#শ্রাবন_মেঘের_বর্ষন🍁
#লেখনীতে:#তানজিল_মীম
#পর্ব:১৪
—–“তুই এখানে কি করছিস রিক…
“একপ্রকার অবাক হয়ে কথাটা বলে উঠল নাফিয়া রিককে’!!আর নাফিয়ার কথা শুনে রিক তাড়াতাড়ি মিতুকে ছেড়ে দিয়ে নাফিয়ার সামনে দাঁড়িয়ে বললোঃ
—–“তোকে নিতে এসেছি আমি…
—–“কি,কিন্তু তুই আসবি মা তো বলেনি আমায়…
—–“আমি বারন করেছিলাম খালামনিকে,
—–“কি কেন?
—–“কেন আবার কি তোকে সারপ্রাইজ দিবো ইউ নো আমি আবার এসব সারপ্রাইজ দিতে খুব ভালোবাসি…
“একটু স্টাইল নিয়ে কথাটা বলে উঠল রিক’!!আর রিকের কথা শুনে নাফিয়া হেঁসে বললোঃ
—–“তুই আর ঠিক হবি না…
“হাসলো রিক’!!তারপর বললোঃ
—-“আই নো,মাই “সুইটহার্ট”…(গাল টান দিয়ে)
“রিকের কাজে নাফিয়া হেঁসে বললোঃ
—–“তুই সত্যি পাগল…
“হাসলো রিক!’এদিকে রিক আর নাফিয়ার কাজ আর কথাবার্তা দেখে অবাক হয় মিতু আর রাত্রি’!!মিতু আর রাত্রি ওদের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো’!!ওরা দাঁড়াতেই নাফিয়া বলে উঠল রিককেঃ
—–“রিক, মাই দু বেস্টু রাত্রি আর মিতু’!!
“রিক নাফিয়ার কথা শুনে ওদের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলঃ
—–“হাই আমি রিক, নাম তো শুনাই হোগা…
“রিকের কথা শুনে হাসলো মিতু আর রাত্রি’!!মিতু বলে উঠলঃ
—–“না শুনেনি তো…
“মিতুর কথা শুনে রিক বলে উঠলঃ
—–“কেন?নাফিয়া তোমাদের আমার কথা বলেনি কখনো…
——“না তো…
“রিক অবাক চোখে নাফিয়ার দিকে তাকিয়ে বললোঃ
—–“দিস ইজ নট ফেয়ার, তুই ওদের আমার কথা বলিস নি কেন?
“নাফিয়া হেঁসে বলে উঠলঃ
—–“তুই কি কোনো ফিল্মের হিরো নাকি যে তোর কথা সবাইকে বলতে হবে…
—–“ব্যাপারটা সেটা না,
—–“ব্যাপারটা তাইলে কি শুনি….
—-“না মানে বলে রাখলে আমার সেটিংটা একটু তাড়াতাড়ি হয়ে যেত…
—–“মানে…
——“তোর মাথা আর আমার চুল…
“রিকের কথা শুনে হেঁসে দিলো সবাই একসাথে’!!রিক ওদের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলঃ
—–“ওকে লেডিসরা তোমরা থাকো আমি তোমাদের বেস্টুকে নিয়ে গেলাম…
“মিতু আর রাত্রিও বেশি কিছু না ভেবে বলে উঠলঃ
—–“ঠিক আছে….
“তারপর নাফিয়া আর রিক চলে গেল’!!রিক যেতেই মিতু ফট করে বলে উঠল রাত্রিকেঃ
—-“দোস্ত ক্রাশ খাইছি…
“মিতুর কথা শুনে রাত্রি অবাক হয়ে বললোঃ
—–“কি…
“মিতু তার বুকের বামদিকে হাত রেখে বললোঃ
—–“দিল তো পাগাল হে দিল দিওয়ানা হে…
“মিতুর কথা শুনে রাত্রি হেঁসে বললোঃ
—–“এ্যাঁ…
_____________________
“রিকের হাত ধরে ভার্সিটির ভিতর দিয়ে হেঁসে হেঁসে কথা বলতে বলতে এগিয়ে যাচ্ছে নাফিয়া’!!এই একটা ছেলে যে নাফিয়ার সাথে খুব ক্লোজ, নাফিয়া রিকের চেয়ে দু-বছরের ছোট!’তবে দুজন এমনভাবে মিশে যেন সেইম বয়স’!!রিক নাফিয়ার বড় খালার ছেলে’ আর নাফিয়া রিকের ছোট খালার’!!ওরোফে ওরা দুজন কাজিন’!!
