অবশেষে তুমি আমার পর্ব-০৭+০৮

0
417

# অবশেষে তুমি আমার
# পর্ব: 7+8
# লেখনিতে : রিদিকা আফরোজ রোজা

আস্থা আভিকে জরিয়ে দরে কেঁদে দেই আভি অবাক আস্থার এমন কান্ডে । আস্থা বলে আমি যানি না আভি কি হয়েছে আমার আমি আমার অনূভুতি বুজতে পারছি না আভি বিশ্বাস করোন আপনি আসে পাসে থাকলে আমার সব কিছু এলোমেলো লাগে একবার ও রিশাব এর কথা মনে পরে না কেনো বলতে পারেন আভি? আপনার কিছু হলে মনে হয় আমার নিজের হয়েছে কেনো আভি এমন হয়? আপনি চলে যাবেন শুনে কেনো আমার কষ্ট হচ্ছে আভি বলতে পারবেন আমি তো আপনাকে ভালোই বাসি না তাহলে কেনো এমন হচ্ছে আভি বলোন না কেনো? আভি আস্থার মাথায় হাত বুলিয়ে বলে উঠে সেটা তুমি ঠিক সময় হলে বুজতে পারবে আস্থা তবে মনের অনূভুতি যতো তারা তারি বুজবে ততো ভালো না হলে এমন সময় আসবে দেখবে যখন তুমি বুজতে পারবে তখন বলার জন্য সে থাকবে না। আভি কথা শুনে আভির বুক থেকে মুখ তুলে আস্থা বলে আভি এসব কি বলছেন আপনি থাকবে না মানে। আভি বলে কিছু না আস্থা এবার কান্না থামাও আমি তো কাল চলে যাবো তাই আজকে সন্ধ্যা বেলায় আমরা ঘুরতে যাবো যাওয়ার আগে কিছু সৃতি রেখে যাই যদি না ফিরতে পারি। আভি কথা শুনে আস্থা বলে উঠে আভি কি সব বাজে কথা বলছেন কখোন থেকে কেনো ফিরবেন না আভি? আভি বলে গাঁধা মজা করছিলাম। আস্থা বলে আমাকে সাথে নেওয়া যাই না আভি? আভি বলে আমি কাজে যাচ্ছি আস্থা ওই কানে গিয়ে তোমাকে নিয়ে ঘুরতে ও পারবো না অযতা গিয়ে কি করবে বলো নেক্সট টাইম নিয়ে যাবো না হয় হুম আমি অফিস এ যাচ্ছি সন্ধ্যায় রেডি থেকো তোমাকে নিয়ে বের হবো বলে যেই বেরিয়ে যাবে ওমনি আস্থা আভির হাত দরে পেলে। আভি বলে কিছু বলবে ? আস্থা বলে সাবধানে যাবেন আর গিয়ে একটা ফোন করে বলে দিয়েন পৌছে গেছেন। আভি বলে ঠিক আছে তুমি চিন্তা করো না কলেজ তো বন্ধ মনে করে মেডিসিন নিয়ো ওকে আমি বের করে রেখে গেছি। আর কিছু কাজ নিজে করতে শিখো আমি সব সময় থাকবো না সাহায্য করার জন্য । আস্থা বলে মানে। আভি বলে বিয়ে টা তো তুমি এক বছর এর জন্য করেছো আস্থা আর এক বছর পর তো চলে যাবে তখন তো আর আমি থাকবো না আর তাতে কি রিশাব তো থাকবে ? আস্থা বলে যদি আমি না যাই এক বছর পর আভি আপনি রাখবেন আমাকে? আস্থার কথা শুনে আভি বলে তুমি না গেলে আমি চারবো না। আস্থা বলে কেনো যদি যাই আপনি কি পারবেন না জুর করে আটকে রাখতে? আভি মুচকি হেসে বলে সেই অধিকার আমার থাকবে না আস্থা বলেই বেরিয়ে যাই আর আস্থা ভাবতে থাকে আভির কথা।

