#হতে_পারি_বৃষ্টি
#মোহনা_মিম
#পর্বঃ৪২
#সমাপ্তি
পাঁচ দিন পর তানিয়াকে বাড়িতে নিয়ে আসা হলো। ছেলে নিয়ে বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করতেই মিমি তানিয়ার কোল থেকে তাহির কে নিয়ে নিলো। তাহিরের সাথে কথা বলতে লাগলো। তা দেখে তানিয়া মুখ গোমড়া করে বলল–
— আমি কতদিন পর বাড়িতে এলাম, অথচ আমার দিকে কেউ পাত্তায় দিচ্ছে না।
মিমি হেসে বলল–
— তুই হিংসে করছিস তানি? হিংসে কর আর যাই কর তুই এখন বাদ। এখন তো তাহির কে নিয়ে থাকব সব সময়। তোর ছেলে একদম তোর মতো হয়েছে রে তানি। দেখ শুধু হাসে আর একটু জোরে কথা বললেই ঠোঁট ফোলায়। তোর মেল ভার্সন নাকি এটা?
তানিয়া রাগ করতে যেয়েও হেসে ফেললো। মিমির পাশে বসে বলল–
— আর কদিন পর তো আরও একজন আসবে। তখন আমি সারাক্ষন তাকে নিয়ে বসে থাকব দেখিস। আর তুই থাকিস তোর তাহিরকে নিয়ে।
তুই বান্ধবীর কথা বলা দেখে মনে হচ্ছে না যে তা শেষ হবে। মেঘ অসহায় মুখে দাঁড়িয়ে আছে। ভেবেছিল বাড়িতে ফিরে বউকে একটু আলাদা পাবে, কিন্তু এখন কাহিনী অন্যরকম। দুই জা কম বান্ধবী বেশি বসে গল্প শুরু করে দিয়েছে। মিসেস রিতা মেঘকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বললেন–
— এই মেঘ! ওভাবে ক্যাবলাকান্ত হয়ে দাঁড়িয়ে আছিস কেন রে? আয় দেখি আমার সাথে, তাহিরের জন্য কিছু জিনিস কিনতে হবে। যা গিয়ে নিয়ে আয়। এখন বাপ হয়েছ অনেক দায়িত্ব বুঝেছ? গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরঘুর করার সময় শেষ।
মেঘ মুখ কালো করে ফেললো। বিড়বিড় করে বলল–
— তাই তো দেখছি। আমার রোমান্সের দিন শেষ। বউকে কাছেই পাবো না, রোমান্স তো দূরে থাক।
মেঘকে এখনও স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মিসেস রিতা গলা উঁচিয়ে বললেন–
— কিরে! দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘুমিয়ে গেলি নাকি? আয় আমার সাথে।
মেঘ ছোট্ট শ্বাস ফেলে মিসেস রিতার সাথে গেল। এখন তাকে দায়িত্ববান হতে হবে। ছেলেকে মানুষ করতে হবে। আর কপালে থাকলে ছেলে একটু বড় হলেই আবার বাবা হবে। মেঘ ঢোক গিলে ভাবলো ‘আমার এই পরিকল্পনা তানিয়া জানতে পারলে নির্ঘাত ঘুষি মেরে আমার নাক ফাটিয়ে ফেলতো।’
—-
এই পাঁচটা দিন মিমি কাইফের সাথে কথা বলে না। সবার সামনে স্বাভাবিক থাকার ভান করে, কিন্তু কিছুই স্বাভাবিক নেই। কাইফকে এড়িয়ে চলে সে। কাইফ তার অনেক যত্ন নেয়, তবে মিমি নিরবে তা দেখে। বাঁধা ও দেয় না আবার সায়ও দেয় না। কাইফ অনেক চেষ্টা করে তার সাথে কথা বলতে কিন্তু মিমি বলে না। এখন সে সারাক্ষণ তাহিরকে নিয়ে বসে থাকে। কাউকে বুঝতে দেয় না তার মনের অবস্থা। এমনকি কাইফের মাফিয়া হওয়ার বিষয়টাও সে কাউকে বলেনি। বর্তমানে সে তাহিরকে কোলে নিয়ে তানিয়ার রুমে বসে আছে। তানিয়া ও সে গল্প করছে এবং তাহিরের সাথে খেলছে। এর মধ্যে হনহনিয়ে প্রবেশ করলো কাইফ। তার সাথে এলো মেঘ। কাইফ মিমির দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে মেঘকে বলল–
— মেঘ কাউকে বলে দে সে যেন আমার সাথে রুমে যায়।
মেঘ মাথা চুলকে বলল–
— কাকে বলবো ভাইয়া? তুমিই বলো না?