“আরেকদিকে দূর থেকে নাফিয়া কোনো ছেলের হাত ধরে হাঁটছে দেখে মুহূর্তেই মাথা গরম হয়ে যায় তিহানের’!!একে তো নাফিয়া তাকে কষ্ট দিচ্ছে তারওপর আবার অন্য ছেলের সাথে হেঁসে হেঁসে কথা বলতে বলতে হাঁটছে’!!রাগে মাথায় আগুন জ্বলছে তিহানের’!!হাত মুঠো করে নেয় সে শক্ত করে’!!
.
.
.
—–“চল কোনো রেস্টুরেন্টে গিয়ে লাঞ্চটা করে নেই…
“গেটের সামনে এসেই কথাটা বলে উঠল রিক’!!রিকের কথা শুনে নাফিয়া হাল্কা হেঁসে বললোঃ
—–“কেন বলতো…
—–“আমি জানি তুই ব্রেকফাস্ট করে আসিস নি তারওপর এখন প্রায় দুপুর ১ঃ৩০ টা বাজতে চলেছে’!!কিছুক্ষণের মধ্যেই দুটো বেজে যাবে তাই বলছি চল খেতে খেতে কথা বলাও হবে,আর তারপর একটু ঘোরাঘুরিও হবে অনেকদিন হয়েছে কোথাও যাওয়া হয় নি তাই বেশি কথা বারিয়ে চল তো আমার পেটে তো ইঁদুর দৌড়াচ্ছে দোস্ত….
“নাফিয়াও বেশি কিছু না ভেবে হেঁসে বলে উঠলঃ
—–“ঠিক আছে চল…
“নাফিয়ার কথা শুনে রিকও খুশি হয়ে উওেজিত কন্ঠে বলে উঠলঃ
—–“জিও এই না হলে মাই সুইট সিস্টার….
“বলেই নাফিয়ার দু’গাল ধরে টান দেয় রিক’!!তারপর দুজন মিলে খুশি মনে বাইকে বসলো’!!তারপর চললো তাদের গন্তব্যে….
“এদিকে দূর থেকে নাফিয়ার কান্ড দেখে আরো রেগে যায় তিহান’!!হাত মুঠো করে শক্ত করে চেপে ধরল সে’!!রাগে চোখ লাল হয়ে গেছে তিহানের’!!…..
||
“একটা বড় রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়ে বাইকে করে ঘুরতে বেরিয়ে যায় নাফিয়া আর রিক’!!চারপাশ দিয়ে শীতল মেশানো ঠান্ডা বাতাস বইছে’!!এক অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করছে নাফিয়ার ভিতর’!!রাস্তার দু’পাশ দিয়ে রয়েছে ছোট বড় অনেক গাছ পালা’!!আর সেই গাছের ছায়ার আড়াল দিয়েই এগিয়ে চলছে রিক আর নাফিয়া’!!
“একটা সুন্দর নদীর পাড়ে রিক বাইক থামিয়ে দেয়’!!তারপর নাফিয়ার হাত ধরে একটা সুন্দর বাঁশের তৈরি লম্বা সিঁড়ির মতো একটা জায়গায়’!!ছোট্ট একটা ছাউনির মতো বাঁশের তৈরি কুঁড়েঘরও আছে সেখানে’!!নদীর এক কিনারায় পানির উপর দিয়েই তৈরি সেটা’!!জায়গাটার মুগ্ধতায় চোখ আঁটকে যায় নাফিয়ার’!!নাফিয়া পা ঝুলিয়ে বসে পড়ে সিঁড়ির উপর’!!হাল্কা পানিতে পা ভিজে যাচ্ছে তার’!!রিকও গিয়ে বসে পড়ে নাফিয়ার সামনে’!!তারপর ছোট্ট একটা শ্বাস ফেলে বললো সেঃ
—–“কি হয়েছে তোর….
“আচমকা রিকের মুখে এমন কথা শুনে চমকে উঠলো নাফিয়া’!!হাল্কা হেঁসে বললো সেঃ
—–“আমার আবার কি হবে…
—–“কিছু হয় নি…
—–“না কিছুই হয় নি,
—–“মিথ্যে কেন বলছিস তুই….
—–“আশ্চর্য মিথ্যে কেন বলবো…
—–“আমি জানি ইদানীং তুই ঠিক থাকছিস না সারাদিন রুমের মধ্যে শুয়ে থাকিস তুই কি কোনো কারনে ডিপ্রেশনে আছিস….
