LoVe effect part-01

0
1215

#LoVe_effect
#writer :Sintiha Eva
#Part : 01

🍁🍁

একটা গানের ফাংশনে গিটার হাতে দাঁড়িয়ে আছে শ্রাবনী চারদিকে হাজার হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে শ্রাবণী কেমন অস্বস্তি ফিল করছে তবুও নিজেকে সামলে নেয়। রঙিন লাইটের আলো এসে উপরে পড়তেই শ্রাবণী গিটার হাতে সুর তুলে গান গাইতে শুরু করে শ্রাবণীর গানের সাথে তাল মিলিয়ে সবাই হাত তালি দিচ্ছে আবার কেউ কেউ নাচছে এতো মানুষের উৎসাহে শ্রাবনী সুরে আরো টান দেয়।

এটা গল্প কার দেখো লিখছে কে
ভুলে অন্ধকার আলো শিখছে কে

কিছু আবদারের জানি নেই মানে
তোর সঙ্গে আজ আমাকে নে

এগিয়ে দে এগিয়ে দে
দু এক পা এগিয়ে দে
হাঁটতে চাই কয়েক পা তোর সাথে

( বাকি টা নিজ দায়িত্বে শুনে নেবেন)

গান শেষ হওয়ার সাথে সাথে চারদিক করতালিমুখর হয়ে উঠে সবার হাস্যজ্জ্বল ফেস দেখেই বুঝা যাচ্ছে সবাই শ্রাবণীর গানে কতটা মুগ্ধ হয়েছে। শ্রাবণী গিটার নিয়ে নিজের সিটে ফিরে যায় এখন জার্জ রা রেজাল্ট দেওয়ার পালা শ্রাবণী হাতে থাকা টিস্যু দিয়ে বারংবার কপালের বিন্দু বিন্দু ঘাম মুছছে কেনো জানি ওর মনে হচ্ছে ও ফেল করে যাবে। জার্জ রেজাল্ট প্রকাশ করলো শ্রাবণী কে অবাক করে দিয়ে শ্রাবনীর নাম আসলো ফাস্ট পজিশনে শ্রাবণী খুশিতে ওখানেই লাফিয়ে উঠে। জার্জ শ্রাবণী কে স্টেজে ডাকতেই শ্রাবণী দৌড়ে স্টেজে উঠে যায় জার্জ মুচকি হেসে শ্রাবণীর দিকে Prize এগিয়ে দেয় শ্রাবনী ও হেসে Prize নেওয়া জন্য হাত বাড়ায় তখনই শ্রাবণী নিজের উঁচু জুতা পিছলে ঠাসস করে পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে শ্রাবণী ধপ করে উঠে যায় নিজেকে রুমে আবিষ্কার করে শ্রাবণী বুঝতে পারলো এতোক্ষণ দেখা গান গাওয়া সব কিছুই ওর স্বপ্ন শ্রাবণী সেড সেড ভাব নিয়ে ফ্লোরে বসেই বেডে মাথা হেলিয়ে দেয় তখনই কারো কন্ঠস্বর শ্রাবণীর কর্ণপাত হয় শ্রাবণী পাশ ফিরে রিহি কে দেখে মুখ গোমড়া করে বলে,,

শ্রাবনীঃ ক্রাশ ভাবী তুমি সবসময় আমার সাথে এমন করো কেনো তুমি জানো আমি আর একটু আর একটুর জন্য প্রাইজ টা নিতে পেরেও পারলাম না

শ্রাবনীর কথা শুনে রিহি ঠাস করে আকাশ থেকে পড়ার অবস্থা রিহি হত-বিহবল হয়ে বলে

রিহিঃ কিসের প্রাইজ

শ্রাবনীঃ ওহ তুমি জানো আমি কি সুন্দর গান গাইছিলাম আর সবাই মুগ্ধ হয়ে শুনছিলো আর আমি সবাই কে পিছনে ফেলে ফাস্ট হয়েছিলাম আর একটু হলেই প্রাইজ টা নিয়ে নিতাম তখনই ধুমমম করে পড়ে গেলাম তুমি ও ডাক মারলে

রিহিঃ আবার গান ও মা গো আজ বাড়িতে মানুষ টিকতে পারবে না ( বিড় বিড় করে)

