you are only my queen part-4+5

0
4121

#you_are_only_my_queen
Faria Siddique
Part 4

চোখ খুলে আমি নিজেকে হসপিটালে আবিষ্কার করলাম।দেখি পাশে রুশা আর মেহেক দাঁড়িয়ে আছে।
মেহেক হলো আমার আর রুশা নিউ ফ্রেন্ড।
খেয়াল করে দেখলাম আমার হাতে স্যালাইন লাগানো। গায়ে হসপিটালের পোশাক।
আমিঃআমি এখানে আসলাম কি করে??
রুশা আর মেহেক কিছু না বলে আমার দিকে রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
আমিঃআরে কিছু বলবি তো কি হইছে?
রুশাঃতুই কেন বৃষ্টিতে ভিজতে গেলি?(কান্নার সুরে)
মেহেকঃতুই জানিস আমাদের কতো চিন্তা হচ্ছিলো তোকে নিয়ে!
আমিঃআরে বাবা আমি ঠিকাছি।
রুশাঃতা তো দেখতেই পারছি।
আমিঃআচ্ছা আমাকে এখানে আনলো কে?
রুদ্রঃআমি ছাড়া আর কে আনবে!
রুদ্রকে দেখা মাত্রই আমার মাথায় রক্ত উঠে গেলো। আমার মনে হচ্ছে আমার মাথাটা ফেটে যাবে।
আমিঃ রুশা উনাকে যেতে বল।(রাগে কাপতে কাপতে)
রুশাঃআমার কথাটা শুন………
আর কিছু বলার আগেই আমি বেডের পাশে থাকা গ্লাসটা ছুড়ে মারলাম দেয়ালে।তারপর চিৎকার করে বললাম
আমিঃপ্লিজ আপনি যানননন।
রাগে আমার চোখ মুখ লাল হয়ে গেলো। আমি চোখে অন্ধকার দেখতে লাগলাম। তারপর আবার অজ্ঞান হয়ে গেলাম।
আমি অজ্ঞান হয়ে যাওয়াতে রুদ্র তারাতাড়ি ডাক্তারকে ডেকে নিয়ে আসলো।
ডাক্তার এসে আমাকে দেখতে লাগলো।
ডাক্তারঃমাথায় অতিরিক্ত চাপের ফলে আবার অজ্ঞান হয়ে গেছে।ও মনে হয় ছোট বেলায় কোথায় ডুবে গিয়েছিলো। যার কারনে ওর ব্রেনের মধ্যে কিছু পানি ডুকে যায়।তাই পানিতে বেশিক্ষণ থাকলে অজ্ঞান হয়ে যায়।আর ওর অতিরিক্ত রাগ আর জেদ।একটা মেয়ের এতো রাগ আর জেদ আমি কখনও দেখি নাই।ছোট থেকেই খুব আদরে বড় হয়েছে তাই মনে হয় এতো রাগ আর জেদ।ওর পরিবারের কে কে আছে?আর ও এই শীতের মধ্যে বৃষ্টিতে ভিজেছে কেন?
রুশাঃওর মা বাবা নেই।ও আর ওর বড় দুইভাই নিয়েই ওর পরিবার।
মেহেকঃহুম।
ডাক্তারঃতাহলে ওর ভাইয়াদেরকে খবর দিন।
রুশাঃআমরা আর কিছুই জানি না।ওর ভাইয়ারা কোথায় থাকে আমরা এসব কিচ্ছু জানি না।
ডাক্তারঃকিন্তু ও ভিজলো কি করে?
তারপর রুশা আর মেহেক ডাক্তারকে সব খুলে বলল।
ডাক্তারঃআমি যা বলেছিলাম ওর রাগ অনেক বেশি।আর রাগ উঠলে ওর আর কিছু খেয়াল থাকে না।রাগের বশেই ও এমন করেছে।
রুদ্রঃএখন কি করবো??
ডাক্তারঃএখন আর কিছু করতে হবে না।একটু পরই ওর জ্ঞান ফিরে আসবে ।কিন্তু ওর রাগ কামানোর চেষ্টা করুন।
এই বলেই ডাক্তার চলে গেলো। রুশা রুদ্রের কাছে গেলো।
রুশাঃসব তোর জন্য হয়েছে
রুদ্রঃযা হয়েছে হয়েছে।আমিই তো ওকে হসপিটাল নিয়ে এলাম।তাই শোধবোধ হয়ে গেছে।
মেহেকঃভাইয়া সব কিছুতেই তুমি এমন করো।
রুদ্রঃআমি কি করলাম আমি কি জানতাম ওই মেয়ের এতো রাগ!!
রুশাঃহইছে এবার যা।আমি মাকে বলবো ওকে একবার দেখে যেতে।
রুশা আর রুদ্রের মা কথা খান একজন ডাক্তার।আর এইটা ওদেরই হসপিটাল।
রুদ্রঃআমি তাহলে যাই।
রুশাঃযা।
রুদ্র চলে গেলো।
রুদ্রঃবাবারে বাবা এইটুকু মেয়ের কতো জেদ।তাতে কি ওর এই রাগ,জেদ আমিই কমাবো।(মনে মনে বাকা হেসে)