—–“এত কিছু তুই কি করে জানলি,নিশ্চয়ই মা বলেছে…
—–“হুম বলেছে, দেখ জীবনে খারাপ সময় আসবে আবার ভালো সময়ও আসবে এটা তো স্বাভাবিক তাই না,তাই বলে সারাদিন মনমরা হয়ে বসে থাকবি এটা তো ঠিক নয়…
—–“আমি কোনো ডিপ্রেশনে নেই রিক তোরা শুধু শুধুই চিন্তা করছিস….
——“তোর সাথে কি আমার পরিচয় আজকের নাফিয়া, তুই আমি সেই ছোট বেলা থেকে একসাথে আছি আর তোর ভালো থাকা না থাকা সবই একটু হলেও বুঝতে পারি আমি,তাই হেয়ালি না করে বলে ফেল কি হয়েছে তোর….
“নাফিয়া রিকের কথা কিছুক্ষন চুপ থেকে বলে উঠলঃ
—–“বলবো তবে আজকে নয় কাল…
—–“কেন আজ কি হয়েছে তোকে এতসুন্দর একটা জায়গায় নিয়ে আসলাম…
—–“তার জন্যই তো বলবো না…
“রিক অবাক হয়ে বললোঃ
—–“মানে…
—–“মানে এত সুন্দর জায়গায় আমি কাঁদতে চাই না রিক….
“বিনিময়ে রিকও আর কিছু বলতে পারলো না’!!সে বুঝে গেছে কোনো ডিপলি পেইনে রয়েছে নাফিয়া….!!রিক কিছুক্ষন চুপ থেকে বলে উঠলঃ
—–“ঠিক আছে…..
“মুচকি হাসে নাফিয়া’!!সামনের প্রকৃতি দেখতে ব্যস্ত হয়ে পরলো সে’!!নদীতে বড় বড় ঢেউ বইছে, সাথে ছোট বড় নৌকা চলছে তাদের থেকে অনেক দূরে,ধবধবে সাদা আকাশ,পানির শব্দ সাথে ঠান্ডা শীতল মেশানো বাতাস সব মিলিয়ে মন হাল্কা করার জন্য এটাই পারফেক্ট জায়গা….
“চোখ বন্ধ করে নিলো নাফিয়া’!!প্রকৃতিকে ফিল করছে সে….
_____________
“সন্ধ্যা_৭ঃ০০টা…..
“সারাদিন ঘুরে-ফুরে সাওয়ার নিয়ে বিছানায় শুয়ে আছে নাফিয়া’!!আজকে অনেকটাই ফ্রেশ মনে হচ্ছে তার নিজেকে’!!দুপুরে রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়ে বাইকে করে ঘুরে-ফুরে এখন বেশ ভালো লাগছে তার’!!হাল্কা ক্লান্ত হয়ে বিছানায় শুয়ে আছে নাফিয়া’!!এমন সময় হাতে এক প্লেট সিংগাড়া নিয়ে রুমে ঢুকে বলে উঠলো রিকঃ
—–“গারমা গারমা সিংগাড়া কোন খায়ে গা….
“আচমকা রিকের ভয়েস শুনে শোয়া থেকে উঠে বসলো নাফিয়া’!!তারপর বললো সেঃ
—–“এখন তুই আবার সিংগাড়া নিয়ে আসসোছ…
—–“দেখ বোইন মনমরা হয়ে বসে থাকতে আমার কোনদিনও ভালো লাগে না,আর কাউকে মনমরা হয়ে দেখতেও ভালো লাগে না…তাই প্যারা নাই চিল….
—–“আচ্ছা তুই কি করে বুঝলি এখন আমার মন খারাপ…
—–“জাস্ট গেস্ট,এখন বেশি কথা না বলে এই সিংগাড়াগুলো খা আমি নিজ হাতে বানিয়েছি তোর জন্য….
—–“তুই বানিয়েছিস ও মাই গড দে তাড়াতাড়ি তাহলে…
“রিকও খুশি মনে দিয়ে দিলো নাফিয়াকে সিংগাড়াগুলো….
“সারারাত এটা -ওটা আর ইনজয়ভাবেই কেটে গেল নাফিয়ার!’
.
.
.
“পরের দিন সকালে….
“একটা ইমপোর্টেন্স ক্লাস থাকায় তাড়াতাড়ি বাসা থেকে বেরিয়ে যায় নাফিয়া’!!রিকশা থেকে নেমে ভার্সিটির ভিতর ঢুকতে যাবে এমন সময় পিছন থেকে কেউ হাতে রুমাল নিয়ে নাফিয়ার মুখ চেপে ধরে’!!ঘটনাটা আচমকা হয়ে যাওয়াতে নাফিয়া কিছুই বুঝতে পারে নি’!!কিছুক্ষন ছটপট করে অজ্ঞান হয়ে ঢলে পড়ে নাফিয়া পিছনের ব্যক্তিটির গায়ের উপর’!!
