you are only my queen Part-8+9

0
3608

#you_are_only_my_queen
Faria Siddique
Part 8

রাতে

আমি,রহিম চাচা আর চাচি সবাই খাবার টেবিলে গালে হাত দিয়ে বসে আছি।কারন আজকে নাকি আমার দুইভাই আমার জন্য রান্না করবে।
আমিঃচাচা আজকে কি আমাদের ভাগ্যে খাবার জুটবে নাকি রাতে না খেয়ে থাকতে হবে??
রহিম চাচাঃআল্লাহই জানে আম্মা
চাচিঃআমাগোর তো ঢুকতেই দিতাছে না রান্না ঘরে।
আমিঃকি জানি করতাছে??
রহিম চাচাঃআম্মা বলি কি তুমি একবার ডাক দাও।
আমিঃওকে।ভাইয়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া।(জোরে চিল্লিয়ে)
চাচিঃমাগো মা আমার কান শেষ।
চাচির কথা শুনে আমি আর চাচা হাসতে হাসতে শেষ।
আমি আবার ডাক দিলাম।
আমিঃভাইয়ায়ায়া আমার খুবই খুদা লাগছে।
রান্নাঘর থেকে ছোটভাইয়া বলল
ছোটভাইয়াঃআরেকটু মিস্টি।
আমিঃতারাতারি আসো।
প্রায় ১০ মিনিট পর ভাইয়ারা রান্না করে এসেছে।
ওদের রান্না দেখে আমার,চাচার আর চাচির মাথায় হাত।
বড়ভাইয়াঃকেমন লাগলো আমাদের সারপ্রাইজ?(ভাব নিয়ে)
আমিঃখুব ভালো। সেদ্ধ সবজি খাওয়ার মজাই আলাদা।
ছোটভাইয়াঃআমি জানতাম মিস্টির পছন্দ হবেই।
আমিঃখুব পছন্দ হয়েছে আমার।
এই বলেই আমি খেতে লাগলাম।
রহিম চাচা আর চাচি আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।
রহিম চাচাঃএই হইলো বোনের ভালবাসা.(ফিসফিস করে চাচিকে)
চাচিঃহুম ঠিক কইছো।
ছোটভাইয়াঃতোর খুব ভালো লাগছে তাই না?
আমিঃহুম অনেক ভালো লাগছে।
বড়ভাইয়াঃদাড়া আমি একটু খেয়ে দেখি।
ছোটভাইয়াঃহুম আমিও খাব
কিন্তু ওরা খাওয়ার আগেই আমি খাবারের প্লেটটা নিয়ে নিলাম।
ভাইয়ারা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
আমিঃঅনেক মজা হইছে তাই আমি সব খাব।তোমরা পরে খেও।
বড়ভাইয়াঃপাগলি একটা । (হালকা হেসে)
ছোটভাইয়াও একটা মুচকি হাসি দিল।
আমিঃচাচি যাও ভাইয়াদের জন্য বিরিয়ানি রান্না করো।
চাচিঃআমি এহনি যাইতাছি।
এই বলে চাচি চলে গেলো রান্না করতে।
চাচি যেতেই ভাইয়ারা আমার কাছে আসলো।
আমি খেয়ে যাচ্ছিলাম।
বড়ভাইয়াঃখুব বড় হয়ে গেছিস রে তুই টুকু। (আমার মাথায় হাত রেখে)
ছোটভাইয়াঃআমাদের যাতে খারাপ না লাগে সেইজন্য এতো কস্ট করে এই অখাদ্যগুলা খাচ্ছিস?
আমিঃকই না তো খুব মজা হয়েছে।
বড়ভাইয়া এবার প্লেট সরিয়ে নিল।
বড়ভাইয়াঃহয়েছে আর পাকামো করতে হবে না।
তারপর আমরা তিনজন মিলে কার্টুন দেখতে লাগলাম।
একটু চাচি খাওয়ার জন্য ডাক দিল।
আমরা তিনজন একসারির তিনটা চেয়ারে বসলাম। আমি দুইভাইয়ার মাঝখানে বসলাম।কারন আমার ভাইয়ারা সবসময় আমাদের খাইয়ে দেয়।
আমিঃআর খাব না।এবার তোমরা খাও।
বড়ভাইয়াঃআচ্ছা যা।
আমি রুমে চলে আসলাম।