আমার জ্ঞান ফিরলে আমি দেখি আমার পাশে রুশা,মেহেক আর একটা মহিলা ডাক্তার দাঁড়িয়ে আছে।
আমিঃউনি কে?(মহিলাকে দেখিয়ে)
রুশাঃ উনি আমার মা।
আমিঃআন্টি কেমন আছেন?
কথাঃভালো। তুমি কেমন আছ মা?
আমিঃভালো। আচ্ছা শুনুন না আমি আমার বাড়িতে যাবো। প্লিজ প্লিজ।
কথাঃআচ্ছা চলো আমি তোমাকে পৌছে দেই।
আমিঃনা লাগবে না আন্টি আমার গাড়ি আছে।আমি চলে যেতে পারবো।
কথাঃআর কোন কথা না আমিই তোমাকে পৌঁছে দিব।
আমি আর কিছু বললাম না।
আমি আর আন্টি গাড়িতে উঠে আমার বাড়ির সামনে চলে আসলাম।
আমাকে গাড়ি থেকে নামতে দেখে কয়েকটি গার্ডস আমার কাছে ছুটে আসলো।।
আমি তাদেরকে সাইড হতে বললাম।
আমিঃআন্টি চলো ভিতরে চলো।
কথাঃনা মা আজকে না।
আমিঃ আমি তোমার কথা শুনেছি তাই তুমিও আমার কথা শুনবা।আমি আর কিছু জানি না।
কথাঃআচ্ছা চলো।
আমি আর আন্টি ভিতরে গেলাম।আমরা ভিতরে যেতেই রহিম চাচা আর চাচি আমার দিকে ছুটে আসলো।
রহিম চাচাঃআম্মা তুমি এতক্ষন কই আছিলা।আমরা কতো টেনশানে আছিলাম।
চাচিঃহ মা।
আমিঃআমি ঠিকাছি।আর তোমরা ভাইয়াদের কিছু বলনাই তো??
রহিম চাচাঃনা।কিন্তু ওনি কে আম্মা?
আমিঃওনি আমার নতুন আন্টি।
কথাঃবাহ বা তোমার বাসাতে তোমার জন্য মানুষ আর গার্ডস আছে।
আমিঃআসলে আমার ভাইয়ারা লন্ডন থাকে তাই আমার জন্য এতো লোক। আসলে আমি একা থাকি তো তাই।
কথাঃও আচ্ছা।
আমিঃরহিম চাচা কিছু নাস্তা বানাও।
কথাঃনা মা আমি আরেকদিন আসবো। আজ আসি।
আমিঃআসবে তো।
কথাঃহুম মা আসবো।
এই বলে মুচকি হেসে চলে গেল।
আমিও খেয়ে দেয়ে আমার রুমে এসে শুয়ে গেলাম।

