Divorce Part-4+5

0
5463

💔#Divorce💔
Writer :#Tahmina_Toma
Part: 4

অন্তরাঃ(যে মানুষ কোনদিন আমাকে জিজ্ঞেস পর্যন্ত করেনি খেয়েছি কিনা সেই মানুষ আজ আমার সামনে অন্য একজনকে নিজের হাতে খাইয়ে দিচ্ছে। সেটা কী করে সয্য করবো আমি?? জ্যোতির ডাক আর কানে আসছে না। দৌড়ে এসে একটা রিকশায় বসে পড়লাম। না না আর পিছনে ফিরে তাকাতে চাই না। সব অতীত হয়ে গেছে,,,আর মাত্র কয়েকটা দিন তারপর সে তার রাস্তায় আর আমি আমার রাস্তায়। এসব ভেবে আর কষ্ট পাবো না আমি। ডিভোর্স হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারলেন না?? ঠিক আছে আপনি ভালো আছেন আমিও ভালো থাকবো। অনেক কেঁদেছি এবার প্রাণ খোলে হাঁসবো। তার আগে তাড়াতাড়ি ডিভোর্সের ব্যবস্থা করতে হবে।)
,,,,

,,,,,,জ্যোতি ঐ বোরখা পড়া মেয়েটা কে,,,??

জ্যোতিঃ হৃদয় ভাইয়া,,,,আপনি এখানে??

হৃদয়ঃ হ্যাঁ,,,,একটা কাজে এসেছি,,, কান্না করতে করতে একটা মেয়ে চলে গেলো,,,, মেয়েটা কে??

জ্যোতিঃ আমার ফ্রেন্ড,,,, অন্তরা ইসলাম,,, আমার সাথেই পড়ে,,,।

হৃদয়ঃ অন্তরা,,,,,,,,তোমার সাথে পড়ে,,,?? কিন্তু ভার্সিটিতে কখনো দেখিনি তো,,,।

জ্যোতিঃ ও শুধু এক্সাম দিয়েছে এই দু’বছর,,,,পারসোনাল প্রবলেমের কারণে ক্লাস করতে পারেনি,,,,। আজ প্রথম ক্লাস করতে চেয়েছিলো ক্লাস হয়নি তাই আসেনি।

হৃদয়ঃ ওহ্ কিন্তু এভাবে কান্না করতে করতে চলে গেলো কেন,,,??

জ্যোতিঃ এমনি একটা প্রবলেম হয়েছে তাই,,,,

হৃদয়ঃ ও আচ্ছা,,,,,, ঠিক আছে জ্যোতি তুমি থাকো আমি আসছি,,,,

জ্যোতিঃ ওকে ভাইয়া,,,,,(হৃদয় ভাইয়া চলে গেলো,,, আমাদের প্রিন্সিপাল ম্যামের ছেলে হৃদয় চৌধুরী,,,,, আমাদের ভার্সিটিতেই মাসটার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়ে। দেখতে একদম কোরিয়ান হিরো। ধবধবে ফর্সা,, গোলাপি ঠোঁট,,,,, কুচকুচে কালো চুল,,,, হালকা নীল চোখ,,,,, লম্বা ৬ ফুট ভালো করেই হবে।
ভার্সিটির বাস্কেট বল খেলায় চ্যাম্পিয়ান। কলেজের সব মেয়ের ক্রাশ,,,,, বাট কারো সাথে রিলেশন নেই। মেয়েদের অনেক সম্মান করেন আর খুব মিশুক স্বভাবের। আমাকে অবশ্য ছোটবোনের মতো দেখে। তার একটা কারণও আছে। এই যা হৃদয় ভাইয়ার ভাবনায় অন্তরার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। মেয়েটা কাঁদতে কাঁদতে চলে গেলো। ওকে কল দিয়ে দেখি ফোন অফ। বাড়ি চলে যাবো বরং বিকেলে,,, ওর আর আমার বাড়ি কাছাকাছি।)
,,,,,,

অন্তরার মাঃ অন্তরা,,,,, এসেই রুমে চলে গেলি। লইয়ার কী বললো কিছুই বললি না। সারাদিন কিছু খাসনি,,,, কিছু খেয়ে নে।

অন্তরাঃ আমি এখন খাবো না,,,,,

মাঃ আয় মা কিছু খেয়ে নে,,,,, আমি জানি তোর জীবনের এই অবস্থার জন্য অনেকটাই আমি দায়ী। ছেলেটাও আমার সাথে কথা বলে না। আজ আমার জন্য আমার সন্তানদের কাছে আমি দোষী। আমার জন্য তোর জীবনটা নষ্ট হয়ে গেলো। সেদিন যদি তোর আর আরাভের কথা শুনতাম তাহলে আজ তোর জীবন এমন হতো না।

