স্বামী পর্ব-০৮

0
174

#স্বামী
পর্ব : ০৮
#মেঘা_মেহেরাব

সেদিন প্রথম রাসেল নুরাইসার গালে একটা চড় মেরে বসে। এটা নিয়ে আর কোন কথা বাড়ায় না রাসেল।নুরাইসা সংসার করায় মন দেয় পড়াশোনো সে আর করবে না।দের বছর যেতে না যেতেই খুশির সংবাদ পায় রাসেল,সে বাবা হতে যাচ্ছে খুশিতে আত্মহারা হয়ে যায় সে।নুরাইসার বাবার তো খুশির শেষ নেই।সোজা সাপ্টা সরল লোকটা সারাদিন যা পরিশ্রম করে টাকা পেতো তার থেকে রোজ এটা ওটা খাবার এনে মেয়ের সামনে রাখতো। কিন্তু এই অল্প বয়সে প্রেগনেন্সি তে নুরাইসা অসুস্থ হয়ে পড়ে, কিছু খেতে পারতো না। কোনো রকম কিছু খাবার পেটে গেলেই হর হর করে বমি করে দিতো। রাসেল খুব যত্ন করে তা পরিষ্কার করে নিতো।

অসুস্থ শরীর নিয়ে যখন নুরাইসা রান্না করতে পারতো না রাসেল আর নুরাইসার বাবা দুজন মিলে রান্নার দায়িত্ব নিতো। প্রথমদিন তো খাবার রানতে গিয়ে বেহাল দশা সব লবণ দিয়ে পু’ড়িয়ে ফেলেছিল। নুরাইসার বাবা আর রাসেল অনেক কষ্টে সে খাবার খেয়ে ছিল। কারণ খাবার নষ্ট করার মত ভুল তারা করবে না এই খাবার এর জন্য কত কষ্ট করতে হয়েছে যখন নুরাইসার বাবা সহ তাদের এক ঘরে করে রেখেছিল।নুরাইসা এমন লবণে পোড়া খাবার খেতে পারবে না বলে সেদিন রাসেল সাইকেল চালিয়ে তিন গ্ৰাম দূরে গঞ্জে থেকে খাবার এনে দিয়েছিল নুরাইসাকে।এমন টা প্রায় হতো কারণ পুরুষ মানুষ সারাদিন কাজ করে বসায় এসে আবার রান্না করবে এ এক অসহ্য যন্ত্রণা সব পুরুষের এতো ধৈর্য থাকে না।

সারা রাত নুরাইসার হাত পায়ে জ্বালা করতো, হাত পা ঠান্ডা হয়ে শ্বাস কষ্ট শুরু হয়ে যেত, মাথা ঘোরা, কোমরে ব্যথা কত রকম অসহ্য যন্ত্রণা হতো। ক্যালসিয়ামের অভাব এ এমন টা হতো হয়তো, অনেক সময় এটা শরিরে চাপা থাকলেও মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রেগনেন্সির সময় এগুলো বেশী দেখা যেত । আর মা হওয়াও তো চারটে খানিক কথা না। রাসেল নুরাইসার বাবা কে আর বাইরে কাজ করতে যেতে নিষেধ করে দেয় কারণ দুই জন পুরুষ ই সারাদিন বাইরে কাজের সুবাদে থাকলে নুরাইসাকে দেখবে কে? দরকার হলে রাসেল আরো পরিশ্রম করবে এমনিতেও সে যা পরিশ্রম করে পায় তা দিয়ে মোটা ভাত কাপড় জোগাড় করতে পারে । যদিও নুরাইসার বাবা আর রাসেল মিলে অতিরিক্ত পরিশ্রম করতো কারণ এই বেড়ার ঘর মাটি দিয়ে লেপতে নুরাইসার অনেক কষ্ট হতো , যেদিন এই কাজ করতো তিন চার দিন কোমরের ব্যাথায় নরতে পারতো না। রাসেল ও মাঝে মাঝে সাহায্য করতো তবে জেদ ধরে বসতো নুরাইসা, তার #স্বামী কে এসব করতে মানায় না যত কষ্ট হোক সে একাই করবে। অবুঝ সেই নুরাইসা কতো কিছু বুঝতে শিখেছে , যেই রাসেল কে জমের মত ভয় পেতো এখন তো তাকেও আদরের শাশনে রাখে। খুব ভালো লাগে রাসেলের। তাই রাসেল সিদ্ধান্ত নেয় তারা পাকা সিমেন্টের ঘর তৈরি করবে তাই এতো পরিশ্রম করা।

