ভালোবাসার রঙে রাঙাবো পর্ব-০৯

0
873

#ভালোবাসার_রঙে_রাঙাবো💜
#সাদিয়া_জাহান_উম্মি💜
#পার্টঃ০৯
আজ ওরা সবাই যাবে কুয়াকাটা।আরিফ,মেরাজ এর ফ্যামিলিও এসেছে,সাথে এসেছে আলিশা,আলিফা,মিম এর ফ্যামিলি।
দুটো মিনি বাস ভাড়া করা হয়েছে।একটাতে সব বড়রা আর দ্বিতীয়টায় সব ইয়োংস্টার্স।
এখানে শুধু মিম আর আলিশার ছোট ভাই বোন আছে যাদের ওর বাবা মায়েদের সাথে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সব জিনিসপত্র বাসে উঠানো শেষে। সবাই বাসে উঠে বসলো। সাদুর পাশে মনির এসে বসলো সাদু কিছুই বললো না চুপ-চাপ বসে রইলো।
আলিফা আর আরিফ একসাথে।
আলিশা একা বসে ছিলো নিবিড় টুপ করে ওর পাশে বসে পড়লো।
আলিশা ভ্রু-কুচকে বললো,

–” এটা কি হলো?”

নিবিড় ভাবলেশহীন ভাবে বললো,

–” কোনটা?”

–” আপনি আমার পাশে কেন বসলেন?”

–” কেন বসতে পারি নাহ?”

–” অন্য কোন সিট নেই না-কি?”

–” এরকম করছো কেন? বসেছি তো?”

আলিশা আর কিছু বললো না চুপ করে জানালা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে রইলো।

নূর আনমনে বাহিরে তাকিয়ে আছে।আফরান এসে গলা ঝেড়ে বলে,

–” এইযে ম্যাম!”

আফরানের ডাকে নূর তাকায়।আফরান মুচকি হেসে বলে উঠে,

–” জ্বি!”

–” আমি কি এখানে বসতে পারি?”

নূর চুপ করে রইলো।কি বলবে ভেবে পাচ্ছে নাহ।
আফরান নূরকে চুপ থাকতে দেখে বলে উঠে,

–” আচ্ছা বসা লাগবে না আমি অন্য সিটে যাই।”

আফরান চলে যেতে নিতেই নূর বলে উঠলো,

–” দাড়ান বসুন এখানে।”

আফরান মুচকি হাসলো।তারপর বসে পড়লো।মেয়েটাকে ওর ভালো লাগে অনেক।আচ্ছা! আগে তো কখনো এরকম ফিলিংস আসে নি।তাহলে এখন কেন এই অদ্ভুত ফিলিংস জাগে মনে?কেন এতো টানে ওকে এই মেয়েটা।কেন মন চায় সারাক্ষন শুধু চোখ ভরে ওকে দেখতে।

মিম আর মেরাজ ঝগড়া করছে।জানালার পাশের সিটের জন্যে।কারন এই দুটো সিট ছাড়া আর সিট নেই যেহেতু মিনি বাস।

–” আমি বসবো জানালার পাশে।”

মিন চোখ রাঙিয়ে বলে,

–” আমি বসবো।”

বলেই মিম বসে পড়লো।আর ওকে বসতে দেখে মেরাজ মিমকে হেচঁকা টানে দাড় করিয়ে দিলো।ফলে মিম গিয়ে সোজা আচঁড়ে পড়ে মেরাজের বুকে।কিছুক্ষন দুজন তাকিয়ে রইলো দুজনের দিক।হঠাৎ সাদুর কথায় দুজন দ্রুত সরে আসে।

–” মিম ডিম আন্ডা,
কলের পানি ঠান্ডা,
চুলার পানি গরম,
মিমের নাই সরম।
নাউজুবিল্লাহ!! কিসব করছিস তুই?তাও বাসের মধ্যে।”

মেরাজের কাশি উঠে গেলো সাদুর কথায়।এদিকে বাসের সবাই হেসে উঠলো।মিম রাগি গলায় বললো,

–” সাদ্দুনির বাচ্চা তোরে নূরের ফ্লাইং জুতার বারি।”

পাশ থেকে নূর চিল্লিয়ে উঠে,

–” সালি তুই আমার ফ্লাইং জুতা নিয়া টানাটানি করিস কেন?আমি কি ফ্লাইং জুতা ফিক্কা মারুমনি তোরে খালি একবার কো?”

আফরান বিরবির করে বললো,

–” কিসব ভাষায় কথা বলে এই মেয়ে?”

