শ্রাবন মেঘের বর্ষন পর্ব-১৩

0
313

#শ্রাবন_মেঘের_বর্ষন🍁
#লেখনীতে:#তানজিল_মীম
#পর্ব:১৩

—–“তুমি কি পণ করে রেখেছো আজকে আমার সাথে কথা বলবে না….

“প্রচন্ড বেগে হতাশ হয়ে কথাটা উঠল সেই মাস্ক পরিধিত সেই ব্যক্তিটি!’অনেকক্ষন যাবৎই সে কথা বলার চেষ্টা করছে নাফিয়ার সাথে বাট কোনো লাভ হয় নি’!!নাফিয়া যে চুপ করে বসে আছে বসেই আছে কোনো কথা বলছে না’!!এমনভাবে আছে মনে হচ্ছে সে দেখতেই পায় ছেলেটিকে’!!ছেলেটি নাফিয়ার সামনে এসে হাঁটু গেড়ে বসে বললোঃ

—–“কি হয়েছে আমায় বলো…

“নাফিয়া বেশ বিরক্ত হচ্ছে’!!তাই একটু শান্ত গলায় বললোঃ

—–“প্লিজ উঠুন…

“লোকটি নাফিয়ার কথা মতো উঠে দাঁড়ালো তারপর নাফিয়া পাশে বসে বললোঃ

—–“এখন তাহলে বল কি হয়েছে তোমার….

——“আমার এই মুহুর্তে কথা বলতে ভালো লাগছে না তাই প্লিজ বিরক্ত করবেন না…

——“আরে ভালো কেন লাগছে না সেটা তো বলবে…

“রেগে যায় নাফিয়া’!!চেঁচিয়ে বলে উঠল সেঃ

—–“আপনাকে কেন বলবো কে হন আপনি আমার জান এখান থেকে…

“নাফিয়ার কথা শুনে স্তব্ধ হয়ে যায় ছেলেটি’!!নাফিয়া আবারও চেঁচিয়ে বলেঃ

—–“যাবেন না আপনি, ঠিক আছে আপনাকে যেতে হবে না আমিই চলে যাচ্ছি….

“বলেই যেই না বেঞ্চের উপর দিয়ে উঠে দাঁড়ালো নাফিয়া!’ সাথে সাথে নাফিয়ার হাত ধরে ফেললো সে’!!তারপর মাথা নিচু করে বললো ছেলেটিঃ

—–“সরি আমারই ভুল হয়েছে তোমায় যেতে হবে না আমিই চলে যাচ্ছি….

—–“তাহলে যাচ্ছেন কেন যান তাড়াতাড়ি…

“ছেলেটিও আর দাঁড়ালো না চুপচাপ চলে যায় ওখান থেকে’!!ছেলেটি যেতেই স্তব্ধ হয়ে বসে পরলো নাফিয়া’!!জোরে কেঁদে উঠলো সে’!!আকাশে মেঘ এসে ভর করেছে অনেক আগেই’!!কালো মেঘের মাঝ দিয়ে শুরু হয়ে গেল তুমুল বেগের বর্ষন’!!বৃষ্টিতে ভিজে একাকার হয়ে যাচ্ছে নাফিয়া সাথে চোখের পানি আর বৃষ্টির পানিও একসাথে মিশে মিলিয়ে যাচ্ছে’!!নাফিয়া বৃষ্টিতে ভিজেই কাঁদতে লাগলো’!!কষ্ট হচ্ছে তার,বড্ড কষ্ট হচ্ছে, না সে কাউকে বলতে পারছে আর না কাউকে বলতে চাইছে….

.

