ডেভিল পর্ব-১১

0
338

#ডেভিল
#জয়ন্ত_কুমার_জয়

[11]

কুকুরের ভয়ে আর বেড় হলাম না।সন্ধা পেরিয়ে রাত হয়ে আসছে আর আমার ভয় আরো বেড়ে যাচ্ছে। কারনটা সেই আড়ালে থাকা লোকটির।

কিছুক্ষণ টম এন্ড জেরি দেখে বাপির সাথে ডুনার করে কিছুক্ষণ গল্প করে রুমে আসলাম।ওয়াসরুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে নিলাম।এখন কানে হেডফোন দিয়ে গান শুনছি এমন সময় নীলা ফোন করে হোয়াটস অ্যাপে আসতে বললো।ওখানে নাকি গ্রুপ কল করে কাল কে কোন ড্রেস পড়বে সেটা নিয়ে আলোচনা করবে।সাজতে আমার বেশি একটা ভাল লাগে না।আমি হালকা সাজ পছন্দ করি।কি আর করার গ্রুপ কলে আসলাম।কে কোন ড্রেস পড়বে সেটা নিয়ে আলোচনা করছে।আমি চুপ করে শুধু দেখছি।সব শেষে ঠিক হলো সবাই শাড়ি পড়বে।তাই আমাকেও শাড়ি পরতে হবে।কিন্তু আমিতো শাড়ি পরতে পারি না।ধুর এতো ভাবছি কেন,ইউটিউব থেকে শিখে নিলেই তো হয়।

এগুলা ভাবতে কখন ঘুমিয়ে গেছি জানিনা। অন্য রাতের মতো আজকেও কেউ আমার ঠোঁটে কিস করলো সেটা আমি কিছুটা অনুভব করতে পারছিলাম।কিন্তু চোখ খুলতেই দেখি আমার হাত,পা শক্ত করে বাধা।চিল্লাতে যাবো তখনি মুখে একটা টেপ দিয়ে দিলেন।শুধু উমম উমম শব্দ ছারা আর কিছু বলতে পারছি না।ভয়ে আৃার হাত,পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। উনিকি আমায় মেরে ফেলবে?কিন্তু আমি ওনার কি দোষ করেছি? আমার ওপর কিসের এতো রাগ ওনার??

লোকটা আমার সামনে হাটু গেরে বসলো।রাতে টপস পরে ঘুমিয়েছিলাম। উনি আমার পেটের ওপর থেকে টপস টা সরিয়ে নিলো।তারপর পেটে আছর কাটতে লাগলো।আর এদিকে যন্ত্রণায় আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। প্রচন্ড জ্বালা করছে।ব্যাথা,যন্ত্রণা আর সহ্য করতে পারছি না।আমার আর্তনাত উনি বুঝতে পারছে তবুও আমায় ব্যাথা দিয়েই যাচ্ছে। পেটে আছর দেওয়ার পর আবার আমার পিঠে আছর দিতে লাগলেন।এমন মনে হচ্ছিল যে এখন আমার বাধন গুলা খোলা থাকলে ওনাকে খুন করে ফেলতাম।কেনো করছে এগুলা।আমায় কষ্ট দিয়ে ওনার কি লাভ?? আমি কষ্টে কান্না করছি। আর উনি পিঠে আছর দিয়ে আরামসে সোফায় বসে আছেন।আমার রাগের মাত্রা চরমে পৌছেছে।

তারপর যেটা হলো সেটা দেখে আমি অবাক হয়ে গেলাম।উনি পকেট থেকে একটা মলম বেড় করলেন।আর সেটা পেটে আর পিঠে ক্ষত বিক্ষত যায়গায় লাগিয়ে দিচ্ছেন। ইনি কি চান?একদিকে কষ্ট দিচ্ছে অন্যদিকে আবার মলম লাগিয়ে দিচ্ছে। মলমটা লাগানোর পর অনেকটা ভাল লাগছে।তেমন ব্যাথাও করছে না।উনি আমার পেটের ওপর একটা চিরকুট দিয়ে আমার হাতের একটা বাঁধন খুলে দিয়ে যেতে লাগলো।আমি তারাতারি অন্য হাতের বাধন খুলতেই লোকটা হারিয়ে গেল।আমার খুব কান্না পাচ্ছে। কেন আমার সাথে এরকম হয়? আর এই চিরকুটটা য় কি লিখা আছে?দেখিতো।

