Marriage_With_Benefits Part-13+14

0
6464

#Marriage_With_Benefits
#Part_13 (#BenefitsSpecial_2)
Writer:: Sanjida Nahar Shaanj
.
.
আভি।এই আভি।তুই কি করে আস্থার বাবা মাকে খুঁজবি?(নিহাল)

ওর পালিত বাবার কাছ থেকে কথা বের করতে হবে আগে।(আভি)

কিন্তু উনি যদি কিছু জানতো তাহলে কি উনি আস্থাকে বলে দিতো না?(নিহাল)

অনেক সময় অনেক মানুষ সব কিছু জেনেও না জানার মতো থাকে।আমি ততক্ষণ পর্যন্ত শিউর হবো না।যতক্ষণ না পর্যন্ত আমি নিজে আস্থার পালিত বাবার কাছ থেকে ব্যাপারটা ভালো করে বুঝছি।(আভির চোখে আস্থার সম্পকে জানার একটা নেশা দেখতে পেলো নিহাল)

আর যদি সত্যিই দেখিস কিছু জানে না উনি তাহলে কি করবি?(নিহাল)

20 বছর আগে ঘটনা যদি মাটি খুরেও বের করতে হয় করবো আমি আভি চৌধূরী।(আভি)

কিন্তু আস্থা রাজি হবে তো?(নিহাল)

তিন জন সাক্ষী,কাজী আর উকিলকে ডাক।আমি জানি আস্থা রাজি হবেই।
বলেই আভি একটা প্রাপ্তির হাসি দিলো।


কেবিনে
আমার মাথা কাজ করছে না।আমি কি করবো?উনি যা বলছেন কিছুই ভুল বলেন নি!আমি একা কিছুতেই আমার বাবা মার খবর নিতে পারবো না।যখনই আমি আমার পালিত বাবাকে আমার আসল মা বাবার কথা জিজ্ঞেস করছি তখনই উনি বলছে এক ভদ্র মহিলা ডেলিভারি হওয়ার পরই আমাকে রেখে চলে যায়।এর থেকে নাকি উনি আর বেশি কিছু জানে না।আমি জানি না বাবা সত্যি বলছে কিনা মিথ্যা কিন্তু আমার মনের জিদ আমি আমার মা বাবাকে খুঁজে বের করবই।কিন্তু একা আমার পক্ষে কিছুই করা সম্ভব না।

তবে এইটা তো কোনো ছোটো খাটো বিষয় নয়।এইটা বিয়ে কোনো পুতুল খেলা না।আমি আমার জীবনে যতই কষ্ট করি না কেনো আমার জীবনে আমি সব সময় স্বপ্নে দেখতাম আমার বিয়ের।আমি অনেক সুন্দর করে সাজবো।পৃথিবীর সব চেয়ে সুন্দর তখনই লাগে মেয়েরা যখন কনে সাঁজে।সব মেয়ের মতো আমিও বউ সাজতে চাই।কিন্তু মি:কোবরার সাথে marriage with benefits এ না বাঁধলে আমি বাবা মাকে খুঁজেই বের করতে পারবো না।একদিকে আমার স্বপ্ন আরেক দিকে আমার জিদ।আমার আত্মসম্মান আর marriage with benefits এর মধ্যে আমাকে এখন একটা বাছাই করতে হবে। কি করবো আমি?কি করে বাছাই করবো?

আমি মাথায় হাত দিয়ে বসে আছি।
কিছুই মাথায় ঢুকছেনা


দুই ঘণ্টা পর আমি সিদ্ধান্ত নিলাম আমার আত্মসম্মান জলাঞ্জলি দিয়ে পুতুল খেলার বিয়েতে।

আভি,নিহাল আরো কয়েকজন ভিতরে ঢুকলো।আমি মাথা উচু করে তাকাতেই আভি আমাকে জিজ্ঞেস করলো
কি ভেবেছো?(আভি)

আপনি তো জানেন!এই জন্যই তো সব প্রস্তুতি নিয়ে তবেই এসেছেন।(আমি)

আভি মুচকি হেসে বলল
এইজন্যই তো তোমাকে সিলেক্ট করা।অনেক ইন্টেলিজেন্ট তুমি।(আভি)

আভি আমরা শুরু করি?(নিহাল)

হুম।কর।(আভি)

এই যে এইটা তোমাদের চুক্তি।এইখানে তোমাদের marriage with benefits এর কি কি বেনিফিটস্ গুলো তুমি পাবে ওই গুলো লিখা।আর তোমার জন্য কিছু শর্ত আছে।
প্রথম শর্ত তুমি কোনো প্রশ্ন করতে পারবে না।কেনো করছি?কেনো করবো?কি চান?কি করবেন?এই সব প্রশ্ন করা যাবে না।আভি যা বলবে সব মুখ বুজে সহ্য করতে হবে।

খোদা আমারে উঠায় নাও(আমি মনে মনে)

