সামনে হাসা যাবে না।পরে আবার মন খারাপ করে বসলে!
আমি যথাসম্ভব হাসি থামিয়ে রাখতে চাইলাম।কিন্তু উনার প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে চোখেমুখে হাসি উপচে পরতে লাগল।হাসি থামাতে আমি লম্বা একটা শ্বাস নিয়ে বললাম,
“এই প্রশ্ন করতে এত দ্বিধাদ্বন্দ্ব!আমি ভেবেছি কি না কি প্রশ্ন করবেন।”
এই বলে আমি নিঃশব্দে হাসতে লাগলাম।অর্ণব ভাইয়া হয়ত বেশ লজ্জা পেয়েছেন।তিনি মাথা নিচু করে কণ্ঠে সামান্য লাজুকতা মিশিয়ে বললেন,
“আসলে মেয়েদের সাথে খুব একটা কথা বলা হয়নি তো কখনো তাই।বাসায় মায়ের সাথে আর এখানে নদীর সাথে যা কথাবার্তা হয় এই তো।”

আমি মৃদু হেসে বললাম,
“আপনার প্রশ্নটা করা উচিত হয়নি।এর উত্তর তো আপনার জানার কথা।চকলেট সবারই পছন্দের।আমারও চকলেট খুব ভালো লাগে।”

অর্ণব ভাইয়া এবার মাথা তুলে আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে দিলেন।খানিক বাদে পকেট থেকে একটা কিটক্যাট বের করে জানালা দিয়ে এগিয়ে দিয়ে বললেন,
“এটা তোমার জন্য।”

আমি একটু অবাক হলাম বটে।তবুও তা বাইরে প্রকাশ করলাম না।এভাবে উনি চকলেট দিবেন আশা করিনি।আমি বেশ দ্বিধাদ্বন্দ্বে পরে গেলাম।চকলেট নিব কি নিব না এই ভেবে।
অর্ণব ভাইয়া জানালার ভিতরে হাত ঢুকিয়ে বললেন,
“কি হলো?নাও।সামান্য এক চকলেটই তো।চকলেটটা নিলে খুব খুশি হতাম।”

আমি জোরপূর্বক হেসে দিলাম।কিছু না বলে হাত বাড়িয়ে চকলেটটা নিয়ে পাশে রেখে দিলাম।উনি এবার হাসিমুখে বললেন,
“থ্যাংকস এ লট মিম।আমি…..”
উনার ফোন উনাকে সম্পূর্ণ কথাটা বলতে দিলেন না।তার আগেই বাজখাঁই গলায় চেঁচিয়ে উঠল সে।অর্ণব ভাইয়া পকেট থেকে ফোন বের করে রিসিভ করে কানে নিলেন।কথা বলতে বলতেই হাসিমুখে হাত দিয়ে আমাকে বিদায় জানিয়ে চলে গেলেন তিনি।
উনি যেতেই আমি চকলেটটার দিকে বিরক্তি ভরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম।চকলেট আমার খুব পছন্দের কিন্তু উনার দেওয়া চকলেটটা আমার একটুও খেতে ইচ্ছা হলো না।জানি না কেনো।এই ‘জানি না কেনো’র আর জবাব না খুঁজে চকলেটটা নদীর টেবিলে রেখে আসলাম আমি।

.

বিকেলের নাস্তা উপলক্ষে বড় মামি আর ছোট মামি মিলে ডালপুরি বানাচ্ছে।নদী বানাচ্ছে গরম গরম চা।আর আমি দাঁড়ীয়ে দাঁড়ীয়ে তাদের কাজ দেখছি। বড় মামা আর মেজ নানুর কড়া নির্দেশ ভুল করেও যেন আমায় কোনো প্রকার কাজ না দেওয়া হয়।সে আমি কাজ করা নিয়ে যদি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ চালাই,তবেও না।
উনাদের নির্দেশ মেনেই আমি এখন দরজার কাছে দাঁড়ীয়ে সব কাজ দেখছি আর টুকটাক গল্প করছি।

