শ্রাবন মেঘের বর্ষন পর্ব-১২

0
322

#শ্রাবন_মেঘের_বর্ষন🍁
#লেখনীতে:#তানজিল_মীম
#পর্ব:১২

—–“হাত ছাড়ুন আমার…

“একপ্রকার ক্ষিপ্ত মেজাজে কথাটা বলে উঠলাম আমি তিহান ভাইয়াকে’!!আর আমার কথা শুনে তিহান ভাইয়া হতাশ হয়ে বললোঃ

—–“আমার কথাটা তো শোন…

—–“আমি আপনার কোনো কথা শুনতে চাই না হাত ছাড়ুন আমার….

—–“নাফিয়া…

——“হাত ছাড়ুন বলছি….

——“না ছাড়বো না আগে আমার কথাটা তো শোন তুই যা দেখেছিস তা সব সত্যি ন…

“আর কিছু বলার আগেই রিয়া আপু ডাক দিল তিহান ভাইয়াকে’!!যা দেখে আরো মেজাজ বিগড়ে গেল আমার’!!তাই চেঁচিয়ে বলে উঠলাম আমিঃ

—–“হাত ছাড়ুন আগে…

——“তুই আগে…

“আর কিছু বলার আগে টান মেরে নিজের হাত বের করে আনলাম আমি’!!তারপর আর কিছু না বলেই হন হন করে চলে আসলাম আমি’!!

“এদিকে তিহান..

“অসহায় ভাবে তাকিয়ে রইল নাফিয়ার দিকে’!!কি করবে না করবে কিছুই বুঝতে পারছে না তিহান’!!

_________________

“রিকশায় বসে আছি আমি’!!সবকিছু এলেমেলো লাগছে,শূন্যতায় আঁটকে গেছে হৃদয়,চোখ বেয়ে আপনা-আপনি পানি গড়িয়ে পড়ছে, কষ্ট হচ্ছে খুব

—–“কিভাবে পারলো তিহান ভাইয়া আমার সাথে এমনটা করতে’!!(মনে মনে)

“কম হলেও এখন রাত_৯ঃ০০টা বাজে চারপাশ পুরো অন্ধকারে ঢেকে গেছে’!!কিছু আলোকিত ল্যাম্পপোষ্টের নিচ দিয়ে ব্যস্ত রাস্তার মাঝ দিয়ে রিকশা করে যাচ্ছি আমি’!!অনেকেই হা হয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে’!!কিন্তু সেদিকে আমার কোনো লক্ষ্য নেই’!!আমার তো বার বার শুধু চোখের সামনে তিহান আর রিয়ার জড়িয়ে ধরার দৃশ্য ভেসে আসছে’!!

—-“আসলে দোষ আমারি ছিল শুধু শুধু তিহান ভাইয়াকে নিয়ে এত এত স্বপ্ন দেখেছি আমি,কখনো মাথাতেই আসে নি তিহান ভাইয়া তো অন্য কাউকেও ভালোবাসতে পারে সবসময় শুধু নিজের দিকটাই ভেবে গেছি,শুধু বেহায়ার মতো তিহান ভাইয়ার ইনগোর গুলো সহ্য করেছি আর ওনাকে বিরক্ত করেছি,কিন্তু আর নয়, নাফিয়া কারো ভালোবাসার মাঝখানে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে না, তুমি থাকো তিহান ভাইয়া তোমার মতো এই নাফিয়া আর কোনোদিন তোমায় বিরক্ত করবে না,কোনোদিনই না…(মনে মনে)

“তারপরও ভাবতেই কষ্টে শ্বাস বন্ধ হয়ে আসার উপক্রম আমার’!!এই জন্যই বলে কাউকে অতিরিক্ত ভালোবাসতে নেই,কাউকে নিয়ে অতিরিক্ত মায়ায় জড়াতে নেই….

