Marriage With Benefits 2 Part-03

0
3059

#Marriage_With_Benefits_2
#Part_3
Writer::Sanjida Nahar Shaanj
.
.
গাড়িতে
পিছন ছিটে
আয়ুশ মুখ ফুলে বসে আছে।দেখেই বুঝা যাচ্ছে খুব রেগে আছে।যাকে পাবে তাকেই ধুয়ে দিবে।আয়ুশ রাগ করে গাড়ির এক পাশে বসে আছে ওপর পাশে বসে আছে আরাভ।ওর মুখেও রাগ স্পষ্ট।দেখেই বুঝা যাচ্ছে ওকে কেউ ধুয়ে দিয়েছে।
আয়ুশ আর আরাভ মুখে রাগ নিয়ে দুজন দুদিকে তাকিয়ে আছে।মাঝখানে বসে আছে আরাভি।
ড্রাইভারের পাশের ছিটে বসে আছে আরিফ।আরিফ ওদের তিনজনকে নিতে আসছে।গাড়ি আপন বেগে চলছে।কিন্তু এই নিরবতা আরাভীর ভালো লাগলো না।তাই ও নিজেই নিরবতা ভেঙ্গে প্রশ্ন করলো
আচ্ছা।আরিফ আঙ্কেল।আজ কি হয়েছে?দুই চৌধূরী মহাশয় মুখ ফুলে বসে আছে কেনো?একজন ঐদিকে একজন এদিকে।(আরাভি টিটকারি করে)

আরিফ পিছন দিকে ফিরে
কি বলবো মা!মনে হয় তোমার চাচু চাচী পেয়েছে কিন্তু সেই চাচী তোমার চাচুকে চুনা লাগিয়ে চলে গেছে!
বলেই আরিফ সামনে দিকে তাকালো।কারণ এখন আয়ুশ এখন খুব রেগে আছে।
তবে এই কথা শুনে আরাভ আর আরাভি দুজনেই খুব হাসলো।

আরিফ।তোমার খুব সাহস বেড়ে গেছে না।দাড়াও।দেখাচ্ছি।ড্রাইভার গাড়ি থামাও।আর এই আরিফের বাচ্চাকে ধাক্কা দিয়ে গাড়ি থেকে ফেকে দাও।(আরিফ প্রচন্ড রেগে)

আরাভি আয়ুশকে শান্ত করে বললো
চাচু।ছাড়ো না।তুমি তো জানোই আরিফ আঙ্কেল কেমন?উনি একটু মজাই তো করছে।

আজ মার কারণে বেচেঁ গেলি আরিফ।(আয়ুশ দাত চেপে চেপে)

সব সময়ই বেচেঁ যাই।তা আর নতুন কি?(আরিফ বিড়বিড় করে)

কিছু বললি?(আয়ুশ ভ্রু কুঁচকে)

না।(আরিফ হকচকিয়ে)

আরিফ আঙ্কেলকে ছাড়ো।এখন তুমি বলো।হল রুমে গেলে হোয়াইট কালার ড্রেস পরে।কিন্তু বের হলে অফ হোয়াইট কালার ড্রেস পরে।কেনো?(আরাভী কৌতূহল নিয়ে)

এইরে এই ছোটো আস্থা আবার গোয়েন্দাগিরি করতে শুরু করলো।এখন যদি এদের আসল ঘটনা বলি তাহলে আরিফ সহ এরা আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করবে।(আয়ুশ মনে মনে)

কি হয়েছে চাচু বলো?আরাভি কি জিজ্ঞেস করছে?আমারও একই প্রশ্ন।তুমি ড্রেস কেনো চেঞ্জ করলে।(আরাভও এখন খেয়াল করে বোনের সাথে তাল মিলাতে শুরু করলো)

পিচ্ছি আভি।আগে তুই বল তুই কেনো মুখ গোমড়া করে ছিলি।(আয়ুশ কথা ঘুরানোর চেষ্টা করে)

ও ওই।ও (আরাভ তুতলিয়ে)

কি ও ওই শুরু করলি ভাই বল না কি হয়েছে?(আরাভি সন্দেহর দৃষ্টিতে)

হোটেলের খাবার খুব খারাপ ছিলো।আমি আর কখনও যাবো আর ওই হোটেলে।(আরাভ কোনমতে কথা ঘুরিয়ে)

হোটেলের সার্ভিসও খুব খারাপ আমিও আর কোনো দিন ওই হোটেলে কিছু আয়োজন করবো না।(আয়ুশও মুখ ফুলিয়ে)

তোমাদের স্বভাবেই বলে দিতে পারবে তোমার যে চাচা ভাতিজা।(আরাভি দীর্ঘ শ্বাস ফেলে)