”অন্যদিকে নিজের গাড়ির কাছে এসেও থেমে যায় ছেলেটি বৃষ্টিতে সেও ভিজে যাচ্ছে’!!তারপরও নাফিয়া দিকে তাকিয়ে আছে সে’!!নাফিয়ার কষ্ট দেখে তারও ভিতরটা জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে, কিন্তু সে কিছু করতে পারছে না,একরাশ যন্ত্রণা নিয়ে ঢুকে পরলো সে গাড়িতে’!!তারপর আর একবার নাফিয়ার দিকে তাকিয়ে গাড়ি চালিয়ে বিলিন হয়ে গেল বৃষ্টির মাঝে ছেলেটি…..

___________________

“বিকেল_৫ঃ০০টা….

“পরন্ত বিকেলের পরন্ত সময়ে ছাঁদের এক কিনারায় মনমরা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে নাফিয়া’!!চোখের পানি শুকিয়ে গেছে অনেক আগেই’!!একদৃষ্টিতে নাফিয়া তাকিয়ে আছে তার সামনে থাকা ইয়া বড় একটা আম গাছের দিকে’!!আম নেই তেমন তবে গাছটাই পাতায় ভরে আছে খুব’!!নাফিয়া তাকিয়ে কিছু একটা দেখছে মনোযোগ সহকারে’!!তবে কি দেখছে তা সে নিজেও জানে না’!!এমন সময় পিছন থেকে তার কাঁধে হাত রাখলো রাত্রি আর মিতু’!!আচমকা কারো হাতের স্পর্শ পেতেই অবাক হয়ে পিছন ঘুরে তাকালো’ নাফিয়া’!!রাত্রি আর মিতুকে এমন সময় এখানে দেখে অবাক হয়ে বললো সেঃ

—–“তোরা…

—–“হুম আমরা.. (রাত্রি)

—–“এখানে একা দাঁড়িয়ে কি করছিস তুই..(মিতু)

“মিতুর কথা শুনে নীবর দৃষ্টিতে তাকালো নাফিয়া মিতুর দিকে তারপর হাল্কা শীতল কন্ঠে বলে উঠল সেঃ

——“তেমন কিছু নয় এমনি দাঁড়িয়ে ছিলাম….

—–“কি হয়েছে তোর…(রাত্রি)

“রাত্রির কথা শুনে হাল্কা হতাশ হয়ে বললো নাফিয়াঃ

—–“আমার আবার কি হবে…?

—–“মিথ্যে বলছিস কেন কিছু তো একটা হয়েছে তোর, বল না আমাদের কি হয়েছে তোর….(মিতু)

—–“হুম বল নাফিয়া কি হয়েছে তোর আজকেও ভার্সিটি বসে তেমন কথা বলিস নি তুই, সারাদিন চুপচাপ বসে ছিলি,তারওপর দেখলাম ভাইয়ার কথাও একবার বলিস নি কি ব্যাপার তোর, হর্ঠাৎ এমন চুপচাপ হয়ে গেলি কেন?…(রাত্রি)

—–“আমার কি আর কোনো কাজ নেই যে সারাদিন শুধু তোর ভাইরে নিয়ে বসে থাকবো…

“নাফিয়ার কথা শুনে রাত্রি মিতু দুজনেই অবাক’!!অবাক হয়ে বললো তাঁরাঃ

—–“এটা তুই বলছিস…

—–“দেখ রাত্রি, আর তিহান ভাইয়াকে নিয়ে কোনো কথা হবে না আমাদের মধ্যে,আমি ভুলে যেতে চাই তিহান ভাইয়াকে…. (ক্ষিপ্ত মেজাজে)

“নাফিয়ার কথা শুনে রাত্রি নাফিয়ার হাত ধরে বললঃ

—–“তুই এইভাবে কথা বলছিস কেন?

—–“আমার কিছু ভালো লাগছে না যা তোরা…

——“আমাদের তাড়িয়ে দিচ্ছিস…(মিতু)

—–“হুম দিচ্ছি যা তোরা….

