তোমাকে চিনতে ভুল করেছি পর্ব-০২

0
305

#তোমাকে চিনতে ভুল করেছি পর্ব:-০২
লিখা:- AL Mohammad Sourav

আমার স্ত্রী নিরাকে আমি খুব ছোট বেলা থেকেই চিনি কিন্তু কখনো এমন ভাবে হাসতে দেখিনি আজ যেমন ভাবে ঐ ছেলেটার সাথে রিকশাতে বসে হাসতেছে। মাত্র গতকালকেই নিরার সাথে আমার বিয়েটা হয়ছে আম্মার দিকে তাকিয়ে ওকে বিয়ে করেছি আর অাজকেই অন্য ছেলের সাথে এমন ভাবে দেখবো অন্তঃত এটা আশা করিনি। নিরাকে হাসানোর জন্য আমার আম্মা সবসময় চেষ্টা করে কিন্তু কোনো লাভ হয়না সবসময় বাড়িতে গম্ভীর ভাবে থাকে আর আজ ছেলেটার সাথে নিরার এমন হাসির রহস্য কি? তাহলে কি নিরা আমাদের সবাইকে ঠকাচ্ছে? এসব চিন্তা ভাবনা করতেছি তখনি ওরা দুজনে রিকশা থেকে নেমে একটা রেস্টুরেন্টে যাচ্ছে আমিও বাইকটা নিয়ে সেই রেস্টুরেন্টের সামনে গেলাম। পার্কিং জোনে বাইক রেখে মুখে মাক্স পড়ে আর চোখে কালো চশমা পড়ে ভেতরে প্রবেশ করে উঁকি জুঁকি দিয়ে দেখি নিরা আর ঐ ছেলেটা একদম কর্ণারের টেবিলে বসা। আমি আড়াআড়ি ভাবে তিন টেবিল পেছনে বসে পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে দূর থেকে ভিডিও করেছি অল্প কিছুকক্ষণ। আমাকে অবাক করে দিয়ে ছেলেটা নিরার হাতটা ধরেছে নিরাকে দেখে মনে হচ্ছে সে খুব স্বাবাভিক আছে আমি অল্প কিছুকক্ষণ ভিডিও করে সোজা বেরিয়ে এসে বাইকটা নিয়ে চলে এসেছি।

আজ মহা রানী বাড়িতে আসুক আমাদের খেয়ে আমাদের পড়ে আমাদের সাথেই এমন কাজ করছে? আম্মাকে এখন কিছু বলা যাবে না কারণ আম্মা এসব দেখলে অনেক কষ্ট পাবে। ওর জন্য আম্মা কি না করেছে আমাকে সবসময় হোস্টেলে রেখেছে কারণ আমি নিরাকে ছোট থেকেই ঘৃণা করতাম। আচ্ছা সে যদি কাওকে পছন্দ করে থাকে বা ভালোবেসে থাকে তাহলে আমাকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছে কেনো? আর সে আম্মাকে বলেনি কেনো যে খালামনি আমি একজনকে ভালোবাসি এসব ভাবতে ভাবতে মেইন রাস্থায় এসে বাইকটা থামিয়ে নিরার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম কারণ আমি একা বাড়িতে গেলে আম্মা ভিষণ কষ্ট পাবে।

সন্ধা ছয়টার দিকে নিরাকে দেখি একটা রিকশা করে আসতেছে। আমি এমন ভাবে সামনে গেছি যেনো আমি ওর সম্পর্কে কিছুই জানি না আর কিছুই দেখিনি। কাছে গিয়ে আমি রিকশাটা থামিয়ে দিয়ে বলি।
সৌরভ:- নিরা নামো আমি তোমাকে বাইকে করে বাড়িতে রিয়ে যাবো তানা হলে আম্মা কষ্ট পাবে আর পরে আমাকেই বকাঝকা করবে।
নিরা:- থাক তার কোনো দরকার নেই আমি তোমার সাথে গেলে তোমার মানসম্মান নষ্ট হবে তোমার বন্ধুরা সবাই তোমাকে নিয়ে মজা করবে আর তার চাইতে বড় কথা হলো তোমার বাইক নষ্ট ঠিক তখনি আমি নিরার মুখ চেপে ধরে বলি।