“আম্মু আমাকে গরম গরম ডালপুরি আর গরম গরম চা দাও তো। আমি একটু বাইরে যাব।”
আদ্রিশ ভাইয়া কখন এসে আমার পাশে দাঁড়ীয়েছেন তা খেয়াল করিনি।হঠাৎ উনার কণ্ঠস্বর কানে আসতেই তাই চমকে উঠলাম আমি।পাশ ফিরে তাকাতেই দেখি উনার চোখজোড়া ফোনের স্ক্রিনের উপর নিবদ্ধ।হাতজোড়ার একটি উনার পকেটে অবস্থান করছে এবং একটি ফোনের সাথে অবস্থান করছে।আবারো আমার মন বলে উঠল,’উনার এ পকেটে হাত দিয়ে দাঁড়ীয়ে থাকা স্টাইলটা মানিয়ে যায় খুব।’হুম সত্যিই তো মানিয়ে যায় উনার উপর।

“আমার চেহারায় কোন দেশের মানচিত্র আঁকা আছে?”
ফোনের দিকে তাকিয়ে কণ্ঠ খাঁদে নামিয়ে প্রশ্নটা করলেন আদ্রিশ ভাইয়া।উনার প্রশ্নে আমি ভড়কে গেলাম।সাথে সাথে নিজেকে সামলে নিয়ে দৃঢ় তবে ধীর স্বরে বললাম,
“আমি আপনার চেহারা দেখছি না বেশ।”

আমার কথা শুনে আদ্রিশ ভাইয়া ফোনটা পকেটে রেখে আমার দিকে তাকালেন।এক ভ্রু উঁচিয়ে আগের মতই কণ্ঠে জিজ্ঞাস করলেন,
“তাহলে কি দেখছিলে?”

মহা মুসিবত তো।এখন আমি কি জবাব দিব উনার এ প্রশ্নের?এমন তো বলা সম্ভব নয় যে, আমি আপনার দাঁড়ানোর স্টাইল দেখছিলাম।
কিছুক্ষণ ভাববার পর আমতা আমতা করে বললাম,
“আমি আপনার ফোনের দিকে তাকিয়ে ছিলাম।”

উনি এবার অবাক হওয়ার ভান করে বললেন,
“ওউউ গোয়েন্দাগিরি করছো আমার উপর!”

না চাইতেও আরেক মুসিবত গলায় ঝুলে পরলো।প্রচন্ড বিরক্তি নিয়ে আমি কিছু বলতে চাইলাম।তার আগেই বড় মামি আদ্রিশ ভাইয়ার উদ্দেশ্যে বললেন,
“আদ্রিশ,তুই ডাইনিং এ গিয়ে বয়।নাস্তা দিয়ে আসবো নে।এখানে শুধু শুধু দাঁড়ীয়ে থাকিস না।”

মামির কথার যথাযথ আজ্ঞা করে আদ্রিশ ভাইয়া ডাইনিং এ চলে এ গেলেন।তবে যাওয়ার আগে আমার দিকে নিক্ষেপ করে গেলেন তীক্ষ্ণ নজর।

আদ্রিশ ভাইয়ার নাস্তা রেডি হতেই বড় মামি আমার হাতে ট্রে ধরিয়ে দিয়ে বললেন খাবার দিয়ে আসতে।অনিচ্ছা সত্ত্বেও আমি ট্রে হাতে নিয়ে আদ্রিশ ভাইয়ার সামনে গেলাম।
আমার উপস্থিতি টের পেয়ে আদ্রিশ ভাইয়া ফোন থেকে মাথা তুলে জোর গলায় বললেন,
“আম্মু,একটা বাচ্চা মেয়েকে দিয়ে খাবার পাঠাতে গেলে কেনো।”
আদ্রিশ ভাইয়ার কথায় বিস্ময়ে আমার মুখ হা হয়ে এলো।আমাকে বাচ্চা বলছেন উনি!
আমার কিছু বলার আগেই রান্নাঘর থেকে মামির কণ্ঠস্বর শুনতে পেলাম।
“আমরা সবাই কাজে ভীষণ ব্যস্ত।তাই না চাইতেও মিমকে পাঠাতে হলো।”
বড় মামির কথা শেষ হতেই আদ্রিশ ভাইয়া একটা পুরি হাতে নিয়ে স্বাভাবিক কণ্ঠে বললেন,
“এসব বাচ্চাদের দিয়ে কাজ করাতে হয়না।এদের কাজের বয়স হয়নি।এদের এখনো খেলার বয়স আছে।এদের কাজ খেলাধুলা করা।”

