LoVe Effect part-23+24

0
494

#LoVe_Effect
#writer : Sintiha Eva
#part : 23

🍁🍁🍁

নিষক কৃষ্ণ রজনী আকাশের সূর্য আরো ঘন্টাখানেক আগে অস্ত গিয়ে ধরনীর বুকে নেমে এসেছে রাতের আঁধার বাইরে আকাশে উঠেছে একটা অর্ধগোল চাঁদ শা শা করে বাতাস বইছে দূর থেকে ভেসে আসছে কুকুরের ডাক নিদিষ্ট সময় পর পর ওরা ঘেউ ঘেউ করে উঠছে আবার শব্দহীন হয়ে পড়ছে বাতাসে কেবিনের ভেতরের শুভ্র পর্দাগুলো এলোমেলো উড়ছে শ্রাবনী ধীর পায়ে উঠে কেবিনের সাথে এটাচ করা ছোট্ট বেলকনিতে গিয়ে দাঁড়ায় বাইরের বেসামাল প্রকৃতি জানান দিচ্ছে আজ প্রকৃতি তার সর্বস্ব দিয়ে বৃষ্টি কে আলিঙ্গন করে নিজেকে উজাড় করে দেবে শ্রাবনী বাইরে থেকে কেবিনের ভেতর বেডে অবচেতন অবস্থায় শুভ্র ড্রেস পরিহিত মেয়ের দিকে তাকায় মুখে অক্সিজেন মাক্স হাতে এখনো স্যালাইন ঝুলছে মুখ টা শুকিয়ে পুরো কাঠ হয়ে গেছে আজ ৭ দিন হলো নীরের এক্সিডেন্টের সেদিন অপারেশনের পর ডক্টর বলেছো ৭২ ঘন্টায় নীরের জ্ঞান ফিরার সম্ভবনা আছে কিন্তু ৭২ ঘন্টা কেটে আরো ২৪ ঘন্টা পাড় হয় কিন্তু নীরের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয় না এতে সবাই ভয় পেয়ে যায় ডক্টর দ্বিতীয় বার চেকআপ করে জানায় নীরের মাথায় আঘাত বেশি পাওয়ায় মস্তিষ্ক কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে যার জন্য নীর রেসপন্স দিতে পারছে না কয়েকদিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। ডক্টরের কথানুযারী হসপিটালে রেখেই নীরের চিকিৎসা হচ্ছে সবাই এসে দিনে দুইবার করে নীর কে দেখে যাচ্ছে হসপিটালে শুধু শ্রাবনী আর নীরের মা নীরের সাথে আছে হঠাৎ বজ্রপাতের শব্দে শ্রাবনী বাস্তবে ফিরে চোখে তরল জাতীয় কিছু অনুভব করতেই শ্রাবনী চোখে হাত দিয়ে বুঝতে পারলো ও কাঁদছে শ্রাবনী ঠোঁট চেপে কান্না আটকে বিড়বিড়িয়ে বলে

শ্রাবনীঃ বেস্টু প্লিজ কাম বেক আর পারছি না তোকে এভাবে দেখতে সবাই কষ্ট পাচ্ছে আন্টির জন্য হলেও এবার তো রেসপন্স দে

নীরের মাঃ কি রে তুই ওখানে কি লরছিস বাইরে বৃষ্টি পড়বে মনে হয় ভেতরে আয় সায়ন এসেছে

বেলকনির দরজার কাছ থেকে নীরের মায়ের কথা কর্ণপাত হতেই শ্রাবণী চোখ মুছে ধীর পায়ে ভেতরে যায় সায়ন সোফায় বসে আছে পাশেই টিফিন বক্সে দুইজনের খাবার নিয়ে এসেছে গায়ে এখনো অফিসের ড্রেস চোখে চশমা চশমার আড়ালে দুই চোখ জুড়ে রাজ্যের ক্লান্তি সায়ন মাথা তুলে একবার নীরের দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে খাবার বের করে শ্রাবণী এসে নীরের পাশে টুলে বসে

সায়নঃ আন্টি এই নেন দুজন খেয়ে নেবেন আর আজ আসতে লেট হলো আসলে অফিসে খুব প্রেশার ছিলো শ্রাবনী এই যে আন্টির মেডিসিন গুলো খাইয়ে দিস

শ্রাবনীঃ আচ্ছা তুই খেয়েছিস

সায়নঃ না বাড়িতে যাওয়ার সাথে সাথে মা খাবার দিয়ে বললো তোদের এখনো খাবার পাঠানো হয়নি তাই নিয়ে আসলাম আমি গিয়ে খেয়ে নেবো

শ্রাবনীঃ ছোড়দা

সায়ন শ্রাবনীর দিকে তাকায় শ্রাবণীর চোখে পানিতে টইটুম্বুর সায়ন শ্রাবনী কে টেনে নিজের কাছে এনে মাথায় হাত বুলিয়ে ধীর গলায় বলে