দ্বিতীয় শর্ত
কেউ কারোর ব্যাক্তিগত জীবনে নাক গলাবে না।কেউ কাউকে কৈফিয়ত দিবে না।

এইটা ভালো ছিলো(আমি মনে মনে)

তৃতীয় শর্ত
কোনোভাবেই কাউকে জানতে দেওয়া যাবে না তোমরা আসল কাপল না।আর টা করার জন্য তোমাদের যা করার করতে হবে।আর এই কথা এই কেবিনে যারা আছে তারা ব্যতীত অন্য কোনো ব্যাক্তি জানলে,,যে ব্যাক্তি জানাবে তার খবর খারাপ হবে।

ঠেকা লাগছে তো ঢোল পিটিয়ে নিজের নাম খারাপ করবো।(আমি মনে মনে)

চতুর্থ শর্ত
এই বিয়ের লক্ষ্য পূরণ হলে তোমরা ডিভোর্স নিবে।তখন দুইজনকেই দুইজনকে ডিভোর্স দিতে হবে।কেউই কাউকে এই বিয়েতে আটকে রাখতে পারবে না।যদি আস্থা চায় আভি কে ডিভোর্স দিতে তাহলে আভি কোনো আপত্তি করতে পারবে না। সেইম জিনিস আস্থার ক্ষেত্রেও আভি ডিভোর্স চাইলে ওকে ডিভোর্স দিতে হবে।তবে যতক্ষণ না পর্যন্ত আভির উদ্দেশ্য পূরণ হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আস্থা এই বিয়ে ভাঙ্গতে পারবে না ।

আমিই ডিভোর্স আগে চাইবো।(মনে মনে বলেই আভির দিকে তাকিয়ে মুখ ভেংচি দিলাম)

আভি আমার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে

এই হলো শর্ত
বলেই নিহাল শর্ত গুলো পড়লো।

সেকি আসল শর্ত তো বাকি আছে।(আমি)

আসল শর্ত!(আভি)

কিন্তু আস্থা এইখানে সব শর্ত তো আমি পড়ে ফেলেছি আর কিছু নেই বলেই তো আমার মনে হয়।(নিহাল)

আরে আছে।আমি বলছি।আরেকটা শর্ত হলো আমাদের মধ্যে কোনো শারীরিক সম্পর্ক থাকবে না।কেউ আমাকে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য জবরদস্তি করতে পারবে না।(আমি আভির দিকে তাকিয়ে)

তোমার মনে হয় আমি তোমার পেত্নীর মত চেহারা আর দিশালাইয়ের কাঠির মতো শরীরে ইন্টারেস্টেড থাকবো?ভুলে যাও তোমাকে ছুয়ে দেখা তো দূরে থাক তোমার থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করবো।(আভি)

আমি না,, বিশ্বাস করি না।আমার নিরাপত্তা আমার নিশ্চিত করতে হবে।(আমি)

কিসের নিরাপত্তা?আমি কি রেপিস্ট নাকি?(আভি)

হতে কতক্ষন?(আমি)

কি বললে?
বলেই আভি আমার দিকে তেড়ে আসতে লাগলো ওমনি আমি গিয়ে নিহালের পিছনে পালাই।

নিহাল ওকে বের কর। ও কি বললো?(আভি প্রচন্ড রেগে)

আরে ছাড় না।সব মেয়েদের জন্যই তাদের সম্মান আগে।আর যেহেতু তোরা নকল কাপল তাই আমাদেরই এই শর্ত সংযোগ করার দরকার ছিলো।আর আস্থা তো ঠিকই বলছে।যেখানে রক্ষক ভক্ষক হয় সেখানে ও তোকে কি করে বিশ্বাস করবে বলতো?তুই তো ওর কাছে অপরিচিত।
নিহালের কথা শুনে আভি শান্ত হলো।

আমার কথা মতো পাঁচ নম্বর শর্ত যোগ করা হলো।এখন আমাদের বিয়ের পালা কিন্তু তার আগে আমাকে বউ সাজতে হবে।একদম নতুন বউ সাজবো তারপর বিয়ে করবো তারপর ছবি তোলা হবে। হ্যাপী কাপলদের মত যা হবে আমাদের প্রমাণ যে আমরা বিয়ে করছি।

আমাকে কয়েকজন মেয়ে নিজে গেলো সাজানোর জন্য।আমাকে এক লাল বেনারসি শাড়ি পড়ানো হলো।খুব সুন্দর সুন্দর দামী গয়না পড়ানো হলো।মাথায় টায়রা, খোঁপায় লাল গোলাপ,গলায় শিতা হাড়,চুরি আরো যেই সব অলংকার বিয়েতে একজন বউএর শোভা পায়।সবই আমাকে পড়ানো হলো।