এভাবেই নুরাইসার প্রেগনেন্সি তিন চার মাস কেটে যায় । হঠাৎ করে একদিন নুরাইসার প্রচন্ড পেটে ব্যাথা করে রাসেল বাসায় ছিল না নুরাইসার বাবা মেয়ে কে নিয়ে কি করবে কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলো না। ব্যথায় যখন নুরাইসা ছটফট করছিল উপায় না পেয়ে নূরাইসার বাবা সেদিন দৌড়ে মাতব্বর সাহেবের বাড়িতে যান একটু সাহায্য নেওয়ার জন্য কারণ একঘরে করে রাখার কারণে কেউ এগিয়ে আসছিল না তাদের সাহায্য করতে। রাসেল তিন গ্ৰাম দূরে কাজে ছিল অত দূরে মেয়ে কে রেখে রাসেল কে খবর দেওয়া কনো ভাবেই সম্ভব হচ্ছিল না ‌। সেদিন মাতব্বর সাহেব নুরাইসার বাবাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিল সাথে এটাও বলেছিল ,

নুরাইসা কেন সয়ন রাসেল ও যদি তার সামনে ছটফট করে মা’রা যায় তবুও তার দিকে ফিরেও তাকাবেনা সে, সেখানে ওই নুরাইসা কি জিনিস।আরো অভিশাপ দেয় তিনি আল্লাহর কাছে দুই হাত তুলে ফরিয়াদ করবেন ঐ দুশ্চরিত্রা মেয়ে যেন তীব্র মরণ যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে যেন মারা যায় যেই মেয়ের জন্য তার নিজের সন্তান তার বিরুদ্ধে গেছে সেই নিজে যেন তার সন্তান কি জিনিস কোন দিন বুঝতে না পারে।

নুরাইসার বাবা সেদিন কাঁদতে কাঁদতে সেখান থেকে বেরিয়ে আসে।এসে তিনি মেয়েকে সে ভাবে ব্যথায় ছটফট করতে দেখেছিলেন। তিনি পারছিলেন না মেয়ের এমন ব্যথার কারণ জানতে ‌ । আজ বেগম এর কথা খুব মনে পড়ছে আজ সে থাকলে হয়তো মেয়েটার ব্যাথা উপশম করার উপায় জানতে পারতো। মেয়ের যন্ত্রণায় তিনিও ছটফট করছিলেন কিন্তু কিছু করতে পারছিলেন না। এমন সময় হঠাৎ করে নুরাইসাদের বাড়ির সামনে গেটে কয়েকবার সাইকেলের বেল বেজে উঠল কেউ মনে হলো। রাসেল এসেছে মনে করে নুরাইসার বাবা দৌড়ে বাহিরে এসে দেখেন সেখানে একটি ভ্যান পাশেই একটা ৫০-৬০ বছরের পোঢ়া। তার কাছ থেকে জানতে পারে নুরাইসার বাবা রাসেল হাওলাদার এর দাদী ভ্যান টা পাঠিয়েছেন। এই মুহূর্তে এর থেকে আর বেশি সাহায্য করা সম্ভব না। কেউ যেন এই বিষয়টা ঘুনাক্ষরেও না টের পায়। যত দ্রুত সম্ভব এই ভ্যানে করে নুরাইসাকে নিয়ে তিনি ভ্যান চালিয়ে যেন সরকারি হাসপাতালে যান।

আর সময় ব্যয় না করে নুরাইসার বাবা কোলে করে মেয়েকে ভ্যানে ওঠিয়ে তা চালিয়ে আসেন তিন চার গ্ৰাম দূরে একটা সরকারি হাসপাতালে। আসার আগে নুরাইসা একটা চিঠি লিখে দরজার কাছে একটুকরো মাটি চাপা দিয়ে রেখে আসে। যেন রাসেল বাসায় এসে জানতে পারে তারা কোথায়।

রাসেল সেদিন বাড়িতে এসে দরজা লাগানো বেড়ায় হাতলে ছোট তালা ঝুলতে দেখে চলন্ত সাইকেল ফেলে দুটি মাটির সিঁড়ি বেয়ে উঠে তালা ধরে চারিদিকে চোখ বুলিয়ে নেয়, পায়ের কাছে একটা কাগজ দেখতে পাই যা ছোট মাটির টুকরো দিয়ে চাপা দিয়ে রাখা ছিল। কাগজ টি পড়েই সাইকেল নিয়ে ছুট লাগায় সেই হসপিটালে। দুই দিন নুরাইসাকে হসপিটালে ভর্তি করে রাখতে হয়। ডক্টর রাসেলকে বলে তাকে নিয়মিত চেকআপ করতে আসতে হবে প্রতি মাসে। কারণ অসুস্থতা এতটাই বেশি ছিলো যে, কোন রকম অবহেলায় র’ক্তপাত শুরু হতে পারে। নুরাইসার ও বড় কোন ক্ষতি হবে না তার নিশ্চয়তা তারা দিতে পারবে না। পাগল মনে হচ্ছিল তখন রাসেল কে সবার সামনে নুরাইসা কে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে বার বার বলেছিল