অন্তরাঃ(আজ একটা মাস ধরে মা এসব বলছে আর কান্না করছে। প্রথমে মা-বাবাকে দোষ দিলেও এখন ভাগ্যের দোষ দেই। দরজা খোলে মাকে জড়িয়ে ধরলাম।) তোমার কোন দোষ নেই মা,,,, তুমিতো আমাকে সুখী দেখার জন্য বিশ্বাস করে নিজের কলিজা অন্যকারো হাতে তুলে দিয়েছিলে। আমার সাথে তুমিও ঠকে গেছো। তোমার আমার কোন দোষ নেই মা,,,, আমার ভাগ্যে যা ছিলো তাই হয়েছে।

মাঃ আমি জানি রে মা যাই হোক এগুলোর জন্য আমি দায়ী।

অন্তরাঃ বারবার এক কথা বলো না,,,, যাও খাবার দাও আমি আসছি,,,

মাঃ ঠিক আছে,,,,,

অন্তরাঃ ভাইয়া আর ভাবি কবে আসবে কিছু বলেছে,,,,??

মাঃ আমার সাথেতো কথা বলে না তোর ভাই,,,, সেটা জেনেও বলছিস,,,??

অন্তরাঃ ভাবি কিছু বলেছে,,,,??

মাঃ দু-তিনদিন পরে আসবে মনে হয়,,,,।

অন্তরাঃ বাবা দুপুরে খেতে এসেছিলো,,,??

মাঃ না,,, খাবার পাঠিয়ে দিয়েছি,,,,,

অন্তরাঃ তুমি খেয়েছো,,,,??

মাঃ না,,,,,,

অন্তরাঃ ঠিক আছে যাও খাবার বারো,,,, আমি আসছি মা-মেয়ে একসাথে খাবো,,,

মাঃ ঠিক আছে,,,,তাড়াতাড়ি আয়,,,,,

অন্তরাঃ হুম,,,,,(এখন থেকে নিজের জন্য বাঁচবো,,, নিজের জন্য ভালো থাকবো,,,,। আজ একমাস হলো আমাদের বাড়িতে আছি। একমাস আগের সেই ভয়ংকর দিনের কথা মনে পড়লে চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে করে। হারিয়ে ফেলেছিলাম ঐ বাড়ির মাটি আঁকড়ে থাকার শেষ অবলম্বন। মা ডাক শোনার আগে কেড়ে নিয়েছে আরিয়ান আমার সন্তানকে। আপনি খুন করেছেন আরিয়ান আমার সন্তানকে ,,,,,,। কোনদিন মাফ করবো না আপনাকে আমি,,,,কোনদিন না। শরীরের আঘাতের চাইতে আপনার দেওয়া মনের আঘাতগুলো আরো গভীর। শরীরের আঘাত গুলো হয়তো একদিন ঠিক হয়ে যাবে কিন্তু মনের আঘাত কোনদিন সারবে না আরিয়ান,,,, কোনদিন না,,,,,,।)

মাঃ অন্তরা আর কতক্ষণ বসে থাকবো,,,,??

অন্তরাঃ আসছি,,,(চোখেমুখে পানি দিয়ে,,, খাবার খেতে চলে এলাম। প্রতিদিনের মতো আজও মা খাইয়ে দিলো,,,,। খেয়ে একটু ঘুমিয়ে নিলাম।)

জ্যোতিঃ এই অন্তরা ওঠ না,,,,,,

অন্তরাঃ ঘু,,ঘুমাতে দে জ্যোতি,,,,,,

জ্যোতিঃ বিকেল হয়ে গেছে ওঠ,,,,চল একটু নদীর পাড়ে যাবো,,,,

অন্তরাঃ ন,,না,,, আমি ঘুমাবো,,,

জ্যোতিঃ ওঠতো,,,,(জোর করে উঠিয়ে বসালাম।) চল নদীর পাড়ে হাঁটতে যাবো।

অন্তরাঃ দিলি আমার আরামের ঘুমের বারোটা বাজিয়ে,,,,,

মাঃ সারাদিন বাড়িতেই থাকিস,,,, যা একটু ঘুরে আয়,, ভালো লাগবে,,,,,।

অন্তরাঃ ঠিক আছে,,,,(ফ্রেস হয়ে জ্যোতির সাথে হাঁটতে বের হলাম। আমাদের বাড়িটা শহরতলীতে। গ্রাম আর শহর দুটোর ছোঁয়াই আছে। শহরের সুবিধাও ভোগ করা যায় আবার গ্রামের সৌন্দর্যও উপভোগ করা যায়। এখন আমাদের বাড়িও অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। ভাইয়া এখন চাকরি করে,,,, আমার বিয়ের ২ মাস পরেই ভালো চাকরি হয়েছে,,,,, আরিয়ান যে অফিসে করে সেই অফিসেই,,,, বেতনও আরিয়ানের থেকে কম পায় না,,,, বাড়িতে বিল্ডিং করেছে,,,,ছয়মাস হলো বিয়েও করেছে। বাবাকে একটা কসমেটিকস শপ দিয়ে দিয়েছে। আমাদের শপে এখন দুটো ছেলে কাজ করে। ভাইয়ার এতো উন্নতিও যেন আরিয়ানের চক্ষুশূল হয়ে ওঠেছিলো,,,,)

জ্যোতিঃ আবার পুরনো কথা ভাবছিস,,,??