“অন্যদিকে পিছনের ব্যক্তিটি নাফিয়াকে বুকে জড়িয়ে ধরে বললঃ
—–“সরি….
__________________________________________
______________________
“অন্ধকার একটা রুমে শুধুমাএ জানলা খোলা একটা জায়গায় হাত বাঁধা অবস্থায় দেয়ালের সাথে ঘেঁষে অজ্ঞান হয়ে বসে আছে নাফিয়া’!!আর ওর থেকে কিছুটা দূরেই বসে আছে তিহান ওর দিকে তাকিয়ে’!!এই মুহূর্তে তিহান রেগে আগুন হয়ে আছে’!!একটা ধারালো ছুরি হাতে নিয়ে বসে আছে তিহান….
“কিছুক্ষণ পর…..
“মিটমিট চোখে তাকালো নাফিয়া’!!নিজেকে এমন একটা জায়গায় আর নিজের অবস্থা দেখে অবাক হয় সে’!!আশেপাশে তাকালো নাফিয়া’ তার থেকে কিছুটা দূরত্বে বসে থাকা তিহানকে দেখে চোখ বড় বড় হয়ে যায় তার’!!
“নাফিয়ার জ্ঞান ফিরে এসেছে দেখে তিহান একটা রাগী লুক নিয়ে নাফিয়ার দিকে তাকিয়ে বলে উঠলঃ
—–“অবশেষে জ্ঞান ফিরলো তোমার…
“তিহানের কথা শুনে নাফিয়ার কিছুই বুঝতে বাকি রইলো না’!!তার মানে তখন তিহানই তার মুখে রুমাল ধরে অজ্ঞান করে নিয়ে এসেছে’!!নাফিয়া রেগে বলে উঠলঃ
—–“আমাকে এভাবে ধরে নিয়ে এসেছেন কেন?
——“কালকের ছেলেটা কে ছিলো….
“তিহানের কথা শুনে নাফিয়া অবাক’!!পরক্ষণেই সে ভেবে বলে উঠলঃ
—–“কোন ছেলে কিসের ছেলে আর তার চেয়েও বড় ব্যাপার আমার সাথে কোনো ছেলে থাকলেও তার কথা আপনায় বলবো কেন?
“তিহানের রাগে মাথায় রক্ত উঠে যায়’!!তিহান নিজের রাগকে কন্ট্রোল করে বলে উঠলঃ
—–“এত কিছু শুনতে চাই নি, তোর কাছে ছেলেটা কে ছিলো?কাল ভার্সিটিতে কোন ছেলের হাত ধরে তুই বেরিয়ে ছিলি….
“তিহানের এ বারের কথা শুনে নাফিয়ার বুঝতে বাকি নেই তিহান রিকের কথা বলছে’!!
—-“ইস নিজে অন্য মেয়ের সাথে ঘুরতে পারে ভালোবাসতে পারে তাতে দোষ নেই আর আমি কোনো ছেলের সাথে হাঁটলেই দোষ (মনে মনে)
—–“কি হলো কথা বলছিস না কেন.. (ধমক দিয়ে)
“তিহানের ধমক শুনে কেঁপে উঠল নাফিয়া’!!তারপর বললো সেঃ
—–“ওহ আমার যে হোক তাতে আপনার কি আমায় যেতে দিন…
—–“তোকে কোথাও যেতে দিবো না অনেক পুড়িয়েছিস আমায়…
“তিহানের এবারের কথা শুনে অবাক হয় নাফিয়া’!!!
—–“পুড়িয়েছি মানে…
——“তুই কি সত্যি কিছু বুঝতে পারছিস না…
——“দেখুন ফালতু নাটক করবেন না আমার এসব ভালো লাগছে না আমায় যেতে দিন…..
“মুহূর্তেই মেজাজ বিগড়ে যায় তিহানের’!!তিহান নাফিয়াকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে বললঃ
——“তোর কাছে এসব নাটক মনে হচ্ছে…
“হুট করেই তিহানের কাজে ঘাবড়ে যায় নাফিয়া’!!তারপরও নিজেকে যথাসম্ভব স্বাভাবিক রেখে বলে উঠল সেঃ
—–“আপনি বারাবারি করছেন কিন্তু আমাকে যেতে দিন,আর আমি তো একটা জিনিস বুঝলাম না আপনি এইভাবে আমায় ধরে নিয়ে এসেছেন কেন?আপনি থাকুন না আপনার ভালোবাসার মানুষ রিয়াকে নিয়ে….
