আয়নায় বন্দী পরী পর্ব-০১

0
1218

#আয়নায়_বন্দী_পরী
#লেখক_আকাশ_মাহমুদ
#পর্ব_১

–শরীরে স্পর্শ করায় এক মেয়েকে থাপড়ে কানের পট্টি গরম করে দিয়েছি।মেয়েটা আমার হাতে থাপ্পড় খেয়েও ভেটকি মেরে তাকিয়ে আছে।কি মেয়েরে ভাই এটা!আপনারা হয়তো ভাবছেন কাকে আবার মেরে কান পট্টি নাড়িয়ে দিয়েছি।সত্যি বলতে এই মেয়েকে আমিও চিনি না।অনামিকা মানে আমার জিএফ,যার সাথে কিনা চিরতরের মতন আমার সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটেছে আজকে।মেয়েটাকে নিজের জীবনের চাইতেও বেশি ভালোবাসি আমি।কিন্তু আমি বেকার হওয়ায় সে আমায় ছেড়ে চলে গেছে।তার বান্ধবীরা নাকি আমার জন্য তাঁকে অনেক খোঁটা দেয়।তাছাড়া তার বাসা থেকেও নাকি আমাকে নিয়ে নানান কথা বলে,যে সে একটা বেকার ছেলের সাথে ঘুরে বেড়ায়।তাই সে আজকে আমার সাথে চিরতরের মতন সম্পর্কে ছিন্ন করেছে।অনামিকা আমায় ছেড়ে চলে যাওয়ায় মনের বিরহে পাহাড়ের চুড়ায় এসে একাকী বসে আছি।কিন্তু হুট করে কোথা থেকে এই মেয়ে এসে আমার কাঁধে হাত রেখে সুড়সুড়ি দিয়ে আমাকে জ্বালাতন করছে।এমনিতেই মনের ভিতরে রক্তক্ষরণ হচ্ছে,তার উপরে আবার এই মেয়ে এসে আমার সাথে ফাজলামো করছে।যার কারনে মেজাজ পুরো ডাঙ্গায় উঠে গেছে।তাই এই মেয়ের কানের পট্টি গরম করে দিয়েছি।কিন্তু অবাক করা বিষয় হলো এই মেয়ে আমার দানবের মতন হাতের থাপ্পড় খেয়েও গাল ভেটকাচ্ছে!যেখানে অন্য কোনো মানুষ হলে দাঁত দুই একটা পড়ে যেতো।কিন্তু এই মেয়ে কি ভাবে আমার থাপ্পড় সহ্য করলো!তাই তাঁকে জিগ্যেস করলাম,এই আপনি কে বলেন তো?আর আমার সাথে কেন এসে বাঁদরামি শুরু করেছেন?আর তাছাড়া আপনি একটা মেয়ে হয়ে এতো রাতে এখানে কিই বা করছেন?

–আমি তোমার সব কয়টা কথার উত্তর পরে দিচ্ছি।
কিন্তু তুমি আগে আমায় এটো বলো,যে তুমি আমায় এভাবে থাপ্পড় মারলে কেন?আজ যদি আমার জায়গায় অনামিকা থাকতো,তাহলে কি তাঁকে এভাবে মারতে পারতে?

–মেয়েটার কথা শুনে থতমত খেয়ে গেলাম!কারন সে আমার আর অনামিকার কথা জানলো কি করে!
এই আপনি অনামিকার কথা জানলেন কি করে?

–বললাম তো তোমার সব কথার উত্তর আমি পরে দিচ্ছি।তুমি আগে খালি আমার একটা কথার উত্তর দাও।আমার জায়গায় অনামিকা হলে তাঁকে তুমি এভাবে মারতে পারতে?

–নাহ মারতে পারতাম না।

–তাহলে আমায় মারলে কেন?
আমি কি তোমার কাঁধে হাত রেখে বা একটু খুনসুটি করে অনেক বড় অন্যায় করে ফেলেছি?

