you are only my queen part-12+13

0
3644

#you_are_only_my_queen
Faria Siddique
Part 12

আমি,রুশা আর মেহেক ক্যান্টিনে বসে আছি।
ভাইয়ারা অফিসে চলে গিয়েছে।
রুশাঃজানিস আমাদের প্রিন্সিপাল নাকি নারী পাচার করতো!
মেহেকঃ কি বলছিস এসব?
আমিঃযা হয়েছে ভালই হয়েছে।
রুশাঃহুম।কিন্তু আমার মনে হয় কেউ স্যারকে ইচ্ছা করে মেরেছে।
আমি ভ্রু কুচকে রুশার দিকে তাকালাম।
আমিঃআমি তো শুনলাম স্যারের নাকি এক্সসিডেন্ট হইছে….
মেহেকঃআমিও তো তাই শুনলাম।
রুশাঃকিন্তু আমার কেমন জানি খটকা লাগছে।
মেহেকঃহইছে তোর এই গোয়েন্দা গোয়েন্দা ভাব তোর কাছেই রাখ।এখন চল মাঠে যাই।
আমিঃহুম চল।
তারপর আমরা তিনজন মাঠে গেলাম।গিয়ে দেখি রুদ্ররা গাছ তলায় বসে আছে।আমি সেদিকে পাত্তা না দিয়ে মাঠের মাঝখানে গিয়ে বসলাম।
রুদ্র আমার দিকে কেমন করে যেন তাকিয়ে আছে।কিন্তু ওর চোখগুলা কেমন জানি চেনা চেনা লাগছে।কিন্তু বুঝতে পারছি না এমন কেন হচ্ছে।মনে হচ্ছে ও আমার খুব কাছের কেউ।শুধু এখন না ভার্সিটির প্রথম দিন থেকেই মনে হচ্ছে।
রুশাঃকিরে কি ভাবছিস?
আমিঃকিছু না।
মেহেকঃআমার তো মনে হয় তুই রুদ্র ভাইয়াকে নিয়ে ভাবছিস!(মুচকি হেসে)
আমি রাগি চোখে তাকালাম মেহেকের দিকে।

অন্যদিকে

রুদ্রঃএই মেয়েটাকে রাগলেও এতো সুন্দর দেখায় কেন?
আকাশঃকিরে কি ভাবছিস?
রুদ্রঃকিছু না।
আকাশঃরুদ্র তুই আমার সাথে আয়।
রুদ্রঃকই যাবো?
আকাশঃআসতে বলছি তো।
রুদ্রঃ চল।
রুদ্র আর আকাশ অন্যজায়গায় চলে গেল।
আকাশঃতুই কি করছিস এসব?
রুদ্রঃআমি যা করছি তা তো তোর অজানা নয়।
আকাশঃযদি কোন ক্ষতি হয় ফারিয়ার?
রুদ্রঃহবে না।এই রুদ্র থাকতে ফারিয়ার কোন ক্ষতি হবে না।আমি হতে দিব না।
আকাশঃনা হলেই ভালো। আমাদের ফ্রেন্ডদের মধ্যে শুধু আমি জানি যে তুই,রুশা,মেহেক ভ্যাম্পায়ার। ফারিয়া যদি জানতে পারে তাহলে কি ও এসব কিছু মেনে নিবে?
রুদ্রঃও তো আমাকে না রাতের সেই লোকটাকে ভালবাসবে।
আকাশঃফারিয়া অনেক চালাক।ওর যদি একবার সন্দেহ হয় তাহলে ওর কিন্তু বেশি সময় লাগবে না সব জানতে।
রুদ্রঃআমি তো সেটাই চাই।
আকাশ আর কিছু বলল না।তারা আবার সবার কাছে গেলো আর কথা বলতে লাগলো কিন্তু রুদ্র শুধু আমাকেই দেখছে।