নূর শুনে ফেলে ভ্রু-কুচকে বলে,

–” আপনি চুপ থাকেন আফ্রিকান পান্ডা।দেশি বাংলা ভাষা আপনি কি বুজবেন?
আপনি আর ভাই তো বিদেশে গিয়ে পড়ালেখা করে এক্কেবারে ভাষায় মনে হয় পিএচডি করে এসেছেন।”

–” তোমার সাথে পাগলেও কথা বলতে ভয় পাবে।”

–” তো আমার পাশে বসলেন কেন?আমি কি বলেছি বসতে?”

এদিকে নূর আর আফরান ঝগরা করছে কিন্তু মিমের চিল্লাচিল্লিতে নূরের কথা বলতে সমস্যা হচ্ছে।তাই নূর চিল্লিয়ে মিমকে দিলো এক ধমক,

–” মিমের বাচ্চা এক্কেরে থাপ্রাইয়া মুতায় দিমু।
চুপ-চাপ বইসা পড় নাইলে খবর আছে।”

মিম তেজ দেখিয়ে বলে,

–” আমি জানালার পাশে বসবো।”

সাদু বিরক্তি নিয়ে বলে উঠলো,

–” আর একবার জানালা জানালা করলে তোরে জানালা দিয়ে ফিক্কা মারুম বান্দর মাইয়া।”

এইবার মনির গম্ভীর আওয়াজে বলে,

–” মেরাজ বসে পড়।ওকে জানালার সিট দে।তুই ছেলে মানুষ তুই এইপাশে বস।ও মেয়ে ওকে জানালার সিট দে।”

মেরাজ মনিরের গম্ভীর আওয়াজ শুনে আর কথা বাড়ালো না মিমকে জানালার পাশে বসতে দিয়ে সে ওর পাশে বসে পড়লো।মিম সিটে বসে মেরাজকে ভেংচি কেটে দিলো।
মেরাজ বললো,

–” হ্যা! এমন গরিলার মতো ভেংচি দিলে মুখ গন্ডারের মতো হয়ে যাবে।”

মিম চোখ বড়বড় করে তাকালো কথাটা শুনে রাগি আওয়াজে বললো,

–” কি বললেন?”

–” কি বললাম?তুমি আমাকে ভেংচি কাটলে কেন?”

–” বেশ করেছি একশবার কাটবো।”

মেরাজ ধমকে বলে,

–” ধাক্কা মেরে বাস থেকে ফেলে দিবো আর একটা কথা বললে।”

মিম মেরাজের ধমকে ভয় পেয়ে গেলো।এতো জোড়ে ধমকটা ওকে ভয় পাইয়ে দিয়েছে।ওর চোখজোড়া ছলছল করে উঠলো।কিন্তু মেরাজ দেখার আগেই মিম জানালার দিকে মুখ করে বসে রইলো।

বাস ছেড়ে দিলো আলিফা আরিফের কাধে মাথা দিয়ে জানালা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে আছে।
আর আরিফ ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।
আরিফ মুচকি হাসলো আলিফার দিকে তাকিয়ে।
মেয়েটাকে কি সুন্দর দেখাচ্ছে।আরিফ আলিফার মাথায় চুমু খেলো।আলিফা মুচকি হেসে তাকালো আরিফের দিকে।

–” কি হয়েছে?”

আরিফ বলল,

–” দেখছি তোমাকে?”

আলিফা আরিফের হাতটা শক্ত করে ধরে বললো,

–” আজ প্রায় ৩ বছর হলো আমাদের রিলেশনের তবুও কি এতো দেখেন? আমাকে দেখতে বোর লাগে না?”

আরিফ কিঞ্চিত রাগ দেখিয়ে বললো,

–” বোর লাগবে কেন?”

–” না এমনি জিজ্ঞেস করলাম!”

আরিফ আলিফাকে শক্ত করে নিজের সাথে চেপে ধরলো।বলে,

–” তোমাকে ভালোবাসি এই একটা কথা কতোবার বলবো? ভালোবাসার মানুষটিকে সারাজীবন দেখলেও মন ভরে না বুজেছো?”

আলিফা কিছু বললো না চুপ করে রইলো আরিফের বুকে।

বাস থামলো থামলো ১১ টায় নাস্তা করার জন্যে।
কারন সেই সকালে বাস ছেড়েছে কেউ নাস্তা করতে পারি নি।
রাস্তার পাশে একটা থাবার মতো সেখানে সবাই নাস্তা করবে আর ১ ঘন্টা বিশ্রাম নেবে।
সবাই নেমে চারপাশ দেখতে লাগলো।এখানটা অনেক নিড়িবিড়ি একটা জায়গা আশেপাশে অনেক কম দোকান পাট।রাস্তার পাশে বিরাট বড় বালুর চড় তার পাশে নদী আর নদীর ওপার জঙল।
সাদু সেই বালুচড়ে হাটতে লাগলো।
পাশেই কিছু মেয়েরা আনন্দ করছে বটগাছের নিচে বসে।আর ওখানে সবাই মানে আফরান আর নূর ওরা সবাই তা দেখছে।মনির ছোট্ট একটা মেয়েকে সাদুকে দেখিয়ে দিয়ে বললো,

