you are only my queen Part-10+11

0
3368

#you_are_only_my_queen
Faria Siddique
Part 10

সকালে

আমি এখনও ঘুমিয়ে আছি।আমার রুমের দরজা ভিতর থেকে লক করা ছিল।
কিন্তু আমার ভাইয়াদের কাছে আমার রুমের এক্সট্রা চাবি আছে।
সেই চাবি দিয়ে আমার দুইভাই আমার রুমে ডুকে আমাকে ঘুম থেকে উঠানোর চেষ্টা করছে।
কিন্তু আমার উঠার কোন নামি নেই।
ছোটভাইয়াঃমিস্টি উঠ না।দেখ তোকে ভার্সিটিতে যেতে হবে।প্লিজ উঠে পর।
বড়ভাইয়াঃটুকু তুই কি উঠবি নাকি আমরা না খেয়ে অফিসে চলে যাব।
আমিঃনা না এই তো ফারিয়া উঠে গেছে।(কেবলামার্কা হাসি দিয়ে)
আমার কথা শুনে ভাইয়া হেসে দিল।
ছোটভাইয়াঃতারাতারি ফ্রেশ হয়ে নে।আমি আর ভাইয়া তোকে নিয়ে ভার্সিটিতে যাব।
আমিঃতোমরা যাবে আমার সাথে?
বড়ভাইয়াঃহুম।
ছোটভাইয়াঃআমি তো সত্যিই তোকে দিয়ে আসতে যাব।কিন্তু ভাইয়া কি শুধুই তোকে দিয়ে আসতে যাবে নাকি অন্য কিছু…….
বড়ভাইয়াঃছোটু তুই কিন্তু এবার আমার হাতে মার খাবি।
আমিঃবড়ভাইয়া তুমি কি মেহেককে দেখতে যাবে নাকি?
বড়ভাইয়াঃইয়ে মানে ওই আরকি..(হালকা হেসে মাথা চুলকে)
আমিঃহয়েছে হয়েছে।এখন তোমরা নিচে যাও আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।
ভাইয়ারাঃতারাতারি চলে আসিস।
আমিঃহুম।
এই বলেই ভাইয়ারা আমার গাল টেনে নিচে চলে গেলো।
আমিও ফ্রেশ হতে চলে গেলাম।
আমি ফ্রেশ হয়ে এসে রেডি হতে লাগলাম।
আজকে আমরা তিনভাইবোন এক কালারের শার্ট -প্যান্ট পরবো।
আমি রেডি হয়ে নিচে গেলাম।
আজকে আমরা তিনজনই কালো কালারের শার্ট আর সাদা কালারের প্যান্ট পরলাম।
চুলগুলা একসাইডে এনে নিচের
দিকে জুটি করলাম।
হাতে ঘড়ি আর পায়ে স্পোর্টস শু।
চোখে কাজল আর ঠোঁটে হালকা গোলাপি রঙের লিপস্টিক।
আমি নিচে নামতেই রহিম চাচা আমারে দেখে বলল
রহিম চাচাঃবাহ আইজ্জা আম্মারে খুবই ভালা লাগতাছে।
চাচিঃহ তিনভাইবোনেই আজকে একরকম জামা পরছে।
বড়ভাইয়াঃটুকু তোকে তো আজকে অনেক সুন্দর লাগছে।
ছোট ভাইয়াঃহুম অনেক সুন্দর লাগছে রে তোকে।
আমিঃথানকুউউউউ।।
বড়ভাইয়াঃচাচা আমি আপনাকে তিনটি R15 আনতে বলেছিলাম এনেছেন?
আমিঃকিইইইই!!!আমরা আজকে তিনজনেই আজকে বাইকে করে যাব।ইয়াহুউউউউউ
ছোটভাইয়াঃহইছে হইছে পাগলি।এবার আয় তো আমাদের মাঝখানে।তোকে খাইয়ে দেই।
বড়ভাইয়াঃহুম তারাতারি বস টুকু। দেরি হয়ে যাচ্ছে।
আমিঃহুম
বড়ভাইয়াঃরহিম চাচা,চাচি তোমরাও বসে খেয়ে নাও।
রহিম চাচাঃতোমরা আগে খাইয়া লও তারপর খামু।
আমিঃতোমাদেরকে কেউ জিজ্ঞাসা করে নাই।তারাতারি খেতে বসো।( চোখ রাঙিয়ে)
ছোটভাইয়াঃতোমরাও তো আমাদের পরিবারেরই একজন। তারাতারি খেতে বসো।
রহিম চাচা আমাদের আড়ালে চোখ মুছে চাচিকে নিয়ে আমাদের সাথে খেতে বসলো।
চাচিঃতোমরা অনেক ভালা.(কান্নার সুরে)
আমিঃঠিকাছে এবার খেতে বসো।
এরপর আমরা তিনজনে খেয়ে বাইক নিয়ে বের হয়ে পরলাম।
আমরা তিনজনই বাইক চালাতে খুবই অভিজ্ঞ তাই আমরা খুব স্পিডেই চালাচ্ছি।আমাদের অনেক পিছনে আমাদের বডিগার্ডস।
বলতে গেলে আমরা আজকে তিনজনই আজকে রেস করছি।
আমরা তিনজন একসাথেই আছি মানে একতালেই চালাচ্ছি তিনজনে।
আমরা তিনজনই জানি যে আমরা একসাথে ভার্সিটিতে ডুকব।
কারন সবসময় এমনি হয়।

