সম্পর্কের বাঁধন পর্ব-০৩

0
238

#সম্পর্কের বাঁধন
#_Writer_মারিয়া_
#_Part : 3

সন্ধ্যা হয়ে গেছে। আবির এখনো হসপিটালে জারিফার পাশে বসে আছে। আজ আর অফিস যায় নি আবির, জারিফার কাছেই ছিলো। আগামীকাল জারিফাকে রিলিজ দেওয়া হবে। আবিরের হঠাৎ মাথায় আসে রিসিপশন পার্টির কথা। বাসায় যেতে হবে, কারন এইটা বাসার মানসম্মানের ব্যাপার। আবির জারিফার দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে,
–” জারিফা আমাকে এখন যেতে হবে।”

–” এতো তাড়াতাড়ি?”

–” হুম! আসলে।”

–” আজ তোমাদের রিসিপশন পার্টি তাই তোহ?”
আবির কিছু নাহ বলে জারিফার দিকে তাকিয়ে জারিফা মুচকি হাসি দিয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে। জারিফা আবিরের দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে,
–” মেয়েটাহ নাকি অনেক ছোট শুনলাম।”

–” হুম! ১৬ বছরের মতো বয়স হবে হয়তো।”

–” ওহ! তাহলে তোহ অনেক ছোট। যাই হোক, তুমি যাও তাহলে। পরিবারের মানসম্মানেরও একটা ব্যাপার আছে।”

–” কিন্তু।”

–” আমি কোনো পাগলামি করবো নাহ।”

–” আগামীকাল আমি এসে তোমাকে বাসায় নিয়ে যাবো৷ ওকে?”

–” হুম!”
আবির হসপিটাল থেকে বেরিয়ে চৌধুরী ম্যানশনের দিকে যাত্রা শুরু করে।

★★★
আজ চৌধুরী ম্যানশন চারিদিকে আলোয় আলোয় ভরে গেছে। বেশ কিছু মানুষজন চলে এসেছে। আবির ভেতরে আসতেই অনেকে এগিয়ে এসে আবির কে অভিনন্দন, শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। আবির সিড়ির দিকে যেতেই জিহাদ চৌধুরী এগিয়ে এসে বলে ওঠে,
–” আবির এইসব কি? তুমি জানো যে আজ বাসায় রিসিপশন পার্টি, তুমি তোহ অফিসও যাও নি। তাহলে কোথায় গিয়েছিলে?”

–” জারিফার কাছে।”

–” আবির কি বলছো তুৃমি এইসব?”

–” রেডি হতে হবে, গেলাম।”
আবির উপরে চলে যায়। আর জিহাদ চৌধুরী আবিরের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। আবির নিজের রুমের দিকে যেতেই তুলি পেছন থেকে বলে ওঠে,
–” ভাইয়া!”

আবির পেছনে তাকিয়ে দেখে তুলি। আবির তুলির দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে,
–” কি, বল।”

–” তোমার রুমে ভাবিকে সাজানো হচ্ছে। তোমার জিনিসপত্র সব আমার রুমে রাখা আছে। তুমি আমার রুম থেকে রেডি হয়ে নেও।”

–” উফ!”
আবির আর কিছু নাহ বলে তুলির রুমের দিকে চলে যায়।

★★★
পার্টিতে সবাই যার যার মতো কথা বলছে, মজা করছে। আবির একপাশে দাড়িয়ে ফোন চালাচ্ছে। হঠাৎ কেউ একজন আবিরের কাধে হাত রাখতেই আবির পাশে তাকিয়ে দেখে তার ফুপাতো ভাই আসিফ। আবির আসিফ কে দেখে অবাক হয়ে যায়। আসিফের দিকে তাকিয়ে আবির বলে ওঠে,
–” তুই? বিদেশ থেকে কবে এলি?”

–” এইতোহ, গতকাল রাতে। আর আজ তোর রিসিপশন পার্টিতে। সবাই জানতো ব্যাপারটাহ, তোকে জানাতে বারন করেছিলাম। সারপ্রাইজ দিবো তাই।”
আসিফের কথা শুনে আবির হেসে দেয়। আবির আর আসিফ কথা বলছে। আবির আসিফের সাথে কথা বলতে বলতে হঠাৎ সিড়ির দিকে তাকাতেই যেন চোখ টাহ সেখানেই দাড়িয়ে যায়। আবিরের কাছে মনে হচ্ছে কোনো পুতুল সিড়ি দিয়ে নেমে আসছে। কবিতাকে দেখেই আবিরের আর চোখ সরছে নাহ। কবিতা একটা লেহেঙ্গা পরেছে, যার ঘাগরা গাঢ় ব্লু কালারের, সাদা টপ, গোলাপি কালারের দোপাট্টা, হালকা মেকাপ, পিংক লিপস্টিক, রুপার গহনা, চুল গুলো সামনে পাফ করে পেছনে কার্ল করে ছেড়ে দেওয়া, সব মিলিয়ে কবিতা কে পুরো পরির মতো সুন্দর দেখাচ্ছে। আবির একভাবে তাকিয়ে আছে কবিতার দিকে। শুধু আবির নাহ, আরও একজন আবিরের দিকে তাকিয়ে আছে, কিন্তু তার দৃষ্টিতে নোংরামু বিদ্যমান। আসিফ কবিতার দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলতে থাকে,
–” Wow! আবিরের বউ তোহ সেই লেভেলের সুন্দরী। জোস ফিগার! আবির নাকি এই বিয়েতে রাজি হতে চায় নি, ছেলেটাহ এমন কচি জিনিস ছেড়ে দিতে চাইছিলো। কিভাবে?”