সন্ধ্যা বেলায় আস্থা রেডি হয় নীল জামদানি শাড়ি পরে আজকে অনলাইন থেকে আভি আর তার জন্য এনেছে। আস্থা নীল জামদানি শাড়ির সাথে দুই হাত ভরে নীল চুরি পরে কানে বড়ো দুল গলা কালি রেখে নাকে নথ মাথা খোঁপা করে পিছনে পুরোটা জুরে ফুল লাগিয়েছে। ঠোঁটে লাল লিপস্টিক চোখে কাজল কপালে নীল টিপ দিয়ে আয়নাতে নিজেকে দেখে মুচকি মুচকি হাঁসছে তবে কেনো হাঁসছে বুজতে পারছে না তখনি আভির মা আর বোন আসে আভির মা বলে বাহ আমার মেয়েকে যা লাগছে ছেলে তো আমার আজকে শেষ। আস্থা বলে কি যে বলো না মম। শান্তি চোধুরি আস্থার নক দাঁত দিয়ে কেটে দেই আর চোখের কাজল কানের পাশে লাগিয়ে বলে কারো নজর যেনো না লাগে আমার মেয়ের উপর এরপর ওর রুম থেকে চলে যাই।

সন্ধ্যা সাতটাই আভি বাসাই আসে আস্থা দরজা খুলতে আভি আস্থা কে দেখে হার্টবিট ফাস্ট হয়ে যাই আভির চাওয়া দেখে আস্থা লজ্জা পেয়ে নিচে থাকিয়ে যাই। আভি বলে লজ্জা পেলে তো আস্থা রানি কে সেই লাগে পুরা টমেটো। আস্থা বলে আপনি ও না ভিতরে গিয়ে ফ্রেশ হন এরপর আভি রুমে ডুকে ওয়াশ রুমে চলে যাই। ওয়াশ রুম থেকে বের হতেই আস্থা আভি কে নীল পাঞ্জাবি টা দেই আর সাদা পাজামা । আভি বলে এইসব কোথা থেকে এলো? আস্থা বলে আমি অর্ডার করেছিলাম আজকে আভি আর কিছু না বলে পাঞ্জাবি পাজামা পরে নেই পাঞ্জাবির হাতা কনু অবধি গুটিয়ে নেই হাতে ঘরি পরে জেল দিয়ে চুল গুলো সুন্দর করে সেট করে পায়ে লুপার পরে সানগ্লাস পরে । এতো কোন আস্থা দেখছিলো আভি কে এই বার আস্থা বলে পুরুষ মানুষ এতো সুন্দর না হলে হতো আভি । আস্থা কথা শুনে আভি বলে তোমার চোখে অবশেষে আমাকে পরলো। আস্থা বলে আপনার সাথে কথা বললে বাজে কথা চলুন তো বলেই দুই জন বেরিয়ে যাই।