in khan vila

নিহাল খান নিজের রুমের সোফায় বসে আছে আর কি জানি চিন্তা করছে।
কথা খান রুম এ এসে দেখে নিহাল খান কি জানি চিন্তা করছে।
কথাঃতুমি কি ফারিয়ার কথা চিন্তা করছো?
নিহালঃহুম।আচ্ছা রুশাকে একটু ডাক তো।
কথাঃকেন??
নিহালঃআমার ফারিয়ার আর রুদ্রের সম্পর্কে কিছু জানার আছে।
কথাঃআচ্ছা আমি ডাকছি।রুশায়ায়ায়ায়ায়ায়া
রুশাঃকি হয়েছে মা ডেকেছো?
কথাঃহুম।তোমার বাবার তোমার সাথে কিছু কথা আছে।
রুশাঃবল বাবা।
নিহালঃআচ্ছা রুশা ফারিয়ার বাবা মার নাম কি?
রুশাঃফারিয়া আমাকে বলেছিল তার বাবার নাম নুরে আলম সিদ্দিকী আর মায়ের নাম পারভীন সিদ্দিকী।
নিহাল আর কথা আমার বাবা মার নাম শুনে চমকে উঠলেন।
নিহালঃকি বলছো তুমি রুশা!!!!!
কথাঃআর কিছু জানো?
রুশাঃনা মা আমি ওর মাইন্ড পড়তে পারি নাই।কিন্তু কেন এমনটা হলো আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না।
নিহালঃফারিয়ার মাইন্ড একমাত্র রুদ্রই পড়তে পারবে।রুশা তুই এখন যা আর তোর দাদুকে বল এখানে আসতে।
রুশাঃ হুম।প
রুশা চলে গেলো আর দাদুকে পাঠিয়ে দিল।
আরহামঃকিরে আমাকে ডেকেছিস?
নিহালঃবাবা তুমি কি জান ফারিয়া কাদের মেয়ে??(উত্তেজিত হয়ে)
আরহামঃতুমি ভুলে যেও না নিহাল আমার এই দুনিয়ার কোনকিছুই আমার অজানা নয়।আমি ভ্যাম্পায়ারদের আদি রাজা ছিলাম।
কথাঃতাহলে বাবা ফারিয়া আর তার ভাইয়াদের কথাই লিখা ছিল আদি বইয়ে?
নিহালঃরুশা,মেহেক আর রুদ্রের জন্যই তাদের তিন ভাইবোনের জন্ম হয়েছে?
আরহামঃহুম।আর এই ছয়জনের মিলনেই আমাদের ভ্যাম্পায়ার রাজ্য আরও শক্তিশালী হবে।
কথাঃকিন্তু বাবা…….
আরহামঃআমি জানি তুমি কি ভাবছো।আমি তোমাদের আগেই বলেছি যে ফারিয়া আর তার ভাইয়াদের এক অদ্ভুত শক্তি আছে যার কারনে ওরা একটা ভ্যাম্পায়ারকে ভালোবাসতে পারে।
নিহালঃহুম।আমার ছেলেমেয়েদের খুশিতেই আমরা খুশি।
আরহামঃএখন শুধু বসে বসে ছয়জনের লাভস্টোরি দেখ..(হালকা হেসে)
কথাঃযাক বাবা এতোদিনে আমার পাগলটাকে সামলানোর জন্য একজন এসেছে।