এটা আজকে তোমার পাওনা ছিল তাই দিয়ে গেলাম।সেদিনের ঘটনাটার পর আজকে আবারো ছেলের সাথে কথা বলার সাহস হয় কি করে তোমার? কি ভেবেছিলে আমি তোমার ওপর নজর রাখিনা? তাহলে ভুল ভাবছো নেহা।তোমার সর্বোক্ষনের খবর আমি রাখি।নেক্সট টাইম কোনো ছেলের সাথে যেন তোমায় না দেখি।নইলে বেপারটা ভাল হবে না।ব্যাথা দেওয়ার আরেকটা কারন ও আছে।সেটা তুমি নিজেই বুঝতে পারবা।এখন এতো কিছু না ভেবে ঘুমিয়ে পড়বা ঠিক আছে? গুড নাইট।

এই লেকটা কি ভাবে নিজেকে?আমি কার সাথে মিশবো সেটা উনি ঠিক করার কে?ব্যাপারটা আমার আর ভাল লাগছে না।না পারছি কাউকে বলতে না পারছি সহ্য করতে।কান্না করতে করতে ওয়াসরুমে গিয়ে আয়নার দেখি ওই যায়গা গুলা লাল হয়ে আছে।কেটে গেছে একটু করে।এগুলা দেখে আরো জোরে কান্না করছে ইচ্ছে করছে।ভাল ভাবে মুখে পানি দিয়ে বিছানায় শুয়ে শুয়ে গভীর ভাবে ভাবছি।তবে আমার একটা দোষ হলো আমি অতিরিক্ত টেনশন করলে অজান্তেই ঘুমিয়ে পড়ি।আজকেও আর অন্যথা হলো না।

পরের দিন সকালে উঠে কলেজের জন্য রেডি হচ্ছি।আলমারি খুলতেই অনেক রকম শাড়ি দেখছি।কিন্তু আজ কোনটা পড়ে যাবো? লালটা? নাহ্ লালটা কেমন একটা।তাহলে কি পিংক কালারের টা পড়বো? না এটাও ভাল লাগছে না।হ্যা পেয়েছি আজকে নীল শারিটা পরে যাবো।আমায় নাকি নীল শারিতে অনেক সুন্দর লাগে এমনটা বলেছে অনেকে।অনেক্ষন সময় ব্যায় করে শাড়িটা পড়লাম কারন শারি পড়াটা আমার কাছে অনেক কঠিন লাগে।ইউটিউব দেখে যতোটা শিখে নিয়েছি এতেই শারিটা পরলাম।কিন্তু শারি পড়ে চোখটা কোমরে যেতেই দেখলাম সেখানে কাল রাতের সেই ক্ষতের চিহ্ন।ও এখন বুঝতে পরলাম।পেটে ক্ষতের কারনটা হলো শারি পড়লে যেনো পেট দেখা না যায় সেজন্য।

খচ্চর লোকটার জন্য নিজের ইচ্ছে মতো শারিটাও পরতে পারলাম না।ধুর ভাল লাগেনা।

তারপর কলেজে পৌছালাম। সবাই অনেক সেজে এসেছে।কেউ পিক তুলছে আবার কেউ টিকটক করছে।ওইতো হারামিগুলা ওইখানে।ওদের কাছে যেতেই ওরা আমার পেটের ক্ষতের কারনটা জানতে চাইলো।পড়ে গিয়ে কেটে গেছে বলে কাটিয়ে দিলাম।আর মনে মনে খচ্চর লোকটারে হাজার হাজার গালি দিচ্ছি।ওই উগান্ডা টার জন্য আজ আমার এই অবস্থা। একটু পর যা ঘটলো তার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।