–দুঃখিত আমি।প্লিজ কিছু মনে করবেন না।আসলে অনামিকার জন্য আমার অনেক খারাপ লাগছে।সে আমায় ছেড়ে চলে যাওয়ায় মনে হচ্ছে যেনো আমার দুনিয়াদারী সমস্ত কিছুই অন্ধকারে ছেয়ে গেছে।কোনো কিছুই ভালো লাগছে না।সব কিছুই বিষের মতন লাগছে আমার কাছে।তাই সেই রাগ থেকে হয়তো আপনাকে থাপ্পড় মেরে বসেছি।প্লিজ আমায় ক্ষমা করবেন।আর প্লিজ আমায় আপনার পরিচয় টা বলেন,যে আপনি কে,আর অনামিকাকে কি ভাবে চিনেন আপনি।

–আমি আনহা।
আর শুধু অনামিকার বিষয়ে না খালি,আমি তোমার চৌদ্দ গুষ্টির পুরো জনম কুন্ডলী জানি।

–মানে কি এসবের?

–হুম সত্যিই বলছি।

–সত্যি মিথ্যা উপর ওয়ালা জানে।কিন্তু আপনি খালি এটুকু ক্লিয়ার করেন,যে আপনি অনামিকা আর আমার সম্পর্কে জানেন কি করে…

–কারন আমি কোনো মানুষ নই।
আমি একজন পরী।তাই সমস্ত কিছুই আমি জানি তোমার সম্পর্কে।

–এবার আগের চাইতেও বড় করে ঝাটকা খেলাম মেয়েটার কথা শুনে!তাই চুপসে গেলাম একদম।
মেয়েটা আমার চুপসে থাকা দেখে জিগ্যেস করলো…

–কি বিশ্বাস হচ্ছে না বুঝি?যে আমি পরী।

–বিশ্বাস অবিশ্বাস সেটা আমার মনে আছে।
কিন্তু আপনি এটা বলেন,যে আপনি যদি পরীই হয়ে থাকেন,তাহলে এখানে কি করছেন?আপনার তো পরীদের দেশে থাকার কথা।

–আমি পরী-পালক থেকে জমিনে নেমে এসেছি তোমার সাথে কথা বলার জন্য।

–কিহহহ!
আমার সাথে কথা বলার জন্য মানে?

–এই তোমার কি মাথায় একটুও জ্ঞান বুদ্ধি নেই নাকি,যে একটা সাধারণ মেয়ে এতো রাতে পাহাড়ে এসে তোমার সাথে কথা বলবে নাকি।

–না মানে আসলে….

–আসলে টাসলে কিছুই না।আমি সত্যিই পরী-পালক থেকে তোমার সাথে কথা বলার জন্য নেমে এসেছি।

–কি কথা বলেন….

–বলবো তবে আজ না।অন্য একদিন বলবো।কারন তুমি আমার শরীরে স্পর্শ করার সাথে সাথেই পুরো পরী-পালকে কম্পন হয়েছে।যার দরুন এতো সময় হয়তো পরী-পালকের সবাই জেনে গেছে,যে কেউ একজন জমিনে নেমে কোনো মানুষের সংস্পর্শে গিয়েছে।

–তো এখন কি করবেন?

–এখন আমার চলে যেতে হবে।কারন আমি পরী-পালক থেকে কাউকে কিছু না বলে নিচে নেমে এসেছি।আর তাছাড়া কয়েক মিনিটের মধ্যে পরী-পালকের দারোয়ান পরী-পালকের মেইন দরজায় স্পেল পরে সেটাকে আঁটকে দিবে।যার কারনে আমি আর কোনোদিন পরী-পালকে যেতে পারবো না।

–ঠিক আছে তাড়াতাড়ি চলে যান আপনি।

–হুম যাচ্ছি।কিন্তু তুমি আমার থেকে কয়েক মিটার দূরে গিয়ে অপরপাশ ফিরে নিজের চোখ হাত দিয়ে শক্ত করে চেপে ধরো।না হয় তোমার সমস্যা হবে।

–কি সমস্যা হবে?