আমাকে তৈরি করে কেবিনে আনা হলো।ভাবা যায় আমার বিয়ে হচ্ছে কেবিনে।না কমিউনিটি সেন্টার এ আর না বাড়িতে ডাইরেক্ট কেবিনে।যেনো বিয়ে না ডিল হচ্ছে।আসলে যদি ভেবে দেখি তাহলে সত্যি ডিল হচ্ছে বিয়ে না এইটা একটা ডিল।marriage with benefits।
এমন একটা বিয়ে যেটা শুধু নিজের স্বার্থে করছি।না আছে এতে ভালোবাসা না আছে এতে কারো ইচ্ছা।বড়োদের দোয়াও নেই।নিজেকে এখন খুব সস্তা মনে হচ্ছে
আমি এই সব ভেবেই কেবিনে পা রাখলাম।

আস্থাকে দেখে আভি হা হয়ে তাকিয়ে আছে
এই আমি কাকে দেখছি?এই মেয়েকে পেত্নী থেকে পরী হয়ে গেলো?আমি কখনও ওকে তেমন করে খেয়াল করে দেখি নি।আজ ওকে বউ সাজে অনেক অপূর্ব সুন্দর লাগছে।চোখ যেনো ফিরছেই না আমার।কিন্তু এই অপূর্ব মুখখানা তে একটু হাসিও নেই। অবশ্য এই বিয়েতে কেউই তো আমরা খুশি না।(আভি মনে মনে)

আমি এসে সোফায় বসলাম।আর একটু পরেই আমাদের বিয়ে সম্পন্ন হলো।আমি এমন একজনের স্ত্রী হয়ে গেলাম যাকে আমি সহ্যই করতে পারি না।এমন একজনের সাথে বেঁধে গেলাম যাকে আমি ভালোবাসি না।নেমে গেলাম নিজের জীবন নিয়ে দাবা খেলতে।আমি জানিও না উনি আমাকে দিয়ে কি করাবেন?কেনোই বা উনি চান আমিই উনার স্ত্রী হই?এমন এক পথ দিয়ে হাঁটা শুরু করলাম যার গন্তব্যে অজানা।

চলো।(আভি)

কি চলবো?কোথায় যাবো?(আমি অবাক হয়ে)

প্রথম শর্ত মনে নেই তুমি কোনো প্রশ্ন করতে পারবে না।(আভি)

আশ্চর্য তো।আমি কি এটাও জানতে পারবো না আমি কোথায় যাবো?(আমি রেগে)

তুমি সেখানেই যাবে যেখানে আমি নিয়ে যাবো!(আভি)

বললে সমস্যাটা কি?(আমি বিরক্ত হয়ে)

এই শুরু হয়ে গেছে।এই তোমাদের মাত্র বিয়ে হলো এখনই গৃহ যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছো?(নিহাল মাথায় হাত দিয়ে)

নিহাল।আপনিই বলুন আমাকে কোথায় নিয়ে যাবে এইটা জানতে চাওয়া কি আমার অপরাধ?(আমি)

আমি বলছি!তোমরা আমাদের এক ফ্রেন্ডের স্টুডিও তে যাবে।সেখানে তোমাদের কাপল পিক তুলবো।তারপর আভি র সাথে ওর বাসায় যাবে।(নিহাল)

এইটুকু বললে কি হতো?
বলেই আমি যাওয়ার জন্য হাঁটা শুরু করলাম।

কেনো শুধু শুধু ওকে খেপাস বলতো।
বলেই নিহালও যাওয়ার জন্য হাঁটা শুরু করলো।

ওকে খেপাতে আমার খুব ভালো লাগে।দেখিস না কিভাবে নাগিনের মতো ফুলে উঠেছে।
বলেই আভি হো হো করে হেসে উঠলো।পরেই আস্থার পিছু পিছু গেলো।

নিহাল দাড়িয়ে গেলো,,
আভি তুই আগুন নিয়ে খেলেছিস।তোদের দুইজনের জীবন তো খুব সহজে বেঁধে গেলো।কিন্তু এই বাঁধন ছাড়া না আবার কঠিন হয়ে পড়ে?(নিহাল বিড়বিড় করে বললো কিন্তু ওর চোখে মুখে চিন্তার ছাপ)

আমি গাড়িতে বসে আছি।সেই ভারী ভারী জিনিস পত্র নিয়ে।এই শাড়ি আর গয়নাতে যেনো আমার ওজন পাঁচ কেজি বেড়ে গেছে।আভি আর নিহাল এখনও বাহিরে কাজী আর উকিলকে কি যেনো বলছে?পরেই সবাইকে বিদায় দিয়ে গাড়িতে এসে বসলো।নিহাল ড্রাইভিং সিটে আর আভি তার পাশের সিটে।

তুই আমার পাশে কেনো বসবি?(নিহাল ভ্রু কুঁচকে)

তো কোথায় বসবো?(আভি)

তোর নতুন নতুন বিয়ে হইছে।বউএর পাশে গিয়ে বস।(নিহাল)

আসল বিয়ে হয়েছে নাকি যে বউএর পাশে বসবো?(আভি ভ্রু কুঁচকে)

আরে আগে থেকেই তো প্রেকটিস করতে হবে।যা গিয়ে বসত। বস।(নিহাল)

