LoVe Effect part-07

0
485

#LoVe_Effect
#writer : Sintiha Eva
#part : 07

🍁🍁🍁

ক্লাস জুড়ে পিনপন নীরবতা উপস্থিত সকল স্টুডেন্ট ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে আছে সেকেন্ড বেঞ্চে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে শ্রাবনী পাশেই নীর অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে শ্রাবনীর দিকে। শ্রাবনীর সামনেই অগ্নি দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে আজিজ স্যার উনার জলন্ত আগুনের ন্যায় চক্ষুদ্বয় দেখে মনে হচ্ছে পারলে শ্রাবনীকে ওই দৃষ্টির অগ্নিদ্বারা অগ্নিসংযোগ করে দেবে। প্রায় কিছুক্ষণের নীরবতা ভেঙে স্যার পুরো ক্লাস কাঁপিয়ে বলে উঠে,,,,,,

স্যারঃ তিন ভাই মা-বাবার আদরে আদরে বাদর হয়ে গেছো যে এটা কি তোমার ভাইরা জানে ক্লাসে আসো কি শুটিং করতে পড়ায় যখন কমপ্লিট করতে পারো না তাহলে ক্লাসে আসার দরকার কি

স্যারের কথায় শ্রাবণী মাথা তুলে ধরা গলায় বলে,,,,

শ্রাবনীঃ স্যার প্লিজ যা বলার আমাকে বলুন আমার ভাইদের এখানে আনবেন না আর আমি আজ আপনার দেওয়া নোটস গুলো করেছি কাল না হয় আপনার কথানুযায়ী করিনি কিন্তু বিলিভ মি স্যার আজ করেছি

স্যারঃ ওহ আচ্ছা তুমি নোটস করেছো ফাইন খাতা দাও নোটস পেপার দাও কুইক

শ্রাবনীঃ স্যার এটাই খাতায় কোথাও নোটস গুলো পাচ্ছি না কিন্তু আমি সামনের লাইব্রেরি তে যাওয়ার আগেও নোটস গুলো এই খাতায় দেখে গেছি

স্যারঃ খাতার পেজের কি হাত-পা গজিয়েছে যে উড়তে উড়তে অন্যত্র চলে গেছে

শ্রাবনীঃ স্যার বিশ্বাস করুন আমি করেছি

স্যারঃ জাস্ট সাট আপ বেয়াদব মেয়ে সারাদিন ক্লাসের সবার মাথা খেয়ে বেড়াও আর পড়ার সময় অষ্টরম্ভা

নীরঃ স্যার শ্রাবণী,,,

স্যারঃ তুমি চুপ করো ওর হয়ে ওকালতি করতে বলিনি তোমাকে ( নীরকে ধমকে)

শ্রাবনীঃ বেস্টু তুই চুপ কর

স্যারঃ এতোদিন দুষ্টামি করলেও পড়াশোনা ঠিক ছিলো আর এখন তুমি দিন দিন বড় হচ্ছো আর রসাতলে যাচ্ছো অবশ্য এর থেকে বেশি আর কি তোমার কাছে আশা করা যায়

স্যারের কথা শুনে শ্রাবণী শব্দ করে কেঁদে দেয় ক্লাসের সবাই অসহায় দৃষ্টিতে শ্রাবনীর দিকে তাকায় শ্রাবণী কে কাঁদতে দেখে স্যার আরো রেগে যায়।

স্যারঃ বেরিয়ে যাও এই ক্লাস থেকে তুমি আজকের পর থেকে যেনো কোনোদিন যেনো তোমাকে আমি আমার ক্লাসে না দেখি নাউ ইউ ক্যান গেট লস্ট ফর্ম হেয়ার ( ধমকে)

– কে বের হবে আর কে থাকবে এটা না হয় প্রিন্সিপাল কে ঠিক করতে দেন স্যার

পরিচিত কন্ঠস্বর শুনে শ্রাবণী অশ্রুসিক্ত দৃষ্টিতে দরজার দিকে তাকিয়ে সায়নকে দেখে কান্নার বেগ আরো বেড়ে যায় স্যার রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে বলে,,,,,