কবিতা নিচে নেমে এসে আবিরের সামনে দাড়াতেই উপর থেকে গোলাপের পাপড়ি পড়তে শুরু করে। সবাই চারিদিকে হাত তালি দিয়ে উঠে। হাত তালির আওয়াজে আবিরের ধ্যান ভাঙে। জিহাদ চৌধুরী স্টেজে উঠে বলতে শুরু করে,
–” Good evening ledis and gentleman. সবাই কেমন আছেন? আই হোপ সবাই ভালোই আছেন। আজ আমার, নাহ নাহ শুধু আমার একার নাহ চৌধুরী বাড়ির প্রত্যেকটাহ মানুষের এক অবিরাম আনন্দ ঘন মুহূর্ত। আর এই আনন্দের কারন, আমার একমাত্র ছেলে আবির চৌধুরীকে বিয়ে দিয়ে একটা মিষ্টি বউমা ঘরে আনতে পেরেছি।”

জিহাদ চৌধুরী হাতের ইশারা দিতেই আবির এবং কবিতা স্টেজে উঠে যায়। জিহাদ চৌধুরী আবার বলে ওঠে,
–” এই হলো আমার ছেলে আবির চৌধুরী এবং আমার বউমা কবিতা। ওদের বিয়েটাহ হুট করেই হয়ে যাওয়াতে, আজকের এই বিশাল আয়োজন। কবিতা হলো আমার এক বন্ধুর মেয়ে। আমি আর আমার বন্ধু অনেক আগে থেকেই ওদের বিয়ে ঠিক করে রেখেছিলাম। অবশেষে সেই দিনটি এলো। ওদের বিবাহ নামক পবিত্র #_সম্পর্কের_বাঁধন_ এ আবদ্ধ করলাম। আপনারা সবাই ওদের সুখী জীবনের জন্য দোয়া করবেন।”

জিহাদ চৌধুরীর কথা শেষ হতেই সবাই হাত তালি দিয়ে উঠে। কবিতা আর আবিরকে স্টেজে একটা সোফায় বসানো হয়। সবাই কবিতা এবং আবিরের সাথে ফটো তুলছে। আসিফ এগিয়ে এসে আবির আর কবিতার সামনে আসলে আবির উঠে দাড়িয়ে কবিতার দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে,
–” কবিতা, এ হচ্ছে আমার কাজিন। আসিফ!”

কবিতা উঠে আসিফের দিকে উঠে দাড়িয়ে মুচকি হাসি দিয়ে বলে ওঠে,
–” আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া!”

–” ওয়ালাইকুম আসসালাম। অনেক ছোট, ভাবি বলতে কেমন যেনো লাগছে। নাম ধরে ডাকতে পারি কি?”

–” অবশ্যই কেনো নয়।”

–” Thanks! আবির আমাকে এখন চলে যেতে হবে।”

–” তুই চলে যাবি কেনো? এখানে থাকবি নাহ?”

–” থাকবো নাহ কেনো? এখানে আসতেতো আমাকে হবেই৷ কিন্তু আজ একটু যেতে হবে, কাজ আছে। বাই।”

–” বাই! সাবধানে যাস।”

–” হুম!”
আসিফ কবিতার দিকে একবার তাকিয়ে বাঁকা হাসি দিয়ে চলে যায়। আবির কবিতার দিকে একবার তাকিয়ে আবার অন্য দিকে ফিরে যায়। কবিতা আবিরের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিয়ে আছে। আবির আড়চোখে তাকিয়ে দেখে কবিতা ওর দিকে মুচকি হাসি দিয়ে তাকিয়ে আছে। আবিরের কেমন জানি অসোয়াস্তি হচ্ছে। আবির কবিতার দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে,
–” কি দেখছো এইভাবে।”

–” আপনি নাহ অনেক ঝাক্কাস দেখতে।”

–” কি? তোমার লজ্জা করে নাহ, একটা ছেলে কে এইসব বলতে?”

