ভালোবাসি বুঝে নাও ২ পর্ব-১+২

0
788

#ভালোবাসি_বুঝে_নাও-2🍁🍁
#সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী(writer)
#১_পর্ব
,
এই ইডিয়ট কি করলি এটা চোখে দেখতে পাসনা নাকি??(নিজের গায়ের জামা ঝাড়তে ঝাড়তে বলল মেহরাব)

আরে এটা তো মেহরাব ভাই কিন্তু ওনি এসময় এখানে কি করছে?? ওনি না ১০ দিনের জন্য দেশের বাইরে থুরি ঢাকার বাইরে গিছিলো তাহলে নয় দিনের মাথায় ফিরে আসলো কেনো?? আর একদিন থাকলো না কেনো হুম রহস্য গভীর রহস্য,, এই রহস্যের সমাধান আমাকেই বার করতে হবে (মনে মনে বলল মাহি)

কিরে ওমন গাধীর মতো দরজার সামনে দাঁড়িয়ে না থেকে সর সামনে থেকে আমাকে ভিতরে যেতে দে (মেহরাব)

আমিও দরজার পাশ থেকে সরে দাঁড়ালাম,, প্রথমে মেহরাব ভাই ঢুকলো তারপর ওনার পিছে পিছে ওনার পুলিশ বন্ধু মেঘ ভাইয়া ও ঢুকলো।আমি মেঘ ভাইয়া কে চিনি আমার মতে ওনি মেঘলাকে একটু একটু পছন্দ করে,, সেটা আমি বুঝি তবে মেঘ ভাইয়ার সাথে আমার অনেক ভাব যাবে বলে গলায় গলায় ভাব।

একিরে ভাইয়া তুই আজকেই চলে আসলি যে আর এমন ভিজলি কি করে??(মেঘলা)

কি করে আবার এই ইডিয়ট টা আমাকে ভিজেয়ে দিয়েছে (মাহিকে উদ্দেশ্য করে বলল মেহরাব)

মাহি তোকে যে আমি এটো পানিটা ফেলতে দিয়েছিলাম সেটা তুই ভাইয়ার উপর ফেলেছিস??(মেঘলা)

হুমমম,,আমি কি করবো ওনিই তো পটাং করে আমার সামনে চলে আসলো আর আমি ঝপাৎ করে পানিটা ওনার উপর ফেলে দিলাম (দাঁত কেলিয়ে)

ইস্টুপিট একটা,৷ ও এই বাসায় কেনো?? আর আম্মু কই??(মেহেরাব)

আম্মু মীরা আপুদের বাসায় গেছে, আর আব্বু অফিসে আমি একা থাকবো বলে মাহিকে রেখে গেছে। তা তুই আজকেই চলে আসলি যে (মেঘলা)

হুম কাজ শেষ হয়ে গেলো তাই চলে আসলাম,, মেহরাব এর কথা শেষ নাই হতে মাহি ঝপাৎ করে লাফ দিয়ে মেঘের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে বলল।

হাই আমি মাহি নাম তো সোনাই হোগা (অনেকটা ভাব নিয়ে)

মেঘ তো প্রথমে ভয়ই পেয়ে গেছে,, তবুও নিজেকে ঠিকঠাক করে নিয়ে বলল।না তো চিনি না কে তুমি??(অনেকটা ইনোসেন্ট ফেস করে)

একটা বেলুন ফুটা করে দিলে যেমন ফুস করে হাওয়া বেরিয়ে যায়, মেঘের কথা শুনেও মাহির ফুস করে সব হাওয়া বেরিয়ে গেলো।

এই তুই কোন হরিদাস পাল রে যে তোকে চিনে রাখতে হবে এই বলে মেহরাব উপরে নিজের রুমে চলে গেলো (মেহরাব)

এতো বড় অপমান এর পতিশোধ তো নিতেই হবে,,, মনে মনে বলল মাহি, তখনি মাহি আর মেঘলার বন্ধু জয় ফোন করলো মাহির ফোনে মাহি একটা শয়তানি হাসি দিয়ে বলল।

