LoVe Effect part-09

0
516

#LoVe_Effect
#writer : Sintiha Eva
#part : 09

🍁🍁🍁

আয়ুস্কাল থেকে বিয়োগ হলো আরো কয়েক দিন গোধূলি লগ্নের অন্তিম সময় আকাশজুড়ে ছিটিয়ে আছে লালাভ আভা বসন্তের বাতাসে আলাদা এক শিহরণ জেগে উঠে আর সেটা যদি হয় গোধূলির লগ্নে তাহলে তো কথায় নেই। মানবজীবনের প্রেমের ঋতু বসন্ত চারদিকে প্রেমের ছড়াচড়ি এই তো কিছুদিন আগেই Valentine’s day গেলো বর্তমানের প্রবাহিত মাস ফেব্রুয়ারী। ফেব্রুয়ারী মাস মানেই প্রেমিক-প্রেমিকার কাছে ভালবাসার মাস কেউ বা নতুন প্রেমে পড়ে আবার কারো বছর পূর্ণ হয় কিন্তু ভালোবাসা তো ভালোবাসায় এর আবার কোনো বার মাস হয় নাকি না হয় না তবুও এই মাসের জন্য হাজারো প্রেমিক প্রেমিকা অপেক্ষার প্রহর গুনে। আর বসন্ত মানে হলো এক উৎসব হোক তা ভালোবাসার হোক তা রঙের নবীন-প্রবীণ সবার কাছেই বসন্ত প্রিয়।

আজ ভার্সিটি অফ থাকায় শ্রাবনী নীর দুজনের কারোই দেখা হয়নি সেদিনের পর থেকে নীর আর সায়নের সামনে ভুলে ও পড়ে নি আর যদিও ভুলে সামনে এসে যেতো তাহলে কেটে পড়তো। যার জন্য এতো বকা খেলো দুজন সেই মাহির কেই কেউ হারাতে পারলো না বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে রাজনীতির নেতা হলো মাঝখান দিয়ে বেচারী দুজন বেহুদাই বকা খেলো। ফুটপাতের কিনারা ঘেঁষে হাঁটছে নীর উদ্দেশ্য সামনের শপিংমলে যাবে আগের ঘড়ি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ঘড়ি কিনতে শ্রাবনীকে ফোন করেছিলো কিন্তু ফোন তুলেনি তাই আর তৃতীয় বার কল না দিয়ে নিজেই একা চলে এসেছে। সকাল থেকে আকাশ টা আজ গুমোট হয়ে আছে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছিলো এতোক্ষণ একটু আগেই থেমেছে কিন্তু প্রকৃতির তান্ডব এখনো চলছে চারদিকে গাছ-গাছালি হেলেদুলে উড়ছে বাতাসে। নীর গয়ের ওড়না টা আরেকবার ঠিক করে তাড়াতাড়ি পা চালায় যেকোনো সময় আবার আকাশ ফেটে বৃষ্টি নামতে পারে। হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ ওপারের একটা কফিশপে নীরের চোখ আটকে যায় আবছা আবছা দেখা যাচ্ছে সায়ন ওর বন্ধুদের সাথে বসে আছে সায়নের পাশেই একটা মেয়ে সায়নের হাত ধরে বসে হাসছে সাথে সায়ন ও হাসছে।

নীরঃ মেইবি এই মেয়েটায় জানভি উনার গার্লফ্রেন্ড দেখতে তো ভালোই কিন্তু এই গিরগিটির প্রেমে পড়ে নিজের জীবনটা শেষ করতে গেলো কেনো ( বিড়বিড় করে)

নীরের কথার মাঝে হঠাৎ আকাশে বিদ্যুৎ চমকে উঠে নীর একবার আকাশের দিকে তাকিয়ে বিরক্তি নিয়ে তাড়াতাড়ি ঘড়ির দোকানে ডুকে যায়।

নীরঃ ভাইয়া একটা লেডিস ঘড়ি দেন তো তাড়াতাড়ি

দোকানদারঃ দিচ্ছি

নীর পনেরো টা ঘড়ি দেখে শেষ পর্যন্ত মেরুন কালার ফিতার একটা ঘড়ি নিয়ে বিল পেমেন্ট করে বেরিয়ে পড়ে। চারদিকে একবার চোখ বুলিয়ে কোনো রিকশা না পেয়ে হাঁটতে শুরু করে হঠাৎ মাঝরাস্তা দিয়ে গাড়ি যাওয়ার সময় নীর সাইড দিতে নিলে কাঁদায় পা ডুবে যায় নীর অসহায় দৃষ্টিতে পায়ের দিকে তাকায় কাঁদা থেকে পা উঠিয়ে পাশের টেব থেকে পা ধুয়ে আবার হাঁটতে শুরু করে হঠাৎ পায়ের জুতো ছিঁড়ে যায় এবার নীরের বিরক্তি রাগ দুটোই নবম আসমান স্পর্শ করে নীর জুতো নিয়ে এক ঢিল দিয়ে ফেলে দেয়

