স্নিগ্ধ প্রেমের সম্মোহন পর্ব-৫৪

0
1296

#স্নিগ্ধ_প্রেমের_সম্মোহন
#সাদিয়া_মেহরুজ_দোলা
|পর্ব-৫৪|

ঘুটঘুটে আঁধারে ছেয়ে আছে ছাঁদ! আকাশ আজ কালো কুচকুচে রূপ ধারণ করেছে। অমাবস্যার ধাপ চলাতে চাঁদের দেখা আজ বিরাট এই আকাশে নেই।ছাঁদের কৃত্রিম আলোর মধ্য দিয়ে অদ্রিনের হিংস্র চাহনি স্পষ্টরূপে ফুটে উঠেছে। চোখদুটো রক্তিম বর্নের। শুকনো ঢক গিলে গলা ভেজানোর প্রয়াস চালাতে ব্যার্থ হই আমি। অদ্রিনের চাহনি দেখে যা বোঝার বুঝে নেই আমি। চট জলদি ছাঁদ থেকে নেমে যাওয়ার জন্য পিছু ঘুরে দরজায় হাত দিতেই স্তব্ধতা ঘিরে ধরে আমায়!

দরজা বাহির থেকে বন্ধ করা। চোখদুটো তে তৎক্ষনাৎ পানি এসে জমেছে। একহাত চলে যায় পেটের ওপর। অজানা ভয়, আতংক দলা পাকিয়ে একসাথে ঝাপটে ধরেছে যেনো।

হাতে হেঁচকা টান অনুভূত হওয়ায় পিছু ঘুরি! অদ্রিন সন্নিকটে দাঁড়িয়ে। দাঁত কিড়মিড় করে বলল,

-‘ কই যাস? আজ আর ছাড়ছি না! ****, ‘

বাজখাঁই গলায় অদ্রিনের অশ্রাব্য কথা শুনে রাগ উঠলো যেনো। যেই হাতটা অদ্রিন চেপে ধরেছিলো সেটা ঝাড়া মেরে ছাড়িয়ে নিয়ে কাঠ কাঠ কন্ঠে বলি,

-‘ ভদ্র ভাষায় কথা বলুন। আপনি এখানে কি করছেন? জেলে থাকার কথা তো আপনার! নাকি জেল থেকে পালিয়েছেন? ‘

অদ্রিন ফোঁস ফোঁস করে বলল,

-‘ এই অদ্রিনকে জেলে পাঠানো এতো সহজ না। এতদিন বিন্দাস ছিলাম নিজের বাসায়। পুলিশের বাপ ও আমায় জেলে পাঠাতে পারিনি। তবে যাবো, জেলে নয় দরকার পড়লে মরে যাবো তার আগে তোকে শাস্তি দিয়ে যাবো। আমার বাবা, দাদু দের হত্যা করেছে তোর দাদু। আমার ভাইদের কে জেলে পাঠিয়েছে তোর স্বামী। এই সবকিছুর শাস্তি তোকে পেতে হবে! ‘

অদ্রিন থামে। তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে সে বলল,

-‘ তোকে সহ তোর বাচ্চাকেও মারবো। তোর স্বামী এতেই ছটফট করে মারা যাবে। বাকি পরিবার এর সদস্য এমনিতেই তোদের শোকে আধমরা হয়ে যাবে। বেঁচে থেকে মৃত্য! এর থেকে বেষ্ট শাস্তি আর কিছুই হতে পারেনা।’

অদ্রিন বাঁকা হাসে। তরতর করে কপাল বেয়ে ঘাম ছুটছে আমার। বাহিরে থাকা সাহসটা এখন ভেতরের ভীত ভাবটার সাথে এঁটে সেঁটে গিয়েছে। আমি কাঁপা কন্ঠে বলি,