–” ওইযে নীল জামা পড়া আপুটা আছে না ওকে নিয়ে এসো। তাহলে চকলেট দিবো।”

পিচ্চিটা খুশি হয়ে দৌড়ে সাদুর কাছে গেলো।তারপর সাদুকে টেনে ওখানে নিয়ে আসলো।

বড় মেয়েরা সাদু আসতেই ওকে ঘিরে ধরলো।
সেখান থেকে একটা মেয়ে ওকে বলে,

–” আপু আপনি গান শুরু করেন!”

সাদু মনিরের দিক তাকালো।মনিরের দৃষ্টি সাদুতেই নিবদ্ধ।
সাদু আস্তে করে বলে,

–” আমি গান পারি না।”

নূর কড়া গলায় বলে,

–” মিথ্যে কেন বলিস?তুই আর গান পারিস না?
তাড়াতাড়ি শুরু কর।”

সবাই সাদুকে জোড়াজোড়া শুরু করলো।সাদুকে গান গাইতেই হবে।এতো চিল্লাপাল্লা সাদু সইতে না পেরে শেষে বলে,

–” আচ্ছা বাবা গাইছি।”

সবাই খুশিতে ‘ইয়েপ্পি!” বলে উঠে।
কিন্তু আবারো সাদু বাকা হেসে বলে,

–” কিন্তু এক শর্ত।”,

মনির ভ্রু-কুচকে বলে,

–” কিসের শর্ত।”

— তোমাদের সবাইকেই আমার সাথে গাইতে হবে নাহলে আমি গাইবো নাহ।”

সবাই চুপ করে রইলো।এখন ওরা যদি না করে তাহলে সাদু গান গাইবে না।তাই সবাই রাজি হয়ে গেলো ওর শর্তে।

সাদু মুচকি হাসলো মনিরের দিকে তাকিয়ে। তারপর আস্তে করে হেটে মেয়েগুলো মাজে দাড়ালো।
একটা মেয়ের কানে কানে গানের নাম বলে সেই গানের ইন্ট্রুমেন্টাল মিউজিন সাউন্ড বক্সে দিতে বললো।খানিক বাদে সাউণ্ড বক্সে কাক্ষিত মিউজিন বাজতেই মেয়েরা সবাই খুশি হয়ে গেলো।
সাদু সুরের তালে তালে নেচে উঠে শুরু করলো।
Mhare hiwda mein
Mhare hiwda mein nache mor tak thaiya thaiya.
মুচকি হেসে তাকালো মনিরের দিকে তারপর আবার গাইলো।,,
Bhawre ne machaya shor, khili dil ki kaliyan
Badla mausam, badle nazare ya badla hai nazariyaan
সাদু গিয়ে নূর আর সবাইকে টেনে নিয়ে আসলো তারপর ওরা পাচঁজন একসাথে গেয়ে উঠলো আর নাচঁছে,
Mhare hiwda mein nache mor tak thaiya thaiya
Bhawre ne machaya shor, khili dil ki kaliyan
Badla mausam, badle nazare ya badla hai nazariya
Mhare hiwda mein nache mor tak thaiya thaiya
Bhawre ne machaya shor, khili dil ki kaliyan।
ছেলেরা সবাই মুগ্ধ চোখে ওদের দেখছে।
পাচঁ পাঁচটা পরি যেন আজ আসমান থেকে নেমে এসে একসাথে নৃত্য করছে।
আরিফ আলিফার দিকে ঘোর লাগা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।সে ধীর পায়ে আলিফার দিকে এগিয়ে গিয়ে ওর চারপাশ ঘুরলো আর আলিফার ঠোঁটে লাজুক হাসি।
আরিফ আলিফার মাথায় ঘুমটা দিয়ে দিলো ওরনা দিয়ে সবাই ‘উহুউউ!’ করে চিল্লিয়ে উঠে।আলিফার গাল লজ্জা লাল হয়ে উঠলো।
আরিফ হেসে গেয়ে উঠলো,

Tu nayi naveli dulhan hai
Tera roop pyar ka darpan hai(২)

নিবিড় আলিশার কাছে গিয়ে ওর কানের কাছে গিয়ে গাইলো
Teri mehndi se, tere gajre se
Mehka mehka mera jeevan hai
Mere sawalon ka jawaab banke tu aayi sajaniya
আলিফা আরিফের দিকে লজ্জা মাখা হাসি উপহার দিয়ে গাইলো
O mhare hiwda mein
Mhare hiwda mein nache mor tak thaiya থাইয়া
Aisi bandhi pyar ki dor hui main banwariyan
আলিশা নিজের জামা ধরে ঘুরে গাইলো
Badla mausam, badle nazare ya badla hai nazariya
Mhare hiwda mein nache mor tak thaiya thaiya
Bhawre ne machaya shor, khili dil ki kaliyan
তারপর মেয়েরা সবাই একসাথে নাচতে নাচতে গাইলো,