সায়নঃ কাঁদিস না নীর ঠিক হয়ে যাবে ও ঠিক হলে ওকে আমি আচ্ছা করে বকে দেবো কেমন

শ্রাবনীঃ না তুই ওকে বকবি না

সায়নঃ কেনো ও তো তোকে কষ্ট দিচ্ছে সবাই কে কষ্ট দিচ্ছে তাহলে বকলে কি হবে

শ্রাবনীঃ না বকবি না ও তাহলে রেগে যাবে পরে আর কথা বলবে না

সায়নঃ আচ্ছা বকবো না এবার খেয়ে নাও ছোড়দা আসি অফিসের কিছু কাজ ও কমপ্লিট করতে হবে

শ্রাবনীঃ আচ্ছা সাবধানে যা

সায়ন চলে যায় শ্রাবণী রা দুজন খেয়ে কেবিনের সোফায় আর একস্ট্রা বেডে শুয়ে পড়ে হঠাৎ মধ্যরাতে বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি শুরু হয় বিজল চমকানোর বিকট শব্দে শ্রাবনীর ঘুম ভেঙে যায় বাইরে প্রকৃতির ভয়ংকর রূপ দেখে শ্রাবণী ভয় পেয়ে যায় কিছু টা তারউপর বিজলি চমকাচ্ছে বিজলির শব্দ শ্রাবনী প্রচন্ড ভয় পায়। শ্রাবনী গুটিশুটি মেরে আবার শুয়ে পড়ে সময় যত যাচ্ছে বিজলি চমকানো তত বাড়ছে শ্রাবনী বেডের চাদর দিয়ে পুরো শরীর ঢেকে গুটিশুটি মেরে শুয়ে মনে মনে উপরওয়ালা কে ডাকতে শুরু করে একপর্যায় কখন ঘুমিয়ে পড়ে নিজেও জানে না।

রাতের আঁধার কাটিয়ে পৃথিবীতে এক নতুন দিনের সূচনা হলো রাতে বৃষ্টি হওয়ায় সকালের আবহাওয়া বেশ বৃষ্টিস্নাত চারদিকের সবকিছু পানিতে ভিজে আছে প্রকৃতির সুমিষ্ট হাওয়া ও শীতল হয়ে গেছে এতোদিনের গরমে জর্জরিত জীবনের এই বৃষ্টি যেনো আশীর্বাদ স্বরূপ ছিলো চারদিক টা এখন বেশ শীতল শীতল কোথাও গরমের ছিটেফোঁটা ও নেই। নীরের মা ভোরের দিকে ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে নিয়েছে প্রতিদিনের মতো আজও নীরের সুস্থতা কামনা করেন শ্রাবনী ঘুম থেকে উঠে ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে আসে কিছুক্ষণ পরই সায়ন ব্রেকফাস্ট নিয়ে আসবে

নার্স এসে নীরের স্যালাইন চেঞ্জ করে নতুন স্যালাইন দিয়ে কিছু কাজ করছিলো তখনই সায়ন খাবার নিয়ে আসে সায়নের সাথে শুভ মাহির আদিত্য তিনজনই এসেছে তিনজন নীরকে দেখতেই আসছিলো লিফটে এসে সায়নের সাথে দেখা হওয়ায় চারজন একসাথেই ভেতরে আসে। শ্রাবনী মাত্রই ওয়াশরুম থেকে এসেছে সায়নদের দেখে শ্রাবনী শুকনো হেসে এগিয়ে যায়

শ্রাবনীঃ নার্স ওর অবস্থা কি কোনো উন্নতি হয়নি

নার্সঃ না আপু তবে আজ কেমন একটা লাগছে আমি ডক্টরকে অলরেডি ইনফর্ম করে দিয়েছি

নার্সের কথায় সবাই কিছু টা ঘাবড়ে যায় শ্রাবণী কাপা কাঁপা গলায় বলে

শ্রাবনীঃ কোনো প্রবলেম হবে না তো

নার্সঃ আমি ঠিক বলতে পারছি না

সায়নঃ বনু এতো টেনশন নিস না আন্টি আপনাদের ব্রেক ফাস্ট

নার্স নিজের কাজে মনোযোগী হয় হঠাৎ উনার হাতে কলম গড়িয়ে সায়নের পায়ের কাছে এসে পড়ে সায়ন নীরের ডান সাইডে দাঁড়িয়ে আর নার্স বাম সাইডে সায়ন নিচু ঝুঁকে কলম টা উঠিয়ে নীরের বেডে ঝুঁকে নার্সের দিকে কলম টা এগিয়ে দেয় নার্স মুচকি হেসে কলম টা নিয়ে নেয় সায়ন নীরের দিকে ঝুঁকেই ফিচেল কন্ঠে বলে

