Secret Lover Part-10

0
821

Story – Secret Lover
Writer – Tafsirah Islam
Part – 10

রুহান : চলে এসেছি নামুন

তিথি আর রুহান অফিসে ঢুকে গেল..
অফিসে ঢুকতেই…
শিহাব : আরে তিথি তুমি কথায় ছিলে এই দু দিন? আসনি কেন? সবাই অনেক মিস করেছে তোমায়… আমিতো অনেক মিস করেছি ?
রুহান : হুহ ঢং? এই শিহাবের বাচ্চারে তো মন চাচ্ছে বোম মেরে উড়ায় দিই?? ( মনে মনে)
আপনাদের গল্প শেষ হলে এবার যার যার কাজে যান..
আর মিস. তিথি আপনি আমার কেভিনে আসুন…
বলে চলে গেলো..
তিথি : স্যার আ…
রুহান : আসুন..
মিস. তিথি ওই দিন যে ফাইল দিয়েছিলাম ফাইল দুটো নিয়ে আসুন
তিথি : জি স্যার

তিথি বের হতেই…

শিহাব : তিথি if you don’t mind একটা কথা বলবো
তিথি : জি বলুন
শিহাব : তুমি কি আজ আমার সাথে লাঞ্চ করবে প্লিজ
তিথি : কিন্তু
শিহাব : প্লিজ না কোর না প্লিজ প্লিজ প্লিজ
তিথি : আচ্ছা আমি ট্রাই করবো
শিহাব : thank you so much

তখনই তিথির ফোনে ম্যাসেজ আসলো
* hey sweety কেমন আছ এখন? *
* শোনো কোন অপরিচিত কার সাথে মোটেও কোথাও যাবে না.. সে তোমার অফিসেরই কেউ হোক না কেন.. যদি যাও তাহলে খুব খারাপ হবে কিন্তু বলে দিলাম *
** ok take care & love you? **

তিথি : হুহ.. এখনতো আরো আগে যাবো.. দেখি কি করে ( মনে মনে)

তিথি ফাইল নিয়ে রুহানের কেভিনে যেতেই
তিথি : স্যার এইযে ফাইল
রুহান : কই দিন.. আর এই ফাইল গুলো নিয়ে যান কাল কমপ্লিট করে নিয়ে আসবেন
তিথি : স্যার এতো গুলো ?
রুহান : আর হ্যাঁ আজ দুপুরে একটা মিটিং আছে.. ফাইল গুলো রেখে আসুন এখন বের হবো
তিথি : স্যার আমিতো কিছুই জানতাম না… আর স্যার মিটিংতো দুপুরে আর এখন মাত্র ১১.৩০ বাজে
রুহান : সব আপনি জানলে আমার আর কি দরকার.. বেশি বকবক না করে যা বলছি তাই করুন
তিথি 😕

রুহান তিথিকে নিয়ে শপিং মলে গেল..
রুহান : মিস. তিথি নামুন
তিথি : কিন্তু স্যার এটা তো শপিং মল এখানে?
রুহান : ?
তিথি : স্যার চলুন লেট হচ্ছে তো ?
আচ্ছা স্যার আমরা শপিং মলে কেন আসছি
রুহান : ফুটবল খেলতে…
মিস. তিথি মানুষ শপিং মলে কেন আসে..
তিথি : মন চায় খুন করে ফেলি ব্যাটা বজ্জাত ( মনে মনে)
রুহান : মিস. তিথি আপনার একটু হেল্প লাগবে.. আসলে আমার গার্লফ্রেন্ড এর জন্য কিছু শপিং করবো তাই আপনার হেল্প চাই
তিথি : ( হুহ গার্লফ্রেন্ড এর জন্য শপিং করবি আমারে আনলি কেন..মন চাইতাছে এরে আর এর গার্লফ্রেন্ডরে আলুর ভর্তা বানাই ?)
সরি আমি পারবোনা ?
রুহান : মিস. তিথি আমি রিকোয়েস্ট করছি না এটা আমার অর্ডার.. আর আমার কথা না মানলে কি হতে পারে তা নিশ্চয় জানা আছে ?
তিথি : ( ব্যাটা বজ্জাত ?)

রুহান আর তিথি শপিং করার পর একটা রেস্টুরেন্টে লাঞ্চ করতে গেল
রুহান : মিস. তিথি কি খাবেন বলুন
তিথি : স্যার মিটিং?
রুহান আর কিছু না বলে নিজেই খাবার অর্ডার করে..

রুহান : কি হলো মিস. তিথি শুরু করুন
তিথি : জি
তিথি খাবার নিয়ে নাড়াচাড়া করছে..
রুহান তিথির মুখের সামনে খাবার তুলে ধরলো…
তিথি : ?
রুহান : আমার হাতে খাবেন বললেই হতো ?
তিথি : হুহ বয়েই গেছে আপনার হাতে খেতে.. আমার হাত আছে
রুহান : উহু…এখনতো আমিই খাইয়ে দিব..নিন হা করুন
তিথি : হুহ… করবো না
রুহান : মিস. তিথি আপনি আমার কোনো কথা সোজাসুজি মানেন না কেন.. রাগালে কিন্তু এখন কোথায় আছি তা ভুলে যাব ?
তিথি : ( এই জায়গায়ও শান্তি নাই ??)