অন্তরাঃ না,,,

এক আন্টিঃ আরে অন্তরা যে,,,,, কেমন আছিস,,??

অন্তরাঃ আলহামদুলিল্লাহ ভালো,,,, আপনারা কেমন আছেন?? (হাঁটতে হাঁটতে দুই আন্টির সাথে দেখা হয়ে গেলো।)

আন্টিঃ এইতো ভালো,,, তোমার কী খবর?? এবারতো এক মাস হয়ে গেলো,,,, নিতে এলো না এখনো,,??

অন্তরাঃ (মুখের হাঁসিটা মুহুর্তেই মিলিয়ে গেলো)

অন্য আন্টিঃ ও মা,, তুমি দেখি জানো না। ওদেরতো ডিভোর্স হয়ে গেছে। এটুকুতেই ডিভোর্স নেওয়ার কী আছে বুঝি না বাপু,,,,। মিটিয়ে নিলেইতো হতো,,, এখন কী আর অমন সুন্দর জামাই পাবে??

জ্যোতিঃ আন্টি আপনি না জেনে কিছু বলবেন না প্লিজ,,,

আন্টিঃ জানি গো জানি,,,, সবই জানি,,,এক হাতে কখনো তালি বাজে না। দোষ শুধু তাদের একা ছিলো না,,,,

জ্যোতিঃ অন্তরার কী দোষ ছিলো শুনি,,,??

আন্টিঃ তুমি এতকথা বলছো কেন?? যাকে বলছি সে-তো কিছু বলছে না। দেখে নিয়ো এই মেয়েও স্বামীর ঘর করতে পারবে না।

জ্যোতিঃ আপনি,,,,,,

অন্তরাঃ জ্যোতি চুপ কর,,,,,,

আগের আন্টিঃ তুমিও চুপ করো। বাচ্চা মেয়েদের সাথে ঝামেলা শুরু করে দিছো। অন্তরা সত্যি কী ডিভোর্স হয়ে গেছে ??

অন্তরাঃ এখনো হয়নি তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে,,,।

আন্টিঃ তাহলে আবার একটু ভেবে দেখো। একটা সংসার ভাঙা অনেক সহজ। কিন্তু একটা সংসার টিকিয়ে রাখা অনেক কঠিন। অনেক কিছু সয্য করতে হয় মেয়েদের। অনেক কিছু দেখেও না দেখার ভান করতে হয়,,, শুনেও না শোনার ভান করতে হয়। একটা সংসার টিকিয়ে রাখতে একটা মেয়েকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। একবার ভেবে দেখো,,,,।

অন্তরাঃ জী আন্টি,,,,,,

আন্টিঃ আচ্ছা আসি তাহলে,,,,

অন্তরাঃ হুম,,,,(দুজনেই চলে গেলেন। এখনো ডিভোর্স হয়নি এখনই এত কথা শুনতে হচ্ছে পরে কী হবে??)

জ্যোতিঃ কী ভাবছিস আবার,,,? ঐ ফালতু মহিলার কথা।

অন্তরাঃ হুম,,,,,,

জ্যোতিঃ আমি বলতে চাইলাম তুইতো চুপ করিয়ে দিলি,,,

অন্তরাঃ ক’জনের মুখ বন্ধ করবি তুই,,,,?? সবাই বলবে এসব,,,,। সয্য করা ছাড়া কিছুই করার নেই।

জ্যোতিঃ তাই বলে মুখ বন্ধ করে সব হজম করে যাবি,,,??

অন্তরাঃ তো কী করবো বল,,,? উনাদের সাথে ঝগড়া করবো,,,??

জ্যোতিঃ ধূর বাল,,,,

অন্তরাঃ জ্যোতি,,,,, (জ্যোতি রাগ করে আগে চলে গেলো,,, দৌড়ে গিয়ে ওকে ধরে আগে রাগ ভাঙালাম। তারপর দুজনে একটু হাটাহাটি করে যার যার বাসায় চলে গেলাম)

,,,,,,,,তোমার মেয়ে কোথায় জ্যোতির মা ??

জ্যোতির মাঃ কেন গো,,,, কী হয়েছে,,??

,,,,,,,,,,তোমার মেয়ে দেখলাম অন্তরার সাথে ঘুরছে। ও মেয়েতো ডিভোর্স নিচ্ছে শুনছো ??

জ্যোতির মাঃ হ্যাঁ গো,,, মেয়েটার কপাল পুড়া,,,, শশুর বাড়ির একটা মানুষও ভালো না। এতো সুন্দর মেয়েটার কপালটা কী হলো??

