তুমি কবে আমার হবে পর্ব-১৯+২০

0
237

#তুমি_কবে_আমার_হবে
#পর্ব_১৯
#sabihatul_sabha

সাফা আসতে আসতে চোখ খুলে আশেপাশে তাকালো।মাথাটা এখনো ঝিমঝিম করছে। তাকিয়ে দেখে সবাই ওর দিকেই তাকিয়ে আছে। সবাই ওর কাছে আসলো ওর সাথে কথা বলা শেষ হলে শান্ত বললো,’ আমি কি সাফার সাথে একটু কথা বলতে পারি?যদি কেউ কিছু না মনে করেন।

সবাই রুম থেকে বের হয়ে গেলো।শান্ত আর সাফা দুই জন খাটের দুই পাশে বসে আছে।

নিরবতা ভাঙে শান্ত বললো,’ তোমার আগেই বুঝা উচিত ছিলো।কার সাথে লাগতে যাচ্ছো।পিচ্চি একটা মেয়ে কেনো আমার সাথে লাগতে এসেছো। এতো ছোটো খাটু একটা সকট এই নিতে পারলে না। আবার আমার সাথে আসো লাগতে। ওকে আমি আবার সব আগের মতো ঠিক করে দিবো। তুমি আমাকে যদি বলো, ‘ সরি ভাইয়া আমার ভুল হয়েছে।আমাকে ক্ষমা করে দেন।’ তাহলে।

সাফা রেগে শান্তর দিকে তাকিয়ে আছে।

সাফাঃ আপনার কি মনে হয় আমি দুর্বল! আর আপনাকে সরি বলবো!! কোনো দিন ও না।

শান্তঃ তাহলে সুন্দর করে আমার বউ সাজার জন্য তৈরি হও।বলেই বাঁকা হাসলো।

সাফাঃ আমি আপনাকে সরি বলবো না।আর বিয়েও করবো না।
শান্তঃ কেনো ভয় পেয়ে গেছো। জানি তো বাচ্চা মেয়ে ভয় তো পাবেই।বলেই হাসা শুরু করলো।
শান্তর হাসি দেখে সাফার রাগ আরো বেরে গেলো,
সাফাঃ আমি একদমি ভয় পাইনি।আর বার বার বাচ্চা মেয়ে কাকে বলছেন হা। আমাকে কোন দিক দিয়ে বাচ্চা মনে হয়। রেগে বলে উঠলো।
শান্তঃ তাহলে বিয়ে করবে না কেনো? জানি ভয় পেয়েছো।বলে আর চোখে সাফার দিকে তাকালো।
সাফাঃ আমি বিয়ে করবো।(শালা আগে বিয়েটা কর তারপর বুঝবি আমি কি জিনিস। জীবনটাই তেজ পাতা বানায় ফেলমু,মনে মনে বললো)

শান্ত সাফার অগোচরে মুচকি হাসলো যা কেউ দেখলো না। কিন্তু শান্ত খুশি আজ খুব খুশি।প্রিয় মানুষটিকে পেয়ে গেলে কেই বা খুশি না হয়।

——
বাসায় আসতে আসতে সন্ধ্যা হয়ে গেছে। বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পরলাম।কাল অফিসের প্রথম দিন। সাফার বিয়ে চার দিন পর। আমাকে আন্টি বলে দিয়েছে কাল যেনো সন্ধ্যার দিকেই ওনাদের বাসায় চলে যাই। কাল না গেলে আন্টি রাগ করবেন। সাফাও বলে দিয়েছে।

হঠাৎ ফোন বেজে উঠলো। মোবাইল হাতে নিয়ে দেখি। অপরিচিত নাম্বার কল রিসিভ করতে করতে কেটে গেলো।বালিশের কাছে রেখে চোখ বন্ধ করার সাথে সাথে স্যারের মুখটা বেশে উঠলো।ইসস আসার সময় কেমন অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলো।
আবার ফোন বেজে উঠলো। এবার রিসিভ করে, হ্যালো বললাম।

ওপাশ থেকে বেশে আসলো, ‘ কেমন আছো নূর?

