Marriage With Benefits 2 Part-01

0
3617

#Marriage_With_Benefits_2
#Part_1
Writer::Sanjida Nahar Shaanj
.
.
মানুষ প্রকতির নিয়মে চলতে বাধ্য।সে যতই ক্ষমতার অধিকারী হোক না কেনো প্রকৃতি তাকে তার নিজের নিয়মেই চালাবে।আমিও তো সাধারণ মানুষ প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী চলা আমারও বাধ্যতা মূলক।তাই তো ছয় বছর আগের ঘটে যাওয়া সব স্মৃতি গুলো ভুলে এখনও এক আফছায়া জীবন নিয়ে বয়ে চলেছি।ছয় বছর আগে প্রথম চোখ খুলতেই আমি নিজেকে কানাডার এক হপিতালের বিছানায় আবিষ্কার করলাম।কিন্তু এর আগে আমার জীবনে কি ঘটেছে আমার তার কিছুই মনে নেই।যতই মনে করার চেষ্টা করি মাথাটা প্রচন্ড ব্যাথা করতে শুরু করে যেনো ফেটে যায়।এই যন্ত্রণার কাছে হার মেনে নিজের আগের জীবনের ঘটনা মনে করার বৃথা চেষ্টা আমি ছেড়ে দিয়েছি। আশেপাশে সবার বলা কথা গুলোকেই নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা মেনে নিয়েছি।আমি আবনী খান।জিসান খান আর কলি খানের একমাত্র মেয়ে।এইটুকু জ্ঞান ফিরার পর আমাকে বলা হয়েছে।
ছয় বছর আগে একটা কার অ্যাকসিডেন্টে নিজের সব স্মৃতি হারিয়ে ফেলেছি।বাবা মার থেকে জানতে পারি জন্ম থেকেই নাকি আমরা এখানে থাকি।গাড়ি চালাতে গিয়ে অ্যাকসিডেন্ট করে বসি।যদিও তাদের কথা বিশ্বাস করা ছাড়া আমার আর কোনো উপায় নেই কারণ তখন আমি কিছুই মনে করতে পারছিলাম না।মনে করতে নিলেই অসুস্থ হয়ে যেতাম।কিন্তু কোথাও যেনো মনের এক কোণে এইটুকু জানতাম যে আমি জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান কিছু হারিয়ে ফেলেছি।খুব কাছের মানুষকে ভুলে গিয়েছি।কিন্তু শত চেষ্টা করেও সেই প্রিয় মানুষকে মনে করতে পারছি না।যখনই মনে করতে যাই চোখে পানি চলে আসে,,খুব কান্না পায়।কাউকে জড়িয়ে ধরে কাদতে ইচ্ছে করে।এখনও সেই কথা ভাবতে চোখে জল গড়িয়ে পড়ছে।আমি আমার জীবনের ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলো ভাবছি তখনই কেউ একজন দরজায় নক করল
আবনী ম্যাম।koli maam is calling you।(আবনীর অ্যাসিসট্যান্ট জুলি)

Why is ma calling me now?did something happen?(আমি চিন্তিত হয়ে)

I don’t know,,she asked me to tell you to come in their cabin।(জুলি)

Ok।you can go now(আমি অন্যমনস্ক হয়ে)

Ok ma’am have a nice day।

You too।(আমি মুচকি হেসে)

কি হলো মা এখন আমাকে ডাক দিলো কেনো?একটু আগেই তো আমি উনার সাথে গাড়ি দিয়ে আসলাম।তখন তো সব ঠিক ছিলো।হটাৎ কি এমন হয়ে গেলো আসতে না আসতেই ডাক পড়লো।(আমি চিন্তিত হয়ে)

আমি আর বাবা মিলেই আমার পরিবারের ব্যবসা সামলাই।মাঝে মধ্যে মা একটু একটু সাহায্য করে।আজও উনি এসেছিলো একটা মিটিংয়ের জন্য।একটু পরেই মিটিং মা আর বাবা তাদের কেবিনে প্রস্তুতি নিচ্ছিলো আর আমি আমার কেবিনে কিন্তু হটাৎ না জানি কি হলো?এইভাবে ডাকার তো কোনো কারণই খুঁজে পাচ্ছি না।দূর এইভাবে চিন্তা করলে চলবে না।আমি বরং গিয়েই দেখি।


