#ভালোবাসি_বুঝে_নাও-2🍁🍁
#সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী(writer)
#৩_পর্ব
,
আপনি যেটা করেছেন সেটা মোটেও ঠিক করেননি এর জন্য আপনাকে আমার সাথে থানায় যেতে হবে ( পুরাই ঢপের চপ কি করেছে আল্লাহ জানে,, আন্দাজে ঢিল মারলাম দেখি কি হয়।)
থ,,,,থানায় যেতে হবে কেনো?? ব,,,,বিশ্বাস করেন আমি কিছু করিনী শুধু সাক্ষী হিসেবে সাইন করেছি এই আর কি প্লিজ আমাকে জেলে দিবেন না(কাঁদো কাঁদো ফেস করে বলল মেঘলা)
হুমম এবার বুঝলাম পুরো কাহিনি এ তারমানে ওনার কোনো এক বান্ধবীকে পালাতে সাহায্য করেছে,,,বাহ এতো দেখি মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি ইয়েস (মনে মনে বলল মেঘ)
আপনার নামে থানায় কমপ্লেন করা হয়েছে,,(ডাহা মিথ্যা কথা)
কি???
হুম আর আপনি তো মেহরাব এর বোন ওকে তো বেপ্যার টা জানাতে হচ্ছে (পকেট থেকে ফোন বার করতে করতে বলল মেঘ)
না না প্লিজ ভাইয়াকে বলবেন না,, এবারের মতো আমাকে ক্ষমা করে দেন আমি আর কাওকে বিয়ে করতে সাহায্য করবো না প্লিজ আমাকে জেলে দিবেন না (কেঁদে বলল মেঘলা)
ওহহ বেবিটা কান্না করে দিসে কত্ত কিউট লাগছে মন চাইছে একটা পাপ্পি দিই,, মনে মনে বলল মেঘ।
আচ্ছা ঠিক আছে এখন আপাতত আপনাকে ছেড়ে দিলাম তবে তার আগে আপনার ফোন নাম্বারটা দেন কথা বলবো।
মানে??
ইয়ে মানে এই বেপ্যারে কথা বলবো এই আর কি এখন যলদি করে আপবার ফোন নাম্বারটা দেন (মেঘ)
ও,,,ওকে এই নিন,, তারপর মেঘলা ওর ফোন নাম্বারটা মেঘকে দিয়ে বলল।প্লিজ ভাইয়াকে বলবেন না যেনো।
ওকে বলবো না,, এখন আপনি যান (খুশি হয়ে বলল মেঘ)
,,,,,,,,
রাগে বোম হয়ে কলেজ থেকে বাড়ি ফিরলো মাহি ব্যাগটা ধরাম করে সোফার উপর রেখে মুখ ফুলিয়ে বসে আছে।
আরে ফুপি আর দিও না তো পেট ভরে গেছে আমার।। পাশে কারো কথা শুনে মাহি পিছনে তাকিয়ে দেখলো মেহরাব ডাইনিং টেবিলে বসে গপাগপ গিলছে আর ওর মা ওনাকে জামাই আদর করে খাওয়াচ্ছে,,দৃশ্য টা দেখেই মাথা গরম হয়ে গেলো,, রেগে টেবিলের কাছে গেলেই মা বলল।
কিরে কখন আসলি??