কাইফ কড়া চোখে মেঘের দিকে তাকিয়ে বলল–
— মেঘ! তোর শ্যালিকাকে বল আমার সাথে আসতে।
— কিন্তু ভাইয়া! মিমি তো আমার ভাবিও হয়।
কাইফ দাঁতে দাঁত চেপে বলল–
— কোনো দিন ভাবি ডেকেছিস? এখন কানের কাছে ছাগলের মতো ম্যা ম্যা করিস না। যা বউ বাচ্চা সামলা। আর আমাকে আমার বউ নিয়ে দে।
মেঘ মুখ কুঁচকে বলল–
— তো তোমার বউ আমি আটকে রেখেছি নাকি? নিয়ে যাও না।
কাইফ ছোট্ট একটা শ্বাস ফেলে মিমির দিকে এগিয়ে গেল। তার কোল থেকে তাহিরকে নিজের কোলে নিল। ছোট্ট হাতে ঠোঁট ছুঁইয়ে বলল–
— চ্যাম্প! তুমি কিন্তু মোটেও তোমার পাপার মতো নির্লজ্জ, অসভ্য, গরু হবে না। ঠিক আছে? তুমি তোমার চাচ্চুর মতো স্ট্রং হবে।
তাহির কাইফের দিকে তাকিয়ে হাসে। এইটুকু বাচ্চা কি বুঝেছে কে জানে? মিমি মুখ বাঁকিয়ে বিড়বিড় করে বলল–
— হ্যাঁ চাচ্চু মতো মাফিয়া হবে। যেমন চাচা তার তেমন ভাতিজায় তো হবে।
কাইফ তানিয়ার কোলে তাহিরকে দিয়ে দিলো। টি শার্টের কলার ঝাড়া দিয়ে হেঁচকা টানে মিমিকে পাঁজাকোলা করে তুলে নিলো। মিমি হকচকিয়ে গেল। কিছু বলতে যেয়েও বলল না। কারণ সে কাইফের সাথে কথা বলবে না বলে পণ করেছে। মিমিকে নিয়েই সে লম্বা লম্বা পা ফেলে রুমের দিকে এগিয়ে গেল। তাদের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে মেঘ মুচকি হেসে বলল–
— দেখেছ তানিয়া? আমার রসকষহীন ভাইয়াটা কেমন রোমান্টিক হয়ে গিয়েছে? বউকে কীভাবে তুলে নিয়ে গেল দেখলে? সবই আমার ক্রেডিট।
তানিয়া মুখ বাঁকিয়ে বলল–
— তোমার ক্রেডিট কেন? কি করেছ তুমি?
— আরে চোখের সামনে তোমাকে আর আমাকে রোমান্স করতে দেখে ভাইয়া নিজেও রোমান্টিক হয়ে গিয়েছে। বুঝলে?
— এহ! ভাইয়া মিমিকে পেয়ে রোমান্টিক হয়েছে বুঝলে? তোমার আলতু ফালতু লজিক দেওয়া বন্ধ করো।
মেঘ তানিয়ার পাশে বসে তাহিরের দিকে তাকিয়ে বলল–
— মিস্টার তাহির খান! আপনি ঘুমাবেন না নাকি?
তাহির চোখ বড় বড় করে তাকায়। মেঘ বুঝে যায় এই ছেলে সহজে ঘুমাবে না। তানিয়া বলল–
— ওর ঘুমানোর সাথে তোমার সম্পর্ক কি?
— ইয়ে না মানে। একটু রোমান্স করতাম আর কি।
তানিয়া চোখ গরম করে তাকিয়ে বলল–
— খবরদার! আমার আশে পাশে এসেছ তো! ছেলের জ্বালায় বাঁচি না, এখন আবার ছেলের বাপ জ্বালাতে এলেন। সরো।
— এমন করো কেন সোনা মোনা?
— এক ছেলের বাপ হয়েছ। সোনা মোনা বলতে লজ্জা করে না? ছেলে কি শিখবে?
— ছেলে রোমান্স করা শিখবে। আর কি?
তানিয়া মেঘের কোলে তাহিরকে দিয়ে বলল–
— এই নাও ছেলেকে এবার রোমান্স শেখাও। যদি কাঁদে আমাকে ডাকবে না একদম। বসে বসে রোমান্স শেখাবে।
তানিয়া উল্টো মুখ করে শুয়ে পড়লো। মেঘ অসহায় মুখ করে ছেলের দিকে তাকিয়ে বলল–
— দেখলি? তোর মা আমাকে একদম ভালোবাসে না। একদম না। তার ভালোবাসার অভাবে আমি শুকিয়ে যাচ্ছি সেটাও তোর মা দেখে না।
মেঘ কথা বলেই যাচ্ছে তার তাহির মুখে আঙুল দিয়ে অদ্ভুত শব্দ করছে। যেন সে মেঘের সব কথা বুঝতে পারছে। তানিয়া বাবা ছেলের কান্ড দেখে ঠোঁট টিপে হাসে।
কাইফ রুমে প্রবেশ করে মিমিকে সাবধানের সাথে বিছানায় বসিয়ে দিলো। ইচ্ছে তো করছিল ছুড়ে ফেলতে, কিন্তু মিমির মধ্যে যে আছে তার কথা ভেবে কাইফ তার ইচ্ছে এড়িয়ে গেল। দরজা লক করে এসে সে মিমির সামনে বসলো। মিমি মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে। কাইফ ছোট্ট শ্বাস ফেলে মিমির মুখ দুহাতে আগলে নিয়ে নিজের দিকে ফেরালো। করুণ কন্ঠে বলল–
— আমার সাথে কথা বলছো না কেন? আমি কি এতোই জঘন্য? যার জন্য তুমি আমার সাথে কথা বলো না?
