LoVe Effect part-03

0
627

#LoVe_Effect
#writer :Sintiha Eva
#part : 03

🍁🍁🍁

নীর শ্রাবনী কে খুঁজতে খুঁজতে নীচে চলে আসে কোথাও শ্রাবনী কে না পেয়ে পেছনে ফিরতে নিলেই কারোর শক্ত বুকের সাথে ঠাস করে বারি খায় নীর ব্যথায় আহ করে মাথা ডলতে ডলতে বলে উঠে,,,,

নীরঃ এখানে খাম্বা আসলো কোথ থেকে একটু আগে তো জায়গা টা খালিই ছিলো

নীরের কথা শুনে সামনে উপস্থিত তিন যুবক ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় তাদের মধ্যে একজন রুক্ষ কন্ঠে বলে উঠে

শুভঃ এই মেয়ে কাকে খাম্বা বলছো

পুরুষালি কন্ঠস্বর শুনে নীর মাথা তুলে সামনে মাহির, শুভ আর আদিত্য কে দেখে হকচকিয়ে যায়।

নীরঃ আব মানে আসলে একটু আগেই এখানে একটা খাম্বা ছিলো কিন্তু এখন কোথায় গেলো ( কাচুমাচু হয়ে খাম্বা খুঁজতে খুঁজতে)

শুভঃ স্টুপিড একটা মাঝ রাস্তায় খাম্বা আসবে কোথা থেকে চোখে কম দেখো

নীরঃ এক্সকিউজ মি হু আর ইউ আর আপনি আমাকে স্টুপিড বলেন কেনো

শুভঃ চোখ বাড়িতে রেখে ভার্সিটি আসলে শুধু খাম্বা নয় ছেলেদের সাথে ও ধাক্কা খাবে

নীরঃ মানে

আদিত্যঃ হিহিহি আসলে তুমি কোনো খাম্বার সাথে ধাক্কা খাওনি আমাদের দোস্ত শুভর সাথে ধাক্কা খেয়েছো

আদিত্যর কথা শুনে নীর চোখ বড় বড় করে শুভর দিকে তাকিয়ে এক লাফে দূরে সরে যায় তারপর মিনমিনে গলায় বলে উঠে,,,

নীরঃ আম সরি আমি বুঝতে পারিনি ভাইয়া আর সরি টু সে আপনাকে খাম্বা বলার জন্য

শুভঃ ইট’স ওকে যাও এখন

নীর কারো দিকে না তাকিয়ে দ্রুতগতিতে উপরে চলে যায় শুভ নীরের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে মাহিরদের নিয়ে চলে যায়।

শ্রাবনীঃ কি রে কোথায় হারিয়ে গেছিলি ( চিপস খেতে খেতে)

নীরঃ আমি কই হারালাম তুইই তো হারালি

শ্রাবনীঃ আরে না আমি তো একটু ঘুরছিলাম নে চিপস খা

নীরঃ নাহ খামু না তুই খা এখন ক্লাসে চল

শ্রাবনীঃ হুমম ওই টাকলা নয়তো বকবে বাট দুই মিনিট ওয়েট চিপস টা শেষ করে নেই

নীরঃ ওকে

শ্রাবনী তাড়াতাড়ি মুখে চিপস পুড়ে খেতে শুরু করে সারা মুখ চিপসের গুঁড়ো দিয়ে মেখে পুরো একাকার কান্ড হয়ে গেছে নীর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শ্রাবণীর খাওয়া দেখছে আর মিটিমিটি হাসছে।

শ্রাবনীঃ নে আমার ব্যাগ থেকে 7up টা বের কর

নীরঃ এখন সেভেনাপ ও খাবি

শ্রাবনীঃ উফফস কতটুকু আর খেলাম মাত্র তো পাঁচ টা চিপস খেলাম গলা শুকিয়ে গেছে নে সেভেনাপ বের কর