আভি গাড়ি চালাচ্ছে আর আস্থা কে মাঝে মাঝে দেখছে আস্থা ও আভি কে দেখছে ।আভি মজা করে বলে এতো দেখো না প্রেমে পরে যাবে। আস্থা বলে কচু পরবো ডং এই ভাবে কথা বলতে বলতে আস্থা আর আভি একটা নদীর পারে আসে। আভি আর আস্থা পাশা পাশি বসে কিছু কোন গল্প করে আভি আস্থা কে নিয়ে একটা পার্কে যাই আজকে এই পার্কে কনসার্ট আভি আর আস্থা ওই কানে যাই । আস্থা বলে আভি ফুচকা খাবো প্লিজ আভি দুই প্লেট পুচকা কিনে এরপর দুইজন দুই জন কে খাইয়ে দেই। এরপর দুইটা আইসক্রিম কিনে হাঁটতে থাকে দুইজন । আভি এবার আস্থা কে নিয়ে একটা মেলায় যাই এখানে প্রতি মাসে মেলা হয়। আস্থা মেলাতে ডুকে একটা দোকানে যাই গিয়ে চুরি পছন্দ করে আস্থা। আভি এই দোকানে যতো কালার এর চুরি ছিলো সব কিনে নেই। আস্থা খুশি হয়ে বলে thank you আভি এতো গুলো চুরি দেওয়ার জন্য । এরপর আরো অনেক অনেক জিনিস কিনে আস্থা আর এই সব গুলো আভি হাতে নেই। এরপর আরো কিছু কোন ঘুরে একটা বড়ো রেস্টুরেন্ট এ যাই। আভি কে দেখে ম্যানেজার বলে আরে sir আসেন আপনার জন্য অপেক্ষা করছি স্পেশাল টেবিলটা সাজিয়েছি আপনার জন্য ।আভি আর আস্থা ভিতরে গিয়ে সাজানো টেবিল এ বসে । আস্থা বলে ওয়াও আভি সাজানো টা দারুন হয়েছে । আভি বলে তোমার পছন্দ হয়েছে ? আস্থা বলে অনেক। এরপর আভি আস্থার পছন্দের সব খাবার অর্ডার করে। আস্থা বলে আভি আমার পছন্দ এই গুলো জানলেন কি করে আপনি? আভি বলে বউ তুমি আমার হও এক বছর এর তাও তো তোমার পছন্দ অপছন্দ যানতে হবে । আভি কথা শুনে আস্থা মনে মনে ভাবে তিন বছর এর সম্পর্ক রিশাব আমার পছন্দ অপছন্দ বলতে পারে নি আর আভি এক মাসে সব জেনে গেছে। আভি আর আস্থা ডিনার করে বাসাই ফিরে।

বিছানায় শুয়ে আছে আভি আর আস্থা আভি আস্থা কে উদ্দেশ্যে করে বলে আজকে কেমন লাগলো? আস্থা বলে বিশন ভালো আজকের দিন টা আমার জীবনে বেস্ট দিন হিসেবে থাকবে। আভি বলে ভালোই হলো আমি না থাকলে আজকের ছবি গুলো দেখবে সৃতি হিসেবে থাকলো বলেই ঘুমিয়ে যাই আভি আর আস্থা আভির বলা কথা শুয়ে শুয়ে ভাবতে থাকে কারন আজকে কয়েক বার আভি মরার কথা বলেছে।
চলবে…..

#অবশেষে তুমি আমার
#পর্ব:8
#লেখনিতে: রিদিকা আফরোজ রোজা

আভি আর আস্থা একটা রাস্তা দিয়ে হাঁটছে হাঁটতে হাঁটতে মেইন রোডে উঠে যাই আভিরা। আস্থা আভি কে বলে আমাকে ওই বেলুন টা এনে দিন না আভি । আভি রাস্তা পার হয়ে বেলুন নিয়ে আসতে একটা বড়ো গাড়ি ধাক্কা মেরে পেলে দেই আরেকটা গাড়ি পিষে চলে যাই আস্থা চিৎত্কার করে বলে উঠে আভি। আস্থার চিৎত্কার শুনে আভির ঘুম ভেঙ্গে যাই । আভি জিজ্ঞাসা করে কি হয়েছে আস্থা ? আস্থা আভি জরিয়ে দরে কাঁদতে থাকে আর বলে আপনার কিছু হবে না আভি আমি আপনার কিছু হতে দিবো না। আভি বলে আস্থা কি হয়েছে আমি ঠিক আছি আস্থা আমার কিছু হয়নি তুমি শান্ত হও। তবুও আস্থা কেঁদে যাচ্ছে আভি আর কিছু বলে না চুপ করে জরিয়ে দরে আছে আস্থা কে। কিছু কোন পর আস্থার কান্না থামলে ও আভি কে জরিয়ে দরে হেচকি তুলে যাচ্ছে । আভি বলে আস্থা এমন কি দেখেছো বলো আমাকে? আস্থা হেচকির জন্য বলতে পারছে না। এইবার বলে আমি খুব খারাপ সপ্ন দেখেছি আভি । আভি বলে কি দেখেছো আস্থা বলো আমাকে । আস্থা আভি কে সবটা বলেই আবার কেঁদে দেই । আভি বলে আরে বাবা সপ্ন তো সপ্ন এটা সত্যি না দেখো আমি ঠিক আছি তোমার সামনে আছি। আর আমি না থাকলে বা তোমার কি আমি তোমার কে হুম? আস্থা বলে জানিনা আমি কিছু যানি না আপনার কিছু হবে না । আভি বলে আরে বাবা এটা সপ্ন রিলেক্স আসলে তুমি মনে হয় আজকে আমাকে নিয়ে একটু বেশি ভেবেছো তাই এমন বাজে সপ্ন দেখেছো কিছুই হবে না সব ঠিক হয়ে যাবে চলো ঘুমাই বলে দুই জন শুয়ে পরে আস্থা আভি কে আষ্টে পিষ্টে জরিয়ে দরে আছে যেনো চারলে পালাবে । আভি বলে এই ভাবে থাকবে? আস্থা মাথা নারিয়ে হে বুজাই । আভি মুচকি হাঁসি দিয়ে আস্থার মাথায় হাত বুলিয়ে দেই আস্থা ঘুমিয়ে পরে।