রাত ৩ঃ৩০

আমার মনে হলো কেউ আমাকে জড়িয়ে ধরে কাদছে।আমি আজকে চোখ খুলে তাকালাম।দেখলাম একজন কালো হুডি পরা লোক আমাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে।লোকটার মুখ দেখা যাচ্ছে না কিন্তু চোখগুলা দেখা যাচ্ছে।লাল লাল চোখগুলা জ্বলছে।
আমি চিল্লাতে যাবো তার আগেই লোকটা আমার মুখ চেপে ধরেছে।
লোকঃহুশশ চিল্লাচ্ছো কেন?
আমিঃকে আপনি আর আমার এখানে কি?(ভয় পেয়ে)
লোকঃবাহ তুমি ভয়ও পাও!!(অবাক হয়ে)
আমিঃকই কে বলেছে আমি ভ ভয় পাই।
লোকঃএতো রাগ কেন তোমার ময়নাপাখি?(গম্ভীর সুরে)
আমিঃতাতে আপনার কি???
লোকঃআমারই তো সব।তুমি আজকে কেন ভিজতে গেলে?তুমি জানো তোমার এই অবস্থা দেখে আমার কতো চিন্তা হচ্ছিলো।
এই বলেই আমাকে জড়িয়ে ধরে কাদতে লাগলো।
আমিঃআপনি কাদছেন?
লোকঃহুশ কোন কথা না ঘুমাও এখন.
আমিঃকিন্তু…..
লোকঃকোন কিন্তু না এখন ঘুমাও।(ধমক দিয়ে)
আমিঃশালা উগান্ডা, কুত্তা,আমারে ধমক দেয়।কিন্তু আমি এই লোকটাকে এতো ভয় কেন পাচ্ছি?কোন রাগও আসছে না এই লোকটার ওপর?কেন?
লোকঃআমাকে ভালবাসো তাই। এবার ঘুমায় আর একটা কথাও মনে মনে বলবা না। আমি কিন্তু সব শুনতে পাই।
আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে থেকে লোকটার বুকে ঘুমিয়ে গেলাম।
লোকঃতুমিই আমার মন ভালো করার ঔষধ ময়নাপাখি।তোমাকে কস্টও দিব আমি আদরও করব আমি।
এই বলে আমার কপালে একটা চুমু দিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে গেল।

চলবে………

#you_are_only_my_queen
Faria Siddique
Part 5

সকালে

আমি ঘুম থেকে উঠতে উঠতে ১০ঃ০০ টা বেজে গেছে।আমি উঠেই লোকটার কথা চিন্তা করতে লাগলাম।
আমিঃকালকের রাতের কাহিনী টা একদমি স্বপ্ন ছিল না।কিন্তু যদি স্বপ্ন না হয় তাহলে কামড়ের দাগ ছিল না কেন?উফ আমি আর পারছি না।
আমি মাথায় হাত দিয়ে বসে পরলাম।কারন আমার মাথাটা খুব ব্যথা করছে।
ঠিক এমন সময় জানালা দিয়ে একটা কাগজ এসে আমার হাতে পরল।
আমি কাগজ টা হাতে নিয়ে দেখলাম কিছু লিখা আছে।আমি পড়ার শুরু করলাম।

“ময়নাপাখি কেন অযথা আমাকে নিয়ে চিন্তা করে নিজের মাথার ব্যথা বাড়াচ্ছো?যখন সময় আসবে তখন আমি নিজেই তোমার সামনে আসবো।আর হা আজকে কোথাও বের হবা না কারন তুমি অসুস্থ। ”