,,,,,,,,,,,, শুনো বাপু,, এক হাতে কখনো তালি বাজে না,,,,, দোষ এদেরও নিশ্চয়ই আছে। তোমার মেয়ের এখনো বিয়ে দাওনি। মেয়ে যেন অন্তরার সাথে থেকে থেকে তার মতো বিগড়ে না যায়। আমি তোমাদের ভালো চাই তাই বলতে এলাম। অন্তরার সাথে মেয়েকে মিশতে দিয়ো না,,,

জ্যোতিঃ খুব ভালো চান আমার,,,, তাই মায়ের কান ভাঙাতে চলে এসেছেন??

জ্যোতির মাঃ জ্যোতি,,,,, এভাবে কেউ বড়দের সাথে কথা বলে,,??

জ্যোতিঃ সম্মান তাদেরই করা যায় যারা সম্মানের যোগ্য,,,,,

,,,,,,কারো ভালো করতে নেই এই দুনিয়ায় (উঠে চলে যেতে যেতে)

জ্যোতিঃ যান যান আমার ভালো আপনাদের করতে হবে না,, যত্তসব ফাউল মহিলা,,,,

জ্যোতির মাঃ জ্যোতি,,,,,,,

জ্যোতিঃ তুমি জানো মা অন্তরা কেমন মেয়ে,,,,, আর ওর সাথে কী কী হয়েছে,,,।

জ্যোতির মাঃ হ্যাঁ জানি,,,, আমি তোকে বলছি না অন্তরার থেকে দূরে থাকতে,,,, কিন্তু বড়দের সাথে এভাবে কথা বলবি না,,,,

জ্যোতিঃ তুমি বলো উনি কী সম্মান পাওয়ার যোগ্য??

জ্যোতির মাঃ জ্যোতি,,,,,,,

জ্যোতিঃ অন্তরা যদি ভুলেও এসব কথা জানতে পারে কোনদিন আমার সাথে কথা বলবে না। তুমি ওকে চেনো,,,,,আর আমি অন্তরার সাথে কথা না বলে থাকতে পারবো না। আমি ওর সাথে কথা না বললে ও বড্ড একা হয়ে যাবে।

জ্যোতির মাঃ ও এসব কথা জানবে না। কিন্তু তুই আর কারো সাথে এভাবে কথা বলবি না।

জ্যোতিঃ আচ্ছা (নিজের রুমে চলে এলাম)

অন্তরাঃ বাসায় এসে কিছুক্ষণ মার সাথে গল্প করে রুমে এসে একটু পড়তে বসলাম। বাবা আসলে একসাথে ডিনার করে রুমে এসে শুয়ে পড়লাম। ঐ আন্টিদের কথা ভাবতে লাগলাম। সত্যি কী আমারও দোষ আছে?? কমতো চেষ্টা করিনি সংসারটা টিকিয়ে রাখতে। ভাবতেই চোখের কোণ বেয়ে এক বিন্দু পানি বালিশে গিয়ে পড়লো। এখন যে আমি ক্লান্ত হয়ে গেছি,,, আর পারবো না প্রতিনিয়ত নিজের সাথে যুদ্ধ করে এই সংসার টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করতে। এখন আমি মুক্ত আকাশে প্রাণভরে নিশ্বাস নিতে চাই। পুরনো কথা ভাবতে ভাবতে একসময় ঘুমিয়ে গেলাম।
,,,

হৃদয়ঃ সেই দুপুর থেকে চোখ বন্ধ করলেই সেই আহত, কান্না ভেজা দুটি চোখ আমাকে তারা করে বেড়াচ্ছে। চোখ বন্ধ করলেই মনে হচ্ছে সেই চোখ দুটি আমার দিকে তাকিয়ে আছে,,,। হাজার যন্ত্রণা লুকিয়ে আছে সেই চোখের গভীরে। কিছুতেই ভুলতে পারছি না সেই চোখ,,,, আগামীকাল সকালেই জ্যোতির থেকে অন্তরার সব খবর নেবো,,,
,,,,,,

আরিয়ানঃ আজ একমাস হলো অন্তরা এখানে নেই। কখনো ওর শুন্যতা অনুভব করিনি আমি,, তাহলে আজ কেন করছি ?? নিলার সাথে কথা হয়নি বলে,,,?? না আমি অন্তরাকে না,, নিলাকে মিস করছি। নিলাকে কল দিলাম,,,,,

★সকালে★

অন্তরাঃ(ফজরের সময় ওঠে নামাজ পড়ে মাকে হেল্প করলাম ব্রেকফাস্ট বানাতে। তারপর ব্রেকফাস্ট করে বেড়িয়ে এলাম লইয়ায় মিসেস রোজের কাছে যাওয়ার উদ্দেশ্যে।)

রোজঃ কেমন আছো অন্তরা,,,??