স্যারঃ হু আর ইউ আর পারমিশন ছাড়া ক্লাসে কি করছেন বেরিয়ে যান এখনই ক্লাস থেকে

প্রিন্সিপালঃ বেরিয়ে যান কথা টা বলতে বলতে কি আপনার মাতৃভাষা হয়ে গেছে এটা নাকি মিস্টার আজিজ স্যার

প্রিন্সিপালের উপস্থিতিতে সবাই দাঁড়িয়ে স্যারকে সালাম জানায় প্রিন্সিপাল সবাই কে বসতে বলে আজিজ স্যারের দিকে তাকায় স্যার কাঁচুমাচু হয়ে একপাশে গুটিশুটি মেরে দাঁড়িয়ে থাকে।

প্রিন্সিপালঃ আপনারা টিচার্স হয়ে যদি স্টুডেন্টস দের সাথে এমন বিহেভ করেন তাহলে স্টুডেন্টসরা কি শিখবে জানতে পারি কি

স্যারঃ স্যার ওই মেয়ে কাল ও এস্যাইনমেন্ট করে আনেনি আর আজ নোটস গুলোও করেনি এমন মেয়ের স্টুডেন্ট হবার কোনো যোগ্যতায় নেই

প্রিন্সিপালঃ কার কি যোগ্যতা আছে এটা আমি জানি আর শ্রাবনী কে ও আমি চিনি ও যেমন দুষ্টামি করে তেমনি পড়াশোনা নিয়ে অনেকটাই সিরিয়াস

সায়নঃ আমার বোন দুষ্টামি করুক আর যাই করুক কিন্তু আমার বোন পড়া নিয়ে কখনো গাফিলতি করে না কারণ ওর পড়ার দিক টা আমি দেখি অলওয়েজ ও পড়া কমপ্লিট করে আমাকে পড়া দিয়ে পড়ার টেবিল থেকে উঠে তাই ওর যোগ্যতা নিয়ে কথা বলার কোনো রাইট আপনার নেই

স্যারঃ কিন্তু স্যার

প্রিন্সিপালঃ কোনো কিন্তু নয় আপনি এখনই আমার সাথে অফিস রুমে আসুন কুইক ( রেগে)

নীরঃ বেস্টু কান্না থামা

নীরের কথায় শ্রাবণীর কান্না থামার বদলে আরো বেড়ে যায় শ্রাবণী বেঞ্চ থেকে বেরিয়ে সায়নকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে দেয়। সায়ন শ্রাবনী কে জড়িয়ে ধরে স্যারের দিকে তাকিয়ে শুকনো হেসে বলে,,,,,,

সায়নঃ স্যার আজ আর বিচার করা হবে না শ্রাবনীর কান্না দেখলে আমার সব এলোমেলো হয়ে যায়

শ্রাবনীঃ ছো ছোড়দা বিশ্বাস কর আমি সত্যি বলছি আমি নোটস গুলো করেছি কিন্তু খাতায় নোটস গুলো নেই ( কাঁদতে কাঁদতে)

শ্রাবনীর কান্নার শব্দে ক্লাসে থাকা সবার জন্য ধায় হয়ে পড়ছে প্রতিটা ক্লাসের টিচার্স সহ সব স্টুডেন্টসরা শ্রাবনীদের ক্লাসের সামনে এসে জড়ো হয়ে যায় নীর কপাল চাপড়ে দৌড়ে শ্রাবনীর কাছে যায়। সায়ন শ্রাবনীর মাথা হাতিয়ে বার বার শান্ত হতে বলছে কিন্তু শ্রাবনীর থামার নামই নেই শেষমেশ নীর রেগে সায়নকে বলে,,,,,