শ্রাবনীঃ কি বলছো

রিহিঃ আব ক কই কিছু না বলছি কি তুমি এখনো ঘুমাচ্ছো যে ভার্সিটি যাবে না উঠে রেডি হও তাড়াতাড়ি

শ্রাবনীঃ উফফস ক্রাশ ভাবী আজ তো ১৬ ই ডিসেম্বর আজ তো ভার্সিটি অফ

শ্রাবনীর কথা শুনে রিহি কিছু বলার আর ভাষা পাচ্ছে না তাড়াতাড়ি করে নিচে আসে। চলুন শ্রাবনীর ক্রাশ ভাবী নিচে যেতে যেতে শ্রাবণীর পরিচয় টা জেনে নেই।

শহরের মেয়ে শ্রাবণী তিন ভাইয়ের কলিজা বাউ মণি দের চোখের মণি বাবার রাজকন্যা মায়ের আদরের মেয়ে।ভাইদের কলিজা যেমন ঠিক তেমনি তিন ভাই ও শ্রাবনীর পৃথিবী শ্রাবনীর ডাক নাম অনেক গুলা আস্তে আস্তে জানতে পারবেন চলুন এখন শ্রাবণীর লাইফস্টাইল সম্পর্কে জেনে আসি

পুরো নাম শ্রাবনী চৌধুরী তন্নী শান্তশিষ্ট বলতে এই মেয়ে সবার হার্ট অ্যাটাক করানোর ক্ষমতা যেমন রাখে তেমনি ভালো মানুষকে দুদিনে পাবনার টিকেট ধরানোর ক্ষমতাও রাখে এবার আপনারাই বুঝে নেন কেমন শান্ত-শিষ্ট। দেখতে শ্যামবর্ণার মায়াবতী কোমড় অবধি চুল ছোট ছোট চোখ চোখের মধ্যে মায়ায় ভরপুর ডানগালে একটা ছোট্ট কালো কুচকুচে তিল একটু গুলুমুলু হওয়ায় পুরাই কিউটের ডিব্বা শ্রাবনীর সব বাদরামির সঙ্গী হলো ওর জানু নীলাশা ইসলাম নীর এবার অনার্স সেকেন্ড ইয়ারের স্টুডেন্ট শ্রাবনী আর নীর এক ক্লাসেই পড়ে শ্রাবনী নীর কে জানু বলেই ডাকে আর সব বাদরামি লুকিয়ে শ্রাবনী কে বিপদ থেকে উদ্ধার করার দূত হলো সায়ন(শ্রাবনীর ছোড়দা)

এখন গল্পে আসা যাক,,,

রিহিঃ আজ কি ১৬ই ডিসেম্বর

অভিঃ কিহহ আজ মার্চ মাসের ৫ তারিখ কে বলছে তোমায় ১৬ই ডিসেম্বর আজ ( শ্রাবণীর বড় ভাই)

রিহিঃ বুড়ি বলছে ১৬ই ডিসেম্বর দেখে আজ ওর কলেজ অফ

সায়নঃ তোমরা গেলে হবে না এখন আমাকেই যেতে হবে খালি কলেজে না যাওয়ার ধান্দা ( শ্রাবণীর ছোড়দা)

সায়ন গিয়ে শ্রাবনী কে প্রথমে ২ – ৩ টা ডাক দেয় কিন্তু শ্রাবনীর কোনো পাত্তাই নেই

সায়নঃ বনু তুমি কি এইবার উঠবা নাকি বাধ্য হয়ে তোমাকে জলে চুবাতে হবে

শ্রাবনীঃ এই ছোড়দা একদম না উঠতাছি তো এমন করিস কেনো

সায়নঃ হুম গুড নিচে ওয়েট করতাছি তুমি ফ্রেশ হয়ে আসো ২০ মিনিট টাইম

শ্রাবনীঃ ওকে

৪০ মিনিট পর শ্রাবনী রেডি হয়ে সিড়ি দিয়া নাচতে নাচতে নিচে নামে

শ্রাবনী নিচে নামতেই শ্রাবনীকে দৌড়ে ঝাপটে ধরে ইশান আর হিয়া

ইশানঃ বুড়ি আমাদের জন্য চকলেট আনবে আজ (অভির ছেলে বয়স ৮ বছর)

হিয়াঃ ছুটকি আমার জন্য আইসক্রিম আনবা (আয়াতের মেয়ে ৫ বছর আয়াত হলো শ্রাবনীর দ্বিতীয় ভাই)

