LoVe Effect Part-05

0
547

#LoVe_Effect
#writer : Sintiha Eva
#part : 05

🍁🍁🍁

সাদা ওয়েস্টার্ন ড্রেস হাই হিল কালারিং চুল গুলো উঁচু তে তুলে খোঁপা করা ঠোঁটে গাঢ় লাল লিপস্টিক চোখে সানগ্লাস পড়ে ইয়া বড় এক লাগেজ নিয়ে একটা মেয়ে বাড়িতে ঢুকে মেয়ে টা কে দেখে শ্রাবণী বিরক্তি তে কপাল কুঁচকে নেয়। মেয়েটার পেছন পেছন মধ্য বয়স্ক এক মহিলা ও বাড়িতে প্রবেশ করে মহিলা কে দেখে শ্রাবণীর অবস্থা এখন ছাইড়া দে মা কাইন্দা বাঁচি। মহিলা বাড়িতে ঢুকেই শ্রাবনীর দিকে তাকিয়ে নাক-মুখ কুঁচকে নেয়

শ্রাবনীঃ পুরান পাগলের ভাত নাই নতুন পাগল এসে আমদানি হইছে বাড়ি টা এখন সিনেমাখানা হয়ে যাবে ওহ গড ছোড়দা এখন নিচে নামলেই এই পেত্নী ঘাড়ে চেপে বসবে ( বিড়বিড় করে)

নিহাঃ কি হলো শ্রাবনী কেমন আছিস

নিহা’র কথায় শ্রাবণী মেকি হেসে উত্তর দেয়,,,

শ্রাবনীঃ দেখে কি খারাপ মনে হচ্ছে

নিহাঃ যাক গে বাদ দে সায়ন কোথায়

শ্রাবনীঃ নিহাপি ছোড়দা তোমার থেকে দুই বছরের বড় রেসপেক্ট দিয়ে কথা বলতে পারো না

নিহাঃ আর কি রেসপেক্ট দেবো

শ্রাবনীঃ নাম ধরে ডাকো কেনো ভাইয়া বলতে পারো না

নিহাঃ বর কে কেউ ভাইয়া বলে ননদীনি

শ্রাবনীঃ অসহ্য একটা

নিহা হলো শ্রাবনীর ফুফাতো বোন সায়নের থেকে দুই বছরের ছোট আর শ্রাবনীর থেকে চার বছরের বড় অত্যাধিক স্টাইলিশ যার ফলস্বরূপ শ্রাবনীর দুই চোখের বিষ। আর নিহার পেছন পেছন প্রবেশ করা মহিলা টি হলো শ্রাবনীর ফুফু অতিরিক্ত ভাব নেওয়ায় এনাকে ও শ্রাবনীর মোটেও পছন্দ না ঠিক তেমন মুখের উপর উচিত কথা বলে দেওয়ায় নিহা’র মা ও শ্রাবনী কে এতো একটা পছন্দ করে না।

সায়ন অফিসের জন্য রেডি হচ্ছিলো তখনই ঠাস করে দরজা খুলে ইশান রুমে আসে ইশান দরজা লাগিয়ে হাঁপাতে হাঁপাতে সায়নের কাছে যায়।

ইশানঃ ছোট চাচ্চু, ছোট চাচ্চু

সায়নঃ কি হলো এভাবে হাঁপাচ্ছিস কেনো

ইশানঃ এখন তো আমি হাঁপাচ্ছি কিছুক্ষণ পর তুমি হার্ট অ্যাটাক করবে

সায়নঃ মানে

ইশানঃ মানে হলো নিচে ওই নিহা পিপি এসেছে এসেই তোমার খোঁজ করছে

ইশানের কথা শুনে সায়ন বিরক্তি নিয়ে ধপাস করে বেডে বসে পড়ে ইশান গিয়ে সায়নের কোলে বসে সায়ন ইশান কে কোলে নিয়ে বলে,,,,

সায়নঃ কখন আসলো আর ও কি একাই এসেছে

ইশানঃ না নিহা পিপির আম্মু ও এসেছে

সায়নঃ ওহ আচ্ছা তাহলে তো হয়েই গেলো তোর বুড়ি কোথায়

ইশানঃ বুড়ি তো নিচে নিহা পিপির সাথে ঝগড়া করছে

সায়নঃ কেনো

ইশানঃ তোমার নাম ধরে খোঁজ করছে তাই

সায়নঃ আল্লাহ হেল্প মি এই দুই টা এক হলেই আমার হার্ট বিট মিস হওয়ার উপক্রম হয় কে জানে কখন কোনটা মাডার হয়ে যায়

