কল্পনায় হলেও শুধু আমারি থেকো পর্ব-০৪

0
706

#কল্পনায়_হলেও_শুধু_আমারি_থেকো💖
#লেখিকা-লামিয়া রহমান মেঘলা
#পর্ব_০৪
–আমার সামলানো না সামলানো তে আপনার কি আসে যায়।
আমি ত আপনারি পুতুল মনে করবেন আপনি যেভাবে চালাবেন সেভাবেই চলবে।
মেঘের কথার মানে আমান বুঝতে পারে।
একপা করে মেঘের দিকে এগোতে থাকে।
মেঘ চোখ শক্ত করে আমানের দিকে তাকিয়ে রয়।
হয়ত ভয় গুলোও সব কেটে যাচ্ছে।
–তুমি ত সাহসি মেঘ
মেঘের এতোটাই কাছে চলে গেছে আমান যে আমান থেকে আসা গরম নিশ্বাস মেঘেড মুখে পরছে।
ভেতরটা ভয়ে হিম হয়ে আসছে।
লোকটাকে নিয়ে বিশ্বাস নেই কি করতে কি করে তা শুধু সেই জানে।
–ভয় পাচ্ছো কেন তুমি ত সাহসি।
–আমার অশস্তি হচ্ছে দূরে জান।
–নাহ দূরে না। কাছে আসতে বলো।
মেঘ মাথা নিচু করে রেখেছে।
পেছনে দেয়াল নড়ার জায়গা নেই।
আমান এক ধ্যনে মেঘের দিকে তাকিয়ে আছে,
চুল গুলো খোলা তার মুখের উপরে আছে কিছু চুল।
মেয়েটা মাথা নিচু করে থাকায় হালকা আলোতে যেন বেশি চমক দিয়ে উঠছে তার চেহারা টা।
খুব ইচ্ছে হচ্ছে বলতে,
তুমি এতো সুন্দর কেন?
কিন্তু আমান তা বলতে পারছে না।
মেঘের সামনে থাকা চুল গুলো কানের কাছে গুঁজে দিলো আমান,
আর কানে একটু ভালোবাসা একে দিলো।
মেঘ কেঁপে উঠলো।
–তোমার চুলে একটা মাতাল করা ঘ্রাণ আছে জানো তুমি।
–মেঘ নিশ্চুপ।

আমান সরে আসে।
আর মেঘ সেখানেই দাড়িয়ে থাকে।
ছেলেটার পরনে ছিল সাদা সার্ট ইন করে হাতা ফোল্ড করা। আর কালো প্যান্ট।
ছেলেটা যাই পরে তাতেই সুন্দর লাগে।
কিন্তু কর্ম মানুষের আসল গুন।
আমানকে ক্লিন সেপ এ দেখতে ভিশন বাচ্চা বাচ্চা লাগে।
আচ্ছা উনি এমন কেন খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি তে কি সুন্দর লাগত না।
মেঘ সব ভাবনা বাদ দিয়ে রাতের আকাশের তারা দেখতে ব্যাস্ত হয়ে যায়।
,
,
,
রিমি মেঘের ছবি নিয়ে বসে আছে।
নিজের জীবনে কখনো বোনের থেকে আলাদা থাকে নি সে।
আকাশের দিকে তাকিয়ে শুধু মেঘের কথা ভাবছে আর শুনয়না আখি দুটো থেকে টুপ টুপ করে পানি পরছে।
–আপু কই গেলি হটাৎ করে তোর না আমার সাথে পূর্ণ চন্দ্র দেখার সখ ছিল।
তুই না ভালোবাসতি রাতের আকাশ দেখতে আমার সাথে।
আমাকে ছেড়ে এভাবে না বলে কোথায় চলে গেলি আপু৷
তোকে ছাড়া আমার ভিশন কষ্ট হচ্ছে।।
আমি তোকে ভিশন ভালোবাসি আপু।
প্লিজ ফিরে আয়৷। আমি একা হয়ে গেছি।
ভিশন একা হয়ে গেছি।
রিমি কাঁদছে আর কথা গুলো বলছে। হটাৎ তার দরজায় কারোর উপস্থিতি টের পেয়ে পেছবে ফিয়ে,
,
ওদিকে,
জানালার কাচ ভেদ করে আসছে আকাশের চাঁদ।
আজ পূর্ণ চন্দ্র উঠেছে,
রিমির সাথে সব সময় আকাশের চাঁদ দেখতো মেঘ।
রিমি থেকে আজ মেঘ অনেক দুরে।
এতোটা দুরে যে কখনো কি আদও আবার ফিরে দেখা হবে কি না তা জানা নেই।
–রিমি তুই কি ভুল বুঝবি আমায়।
আমান পেছন থেকে মেঘকে দেখছে,
চুল গুলো কোমড় পর্যন্ত মেয়েটার।
পেছন থেকেও যে তার স্ত্রী কে এতো সুন্দর লাগে তা আমানের জানা ছিল না।
–স্যার আপনার কল,
পেছন থেকে হটাৎ কারোর কন্ঠ শুনে আমানের ধ্যান আসে।
গার্ড এর থেকে ফোনটা নিয়ে নিজের রুমে চলে যায় আমান
,
,
,
মেঘের রাত কাটে নির্ঘুম৷
আমানের কাটে মেঘকে ভেবে।
সকালের সূর্য উদায় হয়।
মেঘ ঠিক সেখানেই বসে আছে।
রাত জাগা পাখির মতো।
দুটো চোখ আজ বন্ধ হয় একটু ক্ষণের জন্য ও।

