আশক্ত তোমার নেশায় পর্ব-০১

0
647

#আশক্ত তোমার নেশায়
#part:1
#লেখনিতে: রিদিকা আফরোজ রোজা

এই মেয়ে এই দিকে আসো ফারজিন কে উদ্দেশ্যে করে বলে সিনিয়র স্টুডেন্ট রা। ফারজিন সবার সামনে গিয়ে দাড়িয়ে বলে কিছু বলবেন ভাইয়া আপু রা। তখনি একটা মেয়ে বলে নতুন নাকি? ফারজিন বলে জি। তখনি একটা ছেলে বলে তুই নিহান কে এখন প্রপোজ করবি। ফারজিন ভয়ে ভয়ে বলে আমি পারবো না। তখনি নিহান বলে আচ্ছা তোমাকে প্রপোজ করতে হবে না আমি বরং তোমার সুন্দর গালে কিস করি বলেই ফারজিন এর দিকে এগুতে থাকে ফারজিন ভয়ে ভয়ে বলে প্লিজ এমন করবেন না নিহান তবুও এগিয়ে যাচ্ছে তখনি পিছন থেকে কেউ গম্ভীর কন্ঠে বলে কি হচ্ছে এখানে কন্ঠ টা শুনে ফারজিন সহ সবাই তাকায় সাথে সাথে সব গুলো ভয় এ কাঁপতে থাকে আর একজন এর মুখে ফুটে উঠে হাসি ছেলেটি আসতেই ফারজিন দৌরে গিয়ে জরিয়ে ধরে কেঁদে দেই ছেলেটি ও ফারজিন কে জরিয়ে দরে এটা দেখে সবার চোখ বড়ো বড়ো হয়ে যাই নিধি বাদে নিধি রাগে ফুঁসছে। ছেলেটি ফারজিন এর চোখের জল মুছে দিয়ে হাত ধরে সব গুলোর সামনে দার করাই এরপর বলে কি হয়েছে বলতে। ফারজিন কেঁদে সব বলে সাথে ছেলেটি রাগে হাত মুষ্টি করে দাঁতে দাঁত ছেপে বলে কে বলেছিলো ফারজিন এর গালে চুমু খাবে। আবির ভয়ে ভয়ে বলে ফারহাজ নিহান বলেছে। ফারহাজ নিহান কে ঠাস করে থাপ্পর মেরে বলে তুই যদি আমার বন্ধু না হতি কসম আমার কলিজার সাথে এই রকম আচরন করার জন্য সোজা উপরে পাঠিয়ে দিতাম তোকে। ফারহাজ এর কথা শুনে সবাই ভয়ে ডুব গিলে। নিধি ফারহাজ এর কাছে গিয়ে বলে এই মেয়ে কে ?ফারহাজ কিসের সম্পর্ক তোমার সাথে। ফারহাজ রেগে বলে তোর সাথে বলতে বাধ্য না আমি এখন সবাই কে বলবো শুনতে পাবি বলেই আবির কে বলে সবাই কে মাঠে আনতে। ভিপির আদেশ কেউ অমান্য করতে পারে নি তাই সবাই এলো। ফারহাজ এবার সবার মাজে দারিয়ে ফারজিন কে এক হাতে জরিয়ে দরে বলে সবাই কান খুলে শুনে রাখো সি ইজ মাই উডবি ওয়াইফ মিসেস ফারজিন চৌধুরি আশা করি সবাই শুনতে পেরেছো নেক্সট টাইম যদি আমি কাউকে দেখি আমার কলিজার সাথে অসভ্যতামি করতে জানে মেরে দিবো বলেই ফারজিন কে ক্লাসে নিয়ে যাই।