রহিম চাচাঃওই তোমরা কারা??
চাচিঃকারা তোমরা।
বিশালঃআমরা হলাম ফারিয়ার বন্ধু।
ভাবিনঃশুধু বন্ধু না জানকা জিগার।
রহিম চাচাঃও আচ্ছা। তাইলে তোমাগোর কথাই বড়আব্বায় আমারে কইছিলো।
বিশালঃহুম চাচা।
রহিম চাচাঃআম্মায় মনে হয় জানে না তোমরা যে আইবা।
ভাবিনঃএআমরাই মানা করছি জানাতে।
চাচিঃকি জানি কয়।সা..সা.. সাপাইজ দেওয়ার লাইজ্ঞা।তাই না?
চাচির কথা শুনেসবাই হেসে দিল।
বিশালঃহুম চাচি।আমরা সারপ্রাইজ দেয়ার জন্যই এসেছি।
রহিম চাচাঃআচ্ছা তোমরা বিশ্রাম নাও।তারপর খাওয়া দাওয়া কইরা ভার্সিটিতে যাইবা।তোমাগোর লাইজ্ঞা বড়আব্বায় গাড়ি কইয়া রাখছে।
ভাবিনঃআচ্ছা চাচা।

আসুন এবার আমার দুই জানকা জিগার মানে বেস্ট ফ্রেন্ডের সম্পর্কে কিছু জানা যাক।

বিশালঃ
(নাম বিশাল পান্ডে।দেখতে একদম সাদা।উচ্চতা ৫” ১১।আমার সাথেই পড়ে লন্ডনে। তার বাবাও লন্ডনের একজন নামকরা বিজনেসম্যান।দেখতে স্মার্ট, হ্যান্ডসাম।যেকোন মেয়ে দেখলেই ফিদা হয়ে যাবে।)

ভাবিনঃ
(নাম ভাবিন বানুসালি।সে লাল সাদা।উচ্চতা ৫” ১০।সে ও আমার সাথে লন্ডনে পড়ে। তার বাবা লন্ডনের একজন নামকরা ডাক্তার।দেখতে স্মার্ট, হ্যান্ডসাম।)

কিন্তু কাহিনী হচ্ছে বেচারা এখনও সিংগেল।

চলবে……….