-‘ এই নিষ্পাপ বাচ্চাকে কেনো মারবেন? ওর কি দোষ? ও তো দুনিয়ার আলো পর্যন্ত দেখেনি। আল্লাহর দোহাই লাগে আমার বাচ্চাটাকে মারবেন না। ‘

-‘ এইতো, এই করুন অবস্থাই তো দেখতে চেয়েছিলাম আমি। বাট, বাট বাট এতটুকু অনুরোধে তো আর আমি আমার কথা ভেঙ্গে ফেলতে পারবো না। আমি যা বলি তাই করি! ‘

অদ্রিন কয়েক কদম এগিয়ে এসে পায়ে সজোরে আঘাত করে। যার ফলস্বরূপ মুখ থুবরে মাটিতে পড়ে যাই। কিছু বুঝে ওঠার আগে পেটে অনুভূত হয় তীব্র ব্যাথা। চিৎকার দিয়ে পেটের দিকে তাকাতে দেখি অদ্রিন লাথি দিয়েছে। ব্যাথায় ছটফট করার সময় কিছু বলার প্রয়াস চালাতে এলোপাথারি লাথি দিয়ে পেটে অদ্রিন। অতঃপর চারিদিকে অন্ধকার। মস্তিষ্কের সচল নিউরন অচলে ঢলে পড়েছে। গরগর করে রক্তবমি করার পর চোখদুটো বন্ধ হয়ে যায়। তারপর ঠিক কি হয়েছিলো জানা নেই। তবে জ্ঞান হারানোর আগে এটা নিশ্চিত ছিলাম অদ্রিন আমায় বাঁচিয়ে রাখবেনা। আর আমার বেঁচে থাকার ইচ্ছেটাও মরে গেছে তখন যখন পেটে লাথি পড়েছিলো প্রথমবার!

.

ফিনাইল এর কটু গন্ধ নাকে এসে বাড়ি খায়। পেটে চিনচিন ব্যাথা। আঠার মতো একসাথে লেগে থাকা চোখদুটোকে টেনে খুলে চারদিকে দৃষ্টিপাত স্থাপন করি। এটা হসপিটালের কেবিন তা বুঝতে দু সেকেন্ড লাগে! আমি বেচে আছি? ডানে তাকাতেই ভেসে উঠে পূর্বের চেহারা। বিধ্বস্ত অবস্থা তার! চোখদুটোর নিচে কালো দাগ পড়েছে। চুলগুলো উস্কখুস্ক। ঠোঁটদুটো শুকিয়ে কাঠ।

পূর্ব আমার দিকেই তাকিয়ে ছিলেন। গভীর দৃষ্টি তার! হুট করে কানে ভেসে আসে মেয়েলি কন্ঠস্বর।

-‘ অবশেষে ম্যাম। পুরো এক সপ্তাহ পর আপনার সেন্স ফিরলো। ‘

আমি বামে তাকাতে দেখি একজন সাদা চামড়ার একজন মেয়ে। ড্রেসাপ দেখে মনে হচ্ছে সে একজন নার্স। এবার আমি নিশ্চিত হই বেচে আছি আমি। গালের মাঝে কারো অধর যুগলের ছোঁয়া অনুভূত হয়। পূর্ব আমার দুই বাহু ধরে ধরা কন্ঠে বললেন,

-‘ ঠিক আছো তুমি? কেমন লাগছে এখন?পেটে ব্যথা করছে? ‘

আমি চুপচাপ তার দিকে তাকিয়ে আছি। কিছু বলার মতো শব্দগুচ্ছ আজ শব্দ ভান্ডারে নেই। কাঁপা হাত পেটে রেখে অস্ফুটস্বরে বলি,

