আশক্ত তোমার নেশায় পর্ব-০২

0
397

#আশক্ত তোমার নেশায়
#পর্ব:2
#লেখনিতে:রিদিকা আফরোজ রোজা
রাত দশটায় ফারহাজ বাসাই আসে। প্রতিদিন এর মতো আজকে ও দরজা খুলে হাঁসি মুখে ফারহাজ কে জরিয়ে ধরে বলে আই মিস ইউ এতো রাত কেনো হলো? ফারহাজ বলে সরি জান মিটিং ছিলো বলেছিলাম না তাই দেরি হলো। ফারজিন ফারহাজ কে চেরে দিয়ে বলে তুমি ফ্রেশ হও আমি খাবার নিয়ে আসছি। ফারহাজ মাথা নারিয়ে ওয়াশ রুমে ডুকে যাই । ফারজিন খাবার এনে রুমে রেকে ফারহাজ এর বিছানা গুছাতে থাকে এর মাজে ফারহাজ রুমে এসে বিছানা তে বসে ফারজিন পাশ তেকে তোয়ালে টা নিয়ে ফারহাজ এর মাথা মুচিয়ে দেই এটা ফারজিন এর প্রতিদিন এর কাজ। খাবার ফারহাজ এর সামনে এনে ফারহাজ কে খাইয়ে দেই ফারহাজ ও ফারজিন কে খাইয়ে দেই। ফারহাজ মুচকি হেসে বলে আমার কপাল কতো ভালো বিয়ের আগে হবু বউ যত্ন করছে। ফারজিন বলে কি করবো আমার হবু জামাই যে রাজনীতি বিদ নিজের যত্ন কখোন নিবে তাই তো আমি করছি এসব। ফারহাজ বলে বাসাই যাবে না 10:30 বাজে। ফারজিন বলে আজকে না সকালে যাবো মম কে বলেছি । ফারহাজ বলে সত্যি ? ফারজিন বলে তিন সত্যি তুমি বসো আমি এই গুলো রেকে আসছি বলেই নিচে চলে যাই গিয়ে দেকে ফারহাজ এর মা। ফারজিন বলে মাম্মী তুমি জেগে কেনো আছো আমি তো আছি বললাম ঘুমিয়ে পরো যাও। ফারহাজ এর মা ফারজিন কে কপালে চুমু দিয়ে বলে আমার সংসারের লক্ষী তুই মা আমার আর কোনো চিন্তা নেই এই সংসার নিয়ে শান্তিতে মরতে পারবো। ফারজিন ফারহাজ এর মা কে জরিয়ে দরে বলে মাম্মী কেনো বাজে কথা বলো তুমি আর আমি মিলে এই সংসার সামলাবো তুমি না তাকলে কে আমাকে শিখাবে আমার তো আরো অনেক কিছু শিখার আছে আর কখোন ও এমন বলবে না। ফারহাজ এর মা হেসে বলে ওকে মাই বেবি বলবো না তুই ফারহাজ এর কাছে যা আমি ঘুমিয়ে পরি গিয়ে গুড নাইট বলে উপরে চলে যাই ফারজিন ও রুমে চলে যাই গিয়ে দেকে ফারহাজ নেই ব্যালকনিতে চেয়ে দেকে দারিয়ে আছে উপরের দিকে তাকিয়ে ফারজিন গিয়ে পিছন থেকে জরিয়ে ধরে। ফারহাজ আলতো করে ফারজিন এর দুই হাতের উপর নিজের দুই হাত রাকে। ফারজিন বলে আমাকে রেখে চলে আসলে এটা ঠিক না। ফারহাজ পিছনে ঘুরে ফারজিন এর গলা জরিয়ে ধরে বলে সরি আসলে একা ভালো লাগছিলো না তুই যে গেলি আসার নাম নেই। ফারজিন বলে আর বলো না গিয়ে দেকি মাম্মী নিছে ঘুমাই নি তাই বলে এসেছি ঘুমাতে আমি সব সামলে নিবো এমনিতে প্রেশার মাম্মীর কোনো খেয়াল রাখে না নিজের। ফারহাজ ফারজিন এর নাক টিপে দিয়ে বলে তুই তো আছিস তাহলে মম এর কি দরকার নিজের খেয়াল রাখার বল। তুই আমার লাইফে বেস্ট গিফ্ট আল্লাহর দেওয়া জিনিস গুলোর মাজে!