দুষ্টু মিষ্টি প্রেম পর্ব-০২

0
607

গল্পঃ দুষ্টু মিষ্টি প্রেম
পর্বঃ০২
নিঝুম জামান (ছদ্মনাম)

–এই ডাক্তারের সাথেই সকালে ধাক্কা খেয়ে পড়ে গিয়েছিলাম। তখন ভীষণ অবাক হয়েছিলাম যে ছেলেটা কেনো ওয়ানটাইম ব্যান্ডেজ ব্যাগে নিয়ে ঘোরে,এখন বুঝতে পারলাম আসলে তিনি একজন ডাক্তার।

এরপর রিহা আমাকে যা বলল তা শুনে আমার মেজাজ খারাপ হয়ে গেল।

–এই শোন নিঝুম… আমি না এখানে কেমন জানি প্রেম প্রেম গন্ধ পাচ্ছি। মনে হচ্ছে তোর প্রেমটা ওই ডাক্তারের সাথেই হয়ে যাবে। দেখলি না তোর সাথে কেমন কোমড় বেঁধে ঝগড়া করল, আবার আসার সময় তোর দিকে একটা কিউট করে হাসি দিল। আমি না সিনেমায় দেখেছি নায়ক নায়িকা প্রথমে ধাক্কা খায়,ঝগড়া করে তারপর সেখানেই তাদের প্রেম হয়।

–তুই আবারও তোর গাঁজাখুরি সিনেমার গল্প শুরু করলি? এটা সিনেমা না, এটা বাস্তব জীবন।
(চোখ পাকিয়ে)

–আচ্ছা বাদ দিলাম। (মুখ ফুলিয়ে)

ঔষধ কিনে আমি আর অর্ক বাড়ি চলে এলাম আর রিহা ওদের বাড়ি চলে গেল। বাড়ি এসে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া সেরে অর্ককে ঔষধ খাইয়ে দুজনে শুয়ে পড়লাম।হাসপাতাল থেকে ফেরার পর থেকে কেন জানি ডাক্তারের চেহারাটা ভুলতে পারছিলাম না। আচ্ছা,রিহা কথাটাই যদি সত্যি হয়।ওনার সাথেই যদি….
ধুর,রিহার মতো আমিও সিনেমার কাহিনি দেখে পাগল হয়ে যাচ্ছি বলে নিজের মাথায় নিজেই হালকা একটা থাপ্পড় দিলাম। তবে লোকটাকে আসার সময় মুখ ভেংচে আসাটা উচিত হয় নি।
ছিঃ কি ভাব্বে আমাকে!
.
.
🥀
.
.
বেশ কয়েকদিন কেটে গেছে। অর্ককে নিয়ে বাইরে হাঁটতে বেড়িয়েছি। উদ্দেশ্য পার্কে যাওয়া।ছেলেটা ভীষণ দুষ্ট হয়েছে ইদানীং।
বিকেল হলেই খালি আমাকে জ্বালাতন করবে
মা-মাম্মাম,মাম্মাম চ-চলো না ঘু-ঘুরতে যাই।
ওর তোতলামো মিষ্টিকথা শুনে আমিও আর না করি না। সাথে রিহাকেও ফোন করে আসতে বলেছি।রিহাদের বাড়ি আমাদের এলাকাই। আমাদের বাড়ি থেকে দশ-পনেরো মিনিট লাগে যেতে। তিনজন মিলে হেঁটে হেঁটে পার্কে যাচ্ছি। হঠাৎ রিহা চিল্লানি দিয়ে উঠল।

–ওই নিঝুম ওই দেখ তোর ডাক্তার নায়ক আসছে মিশুক দিয়ে।

–চুপ গাধী এতো জোরে কেউ চিল্লায়।ওই ডাক্তার যদি শুনে, কি ভাব্বে? আর আমার ডাক্তার নায়ক মানে কি হ্যাঁ?
বলে ওর ঝুঁটিটা টেনে ধরলাম।

–আরে ব্যথা পাচ্ছি। আরে ওই ডাক্তার তোকে এভাবে দেখলে রাক্ষসী রানী কটকটি ভাববে।
ওর কথা শুনে আমি ওকে ছেড়ে দিলাম।মিশুক দিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের দুজনের দিকে ডাক্তার সাহেব দৃষ্টিপাত করে একটা মুচকি হাসি দিলেন।
তার হাসি দেখে আমরাও সৌজন্যমূলক একটু হাসি দিলাম।
এবারে রিহা আমাকে আবার বলে উঠল,