মেঘলা আপু এই নেও তোমার জানু ফোন দিয়েছে কথা বলো, মেঘলা তো ভেবাচেকা খেয়ে গেছে জানু আবার কোথা থেকে এলো,, আর ওনার সামনে মাহি এসব কি বলছে। আর মেঘ তো চোখ দুটো বড় বড় করে মেঘলার দিকে তাকিয়ে আছে।

জানু মানে??(মেঘলা)

আরে জয় (মাহি)

ওহ আচ্ছা দে,, এই বলে মেঘলা ফোনটা নিয়ে চলে গেলো,, মাহি ও ভাব নিয়ে চলে গেলো। আর বেচারা মেঘ তো পুরাই ফেঁসে গেছে তার প্রথম প্রেমের ফুল ফোঁটার আগেই ঝড়ে পড়ার মতো অবস্থা মেঘ দৌড়ে মাহির কাছে গেলো,, মাহি তখন একটা বয়মে মুড়ি আর কাঁচা মরিচ আরো অনেক মশলা পাতি দিয়ে মুড়িগুলোকে বয়মের ভিতর ঝাঁকাচ্ছিলো।

মাহি আমি চিনি তোমাকে (দৌড়ে এসে বলল মেঘ)

কে আপনি,?? আপনি আমাকে চেনেন তো আমি কি করতাম(ভাব নিয়ে বলল মাহি)

ওরে বোন রে মাফ কইরা দে,, আমার কোনো দোষ নাই মেহরাবই তো বলল যে বাসায় এসে তোমাকে যেনো না চেনার ভান করি(মেঘ)

ওহ তারমানে এটা ওই লম্বার উপর খাম্বার কাজ আমাকে অপমান করার ফন্দি না?? হুমম পরে মজা দেখাবো।(মনে মনে বলে মাহি মেঘ কে বলল)

তবুও আপনাকে এর জন্য শাস্তি পেতে হবে।

তোমার সব শাস্তি মাথা পেতে নেবো আগে বলো জয় কে??

বলল তার আগে কান ধরেন।

কিহ আমি কান ধরবো?? আমার পেজটিজ তো সব পানচার হয়ে যাবে।

ওকে তাহলে বলবো না জয় কে।

ওকে ধরছি ধরছি,, এই বলে মেঘ কানে ধরে উঠবস করতে লাগল তখনি মেহরাব উপর নেমে আসলো এসে দেখলো মেঘ কান ধরে উঠবস করছে, মেহেরাব ভ্রু কুঁচকে রান্নাঘরে গিয়ে বলল।

এসব কি হচ্ছে এখানে??(মেহরাব)

এইরে লম্বার উপর খাম্বা টা চলে এসেছে (বিরবির করে বলল মাহি)

কইকিছু না তো আসোলে মাহি আমাকে একটা বেয়াম শিখাচ্ছিলো তাই না মাহি???

হুম হুম

কানে ধরে উঠবস করা আবার কবে থেকে বেয়াম হলো?? বোকা পেয়েছিস আমায়??(মেহরাব)

আরে এটা নতুন এসেছে বাজারে আমি আবিষ্কার করেছি, আর এটার নাম হলো।কান ধরে উঠবস করেগা তো হাঁটুর বেথ্যা যায়ে গা,,,, এখন সরুন তো সামনে থেকে আমি যাবো, এই বলে মাহি ভাব নিয়ে,, এই মশলা মুড়ি, এটা বলতে বলতে চলে গেলো।

এটা কি হলো??(মেহরাব)

আমি কি জানি।

এই বাড়িটা পুরাই পাগলা গারদ বানিয়ে ফেলছে সব,,, যত্তসব (মেহরাব)

,,,,বিকেলে,,,,,

ডয়িং রুমে বসে মেহরাব ল্যাপটপে কিছু কাজ করছিলো আর আরেক হাতে একটা কলম নিয়ে সেটা ঘুরাচ্ছিলো,মেঘ চলে গেছে তবে যাওয়ার আগে মাহির কাছ থেকে ঠিক শুনে গেছে যে জয় কে।মেহরাব কাজ করতে করতে,, হঠাৎ করে বেখেয়ালিতে কলম এর মাথাটা মেহরাব এর আঙুল এ ঢুকে যায় আর রক্ত বার হতে লাগল।