নীরঃ ওকে

নীর সেভেনাপ বের করে শ্রাবণী কে দেয় শ্রাবনী ঢকঢক করে কিছু টা খেয়ে বোতল ঢিল দিয়ে পেছনে ফেলে দেয় নীর মুখে হাত দিয়ে একবার শ্রাবণীর দিকে তাকায় আবার পেছনে তাকায়। মাহির কটমট দৃষ্টিতে শ্রাবনীর দিকে তাকিয়ে চোখ দেখে মনে হচ্ছে এখনই জ্যান্ত গিলে খাবে

মাহিরঃ ইউ ইডিয়ট এটা কি করলে

মাহিরের কন্ঠস্বর শুনে শ্রাবণী পেছনে তাকিয়ে দেখে মাহির আদিত্য আর শুভ দাঁড়িয়ে আছে মাহিরের কালো শার্ট ভিজে গেছে কিছুটা চুল থেকে পানি পড়ছে মাহিরের অবস্থা দেখে শ্রাবণী হাসতে শুরু করে হাসতে হাসতে পাশে থাকা বেঞ্চিতে বসে পড়ে শ্রাবনীর হাসি মাহিরের কাছে এখন আগুনে ঘি ঢালার ব্যাপার হয়ে গেছে।

মাহিরঃ পাগলের মতো হাসছো কেনো ( ধমকে)

শ্রাবনীঃ ওই ওই ওই হনুমান তুই আমাকে ধমকাস কেনো তুই আমাকে ধমকানির কে শালা খবিশ

মাহিরঃ ফাজিল বিহেভিয়ার ঠিক করো

শ্রাবনীঃ করবো না কি করবি আর সকালে শাওয়ার নিয়ে কি শরীর মুছার ও সুযোগ পাসনি এভাবেই চলো আসলি

মাহিরঃ সাট আপ একেতেই গায়ের উপর সেভেন আপ ফেলেছো আবার ফালতু কথা বলছো

শ্রাবনীঃ ওই আমি কখন সেভেন আপ ফেললাম তোর মতো হুল্লুকের উপর

মাহিরঃ শ্রাবননননী

শ্রাবনীঃ চুপপপ নাম ধরে কথা বলিস কেনো

মাহিরঃ নাম ধরে বলবো না তো কি জান বলবো নাকি বউ ডাকবো কোনটা ( রেগে বোম হয়ে)

শ্রাবনীঃ চুপ শালা তোর বউ হওয়ার থেকে সারাজীবন আমি কিশোরী থাকবো তবু তোর মতো হুল্লুককে বিয়ে কাভি নেহি করাঙ্গ

মাহিরঃ তোমাকে আমি বিয়ে করলে তো আর আমি কেনো তোমাকে কোনো ছেলেই বিয়ে করবে না বাংলার একটা কথা আছে কি জানো

শ্রাবনীঃ অনেক কথায় জানি কোনটা বলবো

মাহিরঃ আমিই বলছি নিজের পায়ে কেউ যেছে কুড়াল মারে না আর তোমাকে বিয়ে করা মানে জলে কুমির ডাঙায় বাঘ এমন অবস্থা তাহলে বুঝো তুমি কতটা ডেঞ্জারাস

শ্রাবনীঃ কিহহ তুই তুই আমাকে কুমিরের সাথে তুলনা করলি

মাহিরঃ তোমার কি লজ্জা করে না

শ্রাবনীঃ কেনো

মাহিরঃ সিনিয়র কে তুই বলে ডাকো

শ্রাবনীঃ নিজেকে সিনিয়র বলে আমার সামনে দাবি করবি না বুঝলি

মাহিরঃ ধ্যাতত এই মেয়ে কে দেখলেই মাথায় রাগ চেপে বসে ইচ্ছে করে মাথায় তুলে দেয় এক আছাড়

শ্রাবনীঃ তুলতে পারবি আছাড় তো দূরে থাক

মাহিরঃ সারাদিন গিলে গিলে এই শরীর বানিয়েছো আমি কেনো স্বয়ং রোবট এসে ও তোমাকে তুলতে গিয়ে রোবটের সার্জ শেষ হয়ে যাবে

শ্রাবনীঃ একদম আমার শরীর নিয়ে খোঁটা দিবি না লুইচ্ছা বেডা মেয়েদের শরীরের দিকে তাকাস