আমি মাঠের মাঝখানে বসে ছিলাম আর ভাবতাছিলাম বিশাল আর ভাবিনের কথা।
আমিঃকুত্তা গুলা আর কবে আইবো।একবার আইয়া নিক কুত্তাগুলার ১২টা বাজামু আমি।(মনে মনে)
রুশাঃআচ্ছা তুই একটু পর পর কোথায় হারিয়ে যাস বল তো?
মেহেকঃকার কথা ভাবিস এতো?
আমিঃকারোর কথা না।
রুশাঃআচ্ছা এটা তোর গাড়ি না??কিন্তু তুই তো এখানে তাহলে তোর গাড়ি দিয়ে কে আসলো? (গেইটের দিকে তাকিয়ে)
আমিঃকি বলছিস এসব!আমি তো আজকে বাইক নিয়ে এসেছি।
রুশাঃতাহলে এইডা কিতা?(গেইটের দিকে ইশারা করে)
আমিও তাকালাম দেখলাম আমার দুই কুত্তা আমার গাড়ি থেকে নামতাছে। আমার মনে হল আমি স্বপ্ন দেখছি। কিন্তু ওরা তো আমার দিকেই এগিয়ে আসছে।
আমি আর কিছু না ভেবে ওদের কাছে গেলাম।আমি প্রথমে খুশি হলেও পরে আবার রাগ উঠে যায়।
আমি ওদের দিকে রাগি চোখে তাকালাম।
ওরা বুঝতে পারছে যে আমি রেগে আছি।তাই ওরা আমাকে এসে জড়িয়ে ধরল।
আমিঃছাড় বলছি।কুত্তা ছাড়।
আমি ওদের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আশেপাশে লাঠি খুজতে লাগলাম।
বিশালঃএবারের মতো মাফ করে দে?(হাত জোর করে)
ভাবিনঃপ্লিজ জানু।
আমিঃলাস্ট বারের মতো মাফ করলাম।
ওরা দুইজনেই আমাকে আবার জড়িয়ে ধরল।
চল তোদের সাথে আমার ফ্রেন্ডদের পরিচয় করিয়ে দেই।
বিশালঃফ্রেন্ড মানে?(ভ্রু কুচকে)
ভাবিনঃতুই কি এখানে এসে নতুন বেস্ট ফ্রেন্ড বানিয়েছিস নাকি?(রেগে)
আমিঃআরে না।শুধু ফ্রেন্ড।
বিশাল আর ভাবিনঃঠিক তো?
আমিঃহুম।

রুদ্র এসব দেখে প্রচুর রেগে গেছে।মনে হচ্ছে তার চোখ মুখ দিয়ে এখনি আগুন বের হবে।
রুদ্রঃতুমি এখন যা করলে তার শাস্তি তোমাকে পেতেই হবে ময়না পাখি।(রেগে মনে মনে)

তারপর আমি দুইজনকে রুশা আর মেহেকের কাছে নিয়ে গেলাম।
আমিঃরুশা আর মেহেক ওরা হচ্ছে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড বিশাল আর ভাবিন।
মেহেকঃহাই আমি মেহেক
রুশাঃআমি রুশা।
বিশালঃহুম তোমাদের কথা ফারিয়া আমাদের বলেছে।
ভাবিনঃতো কেমন আছ তোমরা?
মেহেকঃভালো। তোমরা কেমন আছ?
বিশালঃ আমরাও ভালো আছি।
রুশার চোখ এখন রুদ্রের দিকে।রুদ্রের এই ফেস দেখে রুশা অনেক ভয় পেয়ে গেলো।
রুশাঃভাইয়াকে এখনি বাসায় নিয়ে যেতে হবে তা না হলে আল্লাহই জানে আজকে কি হবে ফারিয়ার সাথে।
রুশাঃআচ্ছা শুন তোরা থাক আমি বাসায় যাই।আমার কিছু কাজ আছে।
আমিঃআচ্ছা যা।
রুশা তারাতারি গিয়ে রুদ্রকে নিয়ে বাসায় চলে গেলো।
মেহেকও চলে গেলো।
বিশালঃআচ্ছ জানু আমরা যেই কাজের জন্য এসেছি সেটা তো প্রায় শেষের দিকে. তাই না?
ভাবিনঃওই প্রিন্সিপালের একা একা সাহস হবে এসব কাজ করার।ওর পিছনে নিশ্চয় কোনো বড় মানুষের হাত আছে।
আমিঃআমারও তাই মনে হয়।আচ্ছা চল বাসায় যাওয়া যাক। বাসায় গিয়ে রাতে এগুলা নিয়ে আলোচনা করা যাবে।
বিশালঃহুম চল।
আমরা তিনজনই বাসায় চলে এলাম।