নীরঃ জীবন ডায় তেজপাতা এখনই ছিঁড়তে হইছিলো ধ্যাতত শালার কেনো যে আজ আসতে গেলাম ( বিরক্তি নিয়ে)

” ক্ষেপি ক্ষেপছে ”

হঠাৎ এমন কথা শুনে নীর ভড়কে যায় পরক্ষণে মনের ভুল ভেবে হাঁটতে নিলে কারো কথায় পা আটকে যায় নীর চারপাশে তাকিয়ে কাউকে পায় আকাশের দিকে তাকায় তবুও কাউকে না পেয়ে বোকা বনে যায় তখনই পুরুষালি কন্ঠে কেউ বলে উঠে,,,,

আবিরঃ বুদ্ধির কি বহর তোকে আকাশ থেকে কে ডাকবে রে

নীর পেছন ফিরে আবির কে দেখে ঠাসকি খায় মুহুর্তেই সব বিরক্তি উধাও হয়ে একরাশ প্রশান্তি এসে ধরা দেয় মনে। নীর আবিরের কাছে গিয়ে হাসি মুখে বলে,,,,

নীরঃ তুই তাও এখানে কখন আসলি

আবিরঃ উহুমম ওই তো যখন তুই বাড়ি থেকে বের হলি তখন

নীরঃ মানে কোথায় আমি তো দেখলাম না

আবিরঃ চোখ থাকলে তো দেখবি আচ্ছা চল তাহলে এখন বাড়ি যায় যেকোনো সময় আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামবে

নীরঃ আম্মু জানে

আবিরঃ না খালামণি কে সারপ্রাইজ দেবো চল

নীরঃ হুমমম চল

আবির নীরের হাত ধরে হাঁটতে শুরু করে নীর আবিরের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে আবিরের সাথে কথা বলতে বলতে হাঁটতে থাকে সায়নরা মাত্রই কফিশপ থেকে বেরিয়েছে তখনই ওদের সামনে দিয়ে নীরকে একটা ছেলের সাথে দেখে সবাই কিছুটা অবাক হয় সবচেয়ে বেশি সায়ন অবাক হয় কারণ সায়নের জানামতে নীর কোনো অচেনা ছেলের সাথে কথা তো দূরে থাক তাকায়ও না তাহলে এটা কে যার হাত ধরে হাঁটছে আর হাসছে৷

আবিরঃ তুই এই জায়গায় দাঁড়া আমি আইসক্রিম নিয়ে আসছি

নীরঃ এখন কি দরকার আগে বাড়ি চল আম্মু আব্বু তোকে দেখলে খুশি হবে

আবিরঃ আরে পাগলি আমি কি পালিয়ে যাবো এই তো দোকান সামনেই তুই এখানেই দাঁড়া

নীরঃ ঠিক আছে ( ঠোঁট উল্টে)

আবির মুচকি হেসে চলে যায় নীর সাইডে গিয়ে ফোন নিয়ে অনলাইনে ঢুকে। তখনই ওর ফেভারিট রাইটারের গল্প সামনে পেয়ে পড়তে শুরু করে

সায়নঃ ছেলেটা কে

হঠাৎ সায়নের কন্ঠস্বর শুনে নীর মাথা তুলে উপরে তাকিয়ে সায়নসহ ওর ফ্রেন্ডদের দেখে রাগ উঠে যায়মূলত রাগ রাগ টা সায়নকে দেখেই হয়েছে তবুও নিজেকে শান্ত রেখে স্থির গলায় বলে,,,

নীরঃ কোন ছেলেটা

সায়নঃ একটু আগে যার হাত ধরে হাঁটছিলে

নীরঃ ওহ আবিরের কথা বলছেন

সায়নঃ হয়তো আবিরই হবে

নীরঃ আপনি জেনে কি করবেন

সায়নঃ কি আর করবো শ্রাবনীকে জানাবো ওর বেস্টু ওর অগোচরে প্রেম করে

নীরঃ শ্রাবণী জানে

সায়নঃ সত্যি ( অবিশ্বাস্য কন্ঠে)

নীরঃ হুমমম

আবিরঃ এই যে মেডাম চ লু ন

নীরঃ হুমম আমি আসছি

আবিরঃ ওকে

নীরঃ আসছি ভাইয়া আপুরা আসছি ( মুচকি হেসে)

নীর আবিরের কাছে গিয়ে আবিরের কাছ থেকে আইসক্রিম নিয়ে আবিরের সাথে কথা বলতে বলতে চলে সায়নরা সরু দৃষ্টিতে ওদের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে।

