নবপ্রণয় পর্ব-০৩

0
137

#নবপ্রণয় (৩)
#হৃদিতা_রহমান

রুহি আড় চোখে আবিদের দিকে তাকিয়ে দেখলো বেচারা কেমন যেনো লজ্জা লজ্জা মুখে দাড়িয়ে আছে। আবিদের চেহারা দেখে বেশ হাসি পেলো তার। ঠোঁট চেপে হাসি আটকালো। আবিদকে বেশ পছন্দ হয়েছে রুহির। রুহি মনে মনে বললো, ” লজ্জাবতী ছেলে”

রুহির সাথে আবিদের দু একটা কথা হলেও আবির যেনো কথার ঝুড়ি খুলে বসলো। যতক্ষণ ছাদে ছিলো সবটা সময় আবিরই কথা বললো এক নাগারে। ছেলে মেয়ের দুজনেরই দুজনকে পছন্দ হলো। বড়রা বিয়ের ব্যপারে আলাপ আলোচনা করতে লাগলো।

আবিদের ছুটি আছে আর মাত্র কয়দিন। হুট করে তো আর বিয়ে করা যায় না। কথা হলো আগামী ছুটিতে আবিদ বাড়ি আসলে বিয়ে হবে। বিয়ের সমস্ত ব্যবস্থ আগেই সেরে রাখবে দুই পরিবার। আবিদ আসলেই বিয়ে। রুহিদের বাড়িতে দুপুরের খাবার খেয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিলো আবিররা।

আবিদ ছুটি পেলো চার মাস পর।
আবিদ আসার পর পরই বিয়ের আয়েজন করা হলো। বিয়ের কার্ড ছাপানো থেকে শুরু করে সমস্ত আত্মীয়-স্বজনকে দাওয়াত দেওয়াও হয়ে গেলো দুই দিনেই। এবার শুধু বিয়ের অপেক্ষা।

গত কয় মাসে আবিদের সাথে রুহির ফোনে কথা হয়েছে নিয়মিত। যার দারুন,দুজনের মাঝে সম্পর্কটা আগের চেয়ে অনেকটা সহজ হয়েছে। রুহি শুধু আবিদ না,আবির, হবু শ্বশুড়-শ্বাশুড়ী সবার সাথেই কথা বলতো।

আবিদ আবিরে রুমে এসে বললো,
‘ এই আবির, চল ঘুরে আসি।’

‘ কোথায় যাবি?’

‘:এই আসে পাশেই কোথাও।’

‘ ভাবির সাথে দেখা করতে? কয়দিন পরেই তো বিয়ে, হুদাই দেখা করে তৃষ্ণা বারিয়ে লভ আছে?’

‘ এত বেশি বুঝিস কেনো। তোকে আমার সাথে যেতে বলেছি তুই যাবি।’

‘ আচ্ছা চল।’

রুহি অপেক্ষা করছিলো রেস্টুরেন্টে। আবির গাড়ি থেকে নামতেই আবিদ বললো,
‘ তুই যেয়ে বস, আমি গাড়ি রেখে আসছি।’

আবির ভিতরে আসতেই রুহির সাথে চোখাচোখি হলো। রুহি এশারা করে ডাকলো। আবির যেয়ে রুহির সামনে চেয়ারে বসতেই রুহি বললো,
‘ তারপর, কি খবর ছোট বর? আজকাল তো তুমি কোনো খবরই নাও না। আমি আরো ভাবলাম, তুমি সন্যাসী হয়ে গৃহ ত্যাগ করলে কি না।’

‘ গৃহে যদি গৃহনী না থাকে সেই গৃহ ত্যাগ করাই উত্তম।”

আবিরের কথায় হেসে ফেললো রুহি। আবিদ দূর থেকেই রুহির হাসি মুখ দেখলো। এক মুহূর্ত জন্য থমকে গেলো সে। মনে মনে বললো,’ মেয়েটার হাসি এত সুন্দর কেনো?’

আবিদ যেয়ে রুহির পাশের চেয়ারে বসে বললো,
‘ কি নিয়ে এত হাসাহাসি হচ্ছে?’