নীরঃ আপনাকে কি মেসেজ করে ডেকেছি এসে ওর মাথা হাতিয়ে দিতে এটা আমিও পারি ওকে নিয়ে বাড়িতে যান নাকি এটাও ভুলে গেছেন ওর কান্না এক ঘন্টার আগে আর থামবে না

নীরের কথায় সায়ন শ্রাবনী কে ধরে সবাইকে ক্রস করে শ্রাবণী কে নিয়ে বাইরে যায় নীর নিজের আর শ্রাবনীর ব্যাগ নিয়ে সায়নের পেছন পেছন চলে যায় প্রিন্সিপাল আজিজস্যারের দিকে তাকিয়ে রুক্ষ কন্ঠে বলে,,,,,

প্রিন্সিপালঃ মেয়েটা কে এতোই বকেছেন যে মেয়ে টা এভাবে কাঁদছে আপনার ব্যবহার এত্তো খারাপ ছিহহহ

প্রিন্সিপাল সায়নদের কাছে গিয়ে সায়নকে সরি বলে শ্রাবণী কে বুঝিয়ে বলে,,,,

প্রিন্সিপালঃ সরি শ্রাবনী হয়তো আমাদের গাফিলতির জন্যই আজ এমন পরিস্থিতি হলো আজিজ স্যারের হয়ে আমি তোমাকে সরি বলছি

সায়ন প্রিন্সিপাল স্যারকে বিদায় জানিয়ে শ্রাবনীকে নিয়ে বাড়ি চলে যায় নীর ও নিজের বাড়ি চলে যায় ভার্সিটির মাঠে উপস্থিত সবাই নিজেদের ক্লাসে চলে যায় পুরো ফাঁকা মাঠে মাহির, শুভ আর আদিত্য একা দাঁড়িয়ে থাকে। মাহির চিন্তিত কন্ঠে বলে উঠে,,,,,,

মাহিরঃ ব্যাপার টা এতদূর এগোবে আমি জানতাম না

শুভঃ আমি না করেছিলাম কিন্তু শুনিস নি একবার যদি শ্রাবণী জানতে পারে কি হবে ভাবতে পারছিস

আদিত্যঃ ভাই কান্নার কি আওয়াজ মাইরি সবাই কে জড়ো করে ফেললো এ মেয়ে বিয়ের দিন বিদায়ের সময় তো মনে হয় পুরো শহরের মানুষকে জড়ো করে ফেলবে

মাহিরঃ রাখ তোর আওয়াজ আমি ভাবছি ওদের ক্লাসের কেউ যদি বলে দেয়

শুভঃ সব দোষ তোর

মাহিরঃ দোষ যে করে সেও দোষী আর দোষীকে যে প্রশ্রয় দেয় সেও দোষী সো আমরা তিনজনই দোষী অশুভ’র বাচ্চা তুই জাস্ট তোর জনদরদী মুখ টা অফ রাখিস নয়তো সেলাই মেশিন দিয়ে সেলাই করে দেবো

শুভঃ হুহ আমিই চুপই থাকবো

সেদিনের পর কেটে গেছে আরো তিনদিন এই তিনদিনে শ্রাবনী বা নীর কেউই আর ভার্সিটি যায়নি। তিনদিন পর আজ শ্রাবনী আর নীর ভার্সিটি এসেছে দুইজন ক্লাসে গিয়ে বসতেই ইভা&সিনথিয়া রা আসে,,,,,

ইভাঃ তিনদিন আসলি না কেনো তোরা

শ্রাবনীঃ এমনি

সিনথিয়াঃ জানিস তোদের ছাড়া ক্লাস পুরো ফাঁকা ফাঁকা লাগছিলো প্রিন্সিপাল স্যার এই তিনদিনে এসে তোর খবর নিয়েছিলো কিন্তু তোকে না পেয়ে উনি অনেকা দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলো

ইভাঃ আরেকটা গুড নিুজ আছে কি জানিস

শ্রাবনীঃ কি

ইভাঃ আজিজ স্যার কে আমাদের ক্লাস থেকে টান্সফার করা হয়েছে এখন শফিক স্যার আমাদের ক্লাস নেই