আউচ (মেহরাব)

মাহি আর মেঘলা টিভি দেখছিলো তখনি মেহরাব এর আউচ বলাটা শুনতে পেলো ওরা দুজনে দৌড়ে ডয়িং রুমে এসে দাখে মেহরাব আঙুলের রক্তটা মুছছে তা দেখে মাহি বলল।

আরে আরে কি করেন মুছবেন না,, মুছলে সম্যসা হবে,, আমার কাছে একটা বুদ্ধি আছে দাঁড়ান একটু,।এই বলে মাহি মেহরাব এর আঙুল টা ধরে তাতে থুতু লাগায় দিলো।

ইয়াক ছি কি করলি এটা (মাহির কাছ থেকে আঙুল টা ছাড়িয়ে নিয়ে বলল মেহরাব)

কেনো থুথু দিলাম এখন দেখবেন পটাস করে সেরে যাবে হিহিহি (আমাকে অপমান করা না এখন দাখ কেমন লাগে মনে মনে বলল মাহি)

,,,,,রাতে,,,,,

আমি জানি ওনি এটা ইচ্ছে করে করছে কেনো যে ওনার সাথে লাগতে গেলাম,, এমনি তে তো মুখে মুখে কত বলি কিন্তু মনে মনে তো আমি ওনাকে হেব্বি ভয় পাই, ওহ আল্লাহ কখন যে সকাল হবে আর কখন যে আমি বাড়ি যাবো কে জানে,, আমার মতো একটা মাসুম বাচ্চা কে দিয়ে কেউ এসব করায়?? (মেহরাব এর রুম মুছতে মুছতে বলল মাহি,,, )

আসোলে মেহরাব ইচ্ছে করে রুমে পানি ফেলেছে মাহিকে দিয়ে মুছানোর জন্য, মাহি বকবক করছে আর মুছছে আর মেহরাব বিছানায় বসে ল্যাপটপ এ কাজ করছে। মেঘলা রান্না করছে আর মেহরাব এর আব্বু রুমে শুয়ে আছে আর মা কালকে আসবে।

নেন হয়ে গেছে (মাহি)

হুম গুড,, আচ্ছা তুই কোন ক্লাসে যেনো পড়িস??

মাথা খারাপ হয়ে গেলো নাকি ওনার?? , ওনি এটাও ভুলে গেছে??( মনে মনে বলে তারপর বললাম)

ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে।

ওহ তাহলে তো পিচ্চি,, তার উপর আবার বাইট্টা মানে হলো পুইতুলি (মেহরাব)

বাইট্টা মানে??

মানে হলো তুই একেতে পিচ্চি তার উপর আবার খাটো.

মোটেও না শুনুন আমি না ৫ ফিট ২ ইঞ্চি হুম (অনেক ভাব নিয়ে বলল মাহি)

তো আমি তো ৬ ফিট ৩ ইঞ্চি।

তাতে কি??? ছেলেরা একটু বেশি লম্বা হয়,, আর এই জন্যই তো আপনি লম্বার উপর খাম্বা।

কিহ???

কিছু না আমি গেলাম এই বলে মাহি চলে গেলো,,, রাতে খাওয়া দাওয়ার পর সবাই রুমে চলে গেলো,, মেঘলার তো ভীষণ ঘুম পাচ্ছে কিন্তু মাহি বকবক করেই যাচ্ছে, একা একা,, পাশের রুম থেকে মেহরাব গম্ভীর সরে বলল।

বকবক না করে দুটোই ঘুমিয়ে পর নয়ত আমি এসে কান পেঁচে একটা থাপ্পড় লাগাবো।

মেহরাব এর কথাশুনে মাহি গরমের মধ্যেও কাথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়ল,,, ভাইয়া ছাড়া একে কেউ সোজা করতে পারবে না (মনে মনে বলল মেঘলা)