#you_are_only_my_queen
Faria Siddique
Part 11

In varsity

আমি আর আমার ভাইয়ারা একসাথেই গেইট দিয়ে ডুকলাম।সবাই আমাদের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।আমার ভাইয়াদেরও আজকে সেই লাগছে।
আমার বড়ভাইয়া আর ছোটভাইয়াও আজকে কালো শার্ট আর সাদা প্যান্ট পরেছে।
আমার দুইভাইয়ের চুলগুলা একসাইডে স্পাইক করা।হাতে ঘড়ি।
সব মেয়েরা আমার ভাইয়াদের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।
তারপর আমি আর ভাইয়ারা বাইক পার্ক করে আমরা তিনজনে একসাথে হলাম।
আমাকে দেখে মেহেক আর রুশা আমার কাছে আসলো।
আমার বড়ভাইয়া তো মেহেকের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।
কিন্তু আমার ছোটভাইয়াকে দেখে রুশার রাগ উঠে গেল। কারন ও ওইদিনের ধমক টা সে এখনও ভুলতে পারে নাই।
কিন্তু কিছু বলল না।চোখ বন্ধ করে নিজের রাগ কন্ট্রোল করে নিলো।
আজকে রুশা আর মেহেককে সেই লাগছে।ওরা দুইজনই আজকে কালো কালারের চুরিদার পরেছে।
চুলগুলা ও খোলা রেখেছে। চুলগুলা খোলা রাখাতেই ওদেরকে খুব সুন্দর লাগছে।
আমিঃকিরে কেমন আছিস তোরা?
রুশাঃভালো
মেহেকঃআমি ও ভালো আছি আর ভাইয়ারা আপনারা কেমন আছেন?
ভাইয়া কথা শুনা মাত্রই বড়ভাইয়ার মুখটা কালো হয়ে গেলো। আমি আর ছোটভাইয়া মুচকি মুচকি হাসছি।
ছোটভাইয়াঃআমরা ভালো আছি।তুমি কেমন আছো?
মেহেকঃভালো।
বড়ভাইয়াঃতা রুশা তুমি কেমন আছো?
রুশাঃভাইয়া আমি খুব ভালো আছি।
ছোটভাইয়া যেন রুশাকে দেখেই নাই।ভাইয়ার এই don’t care ভাবটা যেন রুশার রাগ আরও বাড়িয়ে দিল।কিন্তু ও প্রকাশ করলো না।
আমি খেয়াল করে দেখলাম দূর থেকে রুদ্র আর তার দল আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
আমি আর কিছু না বলে রুশা আর মেহেককে নিয়ে ক্লাস এ চলে গেলাম আর ভাইয়ারা প্রিন্সিপালের রুমে গেলো।
প্রিন্সিপালের রুমে গেলো। প্রিন্সিপাল আমার ভাইয়াদের দেখে কেমন জানি ঘাবড়ে গেলো।
প্রিন্সিপালঃআরে স্যার আপনারা!(ঘাবড়ে গিয়ে)
ছোটভাইয়াঃকেন আমাদের দেখে বুঝি খুশি হন নাই?(বাকা হেসে চেয়ারে বসতে বসতে)
প্রিন্সিপালঃনা না কি যে বলেন স্যার!(ঘাম মুছে)
বড়ভাইয়াঃএই শীতের মধ্যেও আপনি ঘামছেন?(বাকা হেসে)
ভাইয়াদের এই বাকা হাসিও কেমন জানি ভয়ংকর লাগে।
প্রিন্সিপালঃনা মানে স্যার এমনিই।
বড়ভাইয়াঃআচ্ছা আপনি এতো ভয় পাচ্ছেন কেন?নাকি ভাবছেন যে আমরা সব কিছু জেনে গেছি?
প্রিন্সিপালঃপ্লিজ স্যার আমি কিছু জানি না।আমাকে ছেড়ে দিন।(কান্না করে)
ছোটভাইয়াঃছেড়ে দেয়ার কথা তো পরে হবে আগে বলুন মেয়েগুলা কোথায়?(রেগে)
প্রিন্সিপালঃওদেরকে আজ বর্ডার পার করানো হবে।
বড়ভাইয়াঃকোনদিক দিয়ে পার করানো হবে।(রেগে চিল্লিয়ে)
প্রিন্সিপালঃবেনাপোল দিয়ে।
ভাইয়া কাকে জানি কল করে বেনাপোল দিয়ে যাওয়া সকল গাড়ি আটকাতে বলল।
তারপর চেক করে মেয়েগুলাকে এখানে নিয়ে আসতে বলল।
ছোটভাইয়াঃভাইয়া এই প্রিন্সিপালের কি করবো??
বড়ভাইয়াঃআগে তো ওনার কাছ থেকে পুরা কাহিনী শুনে নেই!কি বলেন প্রিন্সিপাল সাহেব।
আমিঃপুরা কাহিনী আমি বলি ভাইয়া?
পিছন থেকে আমি বলে উঠলাম।
প্রিন্সিপালঃতাহলে তুমিই সব করেছো?(রেগে)
এই কথা বলার সাথে সাথে আমার দুইভাই ঘুষি দিল।
ছোটভাইয়াঃতোর সাহস কি করে হল আমার মিস্টির সাথে এভাবে কথা বলার।(রেগে চিল্লিয়ে)
বড়ভাইয়াঃভাবছিলাম তোকে একটা সুযোগ দিব কিন্তু না এখন তোকে আর বাচিয়ে রাখা যাবে না।
আমিঃযা করার পরে করো।এখন আগে কাহিনী শুনো।
বড়ভাইয়াঃবল টুকু।
আমি বলতে শুরু করলাম।