আভি গাড়ি থেকে নেমে এসে আমার পাশে পিছনের সিটে বসলো।আমি জানালার একপাশে উনি জানালার আরেক পাশে।দুই জনের মধ্যে কোনো কথা নেই।চুপ হয়ে আছি।
নিহাল গাড়ি স্টার্ট দিয়ে দিলো।গাড়ি আপন মনে চলছে।কোথায় যাচ্ছে তার ঠিকানা আমার জানা নেই।আমি বাহিরের দিকে তাকিয়ে আছি।এখন প্রায় সন্ধ্যা হতে চললো।আজ সকালেও আমি এক খোলা আকাশের মুক্ত পাখি ছিলাম কিন্তু কে জানতো সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতে আসতে আমার জীবনের আলোও নিবে যাবে।শুধু মাত্র আমার আসল মা বাবাকে খুঁজে বের করার জন্য আমার এই marriage with benefits। মি:কোবরা যদি আমার বাবা মাকে খুঁজে না বের করতে পারে তাহলে আমি এমন মেয়ে হবো যে নিজের স্বামীকে নিজে হত্যা করছে।কিন্তু উনি এতো বড় একটা রিস্ক কেনো নিচ্ছে আমাকে বিয়ে করার?কি করতে চান উনি?উনার মনে এখন কি চলছে?
এইসব ভেবেই আমি উনার দিকে তাকালাম।উনিও আমার মত জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে।উনার চোখে মুখেও চিন্তার ছাপ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। হয়ত নিজের কর্মের জন্য নিজেই চিন্তিত।কিন্তু কেনো জানি উনার এই চিন্তিত চেহারার দিকে তাকিয়ে থাকতে আমার অনেক ইচ্ছে করছে।মনে এক প্রশান্তি অনুভব করতে পারছি।হয়ত উনি এখন আমার স্বামী তাই।যতই সাপে নেউলে সম্পর্ক থাকুক না কেনো যখন স্বামী স্ত্রী সম্পর্কে বাঁধা পড়ে তখন মায়াটা আপনাআপনিই জন্মে যায়।কিন্তু এখন এই মায়া জন্মানো দিয়া উচিত না।
আমি উনার দিকে তাকিয়ে একমনে কথা গুলো ভাবছি তখনই নিহাল বললো,,
আমরা এসে পড়েছি।আভি আস্থা নামো।

উনার কথায় আমার ধ্যান ভাঙলো।প্রথমে আভি নামলো তারপরই আমি নামতে যাবো তখনই আভি আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিলো।

এই নাও আমার হাত ধরে নামো।শাড়িটা ভারী পেঁচিয়ে পরে যাবে।(আভি)

আমার হাত আমার অজান্তেই উনার হাত ধরে ফেললো।আমি উনার হাত ধরে নামলাম।দেখি একটা বড়ো স্টুডিও তে আমরা আসছি।ভিতরে ঢুকে দেখলাম অনেক সুন্দর করে ডেকরেট করা।

তখনই একজন এসে বললো
Welcome sir।

তোমাদের বসকে ডাকো(নিহাল)

জ্বি স্যার।

বস এসে
আরে আভি যে!কেমন আছো?(বস)

আলহাদুলিল্লাহ ভালো তুমি?(আভি)

এইতো আলহাদুলিল্লাহ।তোমাদের সব কিছু তৈরি চলো।(বস)

জ্বি।চলো।আস্থা আসো।(আভি)

আমি উনার সাথে গেলাম।সেইখানে গিয়ে আমরা কাপল ছবি তোলার জন্য দাড়ালাম।

প্রথমে পাশাপাশি ছবিটা ঠিক ভাবে তুলতে পারলেও বাকি ছবিতে আমি খুবই অস্বস্তি বোধ করছিলাম।যখন উনি আমার কোমরে হাত দিলো তখন আমি আর ছবি তুলার দিকে মনোযোগ দিতে পারছিলাম না। কখনও আমি কোনো ছেলের এতো কাছে যাই নি।তাই আমার কেমন জানি লাগছিলো।

আভি আমার চেহারা দেখেই বুঝতে পারছে যে আমি অস্বস্তি বোধ করছি।তাই উনি আমাকে কম্ফর্টাবল ফিল করানোর জন্য বললো
আস্থা।relex।আমার চোখের দিকে তাকাও।আমি আছি তো।(আভি)

এই প্রথম কেউ আমাকে বললো আমি আছি তো!এই কথা শুনে আমার অস্বস্তি শান্ত হতে শুরু করলো।ধীরে ধীরে আমরা ছবি তোলার পালা শেষ করলাম।এখন আভি বাসায় যাবো।কিন্তু তার আগে আমাদের পারফেক্ট কাপল হতে হবে।যতই রাগ উঠুক তর্ক করা যাবে না।এমন ভাবে থাকতে হবে যেমন আমরা একে অপরের প্রেমে অন্ধ।
আরো অনেক ইনস্ট্রাকশন দিলো নিহাল ভাইয়া আমাদের যেনো উনি এই ক্ষেত্রে এক্সপার্ট।
গাড়িতে উঠেও সাড়া রাস্তা আমাদের ইনস্ট্রাকশন দিলো।উনার কথা শুনে আমার আর আভির কান জ্বালা করছে😖।

