মাফিয়া ক্রাশ বর পর্ব-০৬

0
2442

#মাফিয়া_ক্রাশ_বর
#লেখিকা : মার্জিয়া রহমান হিমা
#পর্ব : ০৬

ক্লান্ত থাকায় অভি, রায়হান ফ্রেশ হয়ে ঘুমিয়ে পরে। রুহিও বাড়িতে এসে ফ্রেশ হয়ে নেয়। রাইমা এসে বলে শপিং দেখিবে তাই রুহু সব শপিং ব্যাগ রাইমাকে দিয়ে ঘুমিয়ে পরে।

সকালে
রুহির বাড়িতে ধুম পরে গিয়েছে।বাড়িতে অনেক মানুষ এসেছে। রুহির মামার পরিবার, চাচার পরিবার, ফুফুর পরিবার সবাই এসেছে। রুহির দাদার বাড়ি চট্টগ্রাম। রুহির আব্বুরা দুই ভাই, এক বোন।

রুহির বড় চাচা আনোয়ার সাহেব আর রুহির বাবা আনিল সাহেব। চট্টগ্রামে রুহিদের নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। রুহি আর রুহির চাচারা একই বাড়িতে থাকে। রুহির বড় চাচার দুই ছেলে, দুই মেয়ে। এক ছেলে, এক মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে বাকি দুজনের মধ্যে ছেলেটি রুহির থেকে কয়েক বছরের বড় আর মেয়েটি রুহির এক বছরের ছোট।
রুহির বাবা সরকারি চাকরি করে। তিন মাস আগে ঢাকায় ট্রান্সফার হয়েছে তাই রুহিদের ঢাকায় এসে পরতে হয়েছে। ঢাকায় আসার আগে একটা বাড়ি কিনে নিয়েছে সেখানেই রুহিরা এখন থাকে। রুহি ঢাকায় এসে অনার্স থার্ড ইয়ারে এডমিশন নিয়ে ছিলো। আর রাইমা কলেজে। মিশু আর রুহি সাথে ছোট থেকে বড় হয়েছে। তবে মিশির বাবার ব্যাবসার সুবিধার কারণে তিনবছর আগেই মিশুরা ঢাকায় এসে পরেছিলো।
রুহি ঢাকায় এসে মিশুর সাথেই এডমিশন নিয়েছে।

আজ বাড়িতে এতো মেহমান দেখে রুহি বিরক্ত বোধ করছে। রুহি বরাবরই একটু চুপচাপ। রুহির বাবা কাজে ব্যস্ত রয়েছে। রুহি তার বাবার কাছে গিয়ে বাবার পাশে বসে বলে
” বাবা একটা কথা বলবো ”

রুহির আব্বু ফোন কেটে রুহিকে বলে
” হ্যা বলো কি বলবে ”

রুহি বললো
” সব কিছু এতো তাড়াতাড়ি করার কোনো দরকার ছিলো কি। এখনও আমার পড়াশোনা বাকি এখনি বিয়ের তোরজোড় না করলেই চলতো”

রুহির বাবা রুহির মাথায় হাত রেখে বলে
” দেখ মা আমরা তোর ভালো চাই তাই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর তুই বিয়ের পরও তোর পড়াশোনা নিশ্চিন্ত ভাবে চালিয়ে চেতে পারবি আমি সব কিছু দেখে শুনেই ঠিক করেছি ”

বাবার কথার উপর আর কিছু বলার সাহস বা ইচ্ছা কোনোটাই নেই তাই চুপচাপ রুমে চলে গেলো। রুমে কয়েকজন কাজিন মিলে আড্ডা দিচ্ছে রুহিকে পেয়ে সবাই চেপে ধরে গল্প করার জন্য। রুহিও অসহায়ের মতো বসে আছে।