তিথি চুপচাপ খেয়ে নিলো..
রুহান : নিন আপনার ঔষধ
তিথি : স্যার আপনি কোথায় পেলেন.. আমিতো আনিনি
রুহান : আমি জানি আপনি নিজের ব্যাপারে কতটা কেয়ারলেস
তিথি : ? ( তোর কি আমি যা খুশি তাই করমু তুই তোর গার্লফ্রেন্ড নিয়া থাক)
স্যার আমাকে নিয়ে আপনাকে এতো ভাবতে হবে না.. আপনি আপনার গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে ভাবুন
রুহান : jealous
তিথি : মোটেও না ?
বলেই বেরিয়ে গেল..
রুহান : ???

রুহান বিল মিটিয়ে বাইরে এসে দেখে তিথি গাড়িতে বসে আছে..
রুহান গাড়িতে উঠে বসতেই…

তিথি : স্যার আজ কি সত্যিই কোন মিটিং আছে?
রুহান : মিস. তিথি রাগলে আপনাকে খুব কিউট লাগে..
তিথি একটু লজ্জা পেতেই
রুহান : কিন্তু ওর থেকে বেশি না
নিমিষেই তিথির মুখটা কালো হয়ে গেল..
তিথি : ?? ভালো আপনার গার্লফ্রেন্ড বিশ্ব সুন্দরী হ্যাপি.. এবার যাওয়া যাক ?
রুহান : ??
তিথি : স্যার আপনার দাতঁ কেলানো হলে এবার চলুন
রুহান : মিস. তিথি আপনি যে এতটা হিংসুটে তা জানতাম না ?
তিথি : ?
তিথি রুহানের দিকে তাকাতেই দেখে রুহান মুচকি মুচকি হাসছে …
তিথি রুহানের দিকে তাকিয়েই আছে..

( ব্ল্যাক শার্টে আজ রুহানকে দারুণ লাগছে.. যে কেউ ক্রাশ খাবে.. তিথি আজ আবার রুহানের এর উপর ক্রাশ খাইছে ?)

রুহান : এইভাবে তাকিয়ে কি দেখছেন.. নজর লেগে যাবে তো
তিথি : ? হুহ যেই না চেহারা..
রুহান : ??

তিথিকে নিয়ে অনেকক্ষণ ঘুরাঘুরি করে সন্ধ্যায় অফিসে চলে আসে…

তিথি অফিসে আসতেই…
শিহাব : তিথি তুমি তো বলেছিলে আজ আমার সাথে লাঞ্চ করবে ?
তিথি : আ’ম এক্সট্রিমলি সরি.. ( হুহ ঢং ?)
শিহাব : আচ্ছা তাহলে কাল
তিথি : কাল সম্ভব হবে না
শিহাব : তবে পরশু
তিথি : দেখা যাক

তিথি : স্যার আসবো?
রুহান : ইয়েস মিস. তিথি
মিস. তিথি এই ফাইলটা নিয়ে যান কাল কমপ্লিট করে আনবেন আর বাকি গুলো রেখে যান
তিথি : জি স্যার
রুহান : আর শুনুন..
তখনই রুহানের ফোনে একটা call আসলো
রুহান : হাই সুইটহার্ট কেমন আছ?
……
রুহান : আচ্ছা সুইটহার্ট এখন রাখছি কেমন.. আর হ্যাঁ কাল কিন্তু তৈরি থেকো.. আমরা কাল সারাদিন একসাথে টাইম স্পেন্ড করবো.. ওকে বাই.. লাভ ইউ?
তিথি : স্যার আমি একটু আসছি

তিথি নিজের কেভিন চুপচাপ বসে আছে.. তিথি নিজেও বুঝতে পারছে না কেন এমন হচ্ছে..
একটু পরেই অফিস টাইম শেষ হবে..
তিথি অফিস থেকে বেরিয়ে যায়…

রাতে তিথি শুয়ে আছে কিন্তু কিছুতেই ঘুম আসছে না
তিথি : (এই কদিন কি পাগলামো টাই না করেছে আর আজ গার্লফ্রেন্ড পেয়ে একটু খবরও নেয় নি..ফোন রিসিভ না করলে বাসায় চলে আসতো আর আজ একটা ফোনও দিল না) ভাবতেই তিথির বুকের ভিতর কেঁপে উঠল..

এইসব ভাবতে ভাবতে তিথি ঘুমিয়ে পড়ে…
সকালে….
তিথি ঘুম থেকে উঠে দেখে তিথির বালিশের পাশে একটা গিফট বক্স আর চিরকুট রাখা আছে..
তিথি চিরকুট টা নিয়ে পড়তে শুরু করে

* হেই মিস. তিথি আপনি না বলে অফিস থেকে চলে এলেন যে..আপনি এতটা রাগী জানতামই না…আপনার জন্য ছোট একটা গিফট..এক্সেপ্ট করলে খুশি হবো..*
চিরকুটটা পড়ে তিথি অজান্তেই হেসে ফেলে
গিফট বক্সটা নিয়ে খুলে দেখে একটা লকেট, হার্ট সেপ.. খুব সুন্দর

তিথি রেডি হয়ে অফিসে চলে যায়..
তিথি অফিসে আসতেই আগে রুহানের কেভিনে চলে যায়..
আজ আগে থেকে কেভিনে বসে থাকবে রুহানকে সারপ্রাইজ দিতে..
..
রুহানের কেভিনে ঢুকতেই তিথি শক…দরজার সামনেই থ মেরে দাড়িয়ে রইলো….
।।
।।
চলবে…