দূরত্ব পর্ব-৭+৮

0
162

#দূরত্ব
#Part :7+8
#writer:Maliha Islam Tafsi (jeba)

আচমকা রোহান বলে উঠল প্রীতি সরি,,,,ভাবি আমি আপনাকে কিছু দিতে চাই।

সবাই রোহান এর কথায় সবাই রোহান এর দিকে চোখ বড় বড় করে তাকালো।

কি হল সবাই এইভাবে তাকিয়ে আছো কেন সবাই? আমি কি আমার ভাবি কে দেবর হিসেবে কিছু দিতে পারি না?

সবাই হেসে দিল আর রাহাত হেসে বলল তা তো দিতেই পারিস। আমরা সবাই দেখতে চাই তুই তোর ভাবির জন্য কি আনলি?

প্রীতি সেই কখন থেকে মাথা নিচু করে বসে আছে কারণ সে রোহান এর দিকে তাকালে যে নিজের চোখের পানি আটকে রাখতে পারবে না। খুব কষ্ট হচ্ছে তার রোহান কি বুঝে না?মনে মনে বলল প্রীতি।

রোহান দুইটা খুব সুন্দর বক্স বের করল। একটা বক্স খুলে একটা অনেক সুন্দর একটা গোল্ড এর আন্টি বের করল আর আরেকটা বক্স খুলে একটা গোল্ড এর পায়েল বের করল।
সবাই এগুলো দেখে তাকিয়ে রইল অবাক হয়ে । রাহাত প্রীতির কাঁধে হাত রেখে বলল দেখো তোমার দেবর কতো সুন্দর গিফট এনেছে ওর ভাবির জন্য ।

রাহাত এর কথায় প্রীতি রোহানের হাতের দিকে তাকিয়ে চমকে গেল আর মনে মনে ভাবতে লাগল এগুলো তো সেই,,,,,,

প্রীতি এই প্রীতি কি ভাবছো? (রাহাত এর মা)
-না কিছু না মা।

ভাইয়া এই নে বলে রোহান আন্টি আর পায়েল টা রাহাত এর দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল প্রীতি কে এইগুলো পরিয়ে দিতে। রাহাত শুধু আন্টি টা নিল রোহান এর হাত থেকে আর প্রীতি কে আন্টি টা পরিয়ে দিল। সবাই খুশিতে করতালি দিল। মনে হচ্ছিল যেন রাহাত আর প্রীতির এনগেইজমেন্ট হচ্ছে ।

রোহান পায়েল টা ও রাহাত এর হাতে দিতে যাবে তখন রাহাত উঠে বলল পায়েল টা তুই পরিয়ে দে তোর ভাবি কে।

রাহাত এর কথায় খুব খুশি হলো রোহান আর প্রীতি এক পলক রোহান এর দিকে তাকিয়ে আবার চোখ নামিয়ে নিল।
রোহান প্রীতি কে পায়েল পরিয়ে দিতে যাবে তখন দেখল প্রীতির পায়ে ব্যান্ডেজ করা । বা পায়ে পায়েল টা পরিয়ে দিল রোহান আর রোহান এর হাতের স্পর্শে বার বার কেঁপে উঠছিল প্রীতির ক্ষতবিক্ষত হৃদয় টা।

কেন রোহান এমন করলে?খুব কি ক্ষতি হতো আজকে আমি তোমার বউ হিসেবে এই বাড়িতে থাকলে? ( মনে মনে বলল প্রীতি)

প্রীতি আমি জানি তুমি হয়তো রাগে নিজেকে আঘাত করেছো। আগে তুমি একটু ব্যাথা পেলে আমার অনেক কষ্ট হতো আর এখন তোমাকেই আমি জীবনের সবচেয়ে বড় কষ্ট টা দিচ্ছি । খুব কষ্ট হচ্ছে তোমার আমি জানি তাই চোখ তুলে আমার দিকে তাকাতে পারছিলে না কিন্তু আমি সবকিছু ঠিক করে দিব সবকিছু ।(মনে মনে বলল রোহান )
.
.
.
.
.
রুমে এসে প্রীতি আন্টি আর পায়েল টা তে হাত বুলিয়ে দেখতে লাগল আর পুরোনো স্মৃতি গুলো মনে করে হাসতে লাগল,,,,,,,,,



গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন প্রীতি। রোহান আধা ঘন্টা ধরে কল করেই যাচ্ছে সেদিকে কোনো খেয়াল নেই ওর। হঠাৎ ঘুম থেকে লাফ দিয়ে উঠে মোবাইল টা হাতে নিয়ে দেখল রোহান ষাট টা কল দিয়েছে।

হায় আল্লাহ….এতো মরার ঘুম ঘুমায় আমি???রোহান আজকে মেরেই ফেলবে……(প্রীতি)

তাড়াহুড়ো করে রেডি হয়ে বের হয়ে গেল প্রীতি খালি মুখে। অবশ্যইএইটা নাস্তার সময় না কারণ এখন দিনের বারো টা বাজে। একটা কালো লং জামার সাথে জিন্স পড়েছে প্রীতি আর একটা লাল ওড়না গলায় পেঁচিয়ে রেখেছে।
প্রীতি তাড়াতাড়ি করে গিয়ে পৌছালো শালবন বিহার।

প্রীতি কে দেখে রোহান মনে মনে বলতে লাগল,,ওফফফসসস,,,,কালো পরী টা চলে আসছে। এতক্ষণ অপেক্ষা করিয়েছে আমাকে আজকে একটা উচিত শিক্ষা দিব ওকে।

প্রীতি রোহান এর কাছে এসে বলতে লাগল’
-সরি সরি,,,,,তুমি তো জানোই আমি একটু ঘুমায় বেশি। আর এমন হবে না কালকে থেকে ভোর বেলা উঠে যাবো প্লিজ এবার এর মতো ক্ষমা করে দেও?

– কানে ধরো।(রাগি ভাব নিয়ে বলল রোহান )
-রোহান এইখানে অনেক মানুষ আছে(আমতা আমতা করে বলল প্রীতি)
-শাস্তি তো তোমাকে পেতেই হবে।
-তাহলে অন্য শাস্তি দাও এইটা ছাড়া প্লিজ ।
-আমার কপালে গালে কিস করতে হবে।
-রো….হান,,,,,,,
-না হলে কানে ধরো।
– প্লিজ,,,
-নো এক্সকিউজ, ,,,

মানুষের কাছ থেকে একটু দূরে এসে একটা নিরব জায়গায় দাঁড়াল প্রীতি আর রোহান।
– নাও শুরু হয়ে যাও।
-কি?????
-কিস,,,, (প্রীতির কানের কাছে মুখ নিয়ে দুষ্ট হাসি দিয়ে বলল রোহান)
-কানে ধরি?
-চলো,,,,
-কোথায়?
-মানুষের ভিড়ে। কানে ধরতে হলে ঐখানেই ধরতে হবে।
-নাআআআ,,,,,,
-তাহলে কি?
-আচ্ছা দাঁড়াও ।

রোহান পকেটে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে রইল আর প্রীতি রোহান এর গালে কিস করল।

-কপালে কে করবে?
-কিভাবে করবো? তুই যেই লম্বু আমি তোমার কপালে কিসকরবো কিভাবে?

রোহান প্রীতির দিকে ঝুকে দাঁড়াল আর প্রীতি খুব আলতো ভাবে নিজের ঠোঁটের স্পর্শ এঁকে দিল রোহানের কপালে ।

রোহান মুচকি হেসে বলল- প্রতিদিন ঘুম থেকে লেইট ওঠলে এমন শাস্তি দিব ।
-সয়তান ছেলে ইচ্ছে করে এমন করেছো জানি তো। আমি আর লেইট ওঠব না।(কাঁদো কাঁদো মুখ করে বলল প্রীতি)

-চোখ বন্ধ করো।
-কেন?
-করতে বলছি করো?😠

প্রীতি চোখ বন্ধকরে দাঁড়িয়ে রইল। কিছুক্ষণ পর রোহান এর কথায় চোখ খুলে দেখল রোহান হাঁটু ঘেরে বসে আছে প্রীতির সামনে আন্টি আর পায়েল নিয়ে ।

– আই লাভ ইউ নুসাইফা আহমেদ প্রীতি।
-আই লাভ ইউ টু রোহান শেখ।

কথাটা বলে প্রীতি ও রোহানের মুখোমুখি বসে রোহান কে জরিয়ে ধরল।রোহান ও খুব শক্ত করে জরিয়ে ধরল প্রীতি কে।