এই তো এইমাএ(মেহরাব এর দিকে আগুন চোখে তাকিয়ে)
আচ্ছা গিয়ে ফ্রেস হয়ে নিচে আয় খেয়ে নে।
হ্যাঁ হ্যাঁ যা যা গোসল করে আয় তোর গা থেকে ঘামের গন্ধ আসছে ইয়াক (খেতে খেতে বলল মেহরাব)
মাহি কিছু না বলে বড় বড় পা ফেলে রুমে চলে গেলো,, তারপর জামা বার করতে করতে একা একাই বলতে লাগল।
কি ভাবে কি নিজেকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প? আমাকে হেনস্তা করে আবার আমারি বাড়ি এসে কেমন গপাগপ করে গিলছে আবার বলে খেতেই পারি না,,, দেখে নেবো ওনাকে,, এসব বলতে বলতে গোসল করে বেরিয়ে সোজা ডাইনিং টেবিলে গেলো।প্লেটে ভাত নিয়ে যেই তরকারি নিতে চামচে হাত রাখলো তখনি মেহরাব নিজের হাত মাহির হাতের উপর রেখে তরকারিটা নিজের পাতে নিতে নিতে বলল।
আরে কি করছিস মাহি আর দিস না আমি তো খেতেই পারছি না পেট ভরে গেছে আমার (মেহরাব)
মাহি তো ওদিকে রেগে মনে হয় এখনি বোম ব্লাস্ট করবে তখনি মাহির মা বলল।
আরে মাহি তোকে তো একটা কথা বলতে ভুলেই গেছি,,
কি কথা মা।
ওই যে মীরার বাবা এসেছিলো পরশো দিন মীরার জন্মদিন আমাদের সবার দাওয়াত দিয়ে গেছে এই যে কার্ড।
মাহি মায়ের কথা শুনে কিছুক্ষন চুপ থাকলো তারপর কিছু একটা ভেবে রীনাখান মার্কা একটা হাসি দিয়ে,, মেহরাব কে বলল।
আরে মেহরাব ভাই আপনি তো কিছু নিচ্ছেনই না নিন মাছটা নিন,, পারলে পুরা দুনিয়া টা গিলে নিন হেহেহেহে (মেহরাব এর প্লেটে মাছ দিতে দিতে বলল মাহি)
কি হলো ফুপির কথা শুনে মাহি এমন পান্টি খেয়ে গেলো কেনো হুম নিশ্চয়ই কোনো ফন্দি এঁটেছে মনে মনে, মেহরাব সাবধানে থাকতে হবে তোকে (নিজেই নিজেকে বলল মেহরাব)
খাও বাছা খাও আমি যে কি জিনিস তুমি জানো না, আমার সাথে পাঙ্গা নেওয়া না?? এবার বুঝবে মজা,, (মনে মনে বলল মাহি)
মেহরাব ভ্রু কুঁচকে মাহির দিকে তাকাতেই মাহি একটা কেবলা মার্কা হাসি দিলো।
,,,,,,পরশো দিন,,,,,
মাহি কলেজ থেকে ফিরতেই দেখলো ঘরে তালা দেওয়া ফোন বার করে মা কে ফোন দিতেই মা বলল, মেঘলার সাথে চলে আসতে ওখানে সব রাখা আছে। মাহিও ভালো মেয়ের মতো মেহরাবদের বাড়িতে চলে গেলো।
কিরে আপু পুরা বাড়ি ফাঁকা কেনো?? মামা মামিরা সব কই??(রুমে ঢুকতে ঢুকতে বলল মাহি)
আরে আম্মু আব্বু আর ফুপিরা তো সেই কোন সকালে চলে গেছে আমি তুই আর ভাইয়াই বাকি আছে।
কেনো মেহরাব ভাই যাইনি কেনো??
আরে ভাইয়াতো অফিসে গেছে তাই মা বলেছে আমদের দুজনকে ভাইয়ার সাথে চলে যেতে ভাইয়াও এখনি চলে আসবে।
মাহি মনে মনে কিছু একটা ভেবে বলল।
আপু আমরা দুজন তাহলে শাড়ি পড়ে যাবো কি বলো।
কিহ?? শাড়ি?? কিন্তু পরিয়ে দিবে কে?? আমি তো পরাতে পারি না আবার তুইও পারিস না তাহলে??