সৌরভ:- যা বলেছো এর মধ্যেই থাকো এর বেশি বলার কোনো দরকার নেই। এমনিতেই সকালে বলেছো বাইক নষ্ট হবে আর সাথে সাথেই নষ্ট হয়ে গেছে তিন ঘন্টা বসে থেকে বাইক ঠিক করেছি। আজ ভার্সিটিতে ক্লাস করতে পর্যন্ত যেতে পারিনি বলে হাতটা সরিয়ে নিয়েছি।
নিরার চেহারাটা কালো হয়ে গেছে তখন বলে।
নিরা:- সরি আমি বুঝতে পারিনি যে সত্যি সত্যি তোমার বাইকটা নষ্ট হয়ে যাবে।
সৌরভ:- তুমি এমন অনেক কিছু বুঝতে পারো না যার কারণে খেসারত দিতে হয় আমাকে আর আমার পরিবারকে। এখন কথা কম বলে এসো বলেই বাইকে বসেছি তখন নিরা তার পার্স ব্যাগ থেকে পাঁচশত টাকার নোট বের করে রিকশার ড্রাইভারকে দিয়েছে। তখনি রিকশার ড্রাইভার বলে আপা আমার কাছে এত বড় নোটের ভাংতি নেই একটু কষ্ট করে ভাংতি দেন। নিরার দিকে তাকিয়ে দেখি নিরা কিছুটা বিরক্তি হয়ে আমার দিকে তাকিয়েছে তখন আমি মানি ব্যাগ থেকে পঞ্চাশ টাকার একটা নোট বের করে রিকশার ড্রাইভারকে দিয়েছি।

নিরা:- তুমি টাকা দিতে গেলে কেনো?
সৌরভ:- হাওলাদ দিয়েছি তুমি ভাংতি করে আমার টাকা আমাকে ফেরত দিয়ে দিও। এখন এসো বাড়িতে গিয়ে ফ্রেশ হতে হবে। নিরা বাইকে বসেছে মাঝে ওর ব্যাগটা রেখেছে আমি কিছু বলিনি। অল্প কিছুকক্ষণের মধ্যে বাড়িতে চলে এসেছি। আমার সাথে নিরাকে দেখে আম্মা অনেক খুশি হয়েছে।

আম্মা:- যাক বাবা আমি অনেক খুশি হয়েছি তুই নিরাকে কষ্ট করে সাথে নিয়ে এসেছিস। এখন থেকে আমার আর তেমন কোনো চিন্তা করতে হবে না তুই নিরাকে সবসময় এমন ভাবে নিয়ে আসবি।