সকাল বেলা আস্থার ঘুম আজকে অনেক আগে ভেঙ্গে যাই । ঘুম থেকে উঠে সপ্ন টার কথা মনে হয় আস্থার মন টা নিমেষে খারাপ হয়ে যাই চোখে পানি জমা হয়ে গেছে। আস্থা আভির দিখে কিছু কোন থাকিয়ে ব্যালকনিতে চলে যাই। এই দিখে আভি ঘুম থেকে উঠে আস্থা কে না পেয়ে বলে কি হলো আস্থা রানী গেলো কোথায় তখনি চোখ যাই ব্যালকনিতে দারানো রমনীর দিখে। আভি উঠে আস্থার পাশে দারিয়ে আস্থার কাঁধে হাত রাখে আস্থা পিছনে ঘুরে আভি কে দেখে। আভি চেয়ে দেখে আস্থার দুই চোখ ভরা জল আভির মন টা ও খারাপ হয়ে যাই। আভি বলে আস্থা কি হয়েছে তোমার কাঁদছো কেনো এটা একটা সপ্ন আস্থা এতো ভাবনার কিছু নেই সামান্য একটা সপ্ন নিয়ে মন খারাপ করে আছো আমি তো আর মরে যাই নি তাই না? আস্থা বলে আভি এসব আপনি কি বলেন আবার শুরু করলেন। আচ্ছা আভি আজকে না গেলে হয় না অন্য কাউকে পাঠিয়ে দিন না আভি প্লিজ । আভি আস্থার এই আচরন এর মানে খুঁজে পাচ্ছে না হঠাৎ করে আস্থা কেনো এতো ভাবছে আভি কে নিয়ে তাহলে কি আভির ভাবনা সত্যি যদি সত্যি হয় আভির থেকে খুশি কেউ হবে না আভি মনে মনে বলে আল্লাহ আমি যেটা ভাবছি সেটা যদি সত্যি হয় আমি দুই রাকাত নফল নামাজ পরবো আস্থা যদি বলে আমাকে ভালোবাসে । আভির ভাবনার মাঝে আস্থা বলে উঠে আভি না গেলে হয় না। আভির এবার হুঁশ আসে আভি বলে যদি দরকার না হতো যেতাম না আজকে রাতে কনফারেন্স বুজলে একটু পর বের হবো আমি না গেলে কাজ টা হবে না তাই যেতে হবে তুমি প্লিজ আমার জামা গুলো লাগেজে ভরে দিবে। আস্থা বলে দিচ্ছি এরপর আভি ওয়াশ রুমে চলে যাই আস্থা আভির ড্রেস লাগেজে রাখে।

