অবশেষে তুমি আমার পর্ব-১৩+১৪

0
299

#অবশেষে তুমি আমার
#পর্ব :13+14
#লেখনিতে:রিদিকা আফরোজ রোজা

আস্থা বের হয়ে সবাই কে এক সাথে করে বলে আজ থেকে আপনাদের নতুন এমডি আমি আভি না তাই আমার নিয়মে অফিস চলবে। আর হে যে মেয়ে স্টাপ আভির দিখে নজর দিবে আই মিন আভি কে পছন্দ করবে আমি যদি একটু ও টের পাই সোজা বের করে দিবো আর আজ থেকে নতুন নিয়মে সবাই চলবে আভির দিখে চোখ তুলে থাকানোর সাহস ও যেনো না দেখি তাহলে আভির পিএ মতো বের করে দিবো মাইন্ড ইট চলো আভি বলে আভির কেবিন এ ডুকে যাই। আভি বলে আস্থা তুমি তো একদিনে সবাই কে ভয় পাইয়ে দিলে তবে মেয়ে গুলো কে ভালো জব্দ করেছো। আস্থা বলে আমি তো আর তোমার মতো নরম না যে অন্যায় মেনে নিবো তোমার দিখে থাকানো অন্যায়। আভি বলে হয়েছে আর কেউ আজকে থেকে মাথা তুলে থাকাবে বলে মনে হচ্ছে না। আভি আর আস্থা লান্স করে কনফারেন্স রুমে ডুকে যাই। আজকের কনফারেন্স এ বক্তব্য আস্থা দেই। আস্থা বিজনেস নিয়ে পড়া শুনা করছে এটাই লাস্ট বছর আবার এই তিন মাসে আভির সমস্ত কাজ করে আস্থার ধারনা হয়ে গেছে প্রতিটা প্রজেক্ট নিয়ে তাই বুজাতে আস্থার একটু ও সমস্যা হয়নি। আভি ও অবাক প্লাস খুশি এই প্রথম আস্থা একটা ডিল এ হাত দিয়েছে সেটা কনপ্রাম করে পেলেছে। সবাই অভিনন্দন জানাচ্ছে । আভি আস্থা কে জরিয়ে দরে বলে দারুন হয়েছে মাই লাভ আই এম প্রাউডাফিউ তুমি প্রথম দিন নিজের বেস্ট টা দিয়েছো। আস্থা বলে সবটাই তোমার জন্য তুমি তো এই তিন মাসে আমাকে সব বুজিয়ে দিয়েছো আমি আশা করি তুমি পাশে থাকলে আরো ভালো করবো ভবিষ্যতে আর ডেড এর বিজনেস তো আমাকে সামলাতে হবে। অফিস শেষ করে বের হয় আভি আর আস্থা । আভি আসতেই সব মেয়েরা মাথা নিচু করে নেই যেটা দেখে আস্থা বাঁকা হাসে আর আভি পারছেনা জুরে হাঁসতে খুব কষ্টে হাঁসি কনটরুল করে বের হয় আভি।