মিমি চুপ করে আছে। দৃষ্টি তার নিচে। কাইফ মিমির মুখ উঁচু করে ধরে বলল–
— এই! তাকাবে না আমার দিকে? তুমি আমার সাথে কথা বলো না, কতটা কষ্ট হয় জানো? সব থেকে নিকৃষ্ট মানুষ মনে হয় নিজেকে। বলো আমাকে কি করলে তুমি আমার সাথে কথা বলবে? বলো।
মিমির চোখ ছলছল করে ওঠে। তার জন্য এতো কষ্ট পাচ্ছে মানুষটা? সে কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলল–
— আমি চাই না আমার সন্তান তার বাবাকে খু/নি বলে জানুক। আপনি এই পথ থেকে সরে আসুন মিস্টার খান। আমার গর্ভে যে আছে, তার কথা ভেবে অন্তত আপনি এসব ছেড়ে দিন।
মিমির চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ে। কাইফ দুহাতে তা মুছে দেয়। কপাল ঠেকায় মিমির কপালে। ধীর কন্ঠে বলল–
— আমি ছেড়ে দেব। সব ছেড়ে দেব। তবুও তুমি আমার সাথে কথা বলা বন্ধ কোরো না। শেষ হয়ে যাব আমি। তুমিই যে আমার সব।
মিমি ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে। কাইফ তার মাথা বুকের সাথে চেপে ধরে। মিমি তার টি শার্ট খামচে ধরে কাঁদতে থাকে। কাইফ তাকে বাঁধা দেয় না। একটু কেঁদে নাহয় সে মনের সব কষ্ট বের করে দিক।
——
দেখতে দেখতে দিন গুলো পার হয়ে গেল। কীভাবে পার হয়ে গেল কেউ বুঝতেই পারলো না। আট মাসের তাহির মেঘের কোলে বসে ড্যাব ড্যাব করে চারপাশে তাকাচ্ছে। একটু আগেই সে কেঁদে কেটে কিছুক্ষণ জ্বালিয়ে তারপর শান্ত হয়েছে। তানিয়ার ধারণা মেঘের জন্যই ছেলে এমনটা হয়েছে। তানিয়া মেঘের পাশে বসে আছে। মেঘের অপর পাশে বসে রয়েছে নিশান। তার বয়স এখন আট। নিজেকে সে খুব বড় বড় মনে করে। সে নিজের বড় মামাকে আদর্শ বানিয়ে তার মতোই হয়ে যাচ্ছে, গম্ভীর। এখানে রিহা ও সিফাতও আছে। কিছু মাস পূর্বে তাদের বিয়ে হয়েছে। মিসেস মুক্তা অমত করেননি। তার নিজেদের জীবনে বেশ আছে। মিসেস মুক্তা খান ম্যানসনে পুরোপুরি শিফ্ট হয়ে গিয়েছেন। তিনি একা একাই থাকতে চেয়েছিলেন কিন্তু মিমি তাকে ছাড়েনি। মিসেস রিতা, মিসেস মুক্তা বসে আছেন এক পাশে। আফজাল খান, আজমল খান পরে আসবেন। কাইফ চিন্তিত মুখে সামনের দিকে তাকিয়ে আছে। ঈশানি তার কাঁধে হাত রেখে বলল–
— এতো চিন্তা করছো কেন ভাইয়া? সব ঠিক হবে।
কাইফের চিন্তা তবুও কমে না। কিছুক্ষণ পর বাচ্চার কান্নার আওয়াজে মুখোরিত হয় চারপাশ। সকলের মুখে হাসি ফুটে ওঠে। কাইফ ছটফট করতে শুরু করে নবজাতককে দেখার জন্য, তাকে আগলে নেওয়ার জন্য। কাইফের ছটফটানি দেখে সকলে ঠোঁট টিপে হাসে। ওটি থেকে নার্স বের হয়। নার্স মুখ খোলার আগেই কাইফ লম্বা লম্বা পা ফেলে তার দিকে এগিয়ে গিয়ে বলল–
— ওকে আমার কাছে দিন। সাবধানে দিবেন কিন্তু।
নার্স এক গাল হেসে ছোট্ট শরীরটাকে কাইফের হাতে তুলে দেয়। কাইফ তাকে মন ভরে দেখে। চোখ ঝাপসা হয়ে আসে তার। পর পরই তার চোখ থেকে অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। তবে খুব দ্রুত সে নিজেকে সামলে নেয়। নার্স বলল–
— মেয়ে হয়েছে। আর আপনার স্ত্রী সুস্থ আছেন। তাকে কেবিনে দেওয়া হবে।
নার্স চলে গেল। সকলে কাইফের ওপর হামলে পড়লো। ঈশানি অস্থির হয়ে বলল–
— ভাইয়া! আমার কোলে একটু দাও না?