আভি ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে জিজ্ঞাসা করে জামা গোছানো হয়েছি কিনা আস্থা মুখ টা অন্ধকার করে বলে হয়েছে। আভি লাগেস হাতে নিয়ে আস্থার দিখে থাকিয়ে দেখে আস্থার চোখ জলে ভরা আভি বলে আস্থা যাওয়ার সময় এই ভাবে মন টা খারাপ করে রেখোনা আমার জার্নি টা তাহলে খুব একটা ভালো হবে না সামান্য একটা সপ্ন নিয়ে ভাবার কিছু নেই আর নিজের খেয়াল রাখবে ওষুধ গুলো ঠিক মতে খাবে মনে করে। আস্থা বলে আপনি আছেন তো মনে করানোর জন্য । আভি আনমনে বলে যদি না থাকি । আস্থা ঠিক শুনতে পাই আবার ও মন টা খারাপ হয়ে যাই আভি বেরিয়ে পরে তখনি আস্থা পিছনে থেকে জরিয়ে দরে বলে উঠে আই মিস ইউ আভি আমি অপেক্ষা করবো আপনার জন্য ফিরে আসবেন প্লিজ । আভি চোখে ও এবার জল দেখা যাই আভি ঘুরে আস্থার মাথায় হাত বুলিয়ে বলে উঠে ঠিক আছে নিজের খেয়াল রেখো । আস্থা বলে আপনি ও এরপর দুই জন এক সাথে নিচে যাই আভি নাস্তা করে বাবা মা কে বলে বেরিয়ে পরে আভির সাথে আস্থা ও বের হয় গাড়ি পর্যন্ত যাই। আভি গাড়িতে উঠে বলে ভালো থেকো আস্থা নিজের যত্ন নিয়ো বলতেই ড্রাইভার গাড়ি চালিয়ে দেই। আভি যেতে আস্থা রুমে গিয়ে আভির ছবি নিয়ে চিৎত্কার করে কাঁদতে থাকে কিন্তু কেনো কাঁদছে আস্থা এখন ও সেই অনুভূতি বুজতে পারছে না।

এই দিখে অর্ধেক যেতে ড্রাইভার এর বাসা থেকে ফোন আসে তার মেয়ে হাসপাতালে ড্রাইভার আভি কে বলে আভি ড্রাইভার কে বলে চলে যেতে আর বিকালে এসে এয়ারপোর্ট থেকে গাড়ি টা নিতে। ড্রাইভার আচ্ছা বলে চলে যাই আর আভি ড্রাইভ করতে থাকে আভির আর এক ঘন্টা লাগবে এয়ারপোর্ট যেতে আভির চোখে বার বার আস্থার জলে ভরা চোখ বাসছে আভি বলে আমি যানি আস্থা তুমি আমাকে ভালোবেসে পেলেছো আমাকে হারানোর ভয় তোমার চোখে দেখেছি আমি তবে খুব তারা তারি হয়তো বলবে তুমি আমাকে ভালোবাসো কিন্তু তোমার মুখে ভালোবাসি শুনার জন্য আমি থাকবো তো বলতে আভি সামনে থাকিয়ে দেখে একটা বড়ো ট্রাক আসছে খুব স্পিড এ আভি ব্রেক দরতে দরতে গাড়িটা আভির গাড়িকে একটা ধাক্কা মারে আভি আস্থা বলে চিৎত্কার দিয়ে সাথে সাথে গাড়ির কাছ ভেঙ্গে বেরিয়ে রাস্তাই পাশে পরে। এই দিখে আস্থা আভির ছবি নিয়ে বসে আছে হঠাৎ হাত থেকে ছবি টা পরে যাই আর আস্থার মনে হয় আভি থাকে ডাকছে। আস্থা ছবি টা তুলে বলে ভেঙ্গে গেলো ছবি টা আভি আভি আমাকে ডেকেছে মনে হলো আমি একটা ফোন দেই। আস্থা আভি কে একের পর এক কল করে যাচ্ছে ফোন বন্ধ দেখাচ্ছে আস্থা শুধু পারছে না টেনশনে কেঁদে দিতে।এই দিখে সব লোক এক সাথে হয়ে যাই সবাই বলছে মারা গেছে ছেলেটা….
চলবে।