–দেখলি, দেখলি ডাক্তারটা আমাদের দেখে হাসি দিয়েছে। মনে হচ্ছে এবার প্রেম জমে ক্ষীর। আমার মন বলছে ডাক্তারটা তোর প্রেমে পড়েছে। আর নায়কদের মত এই ডাক্তারটাও বারবার আমাদের সামনে বিশেষ করে তোর সামনে এন্ট্রি নিচ্ছে।

–উফফ,আবার তুই ওই ডাক্তার নিয়ে পড়লি। শোন, ওই ডাক্তারের বাড়ি মেবি এই এলাকায়, আমার স্টুডেন্টদের বাড়ির আশেপাশে তাই আমাদের সাথে বারবার দেখা হচ্ছে। আর যদি বারবার দেখা মানে যদি প্রেম হয় তাহলে ওই যে মদনার সাথে প্রেম হওয়ার কথা কারন রাস্তায় যতবার বের হই ততবার তোকে-আমাকে জিজ্ঞেস করবে-ভালো আছেন আপা? আর সব থেকে বড় কথা কি জানিস?আমার মনে হচ্ছে তুই- ই ডাক্তারের প্রেমে পড়েছিস। না হয় যেভাবে দিনরাত চব্বিশ ঘণ্টা ডাক্তারের কথা ভাবছিস। ডাক্তারটা যদি জানে তুই তাকে নিয়ে এতো ভাবছিস তাহলে দেখবি কালই তোকে বিয়ে করার প্রস্তাব পাঠিয়ে দিয়েছে। বিয়ের আগেই যে মেয়ে তাকে নিয়ে এতো চিন্তা করে, বিয়ের পর তো না জানি কি করবে!! (নিঝুম)

–ইশ তুই যে কি বলিস না! (লজ্জামাখা চেহারায়)
আমি যদি এই ডাক্তারের প্রেমে পড়ি তাহলে আমার ছোটবেলায় ঠিক করা বিয়েটা কে করবে শুনি? বাবার বন্ধুর ছেলেটা মানে রিহানকে বিয়ে না করলে আবার রিহান কষ্ট পাবে।ওর কষ্টটা তো আবার আমি দেখতে পারব না। (রিহা)

–আহা রে,,এই না তুই রিহান ভাইকে ভালোবাসিস না, শুধু তোর বাবার কথা রাখার জন্য রাজি হয়েছিস? (নিঝুম)

–এই তুইও না সব জেনেও খালি জেরা করিস।
আচ্ছা বলতো ওই ডাক্তারটা কি সুন্দর না?

— আমি রিহান ভাইকে আজকেই বলব তার হবু বউ একটা লুচু।জামাই থাকতেও অন্য পোলার ওপর নজর দেয়।

–আরে যাহ,আমি কি আমার জন্য পছন্দ করেছি নাকি? আমি তো ওই ডাক্তারকে তোর জন্য পছন্দ করেছি? বল ছেলেটা সুন্দর না?

–হ্যাঁ,আমি তো প্রথমদিন ধাক্কা খেয়েই ওনার ওপর ক্রাশ খেয়ে বসে আছি। (হাত দিয়ে চোখ ঢেকে)

–শয়তান মাইয়া,, এই কথা আমাকে আজকে বললি?

রিহা আমাকে আরো কিছু বলতে নিচ্ছিল কিন্তু তার আগেই অর্ক বলে উঠল,

–মা-মাম্মাম, কা-কাশ(ক্রাশ) কি জিনিস? আ-আমিও কাশ(ক্রাশ)খাব। তুমি আমাকে না দিয়ে একা একা কাশ খেয়ে ফেলেছো,এখন আমাকে কিনে দাও। ( হালকা কান্না করে)

অর্কের মুখে এমন কথা শুনে আমরা দুজনেই চমকে উঠলাম।ওর সামনে এসব আলোচনা করা একদমই উচিত হয় নি। ভুলেই গিয়েছিলাম ও যে আমাদের সাথে আছে। বাড়ি গিয়ে সবার সামনে উল্টা-পাল্টা কথা না বললেই হয়।

–আচ্ছা, চলো বাবাই তোমাকে কিনে দেই।
বলে দোকান থেকে দুটো কিটকাট চকলেট নিয়ে এলাম।

–এহ,,মাম্মাম এ-গুলো ত-তকলেট। এগুলো কাশ না।

–আরে বাবাই এই চকলেটগুলোকেই এখন ক্রাশ বলে। বিশ্বাস না হলে রিহা আন্টিকে জিজ্ঞেস করো…