রায়জাদা মেনশন এর প্রত্যেকটা কোণা সহ নিখুঁত ভাবে সাজানো হচ্ছে। আজকের engagement party রায়জাদা মেনশনে হবে। রায়হান, অভি সব কিছুর দেখবাল করছে। সব কাজই প্রায় শেষ, দেড় ঘন্টা পর থেকে সব গেস্ট আসা শুরু করবে।

অভি সোফায় বসে কিছু কাজ করছিলো হঠাৎ করে রায়হান দৌড়ে অভির কাছে এসে রেগে বলে
” অভি আমাদের কোম্পানির একটা বিশ্বাসঘাতক আমাদের লকারের সিক্রেট ফাইল চুরি করেছে কয়েক মিনিট আগে ” রায়হানের কথায় অভি দাঁড়িয়ে পরে।

অভির চোয়াল শক্ত হয়ে আছে হাত মুঠ করে রেখেছে। অভি শক্ত গলায় বলে
” কোথায় এখন ??”

রায়হান মিনমিন গলায় বলে
” বডিগার্ড রা এখনও ওকে হাতে পায়নি। খুজে চলছে ”

অভি চোখ বন্ধ করে রাগ কনট্রোল করে বলে
” কেমন বডিগার্ড রেখেছিস তুই যে একটা মানুষকে খুজে পাচ্ছে না। ”

রায়হান মুখ বাকিয়ে বলে
” ওরা কি তোর মতো নাকি। তুই দশ মিনিটে যা করবি সেটা করতে ওদের আধা ঘন্টা লাগবে ”

অভি এক হাত কোমড়ে রেখে অন্য হাত কপালে ঘষতে ঘষতে রেগে বলে
” তাহলে তো এখন আমাকেই যেতে হবে। ”

রায়হান অবাক হয়ে বলে
” মানে তুই চলে গেলে এখনে কি হবে !! একিটু পরেই সবাই আসরে শুরু করবে তখন কার সাথে রুহির engagement হবে, আমার সাথে ??”

অভি চোখ পাকিয়ে বলে
” বেশি কথা বলবি না। রুহির আমার সাথেই engagement হবে। তুই এখিন এদিকটা খেয়াল রাখ আমি চলে আসবো ” বলে হনহন করে বেড়িয়ে যায়। আর রায়হান মুখ ফুলিয়ে কপালে বাড়ি মেরে দুঃখ সহকাররে সবার কাজ দেখতে থাকে।

রুহি, রাইমা তৈরি হয়ে বসে আছে, মিশুরাও এসে পরেছে। কিন্তু ওর বোনদের এখনও সাজাসাজি শেষ হয়নি। নিলা রুহির বড় চাচার ছোট মেয়ে। নিলা গালে ব্লাসন দিতে দিতে বলে
” আমি তো ভাবতেই পারছি না। এতোদিন যাকে টিভি, মোবাইল সোশাল মিডিয়াতে দেখেছি আজ তাকে সামনে থেকে দেখবো তাও জিজু হিসেবে। আমার তো ভাবতেই কেমন কেমন লাগছে মনে হচ্ছে কখন যেন অজ্ঞানই হয়ে যাবো। অভিদ রায়জাদা এতো বড় একজন বিজনেসম্যান আমাদের রুহিকে বিয়ে করবে।”

রাইমা মুখ টিপে হেসে বলে
” যখন অজ্ঞান হবে তখন আমাকে ডাক দিও আমি তোমাকে ধরবো ”

জোতি মুখের সামনে থেকে চুলটা সরিয়ে ঢং করে বলে
” সবার থেকে আমাকে দেখতেই সবচেয়ে বেশি সুন্দর লাগছে। আমি 100% অভিদ রায়জাদা আজকে আমাকে দেখে পাগল হয়ে যাবে রুহির দিকে চোখ ফিরেও তাকাবে না তোরা দেখে নিস।