অন্যদিকে আরিফ ওদের তিন জনের কান্ড কারখানা দেখে হাসতে হাসতে শেষ।এইভাবে যদি মজা নিয়ে ওরা বাড়ির দিকে রওনা দিলো।


অন্যদিকে
আমি ফ্রেশ হয়ে বেলকনিতে দাড়িয়ে দাড়িয়ে আকাশ দেখছি।যেনো এই আকাশ আমার খুব পরিচিত।তবে অনেক দিন যেনো দেখা হয় না।তাই আজ ইচ্ছে করছে প্রাণ ভরে দেখতে।রাতের খাবার সেরে এসেছি।এখন আর বাহিরে যাবো না।তাই এক মনে আকাশ দেখছি।আজ আকাশ অনেক পরিস্কার তবে চাঁদ নেই।কিন্তু পুরো আকাশ তারায় ভরা।কি সুন্দর লাগছে! চাঁদ ছাড়া আকাশও খুব সুন্দর।মন চায় শুধু দেখতেই থাকি।অবশেষে বাচ্চাদের মত তারা গুনার বৃথা চেষ্টা করছি।আর নিজের কান্ড কারখানা দেখে নিজেই হাসছি।

রুমে শুয়ে শুয়ে ছায়া ফোন টিপছে।তখনই জোরে চিৎকার করে আমাকে ডাক দিলো
আবু।(ছায়া)

আমি দৌড়ে ওর কাছে গিয়ে
কি হয়েছে?এইভেবে কেনো চিৎকার দিলি।(আমি ভয় পেয়ে)

এমনি।তোমাকে তাড়াতাড়ি আনতে।(বলেই হিহি করে হেসে দিলো ছায়া)

ছায়া
বলেই কান মলা দিয়ে দিলাম।

আহহ।ছাড়ো লাগছে। শুনো আগে কেনো তোমাকে ডাকছি।(ছায়া নেকা কান্না করে)

কেনো?(আমি ওর কান ছেড়ে)

কালকে মামুরা,,আম্মু আব্বু সবাই কি এক আভি চৌধুরীর বাসায় যাবে।সেখানে একটা পার্টি আছে।(ছায়া ফোন ঘাটতে ঘাটতে)

আভি,,?নামটা অনেক পরিচিত লাগছে।কেনো?খুব পরিচিত লাগছে।আমি কোথায় শুনেছি এই নাম।কেনো আমার এতো কষ্ট হচ্ছে এই নামটা শুনে?যেনো এই নামটা আমার অনেক আপন।আমার খুব কান্না পাচ্ছে।এই নাম শুনে।মনে হচ্ছে ভুলে যাওয়া স্মৃতিতে এই নাম আমার খুব কাছের।কি আছে এই নামে?কি হয় এই নাম আমার!
এইসব ভাবতে ভাবতে কখন যে আমার চোখ দিয়ে অঝরে জল পড়লে লাগলো আমিও টেরই পেলাম না।

আবু।শুনো।
বলেই ছায়া আমার দিকে তাকাতেই দেখলো আমি কাদছি।

আবু।কি হলো মামুর কথা মনে পড়ছে?থাক কান্না করো না।কালকেই যেইভাবে হোক।আমরা গিয়ে মামুর সাথে দেখা করে আসবো।
বলেই ছায়া আমার মাথায় হাত বুলাতে লাগলো।
আমি ওমনি গিয়ে ছায়াকে জড়িয়ে ধরে কাদতে শুরু করলাম।কেনো জানি খুব কাদতে ইচ্ছে করছে।
ছায়া।আমার খুব কষ্ট হচ্ছে।আমার ভালো লাগছে না।ছয় বছর আগের কোনো স্মৃতি আমার নেই।কিন্তু ওই স্মৃতি গুলো আমাকে তাড়া করে বেড়ায়।কিছু জিনিস এতো আপন লাগে।কিছু মানুষ এতো আপন লাগে যখন তাদের মনে করতে পারি না তখন খুব কষ্ট হয়।আর নিজের অনুভব করা কিছুর সাথেই আমার কোনো স্মৃতিই মিলছে না।যখন স্মৃতি হারিয়ে যাওয়ার পর মা বাবা আমাকে সব বললো।তখন আমি সব বিশ্বাস করলেও তখন তাতে কোনো অনুভূতি ছিলো না।কিন্তু এখন এই অপরিচিত জায়গা থেকে যা আমি অনুভূব করতে পাচ্ছি তা আমাকে বারবার কিছু মনে করিয়ে দিতে চাইছে।কিন্তু আমি মনে করতে পড়ছি না।মনে করতে পারছি না আমার সেই আপন মানুষটাকে যাকে আমি হয়তো ভালোবাসি।শুধু তার অনুভূতি গুলো আমাকে হাতছানি দিয়ে যাচ্ছে আর আমি তা কিছুই ধরতে পারছি না।ছায়া কেনো হচ্ছে আমার সাথে এইসব।কেনো ছায়া? কেনো আমার এমন কষ্ট হয়?
আমি কান্না করতে থাকি।ছায়া নিশ্চুপ হয়ে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।