_______________

আজ শ্রাবনীদের ভার্সিটি তে বসন্ত উৎসব মূলত বসন্তের প্রাথম কয়েকদিন ভার্সিটি অফ থাকায় স্টুডেন্ট রা বসন্ত উৎসব পালন করতে পারেনি তাই প্রিন্সিপালের কাছ থেকে স্পেশাল পারমিশন নিয়ে অনার্স ফাইনাল ইয়ারের স্টুডেন্ট রা বসন্ত উৎসবের আয়োজন করেছে। চারদিকে লাল নীল পরীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে সবাই রঙ নিয়ে খেলছে নীর আর শ্রাবনী ভার্সিটিতে ডুকতেই ইভারা এসে ওদের দুজনকে রঙ লাগিয়ে দেয় নীর শ্রাবনী ও ওদের রঙ লাগিয়ে দেয়।

শ্রাবনীঃ বেস্টু ওই ফটকা কে দেখতে পাচ্ছি না কেনো বলতো

নীরঃ একদম চুপ যদি আজ কিছু করিস তাহলে বুঝবি আমি কি পরিমাণ খারাপ হতে পারি ( চোখ গরম করে)

শ্রাবনীঃ ঠিক আছে কিছু করবো না ( কাচুমাচু হয়ে)

আদিত্যঃ আহ বুকটা ফাইডা যায় আমাদের মাহিরের বুক ডা ফাইডা যায়

শুভঃ ও ভাবী ও ভাবী আমনে অপরাধী গো আমার বন্ধুর যত্নে গড়া মন ডা আমনে কাইড়া নিছেন গো

মাহিরঃ সাট আপ ফাজিলের দল কিসব গান গাইছিস

আদিত্যঃ কি ভাই পছন্দ হয়নি আচ্ছা তাহলে অন্যভাবে ভাবীকে ডাকি তাহলেই এসে যাবে

মাহিরঃ চুপ কর কিসব আবোলতাবোল বকছিস

আদিত্যঃ ও ভাবী তুমি শুনতে কি পাও এ গান তোমার দেবরের ওহহহহ এই গান তোমার দেবরের ছুড়ে যাবে এই গান কানে তে তোমার আমার বন্ধুর তোমার আসার অপেক্ষার প্রহর গুনছে ওহহহ

মাহিরঃ গানের মান-ইজ্জত শেষ করে ফেলছোস এখন চুপ যা

শুভঃ আরে ওই তো ভাবী আসছে

শুভ’র কথায় মাহির চট করে মাথা ঘুরিয়ে দেখে শ্রাবণী আর নীর আসছে শ্রাবনী নীল কালার একটা গাউন পড়েছে চুলগুলো খোলা ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক কানে ইয়ারিং ব্যসস এতেই দারুণ লাগছে। মাহির দ্রুড চোখ সরিয়ে নেয় শুভ আর আদিত্য দুষ্টু হেসে মাহিরের কাঁধে হাত দিয়ে বলে,,,,

আদিত্যঃ ওহে শ্যাম তোমারে আমি নয়নে নয়নে রাখিবো

শুভঃ অন্যকারো রে না আমি চাহিতে দেবো

মাহিরঃ চুপপ

নীরঃ ওই যে তোর ফটকা

শ্রাবনীঃ ওয়াট আমার ফটকা মানে কি

নীরঃ তুই ভালো জানিস তোর মনের কথা আমি কিভাবে জানবো

শ্রাবনীঃ আজব কথাবার্তা

নীরঃ তোর দিকেই তাকিয়ে আছে যা গিয়ে জড়িয়ে ধরে বল ” হে প্রাণনাত এভাবে তাকিও না আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয় তুমি কি বুঝো না ”

শ্রাবনীঃ তোকে তো আমি আজ মেরেই ফেলবো

নীর হেসে দৌড় দেয় শ্রাবনী নীরের পেছন পেছন দৌড়ে নীরকে তাড়া করতে শুরু করে

শ্রাবনীঃ দাড়া বলছি আজ তোকে আমি খু*ন করবো হারামি

নীরঃ আগে ধর তারপর করিস

শ্রাবনীঃ তোকে তো আমি ধরবোই

নীরঃ ওকে

শ্রাবনী দৌড়াতে দৌড়াতে হঠাৎ নিচে পড়ে যায় ব্যথায় আহ করে উঠে মাহির রা শ্রাবনীকে পড়তে দেখে দ্রুর শ্রাবনীর দিকে এগিয়ে যায় নীর দৌড়ে এসে শ্রাবণী কে ধরে বলে,,,,

