মুগ্ধতার ভিরে পর্ব-৯+১০

0
4849

#মুগ্ধতার_ভিরে🥀
#পর্ব__৯/১০
#লেখিকাঃফাতেমা জোহরা নাভিলা

_ভাইয়া পাচঁশত টাকা দাও তো!

নাভিলার এমন কথায় নাফিজ টিভির থেকে চোখ ফিরিয়ে নাভিলার দিকে তাকালো বিপরীতে ভ্রু নাচিয়ে বলে উঠল,

_ হঠাৎ টাকার প্রয়োজন পরলো যে! কি করবি টাকা দিয়ে!

_ আজীব, টাকা দিয়ে মানুষ কি করে! কোনো একটা কারনে লাগবে বলেই তো চাইছি।অযথা তো চাচ্ছি না তোমার থেকে।আব্বু বাসায় থাকলে সেই আব্বু থেকেই চাইতাম কিন্তু আব্বু তো আর বাসায় নেই।তাই তোমার থেকে বাধ্য হয়ে চাইতে হচ্ছে।

_ আরে রাগ করতেছিস কেন! না তো একবারো করিনি যে দিবো না। হঠাৎ করে ছাদ থেকে এসেই কোনো কথা বার্তা নাই ডাইরেক্ট টাকা চেয়ে বসলি তাই শুধু জানতে চাইলাম কি করবি!

_মার্কেট যাবো একটু এভার দাও।

_এই সময়? কয়টা বাজে একবারো ঘড়ি দেখেছিস!আর কার সাথে যাবি শুনি।
কপালটা কুঁচকে বললো,

_ উফফফফ ওহহহহ ভাইয়া মাত্ররো তো পাচঁটা বাজছে এমন ভাবে চিল্লিয়ে কথা বলছো জেনো মনে হচ্ছে আমি রাত দশটা বাজে কোথাও একা যেতে চাইছি।আমার হুট করে এইভাবে রাতেরে বাহিরে যাওয়াতে মহা ভারত অশুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। আর শুনো একা যাচ্ছিনা সাথে রিয়া ও যাচ্ছে তাই চিন্তা করার কোনো কারন নেই। পরশু ভার্সিটিতে নবীণ বরণ আছে কাল তো আবার শুক্রবার মার্কেট পার্ট সব বন্ধ থাকবে। তাই এখন একটু বের হতে হবে টুকটাক কিছু কিনার আছে তাই।

_ সেই যাচ্ছিস ভালো কথা দেখিস কোথাও আবার হারিয়ে গুম টুম হয়ে যাস না। দুই বান্ধপি তো কোথাও গেলে আবার নিখোঁজ এক কথায় লাপাতা হয়ে যাস।তখন আবার হারিকেন নিয়ে সেই আমাকেই খুঁজতে বের হতে হয় তোদের ।

_ভাইয়া!!!
নাভিলা কিছুটা বিরক্তি নিয়ে বলল,

“নাফিজ সোফা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে প্যান্টের পকেটের মানিব্যাগ থেকে একটা এক হাজার টাকার নোট বের করে নাভিলার হাতে গুঁজে দিলো ”

_দর

_এক হাজার দিলে যে!

_হুহ তুই ও কি মনে রাখবি এই নাফিজকে তাই দিলাম।যাহ্ জি লে আপনি জিন্দিগি সিফ এ এক হাজার মে 🥴।আর শুন যাওয়ার আগে ফটাফট আমার জন্য এক কাফ কফি করে দিয়ে যাহ্। তার পর যেখানে যাওয়ার সেখানে খুশি যাহ্। এখন যাহ্ ফুট আমাকে শান্তিতে খেলা দেখতে দেয়,,,
.

.