কিছুক্ষণ পরে শান্ত হয়ে চোখে মুখে পানি দিয়ে বসে আছি।ছায়া বাহিরে থেকে একটা কফি নিয়ে এসেছে।কফিতে চুমুক দিচ্ছি।

আবু।এখন কি করবা?(ছায়া বসে)

তুই কি করে জানলি যে বাবারা সবাই ওই পার্টিতে যাবে।(আমি কফিতে চুমুক দিতে দিতে)

ডিজিটাল যুগ। মামুর ফেস বুক স্টেটাস দেখেই বুঝতে পারছি।(ছায়া ভাব নিয়ে)

হাহ!😒।(আমি)

দূর সেটা ছাড়ো এখন বল।তুমি কি করবে?(ছায়া)

কি করবো আবার?যাবো গিয়ে বাবাকে দেখে আসবো।কিন্তু সমস্যা হচ্ছে।গেলে তো মা চিনে ফেলবে।(আমি)

তাও ঠিক।তোমার মা যেই হিটলার টাইপের।দেখতে শুকনো মরিচ লাগবে।(ছায়া হতাশ হয়ে)

ছায়া।আমার মা কিন্তু।(আমি ভ্রু কুঁচকে)

ছাড়ো তো।আসল কথায় আছো।যাবে কি করে?(ছায়া)

তুই পার্টির খোজ নিয়ে দেখতো।(আমি)

ওকে।


কিছুক্ষণ পর
দেখো।ওই বাড়িতে টাইড সিকিউরিটি।সো ইনভিটেশন কার্ড ছাড়া ভুলেও ঢুকা যাবে না।(ছায়া)

কিন্তু আমাদের কাছে তো ইনভিটেশন কার্ড নেই!(আমি)

ওয়াও।এতো ক্ষন বসে তুমি এইটা বের করছো যে আমাদের ইনভিটেশন নেই!😒আমিও জানি যে আমাদের ইনভিটেশন নেই।এখন কি করে ইনভিটেশন ছাড়া যাওয়া যায় তা বলো।(ছায়া)

নেকামি।একটা উপায় আছে। ওয়েট্রেস সেজে।(আমি)

আবার ওয়েট্রেস?(ছায়া কাদো কাদো হয়ে)

আবার ওয়েট্রেস মানে?আগেও সেজেছিস নাকি ওয়েট্রেস?(আমি সন্দেহর দৃষ্টিতে)

আরে আমি আর ওয়েট্রেস।ভুলেও না।কিন্তু আবু এইটা ছাড়া কি অন্য কোনো উপায় নেই।(ছায়া আমার কাছে এসে কিউট ফেস করে)

না।বাবু নেই।আমরা তো আর এমনি এমনি যেতে পারবো না।মা দেখতে পারলে অবস্থা খারাপ।সেখানে বাবাকে দেখতে যেতেই হবে।আর কেনো জানি আমার মন চাইছে ওই বাড়িতে যাই।(আমি অন্য মনস্ক হয়ে)

আচ্ছা।তাহলে আর কি করার কালকে রাতে গেলেই বুঝতে পারবো।এখন শুয়ে পরো। কালকে উঠে রাতে জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে বলেই ছায়া ঘুমিয়ে পড়লো।

আমিও আর কিছু না বলে ঘুমিয়ে পড়লাম।


চৌধূরী মেনশনে

কিরে তুই গেলি হোয়াইট কালারে আসলি। অফ হোয়াইট কালারে কেস টা কি?(আরশি আয়ুশকে পা থেকে মাথা পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করতে করতে)

তোর সমস্যা কি?নিজের কাজ কর না।যা তো কাল বাড়িতে পার্টি আছে।আর তুই অকর্মার ঢেঁকি।খালি খাই খাই। মোটা হয়ে যাচ্ছিস খেয়াল আছে সেদিকে!(আয়ুশ)

এই একদম আমার মজা নিবি না।(আরশি)

শুরু হয়ে গেছে।ওদের। ইগনোর।(রোহান)

হা হা।তোরা লেগে থাক।আমি আরাভ আর আরাভিকে নিয়ে যাই।ওদের ঘুম পাচ্ছে।আরিফ তুমি পার্টির সব কিছু ঠিক আছে কি না খেয়াল করো।আর তোকে(আয়ুশ) আরিফকে দিয়ে এনেছি কি আরশির সাথে ঝগড়া করতে।?যা গিয়ে সাহায্য কর।(আভি আরাভকে কোলে নিয়ে আর আরাভির হাতে ধরে)