খুব ভালোবাসি তোমায় (রোহান)
আমিও (প্রীতি )

আচ্ছা আন্টি আর পায়েল টা পরিয়ে দেই (রোহান )
-না,,,,
-কেন তোমার পছন্দ হয় নি প্রীতি?
– অনেক অনেক অনেক পছন্দহয়েছে।
-তাহলে?
-রোহান আমি চাই এইগুলো আমাদের বিয়ের প্রথম রাতে তুমি আমাকে পরিয়ে দাও। তাই আমার এই জিনিস গুলো আমানত রইল তোমার কাছে বাসর রাতে আমাকে পরিয়ে দিও।
-ওকে,,,,জান । আমি খুব যত্ন করে রেখে দিবো এইগুলো ।

এতো সুন্দর মুহূর্তের স্মৃতি গুলো মনে করে অজান্তেই হাসতে লাগল প্রীতি। হঠাৎ কাঁধে কারো স্পর্শে হুঁশ ফিরল তার,,,,,,,,,

#দূরত্ব
#part:8
#writer:Maliha Islam Tafsi (Jeba)

হঠাৎ কাঁধে কারো স্পর্শে হুঁশ ফিরল তার তাকিয়ে দেখল। নিহা কে দেখে প্রীতি খুব শক্ত করে জরিয়ে ধরল ওকে।



কেমন আছিস প্রীতি?
-ভালো। তুই কেমন আছিস?
-আমার কথা বাদ দে। সত্যিই তুই ভালো আছিস?
-দেখতেই তো পাচ্ছিস। খুব ভালো আছি আমি। তুই একা আসলি সাথে আর কেউ আসে নি?
-না রে।।।।তোকে দেখতে খুব ইচ্ছে করছিল তাই চলে আসলাম ।
-খুব ভালো হয়েছে।

বান্ধবী কে পেয়ে দেখছি মুখে অনেক হাসি ফুটছে।কালকে থেকে আজকে অব্দি তো একটু ও হাসতে দেখি নি আমার মিষ্টি ভাবি টা কে।

রিহার কথায় আরো জোরে হেসে উঠল নিহা আর প্রীতি। রিহা হাতের নাস্তার প্লেট টা টেবিলে রেখে প্রীতির পাশে বসল।
-তুমি সবসময় এইভাবে হেসো ভাবি। হাসলে তোমাকে খুব মিষ্টি লাগে।
-তাই নাকি?
-হুম,,,খুব।
-আমার তো মনে হচ্ছে তোমার এই কিউট বান্ধবী টা তোমার হাসির কারণ।
-ঠিক বলেছ । ও আমার কলিজার টুকরা। আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড ।
-আচ্ছা ভাবি তোমরা কথা বলো । আমি আসছি।
-ঠিক আছে।

প্রীতির হাত ধরে বলল নিহা একটা সত্যি কথা বলবি?
-তোর কাছে কখনও মিথ্যা বলেছি?
-তোর পায়ে ব্যাথা পেলি কিভাবে?
প্রীতি নিহা কে কালকে রাতের সব কথা খুলে বলল।

-প্রীতি এইভাবে আর কতদিন?
-জানিনা রে। আমার খুব কষ্ট হচ্ছে খুব।
-আমি বুঝি রে। আচ্ছা একবার রোহান ভাইয়া কে জিজ্ঞেস করে দেখবি ওনি কেন এমন করল?
-অনেক বার জিজ্ঞেস করেছি রে। ভালোবাসার কসম দিয়ে ও বাধ্য করল আমাকে ওর ভাইয়ের বউ হতে কিন্তু ও হইতো ভুলে গেছে প্রীতি শুধু একজনকেই মনে প্রাণে ভালোবেসেছে ।

-রাহাত ভাই কিন্তু খুব ভালো মানুষ প্রীতি। ওনাকে এইভাবে কষ্ট দিস না। তুই ভুলে যা রোহান কে আর রাহাত ভাই কে নিয়ে সুখে থাক।