সায়নঃ এই যে মিস বাঘিনী এবার উঠুন সবাই কে বড্ড জ্বালাচ্ছেন এখনো জ্বালানো শেষ হয়নি নাকি

সায়ন নীর উপর থেকে সোজা হয়ে পেছন ফিরে চলে আসতে নিলে হাতে নরম কিছুর স্পর্শে সায়ন থমকে যায় মুহুর্তের মাঝে শিরা-উপশিরায় প্রবল স্রোত বয়ে যায় ঠান্ডা প্রকৃতি তে সায়নের গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যায় সায়ন ওখানে ওভাবেই দাঁড়িয়ে থাকে হাতের স্পর্শ আরেকটু গভীর হতেই সায়ন চট করে পেছনে তাকায় নীরের ঠোঁট নড়ছে চোখের পাপড়ি কাঁপছে সায়ন নিজের হাতের দিকে তাকাতেই চোখ আটকে যায় নীর সায়নের দুই আঙ্গুল ধরে আস্তে করে টান দিচ্ছে সায়নের ঠোঁটের কার্নিশে একচিলতে হাসি ফুটে উঠে নার্স হঠাৎ চেচিয়ে বলে

নার্সঃ ওহ মাই গড প্রেশেন্ট রেসপন্স দিয়েছে

নার্সের কথায় শ্রাবণী রা সবাই চকিত দৃষ্টিতে নীরের দিকে তাকায় সবাই নীরকে ঘিরে দাঁড়ায় নার্স জলদি ডক্টরকে ডাকতে যায়

শ্রাবনীঃ বেস্টু

প্রতিত্তোরে নীর নিশ্চুপ নীর এখনো সায়নের আঙ্গুল ধরে আছে শ্রাবনীরা সায়নের দিকে তাকায় সায়নের দৃষ্টি অনুসরণ করে নীরের হাতের দিকে তাকাতেই সবাই নিঃশব্দে মুচকি হেসে উঠে

________________________

ভার্সিটি থেকে সবেমাত্র ফিরে বেডে গা হেলিয়ে দিয়েছে নীর এক্সিডেন্টের পর থেকেই হুটহাট মাথা ব্যথা করে এটা নিয়ে ডক্টরের কথানুযায়ী মেডিসিন ও নিচ্ছে আজকে রোদে তীর্যক তাপে নীরের নাজেহাল দশা তারমধ্যে এই শ্রাবনী ও আজ ভার্সিটি যায়নি ওর নাকি মাথা ব্যথা তাই যাবে না নীর ভার্সিটি যাওয়ার আগেও বলেছে ও ভার্সিটি যাবে আর ভার্সিটি গিয়ে ওর পাত্তা না পেয়ে ফোন দিয়ে জানতে পারে মেডামের মাথায় পেইন। মাথা ব্যথা কিছুটা লাঘব হতেই নীর জামাকাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায় পাক্কা দুই ঘন্টা সাওয়ার নিয়ে মাথায় তাওয়ালে পেছিয়ে রুমে এসে বেডের দিকে চোখ যেতেই ভ্রু আপনাআপনি কুঁচকে আসে বেডের উপর যাবতীয় জিনিস দেখে নীর মাথার তাওয়ালে খুলে গুটিগুটি পায়ে বেডের দিকে এগিয়ে যায় একটা মেরুন কালার শাড়ি কিছু কাঁচের চুড়ি আরো কয়েক ধরনের গহনা তখনই নীরের মা এসে ব্যস্ততার সুরে বলে

নীরের মাঃ নীর তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে আজ সায়নদের বাড়ি থেকে তোদের পাকা দেখা করতে আসছে

নীরের মায়ের কথা শুনে নীরের মাথায় হাত কি বলে আজ পাকা দেখা নীর বিরক্তি নিয়ে বলে

নীরঃ আর কিসের পাকা দেখা এতোদিন দেখে আরো দেখা লাগে আশ্চর্য

নীরের মাঃ যা বুঝিস না তা নিয়ে কথা বলবি না বুঝলি ( ধমকে) তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নাও

নীরের মায়ের ধমকে নীর চুপসে যায় নীরের মা চলে যায় নীর ধপাস করে বেডে বসে পড়ে রাগে মাথা আবার ব্যথা হয়ে যাচ্ছে এই ছেলে এমন গিরগিটির মতো রঙ বদলায় কিভাবে সেদিনই তো বললো ওকে জীবনে বিয়ে করবে না সায়নকে বকতে বকতে রেডি হতে শুরু করে

বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আছে দুজন মানব-মানবী একজনের দৃষ্টিতে তীব্র রাগের আভাস অন্যজনের দৃষ্টিতে একরাশ নীরবতা বাইরে সূর্যের তীক্ষ্ণ তেজ এসে বেলকনিতে পড়ছে তার সাথে গরম বাতাস বাতাসে নীরে সামনে এনে রাখা চুলগুলো উড়ছে শাড়ির আঁচল ও কিছুটা উড়ছে তবে নীরের তাতে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই নীর তো সামনে দাঁড়িয়ে থাকা উজ্জ্বল শ্যামবর্ণের ভাবলেশহীন যুবকের দিকে তাকিয়ে আছে চশমার আড়ালে লুকিয়ে থাকা চোখগুলো হাজারো রহস্যে ভরপুর যার কোনোটার উত্তর আর সমাধান নীরের জানা নেই। প্রায় একঘন্টা আগে সায়নদের বাড়ির সবাই নীরদের বাড়ি এসেছে ওরা আসার কিছুক্ষণ পরই নীরকে ওদের সামনে নিয়ে যাওয়া হয় অতঃপর সবার মতামতে ওদের বিয়ে সামনের সপ্তাহে ঠিক হয় তখনই সায়নের বাবা নীর আর সায়নকে একা কথা বলতে পাঠায় এতে নীর বেশ আনন্দিত হয় নীর মনে মনে ঠিক করে সায়নকে না করে দেবে কিন্তু তাতে এক ট্রাক পানি ঢেলে দেয় সায়ন যা নিয়ে নীর সায়নের উপর ক্ষেপে আছে নীর তীক্ষ্ণ কন্ঠে বলে

নীরঃ মিস্টার চৌধুরী আপনি তো অন্য একজনকে ভালোবাসেন আপনার জিএফ আছে তাহলে হুয়াই মিস্টার চৌধুরী কেনো আমাকে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছেন এসবের মানে কি আমি আপনাকে বিয়ে করবো না দ্যাটস ইট আপনি যেভাবেই হোক বিয়ে টা ভাঙ্গুন

নীর উত্তরের আশায় সায়নের দিকে তাকায় না এই ছেলে ভাবলেশহীন দাঁড়িয়ে আছে কোনো প্রতিক্রিয়া নেই নীর তো মাঝে মাঝে নিজের কনফিউজড এটা আধো মানুষ নাকি কোনো রোবট নীর এবার রাগের বশে সায়নের কলার চেপে ধরে হঠাৎ এমন হওয়ায় সায়ন কিছু টা পিছিয়ে বেলকনির রেলিঙের সাথে লেগে যায় নীর তীক্ষ্ণ কন্ঠে বলে

নীরঃ কথা শুনছেন না আপনি এমন করছেন কেনো

সায়নঃ কি করছি

সায়নের মুখে এতোক্ষণে কথা শুনে নীর কিছু টা স্বস্তি পাই

নীরঃ আপনি তো একজনকে ভালোবাসেন আম রাইট

সায়নঃ ইয়েস ইউ’র রাইট

নীরঃ আপনার গার্লফেন্ড আছে রাইট

সায়নঃ উহুমম গার্লফ্রেন্ড না বলো হবু বউ কারণ বিয়ে করলে তো বউই হতো

নীরঃ তাহলে কেনো আমাকে বিয়ে করেছন শুধু শুধু নিজের জীবন টা শেষ করেছেন সাথে আমার টা ও

সায়নঃ আব্বু বললো যে তাই এবার কলার টা ছাড়বে নাকি এভাবে থাকবে

নীর এবার আরো রেগে সায়নের কলার জুরে চেপে কিছু টা চেঁচিয়ে বলে

নীরঃ আপনি আপনার বাবার কথা রাখতে বিয়ে করছেন সো আপনি আর আপনার কথা রাখা দুইটা আমার থেকে দূরে থাকুন আমি এমন কাউকে বিয়ে করবো না যার মনে অন্য মেয়ের বাস সো এই বিয়ে টা আমি করছি না

নীর এতোটুকু বলে চলে আসে দুপা এগুতেই সায়নের কথা শুনে থমকে যায়

সায়নঃ বিয়ে তো আমাকেই করতে হবে সো গেট রেডি বেবিগার্ল

চলবে,,,,

#LoVe_Effect
#writer : Sintiha Eva
#part : 24

🍁🍁🍁

শ্রাবনীঃ বেস্টু তোকে এই লুকে দেখলে ছোড়দা বেচারা হার্ট অ্যাটাক করবে

শ্রাবনীর মুখ থেকে এমন কমপ্লিমেন্ট পেয়ে নীরের বিরক্তি মাখা ফেসে আরো একরাশ বিরক্তি এসে ধরা দেয় নীর ঝাঁঝালো কণ্ঠে বলে

নীরঃ তোর ওই হিটলার ভাইয়ের হার্ট অ্যাটাক করানোর জন্য নিশ্চয় আমি সাজিনি ফালতু কথা রাখ