ইশানঃ ছোট চাচ্চু ছোট চাচ্চু চলো নিচে যায়

সায়নঃ তুই যা আমি আসছি

ইশানঃ আচ্ছা

ইশান আবার ছুটে চলে যায় সায়ন মুখটা বেলুনের মতো চুপসে ফেলে।

এশাঃ আরে ফুফু তোমরা কখন আসলে

নিহার মাঃ এই তো আসলাম তা সবাই কোথায়

শ্রাবনীর মাঃ এই তো আপা আপনার ভাই এখনো নিচে নামেনি আর সায়ন রা তো একদম রেডি হয়ে আসবে

নিহাঃ ওহ মামি হাই হাউ আর ইউ

রিহিঃ বুঝলে আপু বাড়িতে সাইক্লোন টর্নেডো আবার আসার হিন্টস দিচ্ছে

এশাঃ চুপ কর হুদাই আজাইরা কথা

শ্রাবনীঃ নিহাপি এটা তোমার বাড়ি না যে হাই হাই করছো

নিহাঃ জাস্ট স্টপ শ্রাবণ

শ্রাবনীঃ পেত্নী শাঁকচুন্নি আমার ভাইয়ের গলায় ঝুলতে আসলে তোর ওই হাত পা কেটে আমি ইঁদুর কে খাওয়াবো ( বিড়বিড় করে)

সায়নঃ বনু তুই খেয়েছিস

শ্রাবনীঃ নাহ ছোড়দা বড় ভাইয়া রা তো এখনো আসলোই না

কিছুক্ষনের মধ্যে অভিরা এসে পড়ে নিহাদের দেখে কিছুটা অবাক হলেও তেমন কিছু বলে না কৌশল বিনিময় করে সবাই খেতে বসে। খাওয়ার মাঝেই হঠাৎ নিহার মা বলে উঠে,,,,

নিহা’র মাঃ বুঝলে ভাইজান আমি এইবার একটা পস্তাব নিয়ে এসেছি

শ্রাবনীর বাবাঃ হুমমম বল

নিহার মাঃ অভি আয়াত দু’জনেরই তো বিয়ে হলো বাচ্চা কাচ্চা ও হলো সায়নের তো বিয়ের বয়স হয়েছে আমার মেয়েটা ও তো সায়ন ছাড়া কিছুই বুঝে না তাই ভাবছি ওদের বিয়েটা দিয়ে দিলে কেমন হয়

নিহার মা’র কথা শুনে নিহা লাজুক হেসে সায়নের দিকে তাকায় সায়ন নিজের মা’র দিকে তাকিয়ে কাশতে শুরু করে শ্রাবণী রেগে কিছু বলতে গিয়ে ও থেমে যায়।

শ্রাবনীর বাবাঃ আমি আমার দুই ছেলের বিয়ে দিয়েছি ওদের নিজেদের পছন্দে তাই সায়নের বিয়ে টা ও ওরই পছন্দে হবে এখন সায়ন ও যদি নিহাকে পছন্দ করে তাহলে আমার অমত নেই কিন্তু সায়নকে মন থেকে রাজি থাকতে হবে আমি চাই না আমার ছেলে-মেয়ে তাদের অপছন্দের কাউকে বিয়ে করুক

শ্রাবনীর বাবার কথা শুনে শ্রাবণী খুশিতে সায়ন কে জড়িয়ে ধরে সায়ন ও মুচকি হেসে নিজের বাবার দিকে তাকায় উপস্থিত দুইজন বাদে সবার মুখেই হাসি ফুটে ওঠে। শ্রাবনীর বাবায় কথা নিহা’র মা কিছুটা অপমানিত কিছুটা লজ্জিত বোধ করে চুপ করে যান নিহা রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে খাওয়ার টেবিল ছেড়ে চলে যায়।

সায়ন শ্রাবনী কে ভার্সিটির গেটে সামনে নামিয়ে দিয়ে বলে,,,,,

সায়নঃ সাবধানে থাকবি আর কারো সাথে কথা বাড়াবি না ঠিক আছে

শ্রাবনীঃ হুমমম আমিই তো শুধু কথা বাড়ায় আর সবাই সাধু হুহহ ( গাল ফুলিয়ে)

সায়নঃ আরে পাগলি আমি এটা কখন বললাম আমি তো বললাম কেউ কিছু বললে কানে নিবি না বোকা একটা

শ্রাবনীঃ হুহহহ

সায়নঃ আচ্ছা বাবা সরি

শ্রাবনীঃ ইট’স ওকে তুই ও সাবধানে যাবি আর শোন ওই নিহা পেত্নীর থেকে দূরে দূরে থাকবি বুঝলি