শ্রাবনীঃ এই তো আমার গুলুমুলু ২ টা বাবাই চলে এসেছে আগে পাপ্পি দেও একটা নয় তো কিছুই আনবো না

হিয়াঃ আমি আগে পাপ্পি দেবো

ইশানঃ নাহ তুই না আমি আগে দেবো(দুজনই এ নিয়ে ঝগড়া লেগে যায়)

শ্রাবনীঃ চুপপপ দু’জনই একসাথে দিবা হিয়া বাম গালে আর ইশান ডান গালে এইবার দুজনই তো খুশি

ইশান আর হিয়া ইয়াহহ বলে শ্রাবণী কে পাপ্পি দেয় তার পরে শ্রাবনী দুজন কে দুই টা আদর দিয়ে সায়নের কাছে যায়

সায়নঃ তোকে ২০ মিনিট দিছিলাম ৪০ মিনিট কেনো লাগলো আর কতোবার বলবো সিড়ি দিয়ে ধীরে সুস্থে নামবি তা ও নাচতে নাচতে কেনো নামিস

শ্রাবনীঃ ছোড়দা বকতাছোস

সায়নঃ তোকে বলছি না কথায় কথায় চোখের জল না ফেলতে তোর চোখের জল আমাদের সহ্য হয় না জানিস না চল এখন তাড়াতাড়ি

শ্রাবনীঃ ওকে ওয়েট বাবাই এর সাথে দেখা করে আসি

সায়নঃ বাইরে বাইক নিয়ে ওয়েট করতাছি তাড়াতাড়ি আসবি

শ্রাবনীঃ হুমম

শ্রাবনী বাড়ির সবার সাথে দেখা করে কলেজের উদ্দেশ্য রওনা হয়।

কলেজে

নীরঃ কি রে বেস্টু এতো দেরী কেনো হলো আজ

শ্রাবনীঃ আরে বলিস না ছোড়দা তো ঘুম থেকেই উঠছিলো না

নীরঃ ওই কুম্ভকর্ণের সাথে না আসলেই পারিস

সায়নঃএই যে কি বললে কে কুম্ভকর্ণ আর ঘুম থেকে উঠতে আমি লেট করিনি তোমার বেস্টু লেট করছে বুঝছো

নীরঃ আপনি কলেজে কেনো ঢুকছেন

সায়নঃ ওয়াটটট তোমাকে জিজ্ঞেস করে ঢুকবে

নীরঃ এটা বলিনি বাট আমার কথায় ব্যাঙের মতো লাফাচ্ছেন কেনো আজব’স

সায়নঃ মুড টাই বিগড়ে দিলো বনু বাই সাবধানে ক্লাস করবি

শ্রাবনীঃ ওকে

সায়নঃ আমার বনুর সাথে ঝগড়া করবে না করলে একেবারে খুন করে ফেলবো

নীরঃ দেখলি তো বেস্টু পায়ে পা লাগিয়ে কেমন ঝগড়া করে

সায়ন রাগে গজগজ করতে করতে চলে যায় আর নীর সায়নের যাওয়ার দিকে কটমট করে তাকিয়ে থাকে.

ছুটির সময়

শ্রাবনী আর নীর কলেজের গেইট থেকে বের হতে যাবে এমন সময় শ্রাবনী হঠাৎ করে কারো সাথে ধাক্কা খেয়ে নিচে পড়ে যায় ধাক্কা যখন লেগেছে ভূমিকম্প তে এখন হবেই চলুন দেখা যাক কি হয়,,

মাহিরঃ হাউ ডেয়ার ইউ

শ্রাবনীঃ ওই ফটকা চুপ একদম একেতো আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিলি আবার আমাকে হাউ ডেয়ার ইউ বলছি আমার মতো গুলুমুলু মাসুম বাচ্চাকে ধমক দিচ্ছিস তোর কপালে কোনদিন বউ জুটবেনা লেজ কাটা হনুমান কোথাকার হুহু

মাহির হা করে তাকিয়ে আছে

শুভঃ এগুলো কি ছিলো

শ্রাবনীঃ এগুলো শ্রাবণীর স্পেশাল গালি ছিলো যা আমি এইরকম রোগীর উপর এপ্লাই করে থাকি

মাহিরঃ এরকম রোগী মানে

শ্রাবনীঃ তোর মতো লেজ কাটা হনুমান নামক রোগীর উপর

বলে ভেংচি কেটে চলে গেলো

আদিত্যঃ আরে মাহির ও চলে গেলো

মাহিরঃ এটা কি মানুষ নাকি এলিয়েন

শুভঃ আমার ডাউট আছে

মাহিরঃ বাট একেতো আমি ছাড়বো না

আমাদের হিরো মাহির খান এবার অর্নাস ফাইনাল ইয়ারের স্টুডেন্ট স্টুডেন্ট ছাড়া ও মাহিরের একটা পরিচয় আছে মাহির রাজনীতির সাথে ও যুক্ত মা বাবার একমাত্র ছেলে মাহির শুভ আর আদিত্য মাহিরের জানের জিগার দোস্ত গল্পের হিরো ও যে একেবারে শান্তশিষ্ট এমন টা নয় আস্তে আস্তে দেখতে পারবে।

বিকালে

অভি, আয়াত আর সায়ন বাসায় ঢুকতেই ওদের বুক টা ধক করে উঠে পৃথিবী যেনো উল্টে পাল্টে গেছে ওদের কাছে,,

সায়নঃ বনু তোর কি হয়ছে কলেজে কেউ কিছু বলছে নাকি বাড়ি তে কেউ কিছু বলছে কাদছিস কেনো বোন(অস্হির হয়ে)

আয়াতঃ ছুটকি বল তোর কি হয়ছে কে তোকে কি বলছে প্লিজ ছুটকি চোখের জল ফেলিস না

অভিঃ এশা এই এশা তোমরা সবাই কোথায় বুড়ি কাদছে কেনো ওকে কি তোমরা কেউ কিছু বলেছো

অভির চেঁচামেচির আওয়াজ এশা আর রিহি দৌড়ে রান্না ঘর থেকে আসে

এশাঃ কি হয়েছে তোমাদের সবাই কে এমন দেখাচ্ছে কেনো ( শ্রাবণীর বড় ভাবী)

অভিঃ শ্রাবনীর কি হয়েছে ও কান্না করছে কেনো

রিহিঃ আসলে ব্যাপার টা হলো ( শ্রাবণীর মেঝো ভাবী)

আয়াতঃ কি ব্যাপার তাড়াতাড়ি বলো

রিহিঃ বুড়ি সেই কখন থেকে নীর কে কল করে যাচ্ছে কিন্তু নীর কল ধরছে ও না আর কাটছেও না তাই ও ভাবতাছে নীর ওকে ইগনোর করতাছে

এশাঃ আমি মা আর রিহি বুড়ি কে অনেক বুঝাচ্ছি বাট ও বুঝতাছে না

সায়নঃ ওই পাগলি এতে কান্নার কি আছে নীর হয় তে কোনো কাজে বিজি আছে তাই কল টা ধরতাছে ফ্রি হলে দেখবি ঠিকই কল দেবে

অভিঃ হুমম আর কাঁদিস না চোখের জল মুছ

শ্রাবনীঃ নাহ ও বিজি টিজি কিছুই না ও এখন নিউ বেস্টু পাইছে তাই আমার লগে এমন করতাছে (কান্নার বেগ আগের থেকে আরো বাড়ছে)

সায়নঃ ও একবার কল দেখ দেখিস ওকে অনেক করে বকে দেবো তখন আর এমন করবে না

শ্রাবনীঃ ও আমাকে ইগনোর করতাছে আর আগের মতো ভালোবাসে না।সারাদিন কলেজে ইভা আর সিনথিয়াদের সাথেই (এমন সময় শ্রাবনীর ফোন টা বেজে উঠলো)

অভিঃ দেখ হয় তো নীর কল দিছে

শ্রাবনীঃ হ্যালো ওই কুত্তী কল কেনো ধরতাছোস না এখন নিউ বেস্টু পাইছো তাই আমারে আর ভালো লাগে না ইগনোর করো ইগনোর কি রাজ কাজে বিজি ছিলি যে আমার কল ধরার সময় নাই তোর

অভিঃ ছুটকি ওকে তো কিছু বলার সুযোগ দে

শ্রাবনীঃ ওকে এখন তুই বল

নীরঃ আসলে সরি জানু আমি পড়তে পড়তে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি নিজেও জানি না আর ফোন সাইলেন্ট ছিলো সরি সরি সরি জানু প্লিজ কাঁদিস না

শ্রাবনীঃ শুনলে সবাই ও কোন কাজে বিজি ছিলো মহারানী ঘুমাচ্ছিলো আমার কল ইগনোর করে

নীরঃ এইই জান আম সরি ওকে যা কাল থেকে আর এমন টাইমে ঘুমামু না তবুও কাঁদিস না মেরি জান

সায়নঃ এই বারের মতো বেচারি কে ছেড়ে দে নয় তো দেখা যাবে নিজের চোখের জলে নিজেই ভেসে যাবে

শ্রাবনীঃ এই জানু শোন ছোড়দা বললো বলে আজ ছেড়ে দিলাম

নীরঃ ওই তুই আমার বেস্টু তুই আমাকে যখন মন চাই ধরবি আর যখন মন চাই ছাড়বি উনি বলার কে আর আমি কাঁদছি না যে আমার চোখের জলে আমি ভেসে যাবো আজব ধূর মুড টায় অফ কইয়া দিছে বেস্টু এখন রাখছি ওই রাম গুরুর ছানার সাথে কথা বলার ইচ্ছে নাই রাত ৯ঃ৩০ এ কল দেবো বাই লাভ ইউ জানু (ফোন স্পিকারে থাকায় সায়ন ও নীরের বলা সব কথা শুনে)

শ্রাবনী কে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই কল কেটে দিলো

সায়নঃহুম আমার তো কোনো কাজ নেই তোমার সাথে কথা বলা ছাড়া আজব,, ধূরর এই আজব ওয়ার্ড টা ওই রাগিনী মেয়ের মুখেই ভালো লাগে আমার মুখে না হুহহ( ইনোসেন্ট হয়ে)

সায়নের ফেস দেখে সবাই হেসে লুটোপুটি খায়

পরেরদিন কলেজে শ্রাবনী সিড়ি দিয়ে উপড়ে উঠছিলো আর মাহির নিচে নামছিলো মাহির কে দেখে শ্রাবনীর মাথায় দুষ্ট বুদ্ধি নাড়া দিলো শ্রাবনী মাহির কে ল্যাং মারে ল্যাং মারতে গিয়ে শ্রাবনীর পা ও পিছলে যায়।মাহির নিজেকে কোনো মতো কন্টোল করে শ্রাবণী কে ও ধরে ফেলে

শ্রাবনীঃ এটা কি হলো ফটকা টা কে ফেলতে গিয়ে তো আর একটু হলে নিজেই চিটপটাং হয়ে যাচ্ছিলাম (মাহিরের দিকে তাকিয়ে শ্রাবনী এসব ভাবছিলো)

শ্রাবনীর তাকানো দেখে মাহির ভ্রু কুঁচকে বললো

মাহিরঃ কি হলো এভাবে তাকিয়ে আছো কেন লাইফে কি হ্যান্ডসাম ছেলে দেখোনি

মাহিরেরর কথায় শ্রাবনী নিজের ভাবনা থেকে বের হলো।

শ্রাবনীঃওই ফটকা নিজেকে কি মনে করিস

মাহিরঃ সাট আপ আই এম ইউআর সিনিয়র সিনিয়রদের সাথে কি করে কথা বলতে হয় জানোনা

শ্রাবনীঃ হুহু কচুর সিনিয়র

মাহির এবার প্রচুর ক্ষেপে গেলো ক্ষেপে গিয়ে শ্রাবনী কে ছেড়ে দিলো ওমনি বেচারী ধপাস করে নিচে পড়ে গেলো

শ্রাবনীঃ আহহহ ছোড়দা রে গেলো আমার কোমড় টা গেলো ওই ফটকা এটা কি করলি

মাহিরঃএবার বোঝো কেমন লাগেএকেতো আমি তোমাকে পড়ে যাওয়া থেকে বাঁচিয়েছি আবার আমার সাথেই ঝগড়া করছো

শ্রাবনীঃ ওই কই বাঁচালি ফেলেই তো দিলি হনুমান কোথাকার

মাহিরঃ জাস্ট সাট আপ ইডিয়ট

শ্রাবনীঃ তুই সাট আপ

মাহিরঃ 😡😡

শ্রাবনী উঠে মাহির কে বকতে বকতে চলে গেলো শুভ আদিত্য হা করে ওদের দিকে তাকিয়ে থাকে!!

(আর নাইক্কা কাল দিমু )

চলবে,,,,

( ভুলক্রটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন, ধন্যবাদ)