নীরের কথায় শ্রাবণীর মুখ টা চুপসে যায় অতঃপর কিছু একটা ভেবে হাসি হাসি মুখে বলে

শ্রাবনীঃ কাম অন বেস্টু এখানে তো আমরা আমরাই এতো লজ্জা পাওয়ার কি আছে

শ্রাবনীর কথায় উপস্থিত সবাই শব্দ করে হেসে দেয় নীর এবার রাগান্বিত দৃষ্টিতে শ্রাবনীর দিকে তাকিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বলে

নীরঃ দোহাই লাগে বইন থাম পারলে একটা হেল্প কর

শ্রাবনীঃ কি বল

নীরঃ আমাকে পালাতে সাহায্য কর

আজ রাত পোহালে যেই মেয়ের বিয়ে তার মুখে এমন বাক্য শুনে সবার চক্ষু চড়কগাছ শ্রাবণী থতমত খেয়ে বলে

শ্রাবনীঃ তুই পালালে আমার ছোড়দা’র কি হবে

নীরঃ জাহান্নামে যাক আমার কি হুট করে একটা মিথ্যে বলে আমার সাথে বিয়ে ঠিক করে নিলো এটার কোনো মানে হয় উনার তো জিএফ আছে তবুও কেনো আমার সাথে এমন করছে

প্রতিত্তোরে শ্রাবনী দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে নীরকে নিয়ে স্টেজের দিকে অগ্রসর হয়

আজ নীর সায়নের গায়ের হলুদ দুজনের গায়ে হলুদ একসাথেই হচ্ছে নীরদের বড় বাগানে সেদিনের পর নীর অনেক ট্রাই করলেও বিয়ে ভাঙতে পারেনি আর বনা পেরেছে নিজের মা-বাবা কে কিছু বলতে শেষপর্যন্ত একরাশ দুঃখ মনে পুষে অন্যের বয়ফ্রেন্ড বিয়ে করার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। আর পুরো পাঁচদিন পর নীর সায়ন মুখোমুখি হবে এতোদিন নীর ইচ্ছে করেই সায়নের সামনে যায়নি কারণ ইদানীং সায়নকে দেখলে নীরের মাথায় প্রচন্ড রাগ উঠে যায় ওইদিনই তো রাগের বশে কলার চেপে ধরে ছিলো তারপর রাগ কমতে নিজেই লজ্জায় পড়ে গিয়েছিলো কিন্তু তবুও একবার ও সরি বলেনি বলবে কেনো যা করেছে বেশ করেছে মনে একজন রেখে ঘরে আরেকজন রাখবে এটা কেমন কথা হুহহহ এসব ভাবনার মাঝেই নীর বাগানে এসে পৌঁছায় এক পাশে শ্রাবণী অন্য মিহি আর পেছনে দুইজন মেয়ে নীরের মাথায় ওড়না ধরে নীরকে নিয়ে স্টেজের সামনে দাঁড় করায় নীর বিরক্তিমাখা ফেসে একেকজনের কমপ্লিমেন্ট শুনে যাচ্ছে হঠাৎ বাম পাশে চোখ পড়তে নীর থমকে যায় কাঁচা হলুদ পাঞ্জাবি সাদা পাজামা পরিহিত যুবকে দেখে চুলগুলো সুন্দর করে সেট করা হাতে কালো ফিতার ওয়াচ উজ্জ্বল বর্ণের এই ছেলে সৌন্দর্যে কোনো দিক থেকে কম নয় গালের খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি আর চোখের চিকন ফ্রেমে চশমা যুবকের সৌন্দর্য আরো শতগুণ বৃদ্ধি করে দিয়েছে হঠাৎ হুশ ফিরতেই নীর দ্রুত অন্যত্র দৃষ্টি ফেলে মনে মনে নিজেই নিজেকে শ’খানেক গালি দেয় এভাবে লু’চুর মতো তাকিয়ে থাকার জন্য দূর থেকে নীর কে বিড়বিড় করতে দেখে সায়ন স্মিত হাসে।

নীরঃ নীর দরকার হলে খাট থেকে নিচে পড় দশতালা ব্লিডিং থেকে নিচে পড়ে যা তবুও এই হিটলারের প্রেমে পড়তে যাস না তাহলে তোকে অপমান করতে পিছ-পা হবে না এমন উগান্ডারের প্রেমে না পড়ে প্রেম টা মাটির নিচে চাপা দে ডেয়ার কট্রোলনেস মন প্লিজ কন্ট্রোল এই সায়ন বাসয় কায়নের প্রেমে নট এলাউ ( মনে মনে)

জানভিঃ কি হলো ওকে স্টেজে বসাও

শ্রাবনীঃ হ হুমমম

নীরকে নিয়ে সায়নের পাশে বসানো হয় নীর দু’জনের মাঝে ভারত-পাকিস্তান বডার রেখে বসে শ্রাবনী বিষয় টা খেয়াল করছে শয়তানি হেসে বলে