সায়নঃ আচ্ছা আসছি বাই

সায়ন পেছনে ঘুরতেই কারো সাথে ধাক্কা খেয়ে তাল সামলাতে না পেরে অপরিচিত ব্যক্তিকে নিয়েই ধপাস করে নিচে পড়ে যায় এই পথ দিয়েই মাহির’রা যাচ্ছিলো সায়নকে ভার্সিটির সামনে দেখে ওরা ও এদিকেই আসছিলো হঠাৎ এমন হওয়ায় শুভরা তিনজন ওখানেই দাঁড়িয়ে যায় শ্রাবনী চোখ বড় বড় করে সায়ন আর সায়নের উপর পড়ে থাকা মেয়েটাকে তাকায়।

সায়নঃ ইউ স্টুপিড গার্ল এভাবে আমার উপর পড়লেন কেনো ( রেগে)

সায়নের কন্ঠস্বর শুনে উপুড় হয়ে থাকা মেয়েটা আরো ভয় পেয়ে যায় সায়ন মেয়েটাকে ধমকে বলে,,,,,

সায়নঃ ফাজিল মেয়ে উপর থেকে উঠো

সায়নের বলার সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটা উঠে পড়তে নিলেই ওড়নায় প্যাচ লেগে আবার ঠাসস করে সায়নের উপর পড়ে যায় সায়ন পেটে হাত দিয়ে হালকা চেঁচিয়ে বলে,,,,,

সায়নঃ ও মা গো আমার পেট টা গেলো হাতির মতো ওজন নিয়ে এভাবে আমার উপর বসে আছেন মনে হচ্ছে আমি আপনার বাড়ির বেডরুমের বেড ( ধমকে)

এবার উপুড় হয়ে থাকা মেয়ে টা ও রেগে মুখ তুলে সায়নের দিকে তাকায় সাথে সাথে সায়ন,শ্রাবণী, মাহির&শুভ&আদিত্য ৮৮০ ভোল্টেজের শখ খায় উপুড় হয়ে থাকা মেয়ে টা আর কেউ নয় আমাদের নীলাশা রায় নীর থুক্কু নীলাশা ইসলাম বীর থুরী নীর 😜

শ্রাবনীঃ বেস্টু ( অস্ফুটস্বরে)

সায়নঃ ইউ স্টুপিড তাই তো বলি এমন হাতির মতো ওজন কার আছে এই ভার্সিটিতে

নীরঃ একদম আমাকে হাতি বলবেন না দোষ টা তো আপনারই ছিলো হুট করে কোথ থেকে আসলেন

সায়নঃ তোমার শ্বশুর বাড়ি থেকে স্টুপিড একটা আমি হুট করে আসিনি তুমিই হুট করে এসেছো

নীরঃ মোটেও না ভার্সিটি তে আপনার কি কাজ হুমম ভার্সিটি টা আমাদের স্টুডেন্ট দের সেখানে আপনাদের মতো বুইড়ারা কি করে

সায়নঃ ওয়াট কে বুইড়া

নীরঃ নিজেকে গিয়ে একবার আয়নায় প্ররখ করবেন তাহলেই বুঝবেন

শ্রাবনীঃ ওরে তোরা থাম বইন-ভাই আগে আমার ছোড়দা’র উপর থেকে উঠ তারপর ঝগড়া কর

শ্রাবনীর কথায় নীর তাড়াতাড়ি সায়নের উপর থেকে উঠে জামা-কাপড় ঝাড়তে ঝাড়তে কটমট দৃষ্টিতে সায়নের দিকে তাকায় সায়ন ও উঠে নিজের শার্ট প্যান্ট ঝাড়তে ঝাড়তে নীরের দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকায়।

সায়নঃ গবেট একটা আজ একটা ইম্পর্ট্যান্ট মিটিং+কাজ ছিলো আর আজই তোমার ফেস টা দেখতে হলো

নীরঃ এক্সকিউজ মি হু আর গবেট আপনার চৌদ্দ গুষ্টি গবেট বেস্টু বাদে

সায়নঃ সাট আপ একেতেই দোষ করেছো আবার আজাইরা বকবক করছো ধ্যাত অরিন মনে হয় ওয়েট করছে

শ্রাবনীঃ জানভি আপির সাথে দেখা করতে যাবি

সায়নঃ হুমম বাট এই গবেটের জন্য সব ভেস্তে গেলো

নীর কিছু বলার আগেই মাটিতে পড়ে থাকা সায়নের ফোনটা বেজে উঠে নীর একপলক ফোনের স্কিনে তাকিয়ে দেখে ” জান ” দিয়ে সেভ করা একটা নাম্বার থেকে কল এসেছে নীর ব্যঙ্গ করে বলে,,,,,,