অন্তরাঃ আলহামদুলিল্লাহ,,, আপনি,,,??

রোজঃ ভালো,,, ব্রেকফাস্ট করেছো,,??

অন্তরাঃ জী,,,

রোজঃ তাহলে তারপর কী হলো বলো,,,?? সারারাত তোমার কথা ভেবেই পার করেছি,,,

অন্তরাঃ বলছি,,, দুদিন আমাদের বাড়িতে কাটিয়ে ও বাড়িতে চলে গেলাম।

★অতীত★

অন্তরাঃ(সকালে ফজরের আযান শুনে ঘুম ভাঙলো,,, উঠে ওযু করে উনাকে ডাকলাম উঠার জন্য) শুনছেন,,,, ফজরের আযান হয়েছে,,, নামাজ পড়বেন না,,,,।

আরিয়ানঃ না পড়বো না,,,, ঘুমাবো,,,,

অন্তরাঃ (বেশ কয়েকবার ডাক দিলাম উনি উঠছে না) এই যে উঠুন না,,,,,

ঠাসসসসসস

আরিয়ানঃ বারবার বলছি নামাজ পড়বো না কানে যাচ্ছে না,,,,?? দু-দিন একটু ভালো করে কথা বলেছি আর মাথায় চরে বসেছিস,,,,, এজন্যই তোদের মতো ছোটলোকদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে নেই,,,,,,

অন্তরাঃ (অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি উনার দিকে,,,, কী এমন করেছি আমি,,,??)

চলবে

💔#Divorce💔
Writer : Tahmina Toma
Part : 5

অন্তরাঃ (অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি উনার দিকে,,,, কী এমন করেছি আমি,,,??)

আরিয়ানঃ দুদিন ভালো ব্যবহার করেছি বলে বউয়ের অধিকার দেখাতে আসবি না। এখন দূর হ চোখের সামনে থেকে।

অন্তরাঃ (চোখের পানি মুছে নামাজ পড়তে শুরু করলাম। মানুষ এত অভিনয় কী করে করতে পারে?? সবসময়ের মতো আজও আল্লাহর কাছে ধৈর্য্য ছাড়া চাওয়ার আর কিছুই পেলাম না। নামাজ শেষ করে রুম থেকে বের হলাম।)

ময়নাঃ বউমনি,,,,,তোমারেই ডাকতে পাঠাইছে আম্মায়।

অন্তরাঃ(ময়না বাড়ির কাজের মেয়ে। বয়স ১০-১২ হবে,,,) কেন কিছু হয়েছে??

ময়নাঃ সে তো আম্মায়ই কইতে পারবো,,,, চলো এহন,,,,,।

অন্তরাঃ(আমি তো কিছু করিনি,,,,তাহলে,,,?? ময়নার পেছন পেছন যেতে লাগলাম।)

ময়নাঃ আম্মা,,, বউমনিরে ডাইকা লইয়া আইছি,,,,,

অন্তরাঃ কিছু হয়েছে মা,,,??

মাঃ কী হবে আবার,,,?? বাড়ির বউ হয়েতো বেলা ১০টা পর্যন্ত ঘুমানো চলবে না। রান্না করবে কে?? এতদিন আমি করেছি এখন থেকে তুমি করবে,,,। রুটি আর সবজি রান্না করো,,,। আরিয়ান আবার আজ থেকে অফিস যাবে,,,,,, নাও তাড়াতাড়ি শুরু করো দেড়ি হয়ে যাবে,,,,

অন্তরাঃ কিন্তু মা,,,,,,(আমার কথা শেষ হওয়ার আগেই মা কিচেন থেকে চলে গেলেন। আমি রান্না করতে পারি,, কী পারি না,, সেটা জানারও প্রয়োজন মনে করলেন না। আমার ছোটবেলা থেকেই সকালে ওঠে নামাজ পড়ে তারপর পড়াশোনা করার অভ্যাস তাই সকালেই উঠি কিন্তু রান্নার “র” ও জানি না। নিজের হাতে এখনো ভালো করে খাবারই খেতে পারি না রান্না কী করে করবো?? আজ মাকে সামনে পেলে বলতাম বিয়েই যখন দিবে পড়াশোনা করতে না বলে রান্নাবান্না শিখাতে,,,। কান্না পাচ্ছে এখন,,,)

ময়নাঃ কী হইলো বউমনি,,,,,?? দাড়াইয়া আসো,,,, দেরি হইলে ভাইজান কিন্তু অনেক রাগ করে,,,,

অন্তরাঃ কী করে রান্না করবো রে ময়না,,,,?? আমিতো চুলা পর্যন্ত জ্বালাতে পারি না,,,,

ময়নাঃ কও কী,,,, এহন কী করবা?? আমি তো রান্না করবার পারি না,,,,

অন্তরাঃ জানি না,,,,,

ময়নাঃ তোমার মোবাইল নাই,,,, মোবাইলে কী জানি দেইখা তিথি আপুমনি কী কী জানি বানায়,,,