আমিঃআমি যেদিন প্রথম এখানে আসি ওইদিন আমি ক্লাস শেষ করে বাসায় ফিরছিলাম।কিন্তু আমি ওইদিন গাড়ি নিয়ে আসি নাই।আর সেইজন্যই আমি রিকশায় করে যাচ্ছিলাম।ঠিক তখন দেখি আমাদের প্রিন্সিপাল সাহেব একটা মেয়েকে ওনার গাড়ি করে নিয়ে যাচ্ছে।আমি ভাবলাম এমনিই হয়তো নিয়ে যাচ্ছে।আমি আর পাত্তা দিলাম না।এরপরের দিন আমি গাড়ি নিয়ে ভার্সিটিতে আসি।কিন্তু ঠিক ওইদিনও আমি ওনাকে আরেকটা মেয়েকে নিয়ে যেতে দেখি।কিন্তু আমি এবার ভার্সিটিতে আসার সময় মেয়েটাকে নিয়ে যেতে দেখি।আর গতদিন বাসায় যাওয়ার সময় দেখেছিলাম।এবার আমার কিছুটা সন্দেহ হয়।আমি ভার্সিটিতে যাই আর ক্লাসে যাওয়ার সময় দেখি এক দম্পতি কান্না করতে করতে যাচ্ছে।আমি দৌড়ে ওদের কাছে গেলাম গিয়ে জিজ্ঞাস করলাম কি হইছে।ওনারা বলল ওনাদের মেয়ে কালকে ভার্সিটি থেকে আর বাসায় ফিরে নি।আমি ওদের কাছে মেয়ের ছবি দেখতে চাই।আমি মেয়ের ছবি দেখে পুরাই অবাক কারন এই মেয়েকেই আমি ওনার সাথে যেতে দেখেছি।
তারপর আমার কাছে পুরা বিষয়টা কেমন জানি লাগলো। এরপরের দিন আমি কলেজএ না এসে আমি গাড়ি নিয়ে গেইটের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকি আর উনি ওইদিনও একটা মেয়েকে নিয়ে গেল।এবার আমি কিছু গার্ডস নিয়ে ওনার পিছন পিছন যাই।গিয়ে দেখি উনি ওনার গাড়িটা একটা ভাঙা বাড়ীর সামনে দাড় কারায়।এরপর মেয়েটাকে নিয়ে উনি বাড়ীর ভেতরে যায়।আমরা বাইরে অপেক্ষা করতে থাকি উনি কখন বের হবে তার জন্য। কিছক্ষন পরই উনি বের হয়ে আসলেন এরপর গাড়ি নিয়ে চলে গেলেন।উনি চলে যাওয়ার পর আমরা ওই বাড়ীতে ডুকি।গিয়ে দেখি কয়েকটি লোক অনেকগুলা মেয়েকে ড্রাগস দিচ্ছে।গার্ডসরা আমার কথায় ওদেরকে একে একে শুট করে দিলো।তারপর আমি মেয়েগুলাকে নিয়ে চলে আসি।কিন্তু আমার মনে হয়েছিল উনি শুধু একজায়গায় না আরও অনেক জায়গায় এমন ভাবে মেয়েদের নিয়ে রেখেছে।আমি ভেবেছিলাম তাদেরকেও বের করব কিন্তু তার আগেই তোমরা চলে আসলে।তাই আমি তোমাদের সব খুলে বললাম।