রুহি বরলো,
‘ আমার ছোট বরের ইমার্জেন্সি একটা বউ লাগবে। নাহলে তিনি সন্যাসী হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন।’

আবিদ আবিরে দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
‘ কিরে কথা সত্যি নাকি? সন্যাসী হলে তো বন জঙ্গলে চলে যেতে হবে। আমার আবার বন জঙ্গল ভালো করে চেনা আছে। বান্দরবানের দিকে একটা জঙ্গল বেছে নিতে পারিস।’

আবির রুহির দিকে তাকিয়ে বললো,
‘বউ,মানে ভাইয়ার বউ। এতদিন যখন যাইনি এখন তো গৃহ ছেড়ে কোথাও যাবার প্রশ্নই আসে না। হাজার হলেও একটা বউ আছে৷’

নিধারিত দিনো রুহি আর আবিদের বিয়ে হলো। বাড়ির বড় ছেলের বিয়ে, আয়েজনের কমতি রাখলেন না জামান সাহেব। মহা ধুম ধামের সহিত বিয়ের কাজ শেষ হলো। বাসর ঘরে রুহি বসে অপেক্ষা করছিলো আবিদের জন্য কিন্তু রুমে ঢুকলো আবির। রুহি চোখ তুলে আবিরকে দেখে জিজ্ঞেস করলো,
‘ ভাইয়ার হয়ে কি পক্সি দিকে আসছো?”

‘ তোমার কি কোনো সমস্যা আছে? আসলে ভাইয়া ব্যাটালিয়নে যতটা সাহসী, বাড়িতে ততটাই ভীতু।তারপর আবার ভাইয়ার অনেক দয়া,মায়া সে বিড়াল মারতে পারবে না। তাই কাজটা আমাকেই করতে হবে।’

রুহি আবিরের কান টেনে ধরে বললো,
‘ খুব ফাজলামো হচ্ছে না? যাও ভাইকে পাঠাও। তিনি কি দুনিয়ায় আছেন না মঙ্গল গ্রহে গেছেন?’

‘ এত তারা কিসের? রাত তো শবে বারোটা।’

‘ তাই না? ঠিক আছে আমি ঘুমালাম, তোমার ভাইকে বলো সে রুমে এসে যেনো মশারী টানিয়ে দেয়।’

রুহি লম্বা একটা হাই তুললো। আবির বললো,
‘ এই না,না। ভাইয়া আসছে। শুভ কামনা রইলো বড় বউ। তোমাদের বিবাহিত জিবন সুখের হোক। আগামী বছর এই দিনে কেউ একজন আমাকে চাচ্চু বলে ডাকুক। কি, ডাকবে তো?”

‘ কানটা এগিয়ে নিয়ে আসো। কানে কানে বলি।’

‘ দরকার নেই, আমি দুর থেকেই শুনতে পাই।কানে কানে কথাটা ভাইয়াকে বলো। শুভ রাত্রী।”

আবির রুম থেকে বেরিয়ে যাবার কয়েক মিনিট পরেই আবিদ রুমে আসলো।

বিয়ের পরের সপ্তাহে জামান সাহেব আবিদকে বললেন রুহিকে নিয়ে কোথাও থেকে ঘুরে আসতে। আবিদ আবিরের কাছে যানতে চাইলো,
” কোথাও যাওয়া যায় বলতো?’

আবির কয়টা দেশের নাম বলতেই আবিদ না করে দিলো৷ সে বললো,
‘ আমাদের দেশটা কি কম সুন্দর? তাহলে ঘুরার জন্য অন্য দেশে যেতে হবে কেনো? সিলেট,রাঙামাটি, বান্দরবান,কক্সবাজার কুয়াকাটা, এদিকে সুন্দরবন কত জায়গা তো আছে। এগুলোর মধ্যে যে কোনো একটার নাম বল। চার দিনের ট্যুর হবে। ছুটি বেশি নেই।”

‘ একেই বলে দেশপ্রেমিক। ভাইয়া তুই এক কাজ কর। ভাবিকে নিয়ে সুন্দরবনেই যা। তারপর দেশের ছেলে দেশের মাটিতে বিছানা পেতে শুয়ে গাছে গাছে বান্দরের নাচ দেখে চলে আয়৷’

দুই ভাইয়ের কথা শুনে পাশ থেকে রুহি ফিক করে হেসে ফেললো। হাসি থামিয়ে বললো,
‘ আচ্ছা, এক কাজ করি। আমরা কক্সবাজার যাই। সুসুদ্র আমার ভীষন ভালো লাগে।’

আবিদ বললো,
‘তাহলে তো হয়েই গেলো। আবির তুই বিমানের তিনটা টিকিট কেটে ফেল। অনেক সময় বেঁচে যাবে।’

‘তিনটা টিকিট কেনো? মানুষতো তোরা দুই জন ‘

‘ তুই আমাদের সাথে যাচ্ছিস।’

ভাইয়ের কথা শুনে অবাক হলো আবির। সে বললো,
‘ তোর মাথা কি গেছে নাকি? তোরা যাচ্ছিস হানিমুনে আমি তোদের সাথে যেয়ে কি করবো?”

‘ তুই হানিমুন বলতে কি বুঝাচ্ছিস?”