আমার কথা শুনে রিহাও মাথা নাড়ালো।এরপর আর এই নিয়ে কোন কথা বললাম না। ঘুরাঘুরি করে বাড়ি চলে আসলাম। বাড়ি আসতে আসতে সন্ধ্যা হয়ে গেল।ঘরে ঢুকতেই আমাকে দেখে সবাই চুপ হয়ে গেল। কি ব্যাপার! আমাকে দেখে সবাই এমন চুপ হয়ে গেল কেন? নিশ্চিত আমাকে নিয়ে আলোচনা চলছিল, এর কারনটা তো আমাকে জানতেই হবে। তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে দরজার পাশে এলে দাঁড়ালাম।
আব্বু,আম্মু,আর দুলাভাইয়ের কথা শুনে আমি রীতিমতো অবাক। দুলাভাই আমার জন্য বিয়ের প্রপোজাল নিয়ে এসেছে।শুনে তো আমার মাথা গরম হয়ে গেল। কয়দিন হলো মাত্র একজনের ওপর ক্রাশ খেয়েছি,তার সাথে প্রেম হওয়ার আগেই কিনা আমার অন্য জায়গায় বিয়ে হয়ে যাবে। আমার ভাইয়া বলছে,

— আব্বু, বলছিলাম কি নিঝুম তো এখনো ছোট। সবে অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পড়ে। আর দু-এক বছর যাক তারপর না হয় ওর বিয়ে নিয়ে চিন্তা করা যাবে।

–আরে তিয়াশ চুপ কর তো..নিঝুমকে আর কত ছোট বানিয়ে রাখবি।আর পাত্র দেখতে দেখতেই এমন এক-দেড় বছর কেটে যায়। তাছাড়া ওকে বিয়ে দিয়ে আবার তোকেও তো বিয়ে-শাদি করতে হবে নাকি? (আম্মু)

তাদের কথাবার্তা শুনে প্রচন্ড বিরক্ত লাগছিল।
আরো কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে শুনতে পেলাম, পাত্র আসলে একজন ডাক্তার। একথা শুনে আমার মনে লাড্ডু ফুটা শুরু করল। নিশ্চিত আমার ক্রাশ ডক্টরই আমাকে বিয়ে করার প্রপোজাল দিয়েছে ভাবতেই নিজের অজান্তেই ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠলো।
আমি আর দাঁড়িয়ে কোন কথা না শুনে নাচতে নাচতে নিজের রুমে চলে এলাম। ইচ্ছে করছিল রিহাকে ফোন করে ক্রাশ ডক্টরের সাথে আমার বিয়ের কাহিনিটা বলার।শেষ পর্যন্ত কিনা রিহার কথাই সত্যি হলো।রিহার মুখে ফুলচন্দন ফুটুক।

★★★

দুইদিন পরে মা আর আপু আমাকে ডাক্তারের বিয়ের প্রপোজালটার কথা বললো আর আমার হাতে ডাক্তারের বায়োডাটা ধরিয়ে দিল।।মনে মনে তো আমার মনে লাড্ডু ফুটছিল কিন্তু মুখে সেটা প্রকাশ না করে স্বাভাবিক ভঙ্গিতেই বসে বসে কথা শুনছিলাম।

–মা নিঝুম দেখ,তোর আপু নীলিমার কিন্তু অনার্স থার্ড ইয়ারে থাকতেই বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর ও পড়াশোনা শেষ করে এখন চাকরি করছে। মেয়েরা কিন্তু চাইলেই সব পারে।তুইও বিয়ের পর পড়াশোনা কমপ্লিট করবি তাছাড়া ছেলে হচ্ছে ডাক্তার সে তো আর তোকে পড়াশোনা না করাবে না। সব ভেবেচিন্তে আমরা ডিসিশন নিয়েছি তুই বললে আমরা তাদের দেখতে আসতে বলব।কি বলিস মা? (আম্মু)

–তোমরা আমার জন্য যা ভালো মনে করবে, তাই করো।

–আম্মু, নিঝুম যেহেতু রাজী তাহলে নিলয়ের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলি।ওকে গিয়ে বলি যেন তারা শীঘ্রই নিঝুমকে দেখতে আসে।

— হ্যাঁ,জামাইয়ের সাথে তাহলে গিয়ে কথা বল।

দুজনেই কথা বলতে বলতে রুম থেকে চলে গেল। আমি তাড়াতাড়ি বায়োডাটা হাতে নিলাম।এমা সাথে কোনো ছবি দেয় নি সাথে।যাক গে, না দিলে নাই। আমি তো বাস্তবেই দেখেছি। বায়োডাটা থেকে নামটা জেনে ফেসবুকে সার্চ দিলাম। কিন্তু হাজার লিস্টের ভিতর ক্রাশ ডক্টরকে খুঁজে পেলাম না।মনটা একটু খারাপই লাগলো। মন ভালো করার জন্য তাড়াতাড়ি রিহাকে কল দিলাম। ও কল ধরার সাথে সাথে বললাম,

–এই রিহা একটা গুড নিউজ আছে।

–কি গুড নিউজ রে সোনা?