বাসাই এসে দুই জন ফ্রেশ হয় আভি ল্যাপটপ নিয়ে বসে আস্থা দুইটা কফি এনে একটা আভি কে দেই একটা নিজে খাই আভি কাজ করছে আস্থা পড়ছে আভি কাজের ফাঁকে ফাঁকে আস্থা কে বুজিয়ে দিচ্ছে এই ভাবে কখোন যে এগারো টা বেজে যাই কারো খেয়াল নেই। আভির মায়ের ডাকে দুই জন নিচে নামে। সবাই এক সাথে খেতে বসেছে। আভির বাবা বলে আস্থা মা অফিস কেমন লাগলো আর নতুন এমডি হয়ে। আস্থা বলে অনেক ভালো পাপা অফিস এর চেহারা পাল্টে দিয়েছি আমি একদিনে। আভি বলে হে ডেড আস্থা নিয়ম ও পাল্টে দিয়েছে। খাবার শেষ করে আভি আস্থা রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পরে। সকাল বেলা আবার ও আগের নিয়মে দুই জন অফিস এ যাই। আজকে যেতে মিটিং আরেক কম্পানির সাথে আস্থা আর আভি এক সাথে কনফারেন্স রুমে ডুকে সবাই দারিয়ে গুড মনিং বলে আস্থা আর আভি ও বলে। তখনি মিস জেনিফা এসে বলে মিঃ আভি আপনার কম্পানির সাথে আমি ডিল করছি আমি জেনিফা বলেই হাত বারাই। আভি আস্থার দিখে থাকাই আস্থার চোখ দেখে আভি ভয়ে যাই যাই অবস্থা। আস্থা মেয়েটির সাথে হাত মিলিয়ে বলে কম্পানির এমডি আমি উনি না তাই হাত আমার সাথে মেলানো উচিত । জেনিফা বলে সরি বুজতে পারি নি। আস্থা বলে সমস্যা নেই বসুন। জেনিফা যেই যাবে আভির পাশে বসতে ওমনি আস্থা বলে মিস জেনিফা সিট টা আমার অন্য পাশে যান। কথা টা যেনো একটু অপমানিত হলো জেনিফা তবে আস্থার তাতে কিছু যাই আসে না। আস্থা আজকে ও প্রেজেন্টেশন করে এই ডিল টা ও কমপ্লিট হয়ে যাই। জেনিফা আভি কে উদ্দেশ্যে করে বলে আজকে যদি আমরা লান্স করি এক সাথে কোনো সমস্যা হবে মিঃ আভি। আস্থা বলে ইয়েস আমাদের রায়হান গ্রুপ এর সাথে মিটিং এক ঘন্টা সময় হাতে আছে আর যেতে লেগে যাবে সময় তাই আজকে হবে না সরি অন্য কোনো দিন যেহেতু এই প্রজেক্ট এ কাজ করবো এক সাথে আমরা ওকে জেনিফা । জেনিফা বলে ওকে সমস্যা নেই। তবে একটা কথা আপনারা কি দুই জন ফেন্ড। আস্থা বলে বলতে পারেন ফেন্ড বয়ফেন্ড হাসবেন্ড সব। আই মিন হি ইজ মাই হাসবেন্ড। জেনিফার মুখ টা অন্ধকার হয়ে যাই কারন বেছারি আভি কে পছন্দ করে পেলেছিলো আস্থা বুজতে পেরেছে। এরপর জেনিফা কে রেখে আস্থা আভি বেরিয়ে যাই। আভি বলে মিথ্যা কেনো বললে? আভির দিখে কটমট দৃষ্টিতে থাকিয়ে আস্থা বলে কেনো খুব বেশি শখ ছিলো নাকি সুন্দরী ক্লাইন্ট এর সাথে লান্স করার? আভি বলে কি বলছো মোটেও না আমি তো জাস্ট এমনি বললাম আর বলবো না। আস্থা বলে শুনু এই মেয়ে যদি আসে পাসে বেশি ঘেঁষতে চাই পাত্তা দিবেনা না যদি দেখি তাহলে ঠিক করবো আমি নিজে ও যানি তবে তোমাকে কিছুই করবো না যা হবে এই মেয়ের সাথে হবে। আস্থাল কথা শুনে আভি মনে মনে বলে কি দজ্জাল রে বাবা।আস্থা আভি কে নিয়ে একটা বড়ো হোটেলে ডুকে লান্স করে দুই জন পার্কে ঘুরতে যাই।
চলবে….