নীরঃ কোথায় লেগেছে তোর এই বেস্টু দেখি হাত দেখি

শ্রাবনী শয়তানি হেসে নীরের হাত চেপে ধরে বলে,,,,

শ্রাবনীঃ ধরে ফেলেছি এখন কি করবি

নীরঃ মানে

শ্রাবনীঃ মানে হলো আমি ব্যথা পায় নি তোকে ধরার জন্য নাটক করলাম

নীরঃ হারামি কুত্তী আমি আরো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম

শ্রাবনীঃ হিহিহি

মাহিরঃ ওর মতো হিটলার মহিলারা আর পারে টা কি

মাহিরের কথা শুনে নীর শ্রাবনী মাহিরদের দিকে তাকায় শ্রাবনী রেগে তেড়ে এসে মাহির কে বলে,,,,

শ্রাবনীঃ আমি হিটলার হুমম কোন দিক দিয়ে হিটলার আমি

মাহিরঃ সব দিক দিয়েই

শ্রাবনীঃ আই অভিশাপ ইউ জীবনে আপনার বয়া হউতো না আর হইলে বাসর ঘরে বউ আপনাকে ঝাটা পেঠা করবে

মাহিরঃ আমি আরো ভাবলাম একটু ভালো অভিশাপ দেবো

শ্রাবনীঃ আপনার জন্য ভালো কথা আমার মন থেকে আসে না

শুভঃ সময় হলে ঠিকই আসবে ওটা ভালো কথা না ভালোবাসার কথা আসবে

শ্রাবনীঃ মানে ( ভ্রু কুঁচকে)

আদিত্যঃ বুঝলে বুঝপাতা না বুঝলে তেজপাতা

শ্রাবনীঃ আপনাদের কথা শোনার কোনো ইচ্ছে ও আমার নাই

মাহিরঃ তা থাকবে কেনো ভালো কথা ভূতে শুনবে কিভাবে

শ্রাবনীঃ কে ভূত

মাহিরঃ কে আবার তুমি

শ্রাবনীঃ আপনি বাই দ্যা মেডিকেল কলেজ আপনাদের সাথে আমরা কথা বলছি কেনো আমরা তো আপনাদের উপর চরমমাত্রায় রেগে আছি

মাহিরঃ ও মা কেনো গো

শ্রাবনীঃ কুঁচি খোকা জানেন না

মাহিরঃ না গো বলো না

শ্রাবনীঃ জাস্ট চুপপ ওকে

সাজ্জাদঃ মাহির ভাই আপনাকে ওদিকে ডাকছে

মাহিরঃ যাচ্ছি যাও তুমি

শ্রাবনীঃ হুহহহহ

মাহিররা চলে যায় নীর আর শ্রাবনী ও চলে যায়।

” প্রাণ প্রিয়,,, তোমাকে দেখলে আমি সব গুলিয়ে ফেলি তেলাপোকা কে ইঁদুর ভাবি পটল কে আলু ভাবি তুমি এমন কেনো আমাকে একটু ও বুঝো না তুমি জানো তোমার প্রেমে আমি কতটা পাগল তোমাকে দেখলে আমি পাগল হয়ে যায় খেতে বসলে তোমাকে বাবি বাথরুমে গেলে তোমাকে ভাবি ঘুমাতে গেলে তোমাকে ভাবি তুমি আছো আমার হৃদয় জুড়ে বালোবাসি প্রাণ প্রিয় পুরুষ আমার আই ভালোবাসি ইউ। এক্সেপ্ট মাই প্রপোজাল প্লিজ

ইতি,,,
তোমার প্রেমে বিমোহিত

বালিকা —–

এমন আজাইরা মার্কা লাভ লেটার দেখে মাহিরের রাগ সপ্তম আকাশে ধাবিত হয় আর এদিকে শুভ আদিত্য হাসতে হাসতে শেষ ওদের হাসি দেখে মাহিরের আরো রাগ লাগছে। মাহির চিঠি টা মুঠো করে রক্তচক্ষু নিয়ে সাজ্জাদের দিকে তাকায় সাজ্জাদ ভয়ে মাথা নিচু করে নেয়।

মাহিরঃ কে দিয়েছে এই ফালতু লেটার

সাজ্জাদঃ একটা মেয়ে

মাহিরঃ গবেট সেটা আমিও জানি কোনো ছেলে নিশ্চয়ই আমাকে প্রপোজাল দেবে না আমি সেই মেয়েটা কেই দেখতে চাইছি

সাজ্জাদঃ ওদিকে চলুন

মাহিরঃ চলো

সাজ্জাদঃ ওই যে ওই মেয়ে টা নীল ড্রেস পড়া মেয়েটা

মাহিরঃ আচ্ছা তুমি যাও তোরা আয়

শ্রাবনী আর নীর কথা বলছিলো হঠাৎ থাপ্পড়ের শব্দে উপস্থিত সবাই চমকে যায়।

( নাই তো আর নিচে নাইমা কি লাভ )

চলবে,,,,,

( ভুলক্রটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন, ধন্যবাদ )