চিরকুটটা পড়ে আমার রাগ হলো।
আমিঃবেডা বজ্জাত,অসভ্য, বাদর,কুমির,লাল ইদুর,কালা কুত্তা,পেত্নীর জামাই,লাল তেলাপোকা,হলুদ বিলাই।তোর কোনদিনও বিয়ে হবে না।তোর কপাল পেত্নি বউ জুটবে।
এইসব বলতে বলতে আমি ওয়াশরুমে ঢুকে গেলাম।
অন্যদিকে কেউ একজন আমার এসব বকা শুনে হাসতে হাসতে শেষ।
লোকঃপাগলি একটা।(হাসতে হাসতে)
এই বলেই লোকটাও ওখান থেকে চলে গেলো।
আমি ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে নিচে খেতে চলে গেলাম।
আমিঃকি বানাইছো রহিম চাচা?
রহিম চাচাঃতোমার লাইগা সবজি সিদ্ধ করছি আর ব্লাক কফি।
আমিঃনা আজকে আমার বিরিয়ানি খেতে ইচ্ছা করছে।তাই এখন বিরিয়ানি রান্না করবে।
রহিম চাচাঃআচ্ছা।
আমিঃতা চাচিরে বল রান্না করতে আমি আমার রুমে আছি।
রহিম চাচাঃআইচ্ছা আম্মা।
আমি রুমে যেতেই রুশা কল করলো।
রুশাঃওই পেত্নি কেমন আছিস?
আমিঃভালো। তুই কেমন আছিস?
রুশাঃভালো।তুই কি আজকে সারাদিন বাসায় থাকবি?
আমিঃকেন?
রুশাঃচল না আমি আর তুই একটু ঘুরে আসি?
আমিঃআচ্ছা। কখন বের হবি?
রুশাঃএই তো এখনি বের হব।
আমিঃঠিকাছে আয়।
কল রেখে আমি রেডি হতে যাবো ঠিক এমন সময়ই আবার কল আসলো।
আমিঃকে বলছেন?
অচেনাঃতোমাকে বলেছিলাম কোথাও বের না হতে।(রাগি সুরে)
আমি বুঝলাম এটা রাতের লোকটা।
আমিঃআপনি বললেই আমি শুনবো কেন?আপনি কে আমার?যত্তসব অসভ্য লোক।
লোকঃতুমি যদি আমার কথা না শুনো তাহলে আজকে রাতে তোমার সাথে যা হবে তার জন্য আমি দায়ী থাকব না।
এই বলেই লোকটা কল রেখে দিল।
আমি বেক্কলের মতো মোবাইলের দিকে তাকিয়ে আছি।
আমিঃএখন আমি কি করবো?আমি কি লোকটাকে ভয় পাচ্ছি?না না এটা কি করে হয়!যেই আমি কাউকে ভয় পাই না সেই আমিই কিনা লোকটাকে এতো ভয় পাচ্ছি?
না না এটা হতে পারে না।আমি যাবই।না থাক আজকে আর যাবো না।দূর ভাল লাগে না।থাকবই না এই দেশে।বাল।
এই বলেই আমি রুশাকে কল দিলাম।
রুশাঃকই তুই?
আমিঃশুন না আমি না বের হব না।
রুশাঃকেন?(অবাক হয়ে)
আমিঃএমনি।একটা কাজ কর না তুই আর মেহেক আজকে আমার বাসায় চলে আয়।একসাথে মজা করবো।
রুশাঃহুম।ঠিকাছে।আমরা আসছি।
আমি কল রেখে নিচে গেলাম।
আমিঃরহিম চাচা আমার দুইটা ফ্রেন্ড আসবে তারা আজকে থাকবে।তারা একটু পরেই চলে আসবে।তাদের জন্য সব রকম ভালো পদ রান্না করবা।
রহিম চাচাঃআইচ্ছা আম্মা।আম্মা তোমার বিরিয়ানি হইয়া গেছে।
আমিঃএখন আর খাবো না ভালো লাগতাছে না।
রহিম চাচাঃকিন্তু আম্মা তুমি তো কিছুই খাও নাই।তোমার ভাইয়ারা হুনলে আমারে মাইরা লাইবো।
আমিঃআহ চাচা কিচ্ছু হবে না।
আমি সোফায় বসে বসে চিপস খাচ্ছি আর কার্টুন দেখছি।
এমন সময় আমার কল আসলো।
দেখলাম রুশা কল করেছে।
আমিঃকই তোরা?
রুশাঃতোর বাসার সামনে।
আমিঃভিতরে আয়।
রুশাঃতোর বডিগার্ডরা আমাদের ঢুকতে দিচ্ছে না।
আমিঃওদের কাছে দে তো
রুশা ওদের কাছে দিল।আমি ওদেরকে বললাম তাদের বাসায় ঢুকতে দিতে।তারাও আমার কথা মতো কাজ করলো।
আমি দরজা খুলতেই রুশা আর মেহেক আমাকে জড়িয়ে ধরল।
রুশাঃকেমন আছিস?
আমিঃভালো। তোরা কেমন আছিস?
রুশাঃভালো।
মেহেকঃবাহ বাহ কতো বড় বাড়ী তোর!!আর এই বাড়ীতে তুই একা থাকিস!!
আমিঃএকা থাকি না তো।আমার সাথে রহিম চাচা,চাচি আরও কতোজন থাকে।
মেহেকঃও আচ্ছা।তা তোর ভাইয়ারা কই?
আমিঃওরা তো লন্ডনে।অনেক কথা হয়েছে যা গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নে।
রুশা আর মেহেকঃওকে জানু।
আমি ওদেরকে আমার রুমে নিয়ে গেলাম কারন আজকে আমরা তিনজনই একসাথে আমার রুমে থাকবো।
আমিঃদেখি আজকে ওই বজ্জাত লোক কি করে আসে!(মনে মনে)