মা বাবার কেবিনে
মা আসতে পারি?(আমি)

হুম।আয় আয়।(কলি কান্না করতে করতে)

কি হলো?জুলি বললো তুমি নাকি ডেকেছো?তুমি কান্না করছো কেনো? প্রজেক্টে কি কোনো সমস্যা হয়েছে?আমি তো খুব মনোযোগ দিয়ে করেছি।তবুও কোনো সমস্যা থাকলে বলো আমি এক্ষুনি ঠিক করে দিচ্ছি।এই জন্য বুঝি কান্না করতে হবে।(আমি মার কাছে গিয়ে উনাকে শান্ত করার চেষ্টা করছি)

আরে না না।প্রজেক্টে কোনো সমস্যা নেই (কলি কাদতে কাদতে)

প্রজেক্টের কোনো সমস্যা নেই!তাহলে কি সমস্যা?আর তুমি কান্না থামাও আগে।তোমার শরীর খারাপ করবে।কি হয়েছে বলো আমাকে?(আমি জানার জন্য কৌতূহলী হয়ে)

তোর বাবার,,,
বলেই কলি থেমে গেল।

বাবার?
বলেই আমি বাবার দিকে তাকালাম।দেখি বাবা চেয়ারে বসে চোখের জল ফেলছে আর জয় দাড়িয়ে বাবাকে শান্ত করার চেষ্টা করছে।

কি হলো?বাবাও কাদঁছে?? কেনো?আর জয় তুমি এখানে কি করছো?তুমি কোনো ভাবে বাবাকে কাদিয়েছ?(আমি জয়ের উপর রাগ করে)

এই মেয়ে চুপ।আগে শুনবি তো কি হয়েছে?তোর দাদু মারা গেছে আজ সকালে।তোর ফুপি ফোন দিয়ে বললো।(কলি চোখের পানি মুছে)

দাদু,,,?(আমি অবাক হয়ে)

ও হ্যা তোর তো কিছুই মনে নেই।তোর বাবার বাবা মানে আমার শ্বশুর উনি আজ মারা গেছে।তাই আমরা আজই বাংলাদেশে যাবো।তোর বাবাই উনার এক মাত্র ছেলে।(কলি)

তাহলে এখানে বসে আছো কেনো?চলো যাই।আমি এক্ষুনি জুলিকে বলছি তিনটা টিকেট কনফার্ম করতে।
বলেই আমি যেতে নিবো তখনই মা আমার হাতে ধরে বললো
তিনটা টিকেট মানে?

মানে আমিও যাবো তোমাদের সাথে।আমি তো কখনও দাদুকে দেখি নি।আমি কি আমার আমার দাদুকে শেষ দেখাও দেখবনা??।তাছাড়া আমি তো কখনো বাংলাদেশও দেখিনি।আর যদিও দেখে থাকি তা আমার মনে নেই।তাই আমিও যাবো তোমাদের সাথে।(আমি)

তুমি কোথাও যাবে না।আমি আর তোমার বাবা যাবো।তুমি প্রজেক্ট দেখবে।আর কিছুদিন পরেই জয় আর তোমার বিয়ে।(কলি কড়া করে)

মা।আমার দাদু মারা গেছে আর তুমি প্রজেক্টের চিন্তা করছো?আর এইখানে আমার আর জয়ের বিয়ে আসলো কোথা থেকে?জয় তুমিই মাকে বুঝাও (আমি জয়কে উদ্দেশ্য করে)

মা,, আবনি কিন্তু ভুল কিছু বলেনি।(জয়)