প্রীতি ঝলঝল চোখে নিহার দিকে তাকাল।
-তুই এমন বলছিস নিহা?
-কি আর বলব আমি?তুই নিজেই জানিস স্বামী স্ত্রীর বন্ধন টা পবিত্র বন্ধন । রোহান যদি তোকে ভালোবাসত তাহলে কেন নিজের ভালোবাসার মানুষ কে অন্য কারো হাতে তুলে দিল?
-ও নিশ্চয়ই রাহাত এর জন্য এমন করেছে। রাহাত আমাকে ভালোবাসে তাই হয়তো ও ওর ভাই এর জন্য ওর ভালোবাসার কুরবানি দিয়েছে।
-না প্রীতি। রাহাত রোহান কে তোর চেয়েও বেশি ভালোবাসে। রোহান যদি একবার বলতো তাহলে কখনও রাহাত তোকে বিয়ে করতনা। সত্যি কথা হচ্ছে রোহান তোর সাথে ভালোবাসার অভিনয় করেছে। ও তো অন্য কাউকে ভালোবাসে যার সাথে ওর বিয়ে ঠিক হয়ে আছে।
-কি বলছিস তুই এইসব?আর তুই কি করে জানলি?
-আমি সত্যি বলছি। কাল তোর বউ ভাত এ রোহান এর বিয়ের এনাউন্সমেন্ট করা হবে। উপরে তোর কাছে আসার সময় আমি নিজের কানে শুনেছি সবাই মিলে ডিসকাস করছিল।
-আমি বিশ্বাস করি না। এই দেখ ও আমাকে আজকে আমাকে এইগুলো উপহার দিয়েছে যেইগুলো আমি ওর কাছে আমানত রেখেছিলাম আর বলেছিলাম বিয়ের পরে আমাকে পরিয়ে দিতে।
-কি বলছিস তুই? তাহলে রোহান এর বিয়ে তোর সাথে সম্পর্ক থাকাকালীন ঠিক হয়েছে আর তোকে ভালোবাসলে রোহান ঐ সময় বিয়েতে রাজি হলো কেন?
-কিছু বুঝতে পারছি না রে। আমার মন বলছে রোহান আমাকে ভালোবাসে।
-এক কাজ কর তুই রোহান এর সাথে কথা বলে দেখ আর প্লিজ তারপর যেই সিদ্ধান্ত নিবি বুঝে শুনে নিস।মনে রাখিস রাহাত ভাইয়া তোর স্বামী আর তোকে খুব ভালোবাসে।আজ আমি আসছি কাল দেখা হবে।
-ওকে সাবধানে যাস।।।




আসবো???
কারো কথায় চমকে গিয়ে রোহান তাকিয়ে দেখল প্রীতি।নিজের কষ্ট আর চোখের জল লুকিয়ে প্রীতি বলল- আসুন ভাবী।
-আমি তোমার কাছে ভাবী ডাক শুনতে আসি নি রোহান।(রেগে গিয়ে )
-তাহলে কি শুনতে আসছেন?
-আপনি করে বলা বন্ধ কর।
-আপনি আমার ভাবী। আপনার অসম্মান করতে পারি না আমি।
-রোহান কেন এমন করছো আমার সাথে?
-আমি কি করলাম?
-কেন আমাকে তোমার ভাইয়ের কাছে বিয়ে বসতে বাধ্য করলে রোহান?
-যা করছি তোমার ভালোর জন্যই করেছি।
আরেকটা কথা তুমি আমার ভাবী এখন থেকে সো ভাবীর জায়গায় থাকো। আমি তোমাকে ভালোবাসি না। আগেই বলেছি আমি টাইম পাস করেছি তোমার সাথে।এখন যাও আমার রুম থেকে কেউ দেখলে খারাপ ভাববে।
.
.
.প্রীতি রোহান এর সামনে গিয়ে মুখোমুখি হয়ে বলল তাহলে এইগুলো কি ছিল আজকে?আমি তো তোমাকে তিন বছর আগে বলেছিলাম যে এইগুলো তুমি বিয়ের পর পরিয়ে দিও আমাকে আর তুমি তো আমার কথাটা রাখলে রোহান । আমি জানি তুমি আমাকে খুব ভালোবাসো। প্লিজ রোহান আমার খুব কষ্ট হচ্ছে আমি পারছি না রাহাত কে স্বামী হিসেবে মেনে নিতে। আমি কখনও পারব না ওনাকে স্বামীর অধিকার দিতে। প্লিজ চলো আমরা দূরে কোথায় চলে যায় আর রাহাত কে ডিভোর্স দিয়ে দিবো শুধূ শুধু ওনি কষ্ট পাচ্ছে । প্লিজ চলো।
.
.
.