in khan vila

রুদ্র বাসায় এসেই বাসার সব কিছু ভাংচুর করতে লাগলো। নিহাল,কথা আর দাদুভাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
নিহালঃরুদ্র থাম।এসব কি করছিস?
কথাঃকি হয়েছে আমাদের বল?
আরহামঃএভাবে হবে না।
এই বলেই আরহাম কিছু একটা পড়ে রুদ্রের গায়ে ফু দিল।তাতে রুদ্র কিছুটা শান্ত হলো এবং নিজের ঘরে চলে গেলো।
রুদ্রের পিছন পিছন রুশা ও এলো।
নিহালঃরুশা রুদ্র এমন ভাবে রেগে আছে কেন?
কথাঃহুম কি হয়েছে?
তারপর রুশা সব বলল।
সবাই চিন্তায় পরে গেলো।
রুশাঃআমি ভাবছি আজকে ফারিয়ার কি হবে?
আরহামঃওর কিছুই হবে না।কারন ও রুদ্রের জন্যই সৃস্টি হয়েছে আর তাই রুদ্রের রাগ সহ্য করার ক্ষমতাও তার আছে।
কথাঃবাচ্চা মেয়েটা আর কতো সহ্য করবে এসব।
নিহালঃএসব ভেবে লাভ নাই কারন আমরা কিছুই করতে পারবো না।
রুশাঃআল্লাহ তুমি ফারিয়াকে রক্ষা করো।

রুদ্রঃতোমাকে এর জন্য শাস্তি পেতেই হবে।(চিল্লিয়ে রেগে)তোমাকে ছোয়ার অধিকার শুধু আমার আছে।আজকে তোমার সাথে যা হবে তার জন্য তুমি নিজেই দায়ী থাকবে।
এসব কথা বলেই রুদ্র তার হাতের পাশে থাকা ফুলদানিটা ভেঙে ফেলল।

চলবে……..

#you_are_only_my_queen
Faria Siddique
Part 13

রাতে

in khan vila

সবাই খাবার টেবিলে বসে খাবার খাচ্ছে।রুদ্রও আছে।রুশা খাচ্ছে আর রুদ্রকে দেখছে।শুধু রুশা না সবাই খাচ্ছে আর রুদ্রকে দেখছে।রুদ্র স্বাভাবিক ভাবেই খাবার খাচ্ছে।ওকে দেখে মনেই হচ্ছে না যে একটু আগে এতো কিছু হয়েছে।
রুদ্রঃআমি কি এলিয়েন নাকি যে আমাকে সবাই এভাবে দেখছো?(খাবারের দিকে তাকিয়ে)
রুদ্রের কথা শুনে সবাই থতমত খেয়ে খাবারের দিকে মনোযোগ দিল।
নিহালঃতুমি কি তোমার রাগটা একটুও কন্ট্রোল করতে পারো না রুদ্র?(গম্ভীর হয়ে)
রুদ্রঃবাবা প্লিজ আমার আর ফারিয়ার মধ্যে আমি চাই না তোমরা কেউ ডুকো।
আরহামঃতোর চাওয়া মতই যে আমাদের সব কিছু করতে হবে এমনটা কি কোথাও লিখা আছে নাকি?
রুশাঃফারিয়া যদি একবার জানতে পারে যে রাতে তুই ওর ঘরে যাস তাহলে ও যে কি করবে আল্লাহই জানে।
রুদ্রঃতোর ভাইয়া জানে কিভাবে তোর ভাবিকে ঠান্ডা করতে হয়।আর হা কি বললি যদি জানতে পারে তাহলে কি করবে?শুন যাই করুক আমার কাছ থেকে দূরে যাওয়ার কথা ভাববেও না।
আর কেউ কিছু বলল না।কারন জানে রুদ্রকে কিছু বলে লাভ নাই।
এরপর সবাই খাবার খেয়ে রুমে চলে গেল।
রুদ্র রুমে গিয়ে সোফার উপরে পায়ের উপর তুলে বসে আছে।
রুদ্রঃজীবনের সবচেয়ে বড় ভুল তুমি আজকে করলে।তুমি আমার সামনে অন্যকাউকে জড়িয়ে ধরে খুব বড় ভুল করে ফেললে।এর শাস্তি যে তোমাকে পেতেই হবে ময়নাপাখি।আজকে তুমি আমার আসল রুপ দেখবে।(বাকা হেসে)
রুশাঃআল্লাহই জানে আজকে কি হবে?
ভাইয়া এতো শান্ত তার মানে নিশ্চয় মনে মধ্যে কোন ভয়ংকর প্লেন চলছে।উফফ এই পোলারে নিয়া আর পারি না।রাগ রাগ রাগ। এই রাগ নিয়েই থাকবে সারাজীবন।
নিহালঃতোমার কি মনে হয় কথা?
কথাঃআমার ফারিয়ার ওপর পুরা বিশ্বাস আছে।ও আমার পাগলটাকে ঠিক শান্ত করে নিবে।
নিহাল আর কিছু বলল না।