-‘ পূর্ব আ..আমার বাচ্চা! আমার বাচ্চা..কে ম..মেরে ফেলেছে অ..অদ্রিন! ‘

ফ্যাকাশে রূপ ধারণ করে পূর্বের চেহারা। সেদিকে একবার তাকিয়ে ঠোঁট কামড়ে কেঁদে দেই। তিনি ইশারা করে নার্সকে বেড়িয়ে যেতে বললেন। খেয়াল হয় কেমন হাস ফাঁস করছেন তিনি। কিছু বলার জন্য! আমি কাঁদার কারণে তারদিকে পূর্ণ দৃষ্টি দিতে পারিনি।

পূর্ব মলিন কন্ঠে বললেন,

-‘ আমাদের বাচ্চা অনেক আগেই মারা গিয়েছে স্নিগ্ধপরী। অদ্রিন মারেনি আমাদের বাচ্চাকে। মেরেছি আমি! ‘

থমকানো চাহনি। বিধ্বস্ত রূপে থাকা পূর্বের দিকে থমকে তাকিয়ে আছি। যেনো তার বলা কথাটা আমার বিশ্বাসযোগ্য মনে হলো না। কিছু ভুল শুনেছি আমি নিশ্চিত। কাঁপা কন্ঠে বলি,

-‘ ক..কি ব..বললেন আ..আপনি? ‘

পূর্ব আহত চাহনি দিয়ে বললেন,

-‘ যা শুনেছো তাই। আমাদের বাচ্চাটাকে আমি মেরেছি। বাধ্য ছিলাম আমি। ‘

হাতে স্যালাইন এর ক্যানেলাটা উঠে বসে টান দিয়ে খুলে ফেলি। পূর্বের পরনে সেদিনের সাদা ধবধবে পাঞ্জাবিটা বহমান। পাঞ্জাবির কলার ধরে উত্তেজিত হয়ে বলি,

-‘ কিসব বলছেন?অন্যের দোষ নিজের কাঁধে কেনো নিচ্ছেন পূর্ব? ‘

পূর্বের ধ্যান আমার রক্তাক্ত হাতের দিকে। সে উদগ্রীব হয়ে চেয়ে আছেন। করুন কন্ঠে বললেন,

-‘ আমি তোমায় খুলে বলছি বাট তার আগে হাতে..’

-‘ একদম না! হাত থেকে রক্ত পড়ে বন্যা হয়ে যাক। আপনি আগে সবকিছু আমায় খুলে বলুন। ‘

আমার শক্ত কন্ঠে বলা কথায় পূর্ব দমে যায় পুরোপুরি ভাবে। তার অবস্থা নাজেহাল আমার হাত দিয়ে রক্ত পড়তে দেখে। তবে আমি যে আমার সিদ্ধান্ত থেকে নড়বড়ে হবো না সেটাও তিনি জানেন।পূর্ব জিহবা দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে বললেন,

-‘ ডাক্টারের কাছে চেকাপ করার কিছুদিন পর তিনি ফোন দিয়েছিলেন। কিছু টেষ্ট এর রিপোর্ট সম্পর্কিত কথা বলতে। সেদিন ডাক্তার বলেছিলো যদি এই বাচ্চাটা হয় তাহলে তোমায় কোনো ভাবেই বাঁচানো সম্ভব না। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ আপাতত তোমার শরীর নিতে পারবেনা। সময় সাপেক্ষে আর এক বছর পর কিছু চিকিৎসা করালে ঠিক হয়ে যেতে পারে সবকিছু। তবে তখন বাচ্চা নেয়া সম্ভব ছিলো না। ডাক্তার বললো বাচ্চাটাকে মেরে ফেলতে, এবরশন করানোও পসিবল ছিলো না। ডাক্তার কিছু ঔষধ দেয়। ঐগুলোতে রক্তপাত ছাড়াই বাচ্চাটা নষ্ট হয়ে যাবে! আমি হেল্পলেস ছিলাম স্নিগ্ধপরী। তোমায় হারানো আমার পক্ষে সম্ভব ছিলো না। বাচ্চা ভবিষ্যতে ও আসবে। কিন্তু তোমায় হারালে আর ফিরে পেতাম না। তাই কিছু না ভেবে আমি রাজি হয়ে যাই। পানির সাথে ঔষধ মিশিয়ে দেই। ‘