.
বাসা থেকে বের হয়ে একটা রিক্সা ঠিক করে তাতে চড়ে বসলাম দুইজন।কিছুক্ষন পর রিক্সাটা আপন গতিতে এসে মার্কেটের সামনে থামলো।আজ মার্কেটের এদিকটায় বেশ ভারি ভিড় জমে আছে। মনে হচ্ছে আজ দেশের সব করোনা ভাইরাসজনিত হামলা একদিনেই এখানে হয়ে যাবে। রিয়া মার্কেটে ভিতরের দিকটায় সাহস করে গেলো আমি আর তার সাথে গেলাম না। মার্কেটের ভিতরে গিয়ে চেপ্টা হয়ে যাওয়ার কোনো ইচ্ছে আমার নেই।বাইরের দোকান গুলোতে হেটে হেটে চোখ বুলিয়ে কানের দুল আর রেশমি চুড়ি নিজের জন্য খুঁজতে লাগলাম। অই ভিরে মধ্যে আমি ঢুকলে নিশ্চয় আজ আধ মরা টরা হয়ে বের হবো তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই🌚। সাথে ফ্রিতে করোনার ভয় তো আছেই যাক বড় বাচাঁ গেলো । আমি এই খোলা আকাশের নিচে বাহিরের ফুটপাতেই আপাতত ঠিক আছি বাপুউউ।এভাবে বেশ কিছু সময় হাটতে হাটতে আমার চোখ পরলো ফুটপাতে থাকা এক ছোট কানের দুলের দোকানে। সিলভার ক্লারের মধ্যে ছোট ঝুমকো। ঝুমকো টা গোল সেপের তার উপর চারপাশে সম্পূর্ণ ছোট ছোট সাদা পাথরের নিখুঁত কাজ করা। দূর থেকে দেখতে চিকচিক করছে আমার কাছে এটা বেশ ভালো লাগলো। তাই দেড়ি না করে আমি দোকানে এসে চট করে এটা হাতে তুলে নিয়ে নিলাম দুলটা। এভার দোকানের টুলে উপর রাখা ছোট ঝুড়িতে নজর এসে থমকে পরলো। বাহ এক ঢিলে তো দেখি দুই পাখি মারা যাবে। এখানে তো চুড়ি ও আছে দেখছি ।ছোট ছোট অকেশনে আমার শুধু এমন একটা বাহানার প্রয়োজন হয় মূলত এই দুইটো জিনিস কিনার জন্য। চুড়ির আর ঝুমকো প্রতি ছোট বেলা থেকেই আমার প্রচণ্ড দূবলতা কাজ করে মনে।বেশির ভাগ সময়ই মার্কেটে আসলে এই দুইটা থেকে একটা হলে ও মাস্ট বি নেওয়া চাই-ই চাই আমার।কয়েকটা ক্লার আমার বেশ ভালো লাগলো। নিচে বসে দেখতে দেখতে দুই হাতের মুঠোতে আমি ছয় মুঠ এর মত নিয়ে ফেললাম চুড়ি😁। এভার এই গুলার দাম দোকানদার মামা থেকে জিজ্ঞানো যাক।চুড়ি আর ঝুমকো হাতে নিয়ে উঠে পিছে ফিরতেই,,,,

_ওস্তাকফিরুল্লাহহহহহ
বুকে থু থু দিয়ে,

_নাউজুবিল্লা, এই কি হয়েছে রে এভাবে থু থু দিচ্ছিস কেন।
ক্লান্তি সুরে,

_ এভাবে হুটহাট হুতুম পেঁচার মত চেহারা করে পিছে এসে ঝুকে থাকলে তো দিবোই।এই তুই এইখানে কখন আসলি! তুই না মার্কেটে অই দিকটাই ছিলিস?তাহলে?

_তুই যখন নিচে বসে চুড়ি দেখতে ব্যস্ত ছিলিস তখনই আসছি। তোর কিনা কি শেষ?

_হ্যাঁ অলমোস্ট শেষ তোর?