নীরঃ যাক তিন দিন পর এসে একটা গুড নিউজ পেলাম

ইভাঃ হুমম ক্লাসের সবাই খুব খুশি হয়েছে উনাকে টান্সফার করায় খিটখিটে মেজাজের একটা

নীরঃ ওকে বাদ দে

ইভাঃ ওহ হ্যাঁ আরেকটা ইম্পর্ট্যান্ট কথা

নীরঃ কিহ

ইভাঃ যেদিন স্যার শ্রাবণী কে বকেছিলো তোরা ক্লাসে এসেই লাইব্রেরি তে গিয়েছিলি মনে আছে

শ্রাবনীঃ হুমমম

ইভাঃ সেদিন আমাদের ক্লাসে মাহির ভাইয়া শুভ ভাইয়া আর আদিত্য ভাইয়া এসেছিলো

নীরঃ তারপর

ইভাঃ ওরা তোদের বেঞ্চের সামনে কি যেনো করছিলো পেছন দিক তাকায় বুঝতে পারিনি বাট এখন মনে হয় মাহির ভাইয়াই এটা করেছে তোরা মাহির ভাইয়া কে জিজ্ঞেস করিস

নীরঃ হাঁদারাম ভাত খাস নাকি অন্যকিছু খাস

ইভাঃ কেনো

নীরঃ আমরা গিয়ে জিজ্ঞেস করবো আর উনি সুরসুর করে বলে দেবে

ইভাঃ না মানে

শ্রাবনীঃ বাদ দে চল একটু বেস্টু

নীরঃ হুমম চল

বটগাছের ছায়াতলে ঘাসের উপর চিন্তিত ভঙ্গিমায় বসে আছে মাহির, শুভ আর আদিত্য তিনজনের ফেসে চিন্তার পূর্ণ আভাস। নীরবতা ভেঙে আদিত্য সর্বপ্রথম বলে উঠে,,,,,,

আদিত্যঃ আচ্ছা ভাবী তিনদিন ধরে ভার্সিটি আসছে না কেনো

মাহিরঃ আচ্ছা কিছু করে ফেলেনি তো লজ্জায়

আদিত্যঃ যদি সুইসাইড করে

শুভঃ ওহ মাই গড যদি সুইসাইড করে আর জানাজানি হয় সেদিনের ঘটনার পেছনে আমরা আছি তাহলে তো ১৪ শিখের ভাত নিশ্চিত নাহহ আমার রাহা বেইবির কি হবে

মাহিরঃ আহ মরণ আমি মরছি আমার জ্বালায় ও আছে ওর বেইবি নিয়া দূরে গিয়া মর শালা আচ্ছা আদিত্য ও যদি হাত কেটে ফেলে কিংবা গলায় দড়ি দেয় কিংবা পানিতে ঝাপ মারে তাহলে কিভাবে বাঁচবে

আদিত্যঃ আমি জানি না ভাই কাজ টা ঠিক হয়নি

মাহিরঃ এই কেবলি তো সাঁতার ও পারে না পানিতে পড়লে ডিরেক্টলি আল্লাহর কাছে চলে যাবে

শুভঃ কিংবা যদি পানিতে ভাসতে ভাসতে সুদূর কেথাও কোনো রাজপুত্রের নিকট পৌঁছায়

মাহিরঃ এটা সিনেমা না বুঝলি ভাসতে ভাসতে রাজপুত্র হুহহ😏

আদিত্যঃ এই মেয়েকে জীবজন্তু খেয়েও হজম করতে পারবে না

মাহিরঃ ঠিক বলেছিস কথার যে ধার আর যেই রাগ ওর বকবকানিতে জীবজন্তু নিজেই হার্ট অ্যাটাক করবে

শুভঃ ভাই আমার মনে হয় ও সুইসাইড করেছে নাহহ রাহা বেইবি কই তুমি তোমার শুভকে পুলিশ নিয়ে যাচ্ছে মাহিন্নার বাইচ্চা আমি আর তোর সাথে নাই