সৌরভ:- ঠিক আছে বলেই রুমে এসেছি তখন চেয়ে দেখি নিরা ওয়াশরুমে যাচ্ছে তখনি ওর হাতটা ধরে বলি। শুনো এই ওয়াশরুমে তুমি যাবে না এটাতে শুধু আমি যাবো তুমি তোমার রুমের ওয়াশরুমে যাবে।
নিরা:- হাতটা ছেড়ে দাও আমার ব্যথা লাগছে। সৌরভ হাতটা ছেড়ে দিয়ে ওয়াশরুমে যাচ্ছে তখনি নিরা বলে। ঠিক আছে আমি আমার রুমে চলে যাচ্ছি যদি খালামনি জিজ্ঞেস করে তাহলে বলবো আপনার ছেলে আমাকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে।
সৌরভ:- আম্মার কাছে এমন ভাবে নিজেকে আর কত ভালো রাখবে! একদিন তোমার সব ভালো মানুষি চেহারাটার পেছনে লুকিয়ে থাকা আসল চেহারাটা বের হবে সেদিন কি হবে একবার ভেবে দেখছো?
নিরা:- সৌরভ তুমি কি বলতে চাচ্ছো আমার কি চেহারা তুমি বের করবে কি বলতে চাচ্ছো?
সৌরভ:- আমি প্রমান ছাড়া কোনো কথা বলি না আর শুনো আমি আগে ফ্রেশ হতে যাবো এরপর তুমি যাবে যদি তোমার বেশি তাঁড়া থাকে তাহলে অন্য বাথরুমে যাও বলেই আমি ওয়াশরুমে চলে গেছি নিরা রাগ করে বসে আছে আর মনে মনে ভাবছে সৌরভ কি এমন দেখেছে যার কারণে একদিনে এতটা পরিবর্তন হয়ে গেছে ঠিক তখনি রুবা এসে বলে।
রুবা:- আমি কি আসতে পারি?
নিরা:- আরে রুবা তুই আয় তোর আবার অনুমতি নিতে হবে কেনো? (তবে নিরাকে আম্মা ছাড়া আরও একজন ভালোবাসে সে হচ্ছে আমার বোন রুবা)
রুবা:- শুনো আপু আমি এখন থেকে তোমাকে ভাবি বলেই ডাকবো।
নিরা:- কেনো?
রুবা:- কারণ ভাবি বলে ডাকলে তুমি আমাকে কোনো রকম কাজের অর্ডার করতে পারবে না কারণ স্বামীর ছোট বোন বলে কথা কখন কোন কথা মনে করে নিবে পরে আবার স্বামীর কাছে এনিয়ে বিনিয়ে লাগাবে।
নিরা:- ওরে আমার দুষ্টুরে বলে রুবার কান টেনে ধরেছে।
রুবা:- আপু সরি ভুল হয়েছে আমি জীবনেও আর এমন দুষ্টমি করবো না তখনি সৌরভ ফ্রেশ হয়ে বেরিয়েছে আর ওরা দুজনে দুষ্টুমি বন্ধ করে দিয়ে চুপচাপ হয়ে গেছে।
সৌরভ:- অফিস থেকে কখন এসেছো যাও গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নাও। আমি তোমাকে বলেছি তুমি আগে যাও কিন্তু না আমাকেই আগে যেতে বলেছো এখন গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নাও।
রুবা:- বাব্বাহ একদিনে এত কেয়ার ভাই তুই কবে এমন ছিলি?
সৌরভ:- এই তুই এখানে কেনো এসেছিস যা গিয়ে পড়তে বস এবার যদি কোনো রকম রেজাল্ট খারাপ হয়ে সোজা বিয়ে দিয়ে দিবো।
রুবা:- তোমার থেকে আমার রেজাল্ট অনেক ভালো বলেই এক দৌড়ে চলে গেছে আর নিরা ফ্রেশ হতে গেছে। আমি খাটের উপরে শুয়ে বই পড়ছি কিছুকক্ষণ পর নিরা এসেছে ভিজা চুল আর ম্যারোন কালার শাড়ি সাথে মেচিং ব্লাউজ আর এক মুট চুড়ি আমি তাকিয়ে আছি নিরার দিকে নিরা মুচকি হেসে ঠিক আমার পাশেই বসেছে।
সৌরভ:- এই তুমি এত সুন্দর করে সেজেছো কেনো?
নিরা:- তাতে তোমার কি? আমার ইচ্ছে হয়ছে আমি সেজেছি যদি তোমার দেখতে ইচ্ছে না হয় দেখবে না।
সৌরভ:- এমন ভাবে সেজে গুজে সামনে আসলে সবারিই দেখতে ইচ্ছে করবে। আজকের পর আর কোনো সময় এমন ভাবে সেজে গুজে আমার সামনে আসবে না বলে দিলাম।

নিরা:- তোমার দেখতে হলে দেখো আমি কি বারণ করেছি যে দেখো না তখনি রুবা বাহির থেকে ডাক দিয়ে বলে।
রুবা:- আপু তোমাদের আম্মা ডাকছে খেতে আসতে। তখনি নিরা উটে চলে গেছে সৌরভ বইটা রেখে নিরার সাথে গেছে। খাবার টেবিলে আজ প্রথম নিরার সাথে আমি বসেছি সেই ছোট বেলা একবার বসেছিলাম তখন আমার বদ হজম হয়েছে যার কারণে নিরার সাথে আমি জীবনেও খেতে বসিনি। আজ নিরা আমার পাশেই বসেছে আম্মা অনেক খুশি তবে আমি জানি নিরার সম্পর্কে সবকিছু জানলে আম্মা অনেক কষ্ট পাবে।
আব্বা:- তা সৌরভ আজ তোর কেমন কাটলো সারাদিন? আমি কিছু বলবো তার আগেই আম্মা বলে।
আম্মা:- আজ সারাদিন অনেক ভালো গেছে তাইনা সৌরভ? তুমি ওর দিকে তাকিয়ে দেখো একদিনে কেমন সুন্দর হয়ে গেছে। আমি আর কিছু বলিনি কারণ যাই বলি আম্মা নিরার পক্ষ নিয়ে কথা বলবে। খানা শেষ করে রুমে এসে খাটের উপরে শুয়ে পড়েছি নিরা বালিশ নিয়ে নিচে শুতে যাবে তখনি আমি বলি।
সৌরভ:- আমি জানি কেনো তুমি আমার কাছ থেকে দূরে থাকো! আচ্ছা এমন অভিনয় কার কাছ থেকে তুমি শিখেছো? নিরা হাতের বালিশটা রেখে বলে।