–জানিস,আমার না ওই ক্রাশ ডক্টরের সাথে আমার বিয়ের কথাবার্তা চলছে।(লজ্জামিশ্রিত কন্ঠে)

–কিহ! (অবাক হয়ে) কবে ঠিক হলো?
দেখলি দেখলি খুব তো আমাকে বকছিলি আমি দুই লাইন বেশি বুঝি,এখন দেখলি তো আমি ঠিকই বলেছি।আর সবচেয়ে বড় কথা কি জানিস? ওই ডাক্তারটা না একটু বেশি ফাস্ট, আমি ভেবেছি সিনেমার মত তোদের প্রেম-নিবেদন হবে তারপর দুজনের ফ্যামিলি রাজি হবে না,আর তোরাও দুজন দুজনকে ছাড়া বাঁচবি না এমন টাইপ কাহিনি হবে।
কিন্তু এখন দেখি ফ্যামিলি থেকেই তোদের বিয়ে ঠিক। তা বিয়েটা কবে?

–তুই থামবি রিহা। এক নাগাড়ে সব কথা নিজেই বলে যাচ্ছিস আমাকেও একটু বলতে দে।এখনো দেখতেই আসে নি আর তুই আমাকে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছিস।

–হ্যাঁ, হ্যাঁ বল।আর শোন তোর বিয়ে এখানেই হবে আমার মন বলছে।আমার মন কখনো মিথ্যা বলে না।

— আজকে বিকেলে ওনার বাবা,মা আর বোন দেখতে আসবে। তারপর আগামী শুক্রবারে ওনার সাথে রেস্টুরেন্টে দেখা করতে যাব।আমার সাথে কিন্তু তুইও যাবি।

–তা তো অবশ্যই সোনা।

–আচ্ছা রাখছি , বাই।
বলেই কলটা কেটে দিলাম। বিকেলে পাত্রপক্ষের লোকজন আমাকে দেখতে এলো। আমি বেশ সুন্দর করে সাজুগুজু করে বসে রইলাম। ভাইয়া আর আপু আমাকে ডাক দিতে এলো। পিছন পিছন আম্মুও এলো। আমাকে এমন সাজুগুজু লুকে দেখে ভাইয়া হাঁ করে বলল,

–মাশাআল্লাহ, আমার বোনটাকে তো একবারে পরীর মতো লাগছে।

ভাইয়ার কথা শুনে আমি কিছুটা লজ্জামিশ্রিত হাসি দিয়ে নিচে তাকিয়ে রইলাম।

–হয়েছে আর লজ্জার ঢং ধরতে হবে না। বলার আগেই সাজুগুজু করে বসে আছেন। দেখে তো মনে হচ্ছে বিয়ের জন্য মনে মনে লাফাচ্ছিস।কি ব্যাপার বলতো? (ভাইয়া)

ইশ্ এই ভাইয়াটাও না খালি আমাকে শরম দেয় তাও আবার আম্মুর সামনে।
আপু আমাকে পাত্রপক্ষের সামনে নিয়ে গেল।সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে তারা চলে গেল।
.
🥀
.
অবশেষে শুক্রবারটা চলে এলো। এই ক’টা দিন ক্রাশ ডক্টরকে ফোন দিতে ইচ্ছে করছিল। লজ্জায় আর কল দেই নি। কিন্তু আমি না হয় দেই নি ওই ব্যাটা ভাবওয়ালা আমাকে একবারও কল দেয় নি।বিয়েটা একবার হয়ে নেক ব্যাটার ভাব আমি ছুটিয়ে দেব।যাইহোক, আমি রিহাকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে চলে এলাম। রেস্টুরেন্টে এসে ওনাকে কল দিলাম। ওনি বললেন ওনি ব্লু পাঞ্জাবি পড়ে এসেছেন।খেয়াল করে দেখলাম রেস্টুরেন্টের বাঁ পাশের দিকের টেবিলে বসে আছেন, আবার কানেও ফোন।তার মানে ওইটাই আমার ক্রাশ ডক্টর। আমি আর রিহা তাড়াতাড়ি গেলাম ওনার সামনে। গিয়ে আমরা দুজনেই প্রচন্ড শকড হলাম।সামনে বসে থাকা লোকটাকে দেখে আমার মনটা ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। একি! এটা তো আমার ক্রাশ ডক্টর নয়…..

(ভুল-ত্রুটি মার্জনীয়।কেমন লাগলো আজকের পর্ব অবশ্যই জানাবেন?)

#চলবে…
#দুষ্টু_মিষ্টি_প্রেম
#নিঝুম_জামান