“আমার শরীরে এক ফোঁটা রক্ত বিন্দু থাকতে আমি আমার নুরাইসার কিছু হতে দিব না।”

চার গ্ৰাম দূরে যেয়ে নুরাইসা কে হসপিটালে প্রতিনিয়ত চেকআপ করা নুরাইসার জন্য সহজ ছিল না। গ্ৰামের পথ ঘাটের ও বেহাল দশা তার উপর তাদের সাহায্য করতে কেউ এগিয়ে আসে না সেদিন নেহাত তার দাদী ভ্যান পাঠিয়েছিলেন নয়ত কি হতো রাসেল ভাবতে পারে না। রাসেল যেই দালানের মালিকের কাছে কাজ করতো তাকে চাচা বলে সম্মান করতো। তিনি ও রাসেল কে অনেক ভরশা করতেন। নুরাইসার খোঁজ নিতেন। কথায় কথায় একদিন রাসেল সেই মালিক কে তার সমস্যার কথা বললে তিনি রাসেলকে বলে, তিনি আপাতত বাড়িতে যে টিনের ঘর খালি পরে আছে সেখানে নুরাইসা সহ তাদের সবাইকে থাকতে। পোয়াতি মানুষ যখন তখন হসপিটালে নিতে হতে পারে। তাছাড়া সেখানে আশে পাশে মানুষ সুবিধা অসুবিধা হলে এগিয়ে আসবে। রাসেল অমত পোষন করে যদিও মন থেকে না কারণ সে অবুঝ না নুরাইসার কষ্ট সে ঢেড় বুঝতে পারে।

নুরাইসার তখন সাত মাস চলে। হঠাৎ রাসেল জানতে পারে তার দাদী মারা গেছেন। রাসেল শেষ বারের মত তার মরা দেহ দেখতে গেলে মাতব্বর সাহেব ঘোর আপত্তি জানায়। রাজন রাসেল কে কিছুতেই বাড়ির ভেতরে ঢুকতে দেয় না । সেদিন রাসেলকে বড় অসহায় মনে হচ্ছিল। বাড়িতে এসে রাসেল যেন ভেঙ্গে পরে। নুরাইসা রাসেলকে এমন ভাবে দেখতে পেয়ে নিজের হাউমাউ করে কান্না করে দেয় কারণ আজ তার জন্যই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই সব কিছুর জন্য যেন এক মাত্র সেই দায় । সেদিনের সেই আম খেতে চাওয়া যেন তার জীবনের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। রান্না ঘরে এসে রাসেলের থেকে লুকিয়ে কাঁদতে কাঁদতে আবারো পেটে তীব্র ব্যাথা শুরু হয়ে যায়। এক চিৎকার দেয় বাবা বলে , রাসেল সঙ্গে সঙ্গে রান্নাঘরে এসে দেখেন ওর অবস্থা খুব খারাপ। সেদিন রাসেল নুরাইসাকে পাজো কোলে তুলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে , আশেপাশে তাকিয়ে কাউকে খুঁজে কেউ এই বিপদের সময় তাদের কে সাহায্য করে কিনা। কিন্তু হায় কি অদ্ভুত দন্ডি এই গ্রামের। একঘরে করে রাখা ব্যাক্তি বাড়িতে মরে পচে গেলেও কেউ এগিয়ে আসবে না তাদেরকে আবর্জনার মত ফেলে দিতেও। রাসেল নিজের গ্রাম পার হলো সাত মাসের গর্ভবতী নুরাইসা কে পাজো কোলে নিয়ে। গঞ্জে এসে এক ভিন গ্ৰামের মালগাড়ি সাহায্যর জন্য পেয়ে যায়।

৩ দিন পর নুরাইসা কে নিয়ে রাসেল উঠে তার সেই মালিক এর বাড়িতে। নুরাইসার বাবা একে একে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র সব নিয়ে আসেন। খুব ভালো কাটছিল সেখানে তাদের সংসার জীবন। নুরাইসার দেখার লোকের অভাব নেই সেখানে । সেই বাড়ির মালিকের বৌ নুরাইসা কে নিজের মেয়ের মত দেখভাল করতে থাকে। দেখতে দেখতে নুরাইসার ডেলিভারীর সময় এসে যায়। দীর্ঘ নয় মাস পর একটা ফুটফুটে ছেলে সন্তান জন্ম দেয় নুরাইসা। হাসি খুশি তে ভরে ওঠে রাসেলের সংসার।নুরাইসা রা নিজেদের বাড়িতে ফিরতে চাইলে বাঁধ সাধে রাসেলের মালিক চাচা চাচি দুজন ই ।