শ্রাবনীঃ গায়ে হলুদের আগে ছোড়দা আর বেস্টুর কয়েকটা কাপল পিক তুলে নেই নয়তো পরে বেস্টুর মেকআপ নষ্ট হয়ে যাবে

শুভঃ হ্যাঁ শ্রাবনী ঠিক বলেছে আবির ভাইয়া ক্যামেরাম্যান কোথায়

আবিরঃ দাঁড়াও আমি নিয়ে আসছি

আবির যেতে নিলে নীর বাঁধ সেধে বলে

নীরঃ আবির এসবের কি দরকার বাদ দে প্লিজ

মাহিরঃ আরে কি বলো এখনো বড়রা কেউ আসেনি এতো লজ্জা পাওয়ার কি আছে

নীরঃ কিন্তু

শ্রাবনীঃ বিয়ের কনে বিয়ের কনের মতো থাক এতো কথা বলিস কেনো ফাজিল ( ধমকে)

প্রতিত্তোরে নীর ভেংচি কাটে

আবির গিয়ে ক্যামেরা ম্যান কে নিয়ে আসে বিহান সায়নের দিকে তাকিয়ে চোখ টিপ দেয় সায়ন চোখ গরম করে বিহানের দিকে তাকায়

ক্যামেরাম্যানঃ আপনারা বর-বউ কে একা ছেড়ে এদিকে চলে আসুন ওদের ফাঁকা জায়গা দেন

শ্রাবনীঃ অবশ্যই ওদের এক করার জন্যই তো এতো আয়োজন ( হালকা চিবিয়ে)

নীর সায়নের থেকে শ্রাবনী কিছুটা দূরে থাকা ওরা দুজন বাদে বাকি সবাই শুনে নিঃশব্দে হাসে সবাই একে একে স্টেজ থেকে নেমে আসে সায়ন উঠে দাঁড়ায় নীর এখনো গালে হাত দিয়ে বসে আছে

জানভিঃ নীর উঠো সায়ন তো দাঁড়িয়ে আছে

জানভির কথায় নীর উঠে দাঁড়ায় দুজনই পাশাপাশি দাঁড়ায় তবে বেশ দূরত্ব বজায় রেখে ক্যামেরা ম্যান চেঁচিয়ে বলে

ক্যামেরাম্যানঃ কাপল পিক তুলা হচ্ছে ভাই-বোন সেড পিক নয় দুজনই মুখ সেড সেড বানিয়ে ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ বডার করে দাঁড়িয়ে আছেন

ক্যামেরাম্যানের কথায় সায়ন নীর একে অপরের দিকে তাকায় বাকি সবাই হেঁসে দেয় সায়ন কিছু টা দূরত্ব কমিয়ে নীরের কিছুটা কাছে আসে কিন্তু নীর ঠায় একজায়গায় দাঁড়িয়ে আছে শ্রাবনী বিরক্তি নিয়ে নীরকে ধাক্কা দেয় হঠাৎ ধাক্কা দেওয়ায় তাল সামলাতে না পেয়ে সায়নের উপর গিয়ে পড়ে সায়ন নীরের কোমড় জড়িয়ে নিজের সাথে চেপে ধরে নীর সায়নের কলার খামছে চোখ খিঁচে নেয় একফাঁকে সবাই নিজেদের ফোন বের করে পিক তুলে নেয় ক্যামেরা ম্যান ও পিক তুলে কোমড়ের উন্মুক্ত অংশে উষ্ণ হাতে স্পর্শে নীর কেঁপে উঠে সায়ন নীরের দিকে অপলক তাকিয়ে আছে বেশ কিছুক্ষণ পর কারোর সাড়াশব্দ না পেয়ে নীর পিটপিট করে চোখ খুলে তাকায় সম্মুখে সায়নকে দেখে নিজের অবস্থান বুঝতে পেরে নীর ছিটকে দূরে সরে যেতে নিলে কোমড়ের বাঁধন আরো গভীর হয় নীর সায়নের দিকে তাকায় সায়ন ফিসফিসিয়ে বলে

সায়নঃ এখন সরো না শ্রাবণী ফের ধাক্কা দেবে তখন আর ধরবো না

নীরঃ ধরতে হবে না ছাড়ুন সবাই দেখছে কি ভাবছে

নীরের কথায় সায়ন ভ্রু কুঁচকে বলে

সায়নঃ আমি কি তোমার ঠোঁটে কিস করছি যে লোকে কি ভাববে জাস্ট ধরেছি এতে ভাবাভাবির কি আছে এতো ডার্টি মাইন্ড না তোমার মতো সবার বুঝলে