সবাই জোতির কথায় বিরক্ত হলেও ওর ওভার কনফিডেন্স দেখে একটু অবাক হয়।
অভিকে নিয়ে অনেক কথা বললেও জোতির এই কথাটা রুহির গায়ে লাগে।

মিশুও রেগে যায় কথা শুনে কিন্তু মিশু কিছু বলার আগেই রুহি চোয়াল শক্ত করে হালকা হেসে বলে
” সেটা সময় হলেই দেখা যাবে। সবাই ওয়েট করছে তাড়াতাড়ি তোমার কাজ শেষ করো ” জোতি আবার তার সাজাসাজির কাজ শুরু করে দেয়। দেড় ঘন্টা ধরে সাজছে জোতিই সবার আগে সাজিতে বসেছিলো কিন্তু এখনও শেষ হয়নি। সবাই জোতির ওপর খেপে আছে।

জোতি রুহির বড় মামার ছোট মেয়ে। সবসময় মুখে মেকাপ লাগানো থাকে, মডার্ন ড্রেস পরে উচ্ছন্নে যাওয়া একটা মেয়ে। অনেক ছেলেদের সাথেই রিলেশন রয়েছে। রুহির বড় মামার এক ছেলে জিহান আর ছোট এক মেয়ে জোতি। ছোট মেয়ে হওয়ায় অনেক আদরের ছিলো তবে যতো বড় হয় ততোই উচ্ছন্নে চলে যায়। রুহির বড় মামা মেয়েকে প্রথমে কিছু না বললেও পরে শাসনে রাখতে চায় কিন্তু কিছুই করতে পারেনি। জোতিকে কেউ এতোটা পছন্দ করে না। রুহির বড় মামা নিজেও এখন মেয়ের প্রতি বিরক্ত। রুহিও অন্যেন্য কাজিনের মতো জোতিকে বেশি পছন্দ করে না জোতির ছেলেদের সাথে মেলামেশা দেখে।

জোতির সাজ শেষ হতেই রুহি হনহন করে বেড়িয়ে যায়। রুহির পেছন পেছন সবাই যায়।
রুহিদের আসতে দেখে ওর আম্মু বলে
” তোদের সাজা শেষ?? ”

মিশু নিশ্বাস ফেলে বলে
” আমাদের অনেক আগেই শেষ আমরা জোতির জন্য বসে ছিলাম ” সবাই জোতির দিকে তাকায়

তখন জোতির ফোনে কল আসে। জোতি ফোন কানে দিয়ে বাইরের দিকে যেতে যেতে ঢং করে বলতে থাকে
” বেবি !! সারাদিন কোথায় ছিলে তুমি। তুমি একবারও আমার খোজ নাও নি। জানো তোমাকে কতো মিস করেছি ?? তুমি একটুও ভালোবাসো না আমায় ”

ড্রইংরুমেই সবাই উপস্থিত ছিলো। এখানে অনেক মানুষ থাকায় মেয়ের এমন কাজে রুহির মামা খুবই লজ্জিত বোধ করলেন।
রুহির আব্বু বেপারটা বুঝে বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে সবাইকে বলে
” চলো তাহলে রওনা দেয়া যাক। নাহলে দেড়ি হয়ে যাবে ” সবাই মাথা নেড়ে বাড়িয়ে যায়। গাড়ি করে রুহিরা সবাই রওনা দেয়।

এদিকে অভিদ তার গোডাউনের ভেতরে একটা ছেলেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। বডিগার্ড এসে লোকটাকে চেয়ারে বসিয়ে বেধে ফেলে। অভি শার্টের হাতা গোটাতে গোটাতে এগিয়ে আসতে আসতে শান্ত গলায় বলে
” বল তুই কার আন্ডারে কাজ করিস ”

ছেলেটার ভয়ে ভয়ে বলে
” আমি কারো আন্ডারে কাজ করি না।স্যার আমাকে ক্ষমা করে দিন আমি আর কোনোদিন এমন কাজ করবো না প্লিজ স্যার আমাকে ছেড়ে দিন ”