অন্তরাঃ ভালো কথা মনে করেছিস,,,,তুই এখানে দাড়া আমি আসছি,,,,(তাড়াতাড়ি ফোন নিয়ে এলাম রুম থেকে,,,, ইউটিউবে ভিডিও দেখে সব করতে লাগলাম,,,,)

আরিয়ানঃ(ঘুম থেকে ওঠে দেখি অন্তরা রুমে নেই। যেখানে ইচ্ছে যাক,,,, আমি ওঠে শাওয়ার নিয়ে অফিসের জন্য রেডি হওয়ার জন্য আলমারি খুললাম,,,। আলমারি খুলে মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো,,,, একপাশে আমার কাপড় আর একপাশে অন্তরার,,,,কিছুই খোঁজে পাচ্ছি না সব গুছানো) অন্তরা,,,,,,,,,,(চেঁচিয়ে ডাকলাম)

অন্তরাঃ আমাকে কেন ডাকছে,,,,, ময়না একটু দেখে আয় না,,,,,

ময়নাঃ আইচ্ছা,,,,

অন্তরাঃ ময়না দৌঁড়ে চলে গেলো,,,আমি আমার কাজে মন দিলাম,,,, সবজি রান্না করছি,,,

ময়নাঃ কী অইছে ভাইজান,,,,??

আরিয়ানঃ তোরে ডাকছি আমি,,,,,?? তোর বউমনি কোথায়,,,?? অন্তরা,,,,,,, অন্তরা,,,,,

অন্তরাঃ (উনার ডাক শুনে এখান থেকেই চমকে উঠলাম। এভাবে কেন ডাকছে,,,,, রান্না রেখেই দৌঁড়ে রুমে চলে গেলাম) ক,,,কী হয়েছে,,,??

আরিয়ানঃ আমি ময়নাকে ডেকেছিলাম??

অন্তরাঃ ন,,না,,,,

আরিয়ানঃ তাহলে ওকে কেন পাঠিয়েছো,,,???(জোরে ধমক দিয়ে)

অন্তরাঃ অ,,,আসলে আমি রান্না করছিলাম,,,,,??

আরিয়ানঃ so what,,,,??? তাতে আমি কী করবো,,,,?? আমি ডাকার সাথে সাথে যেন আমার সামনে পাই,,,,, তুই এখনো দাঁড়িয়ে আছিস কেন,,(ময়নাকে উদ্দেশ্য করে)

অন্তরাঃ(ময়না ভয় পেয়ে দৌড়ে চলে গেলো।) কী হয়েছে,,,??

আরিয়ানঃ আমার টাই কোথায়,,,, প্যান্ট কোথায়,,,,কিছুই খোঁজে পাচ্ছি না,,,আর এখানে তোমার কাপড় কেন,,,??(রাগে লাল হয়ে)

অন্তরাঃ আমি এখনই বের করে দিচ্ছি,,,, আর আমার কাপড় এখানে না রাখলে কোথায় রাখবো,,,??

আরিয়ানঃ তার আমি কী জানি,,,?? এত আলমারি দরকার হলে বাপকে বলো দিয়ে যেতে,,,,,

অন্তরাঃ(উনার কথা শুনে একবার উনার দিকে তাকালাম,,,,,। কিছু না বলে চুপচাপ উনার সব বের করে দিয়ে উনার সামনে থেকে চলে এলাম,,,,। কিচেনে এসে দেখি সবজি পুড়তে শুরু হয়ে গেছে,,, তাড়াতাড়ি নামিয়ে নিলাম,,,, রুটি বানাচ্ছি কিন্তু গোল হচ্ছে না,,,,)

আরিয়ানঃ মা,,,, খাবার দাও,,,, দেড়ি হয়ে যাচ্ছে,,,

অন্তরাঃ হায় আল্লাহ কী করবো এখন,,,?? এখনো চা বানানো হয়নি,,,

ময়নাঃ বউমনি তাড়াতাড়ি করো,,,

অন্তরাঃ(রুটি ভাজতে গিয়ে হাতে সেঁকা লাগলো,,,, জ্বালা করছে,,,সেদিকে খেয়াল না করে অন্য চুলায় চা বসিয়ে দিলাম,,,,)

আরিয়ানঃ কী হলো,,,, আজ খাবার পাওয়া যাবে না নাকি,,,??

অন্তরাঃ আসছি,,,,, হয়ে গেছে,,,,,(তাড়াতাড়ি খাবার নিয়ে টেবিলে রাখলাম,,,, ময়নাও হেল্প করছে,,,)

আরিয়ানঃ ( ফোন টিপতে টিপতে রুটি ছিড়ে মুখে দিলাম) থু থু থু,,,,,, ছি এটা কী খাবার,,,?? মা,,,,,,মা,,,,

মাঃ কী হয়েছে বাবা,,,,,,,??