সায়নের লাগামহীন কথা শুনে মুহুর্তে নীরের গালে লালাভ আভা ছড়িয়ে পড়ে নীর সায়নের থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নেই দ্রুত এই ছেলের সাথে কিছুক্ষণ থাকলে যে কেউ হার্ট অ্যাটাক করতে বাধ্য হবে নীরের বুকের ঢিপঢিপ শব্দ পেয়ে সায়ন স্মিত হেসে কিছুটা ভাবুক হয়ে ঠোঁট কামড়ে বলে

সায়নঃ আচ্ছা এক কাজ করি চলো

নীরঃ ক কি

সায়নঃ তোমার গালে একটা টাইট কিস করি আর ওদিকে ক্যামেরাম্যান পিক তুলুক ওয়ার্ল্ড ফেমাস কাপল পিক হবে আমাদের টা তাহলে রাইট

সায়নের কথা শুনে এবার নীরের মাথা ঘুরতে শুরু করে একটা মানুষ কতটা ঠোঁটকাটা স্বভাবের হতে পারে তাহার জলজ্যান্ত প্রমাণ এই সায়ন চৌধুরী নীর গলায় কিছুটা রাগের আভাস এনে বলে

নীরঃ একদম আজাইরা কথা বলবেন না ছাড়ুন বলছি

সায়নঃ তোমায় আজ পাগল করা সুন্দর লাগছে পিচ্চি পাখি পাগল করা সুন্দর মানে বুঝো যা দেখলে মন মস্তিষ্ক সব কন্ট্রোল হারিয়ে অবাধ্য কিছু করতে চাই

সায়নের কথায় নীর এবার অস্বস্তিতে পড়ে যায় গাল ক্রমশ গরম হয়ে আসছে কান দিয়ে গরম ধোঁয়া বের হচ্ছে চারদিকে ঠান্ডা বাতাসে কপাল দিয়ে ধড়ধড় করে ঘাম ছুটতে শুরু করে নীর আড়চোখে সায়নের দিকে তাকায় মাদকতা পূর্ণ নেত্রজোড়া দৃষ্টি নিবদ্ধ হতেই নীর দ্বিগুণ লজ্জায় পড়ে যায় নীর এটাই বুঝতে পারছে না আজ সায়নের হলো কি নীরের অবস্থা এখন এমন ছাইড়া দে মা কাইন্দা বাঁচি হঠাৎ চারদিক থেকে হাসির কলরব কর্ণে পৌছাতেই দু’জনের হুশ ফিরে সায়ন চট করে নীরের কোমড় ছেড়ে কিছু টা দূরে গিয়ে দাঁড়ায় নীর সায়নের দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে দাঁড়ায় সায়ন কিছুক্ষণ আগের কথা মনে হতেই নিজের উপর নিজে রেগে যায় কি সব বলে ফেললো সায়ন কপাল চুলকে ঘাড় ঘুরিয়ে নীরের দিকে তাকায় বেচারি লজ্জায় পুরো লাল হয়ে গেছে সায়ন নিজেকে বকতে শুরু করে রিয়া ঠাট্টার স্বরে বলে

রিয়াঃ প্রথমে কাছে আসতেই চাইছিলো না আর পরে এসে ছাড়ার নামই নেই

জানভিঃ আরে ডেয়ার ধরা-ধরি চোখা-চোখি কাল রাতে অনেক টাইম পাবি কথা বলার এতোক্ষণ কি ফুসুরফাসুর করছিলি যার জন্য বেচারীর মুখ এমন লজ্জায় লাল হয়ে আছে

মাহিরঃ ভাই যায় বলেন পিকগুলা একেক টা সেই হয়েছে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রেখে দিলাম

রিয়াঃ আরে থাম তোরা এদিকে বেচারী লজ্জায় ঘেমে যাচ্ছে

জানভিঃ সামান্য এতোটুকুতেই এতো লজ্জা বাসর ঘরে তো মনে হয় লজ্জার জন্য ছুঁতেই দেবে

সবার এমন লাগামহীন কথা শুনে নীর এবার বিপাকে পড়ে যায় না পারছে সরতে না পারছে এই ঠোঁটকাটা স্বভাবের মানুষদের সামনে থাকতে সায়ন সবাই কে কিছুটা ধমকে বলে

সায়নঃ চুপ করবি তোরা পিক তোলা শেষ এখন অনুষ্ঠান শুরু কর রাত হচ্ছে

সায়নের ধমকে আর নীরের অবস্থা বুঝতে পেরে সবাই চুপ হয়ে যায় অতঃপর অনুষ্ঠান শুরু হয়

