অবশেষে তুমি আমার পর্ব-০৯+১০

0
286

# অবশেষে তুমি আমার
# পর্ব: 9+10
# লেখনিতে: রিদিকা আফরোজ রোজা

পুলিশ আভি কে দেখে চিনতে পারে আর বলে উঠে ও মাই গড আভি চৌধুরি এখনো শ্বাস চলছে পুলিশ আভি কে তারা তারি করে হসপিটালে নেই এরপর আভির ঠিকানা ফোন দিবে কিন্তু কি করে ফোন দিবে বুজতে পারছে না তখনি এক পুলিশ এসে আভির ফোন দিয়ে বলে sir গাড়িতে পেয়েছি । অফিসার দেখে ফোন বন্ধ কিছুটা গ্লাস ফেটে গেছে অফিসার ফোন টা খুলতে দেখতে পাই 100+ ফোন লেখা আছে আস্থা রানি । অফিসার এই নাম্বারে ফোন করে ফোন বাজতে আস্থা তারা তারি করে ফোন দরে দেখে আভির নাম্বার আস্থা বলে মম আভি বলেই ফোন রিসিভ করে বলে আপনার কি কোনো সেন্স নেই আভি আমি কতো বার বলেছি ফোন বন্ধ না করতে আমার চিন্তা হয়। তখনি অফিসার বলে মেডাম আপনি কি আস্থা । আস্থা বলে জি আপনি কে আর আভির ফোন আপনার কাছে কেনো উনি কোথায়? অফিসার বলে আপনি উনার কি হোন? আস্থা বলে স্ত্রী। অফিসার বলে মেডাম আসলে আপনার হাসবেন্ড এর খুব বাজে ভাবে একসিডেন্ট হয়েছে বাঁচবে কিনা সন্দেহ এই কথা বলতে আস্থা চিৎত্কার করে বলে নাহ আমার আভির কিছু হতে পারে বলেই সেন্স হারাই হাত থেকে ফোনটা ও পরে যাই । আভির বাবা মা কিছু বুঝতে না পেরে ফোন কানে নিয়ে বলে কে বলছেন আভির কি হয়েছে? অফিসার তখন বলে আভির বাবা ও ফোন কানে নিয়ে আভি বলে সোপাই বসে পরে এরপর অফিসার হসপিটালের নাম বলে দেই। আভির মা বলে কি হয়ছে? আভির বাবা আভির একসিডেন্ট এর কথা বলে আভির মা ও কাঁদতে থাকে এই দিখে আরশি আস্থার চোখে পানি দিয়ে সেন্স আসে। সেন্স আসতে আস্থা আভি বলে চিৎত্কার করতে থাকে আস্থা বলে মম ডেড আমার আভি আমি আভি কে চারা মরে যাবো মম আমার আভি বলেই সবাই বের হয় হসপিটালে উদ্দেশ্যে। হসপিটাল এর কাছে গিয়ে গাড়ি থেকে নেমে দৌরে ভিতরে ডুকে যাই আস্থা আস্থা কে এই ভাবে দৌরে আসতে দেখে সবাই চেয়ে আছে। আস্থা একটু এগুতে অফিসার কে দেখতে পাই। আস্থা অফিসার এর কলার দরে কাঁদতে কাঁদতে বলে অফিসার আমার আভি কোথায় অফিসার বলুন আমার আভি কোথায় আমি আভির কাছে যাবো। অফিসার আস্থা কে বলে শান্ত হোন প্লিজ মেম sir কে O.T তে নেওয়া হয়েছে । আস্থা বলে আমি ভিতরে যাবো আমার আভির কাছে বলেই যেই যাবে ওমনি অফিসার আভির বাবা মা আস্থা কে দরে পেলে আস্থা মুচরা মুচরি করছে ছুটতে কিন্তু পারছে না আস্থা পাগল এর মতো চিৎত্কার করতে থাকে আর বলতে থাকে আমি আভির কাছে যাবো চারো বলছি আমাকে আমি আভির কাছে যাবো বলেই আবার সেন্স হারাই আস্থা কে দরে তারা তারি একটা কেবিন এ নিয়ে যাওয়া হয়। এই দিখে এই খবর শুনে আস্থার বাবা ও হসপিটালে চলে আসে। আস্থা বাবা বলে আভির এই অবস্থা কি করে হলো আমার আস্থা কোথায় বলেই চেয়ে দেখে একটা বেডে শুয়ানো ডক্টর সেন্স আনছে। আস্থা সেন্স আসতেই আস্থা উঠে পাগল এর মতো সব ভাঙ্গতে থাকে আর বলতে থাকে আমি আভির কাছে যাবো আমার আভির কাছে নিয়ে চলো বলেই বাবা কে দেখে দৌরে জরিয়ে দরে বলে পাপা আমার আভির কাছে নিয়ে চলো পাপা আমার আভির কিছু হলে আমি বাঁচবো না তুমি না বলেছিলে আমি একদিন ঠিক আভি কে ভালোবেসে পেলবো আমি বুজতে পেরেছি আমি ভালোবাসি আভি কে আমি কেনো আরো আগে বুজিনি পাপা। আভি বলেছিলো আমি আমি যখন বুজতে পারবো তখন হয়তো বলার জন্য সে থাকবে না এটাই সত্যি হলো বাবা আমি বুজতে পেরেছি কিন্তু আভি আমাকে ছেরে চলে যেতে চাইছে কেনো পাপা প্লিজ আভি কে এনে দাও আমি মরে যাবো আভি কে চারা আভি কে এনে দাও না বলে চিৎত্কার করতে থাকে আস্থার কান্না দেখে হসপিটাল এ সবার চোখে পানি। আস্থার বাবা বলে আভি ঠিক হয়ে যাবে ও তোর কাছে ফিরে আসবে দেখিস তোর আভি ঠিক হয়ে যাবে মা।