“চোখ বেয়ে অজোর হারে পানি পরতে লাগলো’!!
সাথে হাজারো কল্পনা জল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে লাগলো নাফিয়া!’

________________

“নিজের রুমে ঢুকে লাগাতার এটা ওটা ভেঙে চলেছে তিহান’!!নিজের ওপর নিজেরই রাগ হচ্ছে তার,কেন সে একবার পিছন ঘুরে দেখলো না সে কাকে তার মনের কথাগুলো বলছে!’টেবিলের উপর থাকা কাঁচের গ্লাসটা শক্ত করে মুঠোয় করে নিলো সে’!!রাগে মাথায় আগুন জ্বলছে তিহানের’!!তবে এই মুহুর্তে এই রাগের একমাএ কারন সে নিজেই তাই তো আরো বেশি রাগ হচ্ছে তার…

“হাতের গ্লাসটা এতটাই জোরে চেপে ধরেছে তিহান যে কয়েকমূহুর্তের মধ্যেই ওটা ভেঙে তিহানের হাতে ঢুকে যায়’!!সাথে সাথে হাত দিয়ে পড়তে লাগলো রক্ত’!!এমন সময় তিহানের রুমে ঢুকলো রিয়া’!!তিহানের কান্ড দেখে দৌড়ে যায় সে তিহানের সামনে’!!তিহানের হাত ধরে বলে উঠল সেঃ

—–“এগুলো কি করছিস তুই…

—–“হাত ছাড় তুই আমার…

——“এমন কেন করছিস তুই…

——“তোকে আমি আমার হাত ছাড়তে বলেছি রিয়া,এখান থেকে যা তুই…..

——“কেনো তুই সামান্য ওই মেয়েটার জন্য নিজেকে কষ্ট দিচ্ছিস….

“রিয়ার এবারের কথা শুনে তিহান আরো রেগে যায়,টান মেরে নিজের হাত রিয়ার কাছ থেকে নিয়ে এসে চেঁচিয়ে বলে উঠল সেঃ

—–“তোকে এখান থেকে যেতে বলেছি আমি…

——“আমি তো…

——“যা এখান থেকে…(ধমক দিয়ে)

“তিহানের কাজ আর ধমক শুনে ভয়ে কেঁপে উঠল রিয়া’!!এই প্রথমবার তিহান তার সাথে এতটা রেগে কথা বললো তাও আবার ওই নাফিয়ার জন্য, রিয়া আর কিছু না বলেই বেরিয়ে যায় রুম থেকে’!’রাগ হচ্ছে তার…

“সারাবাড়ি জুড়ে মিউজিক সিস্টেম বাজার কারনে তেমন কেউ শুনলো না তিহানের ভাঙা চোড়ার শব্দ’!!

||

“রাত_১১ঃ০০টা….

“ওয়াশরুমের ঝর্ণার নিচে বসে অজস্রহারে কেঁদে চলেছে নাফিয়া’!!পড়নের শাড়ি ভিজে একাকার হয়ে গেছে তার’!!পাক্কা এক ঘন্টা যাবৎ সাওয়ার নিচ্ছে সে’!!চোখ মুখ ফুলে লাল হয়ে গেছে’!!তারপরও চোখের পানি পড়া কমছে না,বুকের ভিতর চাপা কষ্টগুলো চোখের পানির মাঝে বিলিন হয়ে যাচ্ছে’!!সে কিছুতেই মানতে পারছে না’!!কয়েক ঘন্টা আগেই বাসায় ঢুকেছে নাফিয়া,কাউকে কিছু না বলেই সোজা নিজের রুমে ঢুকে ওয়াশরুমে চলে যায় সে’!!আর সেই থেকেই ভিজে চলেছে!’

.

“অন্যদিকে ওয়াশরুমের দরজার বাহিরে নাাফিয়ার আম্মু চিন্তিত কন্ঠে বলে উঠলঃ

—–“কি হয়েছে নাফিয়া এতরাতে গোসল করছিস কেন?