“নাফিয়ার এবারের কথা শুনে রাত্রি মিতু দুজনেই হতাশ চোখে তাকালো নাফিয়ার দিকে’!!নাফিয়া কিছু না বলেই আস্তে ওদের কাছ থেকে সরে এসে ছাঁদের অন্য কিনারায় দাঁড়ালো!’রাত্রি আর মিতু বুঝে গেছে কোনো এক কারনে নাফিয়া রেগে আছে তিহানের উপর’!!কিন্তু তারা এটা বুঝতে পারছে না কারনটা কি?হাল-ছাড়ার পাএ তাঁরা নয়…

“রাত্রি আর মিতু কিছুক্ষণ দুজনের মধ্যে কথা বলে আবারো দাঁড়ালো নাফিয়ার সামনে’!!তারপর স্বাভাবিক কন্ঠেই বলে উঠলঃ

—-“তুই তাড়িয়ে দিলেই আমরা যাবো কেন?(রাত্রি)

—–“মানে…

—–“মানে এটাই তুই যতক্ষণ না বলছিস তোর কি হয়েছে ততক্ষণ আমরা যাচ্ছি না..(মিতু)

—–“তোরা এমন কেন করছিস প্লিজ এমন করিস না তারপর আমি রেগেমেগে আজে বাজে কথা বলে দিবো যেটা তোদের ভালো লাগবে না তাই বলছি আর থাকিস না তোরা….

—–“তোর যা খুশি তুই করতে পারিস বাট আমরা যাচ্ছি না কি বলিস রাত্রি…

“মিতুর কথা শুনে রাত্রিও শায় দিয়ে বলে উঠলোঃ

—–“হুম তোর কাছ থেকে সবটা না শোনা পর্যন্ত কোথাও যাচ্ছি না আমরা, বল না প্লিজ ভাইয়ার সাথে কি হয়েছে তোর….

—–“কিছু হয় নি যা তোরা…

—–“এমন করছিস কেন বল তো প্লিজ বল না আমাদের, তোকে এইভাবে দেখতে ভালো লাগছে না প্লিজ বল….(রাত্রি)

—–“প্লিজ বল নাফিয়া আমরা তো তোর বন্ধু তাই না বল! প্লিজ, তুই যদি আমাদের না বলিস তোর কি হয়েছে তাহলে আমি আর রাত্রি তোর সাথে কথা বলবো না…(মিতু)

—–“হুম কেউ কথা বলবো না তারপর তুই একা একা থাকবি…

“তারপরও নাফিয়া কিছু বললো না চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলো সে’!!নাফিয়ার কাজে রাত্রি, মিতু দুজনেই হতাশ হয়ে বললোঃ

——“ঠিক আছে তুই যখন বলবি তাহলে আমরাও আর থাকবো না, তোর সাথে আঁড়ি…

“বলেই রাত্রি, মিতু দুজনেই চলে যেতে লাগলো’!!ওরা দু-কদম এগোতেই নাফিয়া ডাকলো ওদের’!!নাফিয়ার ডাক শুনে দাঁড়িয়ে পরলো মিতু আর রাত্রি’!!হুট করেই নাফিয়া ওদের দুজনকে একসাথে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে দিলো’!!

“নাফিয়া কাঁদছে এটা যেন রাত্রি,মিতুর বিশ্বাসই হচ্ছে না’!!তাঁরা বুঝতেই পারছে না কি হতে পারে যার জন্য নাফিয়া এইভাবে কাঁদছে…..

“কিছুক্ষণ পর…

—–“শান্ত হ দোস্ত আগে বল কি হয়েছে তোর,এইভাবে কাঁদছিস কেন?…(মিতু)

“মিতুর কথা শুনে নিজেকে সামলে নেয় নাফিয়া’!!তারপর সেদিন রাতের হয়ে যাওয়া ঘটনা সব বলে ওদের’!!ওঁরা তো সব শুনে বেশ অবাক হলো’!!তিহান যে এভাবে জেনে বুঝে নাফিয়াকে কষ্ট দিবে এটা বিশ্বাসই হচ্ছে না ওঁদের…..

||

“রাত_৮ঃ০০টা….