পূর্ব শ্বাস ছাড়ে লম্বা করে। অতঃপর ফের বললেন,

-‘ মনে আছে তোমার? গত পরশু রাতে পেট ব্যাথা করছিলো তোমার? বাচ্চা সেদিন মারা যায় তাই একটু ব্যাথা করছিলো সেদিন। আমাদের বেবির বয়স খুব অল্প ছিলো তাই তোমার কষ্ট কম হয়েছে। বাট ট্রাস্ট মি স্নিগ্ধপরী এসবে বাধ্য ছিলাম আমি। আমাদের বাচ্চা মারা যাওয়াতে আমিও কষ্ট, আঘাত পেয়েছি প্রচুর। কিন্তু ঐ যে পুরো দুনিয়া একদিকে আর তুমি একদিকে। তোমায় হারালে আমি মারা যেতাম। ভেবেছিলাম আর কয়েকদিন পরই তোমায় জানাবো এসবের কথা। কিন্তু হটাৎ..’

রাগে দুঃখে নিজের রক্তাক্ত হাতটা দিয়ে পূর্বের গালে থাপ্পড় মারি। হিতাহিত জ্ঞান ফেলে চার পাঁচটা থাপ্পড় এক সঙ্গে মেরে দিয়ে কান্না করে দেই! পূর্বের অসহায় চাহনি। আমি কাঁদতে কাঁদতে বলি,

-‘ আপনি একজন খুনি পূর্ব, নিজের সন্তান কে খুন করেছেন আপনি। আই হেইট ইউ! বেড়িয়ে যান। ‘

পূর্ব ধরা কন্ঠে বললেন,

-‘ স্নিগ্ধপরী আমার কথা..’

-‘ চলে যান পূর্ব। আল্লাহর দোহাই লাগে যান। আমি আপনার চেহারা দেখতে চাইনা। আমি চাইনা আমার বাচ্চার খুনিকে দেখতে! চলে যান নয়তো উল্টোপাল্টা কিছু করে বসবো আমি। ‘

-‘ যাচ্ছি আমি! নিজের খেয়াল রেখো। ‘

পূর্ব উঠে দাঁড়িয়ে চারদিকে দৃষ্টি না দিয়ে চলে যায়। তার চোখের অশ্রুকণা আমার দৃষ্টি এড়াতে পারেনি।বেডে শুয়ে পড়ি! বিষাক্ত কাঁটায় আজ হৃদয় মহল ছেয়ে আছে। এতো কষ্ট কেনো লাগছে? পূর্ব কি আমায় একটি বার এসবের কথা জানাতে পারতেন না? জানালে হয়তো আমি তাকে না করতাম নিজের বাচ্চাকে বাঁচাতে বলতাম দেখে বলেননি কিন্তু একজন মা হিসেবে এটাই তো করা উচিত ছিলো আমার। পূর্ব এতটা নিষ্ঠুর কিভাবে হলো?কিভাবে?

_______________

আয়ু রেখার খাতা থেকে বিয়োজন হয়েছে আরো দেড় মাস। দেড় মাসে বদলেছে অনেক কিছু।আমি এখন আর পূর্বের কাছে থাকি না। ভাইয়ার বাসায় আব্বু আম্মুর সাথে থাকি। আব্বু আম্মু বা কেও কিছু বলার সাহস পায়নি।