অভি রেগে পাশের বডিগার্ডের হাত থেকে গরম রডটা নিতে ছেলেটার হাতের উপর রাখতেই ছেলেটা যন্ত্রণায় চিৎকার করে উঠে। অভি রডটা সরিয়ে গম্ভীর গলায় বলে
” এখন বলবি নাকি আরও কষ্ট সহ্য করবি?? এবার কিন্তু আর চিৎকার করার সময় পাবি না। সোজা জায়গায় পৌছে যাবি ”

ছেলেটি কান্না করতে করতে বলে
” আমি সত্যি কারো আন্ডারব কাজ করি না। আখিল রহমানের একজন বডিগার্ড আমাকে বলেছিলো এই কাজটা করলে আমাকে অনেক টাকা দেবে তাই এমন কাজ করেছি। আমাকে মাফ করে দিন আমি আর এমন কাজ করবো না
স্যার। আপনার সিক্রেট ফাইল তো এখন আপনার কাছেই ”

অভি রডটা বডিগার্ডের কাছে দিয়ে বলে
” ওকে হসপিটালে নিয়ে যাও। ভালো করে দেখা শোনা করবে। আমি বাসায় যাচ্ছি ”

বডিগার্ড মাথা নিচু করে বলে
” ওকে স্যার ”

অভি গোডাউন থেকে বেড়িয়ে যেতে যেতে বাকা হেসে বলে
” আখিল রহমান কে খবরটা জানিয়ে দাও। তার খোজ নাও কাজটা কে করতে বলেছে। বডিগার্ড এর মধ্যে কেউ করে থাকলে তার খবরটা আখিল রহমানের কানে যেন যায়। আর বেচে থাকলে তাকে আমার কাছে চাই ”

অভি গাড়িতে উঠে ঘড়ির টাইম দেখে নেয় এখনও কয়েক মিনিট বাকি আছে। অভি গাড়ি স্টার্ট দেয়।
গাড়ি বাড়ির পার্কিং লনে পার্ক করে ফাইল হাতে বাড়িতে ঢোকে। অভিকে ঢুকতে দেখেই রায়হান লাফিয়ে পরে অভির উপর, জড়িয়ে ধরে।
অভিকে বলতে থাকে
” ভাই তাড়াতাড়ি সব দেখে নে আর কোন কাজ বাকি আছে কিনা। যদি সব ঠিকই আছে তবে আমি হয়তো ভুলেও যেতে পারি ”

অভি রায়হানকে সোফায় বসিয়ে বলে
” ভাই আমার একটু শান্ত হয়ে নে। এখনও টাইম আছে আমি সব দেখে নিচ্ছি তুই গিয়ে রেডি হয়ে আয়।”

রায়হাম মাথা নেড়ে দাঁড়িয়ে বলে
” তুই কখন যাবি ”
অভি হাতের ফাইলটা রায়হানের হাতে দিয়ে বলে
” আমি একবার সব চেক করে নেই তারপর। তুই ফাইলটা আমার লকারে রেখে দে ”
রায়হান ওকে বলে উপড়ে চলে যায়।
অভি সব চেক করে রেডি হতে চলে যায়।

রুহিদের গাড়ি থামতেই একে একে সবাই গাড়ি থেকে নেমে পরে। সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে রায়জাদা মেনশনের দিকে অসম্ভব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে।

মিশু অবাক হয়ে বলে
” ওয়াও কতো সুন্দর লাগছে। বাইরে থেকেই এতো সুন্দর লাগছে তাহলে ভেতরে কেমন লাগবে ?? নিশ্চই অসাধারণ লাগবে ”

রাইমা রুহিকে হালকা ধাক্কা দিয়ে বলে
“আপু তোমার শশুর বাড়িটা কেমন লাগছে ??”
রুহি মুচকি হেসে বলে
” খুব সুন্দর ”