“আম্মুর কথা শুনে হকচকিয়ে উঠলো নাফিয়া’!!একটু স্বাভাবিক কন্ঠে বলে উঠল সেঃ

——“বেশি কিছু না আম্মু প্রচুর গরম লাগছিল তাই আর কি…

——“আর কতক্ষন সাওয়ার নিবি তুই…

—–“এই তো আম্মু এখনই বের হচ্ছি….

——“তাড়াতাড়ি আয় আমরা সবাই তোর জন্য অপেক্ষা করছি…

——“তুমি যাও আম্মু আমি আসছি….

——“তাড়াতাড়ি আয়…

——“হুম এই তো আসছি…

“কিছুক্ষণ পর….

“লম্বা সাওয়ার নিয়ে বেরিয়ে আসলো নাফিয়া’!!পরনে তার প্লাজু সাথে একটা ব্লাক টি-শার্ট’!!চুলগুলো দিয়ে টপ টপ করে পানি পরছে,তার সাথে চোখ জ্বলছে আর অনেকক্ষণ যাবৎ গোসল করায় চোখ লাল হয়ে গেছে নাফিয়ার’!!ক্লান্ত লাগছে খুব সাথে শরীরের সমস্ত শক্তিও লোপ পাচ্ছে তার’!!বিছানায় গা এলিয়ে দিল নাফিয়া,চোখের কোনে আবারো এসে ভর করলো পানি নাফিয়ার’!!এমন সময় রুমে প্রবেশ করল নাফিয়ার আম্মু’!!মেয়েকে এইভাবে শুয়ে থাকতে দেখে অবাক হয়ে বললো সেঃ

——“কি হয়েছে তোর, খাবি না…

——“আজকে আর খেতে ইচ্ছে করছে আম্মু,আমি রাত্রিদের বাড়ি থেকে খেয়ে এসেছি আমার এখন ঘুম পাচ্ছে তাই ডিস্টার্ব করো না…

“বলেই উল্টোদিক ঘুরে শুয়ে পড়ে নাফিয়া’!!মেয়ের কাজে প্রথমে একটু অবাক হলেও পরক্ষণেই হয়তো ক্লান্ত লাগছে তাই ঘুমিয়ে পড়েছে এটা ভেবে নাফিয়ার আম্মু বলে উঠলঃ

—–“ঠিক আছে…

——“শোনো আম্মু…

——“হুম বল…

——“যাওয়ার সময় লাইটটা অফ করে যেও…

——“ঠিক আছে..

“বলেই নাফিয়ার আম্মু লাইট অফ করে চলে যায়!’

“লাইট অফ করতেই পুরো রুম অন্ধকারে ঢেকে গেল!’শুধু জানালা ভেদ করে রাতের জোৎসা ভরা আলো বয়ে আসলো রুমে’!!বিছানায় শুয়েই আকাশটা পরিষ্কার দেখা যায় নাফিয়া রুম থেকে’!!একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল নাফিয়া আকাশের পানে, চোখ বেয়ে পরছে পানি,বুকের ভিতর হাহাকার করছে তার’!!চোখ বন্ধ করলেই তিহান আর রিয়ার জড়িয়ে ধরার প্রতিচ্ছবি ভেসে আসছে বার বার,সবকিছু অসহ্য লাগছে….

“আজ রাতে কি ঘুম আসবে নাফিয়ার…?

||

“আরেকজন…..