অন্যদিকে

আমি,ভাইয়ারা,বিশাল আর ভাবিন একসাথে বসে আছি সোফায়।খাবার শেষে আমরা সবাই বসে আছি নারী পাচারের বিষয়ে কথা বলতে।
আমিঃভাইয়া আমার মনে হচ্ছে এইসবের পিছনে অনেক বড়মাপের জড়িয়ে আছে।
এবং সে এখন দেশের বাইরে আছে।
বড়ভাইয়াঃতুই কিভাবে বুঝলি?
আমিঃওইদিন আমি প্রিন্সিপালের রুমের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় উনাকে কার সাথে জানি ফোনে কথা বলতাছিল।উনি কাকে যেন বলছিলেন যে দেশে না আসার জন্য উনি সব কিছু সামলে নিবে।আমি তখনি বুঝলাম যে দেশের বাইরে থেকে কেউ একজন পুরা গেমটা খেলছে।
ছোটভাইয়াঃতাহলে আমাদের আরও খোজ লাগাতে হবে।
বিশালঃকিন্তু আমার মনে হয় না যিনি দেশের বাইরে আছে তিনি আমাদের সম্পর্কে কিছু জানে।
ভাবিনঃতা হতে ও পারে আবার না ও হতে পারে।
আমিঃআমার মনে হচ্ছে জানে শুধু বাংলাদেশে না আরও অনেক দেশ থেকে মেয়ে পাচার করা হয়।
ছোটভাইয়াঃআমারও তাই মনে হচ্ছে।
বড়ভাইয়াঃঅনেক রাত হয়েছে যাও সবাই ঘুমিয়ে পর।
আমিঃহুম।যা বিশাল আর ভাবিন ঘুমিয়ে পর।কালকে দেখা হচ্ছে।
বিশালঃহুম।
আমি আমার রুমে চলে আসলাম। কিন্তু আমার কেমন জানি ফিল হচ্ছে। মনে হচ্ছে আজ আমার সাথে কিছু একটা হতে যাচ্ছে।আমি আর সাত পাচ না ভেবে ঘুমিয়ে পরলাম।