–” ওমা! লজ্জা কেনো করবে? আপনি তোহ আমার স্বামী, বললে আরও আল্লাহ খুশি হবেন।”
আবির আর কিছু নাহ বলে স্টেজ থেকে নেমে এসে অন্যদের সাথে কথা বলতে থাকে।

★★★
কবিতা ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাড়িয়ে গহনা খুলছে। কিছুক্ষণ আগেই পার্টি শেষ হয়ে গেছে। আবির রুমে এসে দেখে কবিতা একটা গয়না খোলার খুব চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে নাহ। কবিতা আয়নার দিকে তাকিয়ে দেখে আবির, তার দিকেই তাকিয়ে আছে। আবির আয়নায় একবার কবিতার দিকে তাকিয়ে আবার অন্য দিকে ঘুরে যায়। কবিতা আবিরের দিকে ফিরে বলে ওঠে,
–” আমার নেকলেস টাহ একটু খুলে দেন তোহ।”

–” পারবো নাহ।”

–” কি বললেন?”

–” কেনো শুনতে পাও নি? ওকে! আবার বলছি, পারবো নাহ।”

–” সত্যি সত্যি পারবেন নাহ?”

–” মিথ্যা বলতে কেনো যাবো?”

–” ওকে! বাবা!”
কবিতা চেচিয়ে উঠতেই আবির এসে কবিতার মুখ চেপে ধরে বলে ওঠে,
–” আরে! পাগল নাকি তুমি? এইভাবে চেচাচ্ছো কেনো?”

–” উম! উম! উমমম!”
আবির তাড়াতাড়ি কবিতার মুখ ছেড়ে দিতেই কবিতা বলে ওঠে,
–” তোহ কি করবো? আপনি তোহ আর খুলে দেবেন নাহ, তাই বাবাকে বিচার দিবো।”

–” কি বিচার দিবা?”

–” বলবো, আপনাকে আমার নেকলেস খুলে দিতে বলেছি, কিন্তু আপনি দেন নি।”

–” ইডিয়েট! বাবাকে সব বলতে হয় নাকি?”

–” তোহ কি করবো? আপনি তোহ আর আমার কথা শুনেন নাহ।”

–” আচ্ছা চলো খুলে দিতেছি।”
কবিতা তাড়াতাড়ি আয়নার সামনে দাড়িয়ে আবিরের দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে,
–” কি হলো? আসেন।”

আবির কবিতার পিছনে দাঁড়িয়ে গহনা খুলে দিতে থাকে। কিন্তু নেকলেস টাহ খুব বাজে ভাবে পেচিয়ে গেছে। আবির হাত দিয়ে কোনো ভাবে খুলতে নাহ পেরে মুখ দিয়ে খোলার চেষ্টা করতে থাকে। কবিতার কাধে, আবিরের ঠোঁটের ছোয়া পেতেই কবিতা কেমন যেনো শিউরে উঠে। কবিতা চোখ কুঁচকে বন্ধ করে, লেহেঙ্গা হাত দিয়ে চেপে ধরে। আবির নেকলেস টাহ খুলে আয়নার দিকে তাকিয়ে দেখে কবিতা চোখ বন্ধ করে আছে। আবির কেনো জানি নাহ আজ কবিতার উপর থেকে চোখ সরাতে কষ্ট হচ্ছে। মেয়েটাহ কে আজ পুরো পুতুলের মতো লাগছে। কবিতা আস্তে আস্তে চোখ খুলে আয়নায় তাকাতেই দেখতে পায়, আবির তার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। কবিতা আবির দিকে ঘুরে কি মনে করে যেনো আবিরকে জড়িয়ে ধরে। আবির পুরো অবাক হয়ে যায়। আবির চাইছে কবিতাকে নিজের থেকে সরিয়ে নিতে কিন্তু পারছে নাহ। কেনো পারছে নাহ, তাহ নিজেও জানে নাহ। আবির নরম কন্ঠে বলে ওঠে,
–” কবিতা!”

কবিতা আবিরের থেকে সরে এসে বলে ওঠে,
–” দেখেন, আপনি কিন্তু আমার স্বামী, তার মানে আমি আপনাকে জড়িয়ে ধরতেই পারি। এখন যদি আপনি আমাকে বকা দেন তাহলে কিন্তু আমি বাবার কাছে বিচার দিবো।”

–” আচ্ছা! তোহ কি বিচার দিবা বাবার কাছে?”