,,,,সকালে,,,,,

মেহরাব এর মনে হচ্ছে কেউ ওর কানের মধ্যে সুরসুরি দিচ্ছে তাই ঘুমের মধ্যেই জোরে ধাক্কা দিলো,, আর তখনি কারো চিৎকার শুনে লাফিয়ে উঠলো।

তুই???(মেহরাব)

কি ভাইয়া ধাক্কা মারলি কেনো?? কত বেলা হয়েছে জানিস?? আম্মু চলে এসেছে তোকে ডাকতে বলল তাই ডাকতে এসেছিলাম কিন্তু তুই ওরে বাবা আমার কমর(মেঘলা)

তো জোরে ডাকা যায় না এমন করে ডাকলে ধাক্কা তো খাবিই(মেঘলাকে নিচে থেকে তুলতে তুলতে বলল মেহরাব)

মাহি জানতো তুই এমন কিছুই করবি সেই জন্যই তো নিজে না এসে আমাকে ডাকতে পাঠালো (মেঘলা)

আচ্ছা হয়েছে তুই নিচে যা আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।

ওকে, এই বলে মেঘলা চলে গেলো,, মেহরাব ও ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে দেখলো মাহি,,,,,,,,,??

চলবে,,,,,,,???

(কেমন হয়েছে বলবেন কিন্তু,, এটা আগের টার থেকেও ভালো করার চেষ্টা করবো।)

#ভালোবাসি_বুঝে_নাও-2🍁🍁
#সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী(writer)
#২_পর্ব
,
মেহরাব নিচে নেমে দেখলোও যে ও যে চেয়ারে বসে খাই সেই চেয়ারে মাহি বসে আরামসে খেয়ে যাচ্ছে,, এটা দেখে তো মেহরাব এর মাথা গরম হয়ে গেলো কেননা ওর চেয়ারে কেউ বসে না এই বাড়ির সবাই জানে যে ওই চেয়ারে বসলে মেহরাব রেগে যাবে তাই কেউ বসে না। মাহিকেও নিষেধ করা হয়েছিলো কিন্তু মাহি তো মাহি ও কারো কথা শোনে না, জেদ ধরে বসলোই।

এসব কি মা?? তুমি জানো না আমি পছন্দ করি না যে কেউ আমার জিনিসে হাত দিক তুমি তো জানো তার পরেও ও এখানে বসলো কার কথায়(রেগে বলল মেহরাব)

সবাই তো ভয়ে খাওয়া অফ করে মেহরাব এর দিকে তাকিয়ে আছে,,, আর ওদিকে মাহি গপাগপ খেয়েই চলেছে কেননা মাহি জানে ও যদি একবার খাওয়া অফ করে তাহলে আর এই মজার খাবার গুলো খাওয়া হবে না,, তাই আগে খাবার খাচ্ছে পরে বকা খাবে।

তোকে কতবার বললাম যে এখানে বসিস না, এখন দেখছিস তে কি হচ্ছে,,, কিরে আমার কথা শুনছিস??(ফিসফিস করে বলল মেঘলা)

হুম হুম (খেতে খেতে বলল মাহি)

কি হুম হুম করছিস ভাইয়া কিন্তু রেগে একেবারে বোম হয়ে গেছে।

মেহরাব ভাইয়া আপনি এখানে বসেন আমার খাওয়া হয়ে গেছে (মাহি খাওয়া শেষ করে বড় একটা ঢেকুর তুলে দাঁত কেলিয়ে বলল)

মেহরাব মাহির দিকে রেগে তাকিয়ে উপরে চলে গেলো।

কিরে মাহি তোর আমার ছেলের পিছনে না লাগলে ভালো লাগে না বুঝি??(রুপালি,,মেহরাব এর মা)

কি বলোতো মামীমা আমি তো কিছু করতে চাই না কিন্তু তোমার ছেলেকে দেখলে মন চাই শুধু জ্বালায় হিহিহি.।

হাসো হাসো পরে মজা বুঝবে আমি জানি তো ভাইয়া চুপ করে বসে থাকবে না নিশ্চয়ই কিছু করবে তখন বুঝবি মজা(মনে মনে বলল মেঘলা)