কোথাথেকে একটা ছেলে সামনে হাটু গেড়ে বসে হাতে লাল গোলাপ আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো “I love you.will you marry me? ”

আর এদিকে আমি অবাক হয়ে দারিয়ে আছি।আর মনে মনে ভাবছি এই দৃশ্যটা ওই ডেভিল লোকটা দেখলে কি যে হবে।কি করবো বুঝতে পারছি না।প্রপোজাল টা এক্সেপ্ট করাও সম্ভব না।তাই ডিরেক্ট না করে দিলাম।ছেলেটা অনেক রিকুয়েষ্ট করলো কিন্তু আমি চাইনা আমার জন্য আবার কেউ বিপদে পড়ুক।ওখান থেকে স্টেজের দিকে আসলাম।

দোস্ত তোকে আজ দারুণ লাগতেছে।দারা তোর একটা পিক তুলি(তুর্য বললো।তুর্য আমার এক ক্লাস মেট।ভাল বন্ধুও বলা যেতে পারে)

__নারে মুড নেই।পরে তুলবো

__আরে মুড থাকবে না কেন।আমি পোজ দেখিয়ে দিচ্ছি সেভাবে দারা

__পড়ে করলে হতো না?

__না।হাতটা কোমরে রাখ।চুলগুলা সামনে দে

ওর কথা মতো চুল সামনে দিলাম।কারন ও খুব জেদি।পিক তুলে তবেই ছাড়বে।

__ওয়াও দোস্ত সেই লাগছে তোরে।এই দেখ

__পরে দেখবোনি

__নিবি না পিক গুলা??

__ধুর পড়ে নিবো যাতো এখন

এমনিতেই মেজাজ খারাপ হয়ে আছে তার ওপর ওর পিকের ঝামেলা।অনুষ্ঠান শুরু হলো।স্যার মাইকে এনাউন্সমেন্ট করলো__

স্যার__কেমন আছো তোমরা? তোমরা তো জানো আজ নাচ গানের বিশাল সমাহার।তো এই সমাহারে আজকের সেরা আকর্ষন “রুপালি গিটার ” টিম।””রুপালি গিটার “” টিমের জন্য একটা হাত তালি হয়ে যাক।

আমরা হাত তালি দিচ্ছি। রুপালি গিটার টিমের সকল মেম্বার রা স্টেজে আসলো।আর গানের সুর তুলছে।কিছুক্ষণ পর যেটা দেখলাম সেটা দেখে অনেকটাই অবাক হয়ে গেলাম।

হাতে গিটার নিয়ে নীল ভাইয়া স্টেজের দিকে আসছে।আমি কি এটা ঠিক দেখছি?? নীল ভাইয়া আজ পারফরম্যান্স করবে??আমিতো বিশ্বাসি করতে পাচ্ছি না এই ডেভিল লোকটা পারফরম্যান্স করতে পারে।উনি স্টেজের সামনে আসতেই বড় আপুরা পিক তুলছে ব্যাস্ত হতে লাগলো।কলেজের প্রায় সব আপুরাই নীল ভাইয়ার সাথে সেলফি তুললো।কেউ কেউ আবার লেটার দিচ্ছে।ওনাকে ঘিরে চলছে হাজারো ঘটনা।কেউ সেলফি তুলতে ব্যাস্ত,কেউ লেটার দিতে ব্যাস্ত তো কেউ মেক-আপ করতে।চেয়ারে বসে সিনিয়র, জুনিয়র বেশিরভাগ সবাই মেক-আপ করতে লাগলো।এদের কান্ড দেখে আমার গা জ্বলে যাচ্ছে।

এতো আদিক্ষেতার কি আছে শুনি? গায়ে পড়ে ছবি,লেটার দেওয়ার কি দরকার? উনি এতোটা সেলিব্রিটি? তা সে সেলিব্রিটি হোন আর যেই হোন তাতে আমার কি।

নীল ভাইয়া সবাইকে ইগনোর করে স্টেজে উঠলেন।আর সবাই হাতে তালি দিচ্ছে।

“”এক আকাশের তারা তুই, একা গুনিস নে””