আদ্রিশ ভাইয়ার এহেন কথায় রাগের বর্ষন হলো আমার উপর।প্রচন্ড রাগে দাঁতে দাঁত চেপে বললাম,
“খবরদার বাচ্চা বলবেন না।আমি মোটেও বাচ্চা নই।”

আদ্রিশ ভাইয়া এবার পুরিটা প্লেটে রেখে ভ্রু নাচিয়ে বললেন,
“তাহলে কি তুমি বুড়ি?”

আমি আগের মতই বললাম,
“আমি মোটেও বুড়ি না।”

“তাহলে কি তুমি?বাচ্চাও না বুড়িও না।কি তুমি?”

আদ্রিশ ভাইয়ার প্রশ্নে আমার ভেতরকার রাগ তড়তড় করে বাড়তে লাগলো।ইচ্ছে করল রাগে উনার মাথায় কাঁচের প্লেট ভাঙতে।মনের ইচ্ছা মনেই থাকলো।তবে বাঁধ সাধলো প্রশ্নের উত্তর দেওয়ায়।উনার এ প্রশ্নের কি জবাব দিব আমি?কিছুক্ষণ ভেবে জবাব দিলাম,
“আমি মানুষ।”

“তো আমি কি বলেছি তুমি মানুষ না?আমরা সবাই তো মানুষ।মানুষের বাইরে আর কি?”

“আমি একজন মেয়ে।”

“আমি কি বলেছি তুমি ছেলে?”

এত ত্যাড়া কেনো লোকটা?না মানে কি খেয়ে পয়দা হয়েছে এ!আমাকে হেনস্তা করার জন্য একের পর এক উল্টাপাল্টা প্রশ্ন করেই যাচ্ছেন!নাহ আর জবাব দিব না।কিন্তু জ্বালার বিষয় হলো, জবাব না দিলে আরো বেশি ক্ষ্যাপাবে উনি আমাকে।

“আমি তো বলেছি তুমি একটা বাচ্চা মেয়ে।”
উনি আবারো বললেন আমাকে।

প্রচন্ড রাগ থাকা সত্ত্বেও এসব ক্ষ্যাপানো থেকে বাঁচতেই আমি আমার রাগ সংযম করে বললাম,
“আমি মোটেও বাচ্চা নই।একজন ২০+বয়সের মেয়েকে বাচ্চা বলে না।বুঝলেন?”

উনি এবার ভ্রু নাচিয়ে বললেন,
“তো কি বলে শুনি?”

“যুবতি বলে।”

উনি ঢেউ তোলা সুরে বললেন,
“ওহহো যুবতি বলে তাহলে…..”

আদ্রিশ ভাইয়ার কথার ঢং এ আমার প্রচন্ড রাগও হলোআবার লজ্জাও পেলো।আমি রাগান্বিত কণ্ঠে বললাম,
“আপনার মত বেয়াদব লোক দুনিয়ায় দ্বিতীয়টা নেই বোধদয়।”
এই বলে আর এক মূহুর্তও দেরি না করে আমি রুমে চলে আসলাম।
খাটে বসতেই চোখ গেলো খোলা জানালার কাছে।সেখানে একটা কাগজ রাখা।কিসের কাগজ জানা নেই।তাই কৌতুহলবশত কাগজটা হাতে নিয়ে তার ভাঁজ খুললাম।কাগজের লেখাগুলো চোখে পরতেই বিস্ময়ের পাহাড় ভেঙে পরল আমার মাথায়।ভয়ে শুকিয়ে এলো গলা।
®সারা মেহেক

#চলবে