মামনি চাচু তারা এসেছিলেন বহুবার একটিবার ফিরে যাওয়ার জন্য। পূর্ব ভাইয়ার অবস্থা করুন আমি বিহীন! একবারের জন্য হলেও যেনো তাকে দেখতে যাই তারজন্য অনেক রিকুয়েষ্ট করেছিলেন তবে যাইনি আমি। নিজের এই কঠিন রূপ দেখে আমি নিজেই অবাক, চমকিত! তবে এই কঠিন রূপটা অল্প সময়ের জন্য বিদ্যমান। রাত নামলেই যখন মেডিকেল ক্লাস, বন্ধু মহল, বাবা মা ভাইয়ের সঙ্গ থেকে দূরে চলে যাই তখন পূর্বের চিন্তা আমায় কুঁড়ে কুঁড়ে খায়। একটিবার তাকে দেখার জন্য মন ছটফট করে আমার! তবুও যাইনি তাকে দেখতে।

সময় কাটে আমার পড়াশোনার মধ্য দিয়ে। পূর্বের আমার বাচ্চা নষ্ট করে ফেলার ডিসিশন এ কেও রাগ করেননি বা নারাজ হননি। সবাই বরং স্বস্তি পেয়েছেন। কারণটা আমি! আমার কিছু হলে আমার পরিবারের কেও ঠিক থাকতে পারবেন না তা ভেবে। এতে সবার ওপর আমার এক চাপা রাগ আছে তবুও আমি হাসি মুখে তাদের সাথপ কথা বলার প্রয়াস চালাই। কিন্তু পূর্ব? তাকে কেনো মেনে নিতে পারছিনা?

দমকা হাওয়া ছুঁয়ে যায় শরীরে। রাত নেমেছে। ভাইয়া কিছুক্ষন আগে এসে বলল পূর্ব এসেছে বাসায়। একটিবার আমায় দেখার জন্য। দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়েছি শুধু। এ আমার কাছে নতুন কিছু নয়। সে প্রায়ই আসে। হয় সবার সামনে নয়তো অগোচরে! তবে আমার দেখা মিলেনা তার কোনোবারই।

কিন্তু আজ তাকে দেখার জন্য মন আকুপাকু করছে। রুম থেকে বেড়িয়ে আসি। ড্রইংরুম অন্ধকার! দু কদম এগোতেই কানে এসে বাড়ি খায় পুরুষালি কন্ঠস্বর।

-‘ স্নিগ্ধপরী…’

সম্মোহনী ডাক। কাবু করে নেওয়া কন্ঠস্বর। পিছে ফিরে চাঁদের আলোতে স্পষ্টত হয় পূর্বের মুখশ্রী। শুকিয়ে কাঠ হয়ে গিয়েছেন। অভিমান গুলো দুমড়ে মুচড়ে পিছে ঠেলে এগিয়ে যাই তার কাছে। সন্নিকটে দাঁড়িয়ে পূর্বের একহাত শক্ত করে চেপে ধরে বলি,

-‘ রুমে আসুন। ‘

পূর্ব সায় জানায়। রুমে এসে দরজা বন্ধ করে দেয়ার পর সে হুড়মুড়িয়ে এসে আমায় জরীয়ে ধরে কান্না করে দেয়। কান্নারত কন্ঠ বললেন,

-‘ আমায় মাফ করে দাও। আর শাস্তি দিয়ো না। মারা যাবো আমি! তুমি ছাড়া আমার একেকটা মূর্হত মরণযন্ত্রণা উপভোগ করায়। মাফ করে দাও আমায় স্নিগ্ধপরী। ‘

-‘ মাফ করে দিয়েছি তো। কান্না থামান! ‘

পূর্ব তার অধরযুগলের ছোয়া কাঁধে একে দেন। এতো সহজে মাফ করে দিতে পারবো তাকে তা আমার চিন্তার মাঝে আসেনি! অতিরিক্ত যাকে ভালোবাসি আমরা তাদের ওপর বেশি সময় রাগ করে থাকা যায়না কথাটা পিয়র সত্যি। আজ মনে হচ্ছে। পূর্ব কাঁধ থেকে মুখে তুলে বললেন,

-‘ ভালোবাসি! প্রচন্ড ভালেবাসি স্নিগ্ধপরী। ‘

চলবে….