অন্যদিকে

লোকঃতুমি যতই আমার কাছ থেকে দূরে যাওয়ার চেষ্টা করবে ততই আমি তোমার কাছে যাবো ময়নাপাখি।আমার এই রানি শুন্য রাজ্যে তোমাকে যে খুব প্রয়োজন ময়নাপাখি।তুমি শুধুই আমার তোমার দিকে যেই নজর দিবে তাকেই আমি শেষ করে দিব।আর আমি না চাইলে তুমি কখনোই আমাকে তোমার কাছে যাওয়ার থেকে আটকাতে পারবে না।#you_are_only_my_queen..

In london

একটা লোককে একটা চেয়ারের সাথে বেধে রাখা হয়েছে। তার হাত পা চোখ সব বেধে রাখা হয়েছে।লোকটা আর কেউ নয় আমার ভাইয়ার কোম্পানির ম্যানেজার জয়নাল।তাকে এখানে আনা হয়েছে আমার বড়ভাইয়ার নির্দেশে।
জয়নালঃস্যার আমি কিছুই করি নাই।আমাকে ছেড়ে দিন।
বড়ভাইয়াঃকি করে ছেড়ে দেই বল তো?আমি যে বিশ্বাসঘাতকদের একদম বাচতে দেই না।
জয়নালঃস্যার এবারের মতো মাফ করে দিন আর কখনও হবে না।
ভাইয়া লোকটাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে তার মাথায় শুট করে দিল।
বড়ভাইয়াঃ জ্যাক বডিটা আমার কুকুরদের খাইয়ে দাও।
জ্যাকঃওকে বস।কিন্তু বস আপনার ভাই আর বোন যখন জানতে পারবে তখন কি হবে?
বড়ভাইয়াঃতাদের আমার ওপর বিশ্বাস আছে যে আমি কোনদিনও কোন নিরীহ মানুষকে খুন করব না।যাদেরকে আমি খুন করি তারা সবাই খারাপ।তাই তারা কিছুই বলবে না।
জ্যাক আর কিছু না বলে বডি নিয়ে চলে গেলো।

চলবে……