_নাহ্

_নাহ্ মানে কিছু কি কিনিস নি! তোর হাত তো একদমই খালি দেখছি।

_দূর বাল কিছুই ভালো লাগে না। যাই দেখি একদমই ভাল লাগে না মন মত কিছু নাই। টাকা অযথা ওয়েস্ট করে কি লাভ তাই কিছুই কিনি নি।আগের যা আছে বাসায় তা দিয়ে কোনো মত চালিয়ে দিবো। এখন চল বাসায় যাই হাত পা আর কিছুতেই চলতে চাইছেনা।আকাশ অব্যস্থা কেমন ভার ভার হয়ে আছে হয়তো আবার ও বৃষ্টি আসবে।

_হ্যাঁ চল বইন। সন্ধায় হয়ে গেছে আর ভাইয়া ও বাসায় একা আছে এমনে তার শরীল বেশী ভালো না। এখন যদি বিনা নোটিশে আবার ও বৃষ্টি আসে তাহলে এই ধরিত্রী দুনিয়াতে রিক্সা পাওয়া আমাদের জন্য মহা মুশকিল হয়ে যাবে।

_হ্যাঁ চল

” কিছু দূর হাটতে নাভিলা আর রিয়া একটা রিকশা পেয়ে ও গেলো। রিকশা চড়ে বসে গা এলিয়ে দিলো রিকশা সীটে নাভিলা। কেমন জেনো বড্ডো ক্লান্তি ক্লান্তি লাগছে কম তো আর ধকল হয়নি আজকে।হঠাৎ চোখ খুলে চলন্ত রিকশা মাঝে তাকাতে মনে হলে সে এক ঝলক রাস্তার অই পাশে জায়ানকে দেখলো। হোয়াইট ক্লার থ্রিকোয়াটার প্যান্ট গোলাপি ক্লার টি-শার্ট মাথায় কালো ক্লারে কেপ। মুখে এক ঝাক সেই বিরক্ত নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে জায়ান যেমন ভ্যানিশ হয়ে গেলো। নাভিলা চট করে রিকশা ফাঁকে গুরে পিছু তাকালো জায়ানকে খুঁজতে লাগলো কিন্তু জায়ানকে কোথাও আর দেখতে পেল না।সে কি তাহলে কোনো ভুল দেখলো জায়ানই বা এখানে কি করে আসবে।সে তো ঢাকা থাকে তার জানার মতে।
হ্যাঁ তাই হবে

“নাভিলাকে এভাবে রিকশার পিছু গুরে কাউকে খুঁজতে দেখে রিয়া বলে উঠল,,”

_ এই ঠিক করে বস পরে যাবি তো আর কাকেই বা এভাবে হন্তদস্ত হয়ে খুঁজছিস! কাউকে কি দেখেছিস!

_ কাউকে না অই এই ভাবে দেখছিলাম।
নাভিলা অস্পষ্ট সুরে উত্তর দিলো,
_____________________________
মার ডাকে সকালে এক প্রকার ধড়ফড়িয়া উঠে বসল নাভিলা।ঘুম থেকে উঠে খাট বরাবর দেওয়াল ঘড়ির দিকে তাকাতে বড়সড় শকড খেলো। ঘড়িতে দশটা বাজছে।চট জলদি দূরত্ব খাট থেকে নেমে পরলো।বালিশের নিচে থেকে ফোন হাতে নিয়ে অন করে দেখে রিয়ার ত্রিশটার উপর মিসডকল। অসংখ্য নিও মেসেজ। মাথা হাত দিয়ে ঠাস করে বসে পরে খাটে। আজ শনিবার বার আজ তাদের নবীণ বরণ আর আজই তার এমন কুম্ভকর্ণ এর মত একটা ঘুম দিতে হলো। নিজের উপর নিজেরই রাগ উঠছে নাভিলার। কাল শুক্রবার সুবাদে এলার্ম অফ ছিলো রাতে আবার পূনরায় এলার্ম দিতে ভুলে গিয়েছিলো। রুম থেকেই মার উদ্দেশ্য চিল্লিয়ে বলে উঠে,,,

_আম্মুউউউউউউউউউ আমাকে ডাক দাওনি কেনো,,,,,,

_আমি তোকে ডাক দিয়েছি তুই বলেছিস আরো পাচঁ মিনিট ঘুমাতে দাও। আমি নাকি তোকে শান্তিতে একটু ও ঘুমাতে দেই না তাই আর ডাক দেইনি।
রান্নাঘর থেকে বিপরীতে চিল্লিয়ে বলে উঠলেম মিসেসে উম্মে,