–আলোকরশ্মিতে জ্বলে পড়ে ছাই হয়ে যাবে।

–আচ্ছা ঠিক আছে আমি যাচ্ছি।
তারপর কিছুটা দূরে এসে সেই মেয়েটার কথা মতন অপরপাশ ফিরে নিজের হাত দিয়ে নিজের চোখ চেপে ধরলাম।কিন্তু সত্যি বলতে আমি সেই মেয়ের কথা মতন শক্ত করে চোখ চেপে ধরিনি।কারন মেয়েটার কথার সত্যি মিথ্যা সম্পর্কে আমি যাচাই করতে চাই।তাই একটা চোখ আলতো করে চেপে ধরেছি।যাতে করে আমি আলোকরশ্মি দেখতে পারি।তবে যদিও আমি অপরপাশে ফিরে আছি,তাও তার আলোকরশ্মি দেখা যাবে যদি সে পরী হয়।তাই সেই আশায় এক চোখ খুলে আলোকরশ্মি দেখার ট্রাই করলাম।তখনি আকাশের বিজলীর মতন একটা রশ্মি আমার চোখের ভিতরে এসে প্রবেশ করলো।যার কারনে সেই চোখটা পুরো ঘোলাটে হয়ে গেছে।আমার এই অবস্থা দেখে আমি দ্বিতীয় চোখ টাও ছেড়ে দিলাম।আর আশেপাশে ঘুরে তাকাতে লাগলাম।কিন্তু সেই মেয়েটাকে আর কোথাও দেখতে পেলাম না।তার মানে কি সত্যিই সেই মেয়েটা পরী ছিলো!এসব নিয়ে ভাবছিলাম,তখনি চোখের কারনে মাথায় একটা চিকন সুরো পেইন শুরু হলো।
যেমনটা হয় মাথা ব্যথা হলে।এছাড়া কোনো মানুষের চোখে প্রেশার পড়লে মূহুর্তের মধ্যেই মাথার নার্ভে গিয়ে এফেক্ট পড়ে সেটার।যার দরুন মাথা ব্যথা শুরু হয়।আমারো তেমনটাই হয়েছে।তবে আমার অন্যান্য মানুষ থেকে অনেক বেশি পরিমাণে পেইন হচ্ছে মাথায়।যার দরুন আমি জ্ঞান হারিয়ে সেখানেই পড়ে গেলাম।
..
যখন জ্ঞান ফিরে আসে,তখন দেখি সকাল হয়ে গিয়েছে।মাথার উপরে রোদ ঝলসানো আলো ছড়াচ্ছে।আর আমি পাহাড়ের উপরে কিছুটা সমতল একটা জায়গায় পড়ে আছি।তাড়াতাড়ি উঠে দাঁড়ালাম।তখনি রাতের কথা মনে পড়লো।কিন্তু আমার এখম কোনো কিছুই বিশ্বাস হচ্ছে না।কারন আমার চোখ দিয়ে সব কিছুই দেখতে পাচ্ছি আমি।রাতে যেমন ঘোলাটে ছিলো চোখটা,এখন আর তেমন নেই।সব কিছুই দেখতে পাচ্ছি আমি।তার মানে হয়তো রাতের সমস্ত কিছুই আমার ভ্রম ছিলো।ধুর পরী বলতে কি কিছু হয় নাকি।সেসব শুধু রূপকথার গল্পেই থাকে।বাস্তবে এসব কোনো কিছুই নেই।তাই এসব নিয়ে চিন্তা ভাবনা না করে বাসায় যাওয়া উচিৎ।কারন গতরাতে বাড়ি না যাওয়ার কারনে মা আমাকে হয়তো ছেঁড়া জুতা দিয়ে বরন করবে।যাতে করে সত্যিকারত্বেই আমার চোখের জ্যোতি চলে যেতে পারে।তাড়াতাড়ি দোয়া দরুদ পড়তে পড়তে বাসার দিকে রওয়ানা হলাম।চলেন বাসায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে নিজের পরিচয়টা দিয়ে দেয়।(বরাবরের মতন আমি আকাশ আছি আপনাদের সাথে।পড়ালেখা করি অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে।আর পরিবার বলতে আমার মা-বাবা আর একজন ছোট বোন।বাকি সমস্ত কিছু গল্পের সাথে থাকলেই জানতে পারবেন।)দেখতে দেখতে বাড়ি পৌঁছে গেলাম।বাসায় এসে দরজার কড়া চাপতেই মা
হাসিখুশি ভাবে দরজা খুলে জিগ্যেস করলো…

–কিরে গতকাল রাতে কোথায় ছিলি তুই?

–মা,মিথ্যা বলবো নাকি সত্যিটাই বলবো?