জয় প্লিজ তুমি ওর পক্ষ নিয়ে কথা বলো না।আর বললেও আমি শুনবো না।আর তুমি(আমি) আমি আর তোমার বাবা বাংলাদেশ যাচ্ছি।তোমার বাবার অ্যাসিস্টেন্ট আমাদের টিকেট কনফার্ম করে দিয়েছে।আর তোমার ফুপি আর ফুফাও আমাদের সাথে যাবে।আর তুমি ভুলেও আমাদের পিছু পিছু আসার চেষ্টা করবে না বলে দিলাম।তুমি এখানে থেকে ব্যবসা দেখবে যতক্ষণ না পর্যন্ত আমি আর তোমার বাবা আসছি।কথাটা যেনো মনে থাকে আবনী।
বলেই মা বাবাকে নিয়ে হনহনিয়ে বেরিয়ে গেলো।আমাকে বাবার সাথে কথা বলার সুযোগও দিলো না।জানি না যখনই দেশে যাওয়ার কথা বলি মা ক্ষেপে যায় কেনো?কি হয় মার দেশের নাম শুনলে নাকি আমার দেশে যাওয়ার নাম শুনলে?আমি রাগে গজগজ করতে করতে নিজের কেবিনে চলে গেলাম।


কেবিনে চেয়ারে বসে আছি।রাগে মাথা ফেটে যাচ্ছে।আমি তাদের সাথে গেলে কি হতো?দূর।ব্যবসা? ব্যবসা যেনো থমকে যাবে আমি না চালালে!আমি দাদুকে শেষ দেখাও দেখতে পারলাম না।আমি জানিও না উনি দেখতে কেমন ছিলো?উনার সাথে আমার সম্পর্ক কেমন ছিল? আমার তো কিছুই মনে নেই।কিন্তু আমার মা,,,দেশে সবাই মরে যাক তবুও আমি দেশে যেতে পারবো না।এইটা কি কোনো কথা?এই কথা কোনো যুক্তিই খুঁজে পেলাম না আমি।

জুলি? জুলি?(আমি রাগে চিৎকার করে)

ইয়েস ম্যাম।(জুলি ভয়ে ভয়ে)

আমার জন্য কফি নিয়ে আসো।আর আজ যা মিটিং আছে সব ক্যান্সেল করে দাও।(আমি দাত চেপে চেপে)

জুলি আমার বাংলা কথা কিছুই বুঝলো না।বেকলের মত দাড়িয়ে আছে।তা দেখে আরো মেজাজ গরম হয়ে যাচ্ছে।নিজের দেশের ভাষা মন খুলে বলতেও পারি না।আর বললেও কেউ বুঝেও না।আমি জুলিকে আরো কিছু বলতে যাবো তখনই জয় রুমে ঢুকলো।

You can leave।(জয় জুলিকে উদ্দেশ্য করে)

আমি চুপ করে কাগজ পত্রে মুখ গুঁজে দিলাম।

কি হলো?অ্যাসিস্টেন্ট এর উপর চিৎকার করলে কি কোনো লাভ হবে?(জয় এসে আমার গালে হাত রেখে)

জয়।মা কেনো আমাকে বাংলাদেশে যেতে দেয় না?(আমি মনমরা হয়ে কাগজ গুলো সাইডে রেখে জয়ের দিকে তাকিয়ে)

আমি কি করে বলবো তোমায় আসল সত্যিটা?বাংলাদেশে যে কিছু মানুষ তোমার অপেক্ষায় আছে।এইটা জানা সত্বেও যে তুমি নেই।কিন্তু তুমি যদি বাংলাদেশে যাও আমি তোমাকে হারিয়ে ফেলবো।তাই নিজের স্বার্থে তোমাকে বাংলাদেশে যেতে দিচ্ছি না।আমি যে তোমাকে হারাতে চাই না আবনী।(জয় আবনির দিকে তাকিয়ে গভীর ভাবে তাকিয়ে)

ওই আমি জানি তুমি আমাকে ভালোবাসো।কিন্তু এই জন্য এতো গভীর ভাবে তাকিয়ে থাকতে হবে না।এখন বলো তুমি কি জানো মা আমাকে কেনো যেতে দেয় না।(আমি ভ্রু কুঁচকে)

আমি কি করে জানবো?ওইটা তো তোমার মাই জানে ভালো।(জয় জোরপূর্বক হাসি দিয়ে সোফায় বসল)

আমি ওর হাসির কারণ খুঁজে পেলাম না।তাই আমি লেপটপে নিজের কাজ করতে লাগলাম।

আবনি।শুনো(জয় সোফা থেকে দাড়িয়ে)

হুম?(আমি লেপটপ টিপতে টিপতে)