“নাফিয়ার কথায় মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে তিহানের’!!তিহান চেঁচিয়ে বলে উঠলঃ
—–“তুই কেন বুঝতে চাইছিস না আমি রিয়াকে ভালোবাসি না আমি তোকে ভালোবাসি….
“তিহানের কথা শুনে নাফিয়া অবাকের চরম সীমানায় পৌঁছে যায়’!!চোখ বড় বড় করে বলে উঠল সেঃ
—–“কি…..
“তিহান জোরে জোরে শ্বাস ফেলে নাফিয়ার দু-গাল আলতোভাবে চেপে ধরে বললোঃ
—–“এটাই সত্যি নাফিয়া আমি তোকে ভালোবাসি, তুই কেন বুঝতে চাইছিস না আমায়,সেদিন আমি তোর সাথে কোনো নাটক করি নি,আর চিরকূটটাও নাটক করে দেই নি! আরে আমি তো সেদিন তোকে আমার ভালোবাসার কথাই বলতে চাইছিলাম, কিন্তু কিভাবে তোর জায়গায় রিয়া আগে আসলো রুমে আমি বুঝতেই পারি নি, আমি তো তুই ভেবে রিয়াকে প্রপোজ করে ফেলে ছিলাম…
“তিহান কথা শুনে নাফিয়া কি রিয়েকশন দিবে বুঝতে পারছে না’!! তিহান নাফিয়ার গাল ছেঁড়ে দিয়ে আবারো বলে উঠলঃ
—–“আমি জানি তোকে এই কথাগুলো প্রথম থেকেই বলে দেওয়া উচিত ছিল আমার’!!এতবার ইগনোর করা ঠিক হয় নি,বিশ্বাস কর আমি শুরু থেকেই তোকে ভালোবাসতাম,আর এখনো বাসি…প্লিজ সব অভিমান ভুলে আবার আগের মতো হয়ে যা না,আমার যে তোকে ছাড়া নিশ্বাস নিতে বড্ড কষ্ট হয়,তোর ইনগোরগুলো যে ধারালো ছুরির মতো আমার বুকে এসে আঘাত করে,প্লিজ আমায় আর কষ্ট দিস না আমার যে সত্যি খুব কষ্ট হচ্ছে কেন বুঝতে পারছিস না তুই….
“তিহানের শেষের কথাগুলো নাফিয়ারও কষ্ট হয় সেও তো সেইম যন্ত্রণায় ভুগছে’!!হুট করেই নাফিয়া তিহানকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেয়’!!নাফিয়ার কাজে প্রথমে একটু চমকে গেলেও পরক্ষনেই নিজেকে সামলে নিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে তিহান নাফিয়াকে’!!
“এদিকে নাফিয়া কাঁদতে কাঁদতে বলে উঠলঃ
—–“তুই আমায় ভালোবাসো এই কথাটা আগে বলতে পারলে না,
——“এই কথাটা বলার জন্য কতবার তোর সাথে কথা বলতে চাইছি আমি তুই তো আমার সাথে কথা বলতে চাইছিলি না….
“নিজের বোকামির জন্য এখন নিজেই কষ্ট হচ্ছে নাফিয়ার’!!নাফিয়া কান্ন ভেজা কন্ঠেই বললোঃ
—–“তুমি জানো এই কয়টা দিন আমার কতটা কষ্টে কেটেছে…
—–“সব জানি আমি,কিন্তু আমার কি দোষ তুই তো কিছু বলতে দিচ্ছিলি না….
—–“তুমি খুব পঁচা….
বলেই তিহানের বুকে কিল দিতে থাকে নাফিয়া’!!নাফিয়ার কাজে তিহান অবাক হয়ে বললোঃ
—–“আরে মারছিস কেন ব্যাথা পাচ্ছি তো….
——“তোমার ব্যাথা পাওয়াই উচিত…
——“ঠিক আছে আই এম সরি…
“বলেই নাফিয়াকে আবারো বুক জড়িয়ে ধরে তিহান’!!আর নাফিয়াও জড়িয়ে ধরল তিহানকে…..
“অনেক দিনের যন্ত্রণার,অনেক দিনের কষ্টের অবসান ঘটলো তিহান আর নাফিয়ার’!!এখন প্রাণ খুলে নিশ্বাস নেওয়ার পালা…..
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
#চলবে………..
#TanjiL_Mim♥️