ভাই চুপ কর।আর লাগবো না।আমরা ঠিক মত করতে পারবো।(আভি)

শিওর?(নিহাল)

হো ভাই শিওর!(আভি হাত জোর করে)

আমি আভি আর নিহালের কথোপকথন শুনে হাসছি।সত্যিই উনাদের সম্পর্ক খুব ভালো।

আমাদের গাড়িটা এসে একটা বড় বাড়িতে থামলো।বাড়িটা বাংলো বাড়ি।একদম রাজ প্রাসাদের মতো।

আভি নেমে বাড়ির দরজার সামনে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বললো


চলবে….

#Marriage_With_Benefits
#Part_14
Writer::Sanjida Nahar Shaanj
.
.
চৌধূরী সাহেব। আপনার নাতবউকে বরণ করবেন না।(আভি চিৎকার করে)

আমরা কেনো জানি খারাপ ফিলিং আসছে!কিছু তো একটা ঘটবে!(আমি মনে মনে)

আভির এইরকম চিৎকার শুনে একটা ভদ্র মহিলা বেরিয়ে আসলো।তারসাথে একজন ভদ্র লোক, একটা ছেলে আর একটা মেয়েও।কেনো জানি তাদের দেখে আমার ভালো মনে হচ্ছে না। মি:কোবরা আমাকে এই কোন জায়গায় এনেছে।এদের দেখেই তো আমি বলে দিতে পারবো এদের মুখে মধু অন্তরে বিষ।আমি নিহালের তাকালাম।

আস্থা।অপেক্ষা করো দেখতে পারবে!(নিহাল আমার কানের কাছে ফিসফিস করে)

এইদিকে আভি আমার হাত শক্ত করে ধরে আবার চিৎকার করে বললো
আরমান চৌধূরী কি এখন নিজের নাতবউকে বাহিরে দাড় করিয়ে রাখবে?তাহলে আর কি আমরা চলি।

দাড়াও।
বলেই সিড়ি বেয়ে একটা বয়স্ক লোক নামলো।

আমি উনাকে দেখেই আভির পিছনে লুকালাম।
খাইছে খাইছে।এই দাদু এইখানে কি করে?আমি কবে থেকে জ্যোতিষ হয়ে গেলাম।আমি তো এমনি এমনি বলেছিলাম যে মি:কোবরা আর এই লোকটার সাথে কোনো সম্পর্ক আছে।এখন দেখি সত্যিই এরা দাদা নাতি। হায় খোদা এই কোন জায়গায় এসে গেছি আমি।আমি এই বিয়েতে থাকবো না।দরকার নাই আমার marriage with benefits।এইখানে থাকলে এই দাদা নাতি আমাকে কিমা বানাইয়া খাবে।দূর জেনে বুঝে আমার পা দেওয়া দরকার ছিলো।এখন কি হবে আমার?আস্থার তো আস্থাহীন অবস্থা।

ছোটো বৌমা(মহিলাটা) বাড়ির বউকে বরণ কর।(দাদু)

কিন্তু বাবা(মহিলা)

আমার উপর কথা বলো।(দাদু)

জ্বি বাবা।
বলেই মহিলা বরণ করার জিনিস পত্র নিয়ে আনার জন্য গেলো।

লাগবো না আমার বরণ।ছাইরা দে ভাই কাইন্দা বাঁচি।(আমি মনে মনে)

মহিলা এসে দরজায় বরণ ডালা নিয়ে দাড়ালো।
কোথায় তোর বউয়ের মুখ দেখা?আগে শুনতাম ছেলেরা বিয়ে করলে বউয়ের আঁচলে মুখ লুকায় এখন দেখি তো বউ তোর পিছে মুখ লুকিয়ে দাড়িয়ে আছে(দাদু)

কেন দাদু?(আমি মনে মনে)

আমরা বউ বলে কথা স্পেশাল তো হতেই হবে।
বলেই আভি আমাকে ওর পিছন থেকে বের করে আনলো।
কি হলো বেবি?লজ্জা পাচ্ছো কেনো?এইটা তো তোমারও বাড়ি।আমার বাড়ি মানেই তোমার বাড়ি আর এইখানে লজ্জা পেতে হবে না তোমার।
বলেই আমাকে টেনে জড়িয়ে ধরলো।

বেবি!!বেবির বেবি হওয়ার আগেই ইন্নালিললাহ হয়ে যাবে!আমি শিওর মি:কোবরা ইচ্ছা করে আমাকে এখানে এনেছে।(আমি মনে মনে)

কিরে মুখ নিচু করে আছে কেনো?(দাদু)

তুমি আভি চৌধুরীর স্ত্রী এখন।মাথা উচু করে বাঁচবে।(আভি আমাকে জড়িয়ে ধরে)