আভির রুমে
আরাভ আর আরাভি ফ্রেশ হয়ে ঘুমানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।প্রতি রাতে যতো ব্যাস্ততা থাকুক না কেনো ওদের দুজনকে আভিই ঘুম পাড়ায়।আর ওরাও আভি ছাড়া কারো কাছে ঘুমায় না।ঘুমানোর সময়

পাপা জানো।আমিই না একটা আন্টির সাথে মিট করেছি।উনি না অনেক ভালো।একদম আমার ফ্রেন্ডের মায়েদের মত।খুব সুন্দর করে কথা বলে জানো।আর পাপা আমাকে দেখে না উনার ছোটো ভার্সন মনে হবে তোমার।ফানি না?(আরাভি শুয়ে শুয়ে)

হুম।(আভি আরাভ আর আরাভির মাঝখানে বসে ওদের মাথার উপর হাত বুলাতে বুলাতে)

আচ্ছা।পাপা আমাদের মাম্মাম কেমন ছিলো?(আরাভি আভির দিকে তাকিয়ে)

অনেক হয়েছে কথা এখন ঘুমাও।কাল সকাল সকাল উঠতে হবে।কতো বড়ো পার্টি আছে সেদিকে খেয়াল আছে?(আভি তাড়া দিয়ে)

ওকে।পাপা
বলেই আরাভি ঘুমিয়ে পড়লো।

কিছুক্ষণ পর
আভি তাকিয়ে দেখলো আরাভ এখন ঘুমায় নি।

কি হয়েছে আমার বাবাটার?ঘুমাচ্ছ না কেনো?(আভি)

পাপা।আজ আমিও একটা আন্টির সাথে মিট করছি।উনি আমাকে বকা দিয়েছে।(আরাভ)

কি এতো বড়ো সাহস আমার ছেলেকে বকা দেয়।(আভি)

বাবা।শুনো। মাম্মাম কি আমাদের ভালোবাসত?(আরাভ)

বাবা ঘুমাও।

পাপা।আমি আরাভির মত বোকা না।যখনই মাম্মামের কথা উঠে শুধু তুমি না এই বাড়ির সবাই কেমন যেনো হয়ে যায়।সবাই কথা পাল্টে নিতে চায়।আমরা আমাদের মাম্মমের সম্পর্কে কিছুই জানি না।উনি দেখতে কেমন ছিল তাও জানি না।কেনো পাপা?তোমরা কেনো লুকাও মাম্মামের কথা?উনি কি আমাদের ভালোবাসত না বলে ছেড়ে চলে গেছে?(আরাভ মনমরা হয়ে)

না।বাবা।আমি এখন তোমাকে কিছু বলতে পারবো না।কিন্তু বিশ্বাস করো।তোমার মাম্মাম তোমাদের খুব ভালোবাসত।হয়তো আমার থেকে বেশি।আর যদি তুমি কোনো ভুল করতে তখন তোমাকে ইচ্ছে মত বকা দিতো। যাতে তুমি খারাপ পথে না যাও পরে আবার আদর করতো।(আভি আরাভের মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে)

আমি না আজ যেই আন্টিকে দেখেছি।সেই আন্টির মধ্যেও না আমি মাম্মাম এর ঝলক দেখতে পেলাম। পাপা তুমি ওই আন্টিকে বিয়ে করো না।তাহলে তো উনি সত্যিই সত্যিই আমাদের মাম্মাম হয়ে যাবে।তুমি যদি রাজি থাকো আমি কথা বলে দেখি?।(আরাভ শুয়ে থেকে উঠে বসে)

ওই পাকনা ছেলে ঘুমাও।(আভি হাসতে হাসতে)

পাপা।প্লিজ।(আরাভ ঠোঁট ফুলিয়ে)

এই চুপ। পাপার যদি বিয়ে করতে হয় তাহলে আমার দেখা আন্টিকে বিয়ে করবে।তোর দেখা না।(আরাভিও শুয়া থেকে উঠে বসে)

আরু।তুমি না ঘুমাচ্ছিলে?(আভি অবাক হয়ে)

আমি ঘুমালে তো ভাই তোমাকে ওর আন্টির সাথে বিয়ে দিয়ে দিত।তখন আমার আন্টির কি হতো?(আরাভী মুখে হাত দিয়ে)

না পাপা।আমার আন্টিকে বিয়ে করবে।(আরাভ)

বললাম না আমার আন্টিকে।(আরাভী)

না।আমার আণ্টি।(আরাভ)

তোদের আন্টি আমরাও আন্টি।এইবার ঘুমা আমার মা বাপ।(আভি)


চলবে,,,,,
আভি কার আন্টিকে বিয়ে করবে?🤔🤔🤔আপনাদের কি মনে হয়?