_আমি বললেই আমাকে ঘুমাতে দিতে হবে!আমিতো ঘুমের ঘোরে এমনটা বলে ছিলাম
তুমিতো বুঝবা এটলিস্ট । আমাকে ডাক দিয়ে উঠানো তো উচিত ছিলো তোমার।দূরররর,

_এখন সব দোষ ননদ দোষ। আমার উপর এখন রাগ দেখাচ্ছিস কেনো। নিজে পরে পরে করে পরে পিঠে বেগোড়ে ঘুমাবে আর রাগ দেখাবে উঠে কাকে আমাকে।

” নাভিলাকে আর কিছু না বলে ফোন চার্জে দিয়ে চট করে দূরত্ব ওয়াশরুমে ছুটলো ফ্রেশ হতে। এখন তার জলদি করে রেডি হতে হবে নাহলে আর যাওয়া সম্ভব হয়ে উঠবে না।ফ্রেশ হয়ে এসে আলমারি থেকে মার কালো ক্লারে জর্জেট এর একটি শাড়ি বের করলো। মার সাহায্যে শাড়িটা পরে ও নিলো। ঘড়ি দিকে তাকিয়ে দেখে এগোরাটা বেজে গেছে সাজার মত এত শত সময় নেই হাতে।চুল গুলো এলোমেলো করে আধ খোঁপা করে নিলো, কানের মধ্যে কালকের কিনা সেই ছোট ঝুমকোটা পরে নিলো যাহ্ শাড়ির সাথে ভালো ভাবে মেচ করছে।,এক হাতে সিলভার ক্লারে ঘড়ি আর এক হাতে কালো ক্লারে কিছু রেশমি চুড়ি পরে নিলো। ঠোঁট হাল্কা লাল ক্লারের লিপস্টিক, চোখে মাস্কারা দিয়ে দিলো। আইলানার দিতে পারেনা আর কাজলে এলার্জি তাই চোখে শুধু মাস্কারা দিলো। মুখমণ্ডলীয় হাল্কা ফেশ পাউডার মিশিয়ে নিলো । আয়না নিজের দিকে একবার তাকিয়ে মুখটা গুম্রো করে হতাশের সুরে বললো মোটামুটি চলবে।আমাকে কেই বা দেখবে হ্যাঁ করে। সবায় সবার মত সেখানে ব্যস্ত থাকবে। আমার কোনো আশিক টাশিক ও নাই যে আমি তার জন্য এত অযথা সাজবো।তাই এই সখিনার লুক আমার জন্য পারফেক্ট ।হ্যায়ায়ায়া এর থেকে আপাতত আর বেশী সাজার শক্তি আর হাতে সময় দুইটাই আমার কাছে বিন্দুমাত্র অবশিষ্ট নেই।

“রিয়া নাভিলার অপেক্ষা করতে করতে রাগে ক্ষোপে তার খালাতো বোন আপন সাথে ভার্সিটিতে চলে আসছে । নাভিলাকে মেসেজ করে জানিয়ে দিয়েছে সাথে এক ঝাক গালিতো ফ্রিতে আছেই। আজ শনিবার নাফিজের ব্যাংক বন্ধ তাই সে সুবাদে নাভিলা কিল কিনারা না পেয়ে নাফিজের সাহায্য ভার্সিটিতে উদ্দেশ্য রওনা দিলো।