আরে ইউটিউব আছে তো(মাহি)
কিন্তু ইউটিউব দেখে পরতে গেলেও তো হবে না কেননা ওখানে কেমন যলদি যলদি পড়ে নেয় আমরা কিছুই বুঝবো না, আর একজন কে তো ফোনের কাছে থাকতে হবে যে ভিডিও টা টেনে টেনে দেখাবে,, কে থাকবে আমরা দুজনেই তো শাড়ি পরবো তাহলে।(মেঘলা)
মাহি কিছুক্ষণ ভেবে মেঘলার কানে কানে কিছু একটা বলল।
অসম্ভব আমি এটা কিছুতেই করতে পারবো না ভাইয়া আমাকে মেরেই ফেলবে আমাকে ছেড়ে দে (মেঘলা)
করতে তো হবেই তোমাকে আপু, তুমি যদি এটা না করো তাহলে কিন্তু আমি আর কখনো তোমার সাথে কথা বলবো না বলে দিলাম (মাহি)
কিন্তু ভাইয়া যদি একবার জানতে পারে এসবের পিছনে আমিও আছি তাহলে তোকে তো ধুবেই সাথে আমাকেও।
আরে মেহরাব ভাই জানতেই পারবে না,, এখন আমি তোমাকে যা যা বললাম তুমি তাই তাই করো কোনো ভুল যেনো না হয় (মাহি)
ওকে,,, আল্লাহ বাঁচাও,, কাজটা করলেও মরবো না করলেও মরবো, তুমিই রক্ষা করো (এটা বলতে বলতে মোঘলা চলে গেলো)
এবার বুঝবে মিস্টার মেহরাব চৌধুরী এই মাহি কি জিনিস (একটা শয়তানি হাসি দিয়ে বলল মাহি)
কিছুক্ষণ পর মেহরাব আসলো, এসে সোজা নিজের রুমে গেলো ফ্রেস হয়ে রেডি হবে।
ওয়াশরুম থেকে গোসল করে রুমে এসে ড্রেস পরে আয়নার সামনে দাড়িয়ে হাত দিয়ে চুল ঝাড়ছিলো তখনি মাহি রুমের বাইরে থেকে বলল।
আসবো মেহরাব ভাই (দরজায় টুকা দিয়ে)
মেহরাব চোখ ছোট ছোট মাহির দিকে তাকিয়ে বলল,, আয়।
মাহি রুমে ঢুকে সরাসরি মেহরাব এর সামনে দাঁড়ালো তারপরই,,,,,,
চলবে,,,,,,??
#ভালোবাসি_বুঝে_নাও-2🍁🍁
#সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী(writer)
#৪_পর্ব
.
মেহরাব ভাই আমি এসেছি (দাঁত কেলিয়ে)
তো আমি কী করবো(নিশ্চয়ই মনে মনে কোনো ফঁন্দি এঁটেছে নয়ত এতো মিষ্টি করে কথা বলছে কেনো)
উমন করেন কেনো একটু ভালো করে কথা বললে কি হয়,, আচ্ছা বাদ দেন শোনোন না আমার না আপনার একটা হেল্প লাগবে।
ওহ তাহলে এই বেপার সাহায্য চাই আমার হুম, মনে মনে বলল মেহরাব।
কেমন সাহায্য??
আরে শুনুন না, আমি আর মেঘলা আপু ভাবছি মীরা আপুর জন্মদিনে শাড়ি পড়ে যাবো কিন্তু কেউই শাড়ি পড়তে পারি না তাই বলছিলাম কি।
কি বলতে চাইছিস আমায় তোকে শাড়ি পড়িয়ে দিতে হবে??( ভ্রু কুঁচকে বলল মেহরাব)
না না তা না, আপনি শুধু একটু দেখাই দিলেই হবে।
আমি কীভাবে দেখাই দেবো আমি কি শাড়ি পড়তে পারি নাকি??
আপনি শুধু ইউটিউব দেখে আমাকে একটু বলে দিলেই হবে তারপর আমি নিজেই পরতে পারবো।
এতে আমার কি লাভ??
প্লিজ মেহরাব ভাই এমন করেন না। একটু সাহায্য করলে কি হয়, আমি ছোট মানুষ ভেবে আমার ভুলগুলো ক্ষমা করে একটু সাহায্য করেন প্লিজ।
ওকে ওকে ঠিক আছে করছি।
এই বলে মেহরাব ফোন নিয়ে ইউটিউব এ গেলো তারপর ওখান থেকে একটা শাড়ি পড়ার ভিডিও বার করে টেবিলের উপর রেখে ওখানে যেমন যেমন করে শাড়ি পড়ছে মেহরাব ও মাহিকে তেমন তেমন করে পড়তে বলছে,,, কুঁচি দেওয়ার সময় মাহি বলল।
ও আচ্ছা আমি বুঝতে পেরেছি,, শাড়িটা এভাবে ধরে তারপর এভাবে উল্টাইয়া পাল্টাইয়া এমন করে গুঁজে দিতে হবে তাইতো??