নিরা:- সৌরভ তুমি আমাকে বিয়ে করেছো এর মানে এই না যা তা আমার নামে বলবে আর আমি মুখ বুঝে সহ্য করবো?
সৌরভ:- যেটা সত্যি সেইটা বলি আর শুনো এত চেচিয়ে কথা বলবে না আম্মা শুনতে পেলে কষ্ট পাবে। তুমি কি করছো সেটা তুমি জানো আমি কেনো তোমাকে বলতে যাবো?
নিরা:- আমি তোমার আর তোমার পরিবারের সাথে কোনো রকম অভিনয় করছি না বরং তোমরা তখনি নিরা চুপ করে গেছে আর কোনো কথা না বলে চুপ চাপ হয়ে গেছে তখনি আমি শুয়া থেকে উঠে ওর কাছে গেছি।
সৌরভ:- থামলে কেনো বলো আমি আর আমার পরিবার তোমার সাথে কি করেছি? নিরা কিছু বলছে না এক পা দুই পা করে পেছনে যাচ্ছে আর সৌরভ নিরার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
নিরা:- সৌরভ তুমি এমন ভাবে আমার দিকে এগিয়ে আসছো কেনো? দেখো আমার ভালো লাগছে না আমি ঘুমাবো দেখি সরো তখনি সৌরভ নিরাকে ধাক্কা দিয়ে দেওয়ালের সাথে আটকিয়ে ওর দুইটা হাত চেপে ধরে।
সৌরভ:- বল আমার পরিবার তোর সাথে কি করেছে? তোর মত অপাইয়া অলক্ষী মেয়ে জীবনে কম দেখেছি।
নিরা:- সৌরভ আমি আগেও বলেছি আর এখনো বলি আমার জন্ম নিয়ে কোনো রকম খারাপ কথা বলবে না তখনি সৌরভ আরও শক্ত করে নিরার হাত গুলি চেপে ধরে বলে।
সৌরভ:- বলবো একশো বার বলবো হাজার বার বলবো তুই অপাইয়া অলক্ষী তোর জন্য আমার জীবনটা শেষ হয়ে গেছে তখনি চেয়ে দেখি নিরা কান্না করছে আমি মুচকে হেসে বলি। শুরু হয়ে গেছে তোর ড্রামা আর একটা কথা ভালো করে বলি শুনে রাখ তুই যা করতে চাচ্ছিস তা কোনো দিন করতে পারবি না এসব কোনো কথা যদি আম্মার কাছে বলিস তাহলে তোর খবর আছে বলে দিলাম। নিরার চোখ দিয়ে অঝড়ে অশ্রু পড়ছে তখন আমি হাতটা ছেড়ে দেয় আর নিরা সাথে সাথে দৌড়ে ওয়াশরুমে চলে যায়। আমি রাগ করে এসে শুয়ে পড়েছি তখনি চেয়ে দেখি আমার হাতে র’ক্ত আমি ধরে দেখি আলগা র’ক্ত তখনি মনে পড়ছে নিরার হাতের চুড়ি ভেংগে গেছে আর ওর হাতের র’ক্ত’টা আমার হাতে লেগে আছে। আমি হাতের র’ক্ত’টা মুছে শুয়ে আছি কিছুকক্ষণ পর দেখি নিরা এসেছে হাতে একটা কাপড় দিয়ে বাঁধা আমি দেখেও না দেখার মত করে আছি তখন নিরা বালিশ নিয়ে নিচে শুয়ে পড়েছে আর আমি বলি আজকের কোনো কথা যদি আম্মাকে বলো তাহলে তোমার জন্যই খারাপ হবে। আর তোমার হাতটা যে কে’টে গেছে সেটা আম্মা জিজ্ঞেস করলে বলবে চুড়ি পড়তে গিয়ে ভেংগে গেছে পড়ে আমি নিজে বেন্ডিজ করে দিয়েছি।