তাদের দুই ছেলে এক মেয়ে। মেয়েটা বিয়ে হবার ছয় বছর পর সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা যায় সন্তানসহ তার মেয়ে। বড় ছেলে বিদেশে গেছেন ১৩ বছর হয়ে গেছে,এখন বিয়ে করে সেখানে পুরোপুরি ভাবে সেটেল হয়ে গেছে গ্ৰামে আর ফিরবে না। বিয়ের পর দুই বছর খোঁজ খবর নিলেও পরে চার বছর হলো একটা ফোন ও করে না। ছোট ছেলে শহরে থাকে বেশ ভালো একটা বেসরকারি কোম্পানীতে চাকরি করেন। বিয়ে করেছে তিন মাস মত হয়েছে। সেও চাকরি করেন। দুজন মিলে গ্ৰামে টাকা পয়সা পাঠায় বাবা মায়ের জন্য। ভবিষ্যতে কথা ভেবে পাঁচ তলার প্লান নিয়ে বাড়িতে হাত দিয়েছে, যেহেতু সে নেই আর বাবার বয়স হয়েছে তাই বাবার কথায় বিশ্বস্ত রাসেল কে দায়িত্ব দিয়েছে। ঢাকাতে স্বল্প দামে মানে ৭০ লাক্ষে একটা প্লট বিক্রয় হবে জানতে পারে ছোট ছেলে। তার টার্গেট সেটা কেনা তবে কিছু টাকা কম পরে যায় গ্ৰামের বাড়ি করতে গিয়ে এই যেমন ২০ লক্ষ টাকার মত। তাছাড়া শহরে থেকে থেকে এখন আর গ্ৰাম ভালো লাগে না। গ্ৰামে বাবাকে জানালে তিনি বলেন তার বসত বাড়ি টা বিক্রি করে দিতে কারণ ছেলে তার বাবা মা কে খুব যত্ন করে বুড়ো বয়সে ফেলবে না, তাতে কোন সন্দেহ নেই। তাছাড়া ছেলে বলেছে তাদের কে ঢাকা নিয়ে যাবে আজ হলেও বা কাল ।সে যেহেতু গ্ৰামে আসতে পারবে না তাহলে শেষ বয়সে বাবা মাকে দেখবে কে তাছাড়া ছেলের বৌ ও খুব ভালো খুব সম্মান করে তাদের, বাবা নেই তার তাই বাবার শূন্যতা শশুর কে দিয়ে পূরণ করতে চায় । ফোন করে বার বার শহরে আসতে বলে তাদের কে।

চাচা চাচির মুখে যখন রাসেল শুনে তাদের বাড়ি বিক্রি করে দিবে তখন তার মন খারাপ হয়ে যায়। আবার নতুন করে কাজের সন্ধান করতে হবে। এমনি তেই এখানেই দেখাশোনা করে শ্রমিকদের সাথে কাজে সহায়তা করে বার বার ইচ্ছা হলেই নুরাইসার কাছে চলে আসে ছেলে কে যখন তখন ছুঁতে পারে। নুরাইসাকে কাজে সাহায্য করতে পারে। দূরে গেলে এসব করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।

জমিটা বিক্রি হয়ে যায় । চাচা চাচি শহরে চলে যায় যাবার আগে সব কিছু রাসেল কে বুঝিয়ে দেয় কারণ যে এই জমি টা কিনেছেন সে এখানকার পুলিশ অফিসার , চাকরি আছেন আর ছয় বছর, কোন বাচ্চা নেই তার।একটা সন্তানের আশায় কত কিছু করেছেন তার হিসেব নেই। ভদ্র লোক ভালো মানুষ তাই দ্বিতীয় বিয়ে করেন নি। বাচ্চা এডোপ নিয়েছিল তবে কপাল খারাপ তাই বাচ্চাটা মারা যায় নিমুনিয়া হয়ে আর পরে শোক কাটিয়ে উঠতে পারে নি বলে আর বাচ্চা এডোপ নেয় নি। তিনি গ্ৰাম পছন্দ করেন তাই শেষ জীবন গ্ৰামে কাটাতে চাই। বাড়ি টা যেহেতু পুরোপুরি তৈরি হয় নি তাই রাসেল কে তিনি হাত ছাড়া করবেন না । কারণ যাওয়ার আগে চাচার কাছে রাসেলের গুণগান শুনে খুব ভালো লেগেছিল তারপর যখন জানতে পারে তার একটি বাচ্চা আছে সে রাসেল কে আর যেতে দিতে চাই নি। কারণ অবসর সময়ে একটা বাচ্চা সারা বাড়ি দৌড়ে বেড়াতে দেখার খুব শখ তার হোক না তা পরের।

#চলবে…