আরে না, হয়নি এভাবে না দাঁড়া আমি তোকে দেখাচ্ছি।
( প্রায় সব গল্পেই এমন সিচুয়েশনে নায়ক রাগ করে নায়িকার হাত থেকে শাড়ি নিয়ে নিজে পড়িয়ে দেয় কিন্তু এখানে এমন কিছুই হবে না৷, কেননা কাহিনি মে টুইস্ট হে😁😁)
এই বলে মাহি খাটের ওপর রাখা আরেকটা শাড়ি যেটা মেঘলা পরবে বলেছিলো, ওটা নিয়ে মেহরাব নিজে পরে মাহিকে বুঝাতে লাগল এমন ভাবে বুঝাচ্ছে যেন মনে হচ্ছে কোনো অংক টিচার তার একজন ফেল করা ছাত্রী কে খুব মনোযোগ দিয়ে অংক বুঝাচ্ছে।
দেখেছিস এভাবে শাড়ি পড়তে হয়,,, আমি একবার দেখেই বুঝে গেছি (শাড়িটা পড়ে মেহরাব ভাব নিয়ে বলল)
হুম মেহরাব ভাই বুঝলাম,, আর এটাও বুঝলাম যে আপনার মাথায় হেব্বি বুদ্ধি,, এখন যায় আমি।
সে কিরে শাড়ি পরবি নাহ??(মেহরাব নিজের গায়ের শাড়িটা খুলতে খুলতে বলল)
নাহ পড়বো না, যেটার জন্য এসেছিলাম সেটা হয়ে গেছে এখন আমি যাই। (এই বলে মাহি নাচতে নাচতে চলে গেলো আর মেহরাব ওখানেই বোকার মতো দাঁড়িয়ে থাকল, কি যে হলো কিছুই বুঝলাম নাহ)
,,,,,,জন্মদিন পার্টিতে,,,,,,
মেহরাব এর সাথে মাহি আর মেঘলা চলে এসেছে সারা রাস্তা তো মাহি হেব্বি মুডে ছিলো ,, আর মেঘলা খুব ভয়ে ভয়ে ছিলো,, যে সে চুরি করেছে আর পুলিশ এই ওর ঘাড়টা ধরলো বলে।
গাড়ি থেকে নামার সময় মেঘলা আর মেহরাব নেমে গেছে তখনি মাহি গাড়ি থেকে না নেমে মেহরাব কে উদ্দেশ্য করে বলল।
আমার গাড়ির দরজা টা খুলে দিন আমি নামবো (অনেকটা ভাব নিয়ে)
হোয়াট?? আমি?? কখনোই না (রেগে বলল মেহরাব)
দিবেন না তো??
নাহ।
তাহলে এটা সবাইকে দেখিয়ে দিই(মাহি ফোন বার করে ফোনে মেহরাব এর শাড়ি পড়া পিকটা বার করে বলল)
পিকটা দেখে মেহরাব রেগে চোখ লাল করে মেঘলার দিকে তাকালো,, কেননা মাহিকে শাড়ি পরিয়ে দেওয়ার সময় তো মাহির হাতে কোনো ফোন ছিলো না আর মাহি ও তো ছবিটা তুলবে না,, তাহলে একমাত্র মেঘলায় ছবিটা তুলেছে কেননা বাড়িতে আর কেউ ছিলো না,,, আপন বোন হয়ে এমন টা করতে পারলো?? মেহরাব এর মনে হচ্ছে মেঘলার কানের নিচে একটা দিতে।
ওদিকে মেহরাব এর তাকানো দেখে মেঘলা ভয়ে হাতের নখ কাঁমড়াতে কাঁমরাতে মনে হয় আঙুল টাই খেয়ে ফেলবে এমন অবস্থা।
কি হলো ওভাবে তাকিয়ে আছেন কেনো?? যতই চাপাচাপি করেন কোনো লাভ নাই, যা বলছি তাই করেন নইলে কিন্তু এটা সবাইকে দেখিয়ে দেবো (মাহি)
মেহরাব দাঁতে দাঁত চেপে মাহি যা বলল তাই করল, তারপর হনহন করে ভিতরে চলে গেলো।
আমি শেষ,, আল্লাহ জানে আমার কপালে কি আছে (ভয়ে ভয়ে বলল মেঘলা)
আরে এতো ভয় পাও কেনো,, আমি আছি তো (মাহি)
হুম তুই আছিস বলেই তো ভয় (বিরবির করে বলল মেঘলা)
কি হলো আপু কিছু বললে??