আমার আবার মোবাইলের স্কিনে তাকালাম।আপনা আপনি মুখ থেকে বেরিয়ে আসলো,’অভি!!…

অভি নিঃশব্দে হাসলো।যাক কন্ঠটা তো মনে রেখেছে এটাই ওনেক।
অভিঃ যাক তাহলে চিনতে পেরেছো এটাই অনেক।
~নাম্বার কোথায় পেয়েছেন?
অভিঃ মন থেকে চাইলে অনেক কিছুই পাওয়া যায়। আর এটাতো একটা নাম্বার।
~ভুল বললেন। মন থেকে চাইলেই সব কিছু পাওয়া যায় না। ভাগ্যে থাকা লাগে।কোথায় থেকে পেয়েছেন সেটা বলেন?
অভিঃ তোমার অফিস থেকে।
~কি!! আমার অফিস। কিন্তু আপনি জানলেন কীভাবে? এখনো তো বাহিরের কেউ জানেনা।
অভিঃ তুমি যেই দিন ইন্টারভিউ দিতে যাও। ওই দিন আমিও গিয়ে ছিলাম ওই অফিসে আমার বন্ধুর কাছে।তখন দেখেছি তারপর ওখান থেকেই নিয়েছি।কিন্তু এতো দিন কল দেওয়ার সাহস হয় নি।
~ওহহ আচ্ছা। এতো দিন সাহস হয়নি আজ কেনো দিয়েছেন?
অভিঃ তুমি রাগ করো না। আমি আর তোমাকে আমার জীবনে আসতে বলবো না।প্লিজ একটা কথা রাখবে নূর?
~আজ খুব অন্য রকম লাগছে অভির কন্ঠ কিছু কি হয়েছে?। নূর কিছুক্ষন চুপ থেকে বললো, ‘ কি বলেন?
অভিঃ মা’র শরীরটা কয়দিন ধরে একদমি ভালো না।প্লিজ একবার এসে দেখে যাবে!…
~আচ্ছা ঠিক আছে। আমি সময় করে একদিন এসে দেখা করে যাবো।
অভিঃ ধন্যবাদ নূর।
~আচ্ছা আমি রাখি কাল আমার অফিস আছে।
অভিঃ আচ্ছা,আসলে মা খুব খুশি হবে।
~ঠিক আছে।বলে ফোন রেখে ঘুমিয়ে পরলাম।
আজ কাল আর অভি কে নিয়ে ভাবতে ইচ্ছে হয় না।কে বলে চাইলেই কাউকে ভুলা যায় না।জীবন কারো জন্য থেমে থাকে না।
——

সকালে উঠতে দেরি হয়ে গেছে। যার জন্য তারাতারি ফ্রেশ হয়ে। রেডি হয়ে নিলাম। আজ শুভ্র সাদা রং এর একটা শাড়ি পড়ে নিলাম।সাথে চুরি,হালকা কাজল,চুল গুলো খোপা করে নিলাম।

অফিসে আসার পর মেনেজার রাফি আমাকে আমার কাজ বুঝিয়ে দিলো।শান্তর সাথেও দেখা হয়ে গেলো।ছেলেটা খুবই ভালো আর মিশুক। শুধু সাফার সাথেই জগরা করে।না হলে অন্য সবার সাথে খুব ভালো ব্যাবহার করে।

অফিসের প্রথম দিন খুব ভালো কাটলো।ছুটির পর অফিসের নিচে দাড়িয়ে আছি গাড়ির জন্য।

——

দেখ মেঘ আমি ফুচকা না খেয়ে বাসায় যাবো না বলে দিলাম।

মেঘ অসহায় চোখে তাকিয়ে আছে সাফার দিকে। এই পর্যন্ত ওর পকেট খালি।এখন নাকি আবার ফুচকা খাবে।বিরক্ত হয়ে বললো,’ তুই এতো খেলে তো আমাদের বাসার আরো একটা দরজা কাটতে হবে।