–সত্যের জয় হয় সব সময়।খালি খালি মিথ্যা বলে নিজের গালের চামড়া লাল করিস না।

–মা অনামিকা আমায় ছেড়ে চলে গেছে।
তাই গতকাল সারা রাত পাহাড়ের উপরে বসে ছিলাম।
.
আকাশের মা আকাশের মুখে এরূপ কথা শুনে চোখ পাকিয়ে আকাশের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে।যেটা দেখে আকাশ তার মাকে বলে…

–কি হলো মা এভাবে তাকিয়ে আছো কেন?

–আকাশ তুই জানিস,যে আমি ছাড়া তোকে এই বাড়িতে আর কেউ প্রায়োরিটি দেয় না।তোর বাবা তো একদম এই না।তোর ছোটবোন ও তোকে সেই ভাবে দেখতে পারে না।সো আগামীতে আর এমনটা করবি না।কারন তোকে সব সময় কিন্তু আমি প্রটেক্ট করতে পারবো না তোর বাবা থেকে।তাই যাই করিস না কেন সাবধানে করিস।

–হুম না বুঝতে পেরেছি।

–আচ্ছা যা এবার গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নে।আর মন খারাপ করিস না অনামিকার বিষয় নিয়ে।দেখবি একদিন তুই ঠিকই মূল্য পাবি সবার কাছ থেকে।সেটা তোর ছোট বোন বাবা এবং দুনিয়ায় তোর সকল পরিচিত মানুষ থেকে।

–মা দোয়া করিও।

–হুম অবশ্যই করবো।এবার গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নে।

–আচ্ছা…
তারপর ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে নিলাম।দিনটা এভাবেই কেটেছে ঘরের মধ্যে।কারন একে তো কলেজে যাইনি।দ্বিতীয়ত বাবাও আজকে কাজে যায়নি।তাই বাসা থেকে বের হলে এটা সেটা বলবে বাবা।তাই আর বের হইনি বাসা থেকে।তবে বাবা মা’কে জিগ্যেস করেছিলো আমি কেন কলেজে যাইনি।মা অসুস্থ বলে আমায় বাঁচিয়ে দিয়েছে।অন্যদিকে আপনারা সবাই হয়তো ভাবছেন আমি বাবাকে ভয় পাই অনেক বেশি।সেটা কিন্তু একদম মোটেও না।কারন আমি ঘাড়ত্যাড়া করলে সেটা আর কেউ সোজা করতে পারবে না।তবে বাবার ক্ষেত্রে চুপচাপ থাকি সব সময়।কারন তিনি সংসার সামলায় দিনমজুরি করে।যেখানে আমার বয়সী ছেলেরা সংসারের জন্য কতো কিছু করে,সেখানে আমি এখনো বাবার ঘাড়ে বসে বসে খাচ্ছি।তাই আর বড় গলায় কিছু বলি না।চুপচাপ সারাটাদিন ঘরের মধ্যে বসে কাটিয়ে দিলাম।তবে মনের ভিতরে অনেক উতালপাতাল করছে অনামিকার জন্য।অনেক কয়বার কেঁদেছিও রুমে বসে তার জন্য।কিন্তু কোনোকিছুতেই নিজেকে সামলে রাখতে পারতেছিলাম না।তাই ঘুমের ঔষধ খেয়ে ঘুম দিয়েছে।এক ঘুমে পরেরদিন সকাল..
পরেরদিন সকালে উঠে রেডি হয়ে ক্লাসের জন্য ঘর থেকে বেরিয়ে গেলাম।কিন্তু মাঝপথে দেখি রাস্তার একপাশে একটা রেস্টুরেন্টের সামনে কেউ একজন ইয়ামাহা ভার্সন থ্রি টাকে পার্কিং করে রেখেছে।যেটা দেখে আর লোভ সামলাতে পারলাম না।কারন বাইকটা আমার অনেক পছন্দের।তাই বাইকটার কাছে চলে গিয়ে তাঁকে হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখতে লাগলাম।তখনি রেস্টুরেন্টের ভিতর থেকে দুজন বেরিয়ে এসে আমার উপরে চরম পরিমাণে রেগে গেলো।যাঁদের মধ্যে একজন ছেলে আরেকজন মেয়ে।তাঁদের হাবভাব দেখে বুঝতে বাকি নেই যে তারা কাঁপল।দুজনেই মাক্স পরিধান করা ছিলো।তখনি মেয়েটা মাক্স খুলে রেখে আমার কাছে এসে আমার কলার চেপে ধরে বলতে লাগলো….