তখন সকাল ১০ টা।
কিছু মেয়ে হটাৎ করেই মেঘের রুমে আসে।
এরা যে ভিনদেশী তা বুঝতে পারছে মেঘ।
–mam you finish your work please give us some time to make you
মেঘ চুপচাপ করে তাদের কথা মেনে নিলো।
না নিয়েও হয়ত আর কোন উপায় নেই।
মেঘকে একটা সাদা গাউন পরানো হয়েছে,
আর হালকা একটা কানের দুল আর পেন্ডেন পরিয়ে সাজানো হয়েছে।
এটা ত খ্রিস্টান দের বিয়ের সাজ।
মেঘ চুপচাপ হয়ে বসে আছে।
শুধু দেখছে কি করা হচ্ছে।
সবি সাদা করা হয়েছে শুধু মেঘের ঠোঁটে গাড়ো লাল লিপস্টিক দেওয়া হয়েছে।
মাথার উপরে সাদা উড়না।
হাতে ফুল ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে,
–mam come with us please.

মেঘকে নিয়ে বাইরে আসা হলো।
পুরো বাড়ি সাজানো হয়েছে।
হাজার রকমের ফুল এবং লাইট কিন্তু সবি সাদা।
সিড়ির কাছে আসতে একটা লোক আমার পাশে দাঁড়ায়।
আমি লোকটার দিকে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করি সে কে।
কিন্তু না আমি বুঝতে পারলাম না সত্যি সে কে

লোকটা আমার হাত ধরে নিচে নিয়ে এলো
এনে আমানের সামনে দাঁড় করালো।
আমান লোকটার হাত থেকে আমার হাতটা নিজের হাতে নিলো,
আর এখানে মুসলমান ধর্ম অনুসারে বিয়েটা হয়ে গেল।
বাঁধা পরে গেলাম লোকটার সাথে।
হয়ত তার কাছে ২ বছরের জন্য কিন্তু আমার কাছে এটা সারা জীবনের জন্য।
এখানে অনেক মানুষ।
সবাই ফর্মাল পোশাকে।
এখানের সংস্কৃতি আর আমাদের সংস্কৃতি এক দমি আলাদা।
আমি বসে ছিলাম আমার পাশে আমান বসে আছে,
হটাৎ সামনে থেকে কেউ,
চলবে,
(রিচেক দেওয়া হয়নি বানান ভুল হলে ক্ষমা করবেন 💔)