সাফাঃ কি!! আমি বুঝি মোটা হয়ে যাচ্ছি?
মেঘঃ এতো খেলে তো হয়ে যাবি।চল এবার তোকে বাসায় দিয়ে আমি বাড়ি যাবো।
সাফাঃ না আমি ফুচকা না খেয়ে যাবো না।
মেঘঃ আমার ভুল হইছে তোর কথা শুনে কেনো যে আসতে গেলাম আমি।যা ফুচকা খেয়ে বাসায় যা। আর আমাকে উদ্ধার কর।
সাফাঃ কিপটা শুধু তো ফুচকাই খেতে চাইছি আর তো কিছু না।
মেঘঃ কি!! শুধু ফুচকা আর যে..
সাফা মেঘ কে আর কিছু না বলতে দিয়ে ফুচকা ওয়ালা মামা কে বললো,’মামা ঝাল বেশি করে এক প্লেট ফুচকা দেন তো।
ফুচকা ওয়ালাঃ মামুনি ঝাল কি বেশি দেমু?
সাফাঃ হা আজ সব কিছু মিষ্টি খাইছি। ঝাল টেষ্ট না করলে হবে না। ঝাল বেশি করে দেন।

মেঘ বিরক্ত হয়ে ওর দশ নাম্বার গার্লফ্রেন্ড কে কল দিলো।

সাফা তিনটা ফুচকা খাওয়ার পর চোখ, মুখ দিয়ে যেনো আগুন জরছে।এদিক সেদিক তাকিয়ে পানি খুজা শুরু করলো। মুখে বলতেও পারছে না। তখনি ওর সামনে একজন পানির বোতল ধরলো।

চলবে….

ভুলত্রুটি মার্জনীয়।

#তুমি_কবে_আমার_হবে
#পার্ট_২০
লেখিকা #sabihatul_sabha

অফিসের নিচে দাড়িয়ে ছিলাম তখনি দেখি একটা গাড়ি আমার সামনে এসে থামলো।

গাড়ির গ্লাস নামিয়ে রুদ্র স্যার বললেন,’তুমি এখানে কেনো?
~আমি ভাবতে পারিনি স্যারের সাথে এখন দেখা হবে।তাই অবাক হয়ে স্যারের দিকে তাকিয়ে আছি।
~কি হলো আমা কে কি আজকে বেশি সুন্দর লাগছে।
~আমি লজ্জা পেয়ে গেলাম ইসস নির্লজ্জের মতো কিভাবে স্যারের দিকে তাকিয়ে ছিলাম।ওনি কি ভাবছেন।
~ওনি হয়তো বুঝলেন আমি লজ্জা পেয়েছি।তাই কথা গুরিয়ে বললেন কি করছো এখানে?
~আসলে স্যার আমি এই অফিসে কাজ করি।
~অবাক,হয়ে রুদ্র বলে। তুমি জব নিয়েছো কয়দিন হলো?
~আজি প্রথম দিন।
~ওহহ আচ্ছা তা মিষ্টি কোথায়। দাঁড়িয়ে আছো,গাড়ির জন্য নাকি?
~জি স্যার।
~এখন তো আর সহজে রিক্সা পাবে না।চলো আমি তো এই দিক দিয়েই যাবো।তোমাকে নামিয়ে দিবো চলো।
~আমিও আর না করলাম না।এমনি তেই অনেকক্ষন দাড়িয়ে আছি। তাই স্যারের সাথে যেতে রাজি হয়ে গেলাম।