কাইফ হেসে তার কোলে দিয়ে দেয়। মেয়েকে বুকে নিয়ে অদ্ভুত প্রশান্তি অনুভব হয়েছে তার। মেয়েকে নিয়ে এক প্রকার কাড়াকাড়ি শুরু হলো। বংশের প্রথম মেয়ে বলে কথা! সকলের কাছে সে খুবই দামি। মিমিকে কেবিনে দেওয়ার পর কাইফ প্রথমে গেল তার সাথে দেখা করতে। মিমির পাশে বসে তার মাথায় হাত রাখতেই মিমি চোখ খুলে তাকালো। কাইফের দিকে তাকিয়ে সে মিষ্টি করে হাসলো। কাইফ তার হাতের পিঠে ঠোঁট ছুঁইয়ে বলল–
— তোমার এই ঋণ আমি কীভাবে শোধ করবো মিমি? এই ঋণ যে আমি কখনও শোধ করতে পারবো না। তুমি জানো? যখন ওকে কোলে নিলাম তখন মনে হচ্ছিল পৃথিবীর সব থেকে সুখী মানুষ আমি। আর কেউ না, কেউ না।
মিমি হেসে বলল–
— ও কোথায়?
— মেয়েকে নিয়ে কাড়াকাড়ি চলছে বাইরে। ঈশানি বলে আমি নেবো আর তানিয়া বলে আমি নেবো। এগিকে মায়েরাও বসে আছে তাকে কোলে নেওয়ার জন্য।
কাইফ কথা শেষ করার পরপরই ঈশানি মেয়েকে কোলে নিয়ে প্রবেশ করলো। তার পিছু পিছু নিশানও আসলো। মেয়ে ঘুমিয়ে আছে। মিমি পাশে তাকে শুইয়ে দিয়ে বললো–
— এতো জনের কোলে ঘুরতে ঘুরতে তোমার মেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে গো মিমি। আর তাহিরটাও কি হিংসুটে হয়েছে জানো? যেই দেখেছে সবাই ছোট বাবুকে কোলে নিচ্ছে কিন্তু ওকে নিচ্ছে না, সেই তো কাঁদা শুরু। মেঘ ওকে নিয়ে বাইরের দিকে গেল।
সকলে এসে মিমির সাথে কথা বলে বের হয়ে গেল। শুধু রয়ে গেল নিশান আর কাইফ। মিমি ধীর কন্ঠে বলল–
— মিস্টার খান! আমি আমাদের মেয়ের জন্য একটা নাম ঠিক করেছি।
কাইফ উৎসুক হয়ে বলল–
— কি নাম?
— কাইফ খানের মেয়ে কায়া খান।
কাইফ হাসে। নামটা তার ভালো লেগেছে। সে মুখ এগিয়ে ঘুমন্ত মেয়ের কপালে আলতো ভাবে ঠোঁট ছোঁয়ায়। অস্ফুট কন্ঠে বলল–
— আমার ছোট্ট দুনিয়া। আমার কায়া।
তার জীবন পূর্ণ হলো। আর কিছু চায় না তার। নিশান গভীর দৃষ্টিতে কায়ার দিকে তাকিয়ে আছে। এমন টুকটুকে পুতুলের মতন বাচ্চা সে আগে দেখেনি। সে অনেক আগে কাইফের কাছে তার জন্য একটা বউ চেয়েছিল। এটাই কি তাহলে তার বউ? এমন টুকটুকে বউ-ই তো সে চেয়েছিল। নিশান কায়ার ছোট্ট হাত ধরে ফিসফিস করে বলল–
— আমার বউ!
কেউ তা শুনতে পেল না। ছোট্ট নিশানের মনে চলতে থাকা বিষয়টাও কেউ ধরতে পারলো না। তবে নিশানের কথা শুনে ঘুমন্ত কায়া কি একটু খানি হাসলো? হয়তো হাসলো। তার হাসি দেখে নিশানের ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠলো।
সমাপ্ত!
{ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। }