এক জন ডক্টর এসে বলে রোগীর অবস্থা ভালো না বন্ডে সাইন দিন না হলে অপারেশন করানো যাবে না। আস্থা ডক্টর এর কাছে গিয়ে ডক্টর এর পায়ে দরে বলে আমার আভি কে ভালো করে দিন ডক্টর অনেক টাকা দিবো। ডক্টর বলে মেম আমরা সবটা দিয়ে চেষ্টা করবো বাকি টা আল্লাহর হাতে আর রোগির রক্ত লাগবে O+ অনেক রক্ত গিয়েছে প্রচুর রক্ত লাগবে রক্তের ব্যবস্থা করোন আর ইমার্জেন্সি এক বেগ লাগবে । অফিসার বলে আমি দিবো রক্ত বলেই ডক্টর এর সাথে চলে যাই আস্থা ও ডক্টর এর পিছনে দৌরে O.T ভিতরে যাবে ওমনি আস্থার শ্বশুর আর বাবা আটকে দেই। আস্থা চিৎতকার করে বলে চারো আমাকে আমি গেলে আমার আভি ঠিক হয়ে যাবো চারো না বলেই কাঁদতে থাকে পাগল এর মতো চিৎত্কার করে আর বার বার আভি আভি বলছে ডক্টর এবার বেশি পাগলামি দেখে ঘুমের ইনজেকশন দেই জুর করে দরে সাথে সাথে আভি বলে ঘুমিয়ে যাই আস্থা।

তিন ঘন্টা দরে O.T চলছে আস্থা ঘুমে আছে ডক্টর এখন ও কোনো খবর দিচ্ছে না। চার ঘন্টা হতে চলেছে ডক্টর বেরিয়ে আসে। আভির বাবা বলে আমার আভি কেমন আছে । ডক্টর বলে অপারেশন successful আল্লাহর অনেক রহমত রোগী মরার পথ থেকে বেঁচে এসেছে হয়তো উনার স্ত্রী ভালোবাসার জুরে। ডক্টর বলে চার ঘন্টা পর সেন্স আসবে তবে রোগীর পায়ে হাতে ইনজুরি কিছু দিন হাঁটতে পারবে না হুইল চেয়ারে বসতে হবে পরে আস্তে আস্তে হাঁটতে পারবে তবে যত্ন নিতে হবে আমি আসি । কেটে যাই চার ঘন্টা এখন ও সেন্স আসছে না আভির । ডক্টর বলে হয়তো মাথায় আঘাত এর ফলে এমন হচ্ছে চিন্তা করবেন না। পাচ ঘন্টা পর সেন্স আসে আভির ডক্টর আভির বাবা মা কে খবর দেই সবাই ভিতরে যাই। আভি সবার উদ্দেশ্যে বলে আস্থা কোথায় মম। আভির মা সব খুলে বলে আর বলে আস্থা কে ঘুমের ইনজেকশন দিয়েছে । সবার কথা শুনে আভি অবাক ভাবতে পারে নি আস্থা থাকে এই এক মাসে এতো টা ভালোবেসে পেলবে। তখনি একটা নার্স এসে বলে sir আস্থা মেডাম এর ঘুম ভেঙ্গে গেছে আভি আভি বলে চিৎতকার করছে আর সব ভেঙ্গে পেলছে প্লিজ তারা তারি যান উনি নাহলে নিজের কোনো ক্ষতি করে পেলবে । নার্স এর কথা শুনে ডক্টর চারা বাকিরা ছুটে যাই আভি চেয়ে ও পারছে না যেতে আস্থার কাছে। ডক্টর বলে আপনার বউ মনে হয় আপনাকে পাগল এর মতো ভালোবাসে না হলে কেউ এমন পাগলামী করে আমার পায়ে পর্যন্ত পরেছে আর কয়েক বার সেন্স হারিয়েছে। ডক্টর এর কথা শুনে আভির চোখে পানি চলে আসে যা খুশির কান্না ভালোবাসা জয় হওয়ার।
চলবে….