মাহিরঃ তু

শুভঃ থাম ভাই তোরা অনেক হয়েছে চল এবার আর এই যে স্টুপিড দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঝগড়া না গিলে এই হিটলার বেস্টু কে নিয়ে বিদায় হও ( নীরকে উদ্দেশ্য করে)

নীরঃ আপনাকে আমি

আদিত্যঃ থাম ভাই এখন তোরা শুরু করিস না

মাহিরঃ তোমাকে আমি দেখে নেবো আই উইল সি ইউ

শ্রাবনীঃ আরে যা যা যত ইচ্ছে দেখিস এই ভার্সিটিতেই পড়ি বুঝলি হুহহ

নীরঃ মেরি মা চল এখন

শ্রাবনী আর নীর ও চলে যায়। পর পর তিন টা ক্লাস করে শ্রাবণীর পেট ওকে খাওয়ার জন্য ডাকতে শুরু করে শ্রাবণী নীরকে নিয়ে খাওয়ার উদ্দেশ্য ক্যান্টিনে আসে শ্রাবনী কে ক্যান্টিনে আসতে দেখে মাহির ক্যান্টিনে খালি থাকা পাঁচ চেয়ার এক জায়গায় করে একটা মাহির বসে অপর দুইটায় শুভ আর আদিত্যকে বসায় বাকি দুইটা চেয়ারে নিজের দুই পা তুলে বসে ফোন স্কোল করতে থাকে। শ্রাবণী ক্যান্টিনে এসে কোনো চেয়ার খালি না পেয়ে মন খারাপ করে চলে আসতে নিলে হঠাৎ মাহিরদের দিকে চোখ যায় মুহুর্তেই মেজাজ বিগড়ে যায় একেতেই পেটে খিদে তার উপর মাহিরের এমন কাজ দেখে শ্রাবণী রেগে মাহিরের কাছে যায় শ্রাবনীকে দেখে মাহির মিষ্টি হেসে বলে,,,,

মাহিরঃ কিছু বলবে

শ্রাবনীঃ আপনার আমার পেছনে না লাগলে হয় না তাই না

মাহিরঃ এ মা কি করলাম জাননন

শ্রাবনীঃ ইউউ

মাহিরঃ কি করবে কিস করবে কিন্তু এখানে তো প্রচুর মানুষ এতো মানুষের মাঝে আমার লজ্জা করে গো

মাহিরের কথা শুনে শ্রাবনী রেগে মেগে পাশের টেবিলে থাকা পানি গ্লাস এনে মাহিরের মাথায় ঢেলে দেয় উপস্থিত সবাই জাস্ট থ হয়ে যায়।

শ্রাবনীঃ নেক্সট টাইম আমার সাথে লাগতে আসলে জামাকাপড় খুলে পেটানো শুরু করবো মনে রাখিস ধ্যাতত মুড টায় বিগড়ে দিলো

শ্রাবনী রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে বেরিয়ে যায় নীর ও পেছন পেছন চলে যায় মাহির এখনো থ মেরে বসে আছে।

নীরঃ এটা কি করলি বেস্টু

শ্রাবনীঃ যা করেছি বেশ করেছি তুই চুধু দেখে যা ওকে আমি কিভাবে জব্দ করি আমার পেছনে লাগা শ্রাবণী চৌধুরী তন্নীর পেছনে লাগার মজা ওকে আমি হারে হারে বুঝাবো

আদিত্যঃ কি রে হা টা অফ কর নয়তো মশা ঢুকবে তো

আদিত্যর কথায় মাহির হুশে ফিরে শুভ হাসতে হাসতে বলে উঠে,,,

শুভঃ মেয়ের সাহস আছে বলতে হবে যেখানে সবাই মাহির কে ভয় পায় আর এই মেয়ে সেই মাহির কে লেজেগোবরে করছে