–কিরে ছোটলোক তুই এখানে কেন?
আর তুই কোন সাহসে আমার বিএফ এর বাইকে হাত লাগিয়েছিস?জীবনেও দেখেছিস কি এমন বাইক?

–আমি মেয়েটাকে দেখে থ হয়ে গেলাম!কারন মেয়েটা আর কেউ নয়।মেয়েটা হলো অনামিকা।যে কিনা আমায় ছেড়ে বড়লোকের দুলালির সাথে রিলেশনে জড়িয়েছে।যেটা দেখে বুকের ভিতরের রক্তক্ষরণ টা আরো বেড়ে গেলো।চোখ দিয়ে টুপটুপ করে পানি ঝড়ছে।তখনি আবার অনামিকা বলে উঠলো…

–কিরে ছোটলোক আমার কথার উত্তর দিচ্ছিস না কেন?জীবনেও দেখেছিস কি এমন বাইক?আশা করি তো দেখবি না।কারন তোকে আমি হারে হারে চিনি।তোর সাথে এক বছর সম্পর্কে কোনোদিন ও তুই আমায় রিক্সা ছাড়া অন্য কিছু দিয়ে সফর করাস নি।সেখানে বাইক তো আকাশচুম্বী।
.
অনামিকার কথা শুনে তার নতুন বয়ফ্রেন্ড বলে উঠে….

–ওহ তার মানে এটাই তোমার সেই ফকিন্নি বয়ফ্রেন্ড?
আর তুমি এই ছেলের সাথেই কিনা এতোদিন রিলেশন করেছো?

–হুম এই খচ্চর টাই আমার ফকিন্নি বয়ফ্রেন্ড।যে কিনা জাতে ফকিন্নি।আর রিলেশন তো করেছিলাম ভালো মনে।কিন্তু তার পোড়া কপাল সে আমাকে সুখ দিতে পারেনি।তাই ছেড়ে দিয়েছি ওকে।এই খচ্চর খবিশ ভাগ এখান থেকে।না হয় জুতোর পেটা খাবি।

–অনামিকার কাথা শুনে চোখের পানি ফেলতে ফেলতে সামনের দিকে চলে আসলাম।মনের ভিতরে অনেক বেশি আঘাত লেগেছে অনামিকার কথা শুনে।তবে আবার রাগ ও উঠলে সেই ছেলের উপরে।কারন সে আমায় তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছে।তাই মনে মনে বলতে লাগলাম।বড়লোকের বেটা,বাপের টাকায় বাইক কিনে ফুটানি দেখানো সেটা তোর বেশিদিন চিরস্থায়ী হবে না।কোনদিন দেখবি তুই সহ তোর বাইক কোনো বড় গাড়ির নিচে পড়বি।যাতে করে তোর বাইক আর তুই সোজা দুনিয়া থেকে টপকে যাবি।এসব কথা মনে মনে বলছিলাম।তখনি হুট করে বিকট একটা আওয়াজ কানে আসলো।পিছনে ফিরে দেখি বাইকের পাশে ইয়া মোটা একটা আমগাছ ছিলো,যেটা অলৌকিক ভাবে ভেঙ্গে বাইকের উপরে পড়েছে।যার কারনে বাইক ভেঙ্গে কয়েক টুকরো হয়ে গিয়েছে।আর সেই ছেলেটার পায়ের উপরেও আমগাছের একটা ঢাল পড়েছে।যেটার কারনে সে ব্যথায় চেঁচাতে আরম্ভ করেছে।আর যেই আমগাছটা ভেঙ্গে বাইকের উপরে পড়েছে,সেই আমগাছের গোড়ায় গতরাতের সেই আনহা নামক মেয়েটা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাসছে।এই দৃশ্য দেখে আমার চোখ জোড়া বড় হয়ে মার্বেলের আকৃতি ধারণ করেছে…..

চলবে…..

গল্পের ভুল ত্রুটি গুলো ক্ষমার নজরে দেখবেন।