ফারহাজ চৌধুরি ছাএ লীগ এর সভাপতি আর এই কলেজের ভিপি। ফারহাজ এর বাবা এই ভার্সিটির 80% খরচ দেই। ফারহাজ রা এক ভাই এক বোন ফারহাজ এর বোন ছোট নাম ফারিয়া। ফারহাজ এর বয়স 30 বছর পড়া শুনা কমপ্লিট করে এখন রাজনীতি করে পাশা পাশি বাবার বিজনেস দেখে। ফারজিন খান আয়মান খান এর এক মাএ মেয়ে আর ফারহাজ এর হবু বউ ছোট থেকে ফারহাজ এর সাথে ফারজিন এর বিয়ে ঠিক হয়ে আছে। ফারজিন অনার্স ফাস্ট ইয়ার এ পরে বয়স 19 বছর আর ফারিয়া ও ফারজিন এর সাথে পড়ে। ফারহাজ ফারজিন কে নিয়ে ক্লাসে গিয়ে ফারিয়ার পাশে বসিয়ে দিয়ে বলে তোরা দুই জন ক্লাস শেষ বের হয়ে দারাবি আমি বাসাই দিয়ে আসবো কেমন। ফারজিন মাথা নারাই ফারহাজ নিজের কাজে চলে যাই। ফারিয়া ফারজিন কে জরিয়ে দরে বলে সরি বেস্টু তোকে রেখে আসার জন্য তোর আজকে প্রথম দিন জেনেও একা ছেরে দিয়েছি মাফ করে দে। ফারজিন ফারিয়ার কে জরিয়ে দরে বলে তোর উপর কি আমি রেগে থাকতে পারি বল তুই আমার একমাএ হবু ননদিনি বলেই হেসে দেই দুইজন। একটু পর ক্লাসে sir আসে সব গুলো ক্লাস শেষ করে ফারজিন আর ফারিয়া বাহিরে এসে দারাই তখনি ফারহাজ এসে দুই হাতে দুই জন কে ধরে গাড়িতে উঠিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে চলে যাই দুই জন কে নামিয়ে দেই । ফারহাজ দের বাড়ি আর ফারজিন দের বাড়ি এক সাথে দুইটা এক রকম বিল্ডিং। ফারিয়া যেতে ফারজিন ফারহাজ এর কাছে গিয়ে বলে চার টা বাজে কোথায় যাচ্ছো? ফারহাজ ফারজিন এর গালে হাত রেখে বলে আমি রাজনীতি করি ফারজিন বসে থাকলে তো চলবে না কাজ আছে সামনে নির্বাচন আবার। ফারজিন বলে কখোন আসবে আজকে ও কি প্রতিদিন এর মতো রাত দশ টায় আসবে নাকি আরো পরে। ফারহাজ বলে যদি জরুরি কাজ না পরে এই সময় চলে আসবো এখন আসি বলে ফারজিন এর কপালে চুমু খেয়ে বলে একদম বাসা থেকে বের হবি না আর আমি যেনো এসে আমার রুমে পাই ওকে। ফারজিন মাথা নারাই ফারহাজ নিজের কাজে চলে যাই। রাত আট টা বাসাই যাচ্ছে নিহান আচমকা কয় এক জন কালো মাক্স পড়া লোক আটকায় নিহান কে। নিহান কিছু বলতে যাবে তার আগে একটা ছেলে মারতে শুরু করে মারতে মারতে নিহান সেন্স হারাই তবুও তামছে না আবির এবার ফারহাজ কে জরিয়ে দরে বলে প্লিজ ফারহাজ তাম ও মরে যাবে। ফারহাজ রেগে বলে মরে যাক আমার কলিজার সাথে অসভ্যতামি করেছে ওকে কাঁদিয়েছে। আবির বলে ভাই যেই মাইর দিয়েছিস কয়েক মাস উঠতে পারবে না ছেরে দে আর তুই না ফারজিন এর মাথায় হাত দিয়ে কসম কেটেছিস কাউকে জানে মারবি না যতো অন্যায় করোক এখন কি তুই কথা রাখবি না। ফারহাজ সাথে সাথে হকিস্টিক পেলে দিয়ে মুখ থেকে কালো মাক্স খুলে বল ওকে হাসপাতাল এর সামনে রেখে আয় বলে আবির কে নিয়ে ক্লাব ঘরে চলে যাই যেই কানে মিটিং করবে।
চলমান….