পাগলি মেয়ে একটা (রুপালী)

আচ্ছা মামীমা আমি আসি তাহলে কলেজ যেতে হবে।

আচ্ছা ঠিক আছে যা,, সাবধানে যাস।

ওকে,,,এই বলে আমি চলে আসলাম,, মেহরাব ভাইদের বাড়ি থেকে আমাদের বাড়ি বেশি দূরে নয় কাছেই হেঁটে গেলে ,,, ২০,,, ৩০ মিনিট লাগে,,আর মেহরাব হলো আমার বড় মামার একমাত্র ছেলে।

কিরে তোর মামি এসেছে?? (মাহির মা)

হুম আসছে বলেই তো আমি আসতে পারলাম(রুমে ঢুকতে ঢুকতে বলল মাহি)

আচ্ছা তুই ফ্রেশ হয়ে আয় আমি খাবার দিচ্ছি.

না মা আমি খাবো না,, খেয়ে এসেছি, আমি এখন সোজা কলেজে যাবো, তা মনির (ছোট ভাই) আর আব্বু কোথায়??

তোর আব্বু তো অফিসে গেছে আর মনির স্কুলে গেছে।

আচ্ছা ঠিক আছে আমি তাহলে গেলাম বলো (এই বলে রুমে যেয়ে রেডি হয়ে কলেজের উদ্দেশ্য বেরিয়ে পড়ল)

এই এক জ্বালা তারাতারির সময় কোনো গাড়ি পাওয়া যাই না,, এমনিতেই দেরি হয়ে গেছে তার উপর আবার মামার ওখান থেকে এতো খেয়েছি যে এখন হাঁটতেও পারবো না উফফ বেশি খাওয়া হয়ে গেছে। (দাঁড়িয়ে এসব ভাবছিলাম তখনি মেহরাব ভাই গাড়ি নিয়ে আমার সামনে থামালো)

কিরে কলেজে না গিয়ে এখানে দাঁড়িয়ে কি করছিস??(মেহরাব)

দেখছেও গাড়ি পাচ্ছি না তারপরেও আবার জিগাস করছে কানা একটা (মনে মনে বলে তারপর মুখে বললাম)

গাড়ি পাচ্ছি না।(মাহি)

ওহ এই বেপার, চলে আয় আমি পৌঁছে দিচ্ছি।

কিরে সকালের ঘটনা টা কি একে বারে বেমালুম ভুলে গেলো?? কোনো রিআ্যাকশন নেই বেপার কি (মনে মনে বলল মাহি)

কিরে এভাবে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি ভাবছিস চলে আয় দেরি হয়ে যাচ্ছে তো(মেহরাব)

আসছি,, এই বলে গাড়িতে উঠে বসলাম ভাইয়ার পাশের সিটে।

সিট বেল্টটা লাগিয়ে নে।

ওকে। ভাইয়া গাড়ি চালাতে শুরু করলো কিছু দূর যাওয়ার পর আমি বললাম।

আসলে ভাইয়া সকালের জন্য সরি আমি বুঝতে পারিনি আপনি এভাবে রেগে যাবেন (মাহি)

আরে রাগ করার কি আছে বেপার না,,,, তারপর আবার গাড়ি চলতে লাগল অনেকটা যাওয়ার পর ভাইয়া গাড়ি থামিয়ে বলল।

একটু নাম তো মনে হয় গাড়িতে প্রোবলেম হয়েছে (মেহরাব)

আচ্ছা ঠিক আছে,, এই বলে আমি গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়াতেই ভাইয়া গাড়ি স্টার্ট দিলো কিছুটা গিয়ে গাড়ি স্লো করে গাড়ির জানালা দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বলল।

এখান থেকে রিক্সা পাওয়া খুবি মুশকিল আর তোর কলেজ টাও অনেক দূর,, সকালে আমার সাথে ওমন করার শাস্তি এটা এখন হেঁটে হেঁটে কলেজ যা,, এর পর আমার সাথে লাগতে আসবি না ওকে (এই বলে ভাইয়া গাড়ি নিয়ে সাঁই করে চলে গেলো)

