অদ্ভুদ ভালোবাসা পর্ব-১০+১১

0
454

#অদ্ভুদ_ভালোবাসা
#সুমাইয়া_সুমু
পার্টঃ১০
,
সারারাত অপেক্ষা করলাম কিন্তু উনি আসার কোনো নাম গন্ধ নেই। এর মাঝে একবার ফোন করে ছিলাম কিন্তু উনি ফোন রিসিভ করে নাই। অপেক্ষা করতে করতে এক সময় ডাইনিং টেবিলে ঘুমিয়ে গেছিলাম।
,
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি সদর দরজা খুলা। অতঃপর আমি উপরে গিয়ে দেখি উনি কি সুন্দর করে ঘুমাচ্ছেন। উনার এই পরিবর্তন দেখে আমি অবাক। কালকেও কেমন আজগুবি কথা বললেন আর আজকেও এই ভাবে রাতে বাসায় এসে আমাকে না ঢেকে নিজে নিজে সুয়ে পঠলেন। তাও কত রাতে বাড়ি ফিরেছে আল্লাহ জানে। অতঃপর আর বেশি না ভেবে ফ্রেশ হয়ে নিচে এলাম। নিচে এসে দেখি বাড়ি সাজানোর জন্য লোক এসেও পড়েছে। মাহিম ভাইয়া তাদের দেখিয়ে দিচ্ছে। আচ্ছা মাইশা আপু কোথায় কালকে তো মুরাদ মাইশা আপু সাথে ছিলো তাই না। মাইশা আপু রুমের দিকে যেতে নিলে মা এসে আটকিয়ে বলে-
,
মাঃকিরে মা এই খানে তোর না আজকে বউভাত এত তাহলে নিচে নামলি কেনো।
হায়াতঃ আসলে মা ভাবলাম তোমার যদি কোনে হেল্প করতে পারি?
মাঃ নাহ আমার কোনো হেল্প লাগবে না। আচ্ছা মুরাদ উঠেছে?
হায়াতঃ না উনি এখন ও ঘুমাচ্ছে
মাঃ ওকে উপরে যা আমার প্রয়োজন পড়লে ডেকে নিবো
হায়াতঃ আচ্ছা।
,
উনার রাতে দেরি করে আসার কথাটা বললাম না নাহলে উনাকে অনেক বকতেন। তারপর রুমে গিয়ে বই পড়তে লাগলাম। মা বলেছে পরশু থেকে কলেজে যেতে। এরকম পরিবার পেয়ে আমি অনেক খুশি। বই পরতে পরতে দুপর হয়ে গেলো। নিচে গিয়ে খেয়ে উপরে আসলাম। এর মধ্যে মুরাদ উঠে বাহিরে গিয়ে ছিলো আমার সাথে একটু কথা বলেনি উনার এই আচরণ দেখে তো আমি বার বার অবাক হলাম। অতঃপর পার্লারের মেয়েরা আসলো আমাকে সাজিয়ে দিয়ে গেলো এভবে দেখতে দেখতে সন্ধ্যা নেমে গেলো। এর মধ্যে মামা মামী খুশি আপু আসছিলো। মামা মামী এসে আমার কাছে ক্ষমা চেয়ে গেছে। আসলেই আজ আমি অনেক খুশি। এতো ভালো পরিবার চেয়ে আমি অনেক ভাগ্যবতি্। অতঃপর কয়েকজন মেয়ে এসে আমাকে নিচে নিয়ে গেলো। নিচে নেমে দেখি মুরাা আমার লেহেঙ্গার সাথে মেচ করে শেরওয়ানি পড়েছে। আমাকে নিয়ে উনার পাশে বসানো হলো। কিন্তু অবাক করার বিষয় হলো উনি আমার দিকে ঘুরেও তাকানি। সারাখন খলি মাইশা আপু দিকে তাকিয়ে ছিলেন।
হঠাৎ একজন আন্টি বললো-
,
মহিলাঃ কিরে মুরাদ এটা তোর বউ বাহ্ ভারি মিষ্টি তো।
অতঃপর মুরাদ যা বললো সেটা শুনে আমার বুক ছিড়ে কান্না করতে ইচ্ছে করছিলো।
,
চলবে,,,,,,,,,
,
#অদ্ভুদ_ভালোবাসা
#সুমাইয়া_সুমু
পার্টঃ১১
,
রাস্তায় এলোমেলো ভাবে হাঁটছি। নির্জন রাস্তা পাশে শুধু কিছু গাড়ি চলা ছাড়া আর কিছু নেই। যে যার মতো ব্যাস্ত কারোর তো আমার মনের কষ্ট দেখার সময় আছে। যে যার মতো নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে ব্যাস্ত। আর আমি ব্যাস্ত আমার জীবনের হিসাব মিলাতে। জীবনে এ কি কখনো কিছুই পাবো না। সবাই শুধু ধোঁকা দেয় ভালোবাসতে কেউ জানে না কেনো। অসলেই কি ভালোবাসা এতোটা দামী।
,
কিছু ক্ষন আগের ঘটনা,,,,,
,
মুরাদঃ লাইক সিরিয়াস আন্টি এই রাস্তার মেয়ে আসলেই আমার বউ হবার যোগ্য?