——

সাফা সামনে পানির বোতল দেখে কোনো দিকে না তাকিয়ে বোতল নিয়ে পুরো বোতলের পানি খেয়ে নিলো।তাও হালকা ঝাল রয়েগেছে মিনিট পাঁচেক চোখ বুজে রইলো।তারপর চোখ খুলে সামনে জাকে দেখলো বসা থেকে লাফ দিয়ে উঠে দাড়িয়ে গেলো।
সাফা ভেবে ছিলো।ওকে পানির বোতলটা হয়তো মেঘ দিয়েছে।কিন্তু এতো দেখে উল্টো তবে লোকটা এভাবে রেগে তাকিয়ে আছে কেনো?ওহহ উনার পুরো বোতলটাই তো আমি খালি করে দিয়েছি।তাই তো মনে হয় এতো রেগে আছে।ইসস আরেকটু কম খাওয়ার দরকার ছিলো,বলে বোতলটার দিকে তাকালো।

——

আমি বাহিরে তাকিয়ে আছি।মনে হচ্ছে রুদ্র বার বার আমার দিকে তাকাচ্ছে উনার দিকে তাকিয়ে দেখি না খুব মন দিয়ে ড্রাইভ করছে।আবারো বাহিরের দিকে তাকালাম।
হঠাৎ রুদ্র বলে উঠলো, নূর একটা কথা জিজ্ঞাসা করবো?
~জি স্যার বলুন।
~যদিও তোমার পার্সোনাল বেপার। আচ্ছা ধরো তোমার প্রাক্তন স্বামী তোমাকে ফিরিয়ে নিতে চায়।তুমি কি যাবে?
~আমি একদমি অবাক হলাম না।শান্ত চোখে স্যারের দিকে তাকালাম।স্যারও উত্তরের আশায় আমার দিকে তাকিয়ে আছেন।আমি বাহিরে তাকিয়ে দেখলাম বাসার নিচে চলে এসেছি।কথা না বাড়িয়ে বললাম,স্যার আমি চলে এসেছি।
উনি বাহিরে তাকিয়ে বললেন ও হে চলে তো এসেছি।আচ্ছা বাসায় যাও।
আমি নেমে গেইটের সামনে গিয়ে পিছনে ফিরে তাকালাম স্যার তাকিয়ে আছে। আমি স্যার কে চলে যেতে বলে।গেইটের ভেতর চলে গেলাম।

——
শান্ত দাঁতে দাঁত চেপে বললো,কয়টা বাজে এতো রাতে বাহিরে কি করো?আর যা খেতে পারো না তা খেতে যাও কেনো?।
সাফাঃ অবাক হয়ে শান্তর দিকে তাকিয়ে বললো,আপনাকে আমি আরেকটা পানির বোতল কিনে দিবো।একটা পানির বোতল এর জন্য এমন রেগে যাওয়ার কি আছে।আর এতো রাত কোথায় মাত্র ৮টা বাজে।আর আমি এর থেকেও বেশি ঝাল খেতে পারি।
শান্তঃ বোতলের জন্য মানে!!আর এর থেকেও বেশি ঝাল খেতে পারো তুমি।তাহলে একটা কাজ করো।
সাফা জিজ্ঞাসার দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে, যার মানে কি কাজ?

শান্ত টুলের দিকে তাকিয়ে দেখে বাকি ফুচকা টুলের উপরে প্লেটে।শান্ত ফুচকার প্লেটটা হাতে নিয়ে সাফার সামনে ধরলো।
সাফা বলে উঠলো, ‘কি হলো এইগুলো আমার সামনে ধরে আছেন কেনো?
শান্তঃ নাও এবার বাকি গুলাও খাও আমার সামনে।
সাফাঃ মাথা খারাপ নাকি। আমি কেনো খেতে যাবো বাকি গুলো।
শান্তঃতুমি খাবে না তো কে খাবে। নিজের জন্যই তো নিয়েছো আর তুমি নিজেই তো এখন বললে এর থেকেও বেশি ঝাল খেতে পারো।

সাফা এবারো বুঝলো নিজের কথার ফাঁদে নিজেই পরে গেছে।এদিকে সেদিক তাকিয়ে মেঘকে খুঁজা শুরু করলো। শান্ত ব্রু কোচকে ওর দিকে তাকিয়ে আছে।

