/গল্প ভালোবাসি তোমাকে /
/লেখক মিঃ আবির মিঃ ভুত /
/Part-7 & last part /
_রাইসা র কোন শারা শব্দ নেই, তাই আমি চোখ খুললাম। রাইসা নিশ্চুপ হয়ে গেছে, চলে গেছে অনেক দুরে।
_ ভালোবাসি কথাটা হয়তো রাইসা শুনেছে, হয়তোবা শুনতে পারেনি। তার আগেই চলে গেছে আমাকে ফাকি দিয়ে।
_ রাইসা কে জড়িয়ে ধরেই চিৎকার দিলাম, পৃথিবীটা যেনো এখানেই থমকে গেছে,
সব কিছু স্বপ্ন মনে হচ্ছে। রাইসার সাথে সাথে সব কিছু নিস্তব্ধ হয়ে গেছে।
দম বন্ধ হয়ে আসছে আমার, হার্টবিট চলছেনা, চোখ দুটো ঝাপসা হয়ে এলো, মাথাটা ঘুড়ছে।
রাইসা কে জড়িয়ে ধরে চিৎকার দিয়েই ফ্লোরে পড়ে গেলাম। উঠে দাড়ানোর চেষ্টা করলাম পারলাম না,
শরীরে এক বিন্দু শক্তি নেই। চোখ দুটো বন্ধ হয়ে গেল।
কেউ একজন চোখে পানি দেওয়ায় একটু করে চোখ খুললাম, চোখ খুলে আস্তে আস্তে করে উঠে দাড়ালাম।
কথা বলার মতো শক্তি নেই, সকল ভাষা হাড়িয়ে ফেলে নির্বাক হয়ে গেছি।
তাকিয়ে দেখি রাইসার দেহটা সাদা কাপর দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে, সবাই কাদঁছে,
আজ আংকেল কাদঁছে, খুব কাদঁছে, ঠিক যেভাবে কেদেছিলাম আমি।
এরই মাঝে আন্টি বেশ কয়েকবার সেন্স হাড়িয়েছে।
পলিশ এসেছে, রাইসা র বাবা সেনাবাহীনির অফিসার হওয়াই কিছু না বলেই চলে গেলো তারা,
রাইসা কে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হলো তাদের বাসায়। আমিও গেলাম তাদের সাথে। রাইসার পাশে বসে আছি, আর আমি রাইসার হাতটা শক্ত করে ধরে রেখেছি।
আজ রাইসার বাবা একবারো বললোনা কেন এসেছি তাদের বাসায়, মারলোনা আমাকে।
আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছেনা, হয়তো চোখের পানি গুলাও শুকিয়ে গেছে।
আংকেল আমার পাশে বসে আমাকে বলল।
_ আমাকে ক্ষমা করে দিও আবির , আমার জন্য আজ আমি আমার মেয়েটাকে হারালাম।
_ আমার মেয়েটা আমাকে ক্ষমা করবে তো আবির ,
কথাটা বলেই আংকেল আমাকে জড়িয়ে ধরে কেদে দিলো।
কিছুক্ষণ পর রাইসা কে নিয়ে যাওয়া হলো গোসল করানোর জন্য।
আজ রাইসা আমার বুকে নেই, রাইসা আমার ঘাড়ে। ঘাড়ে করে নিয়ে যাচ্ছি রাইসা কে।
আর কনোদিন পাগলিটা বলবেনা একবার বুকে জড়িয়ে ধরবে মিঃ ভুত 😭।
মনটা নিরবেই হু হু করে কেদে উঠলো।
রাইসা কে মাটিতে রাখা হলো, শেষবারের মতো রাইসা কে একবার দেখে নিলাম।
পাগলীটার মুখটা ফ্যাকাশে হয়ে গেছে, তবুও মনে হচ্ছে রাইসা এখনো হাসছে ।
রাইসা কে মাটি দেওয়া শেষ।
এক এক করে সবাই চলে গেল, রাইসার কবরের পাশে বসে আছি,
আংকেল এসে আমার ঘাড়ে হাত রাখলো, কিন্তু কিছু না বলেই চলে গেলো।
বসে আছি রাইসা র কবরের পাশে, চিৎকার করে কান্না করার ইচ্ছে করছে, কিন্তু পারলামনা। কথা বলার মতো বিন্দু মাত্র শক্তি নেই।
হটাৎ করেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলো।
ঝির ঝির বৃষ্টি পড়ছে, উপরে কাদঁছে আকাশ আর নিচে কাদঁছি আমি।
আবারো চিৎকার দিয়ে বলে উঠলাম, ভালোবাসি রাইসা অনেক ভালোবাসি তোমাকে।
_ চোখের পানি মুছে আস্তে করে উঠে দাড়ালাম,
উঠে দাড়িয়ে আকাশ পানে তাকালাম, কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকার পর অনেক জোরে একটা হাসি দিলাম আর বললাম,
_ আসছি রাইসা আমিও আসছি, তোমাকে ছাড়া যে এই পৃথিবীটা অনেক একা লাগে।
_ ঝিরি ঝিরি বৃষ্টতে ফাকা রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছি দুর বহু দুর, অজানা কোনো এক গন্তব্যে, উদ্দেশ্য রাইসা ।
এই শহরে পূর্ণতার গল্প খুব কম যেখানে নিজের গল্পটাই অসমাপ্ত তাই কিছু প্রিয় জিনিস না পাওয়াই ভালো
(সমাপ্ত)