# আবশেষে তুমি আমার
# পর্ব:10
# লেখনিতে: রিদিকা আফরোজ রোজা

আস্থা দৌরে আভির কেবিন এ ডুকে আভির বুকে ঝাঁপিয়ে পরে। এটা দেখে ডক্টর আর বাকিরা চলে যাই। আস্থা পাগল এর মতো জুরে জুরে কান্না করে যাচ্ছে। আভি বলে আস্থা আমি ঠিক আছি। আস্থা কাঁদতে কাঁদতে বলে তুমি খুব খারাপ আভি কেনো ড্রাইভ করতে গেলে একবার ও আমার কথা মনে হলো না তোমার কিছু হলে আমি মরে যেতাম আভি মরে যেতাম। আমি বলেছিলাম তো আজকে না যেতে তবুও তুমি গেলে যদি কিছু হতো আমার কি হতো আভি । আস্থার কথা শুনে আভি বলে আমি মরলে তোমার কি আমি তোমার কে? আস্থা বলে তুমি আমার সব আভি আমি তোমাকে ভালোবেসে পেলেছি আভি কখোন কি ভাবে যানি না।। তুমি নিজে আমার মনে সেই জয়গা তৈরি করে নিয়েছো আভি আমি খুব ভালোবেসে পেলেছি তোমাকে। তুমি না বলেছিলে আমি যখন বুজবো তখন তুমি থাকবে না তাই তো যখন আমি বুজেছি সত্যি তুমি রাগ করে চলে যেতে চাইছিলে কেনো আভি কেনো আমাকে রেখে চলে যেতে চাইছিলে।আভি বলে যাই নি তো তোমার মুখে ভালোবাসি শুনতে ফিরে এসেছি।আভি কথা শুনে আস্থা আবার ও বলে উঠে ভালোবাসি আভি খুব ভালোবাসি তোমার কিছু হলে আমি মরে যাবো আভি মরে যাবো বলে কাঁদতে থাকে। আভি মনে মনে বলে আমি যানতাম আস্থা তুমি ঠিক বলবে আমাকে ভালোবাসো তবে এই ভাবে সেটা কল্পনা ও করি নি আমি। যাই হোক বলেছো তো এটাই অনেক আস্থা। আভি কে দেখতে সবাই আবার আসে এসে দেখে আস্থা আভি কে জরিয়ে দরে কেঁদে যাচ্ছে সবাই যে ভিতরে আস্থার তাতে কিছু যাই আসে না সে আভি কে জরিয়ে দরে চোখের পানি পেলছে। সবাই একে একে আভির সাথে কথা বলে আর আস্থা চুপটি মেরে শুয়ে আছে আভির বুকে। ডক্টর এসে আভি কে ঔষুধ দেই আভি আস্থা কে এক হাতে জরিয়ে দরে ঔষুধ খাই। ডক্টর যেতে আভি বলে আজকে কি সারা দিন এই ভাবে থাকবে? আস্থা মাথা নারিয়ে হে বুজাই। আভি আর কিছু না বলে শুয়ে পরে আস্থা ও আভির বুকে শুয়ে জরিয়ে দরে থাকে কিছু কোন পর দুই জন ঘুমিয়ে যাই বাহিরে থেকে এই দৃশ্য দেখে সবাই হেসে চলে যাই হসপিটাল এর গেস্ট রুমে।