“বেলকনিতে বসে সিগারেট খাচ্ছে তিহান’!!নাফিয়ার ইনগোর তার জাস্ট সহ্য হচ্ছে না’!!এই মুহূর্তে তিহান ফিল করছে নাফিয়াকে এতবার ইনগোর করে সে কতটাই না ভুল করেছিল আর কতই না কষ্ট দিয়েছিল’!!সিগারেটের গন্ধে পুরো বেলকনি ভরে গেছে’!!যে কেউ এখানে আসলে কাশতে কাশতে অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে’!!কিন্তু সেদিকে তিহানের কোনো ভুক্ষেপ নেই’!!সে তো তার মতো সিগারেট খেয়েই চলেছে’!!এমন সময় সেখানে এসে উপস্থিত হলো রাত্রি’!!তিহানের এমন অবস্থা দেখে অবাক হয় রাত্রি’!!এসেছিল তো নাফিয়াকে নিয়ে কয়েকটা কথা শোনাতে কিন্তু…

“রাত্রির তার ওড়না দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে তিহানের সামনে বসে বললোঃ

—–“এসব কি ভাইয়া এগুলো কি করছো তুমি…

“হর্ঠাৎই রাত্রির কন্ঠ শুনে রাত্রির দিকে তাকালো তিহান’!!তারপর বললো সেঃ

—–“তুই এখানে কি করছিস,তুই আমার রুমে ঢুকলি কি করে…

—–“তুমি তো দরজা আটকাতে ভুলে গিয়েছিলে..

—–“ওহ…

—–“এমন কেন করলে ভাইয়া (অভিমানি কন্ঠে)…

—–“মানে…

—–“আগে রুমে আসো তারপর বলছি এখানে আমি শ্বাস করতে পাচ্ছি না….

“এই মুহুর্তে নিজের প্রতি নিজেরই ঘৃনা লাগছে তিহানের”!! বেশি কিছু না ভেবে আস্তে আস্তে উঠে দাঁড়ালো তিহান’!!রাত্রি তিহানের হাত ধরে রুমে নিয়ে গেল’!!তারপর রুমের দরজা দরজা আঁটকে বললো সেঃ

—–“ভাইয়া তুমি কাজটা একদমই ঠিক করো নি…

“রাত্রির কথা শুনে ছলছল চোখে তাকালো তিহান রাত্রির দিকে’!!কিন্তু কিছু বললো না সে’!!তিহানের চুপ থাকার মাঝেই রাত্রি আবারো বলে উঠলঃ

—–“তুমি নাফিয়াকে পছন্দ করো না মানলাম ভাইয়া, তাই বলে জেনে বুঝে এই ভাবে নাফিয়াকে কষ্ট দেওয়াটা ঠিক হয় নি তোমার!’তুমি রিয়া আপুকে ভালোবাসো সেটাও ঠিক আছে ভালোবাসতেই পারো তাই বলে নাফিয়াকে ঘরে ডেকে এনে অপমান করলে কেন তুমি,তোমার জন্য, শুধু মাএ তোমার জন্য কষ্ট পাচ্ছে ও,এমন কেন করলে তুমি ভাইয়া…

—–“তুই যেটা ভাবছিস সেটা…

“আর কিছু বলার আগেই রাত্রিকে ডাক দিল তার আম্মু’!!কোনো এক বিষয় চেঁচাচ্ছে তার আম্মু’!!রাত্রি আর কিছু বলা বা শোনার আগেই চলে গেল’!!তবে যাওয়ার আগে এতটুকু বলেছে সেঃ

—–“তুমি তো জানতে ভাইয়া ও তোমাকে পাগলের মতো ভালোবাসে তারপরও, একদমই ঠিক করো নি তুমি, অনেক বড় ভুল করেছো ভাইয়া….