রোহান প্রীতি কে দেয়ালের সাথে চেপে ধরল আর রাগি ভাবনিয়ে বলতে লাগল-
তোর সাহস হলো কি করে আমার ভাইকে ছাড়ার কথা বলছিস। আর একটা কথা কান খুলে শুনে রাখ আমি শুধু টাইম করেছি তোর সাথে। তোর মতো মেয়েদের সাথে শুধু রোহান শেখ টাইম পাস করে। আমার বউ হওয়ার যোগ্য আর আমার ভালোবাসা কে খুব শিগগিরই দেখবি তুই।আরেকটা কথা আন্টি আর পায়েল টা আমি তোকে দিয়ে দিয়েছি কারণ রোহান শেখ কাউকে দেওয়া জিনিস কখনও ফেরত নেই না।

কথা গুলো বলে টেনে রুম থেকে প্রীতি কে বের করে দিয়ে দরজা বন্ধ করে দিল রোহান । প্রীতির হাত দুটো ফুলে গেছে । অনেক জোরে চেপে ধরেছে রোহান।কিন্তু তার সেদিকে খেয়াল নেই তার মাথায় শুধু একটা কথায় ঘুরছে যে আমার বউ হওয়ার যোগ্য আমার ভালোবাসা কে খুব শিগগিরই দেখবি।তাহলে কি নিহার বলা কথা গুলো সত্যি ছিল? আমার মন নিয়ে খেলা করলা তুমি রোহান শেখ?আজ থেকে ঘৃণা করি আমি তোমায়….ঘৃণা করি।
কথাগুলো বলে রুমে এসে শুয়ে বালিশে মুখ চেপে কান্না করতে লাগল প্রীতি।



অপরদিকে দরজার পাশে বসে মুখে হাত চেপে কান্না করছে রোহান । ছেলেদের নাকি কাঁদতে নেই। তাই সে মুখে হাত চেপে কান্না করছে কেউ যেন না শুনে।
আমায় তুমি আজকের থেকে ঘৃণা করবে প্রীতি। তুমি যেন আমাকে ঘৃণা করো তার জন্যইতো তোমাকে এতো কষ্ট দিলাম কিন্তু বিশ্বাস করো খুব ভালোবাসি তোমায় আর খুব কষ্ট হচ্ছে তোমাকে এইভাবে কষ্ট দিয়ে । আমি তো তোমার হাতে ও ব্যাথা দিলাম আমি জানি আমার কথা গুলো মনে করে অনেক কান্না করছো তুমি । কিন্তু আমায় ক্ষমা করো আজকের থেকে আরও দ্বিগুণ কষ্ট পেতে হবে কাল তোমাকে তাহলে তো তুমি ভালোবাসার বদলে শুধু ঘৃণা করবে আমাকে।( মনে মনে বলল রোহান)



হ্যালো পিয়াশ,,,,
-কোথায় থাকেন আপনি রিহা ম্যাম?
-আমি তোমার ম্যাম?
-হু,,,,
-যাওকোনো কথা নেই তোমার সাথে।
-আচ্ছা বাবু শোনো।
-আমি বাবু না।
-আচ্ছা ভুঁড়ি
-😠
-তোমার ভাইয়াকে বলেছ আমাদের কথা?
-আমি অনার্স ফাইনাল এক্সাম দিয়ে নেই তারপর বলব।
-আমি এতো কিছু শুনতে চাই না। আমার হাতে বেশি সময় নেই কানাডা যাওয়ার ডেট চলে আসছে আর মা ও চাইছে তুমি তাড়াতাড়ি এই বাড়ির বউ হয়ে আসো। আর সবে মাএ তুমি অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে বিয়ের পরে তো পরতে পারবা।
-আচ্ছা ভাইয়া কে বলতে ভয় লাগে ভাবি কে বলে দেখবো?
-ওকে।
-ওকে,,,বাই আর হে কালকে আসছো তো?
-আসবো আফটার অল আমার ফ্রেন্ড এর রিসেপশান পার্টি।
-😊😊

চলবে,,,,,,,