Mhare hiwda mein nache mor tak thaiya thaiya
Bhawre ne machaya shor, khili dil ki kaliyan
হঠাৎ আকাশে মেঘের গর্জন শোনা গেলো।
সাথে বইতে লাগলো ঝড় বাতাস।এক ফোটা দু ফোটা বৃষ্টির পানি পড়লো সবাই দ্রুত বটগাছের পাশে ছাউনির মতো সেখানে চলে গেলো।সাদু যেতে নিলেই মনির ওর হাত ধরে ফেললো,
সাদু ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালো মনিরের দিক।
মনির সাদুর দিকে তাকিয়ে আছে।ঝড়ঝড় করে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলো।
মনির সাদুকে ছেড়ে দু-হাত ভাজ করে গেয়ে উঠে,

Yeh pyar ka sawaan aaya hai
Sang preet ka mausam laya hai(২)

তারপর আবার সাদুর কাছে এসে ওর ভেজা চুল গুলো কানের পিছে গুজে দিলো।

Joh dil mein chupake rakha tha
Woh raaz labon par aaya hai
Dil mein basake, apna banake le chaloon prem nagariya

সাদু মনিরের কাছ থেকে দৌড়ে অন্যদিকে চলে গেলো।বুকে হাত দিয়ে জোড়ে জোড়ে নিশ্বাস নিলো।ওর গাল লাল হয়ে ফুলে উঠেছে লজ্জায়।
লজ্জামাখা হাসি ঠোঁটে ঝুলিয়ে গাইলো

Mhare hiwda mein
Mhare hiwda mein nache mor tak thaiya thaiya
Chahe le jaao jis ore sang chaloongi saiyan
Badla mausam, badle nazare ya badla hai nazariyaan

নূর,আলিশা, আলিফা, মিম ওরাও বৃষ্টিতে নেমে পড়লো।সাদুর দিক তাকিয়ে দুষ্টু হাসি দিলো।তারপর সবাই একসাথে গেয়ে উঠে,

Mhare hiwda mein nache mor tak thaiya thaiya
Bhawre ne machaya shor, khili dil ki kaliyan

নূর দুহাত ছড়িয়ে বৃষ্টিতে ভিজজে।আর ওকে দুচোখ ভরে দেখছে আফরান।
আফরান সবাইকে মানে মেরাজ, আরিফ আর নিবিড়কেও ঠেলে বৃষ্টিতে নামিয়ে দিলো।আফরান ধীর পায়ে নূরের কাছে গিয়ে দুহাতে নিজের চুলগুলো ঠেলে দিয়ে গেয়ে উঠে,

Yeh chand sitaron ki baaraat
Layi hai ghadi suhani
Yeh chand sitaron ki baaraat
Layi hai ghadi suhani

মেরাজ মিমের দিকে তাকিয়ে আছে।মেয়েটাকে বৃষ্টিতে ভিজার কারনে অন্যরকম সুন্দর দেখাচ্ছে।
মেরাজ মিমের দিকে তাকিয়ে আনমনে গেয়ে উঠে,

Kya baat hai, mere saath hai
Mere sapno ki rani
Barson sataya tune, chain churaya main aaj na chhodun baiyaan

নূর আর মিম আফরান আর মেরাজের দিকে কুড়িয়ে আনা ফুলগুলো ছুড়ে দিলো।
তারপর খিলখিলিয়ে হেসে দিলো।নূর গাইলো,

Mhare hiwda mein nache mor tak thaiya thaiya
Bhawre ne machaya shor, khili dil ki kaliyaan.

মিম মেরাজের দিকে তাকিয়ে গাইলো,
Mhare hiwda mein nache mor tak thaiya thaiya
Bhawre ne machaya shor, khili dil ki kaliyaan

তারপর আবার পাচঁজন বৃষ্টিতে ভিজে নেচে গেয়ে উঠে,

Mhare hiwda mein nache mor tak thaiya thaiya
Bhawre ne machaya shor, khili dil ki kaliyan
Haan haan … o ho … hmmm hmmm … ha ha ha

ছেলেরা মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে।ওদের মনে হচ্ছে বৃষ্টিতে ভেজা স্নিগ্ধতায় ঘেরা পাচঁটা ময়ুর নিজেদের পেখম তুলে দিয়ে নাঁচছে।

#চলবে,,,,,,

ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন।