LoVe Effect part-02

0
744

#LoVe_Effect
#writer : Sintiha Eva
#part : 02

🍁🍁🍁

গোধূলির আকাশে সূর্য কিছুক্ষণ হলো চারদিকে তাঁর লালাভ আভা ছড়িয়েছে শ্রাবনী ছাঁদের উপর ধোঁয়া উঠা একটা কফির কাপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে দাঁড়িয়ে আছে বললে ভুল হবে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শয়তানি বুদ্ধি আঁটছে।কিছুক্ষণের মধ্যেই চারদিকে অন্ধকার নেমে আসে তখনই শ্রাবনীর মাথায় একটা চিন্তা আসে শ্রাবনী চিন্তিত হয়ে বিড়বিড় করে বলে উঠে,,,,

শ্রাবনীঃ আচ্ছা আমি যে এই সন্ধ্যায় এভাবে এখানে দাঁড়িয়ে আছি এখন যদি আমার পায়ের নিচ থেকে ছাঁদ টা ভেঙে যায় অথবা যদি আমার মাথায় ওই মস্ত বড় আকাশ ভেঙে পড়ে কিংবা যদি আমাকে ভূত পেত্নি এসে মেরে ফেলে ওহ আল্লাহ নো তাহলে আমার অনাগত জামাই অনাগত বাচ্চার কি হবে আমি যদি মরে যায় তাহলে আমার নাতি-নাতনীদের বিয়ে কে দেখবে। ওহ আল্লাহ বাঁচাও আমায় প্লিজ আমি আর কখনো নুডলস খাবো না তবুও আমাকে এমন অপঘাতে মৃত্যু দিও না ( কাঁদো কাঁদো হয়ে)

শ্রাবনীর এসব আকাশ-পাতাল ভাবনার মাঝেই হঠাৎ ওর জানের জিগার ফোন গান গাইতে শুরু করে শ্রাবণী ওর ভাবনাগুলো একসাইডে রেখে ফোনের স্কিনে কুত্তী জানু নাম টা দেখে ফোন হাতে নিয়ে কাঁদো কাঁদো হয়ে রিসিভ করে।

নীরঃ কেমন আ,,

নীরকে কিছু বলার না দিয়ে শ্রাবনী বলতে শুরু করে

শ্রাবনীঃ বেস্টু রে তুই আমার সত্যি সত্যি বেস্টু নয়তো তুই কিভাবে জানতি আমি এখন বিপদে আছি তুই আমার বেস্টু দেখেই তো জানতে পারলি তুই জানিস বেস্টু আমি এখন কত্তো বড় একটা বিপদে পড়েছি ( কাঁদো কাঁদো কন্ঠে)

নীরঃ কি হয়েছে তোর কোথায় তুই ( চমকে)

শ্রাবনীঃ আমি এখন ছাঁদে বেস্টু কফি খাচ্ছিলাম তখনই আমার মাথায় একটা চিন্তা এসে ঘুরঘুর করলো

নীরঃ কি চিন্তা

শ্রাবনীঃ এই যে আমি এখন ছাদে দাঁড়িয়ে আছি এখন যদি আমার পায়ের নিচ থেকে ছাঁদ টা ভেঙে যায় অথবা যদি আমার মাথায় ওই মস্ত বড় আকাশ ভেঙে পড়ে কিংবা যদি আমাকে ভূত পেত্নী এসে মেরে ফেলে তাহলে আমার অনাগত জামাই অনাগত বাচ্চার কি হবে আমি মরে গেলে আমার নাতি-নাতনীদের বিয়ে কে দেখবে ( আফসোসের সুরে)

শ্রাবনীর কথা শুনে নীর রেগে পুরো বোম হয়ে যায় মানে একটা মেয়ে কতটা আজাইরা চিন্তাভাবনা করতে পারে এই মেয়েটাকে না দেখলে নীর জানতোই না নীর তীক্ষ্ণ কন্ঠে বলে উঠে,,,

নীরঃ ওরে আমার ওভারথিংকিং এর দোকানদারের বাচ্চার দুই নাম্বার বউ তোরে আমি কাল সামনে পায় তুই তখন কিভাবে আমার হাত থেকে বাঁচিস আমি ও দেখবো

নীরের এমন কন্ঠ শুনে শ্রাবনী কিছুটা ভয় পেয়ে বলে

শ্রাবনীঃ তুই আমাকে এভাবে বলছিস বেস্টু এ্যাঁ এ্যাঁ আমাকে এখন আর ভালোবাসিস না তাই না নতুন কেউ পাইছোস ওরে বেস্টু তোর মনের পিঞ্জিরায় তুই কারে দিলি ঠাঁই কারে এতো করলি আপন পর করে আমায়

শ্রাবনীর কথা মিশ্রিত গান শুনে নীরের রাগ এবার সপ্তম আকাশে ধাবিত হয়।

নীরঃ মাফ কর মা আমি আর তোর লগে এমনে কথা কইতাম না তবুও এমন সুন্দর গান গাইয়া আমার কান ডার বারো ডা বাজাইয়া দিস না

নীরের কথা শুনে শ্রাবণী কিছুটা ভাব নিয়ে বলে,,,,

শ্রাবনীঃ হুহ আমি জানি আমার গানের কন্ঠ অনেক ভালো আর একটু ট্রাই করলেই আমি শিল্পী হতে পারতাম ওইসব ইমরান হাশমী অরিজিৎ সিং ওদের পেছনে ফেলে সবার উর্ধ্বে আমার নাম থাকতো দ্যা বেস্ট লেডিস সিঙ্গার শ্রাবণী চৌধুরী তন্নী

নীরঃ হুমম হুমম এত্তো ভালো গান গাস যে শহরের সব কাকপক্ষী রা গানের সুরে মরতে মরতে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে ( বিড়বিড় করে)

শ্রাবনীঃ কিছু বললি

নীরঃ নন না তো কি বলবো বলছি যে তুই ঠিকই বলিস তোর কন্ঠের কাছে এসব অরিজিৎ সিং মিং কিচ্ছু না

শ্রাবনীঃ বলছিস তাহলে চল তোকে এক গান শুনিয়ে দেই কেমন শত হলে ও আমার এতো ভালো প্রশংসা করলি

নীরঃ নাহহহহহহহহ ( চিল্লিয়ে)

শ্রাবনীঃ কি রে কি হলো

নীরঃ না মানে আ আরশোলা

শ্রাবনীঃ ওহ আচ্ছা তাহলে শুরু করি মন দিয়ে শোন তুই তো কিচ্ছুই পারিস না

নীরঃ বলছিলাম কি বেস্টু আজ না অন্য একদিন শুনবো কেমন

শ্রাবনীঃ নাহ নাহ নাহ আজই শুনবি

নীরঃ কিন্তু

শ্রাবনীঃ কোনো কিন্তু না আমি শুরু করছি এহেম এহেম

নীরঃ হায় খোদা জাস্ট কিছুক্ষণের জন্য আমাকে কানে খাটো করে দাও পিলিজ ( বিড়বিড় করে)

শ্রাবনী গান গাইতে শুরু করে

আমি গরু দেখেছি কিন্তু সবুজ গরু দেখিনি আমি হাঁস দেখেছি কিন্তু সবুজ হাঁস দেখিনি ওহহহহহ আমি গরু দেখেছি কিন্তু সবুজ গরু দেখিনি আমি হাঁস দেখেছি কিন্তু হলুদ হাঁস দেখিনি ওহহহহহহ

শ্রাবনীর গান শুনে নীর বসা থেকে ধপ করে ফ্লোরে পড়ে যায় এত্তো গলার আওয়াজ যে নীরের মনে হচ্ছে ওর সামনে কেউ দশ টা সাউন্ড বক্স চালিয়ে রেখে দিয়েছে নীর দুই হাতে কান চেপে ধরে ওদিকে শ্রাবনী ওর গান গাইছে। রিহি, এশা আর শ্রাবনীর মা কিচেনে কাজ করছিলো হঠাৎ এমন আজাইরা মার্কা গান কানে ভেসে আসতেই রিহির হাত থেকে চালের বাটি পড়ে যায়। এশা সবজি কাটা ছেড়ে হাত দিয়ে কান চেপে ধরে আর শ্রাবনীর মা মুখ টা লটকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে সবাই খুব ভালো করেই বুঝতে পারছে এমন ইউনিক গান দ্যা গ্রেট হিটলার লেডিস শ্রাবণী ছাড়া আর কারো কন্ঠে আসা ইম্পসিবল।

এশাঃ রিহি বুড়ি কে থামা নয়তো পাড়ার সব লোক জড়ো হয়ে আমাদের নামে মামলা দেবে

ইশানঃ ওহহ নো বুড়ড়ড়ি আবার গান গাইছে

রিহিঃ চুপ করে থাক সবাই এসে শুনলে কষ্ট পাবে জানোই তো ও এমনই

নীরঃ বাহ বাহ বাহ অসাধারণ হয়েছে দারুণ সুপার ডুপার হিট হয়েছে এতো ইউনিক গান তোর দ্বারাই পসিবল কিন্তু বেস্টু এখন যে আমাকে মা ডাকছে আমি এখন রাখছি বাউ লাভ ইউ উম্মাহহহহ

শ্রাবনী কে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ই নীর খট করে ফোন কেটে দেয় আর শ্রাবনী মুখ টা লটকিয়ে নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করে,,

শ্রাবনীঃ গান কি পছন্দ হয়নি কিন্তু আমি তো কত্তো ভালো গান গাইলাম কি জানি বাবা সবার পছন্দ তো এক না আমি যেমন ইউনিক আমার পছন্দ ও ইউনিক

রাত ১০ টা বেজে ১৫ মিনিট শ্রাবনী পেট চেপে ধরে বসে আছে আর একটু পর পর সদর দরজার দিকে তাকাচ্ছে।

রিহিঃ ছুটকি আসো আমি আর আপু মিলে তোমাকে খাইয়ে দিচ্ছি

শ্রাবনীঃ নাহহ আমি বড় দা মেঝদা আর ছোড়দা’র হাতে খাবো কোথায় ওরা ওদের ফোন দাও তোমাদের বর&দেবর কি জানে না তাদের এই ছুটকি বোন টা তাদের হাত ছাড়া খায় না ( অভিমানী সুরে)

শ্রাবনীর মাঃ ওদের তো কাজ আছে নাকি ওরা তো তুই বললেই এসে পড়তে পারবে না সবসময় ছেলেমানুষী করিস কি হয় একদিন আমাদের হাতে খেয়ে ফেললে

শ্রাবনীঃ নাহহ আমি খাবো না ওহ ছোড়দা বড়দা কই রে তোরা একটু তাড়াতাড়ি আয় না আমাদের পেটে ইঁদুর হাতি সব দৌড়াচ্ছে

শ্রাবনীর মাঃ এমন একটা ভাব ধরছিস যেনো কত্তো খেয়ে ফেলিস খাওয়ার সময় তো ইদুরের মতো টুকরে টুকরে খাস

শ্রাবনীঃ মা তুমি আমাকে খাওয়ার খোঁটা দিচ্ছো ঠিক আছে আমি আর খাবো না কেউ ভালোবাসে আমাকে এ্যাঁ এ্যাঁ আমি না হয় একটু খেতে ভালোবাসি তাই বলে এভাবে খোঁটা দেবে

শ্রাবনীর মাঃ আমি তোকে খোঁটা কখন দিলাম

শ্রাবনীর বাবাঃ কে আমার প্রিন্সেস কে খোঁটা দেয় শুনি তো একবার নাম টা বলো

শ্রাবনীর মাঃ এসে গেছে

শ্রাবনীঃ তুমি একা কেনো বাবা তোমার ছেলেরা কই

অভিঃ এই তো বুড়ি আমরা এসে গেছি

অভির কন্ঠস্বর শুনে শ্রাবণী দরজার দিকে তাকিয়ে দেখে অভি, আয়াত আর সায়ন দাঁড়িয়ে আছে শ্রাবনী দৌড়ে গিয়ে তিনজনকে ঝাপটে ধরে ওরা তিনজন ও আলতো হেসে শ্রাবণী কে জড়িয়ে ধরে।

সায়নঃ উই আর সরি বনু খুব কাজের চাপ ছিলো তাই আসতে লেট হয়েছে এই যে কানে ধরছি

সায়নের কথায় অভি আর আয়াত ও মাথা নাড়িয়ে সায় দেয় অতঃপর তিনজন কানে ধরে ইনোসেন্ট হয়ে শ্রাবণীর দিকে তাকায় তিনজনের ফেস দেখে শ্রাবণী খিলখিলিয়ে হেঁসে দেয় শ্রাবনীর মুখে হাসি দেখে তিন ভাই ও তৃপ্তির হাসি দেয় অভি, আয়াত & সায়ন একে একে শ্রাবণী কে চুমু দিয়ে শ্রাবনীকে নিয়ে ভেতরে যায়।

শ্রাবনীঃ তোমরা তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে আসো আমার খুউউউবব খিদে পেয়েছে তোমরা তো জানো আমি খিদে সহ্য করতে পারি না

শ্রাবনীর কথায় সায়ন, অভি & আয়াত তাড়াতাড়ি উপরে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে এসে শ্রাবণী কে নিজেদের মাঝে বসিয়ে খাইয়ে দেয় শ্রাবনী ও তৃপ্তির সাথে খেয়ে নেয়। এটা আজ নতুন না শ্রাবণী প্রতিদিনই সায়নদের হাতে খায় নয়তো শ্রাবণীর পেট ভরে না আর না সায়নদের পেট ভরে সবাই খেয়ে যে যার রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।

_________________

সায়ন সিড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছে অভিরা সোফায় বসে শ্রাবণীর জন্য ওয়েট করছে তখনই সদর দরজা দিয়ে নীর আসে। কালো লং টপস আর কালো জিন্স চুলগুলো উপরে তুলে ঝুটি করা ডান হাতে একটা ঘড়ি কাঁধে কলেজ ব্যাগ নীরকে দেখে অভিরা মুচকি হেসে কৌশল বিনিময় করে নীর ও হেসে ওদের উত্তর দেয় সিঁড়ির সামনে আসতে সায়ন বলে উঠে,,,,

সায়নঃ আজ সারা টা দিন খারাপ যাবে সকাল সকাল এমন পেত্নী দর্শন করলে যে কারোরই দিন খারাপ যায়

সায়নের কথায় নীর তেঁতে উঠে তবুও নিজেকপ কন্ট্রোল করে বলে উঠে,,

নীরঃ উফফসস বেস্টুর বাড়ির মধ্যে যানজটে ভরে গেছে বেস্টুকে বলে সাফ করাতে হবে

নীরের কথায় অভিরা মিটিমিটি হাসতে থাকে সায়ন রেগে বলে উঠে,,

সায়নঃ ওয়াটট আমি যানজট

নীরঃ ছিহ ভাইয়য়য়া কি বলেন কার এতো বড় স্পর্দা আপনাকে যানজট বললো যায় বলেন বলতে হবে সেই ব্যাক্তির কলিজায় সাহস আছে নয়তো আপনার মতো ভিলেন কে কি না যানজট বলে

সায়নঃ তোমাকে তো আমি

নীরঃ ছিহ ভাইয়া বোনের বেস্ট ফ্রেন্ড হয় আমি তাই বোনের নজরে দেখুন এসব কি বলেন

সায়নঃ কি বললাম

নীরঃ ছিহ এসব মুখে আনতে আছে সরুন তো ভেতরে যেতে দেন এভাবে খাম্বার মতো আর কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবেন

সায়নঃ আমার বাড়িতে এসে আমাকে খাম্বা বলছো

সায়নের কথায় নীর পুরো বাড়িতে চোখ বুলাতে শুরু করে সায়ন ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করে

সায়নঃ কি দেখছো

নীরঃ না দেখছি কোথাও আপনার নাম লেখা আছে কি না বাট দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি কোথাও লেখা নেয় এটা সায়ন চৌধুরীর বাড়ি সো সাইড পিনিজ ভাইয়া

সায়নঃ দেখতে তো ভাজা মাছ উল্টাতে পারো না পেটে পেটে এমন তুমি

নীরঃ আপনি কি আমার পেটে পেটে কি এটা দেখছেন

নীরের কথায় সায়ন বাঁকা হেসে নীরের দিকে ঝুঁকে পড়ে নীর কিছু টা পিছিয়ে যায় সায়ন নীরের দিকে আরেকটু ঝুঁকে বাঁকা হেসে বলে উঠে,,,

সায়নঃ ভেতরে কি আছে দেখাতে চাইলে দেখাতে পারো আই হেভ নো প্রবলেম মিস রাগিনী

সায়নের কথায় নীর চোখ বড় বড় করে তাকায় সায়ন চোখ টিপে অভিদের পাশে গিয়ে বসে অভিরা সবাই ওদের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে নীর তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে সায়নের দিকে তাকিয়ে বলে উঠে,,,,

নীরঃ নির্লজ্জ একটা

শ্রাবনীঃ আরে বেস্টু তুই আমার বাড়িতে না মানে সূর্য কি আজ ভুল করে মঙ্গল গ্রহে উঠেছে এমনি তে তো আসিস না

নীরঃ আজ ভাবলাম আসবো বাট এখন মনে হচ্ছে না আসলেই ভালো হতো ( সায়নের দিকে তাকিয়ে)

শ্রাবনীঃ কি হয়েছে

সায়নঃ আরে কিছু না চল তোকে ভার্সিটি ছেড়ে আসি

নীরঃ চোখে কানা দেখতে পারছেন না আমি এসেছি

সায়নঃ সো ওয়াট বাট আমি আমার বোন কে বাইকপ করে দিয়ে আসবো তাই বলে ভেবো না তোমাকে ও নিয়ে যাবো যেই মুটকি তুমি পরে দেখা যাবে রাস্তায় বাইক ভেঙে যাবে

সায়নের কথায় নীর কটমট দৃষ্টিতে সায়নের দিকে তাকিয়ে শ্রাবনীর হাত ধরে বলে,,,

নীরঃ নিজের ওয়েট আগে দেখুন তার পর অন্যকে বলুন আর আমি মরে যাচ্ছি আপনার মতো বান্দর মার্কা ছেলের বাইকে বাতে যত্তসব নেকামো যান ফটেন তো আর আমার বেস্টু আজ আমার সাথে যাবে দ্যাটস ফাইনালল

সায়নকে কিছু বলার না দিয়ে নীর শ্রাবনী কে নিয়ে চলে যায় সায়ন কটমট করে নীরের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে।

শ্রাবনী আর নীর কথা বলছে আর হাঁটছে হঠাৎ শ্রাবণীর কথা না শুনে নীর পেছনে তাকিয়ে দেখে শ্রাবনী কোথাও নেই নীর এদিক ওদিকে খুঁজে ও শ্রাবনী কে না পেয়ে কাঁদো কাঁদো হয়ে বলে,,,

নীরঃ বেস্টু কোথায় চলে গেলি তুই

শ্রাবনী চোখ বাঁধা অবস্থায় চেঁচিয়ে বলে

শ্রাবনীঃ কোন হারামজাদা রে তিন বিজনেস টাইকুইন অভি আয়াত সায়নের একমাত্র বোন শ্রাবনীকে কিডন্যাপ করিস একবার সামনে আয় তোকে আমি ইদুরের কাবাব খাওয়াবো

শ্রাবনীর কথা শুনে মাহির শ্রাবনীকে ছেড়ে দেয় চোখ খুলে সামনে মাহির শুভ আর আদিত্য কে দেখে শ্রাবনী রেগে যায়।

শ্রাবনীঃ ওই ওই হনুমান আমাকে কিডন্যাপ কেনো করলি

মাহিরঃ সাট আপ ফাজিল মেয়ে তোমাকে কে কিডন্যাপ করেছে

শ্রাবনীঃ তুই

মাহিরঃ আমি কেনো তোমাকে কিডন্যাপ করবো

শ্রাবনীঃ হয়তো টাকার জন্য শালা কুত্তা কাজ করে খেতে পারিস না এসব কিডন্যাপিং না করে

মাহিরঃ চুপপ

শ্রাবনীঃ কি চুপ হুমম তোকে আমি ১৪ শিখের ভাত খাওয়াবো

মাহিরঃ এখন তো তোমাকে

শ্রাবনী কি করবি তুই হুমম কি করবি আমাকে কিডন্যাপ করে আবার বকছিস আম্মুউউ

শ্রাবনীর কথায় মাহির মাথায় চেপপ বসে পড়ে এই মেয়ে কে যদি কেউ কিডন্যাপ করে তাহলে মনে হয় কিডন্যাপার কে আর পরেরদিনের সূর্যোদয় দেখতে হবেনা। শ্রাবনীর মাহিরের হাতে একটা কামড় দিয়ে দৌড়ে ক্লাস থেকে চলে যায় মাহির ব্যথায় আহ করে শ্রাবনীর যাওয়ার দিকে কটমট করে তাকায়।

( আর নাইক্কা)

চলবে,,,,