আমিও আজ একটা সেমিনারের জন্য লন্ডন যাবো।কয়েকদিন সেখানে থাকতে হবে।(জয় আমার চেয়ারের পাশে দাড়িয়ে)

তো যাও না।আমি কি ধরে রাখছি তোমাকে?(আমি মনোযোগ দিয়ে লেপটপে কাজ করছি)

জয় লেপটপ বন্ধ করে আমার চেয়ারটা নিজের দিকে ঘুরিয়ে আমার দিকে ঝুঁকে
আবনী?আমি তোমাকে অনেক মিস করবো!তুমি আমাকে মিস করবে?(জয় আমার চোখে চোখ রেখে)

অবশ্যই।আমি কেনো মিস করবো না তোমাকে।কিছু দিন পরেই আমাদের বিয়ে।(আমি অন্যদিকে চোখ ফিরিয়ে মুখে শুকনো হাসি দিয়ে)

তাই?
বলেই জয় আমার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো তখনই আমি মুখ অন্য দিকে ঘুরিয়ে নিলাম।

পরেই জয় আমার মাথায় হাত বুলিয়ে
ভালো করে থেকো। I love you…
বলেই চলে গেলো।

আমি জয়ের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলাম।
যখন হসপিটালে জ্ঞান ফিরে তখন সবাই বলে আমি আর জয় নাকি একে অপরকে ভালোবাসতাম।কিন্তু ওকে দেখলে আমার সেই অনুভূতি আসে না।কেনো জানি মনে হয় ও সেই মানুষ না যাকে আমি ভালোবাসি বা ভালোবাসতাম।ওকে আমি আমার খুব ভালো বন্ধু হিসেবে দেখি।ভালোবাসার মানুষ তো আমার অন্য কেউ।কিন্তু কে?তা আমার কাছে ধোঁয়াশা?তবুও তার কথা ভাবতেই বুকটা কেঁপে উঠে।কিছু দিন পরেই আমার আর জয়ের বিয়ে।কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমি বুঝে উঠতে পারছি না যে আমি জয়কে কি সত্যি ভালোবাসি? ও খুব ভালো একজন মানুষ।সব মেয়েই চাইবে এমন একজন যাতে তাদের স্বামী হয়।কিন্তু আমার মন কেনো জানি ওকে স্বামীর জায়গায় বসাতে পারছে না।আমার জয়ের সাথে এই ব্যাপারে কথা বলতে হবে।কিছুতেই আমি ওকে বিয়ে করতে পারবো না।যতক্ষণ পর্যন্ত আমার মনে এই সংশয় রয়েছে।এই সংশয় নিয়ে বিয়ে করলে আমরা কেউই সুখে থাকতে পারবো না।
আমি গভীর ভাবে চিন্তা করছি তখনই কেউ আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলো।
অবু।আজ আমি অনেক খুশি আমার হিটলার ভাই এখন দেশের বাইরে।(ছায়া)

ছায়া।ছাড় কতো দিন বলবো।এইভাবে হুটহাট আমার কেবিনে ঢুকবি না।আর জয় যদি জানে তুই ওকে হিটলার বলছিস তাহলে এখন তো 16 ঘণ্টার বদলে 24 ঘণ্টা তোকে পড়াতে বসিয়ে রাখবে তুই জানিস!(আমি)

দূর।ছাড়ো তো।আমার ভালো লাগছে না।ওই হাদা রাম ভাইয়ের কথা বাদ দাও।আসল কথায় আসি।আমি কয়েকদিন তোমার সাথে থাকবো।কি মজা তাই না?(ছায়া এক্সসাইটেড হয়ে)

ভুলেও মজা না এইটা সাজা।ফুপি আর ফুফা কোথায়?(আমি ভ্রু কুঁচকে)

দেখো।মা বাবা নানু মারা গেছে বলে দেশে চলে গেছে।তুমি ভুলে গেছো?মামা আর মামীও তো তাদের সাথেই যাবে।জয় ভাইয়া সেমিনারে গেছে।আমি বাসায় একা একটা মেয়ে থাকবো?তোমার টেনশন হবে না?আমি তোমার একমাত্র ফুফাতো বোন আবার হবু বরের একমাত্র বোন আর তোমার একমাত্র ননদিনী!আমি তোমার এতো কিছু হই,,তুমি তো চিন্তা করবেই তাই আমি নিজে থেকে চলে এসেছি।তোমার সাথে থাকবো বলে।(ছায়া কিউট ফেস করে)