রাত ৩ঃ৩০

রুদ্র আমার রুমে প্রবেশ করলো।আমি ঘুমাচ্ছি।হঠাৎ আমি আমার ওপর ভারী কিছু অনুভব করলাম।আমি চোখ খুলে তাকাতেই একজোড়া লাল চোখ দেখতে পেলাম।আমি ভয় পেয়ে গেলাম।আমি নড়তেও পারছি না।
আমিঃআরে আপনি তো বড় আজব লোক। দেখি নামুন আমার কস্ট হচ্ছে।
কিন্তু রুদ্র কোনকথাই শুনলো না।ঠাস করে আমার গাড়ে কামড় দিল।
আমি ব্যথায় চিৎকার করে উঠলাম।কিন্তু আমার চিৎকার কেউ শুনতে পারবে না কারন আমার রুম সাউন্ডপ্রুফ।
রুদ্রঃখুব ব্যথা পাচ্ছিস না।আমারও এমন ব্যথা লেগেছিলো যখন তুই আমার সামনে আরেকজনকে জড়িয়ে ধরেছিলি।
আমিঃআপনি কা কার কথা বলছেন?আর আমি জড়িয়ে ধরলেই বা আপনার কি?(কান্না করতে করতে)
আমার এই কথা শুনে যেন রুদ্র আরও ক্ষেপে গেলো। এবার আমার উপর থেকে উঠে আমাকে একটানে দাড় করিয়ে দিল।তারপর আমার গালে অনেক জোরে একটা থাপ্পড় মারলো।আমি টাল সামলাতে না পেরে নিচে পরে গেলাম।আর আমার ঠোটের কোণা দিয়ে রক্ত পরতে শুরু করলো। তাতেও যেন রুদ্রর রাগ কমলো না।সে আমাকে উঠিয়ে আমার চুলের মুঠি ধরে আমার ঠোট দখল করে নিলো।আমার ঠোঁটের উপরে সে তার সব রাগ উঠাচ্ছে।আমি আর সহ্য করতে না পেরে ওকে জোরে ধাক্কা দিলাম।তাতে রুদ্রের মাস্কটা খুলে গেলো। আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম।চোখ দিয়ে যেন আপনাআপনিই পানি পরতে শুরু করলো। আমি কাপা কাপা কন্ঠে বলে উঠলাম
আমিঃরু রু রুদ্র!!!!
রুদ্র রাগ দেখিয়ে বলল
রুদ্রঃতো কাকে ভেবেছিলি?
আমিঃতার মানে আপনি এতো দিন আমার….
আমি আর কিছু বলতে পারলাম না তার আগেই অজ্ঞান হয়ে যাই।
আমি অজ্ঞান হয়ার পরে রুদ্রের হুশ ফিরল।
রুদ্র তারাতারি করে আমাকে বিছানায় শুইয়ে দিল।
রুদ্রঃময়নাপাখি এই ময়নাপাখি কথা বলো।(কান্না করে)।সরি ময়নাপাখি আমি আর তোমার ওপর রাগ দেখবো না।ময়নাপাখি উঠ না।(কান্না করতে করতে)
আমার জ্ঞান এখনও ফিরে নাই।রুদ্র পাগলের মতো হয়ে গেছে।
তারপর রুদ্র আমার কাছে এসে আমার ক্ষত জায়গাগুলার মধ্যে হাত ভুলিয়ে দিল সাথে সাথে আমার সব ক্ষত ভালো হয়ে গেলো।
রুদ্র এবার আলতো করে আমার ঠোটে ঠোঁট ছোয়ালো।
রুদ্রঃতুমি কেন বুঝ না আমি আমার সাথে ছাড়া তোমাকে আর কারোর সাথে সহ্য করতে পারি না।তুমি শুধুই আমার।#you_are_only_my_queen।এই ময়নাপাখি উঠ না।আচ্ছা আমি আর কখনও এমন করবো না।কিন্তু তুমি যদি তোমার ভাইয়ারা আর তোমার দুই বেস্ট ফ্রেন্ড ছাড়া আর কোন ছেলের সাথে কথা বল তাহলে আমি কি করবো আমি নিজেও জানি না।
রুদ্র অনেকক্ষন কান্না করার পর আমার জ্ঞান ফিরল।
জ্ঞান ফিরতেই আমি দেখলাম রুদ্র আমার হাত ধরে বসে আছে আর কাদছে।
আমিঃআমার হাত ছাড়ুন।(রেগে)
রুদ্রঃতোমার জ্ঞান ফিরেছে ময়নাপাখি।(উত্তেজিত হয়ে)
আমিঃআমার হাত ছাড়ুন আর প্লিজ এখান থেকে যান।আমি আপনাকে সহ্য পারছি না।
ব্যস আর কি লাগে রুদ্রের রাগ উঠানোর জন্য।
রুদ্রঃতুমি চাও বা না চাও তোমাকে আমার কাছেই থাকতে হবে।তুমি শুধু আমারই।আর হা ওরা তোমার বেস্ট ফ্রেন্ড তাই ছাড় দিলাম।তোমাকে যদি আমি তোমার ভাইয়ারা আর তোমার বেস্ট ফ্রেন্ডরা ছাড়া আর কারোর সাথে কথা বলতেও দেখি না তাহলে দেখবে তোমার কি হাল হয়।(রেগে দাতে দাত চেপে)
আমি ভয়ে আর কিছু বললাম না।কারন আমি সত্যিই রুদ্রকে খুব ভয় পাই।
রুদ্র এবার আমার পাশে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পরলো।
আমি চাইলেও ওকে একচুলও সরাতে পারছি না।
রুদ্রঃতোমার মতো পিপড়া আমাকে সরাতে পারবে না তাই হুদাই চেষ্টা করে লাভ নাই।তার চেয়ে তোমার জন্য চুপচাপ ঘুমিয়ে পরাটাই বেটার হবে।
আমি আর কিছু না বলে ঘুমিয়ে পরলাম।
রুদ্র এইদেখে মুচকি হেসে আমাকে আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পরল।

চলবে……….