“এলেমেলো ভাবে পড়ে আছে তিহানের রুম!বিছানার চাদরসহ এলেমেলো ভাবে ভেঙেচুরে আছে রুমের জিনিসপএ!’হাতের রক্ত জমে হাতেই লেগে আছে তিহানের’!!বেশ কয়েকবার তাকে ডাকতে এসেছিল রাত্রি’!!কিন্তু তিহান প্রত্যেকবারই রেগে তাড়িয়ে দিয়েছে তাকে’!বেলকনিতে বসে আছে তিহান’!!হাতে তার সিগারেট, বেশ কয়েকটা শেষ করে ফেলেছে তিহান!’আজ রাতটা আধো কি শেষ হবে ভেবে পায় না তিহান, এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তিহান ওই আকাশের দিকে’!!মনে মনে ভেবে নিয়েছে তিহানঃ

—–“কালকে তাড়াতাড়ি ভার্সিটি গিয়েই সবার আগে নাফিয়ার সাথে কথা বলবে সে’!!কথা বলতে না চাইলে জোর করে কথা বলবে তারপরও কথা সে বলবেই,এই ভুল বোঝাবুঝি বেশিদিন থাকতে দিবে না তিহান, নাফিয়ার এই ব্যবহার তিহানের একদমই সহ্য হচ্ছে না,তাই তো ঘুম নেই তার…

“এই মুহুর্তে মনে হচ্ছে তার সে কতটা ভুল করেছিল নাফিয়াকে ইনগোর করে…

__________________________________________

______________________

!!

“মাঝখানে কেটে গেল ৭ দিন….

“এই সাতদিনে দেখা হয় নি তিহানের সাথে নাফিয়ার’!!কারন নাফিয়া এই সাতদিনে একদিনও ভার্সিটি যায় নি’!!অবশ্য যাবে কি করে সাতদিন জ্বর সাথে প্রচন্ড মাথা ব্যাথার যন্ত্রণায় বিছানা ছেড়ে উঠতে পারে নি নাফিয়া’!!তিহান অনেক বার চেয়েও পারে নি কথা বলতে নাফিয়ার সাথে’!!এই সাতদিনে তিহান পুরো পাগল হয়ে গেছে’!!সাথে অস্থিরতা আর নাফিয়ার ভুল না ভাঙার যন্ত্রণা সব মিলিয়ে অসহ্য মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিল তিহান’!!

.
.
.

“আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছে নাফিয়া’!!আজ বহুদিন পর সে ভার্সিটি যাবে’!!এই সাতদিন কিভাবে যন্ত্রণা আর কষ্টে কেটেছে নাফিয়ার সেটা শুধুমাএ নাফিয়াই জানে’!!আজ সেগুলো ভাবলেও আরো কষ্ট লাগে নাফিয়ার’!!আজ আবার নাফিয়া ভার্সিটি যাবে সাতদিন পর’!!সে কোনোভাবেই আর তিহানের সামনে যেতে চায় না’!!এখন থেকে তিহানের কাছ থেকে দূরে দূরে থাকবে সে’!!রাত্রি মিতুকেও এখন পর্যন্ত কিছু বলে নি নাফিয়া’!!আধও বলবে কিনা জানা নেই নাফিয়ার’!!আজকে একটা কমলা রঙের জর্জেট থ্রি-পিচ পড়েছে নাফিয়া,চুলগুলো সামনে দিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে খুলে দিয়েছে,হাল্কা মেকাপ দিয়ে চোখে কাজল সাথে হাল্কা লিপস্টিক দিয়ে তৈরি সে,আজ অনেকদিন পর সেজেছে নাফিয়া’!!এমন সময় ফোন বাজলো নাফিয়ার বরাবরের মতো আজও রাত্রি ফোন করেছে তাকে’!!নাফিয়া ফোনটা তুলেই বলে উঠলঃ

—–“আসছি আমি…

“ব্যস এতটুকু বলেই ফোন কেটে দেয় নাফিয়া’!!রাত্রিকে কিছু বলার সুযোগই দিলো না নাফিয়া…..

.

“সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামছে নাফিয়া’!!আর তার থেকে কয়েক-কদম দূরেই ডাইনিং টেবিলের পাশে দাঁড়িয়ে খাবার বারছে নাফিয়ার আম্মু’!!মেয়েকে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে দেখে মুচকি হেঁসে বলে উঠল সেঃ

—–“এসেছিস তুই…

——“হুম আম্মু এখন তাড়াতাড়ি খেতে দেও তো আমায়…

——-“হুম…

“তারপর আর কি নাফিয়া চটজলদি ব্রেকফাস্ট সেরে বেরিয়ে পড়ে ভার্সিটি যাওয়ার উদ্দেশ্যে….

.

“অন্যদিকে আরেকজন….

“তিহানও আজকে ভার্সিটি যাবে রাত্রির কাছ থেকে জেনেছে সে আজকে নাফিয়া ভার্সিটি যাবে’!!সেই সাথে এক্সাইটিংয়ে আছে তিহান’!!আজই নাফিয়ার সাথে কথা বলে সবটা গুছিয়ে নিবে তিহান’!!এই কয়েকদিন নাফিয়াকে দেখতে না পেয়ে তার অবস্থা কি হয়েছে সবটা বলতে তিহান’!!তার বিশ্বাস সবটা শুনলে নাফিয়া আর ভুল বুঝতে পারবে না তাকে….

“আজকে তিহান একটা ক্রিম আর ব্লাক কালারের কম্মিনিশনে ফুল হাতার টিশার্ট পড়েছে,সাথে ব্লাক জিন্স, চুলগুলো সুন্দর করে সাজিয়ে নিয়েছে সে’!!সাথে ঘড়িটা পড়ে বেরিয়ে গেল তিহান রুম থেকে….

________________

“ভার্সিটির গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছি আমি’!!বুকের থার্ডবিট কয়েকশত বার ওঠানামা করছে’!!আবারো কষ্ট হচ্ছে আমার’!!বার বার তিহান ভাইয়ার মুখটা ভেসে আসছে সামনে’!!

—–“উফ আর ভালো লাগছে না আমি সত্যি সত্যি পাগল হয়ে যাবো….

“এসব ভেবে জোরে জোরে শ্বাস ফেলে ঢুকে পরলাম আমি ভার্সিটির ভিতর’!!সামনে এগোতেই সামনে চলে আসলো তিহান ভাইয়া উল্টো দিক দিয়েই হেঁটে এগিয়ে আসছে সে’!!তাকে দেখেই বুকের ভিতর দক করে উঠলো আমার’!!কি সুন্দর লাগছে তাকে তাড়াতাড়ি চোখ নামিয়ে নিলাম…

“তিহান ভাইয়াকে দেখেও না দেখার মতো এগিয়ে গেলাম আমি’!!আজ আর কোনো পাগলামি করবো না’!!এতদিন আমায় যেভাবে ইনগোর করেছে আমিও সেভাবে ইনগোর করব!অবশ্য এতে তার কিছু যায় আসবে না তবুও আমিও তার মতো ভালো থাকতে চাই,আর আমি ভালো থাকবো,নিশ্চয়ই থাকবো,যে আমার জন্য কাঁদে না আমিও তার জন্য কাঁদবো না…..

||

“দুপুরের কড়া রোদের মধ্যে….
“সেই মাঠের সেই বেঞ্চটায় বসে আছে নাফিয়া’!!আজ একবারও নাফিয়া জ্বালাতন করেনি তিহানকে’!!তবে তিহান অনেকবার এসেছিল তার কাছে আর বারবারই ইনগোর করেছে নাফিয়া তিহানকে….

“কিন্তু যতই ইনগোর করুক নাফিয়া ভালোবাসে তিহানকে’!!সে কি করে থাকবে তিহানকে ছাড়া ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে তার,তবে যতই কষ্ট হোক নাফিয়া আর জ্বালাবে না নাফিয়া তিহানকে….

“এমন সময় নাফিয়ার পাশে বসে বলে উঠল কেউঃ

——“মন খারাপ তোমার….
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
#চলবে………..

[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ’!!আর গল্প কেমন লাগছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবে’!!]

#TanjiL_Mim♥️