হলুদের অনুষ্ঠান শেষে ঢুলুঢুলু পায়ে রুমে প্রবেশ করে নীর সারাদিনের ক্লান্তিতে পা আর চলছে না নীর কোনোরকমে ভেতরে গিয়ে ছিকনি আটকে পড়নের সব নিয়েই ওয়াশরুমে গিয়ে সাওয়ার ছেড়ে ধপ করে বসে পড়ে উপর থেকে টুপ টুপ করে পানি গড়িয়ে পড়ে নীর পুরো ভিজে যায় সাওয়ারের পানি মুখের হলুদ মেকআপ সব উঠে পানি দিয়ে ধুয়ে যাচ্ছে। প্রায় দুই ঘন্টা পর সাওয়ার ছেড়ে নীল থ্রি-পিচ কালো জিন্স পড়ে চুল মুছতে মুছতে বের হয় রুমে এসমাথার তাওয়াল বেডে ছুঁড়ে ড্রেসিং টেবিলের সব জিনিস একে একে গুছিয়ে সাজিয়ে পেছন ফিরতেই ভূত দেখার মতো চমকে যায় নীর ভয়ে দু পা পিছাতেই পেছনের টেবিলের সাজানো সরঞ্জাম এলোমেলো হয়ে গড়িয়ে পড়ে নীর কাঁপা কাঁপা গলায় বলে

নীরঃ আ আপনি এ এখানে কক কি করেছেন

নীরের কথায় সায়ন নীরের দিকে কিছুটা এগিয়ে আসে অতঃপর জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে আমতা আমতা করে বলে

সায়নঃ ন নীর আম রিয়েলি সরি আসলে ত তখন আমি ওইসব তোমাকে বলতে চাইনি আমি আমার গার্লফ্রেন্ড কে বউ ভেবে বলেছি বাট তুমি কোথা থেকে চলে এলে আমি বুঝতে পারিনি তখন আমার কি হয়ে গিয়েছিলো আমি সত্যিই সরি

সায়নের কথা শুনে নীর একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে শান্ত স্বরে বলে

নীরঃ ইট’স ওকে যান আপনি এবার কেউ দেখে ফেলবে

সায়নঃ আচ্ছা আসছি

নীর পেছন ফিরে আবার ড্রেসিংটেবিল গুছাতে শুরু করে সায়ন নীরের দিকে কিছু তাকিয়ে থেকে আবার চলে যায় ঘরে একা নিজের অস্তিত্ব টের পেতেই নীরের ঠোঁটের কোণে তাচ্ছিল্যের হাসি ফুটে ওঠে।

__________________________

অবশেষে বহু সময় পেরিয়ে দুজন মানব-মানবী বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হলো গড়ে উঠলো আরেকটা জীবন কবুল বলার সঙ্গে সঙ্গে নীরের চোখ থেকে কয়েক ফোটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ে নিজেকে কেমন ভিলেন ভিলেন মনে হচ্ছে প্রথমে শুভ&রাহার মাঝখানে এসেছিলো এখন সায়ন আর ওর গার্লফ্রেন্ডের মাঝখানে যদিও নীর ভালোবাসায় বিশ্বাসী না তবুও নীর কখনো চাইনি ওর লাইফে এমন কেউ আসুক যে অন্য নারীতে আসক্ত থাকবে কিন্তু সবাই কি সব চাইলে পাই কি চাওয়া অপূর্ণই থেকে যায় যেমন টা নীরের ক্ষেত্রে হলো। নীর সন্তপর্ণে চোখের পানি মুছে নিলো আজ থেকে শুরু হলো ওর আরেক জীবন না জানি কি অপেক্ষা করছে সেই জীবনে

বিয়ে শেষে বর – কনে সহ সব ছোট-বড় ফ্রেন্ড সার্কেল কাজিন মহল খেতে বসে বর-বউ লে একসাথে বসানো হয়েছে সবাই খাচ্ছে সায়ন সবার দিকে একবার চোখ বুলিয়ে নীরের দিকে কিছুটা ঝুঁকে ভিলেনি ভাব নিয়ে বলে

সায়নঃ ওয়েলকাম টু মাই লাইফ মিসেস সায়ন চৌধুরী

নীরঃ হুহহ

সায়নঃ বাই দ্যা ওয়ে রেডি থাকো নতুন জীবনের জন্য তোমাকে পুড়াতে না আমার বড্ড ভালো লাগে তুমি যখন আমার উপর রেগে যাও তখন জানো মনে মনে পৈশাচিক আনন্দ পাই বাট হুয়াই তুমি তো আমার এই জন্মে শত্রু ছিলেনা বোধহয় আগের জন্মের ছিলে আম রাইট

নীরঃ এক্সকিউজ মি মিস্টার চৌধুরী আমি না তেমন স্বামী বাধ্য বউ না যে স্বামীর শত অবহেলা অপমান সহ্য করে মুখে কুলুপ এঁটে রাখবো আমাকে যা বলবেন বা করবেন তা হ্যান্ডওভার হবে বুঝলেন পরাণের সোয়ামীইইইইইইইই

নীরেরর কথায় সায়নের বিষম খেয়ে যায় নীরের ঠোঁটের কোণে পৈশাচিক হাসি ফুটে ওঠে

চলবে,,,,,,