প্রিন্সিপালঃ তার মানে ওইদিন তুমি আমার লোকগুলুকে মেরেছিলে?(রাগে অবাক হয়ে)
আমিঃআপনার কি এখনও কোন সন্দেহ আছে?ভাইয়া আমার মনে হয় এটাকে আর বাচিয়ে না রাখাই ভালো।
ছোটভাইয়াঃআমারও তাই মনে হয়।কিন্তু আজকে আমরা ওকে কিছু করবো না।
বড়ভাইয়াঃতুই আজ রাতের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবি।
এই বলেই আমি আর আমার ভাইয়ারা বের হয়ে আসলাম।
প্রিন্সিপালঃ রাত পর্যন্ত আমাকে খুজে পেলেই তো আমাকে মারবে!(বাকা হেসে)
এই বলেই তারাতারি রুম থেকে বের হয়ে গাড়ি নিয়ে ভার্সিটি থেকে বের হয়ে গেলো।
কিন্তু গেইটের সামনে যেতেই একটা ট্রাক এসে বেচারাকে ধাক্কা দিয়ে দিলো।
আমি আর আমার ভাইয়ারা দূর থেকে সব দেখছি আর হাসছি।
বড়ভাইয়াঃবেচারা ভুলেই গেছে যে তার ভাবনা যেখানে শেষ হয় আমার ভাবনা ওখান থেকেই শুরু হয়।
আমরা তিনজনই হাসতে লাগলাম।
আপনারা ঠিক ধরেছেন এক্সিডেন্টটা আমার বড়ভাইয়াই করিয়েছে।
ছোটভাইয়াঃকিন্তু একটা কথা মানতে হবে আমাদের মিস্টি কিন্তু অনেক বড় হয়ে গেছে।
বড়ভাইয়াঃহুম।
আমি শুধু হাসলাম।

অন্যদিকে

রুদ্রঃএই তিনভাই বোনকে যতটা ভয়ংকর ভেবেছিলাম এরা দেখি তার চেয়েও বেশি ভয়ংকর.(মনে মনে)
আকাশঃকিরে কি ভাবতাছিস?
রুদ্রঃনা কিছু না
রাজঃফারিয়াকে যতই দেখছি ততই অবাক হচ্ছি।এই মেয়ে বাইকও চালাতে পারে!!
রুদ্রের কেমন জানি সহ্য হলো না।
রুদ্রঃতোকে এতো দেখতে কে বলেছে?(রাগে চোখ মুখ লাল করে)
অনিলঃআরে ও তো এমনিই বলল।
নিলাঃকিন্তু যাই বল মেয়েটা কিন্তু ওর ভাইয়াদের জান।
রুদ্রঃসাথে আমারও(বিরবির করে)
আকাশঃকিছু বললি?.
রুদ্রঃনা কই কিছু না।
সাদঃআচ্ছা তোরা কি জানিস যে আমাদের প্রিন্সিপাল মারা গেছে?
নিলাঃকি বলিস!!
রিধিঃযা হইছে ভালো হইছে।
রাজঃকেন কিভাবে ভালো হইছে?
নিলাঃআরে না ও এমনিই বলেছে।
রুদ্রঃযদি ফারিয়ার ভাইয়ারা ওনাকে না মারতো তাহলে ওকে আমিই মেরে ফেলতাম।(মনে মনে)

চলবে……….