নাভিলা ভার্সিটিতে আসতে আসতে প্রায় দুইটার কাছাকাছি বেজে গেছে।রাস্তা যানজট অনেক ছিলো তাই এত লেট হল আসতে।নাফিজ বোনকে ভার্সিটিতে নামিয়ে দিয়ে চলে গেলো। একা একা ভার্সিটিতে ঢুকতে আজ কেমন জানি আনইজি লাগছে নাভিলার ।সাথে ভয় ও করছে। একে তো শাড়ি পরে হাটতে খুব কষ্ট হচ্ছে দ্বিতীয় তো সেয় একা। ভার্সিটি তে আজ ভারি ভীর ও জমে গেছে কেমন গম গম করছে চারপাশটা। নাভিলা ধীরে সুস্থে শাড়ির কুচি গুলো এক হাতে উঁচু ধরে ভার্সিটিতে ঢুকে আশেপাশে ঘুরে ঘুরে দেখছে আর রিয়াকে খুঁজছে হঠাৎ মাঠে স্টেজ থেকে মেয়েদের অনেক চিল্লাচিল্লি শুনতে পেলো। দূর থেকে নাভিলা দাঁড়িয়ে দেখতে পেলো সব মেয়েরা ওইখানে কেমন ভির করে কেমন দাঁড়িয়েছে। নাভিলা বেশ আগ্রহ নিয়ে সেদিকে গেলো। সেখানে মেয়েদের সেই লেভেলের ঠ্যালাঠ্যালির শেষ নাই। নাভিলা কয়েকটা মেয়েকে ধাক্কিয়ে সামনে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকে কি হচ্ছে দেখার জন্য। কিন্তু পাচ্ছে না যেতে হঠাৎ ভিরে মধ্যে তার হাত শক্ত করে ধরে হেচরা টেনে কেউ টান দিয়ে অগ্নিময় হয়ে সামনে ফাঁকা জায়গায় এনে দাঁড় করালো । সামনে তাকিয়ে যাকে দেখলো নাভিলা যেমন জান ফিরে ফেলো তার। নাভিলা দাঁত কেলিয়ে বলে উঠল,,

_রিয়া তুই,

__অই খচ্চোরনি কথা কইবিনা। কই ছিলিস তুই ফোন কেন ধরস নাই।

__তাই বলে কি আমাকে একা রেখে চলে আসবি।

_তো কি করতাম বসে থাকতাম কত শত শত ফোন দিয়েছি তোকে দেখছিলি! আর ফোন কই থাকে তোর চান্দের দেশে!

_মিথ্যুক মাত্ররো ত্রিশটা দিয়েছিস।

_তো দিয়েছিতো তুই কি করেছিস।

_আচ্ছা রাগ করিসনা জানু। এখন বলতো এখানে ঠিক কি হচ্ছে সবায় এত পাগলের মত চিল্লাচ্ছে কেনো!

_নো আইডিয়া বেবী , আমিতো দেখার জন্য এখানে আসছিলাম ভিরের মধ্যে হঠাৎ তোকে দেখলাম তাই তো টেনে তোকে এখানে নিয়ে আসলাম।

_আচ্ছা চল সামনে ফ্রিতে চেপা শুঁটকিমাছ হয়ে দেখে আসি।

_হ্যাঁ চল

ঠ্যালাঠ্যালিতে সামনে গিয়ে দেখে জায়ান স্টেজে দাতঁ কেলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে হাতে তার মাইক। নাভিলা বিরক্তি নিয়ে বল উঠল,

“উফফফ এই খচ্চোর ছ্যেমড়ার জন্য এত কষ্ট করলাম আমি দূর মোডই নষ্ট আমার। আর এখানে এত চিল্লানের মত কি আছে বইন আমি এটাই বুঝিনা। সামান্য স্টেজেই গিয়েই তো দাঁড়িয়েছে আর তাতে এরা এত চিল্লাচ্ছে কেনো ”

পাশ থেকে একটা মেয়ে বলে উঠল,

_ফাস্ট ইয়ার!

_জ্বী

– তাইতো বলি এই কথা কেনো বলছো ।শুনো আমরা এখানে শুধু আমাদের ক্রাশ বয় জায়ানের মারাত্মক ভয়েজে গান শুনার জন্য দাঁড়িয়ে আছি বুঝলা।

_সামান্য একটা গান শুনার জন্য এত ভির!

_তা শুনলেই বুঝবে।

চলবে,,,