in khan vila

দাদুভাইঃআসবো দাদুভাই?
রুদ্রঃআরে দাদুভাই আসো।
দাদুভাইঃআচ্ছা ফারিয়া মেয়েটা সম্পর্কে আমাকে কিছু বল তো।
রুদ্রঃকেন?
দাদুভাইঃনা মানে এমনি।
রুদ্রঃজানো দাদু মেয়েটা অনেক সাহসি।তা না হলে ভাবো আমাকে থাপ্পড় মারে।যেই রুদ্রের দিকে কেউ তাকিয়ে কথা বলতে সাহস পায় না ওই রুদ্রকে ও থাপ্পড় মেরেছে।প্রচন্ড রাগি আর অনেক জেদি।কিন্তু দেখতে অনেক সুন্দর। জানো দাদু তার ডানগালে ছোট একটা তিল আছে আর গলায় একটা লাল তিল আছে।কিন্তু হে একটা কথা মানতে হবে যে মেয়েটা অনেক মানবিক,মিশুক।আর ভাইয়াদের জানপাখি।
দাদুভাইঃবাহ বাহ মাত্র কয়েকদিনেই মেয়েটাকে এতো ভালোভাবে স্ক্যান করে ফেলেছিস?
রুদ্রঃআরে না দাদু তেমন কিছু না।
দাদুভাইঃভালোবাসিস??
রুদ্রঃকি যে বল না দাদু?আমি আর ওই মেয়েকে!কখনও না।
রুশাঃতাহলে মধ্যরাতে ওর বাসায় যাস কেন?
রুদ্র অবাক হয়ে পিছনে তাকায় দেখে রুশা দাঁড়িয়ে আছে।
রুদ্রঃকি কি বলছিস এগুলা!(ঘাবড়ে গিয়ে)
রুশাঃতুই ভুলে গেছিস ভাইয়া যে আমি তোর বোন।
দাদুভাইঃএতই যখন ভালোবাসিস তাহলে সব কিছু বলে দে।
রুদ্রঃআমি ওকে ভালোবাসি না।
রুশাঃমিথ্যা বলিস না ভাইয়া।এমন না হয়ে যায় যে তুই ওকে বলার আগেই ও অন্যকারোর হয়ে গেলো।
রুদ্রঃসেটা কখনই হবে না।কিন্তু ও একটা মানুষ?
দাদুভাইঃতো কি হয়েছে?তোর মাও তো মানুষ
রুদ্রঃকিন্তু ওর যদি কোনো ক্ষতি হয়।
দাদুভাইঃওর কোন ক্ষতি হবে না।ওরা তিন ভাইবোনই একধরনের ক্ষমতা আছে।যেটা ওরা নিজেরাই জানে না হয়তোবা জানে।
আদি বইয়ে বলা আছে যে ওই মেয়েই তোমার যোগ্য জীবনসাথি।ওই মেয়ে মানুষ হলেও তাদের তিনজনের মধ্যেই এক অদ্ভুত শক্তি আছে।
রুশাঃতাহলে তো সব হয়েই গেলো।
রুদ্রঃনা। ও যদি জানে যে আমি বা আমরা মানুষ না তাহলে ও এটা মানতে পারবে না।তাই ও রুদ্রকে না রাতের লোকটাকে ভালোবাসবে।
রুশাঃকিন্তু জানিস আমার মনে হয় ফারিয়ার বড়ভাইয়া মেহেককে কিছুটা পছন্দ করে।
রুদ্রঃওটা আমারও মনে হয়েছে।তার সাথে ফারিয়ার বড়ভাইয়াকে আমার কাছে অনেক অদ্ভুত লেগেছে।
দাদুভাইঃসব রহস্য আস্তে আস্তে খুল।
তার আগে এসব কিছু নিহাল আর কথাকে বলতে হবে।আমি ওদেরকে সব বুঝিয়ে বলবো।
রুশাঃহুম দাদুভাই।
রুদ্রঃচলো অনেক রাত হয়েছে সবাই ঘুমাতে যাও।আমাকে একটু পর যেতে হবে।
রুশাঃযাচ্ছি যাচ্ছি।
রুশা আর দাদুভাই চলে গেলো।
রুদ্রঃতুমি আমাকে না তোমার লোকটাকেই ভালোবাসবে।তাহলে তুমি আর কখনও আমাকে ছেড়ে যাবে না।তোমার সেই লোকটা যে আমি সেটা জানার পরও তুমি আমাকে ছেড়ে যাবে না।আর যদি যাওআর কথাও তুমি ভাবো তাহলে………..
আর কিছু না বলে রুদ্র একটা ডেবিল হাসি দিল।