মাথা উঁচু করলে মাথাই থাকবে না।(আমি মনে মনে)

কি হলো করো?(আভি)

আমি ধীরে ধীরে মাথা উচুঁ করলাম।আর আমার সন্দেহই ঠিক দাদু আমাকে এক দেখায় চিনতে পারছেন।উনার চোখের দিকে তাকিয়েই আমি বুঝে গেলাম আমার উপর উনি বেশ ক্ষেপে আছে।উনার নাতিকে আমি বিয়ে করেছি বলে কথা!কিন্তু এখন আমার ভয় পেলে চলবে না যেহেতু আমি এই বিয়েতে আছি আমার সব কাজ আমি এই বিয়েতে পূরণ করবো।আর তা যেকোনো মূল্যে হোক।

আমাকে বরন করে ঘরে তোলা হলো।
আভি তুই ওকে বিয়ে করেছিস কেনো?(দাদু)

কারণ আমি ওকে ভালোবাসি।এর থেকে কি আর কোনো কারণ আছে?(আভি)

কিন্তু কে এই মেয়ে? কি এর বংশ পরিচয়?(দাদু)

ও অনাথ।ওর পরিচয় শুধু আমি।
বলেই আভি আমার হাত ধরলো।এইখানে অন্য কোনো মেয়ে থাকলে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে যেতো!আমিও হতাম যদি এইটা আমার আসল বিয়ে হতো।

যেমন বাবা তার তেমনই ছেলে।তোমার বাবাই এইরকম কাজ করেছে সেখানে তোমার থেকে আর কি আশা করা যায়?(দাদু রেগে)

ঠিকই বলেছেন আরমান চৌধূরী আমি আমার বাবার মতো।সারাজীবন একজনকেই ভালোবেসে যাবো।সে পাশে থাকুক আর না থাকুক।(আভি)

আমি উনাদের কথোপকথটি শুনে যতটুকু বুঝতে পারছি।ওদের মধ্যে তেমন মিল নেই। হয়ত কারণটি মি:কোবরার মাকে নিয়ে।দাদু হয়ত উনার মাকে মেনে নেন নি।যেমন উনি আমাকে এখন মেনে নিচ্ছেন না।কিন্তু তা বুঝলাম।তবে আমার শশুর শাশুড়ি কোথায়?উনাদের দেখছি না?উনারা কি এই বাড়িতে থাকেন নাকি অন্য কোথাও?(আমার মনে অনেক প্রশ্ন বাসা বাঁধছে)

এখন যদি আপনি চান আমি আমার বউকে নিয়ে অন্য কথাও চলে যেতে?তাহলে আমরা চলে যাবো?
বলেই আভি আমার হাত ধরে বের হতে লাগলো।

দাড়াও।আমি কি বলছি তুমি বের হও?(দাদু)

তাহলে!(আভি)

তুমি এইখানেই থাকবে।আমিও দেখতে চাই তোমার স্ত্রীর ভালোবাসা কতদিন তোমার সাথে থাকে।(দাদু)

আভি শুধু একটা মুচকি হাসি দিলো।পরেই আমাকে কোলে নিয়ে সিড়ি দিয়ে হাঁটা শুরু করলো।
এতো তাড়াতাড়ি হওয়াতে আমি বুঝতেই পারলাম না কি হলো?

এই কি করছেন?সবার সামনে এইভাবে আমাকে কোলে তুলে নিলেন কেনো?(আমি উনার গলা জড়িয়ে ধরে ফিসফিস করে)

চুপ।এইটা আমাদের নাটকের মধ্যে পড়ে।তাই চুপচাপ তাল মিলিয়ে যাও।(আভি)

ওকে।(আমি)

আভি উপরে উঠে আমাকে কোলে নিয়েই নিচে সবার উদ্দেশ্যে বললো
আজ আমাদের বাসর রাত।কাল সকাল সকাল কেউ যেনো আমাদের বিরক্ত না করে!কারণ আজ রাতে আমরা ব্যাস্ত থাকবো তাই না বেবি?
বলেই আমার নাকে নাক ঘষে দিল।

আমার উনার কথা শুনে মাটিতে মিশে যেতে মন চাইছে।আল্লাহ এই লোকের মুখে কি কিচ্ছু আটকায় না?কি সুন্দর করে মিথ্যা কথা বলছে দেখো লোকটা!তারপর আমার এতো কাছে এসে আমার নাকে নাক ঘষে দিল।খোদা এই বিয়ে শেষ হতে হতে না আমি মাটির জৈব সারে পরিণত হই।কি বললো বাসর রাত এইটার নাম শুনেই তো আমি লজ্জা পাচ্ছি।
কি হবে আমার?মনে কুয়াতে এসে নিজেই জাপ দিলাম।

উনি আমাকে কোলে করে নিয়ে রুমে এসে বিছানায় বসিয়ে দিলো।আর তাড়াতাড়ি করে দিয়ে রুমের দরজা বন্ধ করে দিলো।