নীরঃ আপনার ” জান ” কল দিয়েছে যান ওয়েট করছে

সায়নঃ তুমি বললে ও যাবো না বললে যাবো যত্তসব ফালতু পাবলিক ( বিরক্তি নিয়ে)

সায়নের কথায় নীর কিছুটা কষ্ট পেলে ও ততটা গুরুত্ব না দিয়ে ভার্সিটির ভেতর চলে যায় পেছন পেছন শ্রাবণী ও চলে যায় সায়ন বিরক্তি নিয়ে গাড়ি তে বসে গাড়ি স্টার্ট দেয়।

শুভঃ এই মেয়ে শুধু ধাক্কায় খায় নাকি মাহির

আদিত্যঃ তোর সমস্যা

শুভঃ সাট আপ

শ্রাবনীঃ বেস্টু ছোড়দার কথায় কষ্ট পাস না আসলে জানভি আপুকে ভাইয়া অনেক ইম্পর্ট্যান্টস দেয় জানিস জানভি আপু কে

নীরঃ আমি জানবো কিভাবে

শ্রাবনীঃ ছোড়দার জিএফ অসম্ভব কিউট একটা মেয়ে অনেক ভালো আমাকেও অন্নেক আদর করে

নীর মুচকি হেসে নিজেদের ক্লাস রুমে দিকে এগিয়ে যায়।

সায়ন ইম্পর্ট্যান্ট মিটিং শেষ করে নিজের কেবিনে আসতেই কেউ ওকে জড়িয়ে ধরে সায়ন প্রথমে চমকে গেলেও পরবর্তীতে চেনা স্পর্শে সায়ন ও মেয়েটা কে জড়িয়ে ধরে।

সায়নঃ কেমন আছিস

জানভিঃ এতোদিন ভালো ছিলাম না বাট এখন খুব ভালো আছি

সায়নঃ এতোদিন খারাপ কেনো ছিলেন মেডাম

জানভিঃ আপনি জানেন না নাকি ( সায়নকে ছেড়ে)

সায়নঃ জানি তো অনেক কিছুই আবার জানিও না

জানভিঃ আচ্ছা বাদ দে আগে বল আবার কবে আগের মতো সবাই আড্ডা দিতে পারবো

সায়নঃ তুমি বললে তো আমি সারাজীবনই ফ্রী আছি

জানভিঃ আচ্ছা তাই নাকি

সায়নঃ জ্বি মেরি জান

জানভিঃ তাহলে চলুন আজ আমি আপনি তিয়াস বিহান রিয়া পাঁচ জন মিলে সন্ধ্যায় আড্ডা দেয় অনেকদিন পর দেশে আসলাম

সায়নঃ যথা আজ্ঞা বেগমসাহেবা আমি ওদের ফোন দিয়ে জানিয়ে দিচ্ছি

জানভিঃ ইয়েস স্যার ( হেসে)

______________

নীরঃ বেস্টু কাল কিন্তু পৌরনীতি এস্যাইনমেন্ট টা করে আনিস নয়তো দেখবি স্যার বারো টা বাজাবে

শ্রাবনীঃ হুমমম বেস্টু আমাকে সন্ধ্যায় একবার ফোন করে মনে করিয়ে দিস

নীরঃ ওকে

মাহিরঃ এই যে মেডাম শুনছেন

শুভঃ কেমন আছো তোমরা দুজন

শ্রাবনীঃ এতোক্ষণ ভালো ছিলাম কিন্তু এখন মনে হয় আর ভালো থাকবো না ( আড়চোখে মাহিরের দিকে তাকিয়ে)

মাহিরঃ তুমি কানা, কানে খাটো এরা জানতাম কিন্তু চোখে ত্যাড়া এটা জানতাম না

শ্রাবনীঃ ওয়াট আমি ত্যাড়া

নীরঃ শ্রাবণী প্লিজ এখন ঝগড়া করিস না

শ্রাবনীঃ হুমম শুধু আমিই ঝগড়া করি সবাই তো সাধু তুই ও আমাকে বললি

নীরঃ বইন প্লিজ থাম ভুল হইছে আমার বাট চল এখন আর একটা ও কথা বাড়াবি না

শ্রাবনীঃ কিন্তু

নীরঃ তুই যাবি নাকি আমি একাই চলে যাবো দেখ আমি সেকেন্ড টাইম আর জিজ্ঞেস করবো না মাখা প্রচন্ড পেইন হচ্ছে