“” পাপা কেহেতিয়ে বারা নাম কারেগা””

সহ আরো কয়েকটি গান গাইলেন।তার মায়াবী সুরে আমিও পাগল হয়ে যাচ্ছি। এতো সুন্দর করে কিভাবে গান উনি? মনে হচ্ছে গানের ভেতরে ঢুকে গেছি।এজন্যই হয়তো ওনার এতো ফ্যান।

একটা বড় আপু স্টেজে উঠে নীল ভাইয়ার সামনা সামনি হাটু গেড়ে বসে একটা রিং এগিয়ে দিলো।নীল ভাইয়া কিছুটা বিরক্তি ভাব নিয়ে দারিয়ে আছে। ওনাকে দেখে বুঝতে পারছি ভেতরে ভেতরে অনেক রেগে গেছেন।এরপর আপুটা নীল ভাইয়াকে রিংটা পরিয়ে দিলেন।সাথে সাথে কলেজের বাকি আপুদের গা জ্বলে যাচ্ছে। সবাই আপুটাকে গালি দিয়ে যাচ্ছে। এদিকে আমি হা করে এসব কান্ড দেখছি।কি হচ্ছে এসব? নীল ভাইয়া যে প্রকৃতির ছেলে কখন যানি আপুটাকে চর দিয়ে বসেন।কিন্তু না সেরকম কিছু হলো না।

তারপর নীল ভাইয়া স্টেজ থেকে হন হন করে চলে গেলেন।



দোস্ত এরকম করছিস কেন?মাথা ঠান্ডা কর (জয়।নীলের বেস্ট ফ্রেন্ড)

__কেনো করছি বুঝতে পারছিস না??ওই মেয়েটার সাহস হয় কি করে?? আমার সামনে দারিয়ে রিং পড়িয়ে দেওয়ার?? মেয়েটাকি জানেনা?? এই নীল কে??

__এটা কোনো কারনবশত হয়ে গেছে।দোস্ত মেয়েটা এদিকে আসতেছে প্লিজ কোনো সিন ক্রিকেট করিস না

__হাই, তুমি এভাবে চলে আসলে কেন? (যে মেয়েটি রিং পড়িয়ে দিয়েছিল)

__স্যাট আপ! এরকম একটা কাজ করার রাইট তোমায় কে দিয়েছে

__কে দিয়েছে মানে? আমার মনের মানুষকে আমি রিং পড়িয়ে দিয়েছি এখানে কিসের রাইট ? নীল আমি তোমায় অনেক ভালোবাসি। আই লাভ ইউ

__(সারা শরীর রাগে গিজ গিজ করছে)

__আমি জানি তুমিও আমায় ভালবাসো।সেজন্য রিংটা পড়েছো।চলো কোথাও ঘুরে আসি।আমাদের আজকের দিনটা আরো স্পেসিয়াল করি

__কিছু কথা বলবো ভাল করে শুনে নাও(শান্ত গলায় বললাম)

__হুম বলো।তোমার কথা আমি সারাদিন শুনতে রাজি আছি

__প্রপোজালটা এক্সেপ্ট করছি তার প্রথম কারন হলো,আমি চাইনি গোটা কলেজের সামনে তোমার অপমান বোধ হোক।আর তোমায় ভালবাসার তো কোনো প্রশ্নই ওঠে না কারন তোমায় এর আগে কখনো দেখছি বলে মনে হয় না

__মানে?

__আমি এতোক্ষণ তোমায় সময় দিতে পারবো না।এই নাও তোমার রিং।আর হ্যা না জেনে শুনে কখনো নিজেকে এভাবে অর্পন করে দিবে না।মাইন্ড ইট

__তুমি চেনো আমি কে? এই শহরের নামকরা বিজনেসম্যানের মেয়ে আমি।আমি যদি চাই

__দারাও! ডোন্ট ক্রস ইউর লিমিট ওকে। আর তুমিও হয়তো জানোনা এই নীল কে।সো তোমার অপমানিত হওয়া থেকে রক্ষা করতে রিংটা এক্সেপ্ট করেছিলাম।যা হয়ছে ভুলে যাও।চলি

ওখান থেকে চলে আসলাম।মেজাজটা প্রচন্ড বিগড়ে আছে।সব প্লানিং নষ্ট হয়ে গেলো।কিচ্ছু ভাল লাগতেছে না,তাই বাসায় চলে আসলাম।

ওইদিকে….