‘ গুগলে সার্চ করে দেখে নে।’

‘ এত কথা শুনতে চাই না, তোকে সাথে যেতে বলেছি তুই যাবি। আমাদের দুজনের পিক তোলার জন্য হলেও একটা ক্যামেরা গলায় ঝুলিয়ে তোর যাওয়া দরকার। তাছাড়া, তোকে ছাড়া কোথাও কখনো গেছি আমি?’

আবিরকে আমতা আমতা করতে দেখে রুহি বরলো,
‘ আচ্ছা, এক কাজ করলে কেমন হয়? আমরা বাবা মাকেও সাথে নিয়ে যাই। সবাই মিলে একটা ফ্যামিলি ট্যুর দিয়ে আসি।’ আবিদের দিকে তাকিয়ে বরলো,” তুমি আবার কবে ছুটি পাবে তার ঠিক আছে? এখন যখন একটা সুযোগ পাওয়া গেছে তখন সবাই মিলে ঘুরে আসি। যত বেশি মানুষ, তত বেশি মজা,আনন্দ, খুশি।”

আবির বললো,
‘এই জন্যই বাংলায় একটা প্রবাদ আছে। ‘বসতে দিলাম পাটিত,বসলো যেয়ে মাটিতে’ তোমাদের দুইজনের হয়েছে তাই। যেতে বললাম হানিমুনে আর তোমরা প্ল্যান করছো ফ্যামিলি ট্যুরের।বাহহ,চমৎকার।’

আবিদ আবিরকে বললো,
‘ তুই চুপ কর” তারপর রুহির দিকে তাকিয়ে বললো,” কিন্তু বাবা মা কি যেতে রাজি হবে?”

‘সেটা আমার উপর ছেড়ে দাও। ছোট বর যাওতো পাঁচটা টিকিট কেটে ফেলো। আর অফিসার সাহেব, আপনি যান ব্যাগ গুছিয়ে ফেলেন। আমি যাচ্ছি বাবা মাকে রাজি করাতে।’

আবির ভেবেছিলো বাবা রুহিকে একটা ধমক দিয়ে তারিয়ে দিবে। কিন্তু অবাক হলো সে, যখন দেখলো রুহির কথায় বাবা, মা কক্সবাজার যাবার জন্য রাজি হয়ে গেছে। বিকালেই সবাই চলে গেলো কক্সবাজার।

রুহি বাড়িতে আসার পর আবির খেয়াল করলো বাড়ির সব কিছুই কেমন যেনো ধীরে ধীরে পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। বাড়ির গেট থেকে শুরু করে ছাদ পযান্ত লাগলো পরিবর্তনের ছোয়া। জায়গা বদল হলো আসবাবপত্রের। রুম গুলো সাজানো হলো নতুন করে, নতুন জিনিসপত্র দিয়ে। এই পরিবর্তনের বাতাস শুধু জর বস্তুর গায়েই লাগলো না লাগলো মানুষের গায়েও৷ বিশেষ করে জামান সাহেব। আবির ছোটবেলা থেকেই বাবাকে দেখে আসছে রাগী আর গম্ভীর প্রকৃতির। বাবা কম কথার মানুষ। কিন্তু, যে দুই একটা কথা তার মুখ দিয়ে বের হতো তা মানুষের কলিজা কাপিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। আবির এই জিবনে বাবাকে হাতে গোনা কয়েকবার শুধু হাসতে দেখেছে। কিন্তু আজকাল লক্ষ্য করলে দেখা যায় বাবা রুহির সাথে রেডিও আরজেদের মত এক টানা বকবক করে চলছে। কারনে অকারনে হাসছে। চেহারা থেকে সেই রাগী আর গম্ভীর মুখোশ যেনো খুলে পড়ছে ক্রমে ক্রমে।

এদিকে আদিবা বেগমও সংসারের সমস্ত দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন রুহির হাতে। তিনি একদিন ঘোষনা করে বসলেন আজ থেকে সে রিটারমেন্টে যাচ্ছেন। তার আর কোনো দায়িত্ব নেই। সংসারের সব দায়িত্ব এখন রুহির। অনেক গুলো বছর পর আবিদা বেগম যেনো একটা প্রশান্তির স্বাস নিলেন। রুহি এমন একটা মেয়ে যার উপর চোখ বন্ধ করে নির্ভর করা যায়।

আবিরের সাথে রুহির সম্পর্টাও একদম বন্ধুত্ব্য পূণ্য। রুহি যেমন আবিরকে ছোট বর বলে ডাকে, আবিও মজা করে ডাকে ‘বড় বউ’ বলে।আবির বিবিএ পড়ছে। রুহিও একই বিভাগের ছাত্রী। আবির পড়তে বসে কোনো এটা জায়গায় আটকে গেলেই ছোটে রুহির দরজায়।
রুহিকেও কিছু সময়ের জন্য আবিরের মাষ্টারী করতে হয়।