নাহ কিছু না চল।
আরে মেহরাব বাবা যে কত সুন্দর লাগছে তোমাকে বাহ ছেলেই একখান (মেহরাব এর গাল টেনে বলল,, এলিনা। এলিনা হলো মেহরাব এর খালার প্রতিবেশী,,তবে মহিলা টার একটাই স্বভাব যাকে দেখবে তারই গাল টিপে দেবে..আর মেহরাব এখানে আসে সেখান থেকেই ওকে চেনে)
জি আন্টি ভালো (বিরক্তি নিয়ে,,, হালকা হাসার চেষ্টা করে,,, এমনি তেই মেজাজ খারাপ তারপর আবার এনার কান্ড পুরা মাথাটাই নষ্ট করে দেবে এখন)
মেহরাব এর অবস্থা দেখে তো মাহির হেব্বি হাসি পাচ্ছে।
আরে মেহরাব তুমি এসে গেছো আসো আমি তোমার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম,, এখন একসাথে কেক কাটবো(মীরা মেহরাব এর হাত ধরে বলল,,,আর মীরা হলো মেহরাব এর খালার একমাএ মেয়ে)
মীরা তোকে কতবার করে বলেছি আমাকে ভাই বলবি,, মনে রাখিস আমি তোর অনেক বড়। (মীরার থেকে হাত ছাড়িয়ে নিয়ে)
ওকে বলবো বলবো এখন চলো তো।
তারপর ওরা সবাই মিলে কেকটা কাটলো মীরা এক টুকরো কেক নিয়ে মেহরাব কে খাওয়াতে গেলে।
আমি মিস্টি খাইনা..
তাই কি মেহরাব আজকে অন্তত খা মীরা এতো করে বলছে যখন (মীরার মা)
সরি খালা মনি আমি খারো জন্য নিজের অভ্যাস বদলাতে পারবো না (এই বলে মেহরাব ওখান থেকে চলে গেলো)
মীরা রাগে দুঃখে হাতে কেকটা সামনে ছুঁড়ে মারলো আর সেটা সোজা গিয়ে একটা ছেলের মুখে লাগল।
আরে কে করল এটা কানা নাকি চোখে দেখতে পাইনা নাকি রাবিশ (ছেলেটা)
মাহি ওখানেই মেঘলার সাথে ছিলো,, ছেলেটার কথাশুনে ওর হাতে থাকা রুমালটা ছেলেটার দিকে দিলো,।
নিন ভাইয়া এটা দিয়ে পরিষ্কার করে নেন।
ছেলেটা মাহির হাত থেকে রুমালটা নিয়ে নিজের মুখটা মুছে,,, মাহিকে উদ্দেশ্য করে বলল।
ধন্যবাদ।
ওকে ঠিক আছে,,
আমি নেহাল আপনি??
ছেলেদের এই একটা সম্যসা কোনো মেয়ে একটু ভালো কথা বললেই,, নাম কি বাসা কই সব কিছু জিগাস করতে শুরু করে যত্তসব, এই বলে মাহি চলে গেলো।আর নেহাল ওখানেই হা করে দাড়িয়ে থাকল কি যে হলো কিছুই বুঝলাম না।
মেঘলা সে কখন থেকে মাহিকে খুঁজছে কিন্তু তার তো কোনো খোঁজই নেই,, কোথায় যে গেলো মেয়েটা,,, মেঘলা মাহিকে খুঁজতে খুঁজতে সামনে তাকিয়ে দেখল মেঘ দাঁড়িয়ে কার সাথে যেনো কথা বলছে।
আরে এই পুলিশটা এখানে কেনো?? যদি একবার দেখে নেয় তাহলে আমি শেষ, পালাই বাবা,, এই বলে যেই মেঘলা পালাতে যাবে তখনি,,,,,
এই মেয়ে দাঁড়াও ওখানে।
চলবে,,,,,,
(দুটো কথা বলে রাখি প্রথমত এখানে সিজন১ এর সাথে সিজন ২ এর কোনো মিল নেই,, ওখানে মাহি চুপচাপ আর ভিতু ছিলো আর এখানে মাহি অনেক দুষ্ট আর চঞ্চল,,, দ্বিতীয়ত, এটা নিতান্তই একটা কাল্পনিক গল্প আমি এটা সম্পূর্ণ নিজের মতো করে লিখি,,,,। না কোনো বই দেখে লিখি আর না কোনো মুভি, নিজের মনে আর মাথায় যেটা আসে সেটাই লিখি,, তাই প্লিজ এটা কাল্পনিক ভেবেই পড়বেন বাস্তবের সাথে মেলাতে যাবেন না,,, আর গল্পে অনেক কিছুই থাকে যা বাস্তবে হয় না, কেননা গল্পের গরু গাছেও কিন্তু উঠে এই জন্য গল্পটা কাল্পনিক ভেবে পড়েই কমেন্ট করবেন,, ☺)