শ্রাবনীঃ শুধুমাত্র বেস্টুর জন্য ছেড়ে দিলাম নয়তো ত্যাড়া কাকে বলে দেখিয়ে দিতাম হুহহহ

নীর শ্রাবনী কে পেছনে রেখেই এগিয়ে যায় শ্রাবণী ও নীরের পেছন পেছন চলে যায় শুভ ভ্রু কুঁচকে নীরের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে।

শ্রাবনীর বাড়ির অনেক টা দূরে নীরের বাড়ি হওয়ায় শ্রাবণী কে নামিয়ে নীর রিকশা ওয়ালা আঙ্কেল কে নিজের বাড়ির দিকে যেতে বলে হঠাৎ মাঝরাস্তায় রিকশার চেইন পড়ে যাওয়ায় নীর বিরক্ত হয়ে টাকা দিয়ে রিকশা থেকে নেমে হাঁটতে শুরু করে। মাথায় হঠাৎ পেইন হবার কারণ নীর বুঝতে না পেরে পাশের ফার্মেসীতে যায় সেখান থেকে পেইন কিলা নিয়ে চলে আসে ফার্মেসী পেরিয়ে একটু এগুতেই নিজের নাম শুনে ওখানেই দাঁড়িয়ে পড়ে পেছন ফিরে তিয়াস কে দেখে নীর ভ্রু কুঁচকে তাকায়।

তিয়াসঃ কখন থেকে ডাকছি শুনছোই না

নীরঃ সরি ভাইয়া আসলে মাথা পেইন হচ্ছিলো তাই একটু অন্যমনস্ক ছিলাম কিছু বলবেন

তিয়াসঃ হুমম এই যে তোমার ফোন ফার্মেসী তে রেখে এসে পড়েছিলে আমি ও একটু ফার্মেসী তে এসেছিলাম তকন দোকানদারকে দেখলাম তোমাকে ডাকছে কিন্তু তুমি শুনছোই না তাই আমি নিয়ে আসলাম

নীরঃ ওহ থেংক্স ভাইয়া এন্ড সরি কষ্ট দেওয়ার জন্য

সায়নঃ কিরে একটা মেডিসিন নিতে এসে মেডিসিন হয়ে গেলি নাকি

সায়নের কন্ঠস্বর শুনে নীর তিয়াস দুজনই পেছনে তাকিয়ে দেখে সায়ন বিহান, জানভি আর রিয়া দাঁড়িয়ে আছে নীরকে তিয়াসের সাথে দেখে সায়ন ভ্রু কুঁচকে তাকায় নীর সবাই কে একপলক দেখে তিয়াসকে বলে,,,

নীরঃ থেংক্স ফর এগেইন এন্ড বাই ভাইয়া ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ

সায়নঃ তুমি এখানে কি করছো

নীরঃ বয়ফ্রেন্ডের সাথে মিট করতে এসেছিলাম

সায়নঃ সোজা কথা বলতে পারো না

নীরঃ বলদ হলে যা হয় গায়ে ড্রেস কাঁধে ব্যাগ জিজ্ঞেস করছেন কি করছি আমার বাড়ি সামনেই গলিতে মনে আছে নিশ্চয়ই তাহলে এদিকে কি আমি আমার বরের কাছে যাবো আশ্চর্য

সায়নঃ ত্যাড়া কথার জন্য এক্সপার্ট

নীরঃ ধ্যাত মিয়া ফাউল কথা বলার টাইম নাই সরেন তো সামনে থেকে

সায়নঃ না সরলে কি করবে

নীর বিরক্ত হয়ে রাস্তায় চোখ দিয়ে একটা রিকশা দেখে রিকশাওয়ালা কে ডাক দেয়।

নীরঃ কোথায় থাকেন চাচা আপনারা অমাব্যসার চাঁদ হয়ে গেছেন পাওয়ায় যায় না সামনের গলিতে চলুন আর হুমম আপনাকে সরতে হবে না এখানে আজন্ম দাঁড়িয়ে থাকুন ( সায়নকে উদ্দেশ্য করে শেষের কথা গুলো বলে চলে যায়)

রিয়াঃ নীর না ও

সায়নঃ হুমম

বিহানঃ বড় হয়ে গেছে অনেক সেই ছোট্ট দেখেছিলাম

জানভিঃ আচ্ছা চল এখন

সায়নরা আর কথা না বাড়িয়ে চলে যায়।

(কারে নায়ক দিমু শুভ&সায়ন&তিয়াস)

চলবে,,,,,

( ভুলক্রটি ক্ষমা মার্জনীয়)