রাত তিন টাই ঘুম ভাঙ্গে আস্থার আস্থা চেয়ে দেখে আভির বুকে আছে। আস্থা উঠে বসে আভির ব্যান্ডেজ করা কপালে হাত দেই। আস্থা এবার আভির গালে হাত বুলিয়ে দুই গালে দুই চুমু খাই। আভির এই অবস্থা দেখে আস্থা আভির হাত এ মাথা রেখে কেঁদে দেই। গরম কিছু হাতে অনুভব করাই জেগে যাই আভি চেয়ে দেখে আস্থা তার হাত দরে বসে কাঁদছে। আভি বলে আস্থা তুমি কাঁদছো? আস্থা বলে যদি তোমার কিছু হয়ে যেতো আভি আমার কি হতো আমি তো মরে যেতাম বলেই কাঁদতে থাকে। আভি বলে পাগলি কিছু তো হয়নি তাহলে কেনো কাঁদছো। আস্থা বলে তুমি বুজবে না তুমি তো একটা ছাগল । আভি বলে আর তুমি ছাগল এর বউ ছাগলী বলতে কান্নার মাজে হেসে দেই আস্থা। আভি বলে আমাকে একটু বসিয়ে দাও তো আস্থা আভি কে বসিয়ে পাশে বসে বলে আস্থার কাঁধে মাথা রাখতে আভি আস্থার কাঁধে মাথা রাখে আস্থা আভির মাথায় হাত বুলিয়ে দেই আর গল্প করতে থাকে কখোন যে ঘুমিয়ে যাই টের পাইনি আভি। সকাল বেরায় আস্থার শ্বশুরি খাবার নিয়ে আসে এসে আভির কেবিনে ডুকে আস্থা কে বলে কিছু খা এবার ফ্রেশ হয়ে কাল থেকে না খেয়ে তুই। আস্থা বলে আমি আভি কে চেরে যাবো না। আস্থা শাশুরি বলে যেতে বলিনি ফ্রেশ হতে বলেছি । আস্থা বলে লাগবে না আমি আভির কাছে থাকবো ওর লেগে যাবে মম আমি গেলে আভির কষ্ট হবে। আভি বলে কিছু হবে না আস্থা তুমি যাও মম আছে।
আস্থা বলে ওকে মম আমার আভি কে দেখো বলেই বেরিয়ে যাই । আভির মা বলে মেয়েটা তোকে কি পরিমান ভালোবাসে পাগলি একটা। বিশ মিনিটে আস্থা ফ্রেশ হয়ে একটা হাঁটু পর্যন্ত শর্ট জামা পরে হাতা কাটা বেরিয়ে যাই আভির কেবিন এর দিখে। কেবিনে ডুকতে আভি বলে এতো তারা তারি শেষ তোমার তো দুই ঘন্টা লাগে। আস্থা বলে তুমি অসুস্থ আর আমি দুই ঘন্টা গোসল করবো ভাবলে কি করে। এরপর আভির মা চলে যাই আস্থা গিয়ে আভির পাশে বসে বুকে মাথা রাখে। আভি বলে খেয়েছো? আস্থা বলে হুম । আভি বলে তুমি হঠাৎ আমাকে তুমি বলছো। আস্থা বলে আমার বর তুমি আমি তোমাকে সব বলবো বুজলে। আভি বলে বুজলাম আভি বলে আচ্ছা রিশাব এর কি হবে। আস্থা বলে আমি ওকে বলে দিবো আমি তোমাকে ভালোবেসে পেলেছি দরকার পরলে ওর পায়ে দরে মাফ চাইবো যাতে মাফ করে দেই আমি তোমাকে তবুও চারতে পারবো না আভি। কাজি সাহেব ঠিক বলেছিলো হালার সম্পর্কের জুর অনেক বেশি সত্যি আজকে প্রমান হলো আভি না হলে এক মাসে রিশাব এর তিন বছর এর ভালোবাসা ভুলে গেলাম। তবে এটা সত্য এক মাসে তুমি আমাকে যতোটা কেয়ার করেছো ততো টা রিশাব তিন বছরে ও করেনি তাই হয়তো তোমার প্রতি বালোবাসা চলে এসেছে আর তুমি আমার স্বামী বলে হয়তো। আস্থা আরো বলে পাপা সত্য বলেছে আমি একদিন বলবো বাবা আমার জন্য বেস্ট খুঁজে দিয়েছে তাই হলো সত্যি বাবা কে ধন্যবাদ দিতে হবে তোমাকে আমার লাইফে আনার জন। আভি বলে # অবশেষে তুমি আমার
চলবে….