আবিদের পোষ্টিং হয়েছে বান্দরবানে। সেখানে বউ নিয়ে থাকার মত পরিবেশ নেই। নিজেরাই চব্বিশ ঘণ্টা থাকে রিক্সে। এই জন্য রুহি ঢাকাতেই রয়ে গেলো। যদিও রুহি বলেছিলো সে এই বাড়ি ছেড়ে কোথাও যাবে না। আবিদ যদি পারে সে যেনো ঢাকায় বদলি হয়ে আসে। যদি না পারে তো নাই। এখন যেমন আছে তেমনই চলবে। আবিদ তিন চার মাস পরপর দশ,পনেরো দিনের ছুটিতে বাসায় আসে। এই কয়টাদিন বাড়িতে যেনো ঈদ লেগে যায়।

আবিদ প্রতিবার বার ছুটি শেষে যাবার সময় আবিরকে সেই পুরোনো উপদেশ গুলোই বার্তে যায়। আবিরও ভাইয়ের কথা মন দিয়ে শুনে। আবিদ না থাকায় রুহির সমস্ত আবদার গুলো এসে পরে আবিরের ঘাড়ে। বিকাল বেলা ফুসকা,ঝালমুড়ির আবদার তো নিয়মিত কখনো কখনো মোড়ের দোকানের জিলাপিও রুহির জন্য নিয়ে আসতে হয় আবিরকে। আবিরকে জ্বালানোর জন্যই রুহি সব সময় বলে এটা লাগবে,ওটা লাগবে। এটা এনে দাও, ওটা এনে দাও। রুহির এই আবদার গুলোতে আবির কখনো বিরক্ত হয় না। আগে আবিরের একটাই ব্যাংক ছিলো আবিদ। কিন্তু এখন রুহিও একটা ব্যাংকের সমান। সোনার ডিম পারা হাসের উপর কখনো বিরক্ত হতে নেই।

বিয়ের দেড় বছর পর রুহি মা হবার খবর পেলো। খবরটা দুই পরিবারেই খুশির জোয়ার বয়ে আনলো। রুহির বাবার বাড়ির সবাই এলো রুহিকে দেখতে। সাথে করে নিয়ে এলো নানা ধরনের মিষ্টি। রুহি বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে, দুই পরিবারেই প্রথম নাতী/নাতনি আসছে।এটা অনেক বড় একটা ব্যপার। আবিদ তখন বান্দরবান আছে। আবির খবরটা ভাইকে দেওয়ার জন্য ফোন করতেই রুহি বারণ করলো। আবির ফোন রেখে জিজ্ঞেসু দৃষ্টিতে তাকালো রুহির দিকে৷ রুহি বললো,
‘ আগামী মাসে তোমার ভাইয়া আসছে। খবরটা তখন দিবো। এটা একটা সারপ্রাইজ। এখন তুমি ভাবো খবরটা কিভাবে দেওয়া যায়। এরকম কিছু করতে হবে যেনো বেচারা বর চমকে যায় একবারে। প্ল্যানটা কিন্ত তোমার হবে।’

আবির ভাবতে বসলো কি ভাবে চমকে দেওয়া যায় ভাইয়াকে। কি ভাবে তাকে বাবা হবার খবরটা দেওয়া যায়। ভাইয়া যখন যানবে তার অবস্থা কেমন হবে? কতটা খুশি হবে? সেই মুহূর্তের ভাইয়ার মুখটা ভীষন দেখতে ইচ্ছে করলো আবিরের। আবির মনে মনে দারুন একটা আইডিয়া পেলো ভাইয়াকে চমকে দেবার জন্য।

কিন্তু, জিবনের চাকা ঘুরলো ঠিক উল্টো দিকে। আবির আর রুহি বসে আছে আবিদকে চমকে দেবার জন্য অথচ একটা খবর তাদেরকেই চমকে দিলো ভীষন ভাবে । অনাকাঙ্ক্ষিত একটা ঝড়ে এলোমেলো হয়ে গেলো দুইটা পরিবার।কয়েকটা মানুষ আর অজস্র স্বপ্ন । সেদিন বিকালে বরাবরের মতই রুহি ফুসকার আবদার করলো আবিরের কাছে। আবির পাশের গলির দোকান থেকে ফুসকা নিয়ে এলো। দুজনে ফুসকা খেতে খেতে টিভি দেখছিলো। এমন সময় নিয়মিত অনুষ্ঠানের চিত্র পাল্টে টিভি স্কিনে লেখা উঠলো “বেকিং নিউজ” সাথে সাথে ভেসে উঠলো আবিদের ছবি। নিচ দিয়ে লেখা,

” বান্দরবানে সন্ত্রাসীদের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫৯ তম ব্যটালিয়নের ক্যাপ্টেন আবিদ হাসান”

চলবে…?