আমার দায়িত্ব পরিবার এর দায়িত্ব সামলে আসছিস তোর এই রেন কি করে সুদ করবো। ফারজিন ফারহাজ কে জরিয়ে ধরে বলে বিয়ে করে বেশি বেশি ভালোবেসে তাহলে হবে আর কিছু লাগবে না। ফারহাজ ফারজিন এর কথা শুনে মুচকি হেসে শক্ত করে জরিয়ে ধরে চোখ বুজে নেই পাঁচ মিনিট জরিয়ে রাখার পর দুই জন দুই জন কে ছেরে দেই ফারজিন ব্যালকনির রেলিং এ ধরে দারাই আর ফারহাজ পিছন থেকে ফারজিন কে জরিয়ে দরে কাঁধে থুতনি রেখে চাঁদ দেখছে। ফারজিন বলে চাঁদ টা আজকে বেশি সুন্দর লাগছে না। ফারহাজ বলে আমার চাঁদ এর থেকে সুন্দর না। ফারজিন হেসে বলে চাঁদের সাথে আমার তুলনা করছো আমাকে কি চাঁদ এর সাথে তুলনা মানাই। ফারহাজ বলে চাঁদের কলঙ্ক আছে আমার জান এর নেই। তুই যানিস যতো দিন যাচ্ছে আমি তোর প্রতি বেশি অশক্ত হচ্ছি মনে হয় তুই নামক নেশা টা ছারা আমি মরে যাবো। ফারজিন আনমনে বলে এতো টাও অশক্ত আমার প্রেমে হয়োনা প্রিয় যদি আমি না থাকি কখনো। ফারহাজ রেগে বলে সেটা কখনো হবে না তুই অশক্তি আমার তোকে ছারা মরন হবে আমার ফারজিন বিশ্বাস কর আল্লাহ না করোক তোর কিছু হলে আমি পাগল হয়ে যাবো। ফারজিন পিছনে ঘুরে দেকে ফারহাজ এর চোখে পানি ফারজিন হেসে বলে মন খারাপ এর কি আছে বোকা আমি মজা করছিলাম এবার চলো তো ভবিষ্যতে আমাদের কয়টা বেবি হবে সেটার আলোচনা করি। ফারহাজ বলে তোর যতো গুলো চাই আমি ততো গুলো দিবো প্রমিস। ফারহাজ আর ফারজিন কথা বলতে বলতে রাত 12 টা বেজে যাই। ফারজিন বলে চলো রুমে ঘুমাবে আমি ও তো ঘুমাবো। ফারহাজ মাথা নারিয়ে ফারজিন কে নিয়ে রুমে আসে। ফারহাজ বিছানাতে শুতেই ফারজিন এসি টা অন করে ফারহাজ এর উপর একটা পাতলা চাদর টেনে দিয়ে কপালে চুমু খেয়ে বলে গুড নাইট হেভ এ সুইট ড্রিম তবে সেটা জেনো আমাকে নিয়ে হয় নাহলে মেরেই পেলবো তোমাকে বলে দিলাম। ফারহাজ হেসে বলে আপনি আমার চিন্তা চেতনা ভাবনা সব কিছুতেই মিশে আছেন মেডাম অতএব সপ্নে আপনিই তাকবেন আপনি ছারা দ্বিতীয় কাউকে আসতে দিবো না কথা দিলাম। ফারজিন গুড নাইট বলে ফারহাজ এর পাশের রুমে গিয়ে শুয়ে পরে।
চলমান……