নিরা:- ছিঃ তুমি এমন ভাবতেও আমার ঘৃণা হচ্ছে!
সৌরভ:- আমাকে তো ঘৃণা করবে কারন তখন আমি চুপ করে গেছি আর নিরা বলে।
নিরা:- কারণটা কি বলো কি হলো?
সৌরভ:- সেটা সময় বা প্রয়োজন হলে বলবো এখন আর কোনো কথা বলবে না বলেই আমি ঘুমিয়ে পড়েছি। নিরা নিজে নিজে কিছু কথা বলে সেও ঘুমিয়ে গেছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে রেডি হতে যাবো তখনি মনে পড়ছে আমার চাকরি তো চলে গেছে এত সকালে উঠে কি করবো? জীবনে এমন অপাইয়া মেয়ে কমই দেখছি বলে শুয়ে পড়েছি।

ঐদিকে নিরা ফ্রেশ হয়ে খাবার টেবিলে গেছে তখনি আম্মা বলে।
আম্মা:- নিরা সৌরভ কোথায় ওকে দেখছি না যে?
নিরা:- দেখলাম তো শুয়ে আছে।
আম্মা:- শুয়ে আছে মানে? তুই ওকে ডাক দেস নাই? ওর তো অফিস আছে আবার ভার্সিটিতে ক্লাস করতে যাবে। যা গিয়ে ওকে ডেকে নিয়ে আয়।
নিরা:- হ্যা খালামনি যাচ্ছি বলে নিরা গিয়ে সৌরভকে ডাক দিতেই সৌরভ টান দিয়ে নিরাকে বুকের মাঝে নিয়ে গেছে। সৌরভের এমন কান্ডে নিরা অবাক হয়ে গেছে তখনি সৌরভ বলতেছে আমার জান কলিজা টুকরা বলে নিরাকে আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছে। তখনি নিরা সৌরভের কানে চিমটি দিয়েছে আর সৌরভ চোখ মেলে দেখে নিরা ওর বুকের উপর তখনি লাফ দিয়ে উঠে বলে।

সৌরভ:- এই তুমি আমার বুকের উপরে এসেছো কখন?
নিরা:- তুমি নিজেই তো আমাকে টেনে নিয়েছো?
সৌরভ:- মিথ্যা বলবে না আমি ঘুমিয়ে ছিলাম তখনি আমার মনে পড়ছে আমি স্বপ্ন দেখছিলাম আর সেই সময় নিরাকে বুকে নিয়ে নেয়।
নিরা:- তোমাকে খালামনি ডাকছে।
সৌরভ:- তুমি যাও আমি আসতেছি। নিরা চলে গেছে আমি কিছুকক্ষণ পর খাবার টেবিলের সামনে গেছি।
আম্মা:- সৌরভ তুই এখনো পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছিস কেনো? তোর আজ অফিস ভার্সিটিতে যেতে হবে না।
সৌরভ:- আমার চাকরি চলে গেছে এই নাও সেই চিঠি আর আজ মনটা খারাপ ভার্সিটিতে যাবো না।
আব্বা:- কি তোর চাকরিটা চলে গেছে?
সৌরভ:- হ্যা ওনারা বিনা নুটিশে আমাকে বের করে দিয়েছে ওনাদের নাকী পার্ট টাইম জবের জন্য লোক দরকার নেই। তখনি পিছন থেকে একজন বলে উঠে।
নিরা যে অপাইয়া তার প্রমান এবার আপনারা এবার পেয়েছেন তো? নাকী এর থেকে বড় কোনো ক্ষতি হলে বিশ্বাস করবেন? তখনি আব্বা আম্মাকে বলে বসে তোমাকে আমি বারণ করেছি তাও তুমি সৌরভের সাথে নিরার বিয়েটা দিয়েছো এবার বুঝো।

চলবে…