ওদের কথার মাঝে জোতি বলে হাত দিয়ে মুখের সামনে বাতাস করতে করতে ঢং করে বলে উঠে
” উফফ সবাই দাঁড়িয়ে আছো কেনো আমি বুঝতে পারছি না। আমি ভেতরে যাচ্ছি তোমরা পরে এসো। আমার মেকাপ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।হুহ ”

জোতির এমন কথায় ওর বাবা রেগে ওকে কিছু বলতে যাবে তার আগেই রুহির আব্বু ওর হাত ধিরে আটকে দেয়। ফিসফিস করে বলে
” ভাই প্লিজ এখন কিছু বলার দরকার নেই। সবাই আনন্দ করছে করতে দাও। এখন জোতিকে কিছু বলা মানেই ঝামেলা করা ” রুহির বাবার কথায় জোতির বাবা ভেবে দেখলো এখন সত্যি কিছু বললে জোতি ঝামেলা বাধাবে তাই চুপ করে গেলো।

জোতি ঢেং ঢেং করে ভেতরে যেতে লাগে। কিন্তু আকস্মিক ঘটনা তখন ঘটলো যখন জোতি রায়জাদা মেনশনের রাজকিয় গেটের সামনে পা রাখলো। জোতি পা রাখতেই চারপাশের সব লাইট গুলো একসাথে নিভে গেলো। চারপাশ অন্ধকারে ভরে গেলো। সবাই অবাক হয়ে গিয়েছে এমন ঘটনায়। জোতি কয়েক পা এগিয়ে ভেতরে যায়। রুহি এবার অন্ধকারেই আস্তে আস্তে সামনে এগিয়ে গেলো গেটের সামনে রুহি পা রাখতেই সব লাইট অন হয়ে গেলো আর আকাশে স্কায় সট ফুটতে লাগলো। সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। মিশু, রাইমা , নিলা, নিলার ভাই অদ্ভুত নজরে জোতির দিকে তাকায়।

রুহি নিজেও অবাক হয়ে গিয়েছে। সবাই আস্তে আস্তে বাড়ির ভেতরে ঢুকলো। ভেতরে ঢুকতেই দেখলো অনেক গেস্ট রয়েছে। সবাই রুহির দিকে তাকিয়ে আছে। রুহি অভিকেও দেখতে পেলো। অভি হাসি মুখে তার দিকে তাকিয়ে আছে। রুহি অভিকে দেখে অনেকক বড় ক্রাশ খেলো। যথেষ্টর চেয়ে বেশিই হ্যান্ডসাম লাগছে।

অভি মুগ্ধ চোখে রুহির দিকে তাকিয়ে আছে। রুহিকে অপুরুপ সুন্দর লাগছে। রায়হান অভিকে এভাবে তাকাতে দেখে অভুর কানে কানে বলে
” ভাই আগে শশুর বাড়ির সবার সাথে কথা বল তারপর দেখিতে থাকিস ” রায়হানের কথায় হুশ আসে অভির। অভি, রায়হান গিয়ে সবার সাথে কথা বলে। অভি রুহির সামনে এসে দাড়াতেই রুহি চোখ নামিয়ে অন্যদিকে তাকায়

অভি হালকা কেশে বলে
” এখন অন্যদিকে তাকালে কি হবে এতোক্ষণ তো আমাকেই চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছিলে ”
রুহি লজ্জা পেয়ে মিশু,রাইমা,নিলা যেখানে দাঁড়িয়ে আছে সেখানে যায়।অভিও মুচকি হেসে অন্যদিকে দিকে চলে যায়।

কথা বলতে বলতে অভির চোখ বাড়ির দরজার দিকে যেতে অভি খুশি হয়ে দৌড়ে গিয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটাকে জড়িয়ে ধরে। রুহি সহ সবাই সেদিকে তাকিয়ে আছে। রুহি বড়বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে।

চলবে… wait for next part….