আপনি রুমের দরজা কেনো বন্ধ করলেন?(আমি বেশ চিন্তিত হয়ে)

কেনো বেবি?বাসর করবো না আমরা!বাসর রাত কি সবাইকে জানিয়ে করে?(আভি ডেভিল দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে)

দেখুন।আপনি কিন্তু শর্ত অনুযায়ী আমাকে ছুঁতেও পারবেন না?(আমি পিছু হটে যাচ্ছি)

এই মেয়েকে আজ পেয়েছি।একটা শিক্ষা না দিয়ে কি আর থাকা যায়!(আভি মনে মনে দুষ্টু হাসি দিয়ে)

আমিও দেখি কোন শর্ত আমাকে বাসর করার থেকে আটকায়?(আভি আমার দিকে এগুতে লাগলো)

দেখেন আমি কিন্তু নোনিরপুতুল না!আমাকে ছুলে আমি আপনাকে ছাড়বো না!(আমি বিছানায় পিছিয়ে যেতে থাকি)

আমিও তো তাই চাই বেবি তুমি আজ সারারাত ধরে রাখো!আমিও তোমাকে ধরে রাখি।তারপর,, অফো কি একটা রাত হবে! come on বেবি।শুরু করা যাক।
আভি ততক্ষনে কথা গুলো বলে আমার অনেক কাছে চলে আসলো।আমিও পিছাতে পিছাতে খাটের এক কোণে চলে আসি।এতো ক্ষন রাগ না উঠলেও এখন রাগ হচ্ছে। মি: কোবরার উপর না নিজের উপর কেনো এই মানুষকে বিশ্বাস করতে গেলাম।এমন মানুষকে বিশ্বাস করাই আমার ভুল।

এতো ক্ষণে আভি আমার খুব কাছে চলে আসলো।এসেই আমার দিকে ঝুকলো আর ওমনি আমি উনার পেটে ঘুষি মারলাম।যদিও আমার হাতের ঘুষি উনার কোনো ক্ষতি করতে পারলো না।তবুও উনি আহ্ করে উঠলো।

আহ্!এই মেয়ে বিয়ের দিনই স্বামীকে মারার প্ল্যান বানিয়ে এসেছো নাকি?(আভি পেটে হাত বুলিয়ে)

স্বামী জানি না।কিন্তু আপনাকে ঠিকই মারবো।আমার কাছে আসলে।(আমি রাগী লুক দিয়ে)

আমার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকার পর উনি ফিক করে হেসে দূরে সরে গেল।

তোমার কি আকাশ কুসুম চিন্তা ভাবনা?চিন্তা করো না আমি তোমাকে কিছু করবো না।আমি তো এমনি তোমার সাথে মজা করছিলাম।(আভি হাসতে হাসতে)

উনার হাসি মুখখানা অনেক সুন্দর।অনেক মায়া আছে উনার হাসিতে।প্রাণ খুলে হাসলে উনার কি হয়?সব সব সময় খিটখিট করতে থাকে।নাকের ডগার রাগ উঠেই থাকে।কিন্তু এখন উনাকে প্রাণ খুলে হাসতে দেখে আমার অনেক ভালো লাগছে!

আপনাকে প্রাণ খুলে হাসলে খুব ভালো লাগে।(আমি নিজের অজান্তেই উনাকে কথা গুলো বললাম)

উনি উনার হাসি থামিয়ে আমার মাথায় হাত রেখে মুচকি হাসি দিলো।

পরেই খাট থেকে উঠে আমার উদ্দেশ্যে বললো
তুমি এখন ফ্রেশ হয়ে নাও।আমি তোমার জন্য খাবার নিয়ে আসছি।
বলেই দরজা খুলে বেরিয়ে গেলো।আমি উনার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছি।


বাহিরে বেরিয়ে
আজ কতদিন পর এমন মন খুলে হাসতে পারলাম আমি নিজেও জানি না।আর তা সম্ভব হয়েছে মিস:পেঁচাল এর জন্য। মেয়েটা কে যতো খারাপ ভেবে ছিলাম মেয়েটা তত খারাপ না।সুইট একটা মেয়ে।যখন ওর সামনে বাসর রাতের কথা তুলেছিলাম তখন ওর ফেস দেখার মত ছিলো।কি কিউট লাগছিলো মেয়েটাকে! ওয়েট আমি কি ভাবছি! আমার লক্ষ্য থেকে আমাকে হটলে চুলবে না।আভি তোর মনে রাখতে হবে তুই আর আস্থা শুধু নামে মাত্র কাপল তোদের মধ্যে আর কিছু নেই।আমি আস্থাকে ভালোবাসতে পারবো না।
আভি এই সব ভাবতেই ওর দাদু ওকে ডাক দিলো।

আভি স্যার।আপনাকে বড়ো স্যার ডাক ছিলো!(আরিফ)