আমি একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেললাম এই নিয়ে আমার আর কোনো কথা নেই।এই মেয়ের সাথে কথায় পারা অসম্ভব

ছায়া জয়ের ছোটো বোন।আইন নিয়ে লিখা পড়া করছে।ছোটো বেলা থেকেই ইচ্ছে আইনজীবী হবে।অবশ্য ওর টালেন্ট আছে।যেকোনো কাজ নিজের কিউট ফেস দেখিয়ে করে নিতে পারে।আর তর্কে একে হারানো অনেক কষ্ট।এখন আমাকেও ফাঁসিয়ে দিলো।

এখন।চলো এখন যেহেতু আমরা দুজন সেহেতু আমরা অনেক মজা করবো। girls day out (বলেই চিৎকার দিয়ে উঠলো ছায়া)

ওরে।আস্তে আমার এখনও অনেক কাজ আছে।এখন না পরে যা তো বিরক্ত করবি না।(আমি)

ভুলেও না।চলো চলো।
বলেই আমাকে কেবিন থেকে আমাকেই ধরে নিয়ে চলে গেলো।


কিছুদিন পর
রাতে ঘুমানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।এখন আমি আর ছায়া এক রুমেই ঘুমাই
আবু?(ছায়া বিছানায় শুয়ে ফোন টিপতে টিপতে)

হুম?(আমি আয়নার দিকে তাকিয়ে চুল আচড়াচ্ছি)

মামা(জিসান) নাকি অসুস্থ।(ছায়া)

মানে?বাবা অসুস্থ তোকে কে বললো?(আমি ছায়ার দিকে ফিরে)

বাবা বললো।আর বললো তোমাকে যেনো না বলি।বললে নাকি তুমি দেশে চলে যাবে।তাই কলি মামি না করেছে তোমাকে জানতে।কিন্তু আমি মনে হলো তোমার জানা দরকার।তাই বলে দিলাম।(ছায়া বিছানায় আসন করে বসে)

অতিরিক্ত করছে মা।বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েছে আর মা আমাকে জানানোর প্রয়োজন মনে করলো না।আর তাও কেনো? যাতে আমি দেশে না যাই!এইবার তো আমি দেশে গিয়েই দম দিবো।দেখি দেশে কি এমন আছে আমার জন্য যার জন্য মা আমাকে যেতে দিতে চাইছে না।(আমি মনস্থির করলাম)

আবু।আমি,,, আমাকেও নিয়ে যাবা।(ছায়া হাত তুলে)

এক শর্তে নিয়ে যাবো।আমরা যে যাচ্ছি কাউকে বলতে পারবি না।(আমি আড় চোখে তাকিয়ে)

ঠিক আছে আমি কাউকে বলবো না।এখন নিয়ে যাবা।(ছায়া ঠোঁট উল্টে)

ঠিক আছে।ঠিক আছে।আর নেকামি করতে হবে না।(আমি ভ্রু কুঁচকে)

ইয়েস। আবু কতো ভালো।
বলেই ছায়া আমাকে জড়িয়ে ধরলো।

আমিও মুচকি হাসি দিলাম।
বাংলাদেশ আমি আসছি।(বলেই দুষ্টু হাসি দিলাম)


চলবে,,,,
এইটা Marriage with benefits (season 1) এর সাথেই সম্পর্কিত।season 1 এর কমেন্ট পড়ার সাহসই আমার হয় নাই।সবাই এতো রেগে গেছেন কি বলবো? রীতিমত বকা,,ধামকি,,অভিমান সবই😖।আমি ভাবছিলাম সিজন 2 এক সপ্তাহ পর শুরু করবো।কিন্তু তা আর পারলাম না।তাই আজকেই শুরু করে দিলাম।আরেকটা কথা লাস্ট পার্ট এ পাচঁ বছর ছিলো।আর আমি এইটায় ছয় বছর ইচ্ছে করেই দিয়েছি।এইটা ছয় বছর পরের ঘটনাই। প্লিজ কনফিউজ হবেন না।