“রাত্রি যেতেই তিহান বলে উঠলঃ

—–“তুই ও ভুল বুঝলি নাফিয়ার মতো আমায়…

“দীর্ঘ শ্বাস ছাড়লো তিহান!’কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে না তিহান’!!নাফিয়া তো তার সাথে কথাই বলতে চাইছে না,কি করে বলবে সে সবটা….

_______________

– “Ayad aa jati haa muja oh teri hasiii…
musko raa jati haa kud a palka mari (2)

– “kabhi asa vi hota haa vula diti main tujo
magar vunda mari har kosis barbad kardati haaaa….

– “Tumha Baarish bara ayad karti haa
Tumha Baarish bara ayad karti haa…

– “aj vi mujsa teri baat karti haa
Tumha Baarish bara ayad karti haa…

– “Tumha Baarish bara ayad karti haa
aj vi mujsa teri baat karti haa
Tumha Baarish bara ayad karti haa…

“মধ্যরাতের ঘন কালো অন্ধকারে মুষল ধারে বৃষ্টি হচ্ছে’!!আর বৃষ্টির মাঝে কুটকুটে অন্ধকার রুমে মোবাইলে গানটা শুনছে নাফিয়া’!!আর চোখের কোনে এসে জমছে পানি নাফিয়ার’!!কষ্ট হচ্ছে খুব’!!তাই তো অন্ধকার রুমে চুপচাপ শুয়ে আছে সে’!!সে জানে না এই কান্না আর কষ্ট কবে কমবে তার’!!তবে এই মুহুর্তে সে wish করছে,

“যেন তাড়াতাড়ি তিহানকে ভুলে গিয়ে ভালো থাকতে পারে সে’!!

“কিন্তু আধও কি পারবে নাফিয়া তিহানকে ভুলে থাকতে’!!উওর মিলে না নাফিয়ার,আধও মিলবে কিনা কে জানে…?”

!!

“আরেকজন…….

“মোবাইলের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তিহান’!!নাফিয়ার ছবি দেখছে সে’!!এই ছবিগুলো তিহান লুকিয়ে লুকিয়ে তুলেছিল ভার্সিটি বসে’!!তিহান এক দৃষ্টিতে ছবিগুলোর দিকে তাকিয়ে বলে উঠলঃ

—–“তুমি আমায় কেন ভুল বুঝলে বল,নিজেও কষ্ট পাচ্ছো আর আমায়ও কষ্ট দিচ্ছো,একবার তো আমার সাথে কথা বলতে পারতে, আমার সামনে এসে জিজ্ঞেস তো করতে পারতে এমন কেন করলে তুমি,আমার কথাগুলো তো একবার শুনতে পারতে তুমি’!!তুমি কেন বুঝতে পারছো না তোমার এই ইগনোর যে আমি আর নিতে পারছি না প্লিজ তাড়াতাড়ি ফিরে আসো আমার কাছে,এতদিন যখন কাছে ছিলে তখন বুঝি নি তোমার শূন্যতা কিন্তু আজ মনে হচ্ছে তুমি ছাড়া সত্যি আমি শূন্য’!!তুমি একবার আমার কাছে ফিরে আসো প্লিজ, আমি আর তোমায় ইগনোর করবো না অনেক ভালোবাসবো দেখো,তোমায় আর কাছ থেকে দূরে করবো না দেখো…

“প্লিজ আমার সাথে একবার কথা বলো!আমার যে শ্বাস আঁটকে যাচ্ছে প্রায়…

“বলেই জোরে শ্বাস নিলো তিহান’!!তারপর নাফিয়ার ফটোটা বুকে জড়িয়ে ধরে চোখ বন্ধ করে নিলো…

“আজ রাতে কি ঘুম হবে তার?”…..