মাহিরঃ চুপ থাক বুড়ি মহিলাদের মতো ওয়ার্ড ইউজ করিস কেনো

আদিত্যঃ এখন কি করবি

মাহিরঃ এটার মজা ও কাল বুঝবে ওকে ও আমি বুঝাবো মাহির খান কে

__________________

রাতের আধার কাটিয়ে নব প্রভাতের সূচনা হয় জীবনের আয়ুস্কাল থেকে বিয়োগ হলো আরো একটা দিন মানুষ তার মৃত্যুর দিকে আরেক পা ধাবিত হলো । শ্রাবণী আর নীর কলেজের উদ্দেশ্য হাঁটছে আজ ইচ্ছে করেই হেঁটে যাচ্ছে হাতে অনেক টাইম নিয়েই বেরিয়েছে সকালে স্নিগ্ধ সূর্যের আলো গায়ে মেখে প্রকৃতির বাতাস অঙ্গে জড়িয়ে হাঁটার মজায় আলাদা। একটু এগুতেই সামনে ভীড় দেখে নীর আর শ্রাবনী সামনে দাঁড়িয়ে যায়

শ্রাবনীঃ সামনে এতো ভীড় কেনো রে

নীরঃ তুই যেখানে আমিও সেখানে আমি জানবো কিভাবে

শ্রাবনীঃ তাই তো আচ্ছা চল ভেতরে গিয়ে দেখি

নীরঃ কি দরকার আবার ঝামেলা করার

শ্রাবনীঃ আরে ঝামেলা কই করলাম

নীরঃ তুই যেখানেই যাস ঝামেলা করিস

শ্রাবনীঃ আচ্ছা এখানে করবো না চল

অগত্যা নীর ও বাধ্য হয়ে শ্রাবণীর সাথে ভীড় ঠেলে ভেতরে যায় ভেতরে যেতেই একটা ছেলে দৌড়ে এসে শ্রাবনীর হাতে একটা পোস্টার গুজে দৌড়ে অন্যদিকে গিয়ে পোস্টার দিতে থাকে। শ্রাবনী পোস্টার দেখার আগেই সামনে চোখ যায় তখনই পায়ের রক্ত মাথায় চড়ে বসে শ্রাবণী পোস্টার নিয়ে সামনে এগিয়ে যায় তারপর রুক্ষ কন্ঠে বলে উঠে,,,,

শ্রাবনীঃ কি হচ্ছে এখানে

শুভঃ আরে ভা আই মিন শ্রাবণী যে এখানে ভোটের একটা কাজ চলছে সামনে তো নির্বাচন আর আমাদের মাহির তো এবারের প্রার্থী তাই আর কি ভোট চাইছি

শ্রাবনীঃ সাধারণ মানুষকে হ্যারাস করে আপনারা ভোট চাইছেন পুরো রাস্তা বুকিং করে আছেন মানুষ চলাচল করতে পারছে না দেখতে পারছেন না আর রাস্তা কি আপনাদের কেনা নাকি এভাবে বুকিং করে আছেন দেখুন তো কতো মানুষ দাঁড়িয়ে আছে আর কে দেবে আপনার ওই আলু মার্কা বন্ধু কে ভোট শুধু শুরু এসব করে টাকা নষ্ট করছেন আর সাধারণ মানুষদের সময় নষ্ট করছেন যত্তসব।

মাহিরঃ আরে মহারানীকে কেউ পানি দে এতো বক্তৃতা দিয়ে বেচারী হাঁপিয়ে গেছে পরে দেখা যাবে হার্ট অ্যাটাক করবে পানি দে কেউ

আদিত্যঃ এই নেও পানি ভাবব

মাহিরঃ চুপপ এই নেন মহারানী আপনার জন্য এই বান্দার সামান্য পানি

শ্রাবনীঃ তোর পানির গুষ্টি কিলাই সর সামনে থেইকা

শুভঃ এই নাও একটা ভোট দিও

শ্রাবনীঃ মরে গেলেও ভোট দেবো না আমি তোকে কখনো ভোট দেবো না দরকার হলে তোর প্রতিপক্ষ যে থাকবে তাদের ভোট দেবো

মাহিরঃ তোমার একটা ভোটের জন্য আমি হেরেও যাবো না গো

শ্রাবনীঃ হুহহ

মাহিরঃ পারো টা কি সারাদিন শুধু খাওয়া আর হুহ এই দুইটায় পারো আর হুমম ঝগড়া টা পারো শুধু