মাঃ কি বলছো এসব মুরাদ তুমি?
মুরাদঃ যা বলছি একদাম ঠিক বলেছি।
আমি মুরাদ এর দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে আছি। উনি কি বলছে এসব আমি কি উনাকে বিয়ে করতে বলেছি নাকি উনি তো জোড় করে আমাকে বিয়ে করলেন। উনি আরো আমাকে অবাক করে দিয়ে বললেন-
মাঃ তাহলে তুমি হায়াত কে বিয়ে কেনো করেছিলে বলো। আমরা তো তোমাকে জোর করিনি ওকে বিয়ে করতে।
মুরাদঃ প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য। হ্যাঁ প্রতিশোধ এই রকম রাস্তার মেয়ের সাহস কিভাবে হয় আমাকে থাপ্পর মারার। আ,,,,,,,
আর কিছু বলতে পারলো না তার আগেই বাবা মুরাদ কে একটা থাপ্পড় দিলেন।
বাবাঃ তোমার লজ্জা করলো না একটা নিষ্পাপ মেয়ের জীবন এভাবে নষ্ট করতে।
মুরাদঃ আরে আমি কি নষ্ট করেছি ওর মামী ওকে আমার কাছে বেঁচে দিয়েছে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে।
এসব কথা শুনে যেনো আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো তার মানে মামী তখন উনার সাথে আমাকে এতো সহজে যেতে দিলো কেনো। আসলে মামী তো টাকা ছাড়া আর কিছুই চিনে না। হঠাৎ করে মামা বলতে লাগলো–
,
মামাঃ তোমার লজ্জা করে না আজীবন তো মেয়ে টাকে দেখতে পারোনি এখন টাকার বিনিময়ে মেয়ে টাকে এভাবে অন্যের কাছে ছিঃঃ!
মামী কিছু বললো না শুধু চুপ করে ছিলেন। এর মানে এই না যে উনি উনার কাজের জন্য অনুতপ্ত। আসলে উনি ঠিকি হাসতে ছিলেন কেউ খেয়াল করুক আর না করুক আমি করেছি।
মামা আমার কাছে কিছু বলতে আসলেই আমি হাত উচু করে থামিয়ে দিলাম। অতঃপর মুরাদ এর কাছে গিয়ে বলতে লাগলাম-
,
হায়াতঃ কি মিঃ মুরাদ খান সামান্য থাপ্পড়ের জন্য আমার জীবন টা নষ্ট করে দিলেন। আচ্ছা মানলাম আমি রাস্তার মেয়ে এই রাস্তার মেয়ের সাথে রাত কাটাতে বাঁধে নি
মুরাদঃ তার জন্য তো তোমার মামী কে ১০ লক্ষ টাকা দিলাম।
উনি কথাটা বলতেই আমি উনাকে একটা থাপ্পড় দিলাম উনি আমার কিছু বলতে যাবে আমি তার আগে আরেকটা থাপ্পড় দিলাম। অতঃপর শান্ত গলায় বললাম–
হায়াতঃ একদিন এই রাস্তার মেয়ে জন্য না আপনাকে কাঁদতে হয়। তাকে কাছে পাওয়ার জন্য যাতে না আপনার অপেক্ষা করতে হয়। ওর সাথে এই অন্যায় করার জন্য যাতে না আপনার আফসোস হয়।
,
কথাটা বলেই দোড় দিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলাম। আর কাকে কি বলবো আমি তো আসলেই সবার কাছে বোঝা। আমার তো শুধু একজনের কাছে অভিযোগ সে হলো মা-বাবা কেনো আমাকে একা রেখে চলে গলো। এসব ভাবছি হঠাৎ একটা গাড়ি এসে আমাকে,,,,,,,
,
চলবে,,,,,,,,