নীল ভাইয়া কি সত্যি সত্যি ওই আপুটার প্রপোজাল এক্সেপ্ট করলো?? কিন্তু আমি যতটা চিনি এটা কখনো সম্ভব না, কিন্তু এক্সেপ্ট যদি না ই করে তাহলে এখানে রিং পড়াতে বাধা দিলো না কেন?? হয়তো নীল ভাইয়া ওই আপুকে আগে থেকে পছন্দ করে।

কিন্তু আমার এরকম হচ্ছে কেনো?? বুকটা কেমন চিন চিন করছে।মনে হচ্ছে কিছু হারিয়ে ফেলার ভয় আমায় তারা করছে।আচ্ছা আমি কি নীল ভাইয়ার ওপর দূর্বল হয়ে পড়ছি? না না এসব আমি কি ভাবছি।ধুর কিচ্ছু ভাল লাগছে না।তাই কাউকে কিছু না বলে বাসায় চলে আসলাম।বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।বাসায় কেমন জানি লাগছে।একাকিত্ব যেনো ঘিরে ধরেছে আমায়।একাকিত্ব দূর করার জন্য ছাদে গেলাম। এখন গোধুলি লগ্ন। এই সময়টা আমার খুব ভালো লাগে কিন্তু আজ কেমন জানি বিবর্ন লাগছে।মনে হয় আকাশের সব রং আজ হারিয়ে গেছে।মনের মধ্যে তোমন কৌতুহল নেই। কি হলো আমার?? ছাদের দোলনায় চোখ বন্ধ করে বসে আছি এমন সময় আমার চোখে কি একটা বেধে আমায় কোলে তুলে নিয়ে যেতে লাগলো।আমি চেচাতে যাবো তার আগেই মুখে একটা টেপ লাগিয়ে দিলো।আমার সাথে কি হচ্ছে কিচ্ছু বুঝতে পারছি না।এরপর অনুভব করলাম আমায় একটা গাড়িতে তোলা হলো।আমি প্রচন্ড ছটফট করছি।ভয়ে আমার হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে কিন্তু কিছুই করতে পারছি না। সারা রাস্তায় ছটফট করছি কিন্তু কোনো লাভ হচ্ছে না।একটু পর গাড়িটা থামালো।আবারো একজন আমায় কোলে তুলে নিয়ে কোথাও যাচ্ছে।একটু পর আমায় কোল থেকে নামিয়ে দিলো,আর হাতের বাঁধন খুলে দিলো।হাতের বাধন খুলে দিতেই মুখের টেপ আর চোখের ওপর থেকে বাধা পট্টি টা খুলে ফেলতেই চারিদিকে অন্ধকার দেখছি।
আমি আগে থেকেই অন্ধকার অনেক ভয় পাই। আর এমন ঘটনার পর তো আরো ভয় পেয়ে আছি।আমি যেখানে দারিয়ে আছি সেখানে আলোর রশ্মি পর্যন্ত নেই।

হঠাৎ শুধু আমার শরীরের ওপর আলো পড়লো।আচমকা আলো পড়ায় হাত দিয়ে চোখ আড়াল করলাম।একটু পর আমার ঠিক সামনে আরেকটি আলোর রশ্মি পড়লো।সেখানে কেউ একজন পিছন দিকে হয়ে দারিয়ে আছে, হাতে কিছু একটা নিয়ে।এরপর তিনি আমার দিকে ঘুরতেই আমি অবাক হয়ে গেলাম।এটা কি করে সম্ভব?? আমি কি ঠিক দেখছি??

চলবে….????