ওদের থেকে কিছুটা দূরেই দাড়িয়ে মেঘ একটি মেয়ের সাথে জগরা করছে,
মেঘঃ দেখুন ময়দা ওয়ালি মিস আমি বলছি তো ইচ্ছে করে আপনার মোবাইটা ফেলি নি।
~কি আমি ময়দা ওয়ালি বেয়াদপ ছেলে আমাকে দেখে কি ময়দা ওয়ালি মনে হয়।রেগে বললো মেয়েটি।
মেঘঃ একদমি না আপনাকে দেখেতো ময়দার বস্তু মনে হচ্ছে। তাই তো বলি ময়দার দাম কেনো দিন দিন বারছে।আপনাদের মতো সুন্দরীরা আছে বলেই আজ ময়দা বিক্রেতারা বেঁচে আছে।
মেয়েটি এবার চিৎকার করে বললো, ‘ আপনার সাহস তো কম নয়,এক আমার ফোন নিচে ফেলে দিয়েছেন আবার আমার সাথেই ফাজলামো করছেন।আপনা কে তো!!
মেঘঃ কি! কি! কি করবেন?বলেই বললো ওহহ বুঝতে পারছি বলে লজ্জা পাওয়ার মতো মুখে একটু লাজুক ভাব আনলো।
মেয়েটি যেনো তাজ্জব বনে গেলো।মেয়েটি বললো কি আর সে বুঝলো কি।
মেঘের হঠাৎ মনে পরলো সাফার কথা।সামনের মেয়েটিকে কিছু বলতে না দিয়েই মেঘ পিছনের দিকে দৌড় দিলো।
মিমের যখন খেয়াল হলো মেঘ চলে যাচ্ছে তখন চেচিয়ে উঠে বললো,’ ওই বেয়াদব ছেলে সরি তো বলে যা।

মেঘ দৌড়ে সাফার সামনে এসেই বললো, ‘ কিরে তোর ফুচকা খাওয়া শেষ হয়নাই এখনো,বলে পাশে তাকিয়ে শান্ত কে দেকে মুখ ফসকে বেরিয়ে যায়,’হবু বউয়ের টানে ডাইরেক্ট ফুচকার দোকানে চলে আসছো ভাই।
শান্ত মেঘের কান মুচড়ে ধরলো।কি বলছোস আরেক বার বল?
মেঘঃ কই কিছু না তো। কিছু বলিনি।
শান্তঃ তুই এখানে কি করছ?
মেঘঃআরে ভাই তুমি তো একটা নিরামিষ, তুমি জানোনা বিয়ের আগে হবু বউকে একটু সময় দেওয়া লাগে।আমার বেচারি হবু ভাবি তো আর তোমার মতো নিরামিষ না। তাই আমাকে ফোন দিয়ে বললো,’তোর ভাই তো নিরামিষ একটা কল ও দেয়না।তুই তো আমার একটা মাত্র দেবর একটু আমাদের বাসার পাশে ফুচকার দোকানটার সামনে আসবি।আমি বেচারা হবু ভাবির কথা শুনে মায়া হলো আমি আসলাম এখন দেখো ভাই আমার পকেট খালি, বলে পকেট দেখালো।
এদিকে সাফা চোখ মুখ লাল করে মেঘের দিকে তাকিয়ে, দাঁতে দাঁত চেপে বললো, ‘আমি একদমি এই সব বলিনি। মেঘের বাচ্চা মিথ্যা কেনো বলতেছোস।
মেঘ কিছু বলতে যাবে তখনি শান্ত বললো,’মেঘ ওকে ওর বাসার সামনে দিয়ে আয়।’
মেঘঃ ভাই তুমি থাকতে আমি কেনো। তুমি আসলেই নিরামিষ হবু বউকে নিজে দিয়ে আসবে তা না ছোটো ভাইয়ের ঘারে কেনো চাপায় দিতেছো।তুমি দিয়ে আসো, আমি গেলাম।বলেই মেঘ যেভাবে এসে ছিলো আবার সেদিকেই দৌড়।

চলবে….

ভুলত্রুটি মার্জনীয়।