শ্রাবনীঃ আমার ভাইরা ও এতো কথা বলে না আমার খাওয়া নিয়ে তুই কোথাকার কে রে

মাহিরঃ আমি তোমার সিনিয়র তাই তো এডভাইস দিচ্ছি পরে দেখবে একদিন খেতে খেতে এতো মোটা হবে যে দরজা কেটে বের করতে হবে

শ্রাবনীঃ তোর বউয়ের মাথা হনুমান

মাহিরঃ আমার বউ এখনো দেখিনি তুমি দেখেছো

শ্রাবনীঃ হুমম দেখেছি তো ২০০ কেজি ওজনের একটা মেয়ে দেখতে এত্তো বটকা কালো কুচকুচে কোকড়া ম্যাগি নুডলসের মতো চুল থালার মতো চোখ বাঁশের মতো নাক হুহহহ

মাহিরঃ তোমার থেকে ভালো আর আমার গুলুমুলু বউয়ের খুউব শখ বুঝলা জাননননন

শ্রাবনীঃ তোকে

মাহিরঃ নাউ ইউ গো আর আজ একটা সারপ্রাইজ আছে ( সাইড দিয়ে)

শ্রাবনী রেগে চলে যায় নীর যেতে নিলে শুভ নীরের হাতে একটা পোস্টার দিয়ে বলে,,,,,

শুভঃ একটা ভোট দিও

নীরঃ আপনার ভোটের গুষ্টি কিলাই সরুন সামনে থেকে ( দাঁত কিড়মিড় করে)

নীর ও হনহনিয়ে চলে যায়।

শুভঃ একটা লালমরিচ আরেকটা বোম্বাই মরিচ ভাই

আদিত্যঃ যা বলেছিস

নীর আর শ্রাবনী ক্লাসে এসে পুরো ক্লাস খালি দেখে অবাক হয়।

নীরঃ ইভারা কোথায় গেলো রে

শ্রাবনীঃ আমিও তো সেটাই ভাবছি ক্লাস খালি কেনো

তখনই দপ্তরি এসে বলে,,,

দপ্তরিঃ আরে নীর আর শ্রাবনী মা তোমরা এসেছো তাড়াতাড়ি ক্যান্টিনে যাও

নীরঃ কেনো আঙ্কেল

দপ্তরিঃ আরে আজ তোমাদের ক্লাসের ক্লাস পার্টি আছে না ইভা মা বললো তোমরা আসলে পাঠিয়ে দিতে

শ্রাবনী ওহ আচ্ছা যাচ্ছি

দপ্তরি চলে যায় নীর মুখটা লটকিয়ে বলে,,,

নীরঃ আজ ক্লাস পার্টি আর আমরাই জানি না ইভা সিনথিয়া একটা বারও বললো না

শ্রাবনীঃ দেখলি ওরা আমাদের ভুলে গেছে

নীরঃ হুমমমম

শ্রাবনীঃ আচ্ছা চল যায়

নীরঃ কেনো যামু আমাদের কি কোনো মানসম্মান নাই

শ্রাবনীঃ হুমম তাই তো ঠিক বলেছিস কিন্তু খাওয়ার সাথে মান-সম্মান দেখে লাভ নাই চল গিয়ে খেয়ে আসি আর ওদের একটু বকেও আসি

নীরঃ কিন্তু

শ্রাবনীঃ চল তো

নীরঃ ঠিক আছে চল

নীর আর শ্রাবনী ক্যান্টিনে গিয়ে দেখে সবগুলো রাক্ষসের মতো খাচ্ছে শ্রাবণী আর নীর মুখ ফুলিয়ে ওদের সামনে যায়।

ইভাঃ কি রে নিজেই পার্টি দিলি আর নিজেই আসতে এতো লেট করলি

শ্রাবনীঃ মানে

সিনথিয়াঃ কিসের মানে তুই না আজ ক্লাস পার্ট দিলি আমাদের

শ্রাবনী কিছু বলতে যাবে তার আগেই পেছন থেকে মাহির বলে উঠে,,,,

চলবে,,,,

( ভুলক্রটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন, ধন্যবাদ)