আমি যেতে পারবো না।আমার স্ত্রী অনেক ক্ষণ ধরে না খাওয়া আছে!আমি ওর জন্য খাবার নিয়ে যাচ্ছি।যদি উনার কোনো কথা থাকে তাহলে বলো পরে বলতে।
বলেই আভি যেতে লাগলো।তখনই পিছন থেকে দাদু বলে উঠলো
যেই ছেলে নিজের পানির গ্লাসটা ভরে খায় না।আজ সেই ছেলে স্ত্রীর জন্য খাবার আনতে গেলো।স্ত্রীর কেনা গোলাম হয়ে গেলো দেখি আভি চৌধূরী!(দাদু)

কারোর হাতের পুতুল হওয়ার থেকে স্ত্রীর কেনা গোলাম হওয়া অনেক ভালো।আমার স্ত্রী আমি যদি খেয়াল না রাখি তো কে রাখবে!আমার স্ত্রী আমার দায়িত্ব।(আভি)

তোমার চৌধূরী পরিবারের উত্তরাধিকার সূত্রে একটা দায়িত্ব আছে।সেটা মনে নেই?(দাদু রেগে)

আমি কি বলছি আমাকে উত্তরাধিকার বানান?বলি নি তো তাহলে আমাকে কেনো দায়িত্ব পালন করার কথা বলছেন?(আভি ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে)

তুইই,,(দাদু চিৎকার করে)

স্যার। বড়ো স্যারের বয়স হয়েছে।উনার প্রেসার হাই হয়ে যাবে। প্লিজ উনাকে রাগাবেন না!(আরিফ)

তোমার সত্যিই মনে মনে হয় এই সামান্য জিনিসে উনার পেসার হাই হয়ে যাবে?(আভি ওর দাদুর দিকে তাকিয়ে)

স্যার?(আরিফ)

আরিফ।তোমার বড়ো স্যার গভীর জলের মাছ।উনি ঠান্ডা মাথায় কাজ করে।এখন উনি রাগার নাটক করছে যাতে আমি বাধ্য হয়ে উনার কথা শুনি।তাই না আরমান চৌধূরী?(আভি দাদুর দিকে তাকিয়ে)

আমার চাল সব সময় কি করে যে এই ছেলেটা বুঝতে পারে না বুঝি না!কিন্তু ব্যাপার না এই চাল বুঝতে পেরেছো তো কি হইছে!তুমিই তো বলো আমি ঠান্ডা মাথার মানুষ।এখন মাথা ঠান্ডা করেই তোমাকে আমি ওই অসভ্য মেয়ে থেকে আলাদা করবো।(দাদু মনে মনে)

আভি উনার চাল বুঝতে পেরে একটা তাচ্ছিল্য হাসি দিয়ে চলে গেলো।

স্যার।ছোটো স্যার চলে গেলো?(আরিফ)

ওকে যেতে দাও আরিফ। ও আমার কোনো কথাই শুনবে না।এখন ওই মেয়েকে টার্গেট করতে হবে।তোমাকে যেই মেয়ের ইনফরমেশন নিতে বলছিলাম।নিয়েছো?(দাদু)

জ্বি।স্যার।আপনার কখন লাগবে?(আরিফ)

কালকে সকালে অফিসে দিয়ে যাবে।(আরমান)

কাল সকালে?কিন্তু আজ তো স্যারের?(আরিফ কৌতূহলী হয়ে)

আরে ছেলেটাকে বাসর করতে দাও শান্তি মতো।কাবাবের হাড্ডি হতে যেও না। আরমান চৌধূরীর নাতির বাসর বলে কথা!
বলেই দাদু চলে গেলো।

আরিফ সেখানেই দাড়িয়ে ভাবতে লাগলো
বাসর বলে কথা মানে?আপনি না মেয়েটা কে পছন্দ করেন না।তাহলে বাসরে এত খুশি হচ্ছেন যেনো আজ আপনার নাতি বাসর করলে কালকেই আপনি বড় দাদা হবেন?বুঝি না এই দাদা নাতির কান্ড!কখন কি করে কে জানে!


কিচেনে
আমার ওয়াইফের জন্য খাবার দাও।(আভি সার্ভেন্টকে উদ্দেশ্য করে)

তোমার ওয়াইফ এর জন্য এই বাড়িতে কোনো খাবার রান্না করা যাবে না।(পিছন থেকে একটা মহিলা বলে উঠলো আর এইটাই সেই মহিলা যে আস্থাকে বরণ করছে।আভির ছোটো চাচার স্ত্রী।ঈশানি চৌধূরী)
((ঈশানিকে মনে আছে আপনাদের?—লেখিকা😉))

আর এইটা কার ইচ্ছাতে হয়েছে?একটু বলবেন মিস:ঈশানি চৌধূরী!(আভি)

বাবার ইচ্ছেতে হয়েছে।(ঈশানি)

দাদুর ইচ্ছাতে?(আভি)

হুম। তা না হলে আর কার ইচ্ছেতে হবে?(ঈশানি)

না মানে!এই বাড়িতে আপনার দাপটটাও কিন্তু কম না।তাই না মি:ঈশানি!(আভি)


চলবে..