মাহির কিছু বলার আগেই পেছন থেকে শ্রাবণী বলে উঠে,,,

শ্রাবনীঃ ভয় নেই ভাইয়ারা আমি এখনো মরিনি বেঁচে আছি এতো তাড়াতাড়ি মরলে আমার অনাগত বাচ্চার কি হবে

শ্রাবনীর কন্ঠস্বর শুনে মাহিররা চমকে লাফিয়ে পেছনে ফিরে দেখে শ্রাবণী আর নীর দাঁড়িয়ে আছে শ্রাবনীর ঠোঁটের কোণে ডেবিল মার্কা হাসি। মাহির বুকে তিনবার থু থু দিয়ে বলে,,,,,

মাহিরঃ ত তো তোমরা কখন আসলে

শ্রাবনীঃ বেস্টু আমরা যেনো কখন আসলাম

নীরঃ বেশিক্ষণ হয়নি ওই তো যখন আপনারা বলছিলেন ” আচ্ছা ভাবী তিনদিন ধরে ভার্সিটি আসে না কেনো ” তখনই আসলাম বেশিকিছু শুনিনি জাস্ট কিছু কথা শুনেছি

শ্রাবনীঃ বাই দ্যা বিশ্বরোড আমি আপনার কোন কালের ভাবী লাগি হুমম

আদিত্যঃ আ আ আ আসলে

মাহিরঃ ব বাই দ্যা ও ওয়ে ত তোরা এএ এভাবে তো তোতলাচ্ছিস কক কেনো ও কে এএ এমন যে ওকে ভ ভয় পাচ্ছিস ( তোতলাতে তোতলাতে)

শ্রাবনীঃ পেট ঠিক আছে তো

মাহিরঃ মম মানে

শ্রাবনীঃ না যেভাবে কথা বলছেন মনে হচ্ছে পেটে চাপ দিয়েছে তাই এভাবে কথা বলছেন

মাহিরঃ ফাউ কথা কম বলো

শ্রাবনীঃ ওহ আচ্ছা তা প্যান্ট ঠিক আছে তো

মাহিরঃ মা মানে

শ্রাবনীঃ না মানে ভিজিয়ে ফেললেন কি না এটাই জিজ্ঞেস করছি যেভাবে ঘামছেন আর তোতলাচ্ছেন মনে হয় প্যান্ট ভিজে গেছে

মাহিরঃ চুপ যায় হোক এভাবে পেছনে লুকিয়ে ছিলে কেনো চোরের মতো

শ্রাবনীঃ না লুকিয়ে ছিলাম না ভাবছি কথা টা কাকে বলবো প্রিন্সিপাল স্যার কে নাকি ছোড়দা কে

আদিত্যঃ ক কোন কথা

নীরঃ নেকামি কম করেন আমরা শুনে নিয়েছি

শ্রাবনীঃ হুমম ছোড় দা কেই বলবো ছোড় দার চোখে আপনারা ভালো মানুষ এমন ভালো মানুষ দুনিয়ায় একটা ও নাই

শুভঃ নাহ ভা সরি প্লিজ কাউকে বলো না

শ্রাবনীঃ উহু বলবো

আদিত্যঃ ভাবী হলো মায়ের সমান তুমি প্লিজ এবারের মতো আমাদের ছেড়ে দাও আর কখনো তোমার পেছনে লাগবো না

শ্রাবনীঃ ঠিক আছে বাট আর কোনোদিন আমার পেছনে লাগলে কথাটা লিক করে দেবো মাইন্ড ইট

শ্রাবনী আর নীর চলে যায় মাহির দের মুখটা মুহুর্তেই বেলুনের মতো চুপসে যায় তিনজনই মুখটা লটকিয়ে ওদের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে। ইহা কে বলে,,,

” অতি বাড় বেড়ো না, ঝড়ে পড়ে যাবে ”

চলবে,,,,