আমি তো ওখানে দাঁড়িয়েই রেগে বোম হয়ে গেছি,,, সালার মেহরাব কতবড় সাহস এর প্রতিশোধ তো আমি নেবোই,,,, রেগে হাঁটতে শুরু করলাম,, অনেকটা পথ, শেষে মেষ কলেজে আসতে পারলাম ঘেমে নেয়ে একেবারে অবস্থা খারাপ এক ক্লাস শেষ হয়ে আরেক ক্লাস শুরু হয়ে গেছে আমি ওমনি ক্লাসে ঢুকলাম স্যার অনেককিছু শোনালো ক্লাস ভরা স্টুডেন্ট এর সামনে,
এই সব হয়েছে ওই লম্বার উপর খাম্বার জন্য এর প্রতিশোধ তো আমায় নিতেই হবে।

এদিকে,,,,

মেহরাব একা একাই মুচকি মুচকি হাসতে হাসতে অফিসে ঢুকলো,, আজকে মাহিকে ভালোই শিক্ষা দিয়েছে,, মেহরাব কে হাসতে দেখে সবাই মেহরাব এর দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে রয়েছে।

কি হলো সবাই এভাবে তাকিয়ে আছেন কেনো?? যান সবাই সবার কাজে যান (নিজেকে ঠিক করে বলল মেহরাব)
,,,,,,,,,,,,
,,,মেঘলা ভার্সীটিতে যাচ্ছিলো তখনি সামনে পুলিশের জিপ এসে থামলো, মেঘলাতো পুরো ভয় পেয়ে গেছে চোখ বন্ধ করে মনে মনে আল্লাহ আল্লাহ করছে।

মেঘ গাড়ি থেকে নেমে দেখলো মেঘলা চোখ বন্ধ করে বিরবির করে কি যেনো বলছে, মেঘের খুব হাসি পাচ্ছে তবুও নিজেকে কন্ট্রোল করে মেঘলার সামনে দাঁড়ালো।

মেঘলা চোখ বন্ধ করেই বলল।

দ,,,দেখুন আমি কিছু করিনি প্লিজ আমাকে থানায় নিবেন না, আমার কোনো দোষ নেই সব দোষ আমার বান্ধবীর.

মেঘ ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে মেঘলার দিকে কি বলছে কি মেয়েটা,, কিছুই তো বুঝতেছি না তবে আম শিওর ও নিশ্চয়ই কিছু করেছে নয়ত এসব বলছে কেনো।

আর ওদিকে মেঘলা কালকে ওর বান্ধবী কে পালিয়ে বিয়ে করতে সাহায্য করেছে তাই ও ভাবছে এর জন্যই মনে হয় পুলিশ ওকে ধরতে এসেছে,, তাই চোখ বন্ধ করে ওসব বলল।তারপর চোখ খুলে দেখলো যে মেঘ।

আরে এটা তো ভাইয়ার বন্ধু খাইছে রে যদি ভাইয়াকে বলে দেয় তাহলে তো আমি শেষ। (মনে মনে বলল মেঘলা)

চলবে,,,,,,??

(দুটো কথা বলে রাখি প্রথমত এখানে সিজন১ এর সাথে সিজন ২ এর কোনো মিল নেই,, ওখানে মাহি চুপচাপ আর ভিতু ছিলো আর এখানে মাহি অনেক দুষ্ট আর চঞ্চল,,, দ্বিতীয়ত, এটা নিতান্তই একটা কাল্পনিক গল্প আমি এটা সম্পূর্ণ নিজের মতো করে লিখি,,,,। না কোনো বই দেখে লিখি আর না কোনো মুভি, নিজের মনে আর মাথায় যেটা আসে সেটাই লিখি,, তাই প্লিজ এটা কাল্পনিক ভেবেই পড়বেন বাস্তবের সাথে মেলাতে যাবেন না,,, আর গল্পে অনেক কিছুই থাকে যা বাস্তবে হয় না, কেননা গল্পের গরু গাছেও কিন্তু উঠে এই জন্য গল্পটা কাল্পনিক ভেবে পড়েই কমেন্ট করবেন,, ☺)