“বাহিরে ঝুমঝুম শব্দে বৃষ্টি হচ্ছে, সাথে শীতল মেশানো ঠান্ডা বাতাস বইছে,এমনই একরাতে স্বপ্ন বুনে ছিল তিহান আর আজ কিনা সেই স্বপ্ন পূরণ করার আগেই সবটা ভেঙে যাচ্ছে……

__________________________________________

______________________

“পরেরদিন সকালে…..

“খুব তাড়াতাড়ি ঘুম ভেঙে যায় নাফিয়ার’!!তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে তৈরি হয়ে না খেয়েই বেরিয়ে যায় নাফিয়া’!!বাসায় থাকলে দম বন্ধ হয়ে আসে তার’!!আনমনেই কিছুটা পথ হেঁটে তারপর রিকশা করে চলে যায় ভার্সিটিতে….

“সারাদিন হাসি খুশি মনেই পরপর সব ক্লাস শেষ করলো নাফিয়া’!আর একটাই ক্লাস আছে তারপরও চলে যাবে নাফিয়া বাড়িতে’!!তাই ক্লাসরুমে চুপচাপ বসে আছে নাফিয়া’!!আজকে একবারও দেখা হয় নি তিহানের সাথে নাফিয়ার…

.
.
.

“ভার্সিটির গেটের সামনে থামলো একটা বাইক’!!বাইক থেকে নামলো একটা ছেলে’!!পরনে তার ব্লাক টি-শার্ট সাথে ব্লাক জিন্স চোখে ব্লাক চশমা, গায়ে রঙ উজ্জ্বল শ্যামলা’!!ছেলেটি তার চোখের চশমাটা খুলে এক পা এক পা করে এগিয়ে যেতে লাগলো’!!ছেলেটির কাছ থেকে কয়েক কদম দূরে তিহান বাদে সিফাত ওরা বসে ছিল’!!ছেলেটি ওদের দিকে এগিয়ে বললোঃ

—–“এক্সকিউজ মি,আপনারা কি আমায় বলতে পারবেন কমার্সের ফাস্ট ইয়ারের নাফিয়ার ক্লাস রুমটা কোনদিকে…

“সিফাত তো ছেলেটির কথা শুনে চরম অবাক হলো’!!তারপর বেশি কিছু না ভেবেই বলে উঠল সেঃ

—–“এখান থেকে ডানদিক গিয়ে দ্বিতীয় ফ্লোরের থার্ড নাম্বার রুমে…

“ছেলেটি মুচকি হেঁসে বললোঃ

——“থ্যাংক ইউ ব্রো…

“তারপর মুচকি হেঁসে চলে যায় ছেলেটি!’আর ওরা সবাই কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল ছেলেটির যাওয়ার পানে….।

“সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠছে ছেলেটি’!!উদ্দেশ্য তার নাফিয়ার রুমটা খুঁজে বের করা’!!

“এমন সময় একপ্রকার দৌড়ে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামছিল মিতু’!!তারপর আরকি যা হওয়ার তাই হলো’!!দ্রুত গতিতে নামতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যেতে নেয় মিতু’!!সাথে সাথে ওঁকে ধরে ফেললো ছেলেটি….

“ঘটনাটা হুট করে হয়েই যাওয়াতে কেউ কিছুই বুঝতে পারলো না!না মিতু আর না ছেলেটি,দুজনই দুজনের দিকে হা হয়ে তাকিয়ে রইল……

“এদিকে পিছন থেকে নাফিয়া আর রাত্রি এমন কান্ড দেখে হা হয়ে তাকিয়ে রইল ওদের দিকে’!!নাফিয়া ছেলেটির ফেস দেখে অবাক হয়ে বললোঃ

—–“রিক তুই…..
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
#চলবে………..

[ভুল-ত্রুটি ক্ষমার সাপেক্ষ’!!আর গল্প কেমন লাগছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবে’!!]

#TanjiL_Mim♥️