আরিয়ানঃ এটা কীসের খাবার বানিয়েছো আজকে,,,,??

মাঃ আজ খাবার তো আমি বানাইনি,,,, তোর বউ বানিয়েছে,,,,,,

আরিয়ানঃ শুধু রুপ থাকলে হয়না গুণ ও থাকতে হয় (অন্তরাকে উদ্দেশ্য করে) এটা কী মানুষের খাওয়ার যোগ্য,,,,??

অন্তরাঃ আসলে আমি রান্না পারি না,,,,,,,

মাঃ হ্যা জমিদারের মেয়ে তো রান্না শিখেনি,,,,, খেতে পারলে বানাতেও জানতে হয়। আমার বাবার তো কম কিছু ছিলো না তবু আমি সেই ছোট থেকে রান্না করতে শিখেছি,,, তুমি কোন জমিদারের মেয়ে শুনি,,,,,

অন্তরাঃ মা,,,,,, (আমি একটু উচু গলায় মা বলতেই আরিয়ান আমার দিকে এমনভাবে তাকালো ভয়ে আমি মাথা নিচু করে নিলাম,,,,)

আরিয়ানঃ পারো না,,, আবার মুখে মুখে কথা বলছো,,,,, সকাল সকাল মেজাজটাই খারাপ করে দিলো,,,(চা মুখে দিয়ে বমি চলে এলো,,,) থু,,,,, এটা চা নাকি বিষ,,,,, এটা আমাকে খাওয়ার জন্য বানিয়েছিলে তাই না,, এখন এটা তুমি খাবে,,, খাও,,,

অন্তরাঃ অ,,,আমি চা খাই না,,,,

আরিয়ানঃ খা বলছি,,,,,,(জোরে ধমক দিয়ে।) ইচ্ছে করে এমন খাবার বানিয়েছিস যাতে না খেতে পারি,,, তাই না,,,?? তখন বাপের কথা বলেছি বলে শোধ নিচ্ছিস,,,, এসব এখন তুই খাবি,,,

অন্তরাঃ এসব কী বলছেন,,,,,,,,,?? (আমি খাচ্ছি না দেখে গরম চা জোর করে মুখে ঢেলে দিলো,,, আমি ফেলে দিলাম) ও মা গো,,,,,, মুখ পুড়ে গেলো,,,

আরিয়ানঃ এখন এই খাবার খাবি আমার সামনে।

মাঃ আরিয়ান বাবা তোর দেড়ি হয়ে যাচ্ছে,,,,

আরিয়ানঃ না মা ও আগে আমার সামনে এই খাবার খাবে তারপর আমি যাবো,,,, খা এখনই,,,

মাঃ বাবা তুই যা,,,,

আরিয়ানঃ নেক্সট টাইম যদি কোন চালাকি করার চেষ্টা করিস খাবাপ হয়ে যাবে,,,(বেড়িয়ে এলাম বাসা থেকে,,,,,গাড়ি নিয়ে বের হয়ে গেলাম অফিসের উদ্দেশ্যে,,,)

মাঃ এখন খুব ভালো লাগছে আমার ছেলের খাওয়া নষ্ট করে,,,?? আরিয়ান ঠিকই বলেছে শোধ নেওয়ার জন্য এমন খাবার বানিয়েছিস,,,, (রেগে)

অন্তরাঃ ব,,,বিশ্বাস করুন মা,,, আমি ইচ্ছে করে এমন করিনি,,,,, আমি সত্যি খাবার বানাতে পারি না,,,

মাঃ ঠিক আছে নিজের জন্য খাবার বানিয়ে রান্না শিখবে আর তোমার রান্না করা বাজে খাবারই তুমিই খাবে,,,,, আর আজ তোমার জন্য আমার ছেলে না খেয়ে অফিস গেছে আজ সারাদিন তোমার খাবার বন্ধ,,,,

অন্তরাঃ (উনার কথা শুনে চমকে উঠলাম,,,,, সামান্য কারণে সারাদিন না খেয়ে থাকতে হবে?? উনিতো বাইরে থেকে খেয়েই নেবে,, তাহলে,,,,, আমি একবেলা না খেয়ে থাকতে পারি না,,,, চিৎকার করে কান্না করতে ইচ্ছে করছে,,,,, গরম চা লাগায় ঠোঁট মুখ জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে)

মাঃ এখন সারা বাড়ি ঝাড়ু দিয়ে মুছে নাও,,,, বিয়ের ঝামেলায় বাড়ি নোংরা হয়ে গেছে।

অন্তরাঃ (কী বলছেন এসব উনি,,,? এতবড় বাড়ি আমি একা কীভাবে পরিষ্কার করবো,,,??)