# অবশেষে তুমি আমার
#পর্ব :14
#লেখনিতে:রিদিকা আফরোজ রোজা

পরের দিন আভি আর আস্থা অফিসে আসতে আভির নিউ পিএ আকাশ বলে sir লন্ডন এ যেতে হবে আপনাকে কারন আগের বার তো যেতে পারেন নি তাই তারা পিছিয়ে দিয়েছে কারন ওরা দেরিতে করলে ও আপনার কম্পানির সাথে কাজ করতে চাই লাভের জন্য তাই আপনাকে কাল লন্ডন যেতে হবে। আস্থা বলে আকাশ তুমি দুইটা টিকিট কাটো আমি ও যাবো আর হে ওই কানে সব চেয়ে নামি দামী বিলাস বহুল হোটেল বুক করো যানো তো আভি চৌধুরির কেমন রুম পছন্দ । আকাশ বলে কোনো চিন্তা করবেন না মেডাম হয়ে যাবে আস্থা বলে শুনু অফিস এর দায়িত্ব তোমার আশা করি সামলাতে পারবে? আকাশ বলে ভরসা করতে পারেন মেম। আস্থা বলে ভরসা করি বলেই তো আভির পিএ করেছি তুমি যাও। আকাশ চলে যেতে আভি বলে তুমি যাবে? আস্থা বলে ইয়েস আর এক কাজে তিন কাজ হবে। আভি বলে তিন কাজ মানে। আস্থা গিয়ে আভির কুলে বসে গলা জরিয়ে দরে বলে প্রথম হলো তোমার হেল্প হবে আর দ্বিতীয় বিয়ের পর তো বাসর ও হয়নি হানিমুন ও হয় নি সেটাও করে নিবো। আর তিন রিশাব কে বের করা। আভি বলে বাহ কি বুদ্ধি তবে ঠিক বলেছো হানিমুন টা করে পেলা ভালো মম কে নাতী নাতনী দেখাতে হবে তো বলেই দুইজন হেসে দেই। আস্থা আভির ঠোঁটের দিখে থাকিয়ে থেকে আচমকা আভির ঠুঁটে ঠোঁট ছেপে ধরে কিস করতে থাকে। আভি এই আচমকা ঘটনাতে গাবরে যাই নিজেকে কিছু টা সামলে নিয়ে আস্থার সাথে রেসপন্স করতে থাকে দুইজন জেনো সব ভুলে গেছে এটা অফিস। এই প্রথম আভি আস্থার কাছে আসা তাও আস্থা নিজে থেকে। কতো কোন কেটে গেলো আস্থা আভির খেয়াল নেই দুইজন দুইজনের ঠুঁটে মগ্ন ঠিক তখনি নক না করে ডুকে পরে জেনিফা। সাথে সাথে শব্দ পেয়ে আস্থা আভি কে ছেরে দেই। আস্থা বলে মিস জেনিফা এতো বড়ো বিজনেসওম্যান হয়ে ও এই টুকু সেন্স নেই। মিস জেনিফা বলে অফিস তো এসব এর জায়গা না। আভি বলে আমার ডেক্সস আমি যা ইচ্ছা করবো আপনার কি উচিত ছিলো না নক করে আসা । জেনিফা এবার অপমানে রাগে বেরিয়ে যাই। আস্থা বলে দূর দিলো মুড টা নষ্ট করে বলেই আভির কুল থেকে নেমে নিজের জায়গাতে বসে ফাইল ঘাটতে থাকে । আভি আস্থার দিখে থাকিয়ে মনে মনে বলে ধুর এই মেয়ে আসার সময় পেলো না বিরক্ত আমার বউ টা নিজে থেকে কাছে এসেছিলো কেনো যে এসব সেন্সহীন লোক দের সাথে ডিল করি কপাল সব।