অন্যদিকে

বড়ভাইয়াঃযেই আমি কোন মেয়ের দিকে তাকাই না কোন মেয়েকে কোনদিন পাত্তা দেই নাই সেই আমি কিনা একটা পিচ্ছি পাগলির প্রেমে পরলাম। (হালকা হেসে)
আমিঃতা সেই পিচ্ছি পাগলিটা কি মেহেক রানি।
বড়ভাইয়াঃহুম।(আনমনেই)
ছোটভাইয়াঃও আচ্ছা।
বড়ভাইয়াঃতোরা এখানে?(ঘাবড়ে গিয়ে)
ছোটভাইয়াঃনা মানে আমার ভাইও আজকাল কোন মেয়ের কথা ভাবে!!!
বড়ভাইয়া কিছু না বলে হালকা হাসলো।
আমিঃতা ভাইয়া আমি কি মেহেককে বলবো।
বড়ভাইয়াঃএকদমি না।
আমিঃকিন্তু যদি অন্য কেউ ওকে নিয়ে চলে যায় তখন!
বড়ভাইয়াঃআমাকে কি তোদের বাচ্চা মনে হয়? ফারদিন সিদ্দিকী জানে কি ভাবে তার জিনিস আদায় করতে হয়।
আমি আর ছোটভাইয়া বসে বসে ভাইয়ার কথাগুলা শুনতেছি।
বড়ভাইয়াঃসোজা আঙুলে ঘি না উঠলে আঙুল বাকাতে হবে।
আমিঃবুঝলাম।
বড়ভাইয়াঃকি বুঝলি?
ছোটভাইয়াঃএই যে আমাদের মেহেকের কপালে একটা দাজ্জাল বর আছে।
এই বলে আমি আর ছোটভাইয়া হাসতে লাগলাম।
বড়ভাইয়াঃতবে রে।
ভাইয়া আমাদের দিকে তেরে আসতেই আমরা দুইজনেই এক দৌড় দিলাম।
বড়ভাইয়া আমাদের কান্ড দেখে হাসতে লাগলো।

চলবে……..

#you_are_only_my_queen
Faria Siddique
Part 9

রাত ১ঃ৫০

আমি বসে আছি আমার রুমে আর ছোটভাইয়া আমার মাথায় তেল দিয়ে দিচ্ছে।
আমিঃভাইয়া আর না।এবার তুমি বসো আমি দিয়ে দিচ্ছি।
বড়ভাইয়াঃআর আমাকে কে দিয়ে দিবে?
আমিঃআমিই দিয়ে দিব।তোমরা দুইজনেই বসো।
আমি তারপর আমার দুইভাইয়ার মাথায় তেল দিয়ে দিলাম।

(আপনারা হয়তো ভাবছেন যে স্মার্ট ছেলেরা মাথায় তেল দেয় না তাহলে মনে হয় আমার ভাইয়ারা আনস্মার্ট। একদমি তা না আসলে আমার ভাইয়ারা ওদের চুলের প্রতি অনেক যত্নশীল তাই তারা রাতে চুলে তেল দেয় সকালে উঠে শ্যাম্পু করে ফেলে)

আমিঃযাও তোমাদের মাথায় তেল দিয়ে দিলাম এবার যাও আমার খুব ঘুম পাচ্ছে।
ছোটভাইয়াঃআচ্ছা ঠিক আছে।তুই শুয়ে পর আমি লাইট অফ করে যাচ্ছি।
আমিঃতুমি যাও আমি লাইট অফ করবো।
ছোটভাইয়াঃআচ্ছা।
এই বলে ভাইয়ারা আমার কপালে চুমু দিয়ে নিজের রুমে চলে গেলো।
আমিঃআজকে কি আবার লোকটা আসবে নাকি?আজকে আমি ওই লোকটার মুখ দেখবই।
এসব ভাবতে ভাবতে আমি ঘুমিয়ে গেলাম।