–” বাবাকে বলবো, আমি আপনাকে জড়িয়ে ধরেছি জন্য, আপনি আমাকে বকা দিছেন।”
কবিতার কথা শুনে আবিরের অনেক হাসি পায়, আর হেসেই দেয়। আবির কে হাসতে দেখে কবিতা একভাবে তাকিয়ে থাকে আবিরের দিকে। আবির কে হাসলে অনেক সুন্দর দেখায়। আবির হাসতে হাসতে কবিতার দিকে তাকাতেি দেখে কবিতা একভাবে তার দিকে তাকিয়ে আছে। আবির হাসি থামিয়ে কবিতার দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে,
–” এইভাবে কি দেখছো?”

–” আপনাকে হাসলে ভালোই লাগে দেখতে।”

–” তাই?”

–” হুম!”
এমন সময় আবিরের ফোনে একটা কল আসলে আবির ফোন হাতে নিয়ে দেখে জারিফা কল দিয়েছে। আবির একবার কবিতার দিকে তাকিয়ে, ফোন নিয়ে বারান্দায় যেয়ে দরজা আটকিয়ে দেয়। কবিতা অবাক হয়ে যায়, আবিরের কাজে। কে ফোন দিয়েছে আবিরকে? অফিসের কেউ হবে হয়তো, কবিতা আর কিছু নাহ ভেবে ওয়াশরুমে চলে যায় ফ্রেশ হতে।
কবিতা ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে দেখে আবির এখনো বারান্দায়। কবিতা বেশ কিছুক্ষন রুমে মাঝে পায়চারি করতে থাকে। তাও আবির ভেতরে আসে নাহ। কবিতা মনে মনে ভাবতে থাকে,
–” ওনি এতো সময় নিয়ে কার সাথে কথা বলছেন? অফিসের কারো সাথে কি এতো সময় কথা বলা লাগে নাকি? কি জানি৷ খুব টায়ার্ড লাগছে। বিছানায় শুয়ে পড়ি। নাহ, গতকাল আমি বিছানায় শুয়েছিলাম। সোফায় ওনার ঘুম হয়েছিল কি নাহ, কে জানে। এক কাজ করি, আজ আমি সোফায় ঘুমায়।”

কবিতা একটা বালিশ নিয়ে সোফায় শুয়ে থাকতে থাকতে একটা সময় ঘুমিয়ে যায়। আবির প্রায় মাঝরাতে রুমে এসে দেখে কবিতা সোফার উপর শুয়ে আছে। ব্লু সেডের ড্রিম লাইটের আলো এসে পড়ছে কবিতা আবির এগিয়ে এসে কবিতার সামনে বসে কবিতার দিকে তাকিয়ে থাকে। হঠাৎ আবিরের চোখ যায়, কবিতার পেটের দিকে। এক পাশ হয়ে শোয়ার জন্য, কবিতার পেট থেকে কিছু টাহ শাড়ি সরে গিয়ে পেট দেখা যাচ্ছে, সেই সাথে দেখা যাচ্ছে কবিতার পেটের একপাশের সেই কালো কুচকুচে তিল টাহ। আবির তাড়াতাড়ি অন্য দিকে ফিরে হাড দিয়ে কবিতার শাড়ি টাহ ঠিক করে দেয়। আবির কবিতাকে কোলে তুলে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে নিজে সোফায় শুয়ে পড়ে।

★★★
সকালবেলা কবিতার ঘুম ভাঙতেই নিজেকে বিছানায় দেখতে পেয়ে অনেকটাহ অবাক হয়ে যায়। সে তোহ সোফায় শুয়ে ছিলো তাহলে, বিছানায় কিভাবে এলো? সোফার দিকে তাকাতেই দেখে আবির ঘুমিয়ে আছে সোফার উপর। কবিতা আবিরের দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দিয়ে মনে মনে বলতে থাকে,
–” ঘুমিয়ে থাকলে কতো নিষ্পাপ লাগে। আর জেগে থাকলে আমার সাথে একটু ভালো করে কথাও বলে নাহ। ইসসসস! এমন কেন?”

কবিতা এগিয়ে এসে আবিরের সামনে বসে আবিরের চুলে হাত দিতেই আবির চোখ খুলে ফেলে। আবির অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে কবিতার দিকে। কবিতা আবির কে হঠাৎ করে চোখ খুলতে দেখে একটু চমকে উঠলেও নিজেকে সামলিয়ে নিয়ে, আবিরের চুল নাড়িয়ে দিয়ে বলে ওঠে,
–” আমি আপনার বউ। তাই আমি আপনার চুলে হাত দিতেই পারি। এখন আপনি যদি আমাকে বকা দেন, তাহলে কিন্তু আমি বাবার কাছে আপনার নামে বিচার দিবো।”

–” তাই?”

–” হুম!”
কথাটাহ বলেই কবিতা ওয়াশরুমে চলে যায়। আর আবির কবিতার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে নিজের অজান্তেই মুচকি হাসি দেয়।

চলবে……………🌹