রাতের বেলায় আস্থা আভি আর তার সব জিনিস গুছিয়ে নিচ্ছে আগে আভির বাবা মা কে কাল বলে দিয়েছে সকালে বের হবে। আস্থা জামা কাপড় গুছিয়ে ব্যালকনিতে গিয়ে পিছন থেকে জরিয়ে ধরে আভি কে। আভি মুচকি হেসে আস্থার দুই হাতের উপর নিজের হাত রাখে। আস্থা বলে আমাকে রেখে আসলে কেনো নিয়ে আসতে পারলে না? আভি বলে তুমি গুচ্ছাছিলে জামা কাপড় তাই বিরক্ত করি নি। আস্থা এবার আভি কে নিজের দিখে ঘুরিয়ে গলা জরিয়ে দরে বলে আমরা কিন্তু কাজ শেষ করে আরো কয়দিন থাকবো হানিমুনের জন্য । আভি বলে হানিমুন এর জন্য এতো পাগল চলো এখন সেরে নেই। আস্থা বলে জি না লন্ডনে গিয়ে হবে সব এখন না সো একদম কাছে আসবে না। আভি বলে বউ আমার তোমার অনুমতি কেনো নিবো? আস্থা বলে কারন বউ টা যে আমি বলেই আভির গাল টিপে দেই। আভি আস্থা কে খুলে তুলে বিছানাতে নিয়ে শুয়ে দিয়ে আদ শুয়া হয়ে আস্থার উপর শুয়ে পরে। আভি আস্থার এক হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে চুমু খাই। আস্থা হাত চারিয়ে দুই হাতে আভির গলা জরিয়ে দরে আভি কে আরো কাছে টেনে নেই এরপর আভির ঠুঁটে চুমু খাই আভি ও আস্থার ঠুঁটে চুমু। প্রাই এক ঘন্টা দুই জন দুইজন কে আদর করার পর আভি আস্থার বুকে মুখ গুঁজে শুয়ে পরে আস্থা আভির মাথায় চুমু খেয়ে আভির মাথায় হাত বুলিয়ে বলে উঠে আজ থেকে একদিন তুমি আমার বুকে একদিন আমি। আভি আস্থার বুকে মুখ গুঁজে নেশালো কন্ঠে বলে উঠে হুম। কিছু কোন পর দুই জন ঘুমিয়ে যাই। সকাল বেলা আস্থার ঘুম আগে ভেঙ্গে যাই আস্থা চেয়ে দেখে আস্থার বুকে মুখ গুঁজে আছে আভি। আস্থা মুচকি হেসে আভির মাথায় চুমু খাই এরপর বুক থেকে তুলে বালিশে রাখে আভির মাথা । আভির উপর ঝুকে আভির ঠুঁটে চুমু খেয়ে মিষ্টি কন্ঠে বলে আভি উঠো রেডি হতে হবে। আভি বলে বলে প্লিজ আরেকটু। আস্থা বলে আর না আভি দেরি হয়ে যাবে প্লিজ উঠো। আভি ঘুমের জন্য চোখ খুলতে পারছে না। আস্থা আভির দুই চোখের পাতায় চুমু খাই। আভি হেসে চোখ খুলে বলে এটার জন্য অপেক্ষা তে ছিলাম দিয়ে দিলে। আস্থা বলে তুমি চুমু খাওয়ার জন্য এই অভিনয় করেছো? আভি বলে ইয়েস। আস্থা বলে তুমি না একটা যা তা আভি। আভি বলে কথা রেখে তারা তারি করে গুড মনিং কিস দিয়ে দাও। আস্থা বলে মাএ না দিলাম । আভি বলে হয়নি আরো লাগবে না হলে উঠবো না। আস্থা বলে আচ্ছা দিচ্ছি বলেই আভির দুই গালে চুমু খাই আভির কপালে চুমু খাই ঠুঁটে চুমু খাই। আস্থা বলে এবার উঠো। আভি বলে উঠবো তার আগে তোমাকে দিয়ে নেই আভি চোধুরি কারো কাছে রিনি থাকে না বলেই আস্থা কে নিছে পেলে উপরে উঠে আস্থার গালে কপালে ঠুঁটে চুমু খেয়ে আভি বলে শোধ বোধ বলেই আস্থার উপর থেকে উঠে সোজা ওয়াশ রোমে ডুকে যাই আস্থা হেসে বলে সত্যি পাগল একটা কেনো যেনো ওই রিশাব এর আগে আসেনি তাহলে প্রথম দিনটা নষ্ট করতাম না তবে লন্ডন যেহেতু যাচ্ছি আভি কে নিয়ে রিশাব কে ঠিক বের করবো আমি।
চলবে…