রাত ২ঃ০০

একটা মেয়েকে কয়েকটি ছেলে হাত পা বেধে নিয়ে যাচ্ছে।
হঠাৎ করেই তাদের সামনে একটা লোক চলে আসল।লোকটা কালো কালারের হুডি পরা ছিল আর মুখে মাস্ক ছিলো।
লোকটা আর কেউ না রুদ্র।
রুদ্রঃকই নিয়ে যাচ্ছিস মেয়েটাকে?
ছেলেগুলাঃতুই কে রে?
রুদ্রঃআমি কে তা তোদের না জানলেও চলবে।আগে মেয়েটাকে ছাড়।
ছেলেগুলাঃছাড়ব না কি করবি রে তুই?
কথাটা বলতে দেরি হয় কিন্তু রুদ্ররের মারতে দেরি হয় না।
সে সব গুলাকে লাথি মেরে নিচে ফেলে দিল।
তারপর মেয়েটাকে উঠিয়ে হাত পায়ের বাধন খুলে দিলো।
রুদ্রঃএতো রাতে একটা মেয়ে হয়ে তুমি রাস্তায় কেন বের হয়েছো?
মেয়ে কিছু বলার আগেই ছেলেগুলা সব উঠলো।
তা দেখে রুদ্র ছেলেগুলার কাছে গিয়ে তার সরু দাত দিয়ে সবগুলার গাড়ে কামর বসিয়ে দিল।ওরা সাথে সাথেই মাটিতে লুটিয়ে পরলো।
তারপর রুদ্র আবার মেয়েটার কাছে এলো।
চল আমি তোমাকে তোমার বাড়িতে ছেড়ে দিয়ে আসি।
মেয়েটা এমনি রুদ্রের এই রুপ দেখে ভয় পেয়ে আছে।তাই আর কিছু না বলে রুদ্রের সাথে যেতে লাগলো।
মেয়েটাকে বাড়ি পৌছে দিয়ে রুদ্র এবার আমার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হল।
রুদ্রঃআমি আসছি ময়নাপাখি।

রাত ৩ঃ৫০

রুদ্র রুমে ডুকতেই আমার ঘুম ভেঙে গেলো।
আমিঃরাতে রাতে এসে আমার ঘুম না ভাঙালে আপনার শান্তি লাগে না তাই না?
রুদ্রঃআসলেই তাই।
আমি এবার উঠে বসলাম।
আমিঃআচ্ছা আপনি আমাকে কোথায় দেখেছেন বলেন তো?
রুদ্রঃসেটা তো পরে জানতে পারবে।এখন বল তুমি কি আমাকে ভালোবাসো?
আমিঃকোন প্রশ্নই ওঠে না আপনাকে ভালোবাসার।আপনার মতো একটা যাকে কিনা আমি এখন পর্যন্ত দেখিই নাই।যার নিজের চেহারাটা দেখানোর সাহস পর্যন্ত নাই আমি এমন একজনকে ভালোবাসবো আপনি ভাবলেন কি করে!
রুদ্র আমার কোমর জড়িয়ে তার সাথে মিশিয়ে নিল।তারপর আমার কানের কাছে এসে ফিসফিস করে বলল
রুদ্রঃতুমি কেন আমাকে রাগানোর চেষ্টা করো বল তো?আমি রাগলে তোমারই ক্ষতি।
এই বলেই আমার কানে আস্তে একটা কামর দিল।তারপর আমার চুলগুলা সরিয়ে আমার গাড়ে মুখ ডুবালো।
রুদ্রের ছোয়ায় আমি কেপে উঠলাম।তারপর নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলাম।কিন্তু আর পারলাম কই।
রুদ্রঃমুরগীর মত এমন ছটপট করছো কেন?তুমি কি আমার সাথে পারবে বলো?
আমি অসহায় মুখ করে রুদ্রের দিকে তাকালাম।রুদ্র ঠাস করে আমার গালে একটা কামর দিল।
আমিঃআহহহ।
আমি এবার কান্না করে দিলাম।কারন কামরটা আস্তে দিলেও আমার ব্যথা লেগেছে।
রুদ্র উত্তেজিত হয়ে আমাকে ছেড়ে আমাকে বসালো। তারপর যেই জায়গায় কামর দিয়েছে ওই জায়গায় একটা কিস করে দিল।
রুদ্রঃআসলে আমি তোমাকে কস্ট দিতে চাই নাই।(কান্নার সুরে)এখনো ব্যাথা হচ্ছে।(অশান্ত হয়ে)
আমি দেখছি আর ভাবছি
আমিঃলোকটা আমার কথা এতো ভাবে, আমার এতো কেয়ার করে কিন্তু আবার নিজেই ব্যথা দেয়।পাগল লোক একটা।
(মনে মনে)
রুদ্রঃআমি পাগল ছিলাম না পাগল হয়েছি তোমার জন্য।
আমি হা হয়ে তাকিয়ে আছি।
রুদ্রঃযাও গিয়ে ঘুমিয়ে পরো।
আমি কোন কথা না বলে চুপচাপ ঘুমিয়ে পরলাম।একটু পরে লোকটাও এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পরল।
আমি আর কিছু বললাম না।কারন আমি জানি এই বজ্জাতরে বইল্লা কোন লাভ নাই।
রুদ্রঃ মনে মনে আমাকে গালি দিয়ে আমার ঘুমটা ভাঙার প্লেন করেছো নাকি।শুনো আমি যদি ঘুমাতে না পারি তাহলে তুমিও কিন্তু ঘুমাতে পারবে না।তাই গালি না দিয়ে ঘুমাও।
এই বলে রুদ্র আমাকে আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে গেলো।
কোন উপায় না পেয়ে আমিও ঘুমিয়ে গেলাম