মাঃ কী হলো এখনো দাঁড়িয়ে আছো কেন,,,?? ময়না,,,

ময়নাঃ জে আম্মা,,,,,

মাঃ তোর বউমনিকে ঘর পরিষ্কার করার সব জিনিস দেখিয়ে দে,,,,

ময়নাঃ আইচ্ছা আম্মা,,,,, আমার লগে আহ বউমনি,,,,

অন্তরাঃ(কী করবো,,, যদি এখন বলি ঘর ঝাড়ুও দিতে পারি না আবার কতগুলো কথা শুনতে হবে,,,। ময়নার সাথে গিয়ে সারা বাড়ি পরিষ্কার করতে লাগলাম। ঝাড়ু দিয়ে মুছে শেষ করতে দুপুর গড়িয়ে গেলো। ক্ষুধায় আর হাত-পা চলছে না,,,)

মাঃ এক কাজ করতেই দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেলো,,,,??

অন্তরাঃ হ,,হয়ে গেছে,,,,(কাজ শেষ করে শাওয়ার নিয়ে নিলাম। ক্ষুধায় মনে হচ্ছে জান বেড়িয়ে যাবে,,,।)

মাঃ বৌমা,,,,,

অন্তরাঃ (একটু শুয়েছিলাম মায়ের ডাকে আবার উঠলাম) জী মা,,,

মাঃ এই শার্টগুলো আইরন করে রাখো,,,

অন্তরাঃ আচ্ছা,,,, করছি,,,,

মাঃ(আমার মুখে মুখে কথা বলা তাই না,,, এবার দেখ কেমন লাগে,,,,)

অন্তরাঃ(সবগুলো শার্ট আইরন করে ভাজ করে রাখলাম,,,,এবার মাথা ঘুরছে,,,, শুয়ে পড়লাম,, আর পারছি না,,,,সারাদিনে কিছু পেটে পরেনি,,,,, কখন ঘুমিয়ে পড়েছি টেরই পাইনি,,,)

ময়নাঃ বউমনি,,,,,, ও বউমনি,,,,,,

অন্তরাঃ ক,,,কিছু বলবি ময়না,,,,??

ময়নাঃ আম্মা তোমাকে ডাকছে,,,

অন্তরাঃ তুই যা আমি আসছি,,,,,(উঠে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি রাত ৯ টা বেজে গেছে,,, উঠে নিচে নেমে এলাম,,, মাথা প্রচন্ড ঘুরছে,,,) ডাকছেন মা,,,??

মাঃ এই দেখো না তুমি যে সত্যি সারাদিন না খেয়ে আছো মনেই নেই,,,,, তুমিও কিছু বলোনি,,, এসো কিছু খেয়ে নাও,,, নাকি আরিয়ান এলে খাবে,,,

অন্তরাঃ উনি এলেই একসাথে নাহয় খেয়ে নিবো,,,,,

মাঃ আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে আমি রুমে চলে যাচ্ছি আরিয়ান এলে একসাথে খেয়ে নিয়ো,,,

অন্তরাঃ (মা চলে যেতেই টেবিল গুছিয়ে নিলাম। তারপর রুমে চলে এলাম। উনি এলেন রাত ১১টায়। উনি ফ্রেস হতে ওয়াশরুম গেলে আমি নিচে চলে গেলাম উনার খাবার দিতে,,,খাবার সাজিয়ে বসে আছি অনেক সময় কিন্তু উনি আসছে না তাই রুমে গেলাম ডাকতে,,) খাবেন চলুন,,,,, রান্না আমি করিনি মা করেছে,,,

আরিয়ানঃ বাইরে থেকে খেয়ে এসেছি,,,, খাবো না,,

অন্তরাঃ কিন্তু,,,

আরিয়ানঃ কোন কথা একবার বললে বুঝো না তুমি,,,,

অন্তরাঃ (আর কিছু না বলে নিচে এসে সব খাবার ফ্রিজে তুলে রাখলাম। আমার ক্ষিদে মরে গেছে,,,, ইচ্ছে করছে না খেতে,,,,, দুই গ্লাস পানি খেয়ে চলে এলাম। উনি বেডে বসে ল্যাপটপে কাজ করছে তাই আমি চুপচাপ একপাশে শুয়ে পড়লাম। চোখে ঘুম লাগতেই পেটে হাতের স্পর্শে ঘুম ভেঙে গেলো। চোখ মেলে তাকাতেই ঘাড়ে গরম নিশ্বাস অনুভব করলাম। কিছু বলতে যাবো আর উনি ঘাড়ে কিস করতে শুরু করলেন,,) আজ আমি অনেক ক্লান্ত,,,,

আরিয়ানঃ ক্লান্তি আমি দূর করে দিচ্ছি,,,,(নেশা ধরা কণ্ঠে)

অন্তরাঃ(আমার কথার কোন দাম উনার কাছে নেই। উনি উনার কাজে ব্যস্ত আর আমি চোখের পানিতে বালিশ ভেজাতে,,,)

চলবে,,,,,