in khan vila

নিহালঃবাবা এগুলা কি বলছো!!!
কথাঃহুম বাবা এটা কি করে হতে পারে!!
আরহামঃকেন হতে পারে না।তোমরাও তো একজন মানুষ আর একজন ভ্যাম্পায়ার। তাহলে ওদের মিল হতে পারে না কেন?
নিহালঃকিন্তু বাবা রুদ্রের যেই রাগ…..
আরহামঃতুমি তোমার ছেলেকে কোনদিন রাতে ঘুমাতে দেখেছো?কিন্তু ফারিয়া আসার পর থেকে ও রাতে শান্তিতে ঘুমাচ্ছে তাও ফারিয়ার কাছে গিয়ে।
নিহালঃকিন্তু রুদ্র ফারিয়াকে দেখছে মাত্র দুইদিন হইলো।
রুশাঃনা ভাইয়া ফারিয়াকে দেখেছে আরও দুইমাস আগে।
পিছন থেকে রুশা বলে উঠে।
কথা আর নিহালঃমানে!!!!!
আরহামঃহুম। রুদ্র দুইমাস আগে কয়েকদিনের জন্য লন্ডনে গিয়েছিলো তখন ও সেখানে ফারিয়াকে প্রথম দেখে।আর ফারিয়াকে দেখা মাত্রই ওর চোখ স্থির হয়ে যায়।চোখের আগুন নিভে যায়।মন শান্ত হয়ে যায়।
নিহালঃকিন্তু বাবা এটা কি করে সম্ভব। বইয়ে লেখা আছে যে রুদ্র কোন সাধারণ মেয়ের প্রেমে পরতেই পারে না।
রুশাঃফারিয়া কোন সাধারণ মেয়ে না আব্বু।ও আর ওর ভাইয়ারা কোন সাধারণ মানুষ না আর সেটা শুধু ওর ভাইয়ারা জানে।ফারিয়া এই সম্পর্কে কিছুই জানে না।ওদের তিন ভাইবোনেরই একধরনের ক্ষমতা আছে।আর তা না হলে তুমি ভাবো বাবা আমরা কিন্তু কোন সাধারন মানুষের সাথে থাকতে পারি না শুধু মা ছাড়া। কিন্তু আমি আর মেহেক ফারিয়ার সাথে একরাত থেকেও এসেছি কিন্তু ফারিয়ার কোন ক্ষতি হয় নাই।আর ভাইয়া তো প্রতিদিনই থাকে।যদি ফারিয়া কোন সাধারন মেয়ে হতো তাহলে ওর কোন ক্ষতি হত।কিন্তু ফারিয়ার কিন্তু কোন ক্ষতি হয় নাই।
কথাঃকিন্তু রুদ্রের যখন রাগ হয় তখন সে অত্যন্ত ভয়ংকর হয়ে উঠে।তখন যদি মেয়েটার কোন ক্ষতি করে ফেলে!
আরহামঃএমনটা কখনও হবে না কারন তোমার ছেলে সব সহ্য করতে পারলেও ফারিয়ার কস্ট সহ্য করতে পারে না।ফারিয়ার চোখের পানিই তার দূর্বলতা।
নিহালঃসবই বুঝলাম।এখন দেখা যাক কি হয়।
কথাঃহুম।

চলবে…….